23/03/2024
হাঁটুর বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে একটি হলো লিগামেন্টজনিত সমস্যা। মূলত হাঁটু গঠিত হয় তিনটি হাড়ের সমন্বয়ে ১. ফিমার, ২. টিবিয়া ও ৩. প্যাটেলা। কিন্তু এ হাঁটুর ভারসাম্যতা নির্ভর করে ১১টি লিগামেন্টের ওপর। এর মধ্যে প্রধান কাজ করে যে চারটি লিগামেন্ট তা হলো ১. ইন্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (ACL), পোস্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (PCL), ৩. মিডিয়াল কোলেটারাল লিগামেন্ট (MCL) ৪. লেটারাল কোলেটারাল লিগামেন্ট (LCL).
**ACL INJURY**
--কী অসুবিধা হয়
১. হাঁটুব্যথা, ফোলা।
২. হাঁটুর ভারসাম্য ঠিক থাকে না।
(দেখা যায় অসমতল জায়গায় হাঁটাচলা করার সময় হঠাৎ করে হাঁটু বেঁকে যায়।)
৩. কখনো কখনো জ্যাম/আটকে (Lock) যায়।
৪. দৌড়ানো সম্ভব হয় না।
--কাদের হয়
১. মূলত তরুণ-তরুণীরা এ সমস্যায় অধিক ভুগে থাকেন।
২. পেশাদার-অপেশাদার খেলোয়াড়।
৩. এ ছাড়া যেকোনো বয়সেই আঘাতের কারণে এটা হতে পারে।
--লিগামেন্টে আঘাতের কারণ
হঠাৎ মোচড়ানো গতির কারণে এনটেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্টে(ACL) সবচেয়ে বেশি আঘাত লাগতে পারে। রিকশা থেকে পড়ে গেলে, গাড়ি বা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় লিগামেন্ট ইনজুরি হয়। ফুটবল, বাস্কেটবল, কাবাডি ও হাডুডু খেলোয়াড়দের লিগামেন্টে বেশি আঘাত লাগে। মই থেকে পড়লে, ওপর থেকে লাফিয়ে পড়লে, গর্তে পড়লে বা সিঁড়িতে নামার সময় পা ফেলতে ভুল হলে আঘাত লাগতে পারে।
--লিগামেন্ট ইনজুরির লক্ষণ
প্রথমে তীব্র ব্যথা, পরে ব্যথা কমে আসে। ব্যথা হাঁটুর বাইরের পাশে ও পেছনে অনুভূত হবে। হাঁটু ভাঁজ বা সোজা করতে গেলে ব্যথা হয়। আঘাতের প্রথম ১০ মিনিটেই হাঁটু ফুলে যায়। ফোলা ও ব্যথার কারণে হাঁটু নড়াচড়া করা যায় না। দাঁড়াতে বা হাঁটতে চেষ্টা করলে মনে হয়, হাঁটু ছুটে বা বেঁকে যাচ্ছে।
আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তি ‘পপ’ বা ‘ক্র্যাক’ শব্দ শুনতে বা বুঝতে পারবেন। মেনিসকাস ইনজুরি থাকলে রোগী বেশিক্ষণ বসলে হাঁটু সোজা করতে কষ্ট হয়। অনেক সময় হাঁটু আটকে যায়। দীর্ঘদিন লিগামেন্ট ইনজুরি থাকলে হাঁটুর পেশি শুকিয়ে যায়। হাঁটুতে শক্তি কমে যায়।★উঁচু–নিচু জায়গায় হাঁটা যায় না। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে ও বসলে উঠতে কষ্ট হয়।
--কীভাবে বোঝা যাবে যে লিগামেন্ট ছিঁড়েছে
১. প্রথমত, রোগী একটি আঘাতের বিবরণ দেবেন, যেখানে তিনি বলবেন যে হাঁটুতে আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে একটি মোচড় লাগার (Twisting) ঘটনা ঘটেছিল।
২. দ্বিতীয়ত, অসমতল জায়গায় হাঁটার সময় এবং সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাৎ করেই পায়ের ভারসাম্য (Balance) নষ্ট হয় এবং রোগীর পা ঘুরে যাওয়ার উপক্রম হয়।
--চিকিৎসা, ব্যায়াম ও অপারেশন
প্রথমে হাঁটুকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে। বরফের টুকরা তোয়ালে বা ফ্রিজের ঠান্ডা পানি প্লাস্টিকের ব্যাগে নিয়ে লাগালে ব্যথা বা ফোলা কমবে। প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট বা দুই ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিট অনবরত লাগাতে হবে। এ পদ্ধতি আঘাতের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে।
হাঁটুর নিচে বালিশ দিয়ে হাঁটুকে হার্টের লেবেল থেকে উঁচুতে রাখলে ফোলা কম হবে। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে ৭ থেকে ১০ দিন।
প্রাথমিক চিকিৎসায় রোগীর ব্যথা ও ফুলা সেরে উঠলে হাঁটুর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে লিগামেন্টের আঘাত এবং এর তীব্রতা নির্ণয় করা যায়। এক্স-রে ও এমআরআইয়ের সাহায্য নিতে হয়। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
সর্বাধুনিক চিকিৎসা হলো অর্থোস্কোপিক রিকনস্ট্রাকশন অব ইন্টেরিয়র অর পোস্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট অর্থাৎ লিগামেন্ট প্রতিস্থাপন করা। বড় ধরনের কাটাছেঁড়া না করে শুধু কয়েকটি ছিদ্র করেই এই অপারেশন করা যায়। এই অপারেশনের পর সুনির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে হয় এবং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
--করণীয়
হাঁটুর লিগামেন্ট আপনাআপনি কখনো জোড়া লাগে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাঁটুর পেশির ব্যায়াম ও দৈনন্দিন কাজকর্ম পরিবর্তনের মাধ্যমে সুস্থ ও ভালো থাকা যায়।
Thanks for watching
Please like, comment, share & subscribe.
[ Dr. Mohammad Mahtab Uddin ]
B.P.T.(DU), P.G.D.(Sports Medicine), C.M.T.B.(India), P.G.T.(Japan)
Special Training in Manipulation (Vellore)
Arthritis, Pain, Paralysis & Rehabilitation Specialists (BSMMU)
[ Pain Cure And Physiotherapy Center ]
Contact us :01684-092074 ( Whatsapp available ) ; 01914499226
20/5, Shohid Colonel Rashid Square(2nd Floor), near Square Hospital
Bir-Uttom Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka-1205
Website: paincurebd.com; Facebook: fb.com/paincurebd
Email: drmahtabpt@gmail.com; info@paincurebd.com