02/04/2024
আজ বিশ্ব অটিজম দিবস
সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাএা প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হচ্ছে ১৭ তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস।
অটিজম বিষয়টি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা। কোনো কোনো শিশুদের মধ্যে সামাজিক আচরণ, সামাজিক যোগাযোগ, সামাজিক কল্পনাজনিত সমস্যা দেখা যায়। জন্মের তিন বছরের মধ্যে শিশুর এই বিকাশজনিত সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এই সমস্যায় শিশুর বিকাশ তিনটি ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্হ হয়-
১. সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধা : অন্য কোনো ব্যক্তির প্রতি আগ্রহ না থাকা,কে কী করছে,তা নিয়ে কৌতুহল না থাকা, অন্যের আচরণ বুঝতে না পারা।
২. যোগাযোগ স্হাপনে বাধা : মুখের ভাষায় কথা বলতে না শেখা। কিছু কিছু শিশু কথা বলতে পারলেও, অন্যের সঙ্গে আলাপচারিতায় সমর্থ না হতে পারা। ইশারা-ইঙ্গিত করতে না পারা।
৩. আচরণের ভিন্নতা : পুনরাবৃত্তিমুলক আচরণ করা, একই রকমের কাজ বারবার করা, একই খেলা বারবার খেলা। অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ ও আচরণের সীমাবদ্ধতা হলো এমন শিশুদের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
এধরনের শিশুরা নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না। আনন্দদায়ক বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট হয় না বা বিশেষ আচরণ বারবার করতে চায়। যেমন: কোনো বস্তুর প্রতি অতি মাএায় আসক্ত থাকা, একভাবে হাত নাড়ানো,ভাষা রপ্তের পর ভুলে যাওয়া এদের বৈশিষ্ট্য।
দুটি কারনে অটিজম হয়ে থাকে-
১. জিনগত সমস্যা
২. পরিবেশগত সমস্যা
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে ব্যবস্হা নিলে শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হতে হতে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো - ১৮ মাস থেকে ৩৬ মাস বয়সের মধ্যে এটি শনাক্তকরণ ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিক্ষা পরিকল্পনার মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সঠিক চিকিৎসা দেয়া।
প্রধান চিকিৎসা :
১. স্পিচ থেরাপি
২. নিওরোবিহেভিওরাল থেরাপি
এছাড়াও আচরণগত ও শারীরিক সমস্যার জন্য মেডিকেল চিকিৎসা ও বিশেষ স্কুলে (প্রয়াস) দেয়া যেতে পারে।
আসুন অটিজমকে সমস্যা মনে না করে সচেতনতা সৃষ্টি করে মোকাবেলা করি সবাই।
ধন্যবাদ