Mansuba's Counseling Center

Mansuba's Counseling Center Expert counseling on Child, Family, Adolescent, Career, Marriage, Couple, Addiction, Depression, Anger, etc. For counseling needs, please make appointment.

29/12/2022

বাংলাদেশে অবস্থানরত জাপানিজ দু'বাচ্চাকে নিয়ে জাপানিজ মা এবং বাংলাদেশি বাবার টানাহ্যাচড়ায় বয়ঃসন্ধিক্ষণে থাকা এই শিশুগুলোর ওপর যে মানসিক চাপ ও টানাপোড়েন চলছে তা আসলেই দুঃখজনক।

এরকম অসংখ্য শিশু আমাদের দেশেও বাবা মার দ্বন্দ্বের বলি হচ্ছে প্রতিনিয়তই। বাচ্চাকে রক্ষা করার ক্ষমতা থাকুক আর নাই থাকুক চলে বাচ্চাকে নিজের কাছে রাখার অসুস্থ প্রতিযোগিতা, চলে ইগোইজম। এ যেন ক্ষমতা প্রদর্শনের আরেক রূপ।

স্বামী স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদ হয়। সন্তানদের সাথে বাবা মার কখনও বিচ্ছেদ হয় না। এটা অনেকেই মনে রাখেন না।

যা হয় তা হল স্বামী স্ত্রীর স্ব স্ব ক্ষেত্রে নিজেকে ওপরে রাখার প্রতিযোগিতা, শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব, ক্ষমতা প্রদর্শনের এবং জেতার প্রতিযোগিতা। শিশু কি চায়, কি তার মনোভাব, কি তার মানসিক অবস্থা কিছুই তারা ভাবেন না। অথচ দুজনই শিশুর কাস্টোডি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এরা জানেন না সুস্থ প্যারেন্টিং এর কোন বিকল্প নেই।

এরা কেউ হারতে চান না, হারতে জানেন না। এরা জানেন না কখনও কখনও হেরে গিয়েও জিতে যাওয়া যায়।

২০২১ এর এপ্রিলে কোমায় ও ভেন্টিলেশনে ছিলাম সে সাথে বেশ কয়েক মাস ডাক্তারের বেঁধে দেয়া রেস্ট্রিকশন অনুযায়ী ঘরবন্দী থাকতে হয়...
14/12/2022

২০২১ এর এপ্রিলে কোমায় ও ভেন্টিলেশনে ছিলাম সে সাথে বেশ কয়েক মাস ডাক্তারের বেঁধে দেয়া রেস্ট্রিকশন অনুযায়ী ঘরবন্দী থাকতে হয়েছিল। যদিও সারতে না সারতেই আবার কাজ শুরু করলাম। সে সময়ে কোন কিছু নিয়ে দুর্ভাবনা আসতো না। আসার কোন সুযোগও ছিল না। কেননা সকলের দোয়া ও ভালোবাসা ছিল। কত শত ইনবক্স, ফোন কলের লিস্টগুলো যখন দেখতাম তখন এক ধরণের দায়বদ্ধতা আরও বেশী কাজ করতো। তাই আবারও কাজে ফেরা।

আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি মানসুবা'স কাউন্সেলিং এর পুরো টিমের প্রতি। যারা অত্যন্ত ভালোবেসে আন্তরিকতা নিয়ে বেশ ক'বছর ধরে মানসুবা'স কাউন্সেলিং সামলেছেন অনলাইন অফলাইন দুভাবেই এবং এখনও সময় দিচ্ছেন। বিশেষ করে আমার অসুস্থতার সময়েও তারা এ প্রতিষ্ঠানটির দেশের ভেতর ও বাইরের কোন কার্যক্রম কোন ভাবেই ব্যাহত হতে দেন নি।

ধন্যবাদ মানসুবাস কাউন্সেলিংএর পুরো টিমকে।
ধন্যবাদ প্রকৌশলী আবদুল হাই নিয়ন (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, হেড অব আইটি এন্ড ম্যানেজমেন্ট), অধ্যাপক ডঃ নাজমুল হক (জেনারেল সাইকোলজিস্ট), ওমর ফারুক (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট), শারমীন আরা (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট), তানজিনা সিদ্দিকা (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট), আবদুর রহিম, ইমন হোসেন ও মিজানুর রহমানকে।

আরও বেশী ধন্যবাদ আপনাদের প্রতি, যারা পূর্বের মতই আমাদের ওপর আস্থা ও ভরসা নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন এবং করছেন।

আবারও ধন্যবাদ, Team Mansuba's Counseling!

নোট  # ৪২আমার কোমা ও ভেন্টিলেশন..! করোনায় আমার লাংএর ৯৬% ইনভল্ভমেন্ট নিয়ে আইসিইউতে কোমা, ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্টে আমি...
03/12/2021

নোট # ৪২

আমার কোমা ও ভেন্টিলেশন..!

করোনায় আমার লাংএর ৯৬% ইনভল্ভমেন্ট নিয়ে আইসিইউতে কোমা, ভেন্টিলেশন বা লাইফ সাপোর্টে আমি কেমন ছিলাম? অনেকেই এর ভেতর আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, এখনও চাইছেন... আইসিইউ, ভেন্টিলেশন, কোমায় আমার কেমন অনুভূতি ছিল?

দেখুন মেডিক্যাল সাইন্স বলে, কোমায় মানুষের জাগতিক কোন অনুভূতি থাকে না, হয়তো বা তাই। কিন্তু আমি দেখেছি, উপলব্ধি করেছি, অনুভব করেছি আমার মত করে। জানি না এ মুহূর্তগুলো বাস্তবিকই ঘটে কিনা! যদি বলি আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ও আরামের সময় ছিল এই সময়টা, কেউ কি বিশ্বাস করবেন?!

কেন বলছি..? শুনুন......
কখনও কখনও সে সময়টা আমি আমার নিজস্ব জগতের বাইরের কেউ হয়ে ছিলাম। তবে মনে হতো আমি আছি এক ঐশ্বরিক ভালোবাসার আবর্তনে আবর্তিত কোন একাকী মানুষ হয়ে। যার কাজ ছিল সারাক্ষণ শ্বেতশুভ্র বরফের ধোঁয়ায়, মেঘেদের রাজ্যে ঘুরে বেড়ানো। আর সবকিছুই বিস্ময়ের ঘোরে চোখ মেলে দেখতে থাকা! আবার মনে হত কোন এক অচিনপুরীতে অনেকের সাথে উড়ে উড়ে, ঘুরে ঘুরে ওপর থেকে নিজেকে নিজেই যেন দেখতে পেতাম। কখনও পা ঝুলিয়ে বসে আছি, কখনও সাদা কাপড়ে মোড়ানো আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। কখনও কখনও কথা বলছি, ক্লান্তিহীনভাবে প্রশ্নের পর প্রশ্ন করে গেছি যেন সৃষ্টিকর্তাকে। সেখানে জাগতিক কোন চাওয়া পাওয়ার বিষয় নেই, নেই কোন হাসি-কান্না কিংবা আর্তনাদ। নেই মানসিক চাপ বা শারীরিক যন্ত্রণা। এ এক অন্য জগত। তবে কখনও কখনও মনের অনুভূতিতে ভেসে উঠতো প্রিয় কোন মুখ। শুধুমাত্র একদিন টের পেয়েছিলাম আমার খুব কাছের, প্রাণের কোন এক মানুষের হৃৎস্পন্দন। হাতড়ে বেড়িয়েছি কে সে?! কে হতে পারে?! জানি না সেটা স্বজ্ঞানে নাকি অজ্ঞান অবস্থায়। বাস্তবিকভাবে হয়তোবা সে সময়ের কোন কষ্টই আমি অনুভব করিনি। কেননা আমি তখন অন্য ভূবনের বাস্তবতার বাইরের এক মানুষ। হয়তো বা পৃথিবী থেকে অনেক দূরের কেউ।

কোমায় ও ভেন্টিলেশনে থাকা ব্যক্তিদের পুরোপুরি বাস্তবিক অনুভূতি থাকলে এবং নিজের চোখে নিজের এই অসহায়ত্ব, বীভৎস রূপ দেখলে মেনে নেয়া অনেক কষ্টকর হত বৈকি। কোমায় থাকলেও আমার কিঞ্চিত অনুভূতি হয়েছিল যখন আমার মুখে সাকশান মেশিন দিয়ে কিছু পরিষ্কারের সময় প্রচন্ড ব্যথা পেয়েছিলাম। কতবার ডাক্তারদের ডাকবার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রাণপন চেষ্টা করেও কণ্ঠ থেকে স্বর বের হয়নি। অথচ খুব কাছ থেকেই অনেকের কথার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। এ এক অদ্ভুত অনুভূতি কয়েক মুহূর্তের জন্য। আমি নিঃশব্দে ডেকেই চলেছি কিন্তু তারা জানতেও পারল না। পরে সম্পূ্র্ণভাবে জ্ঞান ফেরার পর প্রশ্ন করে জেনেছিলাম ভেন্টিলেশনের মেশিনটি ভোকাল কর্ডের সাথেই চেপে থাকে তাই গলার স্বর বের হয় না কারোরই। এজন্য অনেকের স্পিচ থেরাপী লাগে পুনরায় কথা শুরু করতে, যা আমার ক্ষেত্রে অবশ্য লাগেনি, আলহামদুলিল্লাহ।

আমি খুব সৌভাগ্যবান আমার মগজে সে সময়ের শারীরিক ব্যথা-বেদনা বা কষ্টের তেমন কোন স্মৃতি বা অনুভূতি নেই। ডাক্তারদের ভাষায় আমি নাকি সাহসী বীর, আমি লড়াকু। কেউ কেউ নাম দিয়েছেন আমায় মৃত্যুঞ্জয়ী! আসলে হায়াত-মউত তো সবই ওপর ওয়ালার হাতে। আমার হয়তো বা সে অবস্থায় সঠিক সময় হয়নি সাত আসমান পেরোনোর এবং সাওয়াল জওয়াবের সম্মুখীন হওয়ার...!

করোনা বা যে কোন কঠিন কাজের সবচেয়ে বড় মন্ত্রটি হল মানসিক জোর ও সাহস। কখনও সাহস হারাতে নেই। সাহস হারাবেন না। আল্লাহ সহায় থাকলে, মানুষের দোয়ায় সাহসই আপনাকে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার শক্তি জোগাবে। আপনি আবার চোখ মেলবেন, আবার স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসবেন...!

কবিগুরু যথার্থই বলেছেন,
আকাশভরা সূর্য-তারা, বিশ্বভরা প্রাণ,
তাহারই মাঝখানে আমি পেয়েছি, পেয়েছি মোর স্থান...!
কান পেতেছি, চোখ মেলেছি,
ধরার বুকে প্রাণ ঢেলেছি,
জানার মাঝে অজানারে করেছি সন্ধান
বিস্ময়ে তাই জাগে...!

Mental Health Wellbeing এ Mansuba's Counseling এর সাথে WaterAid Bangladesh. মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটা সময় ভাবার প্রশ্নই...
29/10/2020

Mental Health Wellbeing এ Mansuba's Counseling এর সাথে WaterAid Bangladesh.

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একটা সময় ভাবার প্রশ্নই আসতো না। বরং এটা নিয়ে কম বেশি সবাই লজ্জা আর দ্বিধায় থাকতো। অনেকে তো বুঝতেই পারতেন না বা জানতেন না মানসিক স্বাস্থ্য বলে যে একটা ব্যাপার রয়েছে। আজ মানুষ সচেতন হয়েছেন বলেই এ ব্যাপারে এগিয়ে আসেন। হয়তো বা দিন যত পেরোবে আমরা আমাদের stigma গুলো আরও বেশী করে ভাঙতে পারবো...!
সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়...!

Live  # 5বিদেশে উচ্চশিক্ষা: সমস্যা ও সম্ভাবনাবিদেশে উচ্চশিক্ষার সমস্যা নিয়ে কোন Live Session হলে সেখানে বিদেশী বিশ্ববিদ্...
15/09/2020

Live # 5

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: সমস্যা ও সম্ভাবনা

বিদেশে উচ্চশিক্ষার সমস্যা নিয়ে কোন Live Session হলে সেখানে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক আর ছাত্রছাত্রীরা থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। তারাই Scope, Methodology, Funding, Academia, Industry সহ সবকিছুর সম্যক ধারণা বা দিকনির্দেশনা দিতে পারেন। এখানে Psychologist এর দরকার কেন পড়বে? জ্বী, ঠিক এ জায়গাটায় Mansuba's Counseling এর সাথে ShomonnoiBD এর সমন্বয় প্রক্রিয়া থেমে যেতে পারত।

কিন্তু আমরা সেখানে থামিনি! আমাদের মনে হয়েছে এখানেও দক্ষ মনোবিদ বা Psychologist এর দরকার রয়েছে। কারণ একজন মনোবিশারদই পারেন জীবনের অন্যান্য হতাশার মত উচ্চশিক্ষাকে ঘিরে তৈরি হওয়া হতাশাগুলো থেকে বের হয়ে আসার পথনির্দেশ করতে। উচ্চশিক্ষার পথে মানসিক প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়েই ShomonnoiBD এর আমন্ত্রণে আজ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন Mansuba's Counseling এর কর্ণধার এবং Psycho-Social Counselor জনাব Mansuba Tabassum Haque (Former Faculty & Dept. Chairman, Child Development & Social Relation Dept., BHEC, University of Dhaka)।

সাথে আরও থাকছেন Auburn University, Alabama, USA এর Assistant Professor জনাব Shubhra Kanti Karmaker ও Michigan State University, USA এর Graduate Research Assistant জনাব Parnab Saha। এ দু'জন সম্মানিত অতিথি আলোচনা করবেন কীভাবে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বিদেশে যাওয়া যায় ও Covid-19 জনিত প্রতিকূলতায় পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে funding এর ব্যবস্থা করা যায়। সেক্ষেত্রে, কেমন অধ্যাপকের অধীনে উচ্চশিক্ষা নেয়া উচিৎ, back up plan কেমন হতে পারে, তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাই বা কেমন ছিল, "MS না PhD?" সেই সিদ্ধান্তে নিয়ামকগুলো কী রকম, অধ্যাপকগণ সাধারণতঃ আবেদনপত্রে কী কী বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন......ইত্যাদি।

উচ্চশিক্ষার পথে সাধারণভাবে কেমন মানসিক বাধা আসতে পারে, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা psycho-social perspective থেকে বহুল জিজ্ঞাসিত কয়েকটা ক্ষেত্র আলাদা করতে চেষ্টা করেছি:

১। Covid-19 pandemic এর কারণে US Embassy এখন বন্ধ আছে। অনেকে PhD/Masters এ ভর্তির offer ও fund পেয়েছিলেন কিন্তু visa interview না দিতে পারায় ও visa না পাওয়াতে তাদের admission offer ও funding বাতিল হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতির জন্য দেশের চাকুরি ছেড়ে দিয়েছিলেন বা কোন চাকুরিতেই যোগ দেননি। এভাবে তাদের ভেতর career নিয়ে হতাশা প্রকট হচ্ছে। এটা কীভাবে কাটিয়ে উঠা যেতে পারে?

২। বিবাহিত PhD অধ্যয়নরতরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে পরিমাণ stipend/বেতন পান তা পারিবারিক খরচ চালানোর জন্য ক্ষেত্রবিশেষে যথেষ্ট নয়। এরকম আর্থিক সঙ্কটে যে মানসিক চাপ বা হতাশা তৈরি হয় তা থেকে উত্তরণের জন্য কী করা যেতে পারে?

৩। অনেকেরই উচ্চশিক্ষার প্রতি passion না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র peer pressure এ পড়ে সমাজের চাপে উচ্চশিক্ষার্থে দেশের বাইরে চলে যান। সেখানকার প্রতিযোগিতামূলক ব্যস্ত জীবন, নতুন পরিবেশ ও সংস্কৃতিতে মানিয়ে নেয়া, পরিবার ও দেশের বন্ধু-বান্ধবদের miss করা... সব মিলিয়ে এক ধরণের হতাশা কাজ করে। এসব মানসিক challenge এর জন্য কেউ কেউ career এ best output টা দিতে পারছেন না। তারা কীভাবে এসব বিরূপতাকে জয় করতে পারেন?

৪। ঠিক কোন পর্যায়ে একজনের বোঝা উচিত যে, তার এখন কোন psycho-social counselor এর কাছ থেকে professional help নেয়া প্রয়োজন?

দর্শক শ্রোতাদের মনে এ রকম আরও প্রশ্ন বা আজকের এই আয়োজনটির ব্যাপারে পরামর্শ/মতামত থাকলে সেগুলো live চলাকালীন আলোচকদের উদ্দেশ্যে লিখে জানাতে পারেন অথবা নীচে দেয়া Google Form টির মাধ্যমে আগেও জানিয়ে রাখতে পারেন।

https://docs.google.com/forms/d/1Y8deZuKW9B9BvoRupwGuGiMv9FIYOYX_4esBluQVrz4/edit?fbclid=IwAR3vur2ARTy2rGcqL0ap2OnM2bnYvpo2QZC8O41-s5PTORG6bMsTucdAm10

আমরা বিশ্বাস করি, এই live session টি থেকে উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যেতে ইচ্ছুকদের পাশাপাশি যারা এখন দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন তারাও উপকৃত হবেন।

Live Link: https://www.facebook.com/110565657272471/posts/170115924650777/

Recorded version:
https://www.facebook.com/somonnoibangladesh/videos/354706555658042/

[Event Link: https://fb.me/e/1JbDL3jR8]

Date: 15 September, Tuesday
Time: 10.00 pm, Bangladesh Standard Time

10/06/2020

Live # 2

OWSD (Organisation for Women in Science for the Developing World, www.owsd.net) এর বাংলাদেশের সদস্যরা গত সপ্তাহে নিজেদের জন্য একটি BdREN Zoom Meeting এর আয়োজন করেছিলেন, যেখানে চলমান Covid-19 Pandemic এর ভেতর Mental Wellbeing নিয়ে এই Session টি নেন Mansuba Tabassum Haque, Chairman and Psycho-Social Counselor, Mansuba's Counseling

OWSD, Bangladesh Chapter কে ধন্যবাদ দেশের মহিলা বিজ্ঞানীদের এই সংগঠনে Mansuba's Counseling কে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। এছাড়া, আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই Bangladesh Agricultural Research Institute এর গবেষক Salina Parvin Banu এবং Bangladesh University of Health Sciences এর শিক্ষক Sharmin Parvin (Chair, OWSD BD Chapter) কে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক এই Session টি আয়োজনের জন্য।

Coronavirus মহামারীতে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সবার জন্য এই Session টি OWSD, BD এর সম্মতিক্রমে এখানে দেয়া হল। আমরা আশা করছি, আয়োজনটি সকলের উপকারে আসবে। উল্লেখ্য, এক ঘন্টার Session শেষে একটি মনোজ্ঞ প্রশ্নোত্তর পর্বও এই video তে আছে। সবাইকে আবারও ধন্যবাদ।

Topic: Mental Wellbeing During Covid-19 (a Recorded BdREN Zoom Meeting)

Keynote Speaker: Mansuba Tabassum Haque, Chairman and Psycho-Social Counselor at Mansuba's Counseling

Participants: OWSD Bangladesh Chapter members (an organization for the women scientists in Bangladesh)

Time: Jun 3, 2020 08:00 PM (GMT+6 Dhaka)

06/06/2020

নোট # ৪১

মেয়েটি এখন কি করবে...?

ধরা যাক মেয়েটির নাম বকুল। বকুল ফুলের মতই তার সুবাস। বয়স মেয়েটির ১৯ ছুঁই ছুঁই! প্রেমে পড়ার বয়স, স্বপ্ন দেখার বয়স। লাল, নীল কত রং বেরং এর সে স্বপ্ন। কিন্তু এ মেয়েটির ছিল প্রেমের প্রতি অনীহা। ছোটবেলা থেকেই তার বাবা মায়ের সম্পর্কটা খুব একটা ভাল ছিল না। তবে হঠাৎ করে রূপকথার রাজপুত্রের মত একটা মানুষ তাকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলো। মেয়েটা ভেবে বসলো এ তার বেঁচে থাকার জিয়ন কাঠি। যথারীতি হঠাৎ করেই প্রণয় এবং এর কয়েক বছর পরই পরিনয়। মেয়েটির পারিবারিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা বেশ ভালো। শুরুতে দুই পক্ষের কারোরই তাদের এই সম্পর্কটাকে মেনে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ ছিল না।

কিন্তু এরই মাঝে বহু চড়াই উৎরাই পার হয়ে দু'পক্ষই তাদের বিয়েটাকে মেনে নিয়ে আবার বিয়ের ব্যবস্থা করেন। সেটা অনেকটা নিজেদের মানসিক ও সামাজিক ভাবে দায়মুক্ত করার জন্য। যেটা শুধু মাত্র কাগজে কলমে বা কাবিননামাতেই সীমাবদ্ধ। হয়নি তাদের কোন অনুষ্ঠান, আসেনি কোন অতিথি, ছিলনা কোন বাহারী রকমের খাওয়া দাওয়া। মেয়েটি তাতেই খুশী। যাক অন্ততঃ তাদের সম্পর্কটা তো স্বীকৃতি পেল এটাই বা কম কিসে। এক সময় মেয়েটি এবং ছেলেটি যার যার বাবা মায়ের খরচে পড়াশুনা শেষ করলো।

শুরু হল তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। মেয়েটির একাকী সংগ্রাম। একাকী সংসার। ভাবলো ভালোবাসার মানুষটি তো তার আছে! আর কি চাই? যথারীতি মেয়েটি জীবন যুদ্ধে লিপ্ত হল। একাকী টিউশনি, সংসার, আর রান্নাবান্নার ভেতরেই ছিল তার ছোট্ট পৃথিবী। ছিল না তার কোন বন্ধু বান্ধবীর সাথে ওঠা বসা। শুধু ছিল তার স্বামীর নিয়ন্ত্রণ। ভাবতো আর কিছু না থাক, স্বামী তো তাকে ভালোবাসে প্রচন্ডভাবে। তাইতো সে স্বামীর কয়েক মাসের মেডিকেলে পড়ার খরচও দিয়েছিল। সংসারেরও কিছু খরচ সে একা এবং বাবার থেকে টাকা এনে বহন করা শুরু করল। এই ভেবে যে, স্বামীর একটা চাকরী হলে তাদের কোন কষ্ট থাকবে না।

ইতিমধ্যে বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই স্বামীর বেশ কিছু পরিবর্তন তার চোখে পড়লো। অহেতুক ইন্টার্নির কথা বলে বাইরে রাত কাটানো তার ভেতর একটা। দেখলো ছেলেটির আরও মোবাইল সিম রয়েছে যেটি দিয়ে সে অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে লুকিয়ে লুকিয়ে। ছেলেটি মেয়েটির উপহার দেওয়া জামা পরেই অন্য মেয়েদের সাথে দেদারছে ডেটিংএ ব্যস্ত! এমনকি নাইট ডিউটির কথা বলে রাতে অন্য মেয়ের সাথে হোটেলেও থেকেছে। মেয়েটিকে দিনের পর দিন মিথ্যা বলেছে। উল্টো তাকে সন্দেহ করে বেড়াতো.. আর সংসারে অশান্তি লেগে থাকত।

মেয়েটি ততদিনে মা হতে চলেছে...! স্বামীর সে দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। একদিন মেয়েটির কাছে নিজের বেখেয়ালিপনাতেই সে ধরা পড়ে যায়। সবকিছু স্বীকার করে নেয় এবং সরি বলে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। আর করবে না বলে সে অঙ্গীকারও করে।

এত কিছুর পরেও মেয়েটি স্বামীকে ছেড়ে যায়নি। বারবার স্বামীর মিথ্যে ভালোবাসা আর অভিনয়ে জড়িয়েছে নিজেকে। আবার তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টাও করেছে। স্বামীটিও চালিয়ে গেছে অন্য মেয়েদের সাথে বেপরোয়া কথাবার্তা, সামাজিক মাধ্যমে চ্যাটিং। আবারও ধরা পড়া, সরি বলা, আবারও মাফ চাওয়া, কান্নাকাটি জুড়ে দেওয়া, আবারও ক্ষমা করে দেয়া।

এক পর্যায়ে মেয়েটি তার স্বামী সন্তান নিয়ে চলে আসে তার মা বাবার সংসারে এবং থাকা শুরু করে। সে ভেবেছিল, এক সাথে থাকলে স্বামী হয়ত কিছুটা দায়িত্বশীল হবে। তখন শুরু হয় আরেক ধরণের যুদ্ধ। বাবা মা বনাম স্বামীর ভারসাম্য রাখতে রাখতে সে বড় বেশী ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ততদিনে মেয়েটি আর স্বপ্ন দেখে না। রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে তার শরীর মন জুড়ে।

মেয়েটি এখন কেবল দৌড়ে চলেছে, অর্থনৈতিক ভাবে কি করে নিজেকে স্বাবলম্বী করা যায়। টাকা পয়সা স্বামী যা পারে তাই দেয় তাদের সংসারে এবং স্বামী যা পায় তার চেয়ে খরচও করে অনেক বেশী। সেটা দিয়ে জীবন চালানো কিছুটা কষ্টকর। সে তার আত্ম উন্নয়নের মাধ্যমে নিজে শক্ত থেকে কিভাবে জীবনটাকে এগোনো যায় সেই চেষ্টাই করে চলেছে। কখনও স্কুলের শিক্ষকতা করে, কখনও টিউশনি করে। কখনও বা নিজের সৃজনশীলতার মাধ্যমে ব্যবসা করে।

আজ সে একজন সফল উদাক্তা। এখন সে আর চাকরী খোঁজে না, বরং অনেককেই সে হাজার/লাখ টাকার কাছাকাছি বেতনে চাকরী দেয়।

এখন সে তিরিশ বছরের যুবতী...স্বামী শ্বাশুড়ীর কাছে অনেক দামী একজন ব্যক্তি। কেননা সে এখন নিজেই তার এবং অন্যান্যদের অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে। এদিকে তার স্বামীও এতদিনে কিছুটা হলেও নিজেকে সুধরে নিয়েছে। মেয়েঘটিত কোন ব্যাপার আর সে ঘটায়নি। বারবার বলছে, সে তাদেরকে ভাল রাখার চেষ্টা করবে। চাইছে আরেকবার সুযোগ পেতে।

সেই স্বামীটি এখন একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক। যেটি একসময় মেয়েটিরও স্বপ্ন ছিল। যার জন্য তার এত এত কষ্ট, ত্যাগ তিতিক্ষা।

কিন্তু.....।
আসলেই মানুষের মন বড় বিচিত্র। এক সময় এমনি করেই বিশ্বাস আর ভালোবাসারা হারিয়ে যায়। সেই সাথে হারিয়ে যায় দুটি মানুষ, জগৎ সংসারও। এত বছর পর.. মেয়েটি এখন আর তার স্বামীর মিষ্টি কথায় ভোলে না, আবেগে গা ভাসায় না, তাকে আর আগের মত ক্ষমাও করতে পারে না, বিশ্বাস করে না, ভালোবাসতে পারে না, ভালোবাসে না। বরংচ অহেতুক স্বামীর বিগত দিনের আচরণে রক্তক্ষরণ হতে থাকে বারবার তার ভেতর।

আপনি কি মনে করেন?
সমাজের কথা ভেবে তার কি এই স্বামীর সাথে জীবনটাকে বিশ্বাসবিহীন, ভালোবাসাবিহীন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিৎ....? নাকি সসম্মানে আলাদা হয়ে নিজে সন্তানসহ এগুনো উচিৎ...?
এদের জায়গায় আপনি হলে কি করতেন..!? 😥

Mansuba's Counseling is inviting you to a scheduled BdREN Zoom meeting.Topic: Seminar on Mental Wellbeing During Covid-1...
03/06/2020

Mansuba's Counseling is inviting you to a scheduled BdREN Zoom meeting.

Topic: Seminar on Mental Wellbeing During Covid-19

Keynote Speaker: Mansuba Tabassum Haque, Chairman and Psycho-Social Counselor at Mansuba's Counseling

Participants: OWSD BD members (an organization for the women scientists in Bangladesh, to learn more please visit www.owsd.net)

Time: Jun 3, 2020 08:00 PM (GMT+6 Dhaka)

--> Join BdREN Zoom Meeting from Laptop or Mobile:
https://bdren.zoom.us/j/62459412539

Meeting ID: 624 5941 2539
Find your local number: https://bdren.zoom.us/u/ccmpCavpgj

Join by SIP from Video Conferencing Device:
62459412539@zoomcrc.com

Join by H.323
213.19.144.110 (EMEA)
207.226.132.110 (Japan)
Meeting ID: 624 5941 2539

Join by Skype for Business
https://bdren.zoom.us/skype/62459412539

NOTE:
1. Always keep your mic mute while you are not speaking
2. Use good headphone for better audio quality
3. Please sit face up to the window or light source
4. Adjust camera angle to make sure you’re on camera

Know Zoom Meeting Best Practices: https://bit.ly/2Wh5Y41

Happy Zooming with BdREN!

নোট  # ৪০একজন ব্যাংকার মা ও তার দু'বছরের আরিযবলাই বাহুল্য এ সময়ে coronavirus বা COVID-19 আমাদের জীবনটাকেও নিঃসন্দেহে "lo...
21/04/2020

নোট # ৪০

একজন ব্যাংকার মা ও তার দু'বছরের আরিয

বলাই বাহুল্য এ সময়ে coronavirus বা COVID-19 আমাদের জীবনটাকেও নিঃসন্দেহে "lockdown" করে দিয়েছে। তারপরও প্রতিটি জীবন চলছে তার নিজস্ব গতিতে। তবে এ মুহুর্তে বেঁচে থাকার জন্য জীবনের তাল, ছন্দ, গতির পতন ঘটছে কম বেশী। আমরা যারা সারা বছর বাড়ীর বাইরে যেয়ে কাজ করতাম, বর্তমানে তারা ঘরে বসে অনলাইনে অফিস করছি। কিন্তু কিছু কিছু পেশা বিশেষ করে ব্যাংকার, পুলিশ, সাংবাদিক বা চিকিৎসা পেশায় যারা নিয়োজিত রয়েছেন এ মুহুর্তে তাদের ঘরে থাকার উপায় নেই। যদিও ব্যাংকের লেনদেন দুপুর একটা পর্যন্ত কিন্তু সব হিসাবনিকাশ শেষ করতে আরও দু'তিন ঘন্টা পার করে তারপর তাদের বাসায় ফেরার পালা আসে। আর চিকিৎসক বা নার্সদের কথা আর নাই বা বললাম!

প্রেক্ষাপট: ১
কর্মজীবী মায়েরা যে কোন পেশায় বাড়ীর বাইরে কাজ করতে যান তাদের ছোট বাচ্চাটিকে ঘরে রেখে। আমি আমার কর্মজীবী মায়ের সন্তান ছিলাম। আমার জন্ম এবং মায়ের চাকুরি একই বছরে। যার জন্য এখনও আমার স্মৃতিতে অনেক কিছুই জ্বলজ্বল করে ভেসে ওঠে। কখনও সেটা সুখময় কিংবা বেদনার! সারাদিন অপেক্ষার পর মা অফিস থেকে বাসায় ফেরামাত্রই মায়ের কোলে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। মাও পরম মমতায় বুকের সাথে আগলে রাখতেন অনেকক্ষণ। মা ঘরে ঢুকে কাপড় না বদলিয়েই চুমোয় চুমোয় আদরে আদরে ভরিয়ে দিতেন সারা শরীর! যতক্ষণ পর্যন্ত ইচ্ছা একনাগাড়ে সারাদিনের জমে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর তাকে দিতে হত নিঃসঙ্কোচে! এটা কি, ওটা কেন? প্রশ্নবাণে জর্জরিত মা ভীষণ মায়া ভরা গলায় উত্তর দিতেন হেসে হেসে, আনন্দ নিয়ে, কোন ভয় ছাড়াই।
কারণ, তখন COVID-19 ছিল না!

প্রেক্ষাপট: ২
একজন ব্যাংকার মা তার দু'বছরের একমাত্র ছোট শিশুটিকে বাসায় রেখে যান এবং সেই সন্তানটি মা আসার অপেক্ষায় ক্লান্ত শরীর নিয়ে অধীর আগ্রহে সারাদিন অপেক্ষা করতে থাকে। তার মা কখন ফিরবে, কখন তাকে কোলে নিয়ে আদর করবে, কখন সে তার মায়ের শরীরের মিষ্টি ঘ্রাণ নিয়ে কিছুটা সময় মায়ের সাথে কাটাবে! তাইতো কলিং বেলের আওয়াজে বরাবরের মত দৌড়ে চলে যায় দরজার দিকে, আগের মতই ঝাপিয়ে পড়তে চায় মায়ের কোলে। অথচ অসহায় মা এখন আর সাথে সাথে তাকে আদর করতে বা কোলে নিতে পারেন না! সেই শিশুটি এখন আর মাকে পায় না আগের মত। সে না বুঝে এখনও মা বাসায় ফিরলেই কোলে উঠতে চায়! কান্না শুরু করে, জমে তার কোমল মনে হাজারো প্রশ্ন।

কিন্তু সেই মাকে তার নিজের এবং সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রথমে ওয়াশরুমে যেয়ে নিজে গোসল করে, কাপড় ধুয়ে তারপর বাচ্চার কাছে আসতে হয়। সে ভাবে মা আর তাকে আগের মত ভালবাসে না, তাই তো আগের মত সাথে সাথে তাকে কোলে তুলে নেয় না, উপরন্তু কাছে আসতেও মানা করে! কেন মা অফিস থেকে এসে তাকে ফেলে আগে এতক্ষণ ধরে গোসল করেন, কাপড় ধোন! এতক্ষণ ধরে বাথরুমে আসলে কি করেন তিনি? তৈরী হয় মাকে ঘিরে তার এক ধরণের নিরাপত্তাহীনতা!

দু'বছরের এ শিশুর পক্ষে আদৌ বোঝা সম্ভব না কেন মা এমনটি করছেন... দরজার ওপাশ থেকে এক অসহায় মাকে শুনতে হয় এক অসহায় শিশুর বোবা কান্না, আর্তনাদ! সেই সাথে শিশুর এত কেন কেন প্রশ্নের ভিড়ে মাকে এখন শোনাতে হয় coronavirus এর কথা। কখনও মনভোলানো গল্পের ছলে, কখনও কোলে নিয়ে আদরের খেলায়। শিশুর মনে প্রশ্ন জাগে, coronavirus জিনিসটা আবার কি? ও দেখতে কেমন? কোথায় থাকে সে? যার জন্য মায়ের কাছে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও কাছে আসতে বারণ, বাইরে প্রতিদিনের মত খেলা বারণ, পার্কে যাওয়াও বারণ!

তাইতো সে জানালার গ্রিলে ধরে দু'একজন রিকশাওয়ালা দেখতে পেলেই বলে বসে "আমাকে একটু পার্কে নিয়ে যাও না, রিকশা মামা.. আমি যেতে চাই।" তার খেলার টকিং টমকে কিংবা টম এন্ড জেরী কার্টুনের টমকে প্রশ্ন করে বসে, "এই তোমরা কি জানো? কনোরা (সে corona উচ্চারণ করতে পারে না) কোথায় থাকে?!" আবার নিজেই নিজের মত উত্তর খুঁজে নেয় এবং জোরে জোরে বলে, "ওহ! সে তো লাইফবয় সাবানে থাকে!"

একবারও ভেবে দেখেছেন, এই ছোট শিশুদের এবং তাদের মায়েদের মনের ওপর দিয়ে কি ঝড় বইছে? তারা কেউ কেউ হয়তোবা একসময় বাবামার সাথে বাড়ীর বাইরে যাওয়া, বাবার সাথে দোকানে যাওয়া বা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পেত! আর এখন তারা তো খালা-খালু, দাদা-দাদী, চাচা, ফুপি, মামা এমনকি তাদের প্রতিবেশী বন্ধু বান্ধবীদের চেহারাও ভুলতে বসেছে! ভেবে অবাক হব না, হয়তোবা তারা একসময় মানুষ দেখলেই এলিয়েন ভেবে ভয় পাবে..!

এখানে করার কিছুই নেই। আমরা এখন প্রকৃতির কাছে বন্দী। তাই তাদেরকে প্রচুর আনন্দদায়ক সময় দিন, ঘরে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। তার সাথে বাস্তব এবং রুপকথা মিলিয়ে গল্প করুন, প্রচুর প্রশ্নের উত্তর দিন সহজভাবেই। আর হ্যাঁ, আপনারা যারা বাড়ীর বাইরে বের হবার জন্য হাপিত্যেস করছেন, তারা একটু ভাবুন এই কর্মজীবী মায়েদের কথা, তাদের সন্তানদের কথা। তারা প্রতিদিন নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদেরকেই সেবা দেয়ার জন্য তাদের ছোট সোনামনিদেরকে এবং নিজেকে বঞ্চিত করছেন।

ছোট ছোট শিশুদেরকে যদি ছবি আঁকতে দেয়া হয় আমরা দেখি আমাদের দেশের বেশির ভাগ কোমলমতি শিশুরা নদনদী, পাখি, নৌকা, ধানক্ষেত, নদীমাতৃক বাংলাদেশের ছবি আঁকে! আবার কোন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের শিশুরা যুদ্ধের ছবি আঁকে! কেননা শিশুরা তাই শেখে যা তারা দেখে। যদি আমরা বেঁচে থাকি হয়তো বা দেখবো এখনকার এ সময়ে জন্ম নেয়া ছোট্ট আরিয, জুওয়াইরিয়া, রাসিন, আনাবা, ফাতিহাসহ বহু শিশু এখন কিংবা আগামীতে coronavirus এর ছবি আঁকবে! :'(

(এ সময়ের সকল সাহসী বাবা-মা ও তাদের ছোট্ট সোনামণিদেরকে এই লেখাটি উৎসর্গ করা হল)

Stay home. Save lives. Help stop coronavirus.

11/04/2020

নোট # ৩৯

Coronavirus এবং Social Humiliation (সামাজিক হেয়করণ)

COVID-19 মহামারীতে আমাদের সবাইকে কমবেশী অনেক ধরণের যুদ্ধই চালাতে হচ্ছে। প্রথমতঃ চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিতদের পর্যাপ্ত PPE নেই, যেটা জোগাড়ের ব্যবস্থাপনায় আমরা অনেকেই এগিয়ে এসেছি একসাথে। দ্বিতীয়তঃ পর্যাপ্ত খাদ্যগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত, এমনকি মধ্যবিত্তরাও। সেটা দূর করতেও ইতোমধ্যে অনেকেই সাহায্য করেছেন এবং করেও যাচ্ছেন, যদিও সেটা অপ্রতুলই বটে।

উচ্চবিত্তরা তাদের সঞ্চিত অর্থ থেকে খাবার ও আনুষাঙ্গিক জিনিসগুলো এখন পর্যন্ত ক্রয় করার সামর্থ্য রাখেন। নিম্নবিত্তরা সহজেই লাইনে দাঁড়িয়ে বা চেয়ে চিন্তে খাবার সংগ্রহ করে নিতে পারছেন। কিন্তু এমনও অনেক পরিবার রয়েছেন যারা তাদের এই সময়ের কষ্টের অনুভূতিগুলো কাউকে share করা তো দূরে থাক, দিনের পর দিন অর্ধাহারে অনাহারে থাকলেও সেটা অন্যকে বুঝতে দেন না। ভিক্ষুক শ্রেণীর চাইতে যাদের কখনই ভিক্ষাবৃত্তি পেশা ছিল না, যেমন: রিকশাওয়ালা, শ্রমিক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ফেরিওয়ালা, কৃষক, এরাও এখন চেয়ে চিন্তে চেষ্টা করছে কিছু খাবার সংগ্রহের। শুধুমাত্র মধ্যবিত্তরা সেটা পারছেন না, তাদের কোন সঞ্চয়ও নেই।

যে কোন দুর্যোগেই সমগ্র জাতি বিপদগ্রস্থ হয়, দেশের সবাই এর পরিণাম ভোগ করেন কঠিনভাবে। আর এখন তো অর্থনীতি থেকে শুরু করে মানবসম্পদ পর্যন্ত সর্বস্তরে ধস নামবে এবং নেমেছেও পুরো বিশ্বজুড়ে। আমরা চেষ্টা করলেই সম্মিলিত উদ্যোগে একটু একটু করে বিভিন্ন বিষয়ে অন্ততঃ নিজেদেরকে মনঃস্তাত্বিকভাবে ভাল অবস্থার দিকে নিয়ে যেতে পারি।
আমাদের করণীয়গুলো হল:
১) PPE তৈরী ও সরবরাহ অব্যাহত করা, যা অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা ও গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে তৈরি হবে।
২) খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা, যেখানে নিম্নবিত্তদের পাশে মধ্যবিত্তরাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে এবং সেটা হবে কাকে কি সাহায্য দেয়া হচ্ছে তা ফলাও করে television ও খবরের কাগজে ছবিসহ প্রচার না করেই।
৩) Covid-19 মোকাবেলায় বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করা, যা শুধুমাত্র coronavirus এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যই ব্যবহৃত হবে। যেসব স্থানে কিছুটা হলেও লোক সমাগম কম, সে রকম জায়গায় হলে ভাল হয়।

গত কয়েক দিনের প্রথম আলোসহ কিছু online পত্রিকায় বেশ কিছু দুঃখজনক ঘটনা জানতে পারলাম। কারও কারও সাধারণ জ্বর বা flu হলেও সেই মহল্লা বা গ্রামের লোকজন সেই সব পরিবারকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছেন। এমনকি রাতের আঁধারে এলাকাবাসীর চাপে রোগী পরিবার পরিজন নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ ধরণের রোগীকে চলে যেতে বাধা প্রদান করেননি। এমন একজন জ্বরে আক্রান্ত রোগী motorcycle এ জান নিয়ে নিজের গ্রামে পালিয়ে গিয়ে বেঁচেছেন! অনেকে আবার ambulance call করেও পাচ্ছেন না! অনেকে এও মনে করছেন, lock down এ আটকা পড়া মানে তিনি নিজেও coronavirus এ আক্রান্ত কিংবা একই দোষে দোষী, ইত্যাদি। এমনকি কারও কোন অসুখ হলে তিনি সেটা অন্যে জেনে ফেলার ভয়ে লুকিয়ে পর্যন্ত রাখছেন। এই Social Humiliation (সামাজিক হেয়করণ) এর ভয় এবং ক্ষুধার যুগপৎ ক্রিয়ায় মানুষ কিভাবে শারীরিক এবং মানসিকভাবে বেঁচে থেকেও মৃত্যুবরণ করে, সেটা বোধ হয় আমরা অনেকে এই পর্যায়ে ভাবতেও পারছি না।

আবার ধরুন, coronavirus এ আক্রান্ত হয়ে যদি কারও মৃত্যু হয়ই, তাহলে তাকে দাফন করার জন্যও আমাদের লোকবল খুবই কম। এই মৃত ব্যক্তিদেরকে সৎকারের জন্য আমাদের থানায়, মহল্লায়, পাড়ায় বিশেষ team থাকা দরকার এবং তাদেরকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেইসাথে এই সংকটকালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত cleaner এরও বড় বেশী প্রয়োজন। আমাদের করণীয়ের তালিকায় অবশ্যই মৃত ব্যক্তির সৎকারের বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়া উচিৎ এবং এর জন্যও special team রাখা অতি জরুরী।

COVID-19 বিষয়ে আতংকিত বা উদ্বিগ্ন বোধ করাটা মোটেও অস্বাভাবিক আচরণ নয়, তবে এটি নিয়ে একে অন্যকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাটা অবাঞ্ছনীয়.. বরং আপনার ভালো বা মন্দ অনুভূতিগুলো সুন্দরভাবে অপরকে জানান। এ সময়ে মানসিক সাহস ও শক্তি বাড়ান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। মনের সাথে শরীরের সম্পর্ক রয়েছে নিবিড়ভাবে। শরীরের হালকা ব্যায়াম করুন। চাইলে যোগ ব্যায়াম, meditation, breathing exercise করে মনটা হালকা রাখার চেষ্টা করুন। এটা আমাদের মনে রাখতেই হবে, সামাজিকভাবে কাউকে হেয় করা, ভয় পাওয়া বা ভয় দেখানো মানেই boomerang হয়ে সেটি আপনার দিকেও এক সময় না এক সময় ফিরে আসতে পারে।
জানেনই তো.. প্রকৃতি কাউকেই ক্ষমা করে না! :(

[ছবি: সংগৃহীত]

Expert counseling on Child, Family, Adolescent, Career, Marriage, Couple, Addiction, Depression, Ange

নোট  # ৩৮Raise your voice!বিবিএসের (Bangladesh Bureau of Statistics, BBS) মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ (Mult...
25/02/2020

নোট # ৩৮

Raise your voice!

বিবিএসের (Bangladesh Bureau of Statistics, BBS) মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে ২০১৯ (Multiple Indicator Cluster Survey, MICS) অনুযায়ী প্রতি ১০ জন শিশুর ৯ জন নির্যাতনের শিকার হয়। দেশের প্রতি ৪ জন বিবাহিত নারীর ১ জন স্বামীর হাতে মার খান। এই নারীদের বয়স ১৫ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে।

দেখুন...! নির্যাতন বলতে শুধু শারীরিক নির্যাতনই বোঝায় না। নির্যাতন শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকও হয়। এটা নারী পুরুষ নির্বিশেষে উভয়ের ক্ষেত্রে ঘটে এবং এর ভয়াবহতা ব্যাপক। এর কারণে অনেক সময় মৃত্যুবরণও করেন অনেকেই।

শারীরিক নির্যাতন আমরা খালি চোখে দেখতে পাই। কিন্তু, অন্যান্য নির্যাতন আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না বলে এটা নিয়ে আমরা খুব একটা ভাবি না এবং এর ভয়াবহতাও টের পাই না। আর টের পেলেও মানসিক এবং সামাজিক নির্যাতনের কোন চিকিৎসা আমরা পাই না বা নেই না বা নিতে চাইও না! আবার নিতে চাইলেও পরিবার এবং সমাজ বেশীর ভাগ সময়ে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাইতো আমরা সেটা প্রকাশ করি না কিংবা প্রকাশ করতে বিব্রত হই, সংকোচ ও লজ্জা বোধ করি।

আমরা জানি, থানায় যদি কোন ব্যক্তি শারীরিক নির্যাতনের জন্য পুলিশ রিপোর্ট করাতে যান, তাহলে তার শরীরে যখমের চিহ্ন দেখতে চাওয়া হয় এবং তারপর জিডি বা মামলা করে কোর্টের মাধ্যমে ঘটনাটিকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা যায়।

অথচ ভেবে দেখেছেন কি? ব্যাপারটি যদি হয় মানসিক তাহলে...! এখানে প্রশ্ন আসে, মনের জখম হলে তার কথা কে শুনবেন? ভুক্তভোগী কার কাছে বিচার চাইবেন? নাকি চুপ থাকবেন আজীবন এবং ধু্ঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করবেন..? এ প্রশ্নগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকে, আমাকে, সবাইকেই... আওয়াজ তুলুন আজই, Raise your voice! :)

নোট  # ৩৭নারী দিবসের ভাবনা!যদিও প্রতিটা দিনেরই একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কিন্তু সব দিনই তো চব্বিশ ঘন্টার! তাহলে..!?  যেট...
08/03/2019

নোট # ৩৭

নারী দিবসের ভাবনা!

যদিও প্রতিটা দিনেরই একটা বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, কিন্তু সব দিনই তো চব্বিশ ঘন্টার! তাহলে..!? যেটা দাঁড়ায়, সেটা হল আমরাই এক একটি দিনের উপলক্ষ্য তৈরি করি.. এক একটি লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য।

আজ বিশ্ব নারী দিবস! সেই ১৯৭৫ সালকে বিশ্ব নারী বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এর পর নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করার জন্য আরও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৯ সালের ১৮ই ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয় নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের সনদ, সংক্ষেপে CEDAW (The Convention on the Elimination of all Forms of Discrimination Against Women).. এখানে বিবাহিতা, অবিবাহিতা সকল নারীর জন্য রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ইত্যাদি সকল বিষয়ে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কথা এবং বৈষম্যমূলক আচরণের অবসানের জন্য বলা আছে। ১৯৮০ সালের ১লা মার্চে স্বাক্ষর শুরু হয় এবং ১৯৮১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ১৫০ টির বেশী দেশ এটিতে স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশ এই দলিল অনুমোদন করে স্বাক্ষর করেছিল ১৯৮৪ সালের ৬ই নভেম্বর।

সেই এত বছর পরও "CEDAW", Geneva Convention থেকে শুরু করে কত দূর আসতে পেরেছি আমরা? হ্যাঁ, মানছি নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে, নারী উন্নয়নের হারও বেড়েছে। তেমনি করে অন্য দিকে নির্যাতনও বেড়েছে। তাই তো এখনও আমাদের নতুন করে "Me Too" নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়...!! এখনও আমাদের দেশে নারী শ্রমিকের পারিশ্রমিক পুরুষ শ্রমিকের চেয়ে কম! এখনও নারীকে ধর্ষিত হতে হয়! আরো... আরো... কতো কি..!

CEDAW এর ৩০টি ধারার ভেতর ধারা ১৪ নং হল "গ্রামীণ নারী" বিষয়ক। কয়জন গ্রামীণ নারী খোঁজ রাখেন তাদের অধিকারের এই সনদের? আর ধারা ১৫ এবং ১৬ এর কথা নাই বা বললাম। ১৬ নং ধারার শুধু একটা অনুচ্ছেদ নিয়ে বলি..! সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বামী, স্ত্রী দুজনেই একসাথে সিদ্ধান্ত নেবেন সন্তান সংখ্যা থেকে শুরু করে দেখভাল এমনকি কত দিন বিরতি দিয়ে সন্তান ধারণ করবেন সেটি। অথচ... বাস্তবে কি হয়, তা আর না বলি!

নারী দিবস আসে, এসেছে, সামনে আসবেও। বেগুনী রংটাও আজ নারীদের প্রতীক, এই দিবসটার প্রতীক! তিন শত পঁয়ষট্টি দিনের ওই একটা দিন বেগুনী রং নিয়ে আর কত..? এত বছরে অর্জন যে মোটেও হয়নি সেটা না। যতটুকু হয়েছে তার চেয়ে আরও বেশী হওয়া দরকার ছিল। তা না হলে ওই একদিনও অনেক দিবসের মতই শুধুমাত্র সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং গোলটেবিল বৈঠকের ফ্যাশনে পরিণত হবে।

আমি মনে করি, যে কোন লড়াই আমার একার লড়াই না। এটা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবার। শুধু রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে সবাই এগিয়ে আসেন। রাষ্ট্র কোন ব্যক্তি নয়, ব্যক্তি আপনি। তাই নারী পুরুষ সবাইকে এর দায়িত্বটা নিতে হবে আগে।

নারীর যে কোন অধিকার অর্জন করতে হলে প্রথমে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি তার পরিবারের পুরুষ মানুষগুলোকে সমানভাবে এগুতে হবে। না হলে সেই পুরুষগুলোরও অধিকার ও সম্মান খর্ব হবে, এক সময় কোন না কোন দিক থেকে তার প্রতিও আঙ্গুল উঠবে এবং সে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হবে।

সবার আগে নারী পুরুষ উভয়েরই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা উচিৎ যার যার জায়গা থেকে। সেটা যে শুধু আর্থিকভাবে এগিয়ে যাওয়া তা নয়। নিজেকে নিজে সম্মান করা এবং সচেতন হওয়া জরুরী। সেই সাথে নিজের মতামত প্রকাশ করুন অনেক শক্তভাবে। Raise your voice..!

আপনি নিজেই নিজের অধিকারগুলো নিশ্চিত করুন। হোক সেটা নারী অধিকার কিংবা মানবাধিকার.. তার আগে জেনে নিন আপনার অধিকারগুলো কি কি!

প্রতিটা মানুষই এক একটা শক্তির আধার। আপনি শুধু আপনার ভেতরের সেই শক্তির আলোচ্ছটা বের করে আনুন.. দেখবেন তখন আর ঘটা করে নারী দিবস পালনের প্রয়োজন পড়বে না..

17/02/2019

নোট # ৩৬

পরকীয়া!

পরকীয়া.. কঠিন একটা শব্দ।
কাজটা কি কঠিন.. নাকি সোজা!?
সে যাই হোক না কেন, দুঃসাহসিক বটে.. সেই সাথে ভয়ংকর, বিপজ্জনক এবং লজ্জাজনক। এটা একটা বিবেকবর্জিত, অনৈতিক কাজ। খুব সাধারণভাবে বলা যায়, এটা অন্যের স্ত্রী বা স্বামীর সাথে শারীরিক ও মানসিক দখলদারিত্ব বা অংশীদারিত্বের সম্পর্ক। স্বার্থপরের মত কেবল নিজে আনন্দ লাভের জন্য নিজের পরিবার, সন্তান, স্বামী বা স্ত্রীকে প্রতারিত করা বা ঠকানো ছাড়া আর কিছুই না। এটা স্রেফ ঠকানোর একটা কৌশল।

প্রতিটা সম্পর্কেই এক একটা দায়বদ্ধতার (commitment) জায়গা থাকে.. বিশেষ করে স্বামী বা স্ত্রীর ভেতর তা আরও বেশী। কেননা, এই যুগলের মাধ্যমেই সৃষ্টি, তৈরী কিংবা সূচনা হয় একটা ঘরের, একটা সংসারের। যেখানে আবেগের ওঠানামা থাকে, মান অভিমান, বিশ্বাস (trust, loyalty, sincerity) এবং ভালোবাসার বিচরণ ঘটে সর্বত্র। প্রতিটা দায়বদ্ধতার পেছনে ভালোবাসা, ভালো লাগা কাজ করে.. এখানে বিবেকও বিশাল একটা ভূমিকা পালন করে থাকে।

স্বামী বা স্ত্রীর সম্পর্কের ভেতর আবেগ আর দায়িত্ব যেন একসাথে সামন্তরাল পথে চলে। মাঝে মাঝে আবেগে ভাটা পড়ে.. দায়িত্ব, দায়বদ্ধতা এসে আবেগকে দূরে সরিয়ে দেয় নিজের অজান্তে। যারা শুধুমাত্র অতি আবেগে ভেসে বেড়াতে চান, সব সময় নিজের এবং সংসারের দায়িত্বটাকে পাশ কাটাতে চান, রংবেরং এর মাংসাশী প্রাণীদের মত কেবল স্বাদ নিতে চান এবং নিজে সুখ রচনা করতে না পেরে অন্যের তৈরী করা সুখের রাজত্বে বিচরণ করতে চান, তারাই পরকীয়ার দিকে ধাবিত হন বেশী। এটা চরিত্রের একটা অন্ধকার দিকও বটে।

আমরা সবসময় নিজের জীবনসঙ্গী ছাড়া অন্য কাউকে যখন বাইরে থেকে দেখি, তখন তার পরিপাটি বেশভূষাটাই চোখে পড়ে। তখন থাকে না একে অপরের প্রতি কোন দায়দায়িত্ব বা চিন্তাভাবনা। থাকে না কোন শাসন বারণ। সবসময় নিজেকে ভালোভাবে অন্যের কাছে উপস্থাপনে মত্ত থাকা। এখানে নেই কোন চাল, ডাল, তেল, নুনের হিসাব নিকাশ। নেই কোন সন্তানের ভবিষ্যৎ কিংবা বেড়ে ওঠা, পেশা কিংবা অর্থনৈতিক গল্প কথা। নেই কোন সাংসারিক দায়িত্ব বা দায়বদ্ধতার চাপ। অথচ, নিজের সঙ্গীকে আমরা বেশীরভাগই দেখি বেশভুষা আর চেহারায় কৃত্রিমতার বাইরের এক মানুষ, অনেক সময় সাংসারিক খুঁটিনাটি চিন্তায় নিমজ্জিত দায়িত্ব পালনের এক রোবাট হিসাবে। আর বাইরের মানুষটি যে কেবল চমৎকার শব্দচয়নে আবেগের গানই শোনায় না, নতুন করে স্বপ্নে বিভোর রাখে বা বিভোর করে রাখতে চায়। নানা রকম মিথ্যা এসে ভর করে। দুজন মানুষ রঙ্গিন ফানুসের মতই উড়তে থাকে। পরিণাম পরকীয়া নামক এক মরিচীকার পেছনে ছোটা! ভেঙ্গে যায় ঘরের মানুষের বিশ্বাস, ভেঙ্গে যায় নিজেদের এবং সন্তানদের স্বপ্ন, ছিন্ন হয় ভালোবাসার। মৃত্যু ঘটে একটা সংসারের, একটা ঘরের।

অথচ কোন এক সময়ে যে সংসারটার পথচলায় বন্ধু ছিলেন দুজন মানব মানবী। এ সেই একই মানুষ, যিনি জীবনের শুরুতে বিপত্তিগুলো নিজের করে নিয়েছিলেন, সঙ্গীকে আগলে রেখেছিলেন সবকিছু থেকে শত কষ্টের বিনিময়েও। হয়ত বা কখনও নিজের দিকে তাকাবারও সময় বা বিশ্রাম পাননি... একাই সামলেছেন শত ঝড় ঝাপ্টা। অথচ, আরেকজনের জন্য, কোন এক বিবেকবর্জিত, অমানুষ, ঠক, প্রতারকের জন্য একটা সংসারের সবাই কষ্ট ভোগ করেন। ভোগ করেন নানা সামাজিক চাপ, অর্থনৈতিক চাপ। সন্তানরা হারায় তাদের এক সময়ের প্রিয় বাবা অথবা মাকে। অথচ এটা তাদের প্রাপ্য ছিল না, তাদের কোন দোষও ছিল না...কারণ প্রতিটা শিশুই নিষ্পাপ। তাদেরও রয়েছে সুস্থ সুন্দরভাবে ভালোবাসায় বেড়ে ওঠার অধিকার। প্রতিটা মানুষেরই কম বেশী কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। একজনের একটা জিনিসের ঘাটতি হলেই আরেকজনের কাছ থেকে প্রত্যাশার প্রাপ্তি খোঁজা অপরিপক্কতারই নামান্তর। বরংচ, স্বামী বা স্ত্রীর যার যা নেই, সেটার জায়গায় যার যা গুণাবলী সেটার মূল্যায়ন করলে আর তৃতীয় পক্ষের আবির্ভাব ঘটে না।

দেখুন, জীবনের এই পথচলায় আমাদের কখনো না কখনো কাউকে ভাল লাগতেই পারে। এটা দোষের কিছু না। দোষের হল আপনার সঙ্গীটিকে ঠকানো, তার জায়গাটিতে অন্যকে স্থান করে দেয়া। তাকে এবং তার ভালোবাসা, বিশ্বাসটাকে অসম্মান করা। নিজের সন্তানদের সুন্দর, চমৎকার ভবিষ্যৎটাকে অন্ধকারে ঠেলে দেয়া.. সেই সাথে প্রিয় বর্তমানকে অস্বীকার করা। মনে রাখবেন, নিজের সুখের জন্য, নিজের কামনা বাসনা চরিতার্থ করার জন্য আরেকজনকে সরিয়ে দিলে আপনিও একদিন ঠিক একইভাবে নিক্ষিপ্ত হবেন। প্রকৃতির এটাই নিয়ম।

তাই সব সময় স্বামী স্ত্রী একজন অরেকজনকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিন। নিজেদের ভালো লাগা, ভালোবাসার জায়গাগুলি ধরে রাখুন। কোন বিষয়ে খটকা লাগলে বিস্তারিত আলোচনা করুন। কথায়, কাজে সঙ্গীকে সম্মান দিন। মনে রাখবেন আপনারা কেউ কাউকে কিনে আনেননি বা আগেকার দিনের কৃতদাস নন যে, সঙ্গী আপনার বশ্যতা স্বীকার করবেন। মনে রাখবেন, প্রথমে বন্ধু হোন তারপর স্বামী বা স্ত্রী। একজন ভালো বন্ধুই পারে আরেকজনের হাতটি শক্তভাবে ধরে রাখতে।

ও হ্যা.. সেই সাথে একে অপরকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করুন, অনুভব করুন আপনার সঙ্গীটি কি চাচ্ছেন? কেন তিনি এত ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত? কেন তার অাবেগের মৃত্যু ঘটেছে...?! অন্যের কাছে কেবল মিথ্যা সুখ না খুঁজে বরং নিজেই নিজের ঘরকে সুখে দুঃখে সমৃদ্ধিশালী করুন, আর তাহলে তৃতীয় কোন পক্ষ বা শক্তি চাইলেও জায়গা করে নিতে পারবে না। আর যে কোন পরিস্থিতি দুজনই হাসতে হাসতেই একসাথে মোকাবেলা করতে পারবেন অনায়াসে। :)

Address

X-Zphyra, House/67 (Ground Floor), Road/2, Sector/14, Uttara (Beside Sec/7 Bridge On Lake)
Dhaka
1230

Opening Hours

Monday 10:00 - 21:00
Tuesday 10:00 - 21:00
Wednesday 10:00 - 21:00
Thursday 10:00 - 22:00
Friday 10:00 - 21:00
Saturday 10:00 - 21:00
Sunday 10:00 - 22:00

Telephone

+8801765821114

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mansuba's Counseling Center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Mansuba's Counseling Center:

Share