Emon Chowdhury - Physiotherapist

Emon Chowdhury - Physiotherapist Emon Chowdhury is a Physiotherapist. He is working since 2015 in Uttara, Dhaka. He is a good Manual Physiotherapy Expert in Bangladesh. I'm a Physiotherapist.

I also work some social activities, journalisom, ICT. I'm A-ve blood donor. About Me:

� Full Name : Sakawat Hossain Chowdhury
� Nickname : Emon
� Birthday : 14th September 1995
� Educational Qualification : BscPT-DU (In Course), DIMT (Physio)
� Blood Group: A Negative (A-ve)
� Nature : Simple+Friendly+Helpful
� Height : 5.9 Feet
� Weight : 68--75 Kgs
� Glasses : Yes (-1.75 / -2.00)
� Righty or L

efty : Righty
� Proffessional Experience : Practices Manual Physiotherapy Since 2015 in Vision Physiotherapy Centre (VPC), Uttara, Dhaka.

🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬🔹 জ্বর বা ইনফেকশন হলে:✅ CBC (Complete Bloo...
25/07/2025

🧪 কোন রোগের জন্য কোন টেস্ট করাবেন? জেনে নিন, ভুল চিকিৎসা হতে নিরাপদে থাকুন!! 🧬

🔹 জ্বর বা ইনফেকশন হলে:
✅ CBC (Complete Blood Count)
✅ ESR
✅ Dengue, Malaria বা Typhoid Test (উপসর্গ অনুযায়ী)

🔹 ডায়াবেটিস সন্দেহ হলে:
✅ Fasting Blood Sugar (খালি পেটে)
✅ 2 Hours After Breakfast (2HABF)
✅ HbA1c (গত ৩ মাসের গ্লুকোজের গড়)

🔹 থাইরয়েড সমস্যা হলে:
✅ TSH
✅ T3, T4

🔹 লিভারের সমস্যা বা হেপাটাইটিস সন্দেহ হলে:
✅ LFT (Liver Function Test)
✅ HBsAg
✅ Anti-HCV

🔹 কিডনির সমস্যা হলে:
✅ Creatinine
✅ Urea
✅ Urine R/E (Urine Routine and Microscopy)

🔹 হার্টের সমস্যা বা বুক ধড়ফড় করলে:
✅ ECG
✅ Troponin I
✅ Lipid Profile
✅ Echocardiogram (ডাক্তারের পরামর্শে)

🔹 পেট ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক বা হজমে সমস্যা হলে:
✅ USG Whole Abdomen
✅ Endoscopy (প্রয়োজনে)
✅ H. Pylori Test

🔹 মেয়েদের PCOS বা অনিয়মিত পিরিয়ড হলে:
✅ USG Lower Abdomen
✅ LH, FSH
✅ Prolactin
✅ TSH
✅ AMH (বাচ্চা নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলে)।

🔹 প্রেগন্যান্সি টেস্ট:
✅ Urine β-hCG
✅ USG Pregnancy Profile

🔹 আর্থ্রাইটিস বা হাড়ের ব্যথা হলে:
✅ RA Factor
✅ CRP
✅ Uric Acid
✅ X-ray (প্রয়োজনে)।

🔹 রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) সন্দেহে:
✅ CBC
✅ Serum Iron
✅ Ferritin
✅ Vitamin B12

💡 মনে রাখবেন:
বিনা কারণে টেস্ট করানো যেমন ঠিক নয়, তেমনি দেরি করাও বিপজ্জনক। আপনার শরীরের সংকেতকে অবহেলা করবেন না। ভালো চিকিৎসার শুরু হয় সঠিক টেস্টের মাধ্যমে। তাই উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় টেস্ট করান।

🩺 সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন!..

অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট টিম নিয়ে আমরা আছি আপনার সেবায়।১০ বছরের অধিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ ফিজিও এর তত্বাবধানে পরিচালিত "ফি...
04/04/2025

অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট টিম নিয়ে আমরা আছি আপনার সেবায়।

১০ বছরের অধিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দক্ষ ফিজিও এর তত্বাবধানে পরিচালিত "ফিজিও মুভ ফিজিওথেরাপি সেন্টারে" সবাই আমন্ত্রিত!

সাধ্যের মধ্যে বিজ্ঞান সম্মত আধুনিক চিকিৎসা সেবা প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য....

PhysiMoveBD.com
House : 19, Lake Drive Road, Sector-7, Uttara, Dhaka
Helpline : 01303255225

আজ থেকে আমরা আমাদের ফিজিওথেরাপি সেবা শুরু করছি ইনশাআল্লাহ! আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।
04/04/2025

আজ থেকে আমরা আমাদের ফিজিওথেরাপি সেবা শুরু করছি ইনশাআল্লাহ!
আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট???"এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না"শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা...
28/03/2025

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট???
"এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না"

শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি
জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে।

চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি।
সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে।

ঢাকার মিটফোর্ড থেকে বের করলাম আরও এক নামে ঘন চিনি আমদানি হচ্ছে। সোডিয়াম সাইট্রেট দেখতেও ঘন চিনির মত দেখতে। সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘন চিনি। বণিক বার্তার সাংবাদিক ভাই খবর দিলেন মিটফোর্ডে দুই রকম ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা হলে ভেজাল ঘন চিনি ১৪০ টাকা কেজি। মাথাটা ঘুরে গেল!! বিষের সাথে বিষ! সেখানে সংবাদ নিলাম কম দাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘন চিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে দেয়ার জন্য।

ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘন চিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব কম এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা?? দুই দিন ঘুমাতে পারিনি। সমানে পারমুটেশন কম্বিনেশন করতে লাগলাম। কি সেই আইটেম? কেউ বলে না। গুগলে ঘন চিনির ছবি
বের করে তার সাথে মিল রেখে খুঁজতে লাগলাম আইটেম।
হটাত মাথার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, কি করে সম্ভব!!

আমার এক ভাই সার (ফার্টিলাইজার) বিক্রি করে। তাকে বললাম, “চিনির মত দানাদার সার কি আছে রে?” ইউরিয়া? না ইউরিয়া গোলাকার এবং খুব খারাপ স্বাদ। আর কি আছে? আচ্ছা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার? ভাই আমার
লাফ দিয়ে উঠল!! হ্যাঁ ভাই, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে চিনির মত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন।
এবার আমি লাফ দিয়ে উঠে গুগলে ছবি দেখলাম। ঘন চিনি এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। বিশ্বাস হচ্ছিল না, যে আমাদের সার খাওয়াচ্ছে আর একটি বিষের সাথে। সেই সাংবাদিক ভাইয়ের দ্বারা মিটফোর্ড থেকে ভেজাল এক কেজি সার কিনে আমি সরকারীভাবে চিঠি দিয়ে ১০০ গ্রাম নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। ঘুম হারাম হয়ে গেল আমার টেনশনে। রিপোর্ট পেলাম সেই ঘন চিনির নমুনায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে। যা সন্দেহ করেছি তাই। সেই সার মিশ্রিত ঘন চিনির প্যাকেট বা নমুনা না দেখেই এত হাজার লাখ আইটেমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার কিভাবে নির্বাচিত করলাম, তা সত্যিই হবাক হবার বিষয়!!

কয়েকজন বিজ্ঞানী রসায়নবীদকে জিজ্ঞাস করলাম, সার খেলে কি হয়? তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। কেন সার খাবেন কেন? আমি
বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, "ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম
শেষ হবে বাচ্চারা"।

নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে?? পৃথিবীর কোথাও আছে মানুষকে সার খাওয়ানোর উদাহরণ??
কোথায় আছি আমরা? কোথায় আমাদের গন্তব্য? কে আমাদের বাঁচাবে, বাঁচাবে আমাদের সন্তানদের?

© Dr Asim Dutta

আজ ২রা নভেম্বর জাতীয় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস।_____________________________________★★★★★★★★★★★★★★★★★আজ আপনাদের ...
02/11/2024

আজ ২রা নভেম্বর জাতীয় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস।
_____________________________________
★★★★★★★★★★★★★★★★★
আজ আপনাদের জানাবো মানবদেহে সর্ব প্রথম কবে রক্ত পরিসঞ্চালন করা হয়েছিল এবং বাংলাদেশে কে সর্ব প্রথম সেচ্ছায় রক্তদান করেছিলেন সেসব ইতিহাস সহ আরো অনেক কিছু।

মানবদেহে প্রথম রক্তদানের সফল প্রয়োগ ঘটানো হয়েছিল ভেড়ার রক্ত দিয়ে। আর তা করেছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী ডাঃ জ্যঁ ব্যাপ্তিস্তে ডেনিস। ১৬৬৭সালে তিনি এক আহত কিশোরের দেহে ১২ আউন্স ভেড়ার রক্ত দিয়ে রক্তদানের সফল সূচনা ঘটান।
এ সালেই ফ্রান্সে মানবদেহে প্রাণীর রক্ত প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পরে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক কার্ল ল্যান্ডস্টেনার রক্তের গ্রুপ আবিষ্কার করার পর ১৯০২ সালে রক্তদান নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অবশ্য রক্ত নিয়ে বিজ্ঞানিদের চিন্তাভাবনা শুরু আরো অনেক আগে। ১৬১৬ সালে ইংরেজ চিকিৎসক ডা. উইলিয়াম হার্ভের গবেষণার মাধ্যমে মানুষ প্রথম জানতে পারে যে,
মানবদেহের অভ্যন্তরে রক্ত প্রবাহিত হয়। ১৬৫৭ সালে উইলিয়াম হার্ভে আবিষ্কৃত যন্ত্র ব্যবহার করে জন্তুর দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে তরল পদার্থ প্রবেশ করান স্যার ক্রিস্টোফার রেন।

১৬৬৬ সালে ডা. রিচার্ড লোয়ার সফলভাবে প্রথমবারের মতো একটি কুকুরের দেহ থেকে আরেকটি কুকুরের দেহে রক্ত সঞ্চালনের পরীক্ষা চালান। অবশ্য এর পরে পশুর দেহ থেকে মানবদেহে রক্ত পরিসঞ্চালন করতে গিয়ে চিকিৎসকদের হাতে প্রাণ হারান অনেক মানুষ।
১৬৭৮ সালে রক্ত পরিসঞ্চালনের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেন পোপ।

১৮১৮ সালে ডা. জেমস ব্লান্ডেল নামে একজন ইংরেজ ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্যে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন যা দিয়ে সফলভাবে একজন সুস্থ মানুষের দেহ থেকে আরেকজন মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের দেহে রক্ত পরিসঞ্চালন করে তাকে বাঁচিয়ে তোলা হয়। তিনিই প্রথম বলেন যে, একজন মানুষের শরীরে কেবল আরেকজন মানুষের রক্তই দেয়া যাবে।

১৯০১ সালে ডা. কার্ল ল্যান্ডস্টেনার দেখান, মানুষের রক্তের প্রধানত ৪ টি গ্রুপ রয়েছে, A, B, AB এবং O. প্রথমবারের মতো মানুষ বুঝলো যে, এতোদিন ধরে তাদের ভুলটা ঠিক কোথায় হচ্ছিলো। এরপর ১৯০২ সালে রক্তদান নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ১৯১৪-১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এ সময়টায় যুদ্ধাহত হাজার হাজার মানুষকে বাঁচাতে অনেক রক্তের প্রয়োজন হয়েছিলো। আর তখনই মানুষ আবিষ্কার করলো দুটো বিষয়।

এক.
রক্তদাতার শরীর থেকে বের করে নেওয়ার পর ঐ রক্তকে জমাট বাঁধার হাত থেকে রক্ষা করা যায় যদি তাতে সোডিয়াম সাইট্রেট মেশানো হয়।

দুই.
অন্য আরও অনেক জিনিসের মতো রক্তকেও ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যায়। ১৯১৬ সালে প্রথমবারের মতো সফলভাবে সংরক্ষিত রক্তকে আরেকজনের দেহে প্রবেশ করানো হয়। এই ধারণা থেকেই ফ্রান্সে বিশ্বের প্রথম ব্লাড ব্যাংকের সূচনা করেন একজন আমেরিকান সেনা কর্মকর্তা ও মেডিকেল গবেষক অসওয়াল্ড হোপ রবার্টসন।

১৯২১ সালে লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে বৃটিশ রেডক্রসের সদস্যরা সবাই একযোগে রক্ত দেন। সূচিত হয় বিশ্বের প্রথম স্বেচ্ছা রক্তদানের দৃষ্টান্ত। ১৯২৫ সালে রক্ত পরিসঞ্চালন নিয়ে গবেষণার জন্যে মস্কোতে ড. আলেক্সান্ডার বগদানভের নেতৃত্বে একটি ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৭ সালে আমেরিকার শিকাগোর কুক কাউন্টি হাসপাতালে বিশ্বের প্রথম ব্লাড ব্যাংক স্থাপিত হয়।

বাংলাদেশে স্বেচ্ছায় রক্তদানের ইতিহাস শুরু হয় ১৯৭২ সালে। দেশের প্রবীণ রক্তসঞ্চালনবিদ প্রফেসর ডা. মুজিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ১৯৭২ সালের ১০ জুন জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম নিজ রক্তদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের সূচনা করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ রেডক্রস (পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি) শুরু করে তার ব্লাড ব্যাংক কার্যক্রম।

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়। অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না। একজন চীনা বিত্তবা...
12/09/2024

মৃত্যুর পরও ব্যাংকে আপনার টাকা রয়ে যায়।
অথচ আমরা আমাদের জীবদ্দশায় খরচ করার জন্য প্রয়োজনীয় টাকা পাই না।

একজন চীনা বিত্তবান মারা গেলেন।
ভদ্রলোকের বিধবা স্ত্রী ২০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে তার মৃত স্বামীর ড্রাইভারকে বিয়ে করে ফেললেন।
সদ্য বিবাহিত ড্রাইভার মনে মনে বললেন,
এতদিন জানতাম আমি আমার মালিকের জন্য কাজ করেছি।
এখন দেখি আমার হৃদয়বান মালিকই আমার জন্য শ্রম দিয়ে গেছেন!

নিরেট সত্যটি হচ্ছে-অধিক ধনবান হওয়ার চেয়ে দীর্ঘ্ জীবন লাভ করা বেশি জরুরি।

তাই অধিক ধনবান হওয়ার জন্য অবিরাম শ্রম না দিয়ে দীর্ঘ এবং সুস্থ্য জীবন যাপন করার চেষ্টা করা উচিত এবং নিজেকে সেভাবে গড়া উচিত।

আমাদের জীবনের নানা ঘটনাতেই এই সত্যটি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করা যায়ঃ

* দামি এবং অনেক সুবিধা সম্পন্ন একটি মোবাইল ফোনের ৭০% অব্যবহৃতই থেকে যায়।

* একটি মূল্যবান এবং দ্রুতগতি গাড়ির ৭০% গতির কোনো দরকারই হয় না।

* প্রাসাদতুল্য মহামূল্যবান অট্টালিকার ৭০% অংশে কেউ বসবাস করে না।

* কারো কারো এক আলমারি কাপড়-চোপড়ের বেশির ভাগ কোনদিনই পরা হয়ে উঠে না।

* সারা জীবনের পরিশ্রমলব্ধ অর্থের ৭০% আসলে অপরের জন্যই। আপনার জমানো অর্থ যাদের জন্য রেখে যাবেন, বছরে একবারও আপনার জন্য প্রার্থনা করার সময় তাদের হবে না।

করণীয় কী?

# অসুস্থ না হলেও সুযোগ থাকলে মেডিকেল চেকআপ করুন।

# অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না।

# মানুষকে ক্ষমা করে দিন।

# রাগ পুষে রাখবেন না। মনে রাখবেন, কেউ-ই রগচটা মানুষকে পছন্দ করে না। আড়ালে-আবডালে পাগলা বলে ডাকে।

# পিপাসার্ত না হলেও জল পান করুন। শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে এর বিকল্প নেই।

# সিদ্ধান্তটি সঠিক জেনেও কখনো কখনো ছাড় দিতে হয়।

# যতই বয়স হোক না আর ব্যস্ত থাকুন না কেন, জীবনসংগীকে মাঝে মাঝে নিরিবিলি কোথাও নিয়ে হাত ধরে হাঁটুন, হোটেলে খাওয়াতে না পারলে বাদাম বা ঝালমুড়ি খান।

আর তাকে বুঝতে দিন, সেই আপনার সবচেয়ে আপন। কারণ, আপনার সবরকম দুঃসময়ে সেই পাশে থাকে বা থাকবে।

# ক্ষমতাধর হলেও বিনয়ী হোন।

# সুযোগ পেলেই পরিবার পরিজন নিয়ে সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের দেশকে এমনকি ভিন্নদেশকে দেখতে বেড়িয়ে পড়ুন।

# ধনী না হলেও তৃপ্ত থাকুন। মনে রাখবেন, সকল ধনী লোক কিন্তু মানসিক শান্তিতে থাকে না।

# মাঝে মাঝে ভোরের সূর্যোদয়, রাতের চাঁদ এবং সমুদ্র দেখতে ভুল করবেন না।

বৃষ্টিজলে বছরে একবার হলেও ভিজবেন। আর দিনে ১বার গায়ে রোদ লাগান।

মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে হাসবেন।

জীবন তো একটাই।

একে পরিপূর্ণভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

#সংগৃহীত ゚

এটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি। কেন জানেন? কারণ এই ছবিটি তার ফটোগ্রাফারকে এনে দিয়েছিল নোবেল পুরস্কার!হ্যাঁ কারণ এ...
11/09/2024

এটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি। কেন জানেন? কারণ এই ছবিটি তার ফটোগ্রাফারকে এনে দিয়েছিল নোবেল পুরস্কার!

হ্যাঁ কারণ এটি পৃথিবীর প্রথম এক্স-রে ছবি। ছবিটি তুলেছিলেন ১৮৯৫ সালে, উইলহেম রন্টজেন। যাঁকে তার এই অসাধারণ আবিষ্কারটির জন্যে ১৯০১ সালে বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়।

চিকিৎসাশাস্ত্রে এই আবিষ্কারের মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান এই বিজ্ঞানী।

মজার কথা হলো, এই প্রথম ছবিটিতে তিনি তুলেছিলেন তাঁর স্ত্রী বার্থার হাতের। দেখুন ছবিতে মহিলার হাতের আঙুলে বিয়ের আংটিটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রন্টজেন সাহেব নিজেও জানতেন না যে এই অদৃশ্য রস্মিটি আসলে কী, যা কিনা মানুষের শরীর ভেদ করে হাড়ের ছাপ এঁকে দিতে সক্ষম হয় পর্দায়। তাই তিনি এই অজানা রস্মির নাম দিয়েছিলেন - "X"। যা গাণিতে অজানা কিছুকে বোঝায়। সেই থেকেই আজকে আমাদের সকলের অতি পরিচিত নামটি এসেছে - X- Ray!

এক শকুনের বাচ্চা তার বাপের কাছে বায়না ধরলো, -- "বাবা, আমি মানুষের মাংস খাব! "শকুন বলল--"ঠিক আছে বেটা, সন্ধ্যার সময় এনে...
04/09/2024

এক শকুনের বাচ্চা তার বাপের কাছে বায়না ধরলো, -- "বাবা, আমি মানুষের মাংস খাব! "

শকুন বলল--"ঠিক আছে বেটা, সন্ধ্যার সময় এনে দেব। শকুন উড়ে গেল আর আসার সময় মুখে এক টুকরো শুকরের মাংস নিয়ে এসে বাসায় রাখলো ।

বাচ্চা বলল--"বাবা, এটা তো শুকরের মাংস, আমি মানুষের মাংস খেতে চাই।"

বাপ বলল --অপেক্ষা কর বাবা!

শকুনটা আবার উড়ে গেল আর আসার সময় এক মরা গরুর মাংস নিয়ে এলো।

বাচ্চা বলল --"আরে এটা তো গরুর মাংস নিয়ে এসেছ, মানুষের মাংস কোথায়?

এবার শকুনটা দুটো টুকরো একসাথে মুখে নিয়ে উড়াল দিল আর শুকরের মাংসটি একটা মসজিদের পাশে আর গরুর মাংস একটা মন্দিরের পাশে ফেলে দিয়ে চলে এলো!

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে শুরু হলো দাঙ্গা! কয়েকশ মানুষের লাশ পড়ে গেল! তখন গাছের ডাল থেকে নেমে বাপ-বেটা মিলে খুব তৃপ্তিতে মানুষের মাংস খেল।

বাচ্চাটা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করছে-- "বাবা, এত মানুষের মাংস এখানে কি করে এলো ?"

শকুন বললো -- "এই মানুষ জাতটাই এরকম। সৃষ্টিকর্তা এদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু ধর্ম আর রাজনীতির নামে এদেরকে আমাদের থেকেও হিংস্র বানানো যেতে পারে! "

বাচ্চা বললো তুমি ধর্মকে ব্যবহার করলে কেন, কতগুলো নীরিহ লোক মারা গেল , রাজনীতি করলেই পারতে!

বাবা হেসে উত্তর দিল, তাতেও নিরীহ লোকগুলোই মারা পড়তো! ধর্মটা আবেগের যায়গা তাই ফলাফলটাও তাৎক্ষণিক! তুমি আজই খেতে চেয়েছিলে! রাজনীতি টা কুটিল এবং জটিল, এটি শুরু হতে সময় নেয় কিন্তু হলে আর থামেনা!

বাচ্চা বললো- "তোমার অনেক বুদ্ধি, বাবা"

শকুন -- "আরেহ, ধুর! এটা তো আমি মানুষের কাছ থেকেই শিখছি, এদের একটা অংশ যখনই কোন অনিষ্ট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয় তখনই সহজ রাস্তা হিসেবে হয় ধর্মকে নয়তো রাজনীতিকে ব্যবহার করে!

©

পুরুষ মানুষ অনেকটা খেজুর গাছের মতো। আদর পায় না, যত্ন পায় না, কেউ জল দেয় না, সার দেয় না, গোঁড়ায় কেউ মাটি দেয় না, আরো বলে ...
17/07/2024

পুরুষ মানুষ অনেকটা খেজুর গাছের মতো।

আদর পায় না, যত্ন পায় না, কেউ জল দেয় না, সার দেয় না, গোঁড়ায় কেউ মাটি দেয় না, আরো বলে নিজের পায়ের তলার মাটি নিজে শক্ত করো!

অযত্নে অবহেলায় বেড়ে উঠে! বেড়ে উঠার পর কিন্তু তার কাছে প্রত্যাশা অনেক!

তার ফল খুব মিষ্টি, তার রসের জন্য হাহাকার, তার রসের গুড় চিনির চেয়ে কয়েকগুন বেশি উপকারী। তাকে বছরের পর বছর ক্ষতবিক্ষত করা হয়! যতদিন বেঁচে থাকে তাকে কাটা হয়, তার রস এক ফোঁটা এক ফোঁটা করে নিগড়ে নেওয়া হয়! রস নেওয়া শেষ হয়ে গেলে আর তার কোন কদর থাকে না, পথে ধারে একাকী অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকে!

আবার জীবন শেষ করে জ্বালানির কাঠ হিসেবে অধিক বিশ্বস্ত। মাছ ধরার ফাদ পাতার জন্য তার জুড়ি নেই।

তারপরও খেজুর গাছ কোন অভিযোগ করে না, কিছু প্রত্যাশা করে না, ভালোবাসা চায় না। শুধু ফল দিয়ে যায়, রস দিয়ে যায় আর মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকে নিঃস্বার্থভাবে আপনার পরিবারের পুরুষ মানুষটির মতো।

কর্মক্ষেত্রে মানুষরূপী গাধা ও বুদ্ধিমান মানুষ এর পার্থক্য :“ভাই পড়ুন, পড়ার কোন বিকল্প নাই। খালি শর্টকার্ট খুঁজেন না,  ...
10/07/2024

কর্মক্ষেত্রে মানুষরূপী গাধা ও বুদ্ধিমান মানুষ এর পার্থক্য :

“ভাই পড়ুন, পড়ার কোন বিকল্প নাই। খালি শর্টকার্ট খুঁজেন না, বুদ্ধিহীন হয়ে যাবেন।”

খুবই কর্মঠ, কাজ পাগলা চাইনিজরা শনি ও রবি দুইদিন ছুটি দেয়; দুপুরে লাঞ্চের পরে ঘুমানোর জন্য ১ ঘন্টা সময় দেয়। শুধু তাই নয়, সবাই যাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে তার জন্য বিশেষ ধরনের চেয়ার দেয়, পরিবেশ বানিয়ে দেয়।

কেন?

তারা কি বোঝেনা যে ৭ দিনে ৬ দিন ১০/১২ ঘন্টা করে কর্মী কে খাটালে আউটপুট বেশি পাওয়া যাবে?

এই প্রশ্নটি আমি এক চাইনিজ কে করেছিলাম; তিনি উত্তর দিয়েছিলেন ৭ দিনে ৬ দিন ১২/১৪ ঘন্টা খাটিয়ে তুমি শুধু গা-ধা পালবে; কোয়ালিটি পেতে চাইলে তোমাকে মানুষ পালতে হবে, যার ব্রেনকে তুমি যত বৈচিত্র দিতে পারবে, প্রয়োজনমত রেস্ট দিতে পারবে ; ক্রিয়েটিভ আউটপুট পাবে।

তোমার কোম্পানির কাজ যদি গা-ধার কাজ হয় ; মানে বুদ্ধিমত্তা দরকার নাই শুধুমাত্র মাল বহন করতে পারলেই হলো, তাহলে ৭ দিনে পারলে ৭ দিনই কাজ করাও; যখন আর মাল বহন করতে পারবেনা তখন একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটিকে নিয়ে নাও।

কিন্তু যদি বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে দুইদিন ছুটি, দুপুরে ঘুম, পেইড ভ্যাকেশন ইত্যাদি দিতে হবে।

সংগৃহীত পোস্ট।

(বি:দ্র: কষ্ট করে পড়ুন পড়ার অভ্যাস করুন, ধন্যবাদ)

হাড্ডির ভিতরের যে নরম অংশটাকে সুড়ুৎ করে ক্যালসিয়াম (Ca) বলে খাচ্ছেন তা আসলে প্রায় পুরোটাই চর্বি! এতে ক্যালসিয়ামের উপস্থি...
09/07/2024

হাড্ডির ভিতরের যে নরম অংশটাকে সুড়ুৎ করে ক্যালসিয়াম (Ca) বলে খাচ্ছেন তা আসলে প্রায় পুরোটাই চর্বি! এতে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি প্রায় নগন্য।

গরু বা কোনো প্রাণীর হাঁড়ের ভিতরের নরম অংশটা হলো অস্থিমজ্জা বা Bone marrow. এটির প্রধান অংশ হলো yellow bone marrow যা প্রায় পুরোটাই চর্বি বা fat.

আর ক্যালসিয়াম থাকে হাঁড়ের শক্ত অংশে। এটি সাধারণত খাওয়া যায়না। তাই মজার জন্য bone marrow খান সমস্যা নাই, কিন্তু যারা ক্যালসিয়াম মনে করে চর্বি খাচ্ছেন তাদের জন্য সমবেদনা!

©️

জন্মের প্রথম দিনই ওদের মেরে ফেলা হয়। কারণ এ মুরগীগুলোর জীবন প্রফিটেবল না। পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রির কাছে এরা.......__________...
21/06/2024

জন্মের প্রথম দিনই ওদের মেরে ফেলা হয়। কারণ এ মুরগীগুলোর জীবন প্রফিটেবল না। পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রির কাছে এরা.......
_______________________
একটা হরর স্টোরি বলি। সত্যিকারের হরর স্টোরি।
এ লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে কিংবা পোস্টে দেয়া লিঙ্ক ঘাঁটাঘাঁটি করলে নিজ দায়িত্ব করবেন। মজা করছি না, সিরিয়াসলি বললাম।
পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে দুই ধরণের মুরগীর প্রজনন করা হয়। ডিমের জন্য লেয়ার মুরগী, আর মাংসের জন্য ব্রয়লার। ব্রয়লার মুরগী ছয়-সাত সপ্তাহের মধ্যে বিশাল বড় হয়ে যায়। মাংশ হয় প্রচুর। আর লেয়ার মুরগীর স্পেশালিটি হল সাইযে বড় না হলেও এ জাতের মুরগী অনেক বেশি ডিম দেয়। তবে ডিম তো দেয় শুধু নারী মুরগী। পুরুষদের কী হয়?
মেরে ফেলা হয়।
জন্মের প্রথম দিনই ওদের মেরে ফেলা হয়। কারণ এ মুরগীগুলোর জীবন প্রফিটেবল না। পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রির কাছে এরা ‘সারপ্লাস’। পুরুষ হবার কারণে এদের কাছ থেকে ডিম পাওয়া যায় না। আর লেয়ার জাতের হবার কারণে পাওয়া যায় না ব্রয়লার মুরগীর মতো মাংসও তাই সবচেয়ে লাভজনক, সবচেয়ে ‘একোনমিক’ সমাধান হল এই বাচ্চাগুলোকে যতো দ্রুত সম্ভব মেরে ফেলা।
আর তাই প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে এক দিন বয়েসী ৭০০ কোটি পুরুষ শিশু মুরগী হত্যা করা হয়। হ্যাঁ, ৭০০ কোটি। ৭ বিলিয়ন।
এই মেরে ফেলার কাজটা কীভাবে করা হয় জানেন?
বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।
১। শ্বাসরোধ করা: বাচ্চাগুলোকে বিশাল বিশাল প্লাস্টিক ব্যাগে ভরে আটকে দেয়া হয়। বাতাসের জন্য হাঁসফাঁস করতে করতে দমবন্ধ হয়ে মারা যায় ওরা।
২। ইলেক্ট্রোকিউশান: ডিম ফুটে বের হওয়া বাচ্চাদের ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়।
৩। সারভিকাল ডিসলোকেশান: সোজা বাংলায়, হাত দিয়ে টেনে মাথা ছিড়ে ফেলা হয় শরীর থেকে।
৪। গ্যাসিং: গ্যাস চেইম্বারে চালু করে দেয়া হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস। সদ্যজাত মুরগীগুলো একসময় জ্ঞান হারায় এবং মারা যায়।
৫। ম্যাসেরেইশান: পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে পছন্দের পদ্ধতি। বাচ্চাগুলোকে প্রথমে একটা কনভেয়ার বেল্টে ছুড়ে দেয়া হয়। কনভেয়ার বেল্ট জীবন্ত বাচ্চাগুলোকে নিয়ে ফেলে প্রচন্ড গতিতে ঘুরতে থাকা ধারালো ধাতব পাতের মধ্যে। মূহুর্তের মধ্যে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ওরা।

ব্লেন্ডার আছে না? একটা ঢাউস সাইযের ব্লেন্ডারের ভেতর একদিন বয়েসী মুরগীর বাচ্চাকে ছেড়ে দিলে কী হবে চিন্তা করুন। সেইম প্রসেস। তবে একটা না, শত শত কোটি মুরগীর বাচ্চাকে এভাবে হত্যা করা হয়। পুরো ব্যাপারটা পুঁজিবাদের ইউটিলিটারিয়ান সমীকরণ আর মডার্নিটির মনস্তত্ত্বের অসাধারণ এক দৃষ্টান্ত। আগাগোড়া পিওর মেশিন লজিক।
দুটা ভিডিও লিঙ্ক দিচ্ছি কমেন্টে, ভিডিগুলো দেখেন। না দেখলে ব্যাপারটার যান্ত্রিক নিষ্ঠুরতা বোঝা সম্ভব না।
এই ভয়ঙ্কর কাজটার একটা সুন্দর নাম আছে। Chick Culling বা Male Chick Culling। বাংলাদেশে কী হয় জানি না, কিন্তু বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় এটা পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ড প্র্যাকটিস। এবং আমরা সবাই এই প্রক্রিয়ার অংশীদার।
হ্যাঁ, এই নৃশংসতা বন্ধ করতে গেলে নিশ্চিতভাবেই পোল্ট্রি প্রডাকশন কমবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে, ফ্রাইড চিকেন হয়তো পাওয়া যাবে না। চালানো যাবে না কেএফসির মতো মাল্টিবিলিয়ন ডলার ফ্র্যাঞ্চচাইয। ফাস্ট ফুডের নেশা উপভোগ করা যাবে না যখন তখন। কিন্তু অবিশ্বাস্য মাত্রার এ নিষ্ঠুরতাকে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বানিয়ে ফেলার চেয়ে কি তা খুব একটা খারাপ হবে?
আলহামুদলিল্লাহ, মহান আল্লাহ আমাদের অনেক নিয়ামত দিয়েছেন। প্রানীজগত থেকে আমরা উপকৃত হতে পারি, এটাও একটা নিয়ামাহ। খাদ্যের জন্য হালালভাবে পশু হত্যা জায়েজ, এবং এটা মানবজাতির জন্য প্রয়োজন। কিন্তু এমন একটা প্রসেসকে কীভাবে সমর্থন করা যায়, যেটার অবশ্যাম্ভাবী সাইড ইফেক্ট হিসেবে বছরে ৭০০ কোটি সদ্যজাত মুরগীকে এতো বীভৎসভাবে হত্যা করা হয়? কীভাবে এখানে হুকুকুল ইবাদ (বান্দার হক) রক্ষিত হয়? কীভাবে রাহমাতুললি আলামীনের (ﷺ) এর শিক্ষার সাথে এমন আচরণকে মেলানো যায়?
মনে রাখবেন পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু এই ৭০০ কোটি শিশু মুরগীকে কোন কাজে লাগাচ্ছে না। এরা স্রেফ সারপ্লাস। বিক্রিয়ার অপদ্রব্য। এর সাথে কুরবানীর অবস্থা মিলিয়ে দেখুন।
কুরবানীর পশুর প্রায় প্রতিটি অংশ কাজে লাগে। শুধু একজন ব্যক্তি কিংবা পরিবার না, বরং পুরো সমাজ উপকৃত হয়। কুরবানীর পশুর মাংসের কমপক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ বিলিয়ে দেয়া হয়। কুরবানীর সময় এমন অনেক মানুষ মাংস খেতে পায় বছরের অন্য সময় মাংস খাবার সুযোগ যাদের হয়তো হয় না। কুরবানী কেন্দ্রিক বেচাকেনাতে গ্রামাঞ্চলের মানুষ এবং খামারীরা সুযোগ পায় অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবার।
এবং পুরো ব্যাপারটা করা হয় সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য। আত্মকেন্দ্রিক ভোগের জন্যে না। আমরা সব কিছুর মালিকের নির্দেশে, তাঁরই দেয়া সম্পদ, তাঁর সন্তুষ্টির জন্য কুরবান করি। বছরে একদিন। আর এই এক ইবাদাহ থেকে উপকৃত হয় পুরো সমাজ।
ফাস্টফুডের নির্জীব আত্মকেন্দ্রিকতা, মাল্টিবিলিয়ন ডলার কর্পোরেইশানের নির্জলা প্রফিটমুখীর চিন্তা, আর সারপ্লাস হত্যার সাথে কতো আকাশপাতাল তফাৎ।
তবু বছর বছর ইসলামের বিধান কুরবানীর বিরোধিতা করে হাজার হাজার শব্দ লেখা হয়। কিন্তু পুঁজিবাদী পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ আমরা বিনা প্রশ্নে সয়ে যাই। এক বিচিত্র মনস্তত্ত্ব আধুনিকতা আর আধুনিক মানুষের। এক বিচিত্র দ্বিচারিতা সহনশীলতা আর উদারতার নামে।

© সংগৃহীত

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Emon Chowdhury - Physiotherapist posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Emon Chowdhury - Physiotherapist:

Share

My Profile

I'm a Physiotherapist. I also work some social activities, journalisom, ICT. I'm A-ve blood donor.