বন্ধাত্ব রোগীর চিকিৎসা

বন্ধাত্ব রোগীর চিকিৎসা বন্ধাত্ব রোগীর চিকিৎসা

বন্ধ্যাত্ব মানেই স্বামী-স্ত্রীকে বা স্ত্রী-স্বামীকে দোষারোপ করবেন, বন্ধ্যাত্ব মানেই আপনার সন্তান হবে না, বন্ধ্যাত্ব মানে...
20/02/2022

বন্ধ্যাত্ব মানেই স্বামী-স্ত্রীকে বা স্ত্রী-স্বামীকে দোষারোপ করবেন, বন্ধ্যাত্ব মানেই আপনার সন্তান হবে না, বন্ধ্যাত্ব মানেই আপনার জীবন শেষ, সংসার জীবনের ইতি টানার চিন্তা করবেন...!!!
দয়া করে এসব ভ্রান্ত ও ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে নিজেকে সংশোধন করুন।
🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥
বিশেষ করে- বিয়ের পর মহান আল্লাহ পাক আপনাকে সন্তান দান করেছেন কিন্তু আপনি সেই সন্তান নষ্ট করেছেন বা নিজেরা ইচ্ছে করে Abortion করিয়েছেন, দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওনারাই পরবর্তীতে নিঃসন্তান দম্পতি হিসেবে চিহ্নিত হন।
আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, নারী পুরুষ উভয়ের হরমোন জনিত সমস্যার কারণে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে গনোরিয়া ও সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হলেও আপনি নিঃসন্তান দম্পতির তালিকা থাকেন।
🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥
ঘটনা প্রবাহ 01: এক দম্পতির বিয়ের পরপরই গর্ভে সন্তান ধারণ করেছে কিন্তু ওনারা প্রকৃতির বিরুদ্ধে গিয়ে সেই সন্তান এবরশন করে ফেলে দিয়েছেন। জীবনকে উপভোগ করেছেন দুই থেকে তিন বছর..! তারপর থেকে সন্তান নেয়ার জন্য উভয়ই আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু আল্লাহ পাক তাদের দিকে আর মুখ ফিরে তাকায়নি। অনেক বড় বড় গাইনোকলজিস্ট ডাক্তার দেখিয়েছেন তার পরও কোনো কাজ হয়নি। খুলনা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারিভাবে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন তাতেও কোন ফলাফল হয়নি। এভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন সুদীর্ঘ 12 বছর। এরপর আমার এক উপকৃত রোগীর মাধ্যমে আসে আমাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, উনাদের সকল হিস্ট্রি জেনে উনাদের কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বলি এবং পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেই। দীর্ঘ ১৬_১৭ মাস জার্মানি ওষুধ সেবনের পর মহান আল্লাহ্ ওনাদের সন্তানের অংশীদারিত্ব দেন। আল্লাহর রহমতে এখন উনারা একজন কন্যা সন্তানের মা বাবা। আর সেই রাজকন্যার নাম আয়েশা আক্তার, বয়স: ১৬ মাস। (Documented)
ঘটনা প্রবাহ 02: এক দম্পতির বিয়ের পর একটি ছেলে সন্তান হয়। ছেলে সন্তান হওয়ার পর ওনারা দুজনেই সিদ্ধান্ত নেন পরবর্তী সন্তান দেরি করে নিবেন। এজন্য ওনারা ইনজেকশন মেথড ব্যবহার করেন যার মেয়াদ ছিল 6 মাস। ঐ ইনজেকশন দেয়ার কারণ হলো 6 মাস মিনিমাম বাচ্চা কনসিভ করবেনা। ছয় থেকে সাত মাস পর যখন দেখল ওই মহিলার মাসিক ধীরে ধীরে রেগুলার হচ্ছে ঠিক তখনই উনি আবার আরো একটি 6 মাস মেয়াদী ইনজেকশন নিয়ে নিলেন। এরপর উনারা উনাদের মত উনাদের জীবন উপভোগ করছেন। এভাবেই ছেলের বয়স যখন চার বছরে পৌঁছালো তারপর সিদ্ধান্ত নিলেন আবারো আরেকটি সন্তান নেয়ার। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন ওই মহিলার আর ঠিকমতো মাসিক হচ্ছে না। অর্থাৎ প্রতিমাসে যে নিয়মে মাসিক হওয়ার কথা সেটি আর হচ্ছে না। এখন দেখা যায়- কখনো দুই মাস পর মাসিক হয়, কখনো বা তিন মাস পর মাসিক হয়, কখনো বা 15 দিন পর মাসিক হয়। অর্থাৎ এখন আর ওনার মাসিকটা রেগুলার হচ্ছে না। ঠিক একজন নারীর যখন মাসিক রেগুলার না থাকবে তখন তার বাচ্চা কনসিভ করার কোন অবস্থা থাকে না। এরপর দীর্ঘ ৮ (আট) বছর অনেক গাইনোকলোজিস্ট ডাক্তার দেখিয়েছেন, অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে কোন সন্তান দান করেন নি। এরপর আসে আমাদের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায়, উনাদের সকল হিস্ট্রি জেনে উনাদের কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে বলি এবং পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবনের পরামর্শ দেই। দীর্ঘ ৬-৮ মাস জার্মানি ওষুধ সেবনের পর ওই ভদ্রমহিলার মাসিক রেগুলার হয় এবং মহান আল্লাহ্ ওনাদের সন্তানের অংশীদারিত্ব দেন। আল্লাহর রহমতে এখন উনারা দুই সন্তানের মা-বাবা। (Documented)
🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥
বন্ধ্যাত্ব মানে সন্তান না হওয়া। অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব রোগ সাইকোসিস থেকে উদ্ভূত। তাই অ্যান্টিসাইকোটিক ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করলে সুফল লাভের সম্ভাবনা অনেক বেশি।
বন্ধ্যাত্ব রোগের চিকিৎসা:
বন্ধ্যাত্ব রমণীর স্বামীর হরমোনজনিত কোন সমস্যা থাকলে এবং গনোরিয়া রোগের ভোগার ইতিহাস থাকলে প্রথমে সেটির চিকিৎসা করতে হবে।
বন্ধ্যাত্ব রমণীর হরমোন জনিত কোন সমস্যা থাকলে এবং ঋতুস্রাবের অনিয়মের জন্য বন্ধ্যাত্বের দোষ জন্মিলে প্রথমে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক করার জন্য চিকিৎসা করতে হবে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় উন্নত মানের বেশ কিছু জার্মানি ওষুধ রয়েছে যার মাধ্যমে একজন বন্ধ্যাত্ব রমণী বন্ধ্যাত্বের কুফল থেকে মুক্তি পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥🚥
🚩যৌনরোগসহ যে কোন জটিল ও কঠিন রোগের সফল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করুন♦♦♦
ডঃ মোঃ জামান খান
চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ
ফোন 01717-499374
01742186575
drjaman625@gmail.com
https://germanhomeomedicinecare.wordpress.com
ইমো সহ সকল এ্যাপস খোলা আছে।
🌏বিস্তারিত জানতে কল দিতে পারবেন

A renowned homeopathic medicine dealer in Bangladesh.

17/02/2022

বন্ধ্যত্বের কারণ ও প্রতিকার
ডঃ মোঃ জামান খান ফোন 01717-499374

বন্ধ্যত্বের কারণ ও প্রতিকার
একজন পূর্ণাঙ্গ রমণীর ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নির্গত হয়। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজনন বয়স ধরা হলেও ৩৫ বছরের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে।

প্রজনন বয়সের শেষ দিকে ডিম্বাণু নিঃসরণ প্রতি মাসে না-ও হতে পারে। প্রজনন বয়সের মধ্যে প্রতি মাসেই একজন মহিলার ২৮ থেকে ৩৫ দিন ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়ে থাকে।

ঋতুস্রাব মহিলাদের ডিম্বাণু নিঃসরণের একটি প্রমাণ। যদিও কখনও কখনও ডিম্বাণু নিঃসরণ ছাড়াও ঋতুস্রাব হতে পারে। ২৮-৩০ দিনের ব্যবধানে যাদের ঋতুস্রাব হয় তাদের সাধারণত ১৩তম, ১৪তম ও ১৫তম দিনগুলোর কোনো একসময় ডিম্বাণু নির্গত হয়।

এ সময়কে বলে প্রজনন সময়। এ সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মিলন হলে স্বামীর শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বাণু ডিম্বনালির প্রায় শেষ প্রান্তে, অম্বুলা নামক জায়গায় মিলিত হলে নিষেক সংঘটিত হয়। নিষেকের ফলে যেটি তৈরি হয় সেটিকে ভ্রূণ বলে।

এ ভ্রূণ চক্রবৃদ্ধি হারে বিভক্ত হতে থাকে এবং ডিম্বনালি অতিক্রম করে নিষেকের সপ্তম দিন জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং জরায়ুগাত্রে দৃঢ় হয়ে স্থাপিত হয়। পরে এখানেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে ২৮০ দিন পরে পূর্ণাঙ্গ মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হয়।

কোনো দম্পতি এক বছর জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছাড়া একই সঙ্গে বসবাস ও মিলনের পরও যদি সন্তান ধারণ না করে থাকেন, তাকে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব বলে। এটি হতে পারে প্রাথমিক যাদের কখনোই গর্ভসঞ্চারণ হয়নি অথবা মাধ্যমিক যাদের আগে গর্ভসঞ্চারণের পর এখন আর গর্ভসঞ্চারণ হচ্ছে না।

সাধারণত ৮০ শতাংশ দম্পতির চেষ্টার প্রথম বছরের মধ্যেই সন্তান হয়ে থাকে। ১০ শতাংশ দম্পতির দ্বিতীয় বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। বাকি ১০ শতাংশের কোনো না কোনো কারণে সন্তান ধারণে অসুবিধা হয়ে থাকে এবং তাদের জন্যই স্পেশাল চিকিৎসা দরকার।

এই না হওয়ার পেছনে স্বামী-স্ত্রী দু’জনের যে কেউই কারণ হতে পারেন। আবার সম্মিলিত অসুবিধার কারণেও হতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু স্বামী দায়ী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু স্ত্রী দায়ী এবং ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই দায়ী।

বন্ধ্যত্বের কারণ

সন্তান ধারণে ব্যর্থতার কারণ অগণিত। কারণ যা-ই হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ চিকিৎসা বিদ্যমান। তবে কারণগুলো নিরূপণের পদ্ধতি ও চিকিৎসা পদ্ধতি সহজতর ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ থেকে শুরু করে জটিলতম ও বহুল ব্যয়সাপেক্ষ পর্যন্ত হতে পারে।

* ডিম্বাণু তৈরি হওয়া (অনেক কারণে ডিম্বাণু তৈরি হয় না)।

* ডিম্বনালি বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা কার্যক্রম না থাকলে।

* এন্ডোমেট্রিওসিস নামক ডিজিজের ফলে।

* জরায়ুতে টিউমার হলে।

* জরায়ুগ্রীবার শুক্রাণুর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ভাব থাকলে।

পুরুষদের মুখ্য কারণ হল

* শুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকলে।

* শুক্রাণুর আকৃতি স্বাভাবিক না থাকলে।

* শুক্রাণুর চলাচল স্বাভাবিক না থাকলে।

* শুক্রাণু অনুপস্থিত থাকলে।

* মিলনে স্বামীর অক্ষমতা থাকলে।

এ ছাড়া সম্মিলিত সমস্যার কারণে না হতে পারে এবং কখনও কখনও উভয়ের কোনো কারণ ছাড়াই সন্তান না হতে পারে। যখন কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পাওয়া যায়, তখন তাকে ব্যাখ্যাহীন বন্ধ্যত্ব বলে।

চিকিৎসা

বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। মানবজাতির স্বাভাবিক প্রজননের হার অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে অনেক কম। জনসংখ্যা বিস্ফোরণের দেশে বাস করে এ কথা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি এটিই যে ১০০ জন দম্পতি যাদের কোথাও কোনো সমস্যা নেই তারা তাদের প্রজনন সময় একত্রে বসবাস করলেও মাসে গর্ভসঞ্চার হবে মাত্র ২০ জনের। স্ত্রীর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ হার আরও কমতে থাকে। সন্তান ধারণে ব্যর্থ হলে স্বামী-স্ত্রীর কোথাও না কোথাও সমস্যা বিদ্যমান থাকা স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা করে প্রজননের হার স্বাভাবিক হারের চেয়ে কম বই বেশি করা দুরূহ ব্যাপার। আর সে জন্যই বন্ধ্যত্বের চিকিৎসা হল ধাপে ধাপে চিকিৎসা। বিভিন্ন ধাপের কোনো এক ধাপে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়। এই ধাপে ধাপে চিকিৎসার জন্যই চিকিৎসার সময় দীর্ঘায়িত হয়। অন্য কোনো অসুস্থতার মতো চট করে এটির সমাধান দেখা যায় না। তবে অবশ্যই স্ত্রীর বয়সের দিকে এবং বন্ধ্যত্বের কারণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

17/02/2022

বন্ধ্যা কাকে বলে, কেন হয়, কী করবেন?
ডঃ মোঃ জামান খান ফোন 01717-499374

বিবাহিত দম্পতিদের সন্তান না হওয়ার বিড়ম্বনা সব সমাজেই বিদ্যমান। সাধারণত ২০-৩৫ বছর বয়স্ক দম্পতিরা একত্র স্বামী-স্ত্রী হিসেবে জীবনযাপন করেন এবং কোনো ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণের সাহায্য না নিয়ে যদি এক বছরের মধ্যে সন্তান উৎপাদনে সক্ষম না হন তাহলে তাদের বন্ধ্যত্ব হয়েছে বলা যাবে। যদি স্ত্রীর বয়স ৩৫ কিংবা তার বেশি হয় তাহলে সময়সীমা (দাম্পত্য জীবন) হবে ছয় মাস। এক সমীক্ষায় জানা যায়, ২০-৪০ বছর বয়সের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ২০ শতাংশ সন্তান উৎপাদনে অক্ষম।
সন্তানহীন দম্পতিদের মধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষের দোষেই এটি হয়ে থাকে। অথচ সন্তানহীনতার দায় অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের বহন করতে হয়। অনেক মেয়েকে এ জন্য অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয় পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে। সন্তানহীনতার অভিযোগে স্ত্রীকে ত্যাগ করে অনেক স্বামী আবারো বিয়ে করে থাকেন সন্তানের আশায়। কিন্তু বাস্তবে সন্তান না হওয়ার দায় কেবল স্ত্রীর নয়, স্বামীরও। তাই সন্তানহীন দম্পতির পরীক্ষার সময় স্বামী ও স্ত্রী উভয়কেই ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত।
এখানে সন্তানহীনতার বিষয়টিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হলেও ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে এর প্রকৃত কারণ বোঝার দরকার আছে। কুরআনের সূরা আশ-শূরার ৪৯-৫০ আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তায়ালারই। তিনি যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান ও যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদের দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয়ই তিনি সর্বজ্ঞ ও ক্ষমতাশীল। তাই যারা মুসলিম তাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানের কারণ উপাত্ত জানার পরেও কুরআনের আলোকে বিষয়টিকে বুঝতে হবে। এ জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকেও দেখা যাচ্ছে স্বামী-স্ত্রী সব দিক থেকে স্বাভাবিক হলেও নিয়ন্ত্রণহীন নিয়মিত সহবাস করলেও যে তাদের সন্তান হবেই, এ কথা বলা যায় না। সুস্থ, স্বাভাবিক ও ইচ্ছুক দম্পতিদের সন্তান কবে হবে তা সব সময় বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে সব সময়ই কিছু অনিশ্চয়তা থেকে যায়।
তাই কুরআনের ওই সিদ্ধান্তকেই সবার স্মরণে রাখা উচিত। আমরা জেনেছি, বছরব্যাপী স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবনে সন্তান না এলে তাকে বন্ধ্যত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যেসব ক্ষেত্রে মহিলার গর্ভসঞ্চার হচ্ছে; কিন্তু জীবিত সন্তান প্রসব হচ্ছে না। এটি এক ধরনের বন্ধ্যত্ব। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত স্বামীর ত্রুটি থাকে না। যেসব ক্ষেত্রে গর্ভধারণ একবারে হয়নি, সেখানে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ত্রুটি থাকতে পারে। আবার অনেক সময় প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দম্পতির ইচ্ছা এবং চেষ্টা সত্ত্বেও বিলম্বিত হয়। এ-ও এক ধরনের বন্ধ্যত্ব। একে সাময়িক বন্ধ্যত্ব বলা হয়।
পুরুষের যেসব অসুখের কারণে স্ত্রীর সন্তান লাভ সম্ভব হয় না তার মধ্যে রয়েছে, অন্তস্রাবী গ্রন্থির অসুখ, যেমন হাইপোথ্যালামাসের রোগ কলম্যানস সিনড্রোম। এটি একটি বংশগত রোগ। পিটুইটারি গ্রন্থির অসুখ, যেমনÑ টিউমার, সিস্ট প্রভৃতি। থাইরয়েড হরমোনের অভাব বা মিক্সিডিমা। এ ছাড়া রয়েছে জিন ঘটিত কারণ, যেমন প্রকৃত যৌনগ্রন্থির অভাব, জন্মগতভাবে অণ্ডকোষ না হওয়া ইত্যাদি। আবার ক্লাইন ফেলটার সিনড্রোম নামে এক প্রকার ক্রোমজমের অসুখের ফলেও শুক্রকীটের অভাব হতে পারে।
অন্তস্রাবী গ্রন্থি ছাড়াও আরো অনেক কারণে পুরুষ বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে পুষ্টির অভাব, বিশেষত ভিটামিন বি ও ই। অতিরিক্ত ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ পান। অতিরিক্ত গরমে যারা কাজ করেন যেমনÑ বাস, ট্রাকচালক, খনি শ্রমিক। তাদের শুক্রকীটের জন্ম ও বৃদ্ধির জন্য একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার প্রয়োজন। ভেরিকোসিল, জীবাণু সংক্রমণ, মাম্পসের কারণে অণ্ডকোষের প্রদাহ, গনোরিয়া, যক্ষ্মা, কিডনি, মূত্রনালী বা মূত্রাশয়ের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস মেলাইটাস, শুক্রকীটের গতিপথে কোনো প্রকার বাধা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব প্রভৃতি কারণেও পুরুষের বন্ধ্যত্ব হতে পারে। ক্যান্সারের ওষুধ ব্যবহার, মানসিক অবসাদের ওষুধ, ম্যালেরিয়ার ওষুধ, কিছু উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, বিকিরণ বা রে, ইত্যাদিও বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে। বন্ধ্যত্বের এসব জানা কারণ ছাড়াও ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো কারণ পাওয়া যায় না। এ জন্য নিঃসন্তান দম্পতিদের চিকিৎসায় রোগীর ইতিহাস খুব গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের ইতিহাসে তার শৈশব ও বাল্যকালের অসুখ, পুরনো ও দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, পারিবারিক অসুখ, পেশা, ধূমপান, মদ পানের ইতিহাস, ওষুধের নেশা, শল্য চিকিৎসা ও আঘাতের বিবরণ এবং বিবাহিত জীবনের ইতিহাস। পুরুষের বীর্য পরীক্ষা ছাড়াও প্রয়োজন হতে পারে টেসটিসের বাইয়পসি, বীর্য কালচার, বিভিন্ন হরমোনের পরিমাণ, ক্রোমজম পরীক্ষা প্রভৃতি।
মহিলাদের যেসব কারণে বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে যেমনÑ যেকোনো দীর্ঘস্থায়ী অসুখ, পুষ্টির অভাব বা অতিরিক্ত মেদবহুল, আতঙ্ক বা ভয়, জরায়ু মুখের অসুখ, জরায়ুর অসুখ, জন্মগতভাবে জরায়ু না থাকা বা ছোট জরায়ু, এক বা দুই শৃঙ্গযুক্ত জরায়ু, দুই ভাগে বিভক্ত জরায়ু, জরায়ুতে জীবাণুর সংক্রমণ (টিবি, গনোরিয়া), জরায়ুতে টিউমার প্রভৃতি।
মহিলাদের বন্ধ্যত্বের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, যা সাধারণত ৩০-৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা দেয়। বিলম্বে বিবাহ ও সন্তানসম্ভবা বিলম্বিত করা এর একটি প্রধান কারণ। এর প্রধান কারণ ঋতুস্রাবের সময় ব্যথা, যৌন মিলনে ব্যথা, তলপেটে ব্যথা। ডিম্বনালীর অসুখের কারণেও বন্ধ্যত্ব হতে পারে। ডিম্বনালীর প্রধান কাজ ডিম্বাণু ও শুক্রকীটের মিলনের স্থান ঠিক করা

এবং ভ্রƒণের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের সৃষ্টি করা। এই ডিম্বনালী যখন জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত হয় তখন এর শ্লেষ্মাঝিল্লির ক্ষতি হয়। আমাদের দেশে টিবি, গনোরিয়া, স্ট্যাফাইলোকক্কাস, স্ট্রেপ্টোকক্কাস, বিকোলাই প্রভৃতি জীবাণুর সংক্রমণ ডিম্বনালীতে বেশি হয়ে থাকে। শল্যচিকিৎসার কারণেও ডিম্বনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেমনÑ ডি অ্যান্ড সি, অ্যান্ডোমেট্রিয়াল বাইয়পসি বা অ্যাপেন্ডিক্সের অপারেশনের ফলেও ডিম্বনালীর অসুখ হতে পারে।
হরমোনের অভাবেও বন্ধ্যত্ব দেখা দেয়। মহিলাদের ঋতুচক্র এবং ডিম্বাণু নির্গত হওয়া নানা অন্তস্রাবী গ্রন্থির হরমোনের ওপর নির্ভরশীল। এর যেকোনো হরমোনের অভাবে তাই বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে। যেমনÑ হাইপোথেলামসের আঘাত, টিউমার, পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার, অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির টিউমার, থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ, ডিম্বাশয়ের অসুখ-টিউমার, সিস্ট ইত্যাদি কারণে হরমোনের গোলমাল দেখা দিয়ে থাকে।
নারীর শরীরজাত অ্যান্টিবডি অনেক সময় পুরুষের শুক্রকীট ধ্বংস করে দেয় বা শুক্রকীটের জরায়ুর মুখে প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। এই অ্যান্টিবডি পুরুষের রক্ত বা বীর্যে এবং মেয়েদের রক্ত বা জরায়ুমুখের শ্লেষ্মাঝিল্লিতে পাওয়া যায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, মানসিক চাপ। অত্যধিক মানসিক চাপ বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখন একমত। এমনকি সন্তান লাভের অদম্য বাসনাও সন্তান ধারণে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য সন্তান লাভে ইচ্ছুক দম্পতিদের সম্পূর্ণ স্বাভাবিক মানসিক ও শারীরিক অবস্থাতেই সন্তান লাভের চেষ্টা করা উচিত। তাই কোনোরূপ ভয়, আতঙ্ক ও দুশ্চিন্তা না করে মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করে সন্তান লাভের চেষ্টা করলে তারা সফল হতে পারবেন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথি একটি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান। বিজ্ঞ চিকিৎসক, যারা এ বিষয়ে প্রশিক্ষিত, তারা নিঃসন্তান দম্পতিদের চিকিৎসা দিতে পারেন। এ ব্যাপারে বাজারে যেসব বাণিজ্যিক প্রচারণা রয়েছে তাতে প্রলোভিত না হয়ে আধুনিক উচ্চশিক্ষিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে তিনি রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, চিকিৎসায় যারা গ্যারান্টি দেবে তারা আপনার সাথে প্রতারণার আশ্রয় নেবে। সঠিক কারণ নির্ণয় করে সঠিক পদ্ধতিতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করলে নিঃসন্তান দম্পতিরা উপকার পাওয়ার আশা করতে পারেন।

17/02/2022

পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারণ
ডঃ মোঃ জামান খান ফোন 01717-499374

আধুনিক বিশ্বে পুরুষের বন্ধ্যাত্বের হার বেড়েছে। আমাদের দৈনন্দিন খাবার, অভ্যাস এবং এমন কিছু কাজ আছে, যেগুলো পুরুষকে বন্ধ্যা করে দিচ্ছে। নিচে এই কাজগুলো দেয়া হলো;

♣১. ধুমপানের মতো বদভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত রোগের সংখ্যা প্রচুর। এই তালিকায় বিস্ময়করভাবে যোগ হয়েছে বন্ধ্যাত্ব। ধুমপায়ীদের মধ্যে ১০-৪০ শতাংশই নিম্ন প্রজনন ক্ষমতার হয়ে থাকেন। এতে ধীরে ধীরে বন্ধ্যাত্বে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

♣২. আটোসাটো আন্ডারওয়ার পরলে পুরুষের অস্ট্রোজেন হরমোনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই হরমোনটি যেহেতু শুক্রানু তৈরির বিষয়টিকে প্রভাবিত করে, তাই আটোসাটো আন্ডারওয়ার পড়লে সেটা ক্ষতি ডেকে নিয়ে আসতে পারে।

♣৩. মোবাইল ফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে গেছে। এটা হয়তো আমাদের একঘেয়েমি কাটাতে বেশ উপকারী। কিন্তু, মোবাইল ফোন বিশেষ করে স্মার্টফোন অধিক সময়ের জন্য কাছে রাখলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ মোবাইল ফোনে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয় যেটা শুক্রানোর গুণাগুণে প্রভাব ফেলতে পারে।

♣৪. মিষ্টি দেখলে হয়তো আপনার জিভে জল এসে যায় কিন্তু, সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এটা আপনার স্পার্মের পরিমাণ ও গুণাগুণে প্রভাব ফেলতে পারে! অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

♣৫. ল্যাপটপ এখন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি হয়তো মাঝে মাঝে কোলে নিয়ে কাজও সারেন। কিন্তু, এটা সত্যিই অনেক ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনি বেখেয়ালে যখন কোলে তুলে ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন, তখন হয়তো খেয়াল করেননি ল্যাপটপের রেডিয়েশন আপনার স্পার্মের ক্ষতি করছে, গুণাগুণ নষ্ট করছে। কোলে নিয়ে ল্যাপটপের অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে শঙ্কা চিকিৎসকদের।

♣৬. প্রক্রিয়াজাত দুধ এবং অল্প ফ্যাটের পনির আপনার বড় শত্রু হতে পারে। অনেকে ওজন কমানোর জন্য এগুলো খেয়ে থাকেন কিন্তু, এটা পুরুষের শুক্রাণু ও নারীর ডিম্বানুর ওপর বড় আকারে প্রভাব ফেলে। এজন্য সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

17/02/2022

বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির সাফল্য।
ডঃ মোঃ জামান খান ফোন 01717-499374

বন্ধ্যাত্ব কি ?
বন্ধ্যাত্ব নিজে কোন রোগ নয় অন্য রোগের প্রতিক্রিয়াতেই এইরোগ হয়ে থাকে।
জরায়ুতেটিউমার,স্বাদা স্রাব,ক্ষত,জরায়ু সংকোচন,মেদভুরী,এবং অন্যকোন রোগ যাহা স্ত্রীলোককে দুর্বল করে বন্ধা করে ফেলে।অসাস্হকর পরিবেশে ও অপুষ্টিকর খাদ্যের জন্যও স্ত্রীদের সন্তান উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়।শরীরের প্রাকৃতিক বিধান জনিত কারনে বন্ধ্যাত্ব হলে কোন চিকিৎসাতেই সফল হয় না।কিন্তু অন্যরোগের পরিনামে বন্ধ্যাত্ব হলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় আরোগ্য হয়ে স্তান জন্ম দিতে সক্ষম হয়। নারীর মনের বাসনা একজন মা হওয়া।কোন কারনে মা হতে না পারা খুবই কষ্টের ।মাতৃত্বেই নারীর পুর্নতা।নারীর আজীবনের লালিত স্বপ্ন একটি সন্তান লাভ।যার সন্তান হচ্ছেনা তার কষ্ট সে ছাড়া কেউ জানে না।সন্তানের আশায় নারী পুরুষ উভই পাগলের মত দিকবেদিক ছুটতে থাকেন।নানা আপচিকিৎসার ফলে সন্তানের আশায় নিজের জীবন বিষময় করে ফেলেন।চিকিৎসা।নেওয়ার পুর্বেই বন্ধ্যাত্ব সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা থাকা প্রয়োজন।চিকিৎসার প্রথমেই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো রোগের কারন নির্নয় ও কারন অনুযায়ী প্রাকৃতিক চিকিৎসা নেয়া।চিকিৎসকের কাছে রোগের বর্ণনা দেয়ার প্রয়োজনের কথা বিবেচনায় নিচে রোগের কারনসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
সন্তানের জন্ম দিতে অসামর্থকে বন্ধ্যাত্ব বলা হয়।যে সমস্ত স্ত্রীলোক এক বা ্একাধিক কারনে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা বিলুপ্ত হইয়া যায় তাহাকে বন্ধ্যা বলে।
প্রাচিন কামশাস্ত্রে ১২ প্রকার বন্ধাত্বের উল্লেখ রয়েছে।নারী বায়ু,পিত্ত, কফস এই ত্রিদোষের কারনে বন্ধ্যা হয়।রক্ত দোষ জনিত রোগসমুহ।ভূতজ বা জীবানু ঘটিত সার্ব দৈহিক রোগ সমুহ।দৈবকৃত বা মৃত ও অভিচারজ জন্ম দাত্রী । প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী নারীর
বন্ধ্যাত্বের প্রকারভেদঃ
১)আদিবন্ধা
২)কাকবন্ধা
৩)গর্ভস্রাবিনী।
গর্ভোৎপত্তির জন্য চারটি উপাদান প্রয়োজন।যথা:**ঋতু **ক্ষেত্র **জল **বীজ।
এই চার বস্তুর সান্নিধ্যে বীজ হইতে অঙ্কুর উৎপত্তিহয়।এই প্রকার ঋতুকাল গর্ভাশয় মাতৃশরীরে রস ও বীজ (শৈুক্রানু ও ডিম্বানু )সমাবেশে নারীতে গর্ভোৎপত্তি হয়।এই চারটি বস্তুর কোন একটি বা একাধীক বস্তুর অভাব বা বিকৃতি হইলে সন্তান উৎপত্তি হয না।সন্তান লাভের জন্য নারী ও পুরুষ উভয়েরই সক্ষমতা থাকতে হবে।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের কারনসমুহঃ
পুরুষের অক্ষমতা গুলো শুক্রানুর অভাব অথবা বিকৃতি,শুক্রাণুর গতিহীনতা,বীজবাহিনীর অবরোধ,পুরুসাঙ্গ ছোট বা যোনি ছেদন করিতে অক্ষম,সঠিক সময়ের পুর্বেই বীর্যপাত, অন্তকোষ না থাকা ও যৌনরোগাক্রান্ত হওয়া ইত্যিাদি কারনে পুরুষেরা সন্তান দানে অসমর্থ হয়।পুরুষের অন্ডগ্রন্হি হতে নির্গত শুক্রানুর সুস্হতার অভাব ও মৈথুনের অক্ষমতা এই দুইটি কারনের জন্য যেহেতু পুরুষ সন্তান উৎপাদনে অসমর্থ হয সেই হেতু এই কারনের পিছনে যে সকর রোগদায়ী তাহার চিকিৎসা জরুরী।
নারীর বন্ধ্যাত্বের কারনঃমানসিক কারনসমুহ যেমন মৈথুনের সময়ে মানসিক অস্হিরতা,দাম্পত্য কলহ,পারিবারিক অশান্তি,মানসিক আঘাত ইত্যাদি।মৈথুন বিষয়ে বিঘ্ন যেমন মৈথুন সহ্য না হওয়া,মৈথুন বিদ্বেষ,মৈথুন ইচ্ছাহীনতা।জননাঙ্গ সম্বন্ধীয় বিকৃতি যেমন গর্ভাশয় একেবারে ছোট অথবা সংকীর্নতা,বীজগ্রন্হির অভাব।শোধ অবরোধ যেমন -গনেরিয়া বা অন্যকোন যৌণ রোগ দ্বারা শোধ,অম্লস্রাব,মৈথুন শেষে শুক্রানু বের হয়ে আসা,গর্ভাশয়ের রোগসমুহ,গর্ভাশয়ের বিকৃতি বীজবাহিনীর অবরোধ ও বিকৃতি বা টিউমার হওয়া ইত্যাদি।দৈহিক অপুষ্টি,রক্তহীনতা,হরমোন জনিত গোলযোগ ইত্যাদি কারনে নারীর সন্তান হয়না।
সম্ভাব্য কারন নির্নয় করে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দ্বারা সুফল পাওয়া যায়।হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এই ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল।

নারীর বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধসমুহের লক্ষণভিত্তিক আলোচনা ঃ

কালোফাইলম:সাদা স্রাবের কারনে নারী গর্ভধারনে অসমর্থ হলে কলোফাইলম উপযোগী।
নেট্রাম কার্ব:স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর স্বামীর বীর্য স্রীর যোনি হইতে বাহির হইয়া আসে বিধায় স্তান লাভ করতে অসমর্থ হয় তবে নেট্রাম কার্ব উপযোগী।
হেলোনিয়াস:অতত্যন্ত খিটখিটে স্বভাব,গভীর বিষাদপুর্ন।জরায়ুর নানা রোগ ভোগগের কারনে সন্তান না হলে এ ঔষধটি উপযোগী।
কোনিয়াম:নারীর অনিয়মিত মাসিক,মাসিক কম,মাসিকের সময় স্তনে বেদনা এই লক্ষণ সমষ্টি যে নারীর মাঝে পাওয়া যায় তার জন্য উপযোগী।
অরাম মিউর নাট:জরায়ু রোগাক্রান্ত রোগিনীর জন্য অরাম মিউর নাট উপযোগী।জরায়ুতে ছোট ছোট টিউমার,বেশী বেশী রক্ত প্রদর ইত্যাদি লক্ষনে উপযোগী।
বোরাক্স:ডিমের সাদা অংশের মত প্রচুর সাদা স্রাব সব সময় যোনী ভিজিয়া থাকে।চুল জরিয়ে যায়,উপর হতে নিচে নামতে ভয় নেই বন্ধ্যা নারীল জন্য উপযোগী।
অরাম মেট:সন্তান না হওয়ার কারনে ভীষণ মনোকষ্ট,সর্বদা মনমরা,সন্তান পাওয়ার চিন্তা সবসময় চিন্তিত সেইরোগীর জন্য অরাম মেট উপযোগী।
এগনাস্টাস ক্যাকটাস:যে রমনীর মাসিক অনিয়মিত,স্বল্পস্রাব,সাদা বা হলুদ প্রদর স্রাব কাপড়ে দাগ পরে সেই নারীর বন্ধ্যাত্বের জন্য উপযোগী।
উথানিয়া:ইহার অপর নাম অশ্বগন্ধা এই ঔষধটি নিয়মিত বন্ধ্যা নারীকে নিয়মিত দিলে সে সন্তান লাভের উপযোগী হয়।এ ঔষধটি সেবনে নারীর স্বাস্হ্য সবল হয় ডিম্বানু উৎপন্ন হয় ও সন্তান লাভের উপযুক্ত হয়।
আয়োডিয়াম:রাক্ষুষে ক্ষুধা রোগিনী ঠিকমত খায় কিন্তু শরীর ক্রমশ: শুকাইয়া যায়।স্তন শুষ্ক,ডিম্বকোষ,জরায়ুর রোগ ভোগ ইত্যাদির কারনে নারী সন্তান উৎপাদনে অসমর্থ হলে আইয়োডিয়াম উপযোগী।
প্লাটিনা:রোগিনী প্রবল কামাতুর,নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে তলপেটে একটি জীবিত কোন বস্তুর নড়াচড়া অনুভব করেনমণ মণ সর্বদা পরিবর্তনশীল এই রমনীর জন্য প্লাটিনা উপযোগী।
পালসেটিলা:নম্র স্বভাবের রমনী,ক্রন্দনশীল,মন পরিবর্তনশীল,জরায়ু তলপেট,কোমর বেদনায় কাতর,বাধক বেদনা মাসিক কম ইত্যাদি লক্ষণ সমষ্টি যে নারীর মাঝে পাওয়া যায় তার জন্য পালসেটিলা উপযোগী।

জরায়ু ও ডিম্বাশয়ের বিকৃতির জন্য অধিকাংশ স্ত্রীলোক বন্ধ্যা হইয়া থাকে।এই জন্য জন্য সকল লক্ষণ বিবেচনায় ঔষধ প্রয়োগ জরুরী।ধাতু দোষের কারনে ও বন্ধ্যাত্ব হতে পারে তাহার জন্য
ক্যালকেরিয়াকার্ব,সিমিসিফুগা,ব্যাসিলিনাম,ফেরামমেট,ডাস্কোরিয়া,ফসফরাস,এসিডফস,স্যাবাইনা,সিপিয়া,সালফার প্রভৃতি ঔষধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
নারীর বন্ধ্যাত্বের বাইয়োকেমিক চিকিৎসাঃ
নেট্রামমিউর:লবনপ্রীয় রোগীনির মাসিকের গোলযোগ,সহবাসে অনিচ্ছাসহ নেট্রাম মিউরের সার্বলাক্ষনিক।বিবেচনায় যদি নেট্রাম মিউরের উপযোগী রোগী হয় তবে এ ঔষধটি একটি মুল্যবান ঔষধ।মাত্রা: ২০০শক্তির ৪ বড়ি দিনে ২বার আহারের পরে।
ক্যালকেরিয়া ফ্লোর:জরায়ুতে টিউমার,পলিপাস সাদাস্রাব ও ওভারীর রোগসমুহ যে রোগীর মাঝে আছে সেই।রোগীর জন্য ক্যালকেরিয়া ফ্লোর উপযোগী।মাত্রা: ২০০শক্তির ৪ বড়ি দিনে ২বার আহারের পরে।
সাইলেসিয়া:ঋতুর পরিবর্তে সাদাস্রাব,স্রাবের পরিমান অনেক বেশী,হাজাকারক,স্রাব হওয়ার আগে তলপেটে বেদনা অনুভব ,ফেলোপিয়ান টিউবে পুজ বা পানি জমা।যোনি ফোলা,স্রাবে অত্যন্ত দুর্গন্ধ,অনিয়মিত মাসিক ,ইত্যাদি লক্ষন যে রেগিনীর মাঝে আছে তার জন্য অত্যন্ত প্রযোজনীয় ঔষধ।মাত্রা: ২০০শক্তির ৪ বড়ি দিনে ২বার আহারের পরে।
ক্যালকেরিয়া ফস:জরায়ুর দুর্বলতা,মনে হয় জরায়ু নিচে নেমে যাচ্ছে,পায়খানা প্রস্রাবের পরে রোগ বেশী মনে হয়,জরায়ুর স্হানচ্যুতি।সাদা স্রাব দুধেরমত সাদা।মাসিকের পরে সাদা স্রাব।মাসিকের রং কখনও লাল কখনও কাল ইত্যাদি রোলক্ষন যে রোগিনীর মাঝে পাওয়া যাবে তার জন্য ক্যালকেরিয়া ফস উপযোগী।মাত্রা: ২০০শক্তির ৪ বড়ি দিনে ২বার আহারের পরে।
নেট্রাম ফস:জরায়ু ও যোনির স্রাহ হলুদ,পাতলা,অম্ল গন্ধ যুক্ত ঘ্রানে বমি আসলে সেই রোগিনীর জন্য নেট্রাম ফস অত্যন্ত উপযোগী ঔষধ।মাত্রা: ৬,১২শক্তির ৪ বড়ি দিনে তিন বার আহারের পরে।
বন্ধ্যাত্বের মুল কারন অনুসন্ধান করিয়া তার প্রতিকার প্রয়োজন।বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা একটি জটিল ব্যাপার।বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার জন্য সময়ের প্রয়োজন।নারীর বন্ধাত্ব চিকিৎসার সফলতার জন্য নারীর সুস্হ্যতা প্রয়োজন এ জন্য পুষ্টিকর খাদ্য যেমন ঘী ও দুগ্ধজাত দ্রব্য পথ্য দিলে প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বন্ধাত্ব রোগীর চিকিৎসা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to বন্ধাত্ব রোগীর চিকিৎসা:

Share

Category