অল্টারনেটিভ কেয়ার

অল্টারনেটিভ কেয়ার Alternative Care, Bangladesh. Find Your Remedy in Nature. Home Delivery Available

14/06/2024
28/01/2024
20/01/2024

পুরুষ - নিজের খেয়াল রাখুন
✅একটি লো ফ্যাট ডায়েট বেছে নিন
✅তেল চর্বি এড়িয়ে চলুন , সর্বনিম্ন যতটুকু চর্বি নিবেন তা প্রাণিজ চর্বি বাদ দিয়ে উদ্ভিজ্জ চর্বি গ্রহণ করুন।
✅বেশি বেশি সিজনাল ফল এবং সবজি খান
✅মাংস / গোস্ত বাদ দিয়ে তৈলাক্ত মাছ খান। সামুদ্রিক মাছ বেশি উপকারী।
✅চিনি ছাড়া সবুজ চা পান করুন প্রতিদিন
✅মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বর্জন করুন।
✅স্বাস্থ্যসম্মত ওজন ঠিক রাখুন।
✅প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। সহজ ব্যায়াম প্রতিদিন ৩০ মিনিট জগিং করা।
✅ আনন্দে থাকুন , টেনশন মুক্ত থাকার জন্য রিলাক্সেশন এক্সারসাইজ উপকারী।

লেখা: ডা. মো. ফাইজুল হক

যেসব ওষুধ খাবেন না বা ব্যবহার করবেন না★ ক্ষুধাবর্ধক ওষুধ / রুচি বৃদ্ধির / মোটা হওয়ার ওষুধ  খাবেন না।★ হজম ঠিকঠাক থাকার ...
11/01/2024

যেসব ওষুধ খাবেন না বা ব্যবহার করবেন না
★ ক্ষুধাবর্ধক ওষুধ / রুচি বৃদ্ধির / মোটা হওয়ার ওষুধ খাবেন না।
★ হজম ঠিকঠাক থাকার পরেও হজম বৃদ্ধির ওষুধ খাবেন না।
★ টাকে চুল গজানোর ওষুধ /তেল ব্যবহার করবেন না।
★ বাচ্চাদের গ্রাইপ ওয়াটার খাওয়াবেন না।
★ লম্বা হবার ওষুধ খাবেন না।
★ জন্মনিয়ন্ত্রণের ইঞ্জেকশন ব্যবহার করবেন না।
★ রোগা হবার ওষুধ বা মেদ কমানোর ওষুধ খাবেন না।
★ ফুসফুস ভালো রাখার টনিক খাবেন না।
★ অপ্রয়োজনে খিচুড়ি টাইপ ভিটামিন টনিক খাবেন না।
★ অপ্রয়োজনে খিচুড়ি টাইপ আয়রন টনিক খাবেন না।
★ নেশার ওষুধ/নেশা তৈরি করে এমন ওষুধ খাবেন না।
★ লিঙ্গ বড় , মোটা করার মালিশ , ক্রিম বা ওষুধ ব্যবহার করবেন না অথবা ওষুধ খাবেন না।
★ যৌন উত্তেজক "এখন খাবেন এখনই দাঁড়িয়ে যাবে" এমন ওয়ানটাইম টাইপের ওষুধ বা এমন এনার্জি ড্রিংকস খাবেন না।
★ অপ্রয়োজনে শক্তি বর্ধক ওষুধ খাবেন না।
★ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া লিভার টনিক খাবেন না।
★ সকল ধরনের ফুড সাপ্লিমেন্ট , ডায়েটারি সাপ্লিমেনট খাবেন না। (ফুড সাপ্লিমেন্ট অথবা ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর অনুমতি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া যাবে )

লেখা: Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক

04/01/2024

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষ পণ্যের পরিচিতি জানতে পারলেও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উৎপাদকরা মানুষকে ধোঁকা দেয় ।হরহামেশাই অনেক প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন দেখি যেখানে গায়ের রং ফর্সা করার প্রচারণা চালানো হয় । কোন প্রসাধনী ব্যবহার করলে গায়ের রং ফর্সা হয় একথা বিজ্ঞানসম্মত নয়।এ মিথ্যা প্রচারে আকৃষ্ট হয় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রসাধনীগুলো কিনছে ।
প্রসাধনী ব্যবহার করলে যদি গায়ের রং ফর্সা ই হতো তাহলে আর পৃথিবীতে নিগ্রো থাকতো না ।

লেখা: Dr. Md. Faijul Huq - ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক

তালমিছরি ডায়েটারি ফাইবার এ পরিপূর্ণ ফলত এটি আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং এটি কনস্টিপেশন সরিয়ে তুলতে সাহায্যকারী। তালমিছ...
29/12/2023

তালমিছরি ডায়েটারি ফাইবার এ পরিপূর্ণ ফলত এটি আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং এটি কনস্টিপেশন সরিয়ে তুলতে সাহায্যকারী। তালমিছরি আমাদের শরীরে কম কার্বোহাইড্রেড তৈরী করে।

26/11/2023

বিনা অপারেশনে ( এনজিওপ্লাস্টি বা বাইপাস ছাড়া ) হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসার গাইডলাইন ।
আমাদের হৃদপিন্ডের বাইরের দিকে করোনারি আর্টারি নামে দুটো বেশ মোটা ধমনি ও তাদের অনেক শাখা প্রশাখা আছে। ১২/১৩ বছর বয়স থেকেই এই ধমনীর ভেতরের দিকে তেল জমতে থাকে। ডাক্তারি পরিভাষায় এই তেলের নাম সিরাম কোলেস্ট্রল এবং সিরাম ট্রাই গ্লিসারাইড।
জীব দেহের চর্বি থেকে যে তেল আসে তার নাম কোলেস্ট্রল এবং উদ্ভিদ থেকে যে তেল আসে তার নাম ট্রাই গ্লিসারাইড।আমাদের দেশে একজন মানুষের সাধারণত দৈনিক ১৮ গ্রামের বেশি তেলের প্রয়োজন হয়না অথচ প্রতিদিন আমরা এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি তেল গ্রহণ করি। ফলে প্রতিদিনই অল্প অল্প করে তেল ধমনী এবং তাদের শাখা-প্রশাখার ভেতরের গায়ে জমা হতে থাকে আমাদের অলক্ষ্যে। এর ফলে ধমনীর ভেতরের চলার পথ শুরু হতে থাকে। সাধারনত এই পথের কোন কোন অংশে বেশি করে তেল জমে।
এই পথের শতকরা 70 ভাগ অবরুদ্ধ হলেও আমরা টের পাই না , এর বেশি হলেই আমরা বুঝতে পারি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুকের বাঁ দিকে ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা বাঁ দিকে সরে গিয়ে বাঁ হাতে গিয়েও পৌঁছাতে পারে। কোনো কোনো রোগী বুকের মাঝখানে ব্যথা অনুভব করেন। কালেভদ্রে বুকের ডান দিকে ব্যথা হয়ে থাকে।হাঁটতে শুরু করলে যদি এই ব্যথা বাড়ে এবং বিশ্রাম নিলে যদি কমে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটি হৃদরোগের ব্যথা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ ব্যথা কে বলে অ্যানজাইনা। অ্যানজাইনা একটি গ্রিক শব্দ যার অর্থ কান্না করা।
আগেই বলেছি করোনারি ধমনীতে বায়ের শাখা-প্রশাখার এক বা একাধিক জায়গায় অবরোধ হতে পারে। শতকরা 70 থেকে 80 ভাগ অবরোধ হলে আমরা ভালভাবে চলাফেরা করতে পারি।শতকরা 95 ভাগ পর্যন্ত অবরোধ হলেও আমরা বেঁচে থাকতে পারি। এর বেশি অবরোধ হওয়ার অর্থ মৃত্যু খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে।
বিভিন্নকারনে আমাদের রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে। এরপর অনেক সময় রক্তের মধ্যে ছোট ছোট দ /clot সৃষ্টি হয়। এই ক্লোট সহ রক্ত যখন অবরুদ্ধ ধমনী বা শাখা ধমনীর ভেতর দিয়ে যেতে থাকে তখন বিপত্তি ঘটে। বুকে চাপ অনুভূত হয়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। ব্যথা হয়। ঘাম হয়। অবস্থান নাম করোনারি থ্রম্বোসিস। হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক অবস্থা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেখানে অবরোধ হয়েছে,তার কাছাকাছি হার্টের মাংসপেশি শতকরা পাঁচ থেকে দশ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা শতকরা পাঁচ থেকে ছয় ভাগ কমে যায়।
প্রথম যখন বুকে ব্যথা শুরু হয় তখন অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন কি কারণে ব্যথা হয়েছে। কারণ ব্যথা হওয়া মানেই হার্টের রোগ নয়। তবে ঘাম সহ ব্যথা হলে, তার সঙ্গে বুকে চাপ অনুভব করলে আরো কিছু লক্ষণ দেখে ডাক্তার বুঝতে পারেন হার্টের অসুখ হয়েছে কিনা।যদি প্রাথমিক এই পরীক্ষায় বা অন্যকোন ভাবে বোঝা যায় যে রোগীর হার্টের অসুখ হয়েছে তাহলে তাকে ইসিজি, টিএমটি, রক্তের লিপিড প্রোফাইল, এবং সুগার পরীক্ষা করতে বলেন।
ধরে নেয়া যাক ব্যথাটি অ্যানজাইনার ব্যথা। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসায় অধিকাংশ ডাক্তারেরা রোগীদের এই রোগের জটিল মেকানিজম বোঝাতে চান না। বলেন, রোগীর অবস্থা তেমন ভালো মনে হচ্ছে না। ২/১ দিনের মধ্যে এনজিওগ্রাফি করাতে হবে । সম্ভব হলে আজই হাসপাতালে ভর্তি করে দিন। যদি রোগী বলে যে সঙ্গে করে টাকা নিয়ে আসেনি তাহলে ডাক্তাররা বলবেন টাকা বড় কথা নয় বড় কথা আপনার সুচিকিৎসা। টাকা কাল বা পরশু দেবেন। আজ ভর্তি হয়ে যান। কাল বেড নাও পেতে পারেন। এনজিওগ্রাফি করার পরে রোগীর হার্ট ব্লকেজ ধরা পড়লে ।
গতানুগতিক চিন্তাধারার ডাক্তারেরা এমতাবস্থায় রোগীকে বাইপাস সার্জারি বা এনজিওপ্লাস্টি করার পরামর্শ দেন। তারা বলেন এখন দুটো কাজ আপনি করতে পারেন , হয় এঞ্জিওপ্লাস্টি নয়তো বাইপাস সার্জারি।সাধারনত এনজিওপ্লাস্টির পরামর্শ এখন বেশি দেওয়া হয়।
★ এনজিও প্লাস্টি:
এই অপারেশন কে সহজভাবে বেলুনিং অপারেশন বলা হয়। অবরুদ্ধ স্থানে একটি বেলুন ঢুকিয়ে দিয়ে ওই বেলুনটি কে ফুলিয়ে দেয়া হয় ফলে ওখানকার জমে থাকা তেল ধমনীর গায়ে সাময়িকভাবে চিপটে থাকে । রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। ব্যথা বা যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়। রোগী মনে করেন তিনি ভাল হয়ে গেছেন।চিপটে থাকা তেল আটকাবার জন্য ওই জায়গায় একটা স্প্রিং সেট করে দেওয়া হয়। আমি যত সহজে বলেছি বিষয়টা এত সহজ না আরো জটিল । এর কিছু সাইড ইফেক্ট ও আছে।

খাওয়া-দাওয়ার পরিবর্তন, উপযুক্ত ব্যায়াম তার সঙ্গে দেন বা যোগাসন না করলে কোন স্প্রিং ই তেল জমাতে পারে না। আর এর খরচ ও অস্বাভাবিক। নিশ্চিতভাবে এর মূল্য নির্ধারণের সঙ্গে ব্যবসায়িক মতলব আছে। আমরা এনজিওপ্লাস্টি কে না বলি।
★ বাইপাস সার্জারি:
ডাক্তারি পরিভাষায় এ পদ্ধতিকে বলে করোনারি আর্টারি বাইপাস গ্রাফটিং ।জটিলতম এবং বিরাট খরচসাপেক্ষ এ পদ্ধতিটি শুরু হয় আশির দশকে।সেদিন আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছিল যে আর ভয় নেই হার্ট অ্যাটাকের স্থায়ী সমাধান আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।
এই পদ্ধতির মোদ্দাকথা হলো, অবরুদ্ধ ধমনিকে এড়িয়ে গিয়ে রোগীর শরীরের অন্য অংশ থেকে কিছুটা ধমনী কেটে এনে রক্ত চলাচলের জন্য আলাদা করে দেওয়া।কৃত্রিম উপায়ে রোগীর দেহে রক্ত চলাচল অব্যাহত রেখে এই নতুন পথ তৈরি করা হয়। রোগীর সামনের দিকে তার বুক মাঝামাঝি খুলে ফেলা হয় ডাক্তারি করার দিয়ে একটি কৃত্রিম হৃদযন্ত্র/ হার্ট লাঙ মেশিন বসানো হয় অপারেশন চলাকালীন সময়ে দেহের রক্ত চলাচল অব্যাহত রাখার জন্য।
ভারত উপমহাদেশের প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার বিমল ছাজেড় পরামর্শ দেন- ব্লকেজ হয়েছে তা জানার পরে প্রথমেই অপারেশনের চিন্তা বাদ দিতে হবে। রোগী গরীব হলে তো কথাই নেই, ধ্বনি হলেও অপারেশনের কথা বাদ দিতে হবে। ডাক্তার সাজের দুই ধাপে এজাতীয় রোগীদের চিকিৎসা করেন ।
১) প্রথমত: ব্লকেস আর যাতে বৃদ্ধি পেতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেন।
২) দ্বিতীয়তঃ: ব্লকেজ দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেন।

হার্ট ব্লকেজ এর ক্ষেত্রে একজন এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক অপারেশনের আগে/পরে চার ধরনের এলোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়ার জন্য দেন
১) সরবিট্রেট ও মনোট্রেট জাতীয় ঔষধ - এ জাতীয় ওষুধ অবরুদ্ধ জায়গার অংশটিকে সাময়ীকভাবে বড়ো করে দেয়। ফলে রক্ত চলাচল কয়েক ঘণ্টার জন্য স্বাভাবিক থাকে।
২) রক্ত পাতলা করে রাখার ওষুধ
৩) হার্টের অক্সিজেনের চাহিদা কমিয়ে দেবার ওষুধ
৪) কোলেস্ট্রল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমানোর ঔষধ
( মনে রাখতে হবে এই ওষুধের কাজ একেবারেই সাময়িক। তাছাড়া এদের প্রত্যেকটির পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে। এইসব ঔষধ বারবার খেতে হয়।তাই অভিজ্ঞ হৃদরোগের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ক্রমেই এই ওষুধগুলো খাওয়া উচিত নয় । )
বিনা অপারেশনে হার্ট ব্লকেজ এর চিকিৎসার জন্য রোগীরা যখন আমাদের কাছে আসেন তখন আমরা অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার দের দেওয়া এসব ওষুধ বন্ধ করতে নিষেধ করি।এসকল ওষুধ চলতে থাকে সাথে চলে আমাদের দেওয়া নিয়ম একটা সময় ওই অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার নিজেই ওষুধ গুলো কমিয়ে দেন এমনকি একটা সময় বন্ধ করেও দেন।
আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে ধমনীতে জমে থাকা তেল সরিয়ে দেওয়ার মতো কোন ঔষধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার,অধিকাংশ রোগী যারা অশিক্ষিত বা অল্প শিক্ষিত বিশেষত যারা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে এসেছেন তারা এই অতি প্রয়োজনীয় কথাগুলো জানতেই পারেন না। শহর এলাকার অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।এখানকার অধিকাংশ রোগীরা ধৈর্য ধরে এসব নিরস কথা শোনা এবং তা বোঝার মতো সময় দিতে পারেন না। তাই কিছু সংখ্যক রোগী ষ পূর্বোক্ত ওষুধগুলো খেতে খেতেই দ্বিতীয় বা তৃতীয় বার হার্ট অ্যাটাক হয় মারা যান। আর ধনী রোগীরা বাইপাস সার্জারি অথবা এনজিওপ্লাস্টি এর যেকোনো একটি অপারেশন করিয়ে নেন। কিন্তু এর কোনোটাই স্থায়ী সমাধান নয়। এ কথাটি অনেকেই জানেন না । জানতে দেওয়া হয় না। আর এগুলো যদি কেউ বলে তার বিরুদ্ধেও তারা উঠেপড়ে লেগে যান।
আমরা রোগী চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে জোর দেয় খাদ্যাভ্যাসের ভুল ত্রুটির উপর।আমাদের প্রধান কথা হচ্ছে রোগীকে নিরামিষ খেতে হবে। এক ফোটা তেল বা ঘি খাওয়া চলবে না। সর্বোচ্চ একটা মাত্র ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন। প্রতিদিন খাদ্যের পরিমাণ এমন হবে যাতে ১৬০০ ক্যালোরি অতিক্রম না করে। এটি সাধারণ হিসাব। শরীরের ওজন কমে গেলে বা বেশি হলে এই হিসাব কিছুটা পরিবর্তন করা যেতে পারে।
একবারে বেশি খাওয়া নিষেধ, আমরা মোট চারবার অল্প অল্প খাবার খেতে বলি। ডায়াবেটিস রোগীদের আরো বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সাথে চলে ডায়াবেটিসের এলোপ্যাথিক ওষুধ.।মোট কথা হল আমাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে রোগীকে এলোপ্যাথিক ওষুধ বন্ধ করতে আমরা নিষেধ করে দিই, এবং আমাদের দেওয়া নিয়ম মানার সাথে সাথে ওই এলোপ্যাথিক ডাক্তারের ফলোআপে থাকতে বলি।
যাদের ধমনীতে শতকরা 70 ভাগ বা তার বেশি ব্লকেজ তারা যতটুকু প্রাণী বা উদ্ভিদ খাদ্য গ্রহণ করবেন তার 18 গ্রাম বাদ দিলে বাকি সব টুকুই ধমনীর ভেতর জমা হবে।ইতিমধ্যেই যাদের অপারেশন হয়ে গেছে তাদের ক্ষেত্রে একটু দ্রুত গতিতেই তেল জমবে। তাই রান্না করতে হবে তেল ছাড়া। জিরো ওয়ায়েল কুকিং।আমরা রোগীদের শিখিয়ে দেই কিভাবে তেল ছাড়া রান্না করতে হয়।
🟩 আমাদের দেওয়ার নিয়ম গুলো পয়েন্ট আকারে নিম্নে দেয়া হল:
★ তেল ছাড়া নিরামিষ খাবার খেতে হবে। রান্নায় একফোঁটাও তেল বা ঘি ব্যবহার করা যাবে না।
★ মাছ বা মাংস খাওয়া চলবে না। কেবলমাত্র ডিমের সাদা অংশ খেতে পারবেন প্রতিদিন একটি।
★ মানসিক চাপ মুক্ত থাকতে পরামর্শ দেয়া হয়।মানসিক চাপ কমানোর জন্য রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজ শিখিয়ে দেওয়া হয়।
★ ধূমপান ও মদ্যপান নিষেধ
★ আমরা রোগীকে হাঁটার পরামর্শ দেই। বুকে ব্যথা হলে প্রথম খুব অল্প অল্প করে হাঁটতে বলি ,আমাদের নিয়ম মানার সাথে সাথে বুকের ব্যথা কমতে থাকে তখন রোগীকে প্রতিদিন কমপক্ষে 40 মিনিট জোরে হাঁটার পরামর্শ দেই । সাথে যোগ ব্যায়াম শিখিয়ে দেই।
★ আমি পার্সোনালি এসব রোগীদের ক্ষেত্রে ইউনানী মেডিসিন " কুরস গার্লিট্যাব " গ্রুপের ওষুধ খেতে বলি।সাথে পরামর্শ দেই প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির মধ্যে 2 চা চামচ আপেল সিডার ভিনিগার খাওয়ার জন্য। প্রয়োজনে আরো কিছু ওষুধ দেওয়া হয়।
★ প্রচুর সালাদ ও ফল খেতে হবে। মাইক্রোগ্রিনস সুপার ফুড খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সুগারের রোগীরা মিষ্টি ফল খেতে পারবেন না।


১৯৯৫ সালে ডাক্তার বিমল ছাজেড় ( এম বি বি এস, এমডি, প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর অফ কার্ডিয়লজি , অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সাইন্স ) শুরু করলেন এক নতুন নিয়ম, নাম দিলেন সাওল প্রোগ্রাম। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে হাজার হাজার হার্ট ব্লকেজ রোগীদের সুস্থ করে তোলেন।
আমেরিকার ডাক্তার ডিন অর্নিশ বিনা অপারেশনে হার্ট ব্লকেজ এর চিকিৎসায় উল্লিখিত পদ্ধতির উপরে ১৯৭৯ সালে তাঁর প্রথম গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ করেন। ১৯৮৩ সালে journal of American medical association পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তিনি দেখালেন তাঁর পরামর্শ অনুসারে যেসব রোগী জীবনযাপন পদ্ধতি পরিবর্তন করেছেন তারা হৃদরোগের সব ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো কমিয়ে এনেছেন। তিনি এনজিওগ্রাম করে প্রমাণ করলেন যে তার চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুসরণ করার ফলে রোগীদের হার্ট ব্লকেজ রিভার্স হয়েছে অর্থাৎ ব্লকেজ কমে গেছে।
Lancet নামক সুবিখ্যাত মেডিকেল জার্নালে তাঁর বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন ছাপা হলো। বিজ্ঞানসম্মত গবেষণা রিপোর্ট পুনরায় journal of American medical association পত্রিকায় প্রকাশিত হলো ১৯৯৫ সালে। এছাড়াও Braunwald এর কার্ডিওলজির পাঠ্যবইতে ও প্রকাশিত হয়েছে। বর্তমানে আমেরিকার ৮ টি হাসপাতালে এই পদ্ধতি অনুসারে হৃদরোগের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে আছে বোস্টনের Harward Medical School এবং নিউইয়র্ক শহরের Boston and Beth Israel Hospital . এই ডাক্তার ডিন অরনিশের ছাত্র হচ্ছেন ডাক্তার বিমল ছাজেড়।
যদিও এই চিকিৎসা পদ্ধতি সর্ব প্রথম শুরু হয়েছিল আমেরিকার নাথান প্রিটিকিন এর হাত ধরে , নাথান প্রিটিকিন এর সর্বশেষ বইতে তিনি এ পদ্ধতির বিস্তারিত বলে গিয়েছেন। বইটির নাম The Pritikin Promise :28 Days To A Longer Healthier Life বইতে। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৫ তারিখ দি সান পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি তথ্যবহুল নিউজ ছাপা হয়েছিল. । ১৯৭৯ সাল থেকে সমগ্র আমেরিকা ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ প্রিটিকিন প্রোগ্রামের ব্যাপক প্রয়োগ শুরু করেন। নাথান প্রিটিকিন এর প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য ১৯৮০ সাল থেকে গভর্নর এডউইন এডওয়ার্ডের ঘোষণা ক্রমে আমেরিকার লুশিয়ানা প্রদেশে সরকারিভাবে প্রতিবছর ২১ জানুয়ারি - এই দিনটিতে দেশবাসীর সুস্বাস্থ্য কামনায় পালন করা হয় Pritikin Day .

(এই লেখাটি লেখার ক্ষেত্রে ভয়েস টাইপিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে বানান ভুল হতে পারে সহানুভূতি কাম্য )
ডাঃ মোঃ ফাইজুল হক
২১ বছরের অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক , শিক্ষক ও লেখক ,
Ayurved Tirtha
Advanced Trained on Cognitive-Behavior Therapy for Depression (DU)
Trained on Therapeutic Counselling
(Department of Clinical Psychology, University of Dhaka)
01712 859950
01972 859950

04/11/2023

Address

ছাতা মাসজিদ রোড, কাসেম-নাদিরা স্কুলের পিছনে, কামরাঙ্গীর চর, ঢাকা-১২১১
Dhaka
1211

Opening Hours

Monday 09:00 - 13:00
13:30 - 18:00
Tuesday 09:00 - 13:00
13:30 - 18:00
Wednesday 09:00 - 13:00
13:30 - 18:00
Thursday 09:00 - 13:00
13:30 - 18:00
Friday 09:00 - 11:30
14:30 - 18:00
Saturday 09:00 - 13:00
13:30 - 18:00
Sunday 09:00 - 13:00
13:30 - 18:00

Telephone

+8801672569548

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অল্টারনেটিভ কেয়ার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to অল্টারনেটিভ কেয়ার:

Share

আসসালামু আলাইকুম।

আমরা কয়েকজন হোমিও প্যাথির ছাত্র চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ ও সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে এবং বিশুদ্ধ পন্য আপনাদের নিকট উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে আল্টারনেটিভ কেয়ার নামক এই ফেসবুক পেজ খুলেছি।আমরা আমাদের স্যারদের ও পরিচিত হোমিও ও আয়ুবের্দিক ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ ও সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের বিশুদ্ধ ও খাঁটি প্রোডাক্ট খুচরা ও পাইকারি বিক্রয় করি। যেমনঃ মধু, কালোজিরার তেল ইত্যাদি। এছাড়াও আমরা হোমিও ও আয়ুর্বেদিক মেডেসিন সরবরাহ করে থাকি।

আমাদের সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করছি। অনুগ্রহ পূর্বক লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও রিভিউ দিয়ে আমাদের সাপোর্ট করবেন। আর কোন অভিযোগ ও পরামর্শ থাকলে আমাদের জানাবেন। ভূল ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

আমাদের সাথে যোগাযোগঃ

ফেসবুকঃ www.facebook.com/AlternativeCareBd/