04/06/2025
সামনে কোরবানির ইদ । কোরবানির ইদে বৈচিত্র্যময় খাবারের আয়োজনের সাথে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় গরু বা খাসির মাংস। সেজন্য শরীর সুস্থ রাখতে হলে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে গরু বা খাসির মাংস এবং অন্যান্য খাবার গ্রহণ করতে হবে।
📍 গরু বা খাসির মাংসে রয়েছে - প্রোটিন, জিংক, ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড, আয়রন, অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড।
🔴 কোরবানি ইদের খাবার :-
★ সুস্থতা ও বয়সভেদে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
★ গরু বা খাসির মাংসে প্রচুর চর্বি থাকে। সেজন্য চর্বির অংশ ফেলে দিয়ে চর্বি ছাড়া মাংস গ্রহণ করতে হবে।
★ মাংসের সাথে অবশ্যই লেবু বা লেবুর রস গ্রহণ করতে হবে যা মাংসের পুষ্টি উপাদান শরীরে শোষণে সহায়তা করে।
★ প্রতিবেলা খাবারের সংগে সবজি এবং সালাদ রাখতে হবে।
★ গরুর মাংস গ্রহণ করার আধা ঘণ্টা আগে পানি খেয়ে নিবেন, সাথে সালাদ ও হাফ কাপ টকদই গ্রহণ করবেন এতে খাবার সহজেই বডি তে হজম হবে।
★ যারা হার্ট এর সমস্যা, উচ্চ-রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস এ ভোগছেন তারা দিনে একবেলা চর্বি এবং ঝোল ছাড়া গরু বা খাসির মাংস গ্রহণ করতে পারবেন।
★ গরুর মাংসে কোলিন থাকে যা ব্রেন এর নিউরো ট্রান্সমিটার হিসেবে কাজ করে।
★ যারা ওজন বাড়াতে চান তাদের জন্য কোরবানির ইদ ভালো সু্যোগ।
★ যাদের অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা আছে তারা কোরবানির ইদ এ এই সমস্যা সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারেন কারণ গরু বা খাসির মাংস এ রয়েছে ফলিক এসিড ও আয়রন যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।
★ গরু বা খাসির মাংস যেহেতু উচ্চ- প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য সেজন্য গরুর মাংস গ্রহণের সময় অন্যান্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য যেমন -মাছ, মুরগির মাংস, ডিম এগুলো কম গ্রহণ করতে হবে।
★ যাদের হার্ট এর সমস্যা , উচ্চ- রক্তচাপ আছে তারা কলিজা, মগজ, নিহারি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
★ কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে গরুর বা খাসির মাংস না খাওয়া উত্তম।
🔴 নির্দেশনা :
★ গরু বা খাসির মাংস রান্নার সময় ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে যাতে ক্ষতিকর অণুজীব ধ্বংস হয়ে যায়।
★ গরুর বা খাসির মাংসে প্রচুর চর্বি থাকে তাই রান্নার সময় কম তেল ও মসলা ব্যবহার করবেন।
★ খাবার গ্রহণ এর পর ৩০ মিনিট হাঁটতে হবে।
★ কোল্ড ড্রিংকস এর পরিবর্তে ফলের জুস, বোরহানি খাওয়া যাবে।
★ মৌসুমি ফল গ্রহণ করুন।
★ পরিমানমত পানি গ্রহণ করতে হবে।
সবসময় হাসি-খুশি থাকবেন এবং নিজেকে সুস্থ রাখবেন।
✍️- পুষ্টিবিদ আফসারা তাসনিম রিনি