𝗛𝗲𝗮𝗹𝘁𝗵 𝗧𝗶𝗽𝘀 + 𝗠𝗲𝗱𝗶𝗰𝗶𝗻𝗲

17/10/2025

একজন পুরুষকে কয়েক মাস ধরে “ভয়াবহ ব্রণ” হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
অ্যান্টিবায়োটিক, ক্রিম, এমনকি স্টেরয়েড পর্যন্ত দেওয়া হলো — কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হলো না।
বরং ব্যথাযুক্ত গোঁটা ছড়িয়ে পড়তে লাগল গাল, চোয়াল আর হাতে।

শেষে বায়োপসি করার পর জানা গেল
এটা ব্রণ নয়, ত্বকের যক্ষ্মা (Cutaneous Tuberculosis)।

Cutaneous TB কীভাবে হয়?
এটি একই জীবাণু (Mycobacterium tuberculosis) দ্বারা হয়, যা ফুসফুসে যক্ষ্মা সৃষ্টি করে।
এই ক্ষেত্রে জীবাণুটি ত্বকের ছোট ক্ষত বা কাটার মাধ্যমে ঢুকে রক্তের মাধ্যমে শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।

এর লক্ষণগুলো একেবারেই আলাদা:
• ত্বকের গভীরে শক্ত, ব্যথাযুক্ত গোঁটা (nodule) তৈরি হয়
• ধীরে ধীরে তা পুঁজভর্তি ক্ষতে পরিণত হয়
• আক্রান্ত জায়গা কালচে বা ঘন হয়ে যায়
• সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক বা ক্রিমে ভালো হয় না

প্রতিটি ব্রণ, গোঁটা বা ক্ষত মানেই “সাধারণ ইনফেকশন” নয়।
কিছু সংক্রমণ, যেমন যক্ষ্মা, ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকে
ডাক্তার যদি “বাক্সের বাইরে” না ভাবেন, রোগ ধরা পড়ে না।

সময়ে সঠিক পরীক্ষা (যেমন বায়োপসি বা টিবি টেস্ট) করলে বিকৃতি এড়ানো সম্ভব,
আর চিকিৎসা শুরু করলে পুরোপুরি সুস্থ হওয়াও যায়।

সব ক্ষত এক নয়, সব ব্রণও নয়।
সচেতন থাকুন, কারণ ত্বকের নীচে লুকিয়ে থাকতে পারে এমন এক রোগ, যা চোখে ধরা পড়ে না

শেয়ার করুন,হোক সচেতন প্রিয়জন
Dr-Abdur Rahman

14/10/2025

Antibiotics and it's use in different systems

14/10/2025

কম বয়সে হাড় ক্ষয়ে যাওয়া একটা কমন অসুখ,। এখন তার কারণ জেনে নিয়ম মেনে চলুন সুস্থ থাকুন ✅

13/10/2025

🌿 নিম পাতার গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা
1. চুল পড়া কমায় ও খুশকি দূর করে – নিম পাতার রস চুলে লাগালে স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকে।

2. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়।

3. ত্বকের রোগে কার্যকর – একজিমা, চুলকানি, ব্রণ ও ফোঁড়ায় খুব উপকারী।

4. পেটের কৃমি দূর করে – প্রাকৃতিকভাবে কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।

5. দাঁত ও মাড়ির যত্নে সহায়ক – নিম পাতা বা নিমের ডাঁটা চিবালে মুখের ব্যাকটেরিয়া নাশ হয়।

6. ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

7. জ্বর ও ভাইরাস সংক্রমণ কমায় – অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে।

8. যকৃত (লিভার) পরিষ্কার রাখে – লিভারের টক্সিন দূর করে স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখে।

9. রক্ত পরিশোধক – রক্তের বিষাক্ত উপাদান দূর করে ত্বক ও শরীরকে সুস্থ রাখে।

10. প্রদাহ কমায় – শরীরে ব্যথা, ফোলা বা প্রদাহে উপকারী।

11. অ্যালার্জি ও চুলকানি কমায়

12. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে

13. মলদ্বার ও গোপনাঙ্গের ইনফেকশন প্রতিরোধ করে

14. হাত-পায়ের ঘা শুকায়

15. মশা ও কীটপতঙ্গ দূরে রাখে

---

🍵 নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম

🔹 ১. কাঁচা পাতা খাওয়া:

সকালে খালি পেটে ৫–৭টি কচি নিম পাতা ভালোভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায়।

পরে পানি খেতে হবে।

🔹 ২. নিম পাতার রস:

১০–১৫টি নিম পাতা পানিতে বেটে ছেঁকে ১ চামচ রস সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।

একটু মধু মিশালে তিতকুটে ভাব কমে।

🔹 ৩. নিম চা:

কিছু শুকনো নিম পাতা গরম পানিতে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ছেঁকে পান করুন।

এটি শরীর ঠান্ডা রাখে এবং রক্ত পরিষ্কার করে।

🔹 ৪. বাহ্যিক ব্যবহার:

নিম পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে গোসল করলে ত্বকের চুলকানি, ফুসকুড়ি ও একজিমায় উপকার হয়।

চুলে লাগানোর আগে নিম পাতা বেটে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন।

---

⚠️ কারা নিম পাতা খেতে পারবে না

1. গর্ভবতী নারী – গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায়।

2. দুধপান করানো মা – শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

3. অতিরিক্ত রক্তচাপ বা শর্করার রোগী – ওষুধ খেলে নিম রক্তচাপ বা শর্করা অতিরিক্ত কমিয়ে দিতে পারে।

4. শিশুরা (১০ বছরের নিচে) – খুব অল্প পরিমাণ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।

5. লিভার বা কিডনির রোগী – চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।

6. অতিরিক্ত সেবন করলে – বমি, মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা হতে পারে।

12/10/2025

❌সতর্ক হোন। বেশি খোচালে, বধীর হবেন।💯💯

আমরা ভাবি, কটন বাড কান পরিষ্কার করে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ঠিক এর উল্টোটা! এটি কানের ময়লাকে ঠেলে কানের পর্দার আরও কাছে নিয়ে যায়, যা সাধারণ প্রক্রিয়ায় আর বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলাফল? 🥲

১. ময়লা জমতে জমতে কানের ভেতরে শক্ত জট (Impacted Wax) তৈরি হয়, যা আপনার শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং কানে তীব্র ব্যথা হতে পারে।

২. কানের ভেতরের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। কটন বাডের সামান্য আঘাতেও সেখানে ঘা হতে পারে। এই ক্ষত থেকে রক্তপাত, চুলকানি এবং মারাত্মক ইনফেকশন (Otitis Externa) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৩. অসাবধানতাবশত সামান্য জোরে খোঁচা লাগলেই কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে, এটি কানের ভেতরের সূক্ষ্ম হাড়গুলোকে পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা আপনাকে সাময়িক বা এমনকি স্থায়ীভাবে বধির করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের কানের ময়লা বা খোল (Earwax) আসলে কানের সুরক্ষা কবচ। এটি বাইরে থেকে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়াকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। কান প্রাকৃতিক নিয়মেই নিজে থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, তাই আলাদা করে পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই।

এরপরও কানে বেশি অস্বস্তি হলে বা কম শুনলে, নিজে চিকিৎসা না করে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

12/10/2025

#সোরিয়াসিসের প্রকারভেদ:-

1/ Plaque Psoriasis (প্লাক সোরিয়াসিস)
সবচেয়ে সাধারণ ধরন (প্রায় ৮০-৯০% রোগী এই ধরনের)। ত্বকে উঁচু, লালচে দাগ যার ওপর সাদা বা রূপালি খোসা থাকে।
সাধারণত কনুই, হাঁটু, মাথার ত্বক ও পিঠে বেশি হয়।

2/ Guttate Psoriasis (গুটেট সোরিয়াসিস)
ছোট ছোট ফোঁটার মতো দাগ হয়, অনেকটা ফুসকুড়ির মতো।
সাধারণত শিশু ও তরুণদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অনেক সময় গলা বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের পর দেখা দেয়।

3/ Inverse Psoriasis (ইনভার্স সোরিয়াসিস)
ত্বকের ভাঁজে (যেমন বগল, কুঁচকি, স্তনের নিচে) দেখা দেয়।
লালচে ও চকচকে দাগ থাকে, তবে খোসা সাধারণত কম থাকে।

4/ Pustular Psoriasis (পুস্টুলার সোরিয়াসিস)
ত্বকের ওপর সাদা পুঁজযুক্ত ফুসকুড়ি তৈরি হয়।
হাত-পায়ে বা শরীরজুড়ে হতে পারে।
এটি তুলনামূলকভাবে গুরুতর ধরণ।

5/ Erythrodermic Psoriasis (ইরিথ্রোডার্মিক সোরিয়াসিস)
এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক ও মারাত্মক রূপ।
শরীরের প্রায় পুরো ত্বক লাল, প্রদাহিত ও খোসাযুক্ত হয়ে যায়।
জ্বর, কাঁপুনি, ডিহাইড্রেশন, ও দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
এটি জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন এমন অবস্থা।

6/ Nail Psoriasis (নখের সোরিয়াসিস)
শুধুমাত্র নখকে প্রভাবিত করে।
নখ মোটা হয়ে যায়, দাগ বা গর্ত পড়ে, এমনকি নখ উঠে যেতে পারে।

যেকোনো প্রয়োজনে WhatsApp করুন
01730-663430
Dr.Ammar Hossain

12/10/2025

সিজারিয়ান অপারেশনের তিন দিন পর
মা ধীরে হাঁটছেন, শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন সবই স্বাভাবিক।
হঠাৎ গলার পাশে অদ্ভুত ফুলে যাওয়া, কণ্ঠে ফাঁপা আওয়াজ, শ্বাস নিতে কষ্ট।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো।
ডাক্তার চুপচাপ এক্স-রে দেখে বললেন

“আপনার স্ত্রীর শরীরে Surgical Emphysema হয়েছে। এটা অপারেশনের জটিলতা। ভাগ্য ভালো, আপনি দেরি করেননি…”

(ছবি দেওয়া হয়নি রোগীর প্রাইভেসির জন্য)

Surgical Emphysema কী?

এটি এমন এক বিপজ্জনক অবস্থা যেখানে শরীরের চামড়ার নিচে বাতাস জমে যায়।
যখন শরীরের ভেতরের শ্বাসনালী বা ফুসফুসে ছোট্ট একটা ক্ষত হয়, তখন সেই ফাঁক দিয়ে বাতাস ঢুকে পড়ে—
চামড়ার নিচে “ফোঁস ফোঁস” শব্দ হয়, ফুলে যায় গলা, মুখ, বুক।
সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এমনটা কেন হয়?

অপারেশনের সময় অপ্রশিক্ষিত জনবল
অপর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও অক্সিজেন সাপোর্ট
“সময় বাঁচাতে” অকারণে সিজারের সিদ্ধান্ত
পোস্ট-অপারেটিভ কেয়ার সঠিকভাবে না নেওয়া

প্রতিদিন অসংখ্য মাকে অকারণে সিজার করানো হয়—
কারণ,
সময় বাঁচে,
হাসপাতালের ব্যবসা বাড়ে,
কিন্তু কেউ ভাবে নাএকটা মায়ের জীবন হয়তো ঝুঁকির মধ্যে যাচ্ছে।

কি করলে সিজারের ভয়াবহতা কমানো যায়?

1️ সবসময় অভিজ্ঞ ও রেজিস্টার্ড গাইনোকোলজিস্টের অধীনে সিজার করান
2️ “আগে থেকেই তারিখ নির্ধারণ” করে সিজার করাবেন না
3️সম্ভব হলে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করুন
4️অপারেশনের পর গলায় বা বুকে ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, বা অস্বাভাবিক ফোঁসফোঁস শব্দ হলে দেরি না করে অবিলম্বে হাসপাতালে যান
5️যত্রতত্র ক্লিনিকে নয়—Emergency Support যুক্ত হাসপাতালে ডেলিভারি করুন

একটা সিজার মানে শুধু বাচ্চা জন্ম নয়—
এটা একটা অস্ত্রোপচার,
একটা জীবনের ঝুঁকি,
একটা মায়ের নতুন শুরুর যুদ্ধ।
আমাদের দায়িত্ব সেই যুদ্ধে তাকে নিরাপদ রাখা।

Surgical Emphysema-এর চিকিৎসা:

High Flow Oxygen
CT Scan করে extent দেখা
প্রয়োজন হলে Drain দেওয়া
ICU তে Observation
Antibiotics
মূল কারণ নির্ণয় ও চিকিৎসা

একটা সিজার করার আগে ভাবুন—
একটা ছোট্ট সিদ্ধান্ত
একটা মাকে হয়তো চিরতরে বাচ্চার মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত করে দিতে পারে...

Dr-Abdur Rahman
MBBS (Shaheed Suhrawardy Medical College)
PGT (Surgery), CCD (BIRDEM),DOC( Skin-Vd)
FCPS (Orthopedics) – FP,
Mymensingh Medical College Hospital
BMDC:A-118904

10/10/2025

জনস্বার্থে পোষ্টটি শেয়ার করে সারাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্যচিত্র জানার সুযোগ করে দিন।

আমি (রাতুল চৌধুরী ) আমার মাকে নিয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় তথা পিজি হসপিটালে যাই তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। কিন্তু যাওয়ার পরে আমরা অনেক অনিয়মের শিকার হই। যা আমি হসপিটাল দুর্নীতির মদদপুষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আমাকে আনসার বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।

আর ২০-২৫ জন আনসার সদস্য আমাকে টেনে হিছড়ে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যায়। আর তা নেওয়ার মাঝেই আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে।

পরবর্তীতে আমাকে একটা রুমে ১০/১২ জন আনসার সদস্য আর ১৫/২০ জন হসপিটালের ডাক্তাররা আমাকে লাঠি, রড দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে এক পর্যায়ে আমাকে উলঙ্গ করে মারা শুরু করে যা পরবর্তীতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই।

আমার মা প্রশাসনিক ভবনের বাহিরে চিৎকার করে বলতে থাকে তার ছেলেকে ছেড়ে দিতে। তখন তারা বলে আমি নাকি এখানে নেই, আমি নাকি গনপিটুনিতে মারা গেছি।

এভাবে দেশের কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে দুষ্কৃত কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে শারীরিকভাবে হেনস্থার শিকার হতে হয়। আমরা যদি এই অনিয়মের বিরূদ্ধে রুখে না দাঁড়াই তাহলে সমাজ ও রাষ্ট্র যুগে যুগে দুুষিত হতে থাকবে। আজ যদি অনিয়মের কাছে হেরে যাই। জানবো মানবতার কবর হয়েছে।
এমনটা তুলে ধরেছেন (Ratul Chowdhury)
ঘটনার ভিডিও লিংক কমেন্ট বক্সে দেওয়া হয়েছে।

10/10/2025

নতুন ফর্মুলায় নিয়ে আসলো গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খুবই ভালো কাজ করে গ্যাস্ট্রিকের জন্য

10/10/2025

হাতুড়ে চিকিৎসক / কোয়াক ডাক্তারের যাওয়ার পরিণতি......
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মোঃ আল-আমিন।

নিয়ামতপুরে এক হাতুড়ে ও অজ্ঞ কোয়াক এর কাছে অল্প খরচে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মারাত্মক জটিলতার সম্মুখীন হয়ে পরবর্তীতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক স্যারদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ মারা যায় হতভাগা এই তরুণ।
রোগীর লোকের ভাষ্যমতে, ছেলেটার দাঁতের ফাঁকে মাছের কাঁটা ঢুকে গেলে উপজেলার এক হাতুড়ে ডাক্তার / কোয়াকের কাছে যায়।

কোয়াক অনেক গুতাগুতি করার পর ওইদিন ছেড়ে দেয়। পরে ব্যথা বাড়লে ছেলেটি আবার কোয়াকের কাছে যায়। তখন ওই হাতুড়ে ডাক্তার দাঁত তুলে ফেলার জন্য বলে।

লোকাল দিয়ে দাঁত তুলতে গিয়ে অনেক ট্রমা করে ফেলে, (লোকাল দিতে কোন সমস্যাও করতে পারে)।
ওইদিন ছেড়ে দেয়!

পরদিন অবস্থার অবনতি হলে ছেলেটি আবার কোয়াকের কাছে যায় কিন্তু সে এটা ম্যানেজ করতে পারবে না বলে জানায় এবং রাজশাহী যেতে বলে। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই অপচিকিৎসা এবং কুচিকিৎসার মৃত্যু গুলো মেনে নেয়া কঠিন।

এই সব হাতুড়ে চিকিৎসক / কোয়াকদের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে যেন এদের অপচিকিৎসা আর কুচিকিৎসায় কোন মায়ের কোল খালি না হয়।

জনস্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদের সতর্ক করতে পারেন।

10/10/2025

🚧 ছিনতাইকারীর নতুন কৌশল!
🚨 প্রাণে বেঁচে ফিরলাম!
🏍️ বাইক রাইডারদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা।
🚨 আমার জীবনের এক মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা। 🚨
📅 তারিখ: ২৮/০৯/২০২৫ (রবিবার)
📍 স্থান: ঢাকা থেকে বগুড়া অভিমুখে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রবিবার বিকেল ৪টার দিকে আমি ঢাকা থেকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে রওনা দিই।

ঢাকার যানজট পার হতে হতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। প্রায় ৬টা থেকে ৬টা ৩০-এর মধ্যে, আমি টাঙ্গাইল এলাকার কাছাকাছি পৌঁছাই। সূর্য তখন অস্ত গেছে, চারপাশে আধো আলো আধো অন্ধকার— নামাজের সময়।
সেই সময় রাস্তা ছিল প্রায় ফাঁকা, গাড়ি খুব কম চলাচল করছিল। আমি একাই যাচ্ছিলাম, বাইকের গতি ছিল প্রায় ৮০ কিমি/ঘণ্টা।
একটি আন্ডারপাস ফ্লাইওভারের উপর উঠার পর নিচে নামার সময় ৩০০-৫০০ মিটার দূরে চোখে পড়ে দুইজন মানুষ রাস্তার বাম পাশে দাঁড়িয়ে আছে— তাদের সঙ্গে ছিল তিনটি কুকুর। প্রথমে ভেবেছিলাম, তারা হয়তো রাস্তা পার হবে।

কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি, তারা কুকুরগুলোর দিকে খাবার ছুঁড়ে মারে, আর সেই খাবার পড়ে ঠিক রাস্তার মাঝখানে। মুহূর্তের মধ্যেই দুইটা কুকুর রাস্তার মাঝখানে ছুটে আসে— তখন আমার বাইক কুকুর থেকে অল্প দূরে।

বাইক ছিল ৮৫+ কিমি/ঘণ্টা গতিতে। আন্ডারপাস থেকে নামার সময় গতি আরও বেড়ে যায়। সেই মুহূর্তটা সত্যিই ভয়াবহ— কারণ হঠাৎ কুকুরগুলো এমনভাবে আসে যে ব্রেক করে বাইক কন্ট্রোল করারও সুযোগ ছিল না।

সামান্য ভুল হলেই বড় দুর্ঘটনা হতে পারত। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দয়া , বাবা-মায়ের দোয়া আর আপনাদের ভালোবাসায় আমি ঠিক দুই কুকুরের মাঝখান দিয়ে বাইক নিয়ে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই, প্রাণে বেঁচে যাই।
কিছুদূর গিয়ে আমি বাইক থামাই, পিছনে তাকিয়ে দেখি— ওই দুই ব্যক্তি ধীরে ধীরে উল্টো দিকে হেঁটে চলে যাচ্ছে। তখনই বুঝতে পারি, এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত ছিনতাই বা জীবন নাশের ফাঁদ ছিলো।

জনসচেতনতামূলক পোস্টটি জনস্বার্থে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।

(এক বাইকার ভাইয়ের টাইম লাইন থেকে সংগৃহীত)

10/10/2025