
07/07/2024
কোমর ব্যথার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সময়কাল রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার একটি সাধারণ নির্দেশিকা হলো:
প্রাথমিক পর্যায়ঃ
প্রথম কয়েক সপ্তাহে (প্রায় ৪-৬ সপ্তাহ) ফিজিওথেরাপি নিয়মিত করা হয়, যাতে ব্যথা কমে এবং পেশীর শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। সপ্তাহে ২-৩ বার বা প্রতিদিন একবার করে ফিজিওথেরাপির সেশন হতে পারে।
মাধ্যমিক পর্যায়ঃ
যদি প্রথম ৪-৬ সপ্তাহের পরেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হয়, তবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আরও কিছু সপ্তাহ ফিজিওথেরাপি চালিয়ে যেতে হতে পারে। এই পর্যায়ে সাধারণত ফিজিওথেরাপির সংখ্যা এবং সময়কাল রোগীর উন্নতির ওপর নির্ভর করে নির্ধারণ করা হয়।
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার ক্ষেত্রে করনীয়ঃ
যদি ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি হয় (মাসাধিক বা বছরাধিক কাল ধরে), তবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। এই পর্যায়ে সপ্তাহে একবার বা মাসে কয়েকবার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
ফিজিওথেরাপি সাধারণত ব্যথা কমানোর পাশাপাশি পেশীর শক্তি বাড়াতে, স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং দৈনন্দিন কার্যকলাপ সহজ করতে সাহায্য করে।
ফিজিওথেরাপি কতদিন পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া উচিত তা নির্ধারণ করতে হলে নিম্নলিখিত
বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে:
১. ব্যথার তীব্রতা এবং এর উন্নতি
২. ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে পাওয়া উপকার এর মাত্রা
প্রতিটি রোগীর জন্য চিকিৎসা পরিকল্পনা ভিন্ন হতে পারে, তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া উচিত।