Health Talk - স্বাস্থ্য কথা

Health Talk - স্বাস্থ্য কথা "Health Talk - স্বাস্থ্য কথা" is an Online Health News Portal (health-talk-bd.blogspot.com)

► আমাদের পেজটি আসলে একটি শিক্ষা মূলক পেইজ। এখানে প্রায় সব পোষ্টই শিক্ষা মূলক দেওয়া হয়।

► কোন পোষ্ট এ কমেন্ট করার সময় অবশ্যই ভদ্রতা বজায় রাখবেন। কেননা ব্যবহার বংশের পরিচয়।

13/08/2025
✅ ছারপোকার কামড়ে যেসব রোগ হতে পারে, জেনে নিন ! ছারপোকা সিমিসিডে গোত্রের একটি ছোট্ট পতঙ্গ বিশেষ। এ পোকাটি বিছানা, মশারি, ...
16/07/2025

✅ ছারপোকার কামড়ে যেসব রোগ হতে পারে, জেনে নিন ! ছারপোকা সিমিসিডে গোত্রের একটি ছোট্ট পতঙ্গ বিশেষ। এ পোকাটি বিছানা, মশারি, বালিশের এক প্রান্তে বাসা বাঁধলেও ট্রেন কিংবা বাসের আসনে ও এদের দেখা মেলে।

বিছানার পোকা হলেও এর অন্যতম পছন্দের আবাসস্থল হচ্ছে – ম্যাট্রেস, সোফা এবং অন্যান্য আসাবাবপত্র।পুরোপুরি নিশাচর না হলেও ছারপোকা সাধারণত রাতেই অধিক সক্রিয় থাকে এবং মানুষের অগোচরে রক্ত চুষে নেয়।এমনি ছারপোকার কামড়ে অনেককে অতিষ্ট থাকতে হয়।

তবে অনেকেই জানেন না ছারপোকার কামড়ে রোগও ছড়ায়।দীর্ঘদিন যদি কেউ ছারপোকার কামড় খেতে থাকেন।তাহলে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক জার্নালের গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন যদি কেউ ছাড় পোকার কামড় খেতে থাকে, তাহলে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শারীরের কর্মক্ষমতা এবং আয়ুও কমে।

ছারপোকার কামড়ে যেসব রোগ হতে পারে:-শ্বাসকষ্টঃঘরের যে জায়গায় ছারপোকারা বাসা বাঁধে, সেখানকার হাওয়া-বাতাসে এত জীবাণু ছড়িয়ে যায় যে তা যদি একবার শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলেই বিপদ! এক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে শ্বাসকষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

সংক্রমণঃছারপোকা কামড়ানোর পর ক্ষত স্থানে মারাত্মক চুলকাতে শুরু করে। ফলে চুলকাতে চুলকাতে যদি একবার কেটে যায়, তাহলে সে জায়গা দিয়ে একাধিক ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।এলার্জিঃগবেষণায় দেখা গেছে, ছারপোকা কামড়ালে কারও কারও মারাত্মক ধরনের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয়।

সেক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস কষ্টও বাড়তে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা না হয়, তাহলে কষ্টটা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত সাবধান থাকুন।মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়েঃবেশ কিছু কেস স্টাডি অনুসারে, ছারপোকার প্রতিনিয়ত আক্রমণের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের ভেতরে বেশ কিছু পরিবর্তন হওয়ার কারণে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের মাত্রা বাড়ে।

একাকিত্বঃসবারই মনে ছারপোকাদের নিয়ে একটা ভয় রয়েছে। কেউই এমন বাড়িতে যেতে চান না যেখানে ছারপোকার রাজত্ব রয়েছে। এজন্য এসব বাড়ির বাসিন্দারা একাকিত্বে ভোগেন, যা ধীরে ধীরে তাদের শরীর এবং মনের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

অ্যানিমিয়াঃএকাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ছারপোকার কামড় খেয়ে আসছেন তাদের শরীরে লহিত রক্ত কণিকার মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আসলে বেড বাগের মূল খাবারই হল রক্ত।

ছারপোকা দূর করার কার্যকর কিছু উপায়:-১. তোষক, বিছানা, বালিশ এবং আলমারিতে থাকা সবকিছু পর পর কয়েকদিন কড়া রোদে দিন।২. প্রতিটি বিছানার নিচে শুকনা নিমপাতা রেখে দিলে ছারপোকা বাড়ার সম্ভাবনা কমে যায়।৩. চাদর কাঁথা বালিশের কাভার গরম পানি ও সোডা দিয়ে ধুয়ে নিন।৪. বিছানার নিচে পুটুলিতে করে কালোজিরাও রাখতে পারেন।

খনার চিকিৎসা বচন (১)“মাংসে মাংস বৃদ্ধি, ঘিতে বৃদ্ধি বলদুধে বীর্য বৃদ্ধি, শাকে বৃদ্ধি মল” অর্থ:মাংস খেলে মাংস বাড়ে,ঘি খেল...
12/07/2025

খনার চিকিৎসা বচন (১)

“মাংসে মাংস বৃদ্ধি, ঘিতে বৃদ্ধি বল
দুধে বীর্য বৃদ্ধি, শাকে বৃদ্ধি মল”

অর্থ:
মাংস খেলে মাংস বাড়ে,
ঘি খেলে শরীরে বল আসে।
দুধ খেলে বীর্য বৃদ্ধি হয়,
আর শাক খেলে পেট পরিষ্কার থাকে।

খনার চিকিৎসা বচন (২)

“রসুনে রক্ত, আদায় গতি,
হলুদের গুণ ধরে না স্মৃতি।
তুলসী পাতায় কাশি যায়,
পেঁয়াজ খেলে যৌবন চায়।”

অর্থ:
রসুন রক্ত পরিষ্কার করে, আদা হজম বাড়ায়,
হলুদ রোগ প্রতিরোধে কার্যকর, তুলসী কাশি সারায়।
পেঁয়াজ খেলে যৌনশক্তি বাড়ে।

খনার চিকিৎসা বচন (৩)

“কাঁচা আমে পেটের শান্তি,
পাকা আমে রসের ভাঁড়।
বেলের শাঁসে পেটের জাদু,
তেঁতুল খেলে মুখে ছাঁদ।”

অর্থ:
কাঁচা আম হজমে সহায়ক, পাকা আম শক্তি দেয়,
বেল পেট পরিষ্কার করে,
তেঁতুল মুখে স্বাদ বাড়ায়।

খনার চিকিৎসা বচন (৪)

“ধনে পাতা গরম কমায়,
পুদিনা মুখ ঠান্ডা চায়।
লেবুতে মল, কচুতে রক্ত,
এই সবজিতে জীবন শক্ত।”

অর্থ:
ধনে গরম কমায়, পুদিনা ঠান্ডা দেয়,
লেবু হজমে সহায়, কচু রক্ত বাড়ায়।

খনার চিকিৎসা বচন (৫)

“তেঁতুল দিলে মুখে রস,
পাকা কলায় চলে গস।
নিম পাতা করে শোধন,
তুলসী পাতায় হয় রোগ ক্ষয়ন।”

অর্থ:
তেঁতুল মুখে টক-মিষ্টি স্বাদ আনে,
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
নিম পাতা রক্ত পরিশোধ করে,
তুলসী রোগ প্রতিরোধে সহায়।

খনার চিকিৎসা বচন (৬)

“আদায় গরম, রসুনে বল,
মেথি খেলে কমে কল।
চিরতা জলে পিত্ত ধোয়,
তেতো কাহার কভু ক্ষয়?”

অর্থ:
আদা গরম, রসুন শক্তিদায়ক,
মেথি গ্যাস-অম্বল কমায়।
চিরতা পিত্ত দূর করে,
আর তেতো শরীরের রোগ কমায়।

খনার চিকিৎসা বচন (৭)

“কচুতে রক্ত, চাল কুমড়ো ঠান্ডা,
তালের রসে শীতল ফাঁদা।
আনারসে গ্যাসে শান্তি,
দুধে খেলে শরীর ভারী।”

অর্থ:
কচু রক্ত বাড়ায়, চাল কুমড়ো ঠান্ডা দেয়,
তালের রস ঠান্ডা রাখে, আনারস গ্যাস কমায়।
দুধ শরীর মজবুত করে।

খনার চিকিৎসা বচন (৮)

“মধু মুখে দিলে জ্বালা যায়,
তিলের তেলে চুলে আয়।
লাউয়ে জ্বর, করলাতে পিত্ত,
জ্বরের দিনে করো না হিত।”

অর্থ:
মধু মুখ ঠান্ডা রাখে,
তিলের তেল চুলে দিলে উজ্জ্বল হয়।
লাউ জ্বর কমায়, করলা পিত্ত দূর করে,
তবে জ্বরে করলা খাওয়া ঠিক নয়।

বিয়ের পরে একটা সংসার ডান দিকে যাবে না বাম দিকে — এর মূল চালক হলো স্বামী।সংসার অবশ্যই স্ত্রী গুছিয়ে রাখে, কিন্তু সংসার ...
08/07/2025

বিয়ের পরে একটা সংসার ডান দিকে যাবে না বাম দিকে — এর মূল চালক হলো স্বামী।
সংসার অবশ্যই স্ত্রী গুছিয়ে রাখে, কিন্তু সংসার গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব একজন পুরুষের।

তাই একজন ভালো পুরুষকে বিয়ে করা অনেক জরুরি।
ভালোবাসা আর সংসার করা — দুইটা এক জিনিস না।
সময়ের সাথে সাথে কিন্তু মানুষ বদলায়।
আপনি নিজের বদলানো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, কিন্তু আরেকজন ভালো হবে নাকি খারাপ — এটা আপনি চাইলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

তাই ভালোবাসার পরেও বিয়ের অনেক বছর পর অনেক সমস্যা দেখা যায়।

একজন পুরুষ যদি সঠিক হয়, তাহলে সংসার এমনি নিজে থেকেই সুন্দরভাবে চলে।

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একজন সংসারিক পুরুষ কেমন হওয়া উচিত এবং তার মধ্যে কি কি থাকা উচিত বা থাকা উচিত নয়, তাই লিখব।

🌸দায়িত্বহীন পুরুষ🌸

সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ হলো দায়িত্বশীল হওয়া।
যে পুরুষ কানে শুনেও শোনে না, প্রয়োজন দেখার পরেও অন্ধের মতো ভান করে বসে থাকে,যে সংসারে থেকেও থাকে না — উড়ে ঘুরে বেড়ায়, সংসারের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে না,
দায়িত্ব দেখলেই অজুহাত করে পালিয়ে যায় —
সেই পুরুষ কোনোদিন আপনাকে শান্তি দেবে না।

🌸বেকার, ধান্ধাবাজ পুরুষ🌸

এখন অনেকে এসে বলবে —
“Taka dekhe biye kore meyera”, “Takai shob”, bla bla.
ভাই, আপনি একজন স্ত্রীকে বিয়ে করে তার ৫টা মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে না পারেন?
তাহলে আপনি কেন বিয়ে করবেন??

আপনি যখন একজন মেয়েকে বিয়ে করেন, you are the guardian of that girl!!
বাংলাদেশের আইন, ইসলাম — সব বলে, একজন মেয়েকে বিয়ে করলেyou must have to provide her a good house, food, clothes and all basic needs!
ভালোবাসা ঠিক আছে।আপনি যখন ভালোবাসেন, তখন আপনারা দুজন থাকেন ওই ভালোবাসায়, কিন্তু আপনারা যখন বিয়ে করেন, তখন একটা পুরো সমাজ আর আপনার সন্তান সেই বিয়েতে চলে আসে।যদি পুরুষ স্বনির্ভর না হয়, তাহলে এর খারাপ প্রভাব আপনার সন্তানদের ওপরেও পড়ে।আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আপনি আত্মীয়স্বজনকেও ঠিকভাবে মেইনটেইন করতে পারবেন না।মৌলিক চাহিদা চাওয়া কোনো অপরাধ না — এটা অধিকার!
যদি আপনি স্বামী হিসেবে তা পূরণ করতে না পারেন, তাহলে সেটা আপনার দোষ!

🌸চরিত্রহীনতা🌸

একটা বড় সংখ্যক পুরুষ আছে বাংলাদেশে, যাদের চরিত্রে সমস্যা আছে।এবং তারা এটা জীবনে কোনোদিনও স্বীকার করবে না!
তারা ছেসরামি করবে, কিন্তু যুক্তি দেখাবে।
তারা ৪টা বিয়ে করবে, কারণ ইসলাম না — reason tader character e problem!কিন্তু বিয়ের সময় ব্যবহার করবে ইসলামকে।
একটা বিয়েতে যখন আপনার সঙ্গী চরিত্রহীন হয় — এর চেয়ে পেইনফুল আর কিছু হতে পারে না।And trust me!
আপনি সব বদলাতে পারবেন, কিন্তু এই চরিত্রের সমস্যা বদলাতে পারবেন না।কারণ এটা একটা রোগ!!!! চরিত্রবান পুরুষ আল্লাহর সবচেয়ে সুন্দর উপহার। যার চরিত্র ভালো, সে এক নারী নিয়েই ১০০ বছর কাটিয়ে দিতে পারবে। যে পুরুষের চরিত্র ভালো, তার নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীকে নিয়ে এসব ভাবতেই ঘৃণা আসার কথা।

🌸গ্রহণযোগ্যতা না থাকা (Acceptance)🌸

সংসার জীবনে দুজন মানুষ একসাথে থাকে, উঠে-বসে।
অনেক কিছু মিলবে, অনেক কিছু মিলবে না — এটা স্বাভাবিক।
একজন পুরুষ যেহেতু একজন নারীর অভিভাবক, তাকে সেইভাবেই অনেক কিছু গ্রহণ করতে হয়।
স্ত্রীর ছোট ছোট ভুল থেকে শুরু করে তার উদ্বেগ, হতাশা, সমস্যা, বয়সের ছাপ, বিশৃঙ্খলতা — সব কিছুই গ্রহণ করতে হবে।
কেউ ১০০% পারফেক্ট না, কেউ ১০০% সার্ভ করে না।
যে পুরুষ যত বেশি গ্রহণ করতে পারে, সংসারে তত বেশি শান্তি।

🌸বোঝাপড়া (Understanding)🌸

একজন understanding husband পাওয়া একজন মেয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
না হলে সংসারজীবন খুব কঠিন হয়ে যায়।
স্ত্রীর সমস্যা বুঝে সেই অনুযায়ী ইতিবাচকভাবে আচরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্ত্রীর শরীর খারাপ হলে তার যত্ন নেওয়া, কাজে সাহায্য করা —
যে কোনো সমস্যা হলে বা স্ত্রী বিপদে পড়লে তাকে পজিটিভভাবে সাহায্য করা — এটা একজন understanding স্বামীর লক্ষণ।

🌸ঠান্ডা মাথা🌸

রাগ আসলে কম-বেশি সবার থাকে, কিন্তু বিয়ের পরে সেটা কন্ট্রোল করতে হয়।
ইসলামেও রাগ থাকা কোনো ভালো বা কুল জিনিস না।
এটা একটা খারাপ গুণ — রাগ শয়তানের চরিত্র, মানুষের হতে পারে না।দু’জন একসাথে থাকলে অনেক কিছু মিলবে না।
না মিললে রাগ উঠবে, কথা কাটাকাটি হবে —
তাই বলে স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা উচিত না, গালাগালি করাও উচিত না।
এই জিনিসগুলো কোনো সুস্থ বা স্বাভাবিক মানুষ করে না!
একমাত্র পশুদের দ্বারাই এমন আচরণ সম্ভব।

আপনি জীবনের শেষ সময় শান্তিতে থাকবেন না অশান্তিতে — এটা নির্ভর করে আপনার জীবনসঙ্গীর ওপর।
তাই আবেগ না, বিবেক দিয়ে জীবনসঙ্গী বেছে নেবেন।

Collected

একবার ভেবে দেখুন। শুধু ছয় মাস। খুব বেশি না।এই ছয় মাসে নিজের জীবনের অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র নিজের জন্য স...
07/07/2025

একবার ভেবে দেখুন। শুধু ছয় মাস। খুব বেশি না।

এই ছয় মাসে নিজের জীবনের অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র নিজের জন্য সময় দিবেন।

কী করবেন এই সময়ে? নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন, নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলবেন।

আমরা প্রায়ই বলি, “সময় পাই না।” কিন্তু সত্যি কি পাই না, নাকি সময়টা এমন কাজে নষ্ট করি, যেগুলো থেকে আমাদের জীবনে কিছুই যোগ হয় না?

ফালতু আড্ডা, অর্থহীন দুশ্চিন্তা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রল করা—এসব বাদ দিলে দেখবেন, আপনার হাতে কত সময় পড়ে থাকে।

চলুন, ছয় মাসের জন্য একটা নতুন পরিকল্পনা করি। এই পরিকল্পনা যদি মেনে চলতে পারেন, ছয় মাস পরে আপনার জীবন একেবারে অন্য রকম হয়ে যাবে।

১. ফালতু আড্ডাকে ‘না’ বলুন।

বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, “চল, টো টো করে ঘুরি, আড্ডা দিই।” আপনি জানেন, সেই আড্ডা থেকে কোনো কাজের কথা উঠবে না, শুধু সময় নষ্ট। এখন কী করবেন?

বিনয়ের সঙ্গে বলুন, “না রে ভাই, আজ পারব না।” প্রথমে কঠিন লাগবে, কিন্তু একবার চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিবার না বলার পর যখন দেখবেন আপনার সময়টা সৃজনশীল কাজে যাচ্ছে, তখন গর্ব অনুভব করবেন।

২. নিজের স্বপ্নটাকে গুরুত্ব দিন।

আপনার কোনো স্বপ্ন আছে, তাই না? হয়তো একটা বই লেখা, নতুন কোনো স্কিল শেখা, বা একটা ব্যবসা শুরু করা। কিন্তু দিনের শেষে সময় আর এনার্জি না থাকায় সেটাকে দমিয়ে রাখেন। এবার সেই স্বপ্নের দিকে সময় দিন।

ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রতিদিন কাজ করুন। ছয় মাস পরে যখন দেখবেন, আপনার কাজ এগিয়ে গেছে, তখন নিজেকে ধন্যবাদ দিবেন।

৩. যে পরিবেশ আপনাকে গ্রো করতে দেয় না তা থেকে বের হয়ে আসুন।

আপনার আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা সবসময় শুধু নেগেটিভ কথা বলে, আপনাকে হতাশ করে? কিংবা এমন পরিবেশ যেখানে বসে শুধু সময় নষ্ট হয়?

এই ছয় মাসের জন্য তাদের থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে এমন মানুষের সঙ্গে যুক্ত করুন, যারা আপনাকে উৎসাহ দেয়, অনুপ্রাণিত করে।

৪. দৈনন্দিন কাজগুলো গুছিয়ে নিন।

দিনের কাজগুলোর একটা তালিকা করুন। সকালে উঠে ভাবুন, “আজ কী কী করব?” আর সেটা সময়মতো শেষ করুন।

রাতের শেষে যখন দেখবেন, আপনার সব কাজ শেষ হয়েছে, তখন একটা আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। আর সেই আত্মবিশ্বাস আপনাকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

৫. নিজের শরীরের যত্ন নিন।

এটা খুব জরুরি। আপনার শরীর যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে কোনো কাজই এগোবে না। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।

আর মনের যত্ন নিতে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ধ্যান করুন। দেখবেন, আপনার মন শান্ত থাকবে, আর কাজে মনোযোগ আরও বাড়বে।

৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নিন।

ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম—এগুলো যতটুকু দরকার ততটুকুই ব্যবহার করুন। এই ছয় মাসে ঠিক করুন, দিনে এক ঘণ্টার বেশি এদের পেছনে সময় দেবেন না।

এই সময়টা বরং কিছু শিখতে ব্যয় করুন। একটা অনলাইন কোর্স করতে পারেন, বা একটা নতুন বই পড়া শুরু করতে পারেন।

৭. প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন।

নতুন কিছু শেখা মানেই নতুন দরজা খোলা। ছয় মাসের জন্য একটা পরিকল্পনা করুন। প্রতিদিন একটা নতুন স্কিল শেখার চেষ্টা করুন। হয়তো এটা কুকিং, হয়তো ডিজিটাল মার্কেটিং, কিংবা কোনো নতুন ভাষা।

ছয় মাস পরে দেখবেন, আপনি নিজেই একটা সম্পদে পরিণত হয়েছেন।

ভাবুন তো, ছয় মাস পরে আপনি কোথায় দাঁড়াবেন?

ছয় মাস খুব বেশি সময় নয়। কিন্তু এই সময়টা যদি ঠিকমতো ব্যবহার করেন, ছয় মাস পরে আপনার জীবন একদম নতুন মোড় নেবে। আপনি হয়তো নিজের স্বপ্নের একদম কাছে পৌঁছে যাবেন।

জীবনটা ছোট।

কিন্তু আমরা এটাকে আরও ছোট করি অপ্রয়োজনীয় কাজে।

ছয় মাসের জন্য নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ নিন।

নিজের স্বপ্ন, নিজের লক্ষ্য, নিজের ভবিষ্যতের জন্য সময় দিন।

ছয় মাস পর যখন আয়নায় নিজেকে দেখবেন, তখন একজন বদলে যাওয়া মানুষকে দেখতে পাবেন—আর সেই মানুষটি হবে আপনারই আপডেটেড ভার্সন।

তো? এই ছয় মাসের যাত্রা শুরু করবেন কবে?

আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হয়তো আজ থেকেই শুরু হতে পারে।

পেয়ারা পাতাআমাদের দেশে এই পাতার তেমন একটা কদর নেই; কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই এই পাতা মূল্য দিয়ে কিনতে হয়।কেন মূল্য দি...
17/06/2025

পেয়ারা পাতা

আমাদের দেশে এই পাতার তেমন একটা কদর নেই; কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই এই পাতা মূল্য দিয়ে কিনতে হয়।
কেন মূল্য দিয়ে কিনে? কারন এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে,যা উপকারী।
এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি ও এন্টি অক্সিডেন্ট এর প্রাচুর্যতা। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি-৩, যা নিয়াসিন নামে পরিচিত তা আমাদের দেহের জন্য অপরিহার্য একটা ভিটামিন। শক্তি উৎপাদন এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ! ক্রমাগত নিয়াসিন এর অভাবে দেহে ক্লান্তি ভাব, ত্বকের সমস্যা, মাথাব্যথা, মুখে ঘা এই উপসর্গগুলো সাধারণত দেখা যায়। সেক্ষেত্রে হাতের নাগালে থাকা পেয়ারা পাতার চা কিছু টা সমাধান দিতে পারে বৈকি!
এক লিটার পানিতে এক মুঠো পরিস্কার পেয়ারা পাতা ২০ মিনিট অল্প আঁচে ফুটিয়ে পান করতে হবে।
আর হ্যাঁ, পেয়ারা পাতায় পটাশিয়াম এর পর্যাপ্ত উপস্থিতি থাকায় আমাদের হৃদয় এর দেখভালের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে।

চেষ্টা করি দেশীয় জাতের পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে।

পরিবার নষ্ট করে এমন ১০ টি ভুল অভ্যাস!১.কথা না বলাচুপ থাকলে দূরত্ব বাড়ে, সম্পর্ক নয়!২) সবসময় দোষ ধরা-সাহস না দিয়ে মন ভেঙে...
02/06/2025

পরিবার নষ্ট করে এমন ১০ টি ভুল অভ্যাস!
১.কথা না বলা
চুপ থাকলে দূরত্ব বাড়ে, সম্পর্ক নয়!

২) সবসময় দোষ ধরা-
সাহস না দিয়ে মন ভেঙে দেওয়া!

৩) একসাথে সময় না কাটানো
কাছাকাছি থেকেও মন থেকে দূরে থাকা!

৪) রাগ ধরে রাখা-
ছোট ছোট অভিমান সম্পর্ক নষ্ট করে!

৫) অর্থের ভুল ব্যবস্থাপনা-
টাকার সমস্যা পরিবারের চাপ বাড়ায়!

৬) ব্যক্তিগত সীমা না মানা-
একে ওপরের স্পেস ও অনুভূতিকে সন্মান না করা!

৭) পরিবারের সদস্যদের তুলনা করা!
বাবা-মা হিসেবে সন্তানের মধ্যে তুলনা করা, বাবা মা'র মধ্যে তুলনা করা!

৮) সমস্যা থেকে পালানো
সমস্যা মিটিয়ে না নিয়ে ফেলে রাখা!

৯) মোবাইল বা স্ক্রিনে আসক্তি!
সবার জন্য একটা বিরাট সমস্যা, প্রয়োজনীয় ব্যবহার করেন!

১০) কৃতজ্ঞতা না দেখানো
ভালোবাসা ও যত্নকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়া!

বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই অনেকের শরীরে বার্ধক্য জেঁকে বসে। ফিকে হয়ে যাওয়া অনুজ্জ্বল ত্বক দেখে মনে হয়, বেলা হয়ে...
24/05/2025

বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই অনেকের শরীরে বার্ধক্য জেঁকে বসে। ফিকে হয়ে যাওয়া অনুজ্জ্বল ত্বক দেখে মনে হয়, বেলা হয়ে এল বুঝি। অথচ যথেষ্ট বয়স হওয়ার পরও তো কাউকে কাউকে বেশ তরুণ দেখায়! কেন এমন হয়?

এর নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। তবে দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রণালিই এ ক্ষেত্রে প্রধানত দায়ী। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, আপনার দিনের শুরু, তথা সকালের কিছু বদভ্যাস আপনাকে দ্রুত বুড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষত সকালের এক ঘণ্টা। মিডিয়াম ডটকমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ঘুম থেকে ওঠার প্রথম ঘণ্টা আপনার বয়স বাড়ার গতি কমিয়ে বা বাড়িয়ে দিতে পারে। নাটকীয় শোনালেও এটাই সত্য। সংশ্লিষ্ট নিবন্ধটিতে এমন পাঁচটি ভুল বিষয় এবং সেসবের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
_______________
১. সকালের ক্লান্তিবোধ:

আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এমন হয়। রাতে টানা ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরও শরীর ভারী লাগে। মনে হয় আরও ঘুমালে ভালো হতো। এই ভারী লাগা, আধো জাগ্রত আধো ঘুমন্ত অবস্থাকে বলা হয় ‘স্লিপ ইনারশিয়া’। বাংলায় ঘুম–জড়তা বলা যেতে পারে। সহজ ভাষায়, শরীরের চেয়ে মস্তিষ্কের পিছিয়ে থাকা। অর্থাৎ আপাতদৃষ্টে আপনার শরীর জাগলেও মস্তিষ্ক তখনো ঘুমের মুডেই থাকে। ঘুম থেকে ওঠার প্রথম ৩০ মিনিটে আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফলে সকালে স্পষ্টভাবে চিন্তা করা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

যা করবেন:

শরীর ও মনকে একই সঙ্গে পুরোপুরি জাগিয়ে তুলতে তিনটি কাজ করতে পারেন।

শরীর নাড়াচাড়া করুন। একটু হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। ঘাড়, হাত-পা ঘোরানোর মতো ছোট্ট কিছু কাজ আপনার আড়ষ্টতা কাটাতে সাহায্য করবে। এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং পেশিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠবে।

মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে স্নায়ুতন্ত্র সজাগ হয়ে উঠবে।

শরীরে সূর্যের আলো লাগান। এই প্রাকৃতিক আলো আপনার মস্তিষ্ককে সংকেত দেবে যে সকাল হয়েছে। এটি মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) নিঃসরণ বন্ধ করে এবং আপনাকে জেগে উঠতে সাহায্য করে।

২. পানিশূন্যতা:

ঘুমের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস এবং ঘামের মাধ্যমে আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবেই পানি হারায়। বেশির ভাগ মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা পানিশূন্যতায় ভোগেন। ঘুম থেকে উঠে পানি পান না করে যদি চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে ধরে রাখুন, আপনি দিনের শুরুতেই পানিশূন্যতার শিকার হচ্ছেন।

যা করবেন:

অন্য কিছু খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি খান।

তাতে একচিমটি লবণ (ইলেকট্রোলাইটের জন্য) বা সামান্য লেবুর রস (ভিটামিন সি এবং হজমের জন্য) মেশান।

সামান্য মধু মেশালে আরও উপকার পাবেন। মধু হজম ও এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

৩. শরীরচর্চা:

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরচর্চার কথা ভাবতেও খারাপ লাগে; কিন্তু শরীর ও মস্তিষ্ককে সজাগ করতে এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করতে এটি দুর্দান্ত উপায়। এটি দেহের আড়ষ্টতা কমায়। দেহে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

যা করবেন:

ভয় নেই। এ জন্য আপনাকে জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানোর কথা বলা হচ্ছে না। ৫-১০ মিনিটের হালকা ব্যয়াম করুন। হাত-পা নাড়াচাড়া করা, গোটা দশেক স্কোয়াট, সিঁড়িতে ওঠানামা, একটু দৌড়ানোর মতো অল্প শ্রমের ব্যয়ামই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতে পারে।

৪. সকালের নাশতা:

অনেকেই সকালের নাশতা বাদ দেন, কেউবা নাকেমুখে কিছু গুঁজে ছোটেন কাজে। অনেকে আবার দেরি করে নাশতা করেন। এর কোনোটাই স্বাস্থ্যকর নয়।

যা করবেন:

দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার সকালের নাশতা। সকালের নাশতায় এমন খাবার বেছে নিন, যাতে সারা দিন পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়, আবার অতিরিক্ত শর্করা বা স্নেহজাতীয় উপকরণও না থাকে। রাজার মতো খাবার দিয়ে দিন শুরু করার আসল অর্থ কিন্তু এটাই। এতে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, আপনি থাকবেন সুস্থ।

৫. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খাবার:

বয়সের গতি কমাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারের তুলনা নেই। এটি ফ্রি র‍্যাডিক্যালকে নিষ্ক্রিয় করে, যা কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে।

যা করবেন:

দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। শাকসবজি ও ফলমূল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎকৃষ্ট উৎস। ডার্ক চকলেট, কাঠবাদাম, আখরোট, গ্রিন–টি খেতে পারেন। আনারস, আঙুর, আপেল, গাজর, টমেটো, কিশমিশ, ভুট্টা, জলপাই, খেজুর, লাল আটা, বাদাম তেলসহ বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেলেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাবেন। ভিটামিন ই ও সি-সমৃদ্ধ খাবারও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
©

সব পান্তা, পান্তা নয়।পান্তা পাততে জানতে হয়,  পান্তা খেতেও কিছু নিয়ম মানতে হয়।অনেক স্বাস্থসম্মত, প্রাচীন এ-ই খাবার সম্পর্...
07/05/2025

সব পান্তা, পান্তা নয়।
পান্তা পাততে জানতে হয়, পান্তা খেতেও কিছু নিয়ম মানতে হয়।
অনেক স্বাস্থসম্মত, প্রাচীন এ-ই খাবার সম্পর্কে স প্রশ্নের জবাব একসাথে।

পান্তা ভাত অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ডাইজেস্টিভ ইস্যুতে খুব ভালো একটা খাবার। একদম দেশীয় প্রোবায়োটিক। কিন্তু এটা ঠিকভাবে তৈরির নিয়ম আমরা বেশিরভাগই জানি না। কতোটুকু পানি দিচ্ছি, কতোক্ষণ রাখছি এগুলো ইচ্ছেমতো করি। এই লেখাটা পড়লেই আশা করি আর কারো ভুল হবে না।

পান্তা ভাতের মতো যেকোন প্রোবায়োটিক খাবার ফার্মেন্টেশান প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। ফার্মেন্টেশান মূলত ব্যাকটেরিয়া, ইস্টের বেঁচে থাকার একটা মেটাবোলিক প্রক্রিয়া যেখানে এরা অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে খাবারের উপাদান ভেঙে নিজেদের জন্য শক্তি তৈরি করে আর খাবার ভাঙার ফলে অন্য কিছু উপাদান যেমন, অ্যালকোহল, অ্যাসিড ইত্যাদি আমরা পাই।

কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে এই খাবার ভাঙে আর তখন অ্যাসিড তৈরি হয়। অক্সিজেনের উপস্থিতিতে যারা খাবার ভাঙে সেখান থেকে অ্যালকোহল তৈরি হয়।

এখন কথা হচ্ছে, ভাত ফার্মেন্ট করে আমরা কী চাই বা পাই? মূলত পাই, ল্যাকটিক অ্যাসিড। দইয়ে যে ফার্মেন্টেশান হয়, একই জিনিস ভাতেও হয়। ভিনেগার, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এগুলোতে তৈরি হয় অ্যাসিটিক অ্যাসিড।

কিন্তু ভাত থেকে যদি আমরা অ্যালকোহল পেতে চাই? তাহলে ফার্মেন্টেশানের সময় মেইনলি অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে।

বেসিক ক্লিয়ার হয়ে গেলে, এখন খুবই সহজ বুঝতে পারা যে ভাতে কতোটুকু পানি দিয়ে ফার্মেন্ট করবো? যেহেতু ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করবো, তাই ভাত পানির ১-২ ইঞ্চি নিচে ডুবে থাকবে যেন বাতাস না পায়। কাপে মেপে পানি হিসেবের কোন প্রয়োজন নেই।

এখন প্রশ্ন হলো, কতোক্ষণ রাখবো? যতোক্ষণ না আমরা পানিতে বুদবুদ দেখতে পাই এবং স্বচ্ছ পানি ঘোলাটে হয়ে আসে। রাতে ভেজাবো নাকি দুপুরে ভেজাবো, ১২ ঘণ্টা নাকি ২৪ ঘণ্টা এই হিসাবও অপ্রয়োজনীয়। কারণ পরিবেশের তাপমাত্রা অনুযায়ী, ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা অনুযায়ী এই সময় পরিবর্তিত হবে।

এরপরে প্রশ্ন আসতে পারে, কোন চালের ভাত নিবো? সহজ উত্তর আপনি কী চান এই পান্তা ভাত থেকে তার উপর নির্ভর করে। আমি চাই, সিম্পলি প্রোবায়োটিক খাবার খেতে। সেক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার লাগবে স্টার্চ যেটা সে চট করে ভাঙবে। স্টার্চের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে সাদা চালে।

যদি লাল চাল নিই, তাহলে পান্তা হবে না? হবে কিন্তু সময় অনেক বেশি লাগবে কারণ রান্নার পরেও লাল চালের ফাইবার বাইরে থেকে সরিয়ে ভেতরের স্টার্চ ভাঙতে ব্যাকটেরিয়ার সময় বেশি লাগবে। সাদা ভাত যদি পান্তা করতে ২৪ ঘণ্টা লাগে, লাল ভাত লাগবে আনুমানিক ৪৮ ঘণ্টা। টেক্সচার এবং স্বাদও আলাদা হবে। সাদা পান্তার টেক্সচার হবে নরম। লালটার হবে চিউয়িং গামের মতো। সাদা ভাতের পান্তায় সহজে ল্যাকটিক অ্যাসিডের টক স্বাদ পাওয়া যাবে, লালটার স্বাদ আলাদা হবে কিছুটা।

রান্নার কতোক্ষণ পরে ভাতে পানি দিবো? ভাত ঠাণ্ডা করেই পানি দেয়া যায়। দুপুরে রান্না করে রাতে পানি দেয়া অর্থহীন। বাতাসে যতো বেশি থাকবে অ্যালকোহল এবং পরবর্তীতে পানিতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড ফার্মেন্টেশান হবে। সুতরাং ভাত পুরনো করে ঘামিয়ে, নরম করে পানি দেয়া অপ্রয়োজনীয়।

কোন পাত্রে ফার্মেন্ট করবো? যে পাত্র ফার্মেন্টেশানে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের সাথে রিয়্যাক্ট করবে না। মেলামাইল, প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়াম কিছুতেই না। কাঁচ, মাটির পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। মাটির পাত্রের আরেকটা সুবিধা হলো, তাপমাত্রা সহজে বের হয় না।

পানি দিয়ে ভাত ঢেকে রাখবো নাকি খোলা রাখবো? অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে যেন ধুলো, মাছি, পোকা এগুলো না পড়ে।

ভাতে পানি দিয়েই ভারতীয় স্টাইলে তাড়কা ঢেলে দিলে কী হবে? ফার্মেন্টেশানে অনেক দেরি হবে। পানি ভেজানো ঠাণ্ডা ভাত, তাড়কা খাবেন কিন্তু সেটা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাউন্ট হবার সম্ভাবনা কম। পুরোপুরি পান্তা খেতে চাইলে ফার্মেন্ট করে নিয়ে খাবারের আগে আগে তাড়কা বা যা ইচ্ছে নিয়ে খেতে পারেন।

ভাত ভিজিয়ে অনেকেই সাথে দই দিয়ে রেখে দেয়। সেক্ষেত্রে ফার্মেন্টেশান আরো দ্রুত হবে। কারণ দইয়ে অলরেডি ব্যাকটেরিয়া থাকবে। ভাত, পানি আর দই মিশিয়ে রাখলে এক রাতের মাঝেই প্রোপারলি পান্তা ভাত পাওয়া সম্ভব।

আরেকটা কাজ করতে পারেন, যেটা আমি করি। প্রথমদিন পান্তা বানিয়ে খাওয়ার পর আধা কাপ পানি ফ্রিজে রেখে দিই। পরের দিনের ফ্রেশ পানির সাথে এই পুরনো পানিটা ঢেলে দিলে পান্তা দ্রুত হয়।

পান্তার পানিও সমানভাবে ভালো। ফেলে না দিয়ে খেয়ে ফেলবেন। আর পান্তা হয়ে গেলে যদি খেতে দেরি হয়, তাহলে ফ্রিজে রাখবেন। এতে ফার্মেন্টেশান প্রসেস থেমে যাবে। কারণ এই প্রসেসটা তাপমাত্রা সেনসিটিভ। দই যেমন উষ্ণ জায়গায় পাততে হয়, এটাও তেমনি। হয়ে গেলে যেমন ফ্রিজে রাখতে হয়, এটাও তেমনি। কিন্তু ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। মানে খুব গরমে ফার্মেন্টেশান হবে না।

আশা করি, ঠিকভাবে পান্তা ভাত তৈরি করে খেতে আর কোন সংশয় থাকবে না।

শিশুটির হাতে মোবাইল , মোবাইলের স্ক্রিনে রীলস। অন্তহীন অর্থহীন শালীন অশালীন ভেদাভেদজ্ঞানহীন রীলস। 🫨🫨শিশুটি দেখে যাচ্ছে টা...
28/04/2025

শিশুটির হাতে মোবাইল , মোবাইলের স্ক্রিনে রীলস। অন্তহীন অর্থহীন শালীন অশালীন ভেদাভেদজ্ঞানহীন রীলস। 🫨
🫨
শিশুটি দেখে যাচ্ছে টানা, নড়া নেই চড়া নেই, মাথা খাটানো নেই, আগে শিশুরা কার্টুন শো দেখতো মিনিট কুড়ির...অতক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারও নেই। দুয়েক মিনিটের রীল...চলছে পর পর পরের পর। শিশুটি কাউকে বিরক্ত করে না ...চেঁচামেচি করে না...ঘরদোর নোংরা করে না। ভালো ব্যবস্থা...তাই না? বেশ সুবিধার ।

🤪 আর তার মনের ভিতর...তার অপরিণত নিষ্পাপ ...কাদার তালের মত যে কোনো ছাঁচে পড়ে তার রূপ ধারণ করার মতো নরম মনটার ভিতর...কি ঢুকছে পর পর পরের পর? একটু কোন সুস্থ চিন্তা... একটু কোন শোভন বিনোদন? কি মনে হয়?

🍈 দয়া করে আপনার পরিবারের খুদে সদস্যটির হাত থেকে মোবাইলটি নিয়ে একটি বই ধরান। হ্যাঁ...মানছি... এখনই পড়তে পারেনা হয়তো ...পড়ে দিতে হবে। আপনি ব্যস্ত...সত্যিই ব্যস্ত...সেটাও জানি। আচ্ছা...নাহয় ছবিই দেখুক খানিক...যখন সময় হবে পড়ে দেবেন 'খন। ছিঁড়ে ফেলবে...নষ্ট করবে? এদিকে যে মনের সুকুমার কোমল বৃত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে...তার কি হবে !

🍒আচ্ছা বেশ...বই না হয় নাই দিলেন। সাদা কাগজ আর রং পেন্সিল দিন...হিজিবিজি কাটুক। ঘর নোংরা হবে? বিশ্বাস করুন...ওর মনে যে নোংরা ঢুকছে তার থেকে বেশী হবে না। আর নাহলে ব্লকস দিন...কাঠের বা প্লাস্টিকের। মডেলিং ক্লে। তাও না পেলে সাবেক খেলনাবাটি, গাড়ি , পুতুল। কিছু তো করুক হাত দিয়ে...মাথা দিয়ে...মন দিয়ে। অন্যের বানানো কিছু উদ্ভট কিম্ভুত কার্যকলাপের রেকর্ডিং দেখে মগজধোলাই না হয়ে নিজের মনে খামখেয়ালিপনাই করুক না হয়।

🍋আপনার শিশুকে আপনি কি ভাবে বড়ো করবেন সে বিষয়ে আমি সামাজিক মাধ্যমে উটকো লোক গায়ে পড়ে জ্ঞান দিচ্ছি...,আপনার বিরক্তির উদ্রেক হতে পারে...মানছি। আসলে..,.চার বছরের কন্যা আয়নার সামনে নানা অঙ্গভঙ্গি সহকারে বলছে..".মা আমাকে চেক্সি লাগছে"...আর মা বাবা গদ গদ হয়ে বলছেন... "দেখেছো কি সব বলে .. কোথায় যে শেখে কে জানে" ...সদ্য দেখা এই দৃশ্য আমাকে খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছে...জানেন।

🛟এখনও সাবধান না হলে খুব বড়ো ক্ষতি হয় যাবে ওদের,,,, আমাদের,,,,🛟
©️

কারো সাথে দেখা হলে যে কথাগুলো একদমই বলা উচিত না। এগুলো কটু বাক্য। এগুলো বলা এক ধরনের অভদ্রতা। “আপনি তো অনেক মোটা হয়ে গেছ...
26/04/2025

কারো সাথে দেখা হলে যে কথাগুলো একদমই বলা উচিত না। এগুলো কটু বাক্য। এগুলো বলা এক ধরনের অভদ্রতা।

“আপনি তো অনেক মোটা হয়ে গেছেন!”

“জামাটা কোথা থেকে নিয়েছেন? গায়ে তো মানাচ্ছে না একদম।”

“বেতন কত পান?”

“বিয়ের এতদিন হলো, এখনো বাচ্চা হয় না?”

“বাচ্চাটা এত রোগা কেন?”

“ বয়স তো হলো, বিয়ে করেন না কেন ?”

“মুখে এত ব্রণ কেন?”

“এত বয়স হলো, এখনো চাকরি নেই?”

“তোমার গায়ের রঙ এত কালো কেন?”

“এতদিন ধরে সংসার করছেন, এখনো ভাড়া বাসায় থাকেন?”

“এই বয়সে এমন পোশাক পরেন কীভাবে?”

“বাবা-মা তো ফর্সা, বাচ্চাগুলো কালো হলো কী করে?”

“তোমার স্বামীর আয় কত?”

“স্বামী বিদেশে থাকে, তুমি একা থাকো কেমন করে?”

“তুমি তো আগে সুন্দর ছিলে, এখন এমন হলে কেন?”

“খাওয়া-দাওয়া করো না নাকি, এত শুকিয়ে গেলে যে?”

“তোমার বয়স কত?”

“এখনো কি আগের মতোই আছো, নাকি পরিবর্তন আসছে?”

“বাসায় শাশুড়ির সাথে কেমন সম্পর্ক?”এগুলো আপনার কাছে হয়তো কয়েকটি বাক্য মাত্র, কিন্তু যাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, তার কাছে এগুলো কাঁটার চেয়েও ভয়ঙ্কর। তাই, এগুলো বলা থেকে বিরত থাকুন।

মনে রাখবেন, সব কথা বলার না, সব প্রশ্ন করার না।সবার জীবনের গল্প এক না। তাই, কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অযাচিত প্রশ্ন না করাই শ্রেয়।

জ্ঞানী হোন। সংবেদনশীল হোন। মানুষকে আঘাত নয়—ভালোবাসা দিন, সম্মান দিন।

~ লেখাঃ ©©©

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট (মস্তিষ্কের বিকাশ) ভালোভাবে নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। নিচে কিছু ক...
25/04/2025

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট (মস্তিষ্কের বিকাশ) ভালোভাবে নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। নিচে কিছু করণীয় দেওয়া হলো:

১. সঠিক পুষ্টি:👶
মায়ের দুধ: জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শুধু বুকের দুধ দিন। এতে শিশুর ব্রেইনের বিকাশে প্রয়োজনীয় সব উপাদান থাকে।
পুষ্টিকর খাবার: ৬ মাসের পর সুষম খাবার যেমন ডিম, মাছ, শাকসবজি, ফল, দুধ ইত্যাদি দিতে হবে।

২. পর্যাপ্ত ঘুম:👶
শিশুর বয়স অনুযায়ী ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম ব্রেইনের নিউরোন গঠনে সহায়তা করে।

৩. আবেগিক ও সামাজিক সাড়া:👶
শিশুকে আদর করুন, তার সঙ্গে কথা বলুন, গান গেয়ে শোনান।
মায়ের হাসি, স্পর্শ ও কথাবার্তা শিশুর ব্রেইনকে সক্রিয় করে তোলে।

৪. খেলাধুলা ও বুদ্ধিবৃত্তিক খেলনা:👶
বয়স উপযোগী খেলনা যেমন রঙ চিনতে শেখায় এমন খেলনা, কাঠের পাজল, শব্দ তৈরি করা খেলনা ইত্যাদি দিন। wooden intelligent toys এই কাজে বেশ উপকারী হতে পারে।

৫. ভাষার বিকাশে সহায়তা:👶
শিশুর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন—even সে কথা না বললেও।ছবি দেখিয়ে জিনিসের নাম বলুন, ছোট ছোট গল্প বলুন।

৬. পর্যবেক্ষণ ও কৌতূহল বাড়ানো:👶
শিশুকে বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করার সুযোগ দিন—সে যেন স্পর্শ করে, শব্দ শুনে, গন্ধ নিয়ে শিখতে পারে।

৭. স্ক্রিন টাইম কমান:👶
২ বছরের নিচের শিশুদের স্ক্রিন টাইম না থাকাই ভালো। বড় হলে বয়স অনুযায়ী সীমিত রাখুন।

আপনার এখন থেকে নেয়া যত্ন ওর ভবিষ্যৎ সুন্দর করবে, সবাই সচেতন হবেন।

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health Talk - স্বাস্থ্য কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Health Talk - স্বাস্থ্য কথা:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram