22/09/2025
হিজামা (الحِجامة) বা কাপিং থেরাপি সম্পর্কে সহিহ হাদিসে একাধিক উল্লেখ আছে। নিচে কয়েকটি সহি হাদিস তুলে ধরছি:
১. রাসূল ﷺ হিজামা করেছেন ও সুপারিশ করেছেন
🔹 সহিহ বুখারি (হাদিস ৫৬৯৪)
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন: “নবী ﷺ হিজামা করিয়েছেন এবং হিজামা করার জন্য মজুরি দিয়েছেন।”
২. সর্বোত্তম চিকিৎসার মধ্যে হিজামা
🔹 সহিহ বুখারি (হাদিস ৫৬৯৬), সহিহ মুসলিম (হাদিস ১৫৭৭)
রাসূল ﷺ বলেছেন: “তোমরা যে চিকিৎসা কর, তার মধ্যে সর্বোত্তম হলো হিজামা।”
৩. হিজামার মধ্যে আরোগ্য আছে
🔹 সুনান আবু দাউদ (হাদিস ৩৮৫৭)
রাসূল ﷺ বলেছেন: “যদি তোমাদের চিকিৎসার কোনো কল্যাণ থাকে, তবে তা হলো হিজামায়।”
৪. ফেরেশতাদের পরামর্শ
🔹 সুনান ইবনে মাজাহ (হাদিস ৩৪৭৯)
নবী ﷺ বলেন: “আমি যখনই মি’রাজে গিয়েছি, তখনই ফেরেশতারা আমাকে বলেছে: ‘হে মুহাম্মদ, তোমার উম্মতকে হিজামার নির্দেশ দাও।’”
৫. নির্দিষ্ট সময়ে হিজামার উপকারিতা
🔹 সুনান আবু দাউদ (হাদিস ৩৮৬১)
রাসূল ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তি ১৭, ১৯, অথবা ২১ তারিখে হিজামা করবে, তার জন্য তা আরোগ্যের কারণ হবে।”
সারসংক্ষেপ:
হিজামা রাসূল ﷺ এর আমল, সহিহ হাদিসে প্রশংসিত চিকিৎসা এবং ফেরেশতাদের সুপারিশকৃত সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা। তবে এটি সব সময় অভিজ্ঞ ও দক্ষ হিজামাকারীর মাধ্যমে করানো উচিত, আর রোগ অনুযায়ী সময় ও স্থান নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।
এম. ইকবাল হুসাইন শাহেদী
হিজামা ও ফিজিওথেরাপিস্ট
প্রাক্তন ফিজিওথেরাপিস্ট,
আল-কারীম জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা
সাফা-মারওয়া হসপিটাল, ঢাকা
01711-258122 ( WhatsApp)