Health Talk - স্বাস্থ্য কথা

Health Talk - স্বাস্থ্য কথা "Health Talk - স্বাস্থ্য কথা" is an Online Health News Portal (health-talk-bd.blogspot.com)

► আমাদের পেজটি আসলে একটি শিক্ষা মূলক পেইজ। এখানে প্রায় সব পোষ্টই শিক্ষা মূলক দেওয়া হয়।

► কোন পোষ্ট এ কমেন্ট করার সময় অবশ্যই ভদ্রতা বজায় রাখবেন। কেননা ব্যবহার বংশের পরিচয়।

একবার ভেবে দেখুন। শুধু ছয় মাস। খুব বেশি না।এই ছয় মাসে নিজের জীবনের অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র নিজের জন্য স...
07/07/2025

একবার ভেবে দেখুন। শুধু ছয় মাস। খুব বেশি না।

এই ছয় মাসে নিজের জীবনের অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সরিয়ে রেখে শুধুমাত্র নিজের জন্য সময় দিবেন।

কী করবেন এই সময়ে? নিজের স্বপ্ন পূরণ করবেন, নিজেকে নতুন করে গড়ে তুলবেন।

আমরা প্রায়ই বলি, “সময় পাই না।” কিন্তু সত্যি কি পাই না, নাকি সময়টা এমন কাজে নষ্ট করি, যেগুলো থেকে আমাদের জীবনে কিছুই যোগ হয় না?

ফালতু আড্ডা, অর্থহীন দুশ্চিন্তা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রল করা—এসব বাদ দিলে দেখবেন, আপনার হাতে কত সময় পড়ে থাকে।

চলুন, ছয় মাসের জন্য একটা নতুন পরিকল্পনা করি। এই পরিকল্পনা যদি মেনে চলতে পারেন, ছয় মাস পরে আপনার জীবন একেবারে অন্য রকম হয়ে যাবে।

১. ফালতু আড্ডাকে ‘না’ বলুন।

বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, “চল, টো টো করে ঘুরি, আড্ডা দিই।” আপনি জানেন, সেই আড্ডা থেকে কোনো কাজের কথা উঠবে না, শুধু সময় নষ্ট। এখন কী করবেন?

বিনয়ের সঙ্গে বলুন, “না রে ভাই, আজ পারব না।” প্রথমে কঠিন লাগবে, কিন্তু একবার চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিবার না বলার পর যখন দেখবেন আপনার সময়টা সৃজনশীল কাজে যাচ্ছে, তখন গর্ব অনুভব করবেন।

২. নিজের স্বপ্নটাকে গুরুত্ব দিন।

আপনার কোনো স্বপ্ন আছে, তাই না? হয়তো একটা বই লেখা, নতুন কোনো স্কিল শেখা, বা একটা ব্যবসা শুরু করা। কিন্তু দিনের শেষে সময় আর এনার্জি না থাকায় সেটাকে দমিয়ে রাখেন। এবার সেই স্বপ্নের দিকে সময় দিন।

ছোট ছোট অংশে ভাগ করে প্রতিদিন কাজ করুন। ছয় মাস পরে যখন দেখবেন, আপনার কাজ এগিয়ে গেছে, তখন নিজেকে ধন্যবাদ দিবেন।

৩. যে পরিবেশ আপনাকে গ্রো করতে দেয় না তা থেকে বের হয়ে আসুন।

আপনার আশেপাশে এমন কিছু মানুষ আছে, যারা সবসময় শুধু নেগেটিভ কথা বলে, আপনাকে হতাশ করে? কিংবা এমন পরিবেশ যেখানে বসে শুধু সময় নষ্ট হয়?

এই ছয় মাসের জন্য তাদের থেকে দূরে থাকুন। নিজেকে এমন মানুষের সঙ্গে যুক্ত করুন, যারা আপনাকে উৎসাহ দেয়, অনুপ্রাণিত করে।

৪. দৈনন্দিন কাজগুলো গুছিয়ে নিন।

দিনের কাজগুলোর একটা তালিকা করুন। সকালে উঠে ভাবুন, “আজ কী কী করব?” আর সেটা সময়মতো শেষ করুন।

রাতের শেষে যখন দেখবেন, আপনার সব কাজ শেষ হয়েছে, তখন একটা আত্মবিশ্বাস জন্মাবে। আর সেই আত্মবিশ্বাস আপনাকে আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

৫. নিজের শরীরের যত্ন নিন।

এটা খুব জরুরি। আপনার শরীর যদি সুস্থ না থাকে, তাহলে কোনো কাজই এগোবে না। প্রতিদিন অন্তত আধঘণ্টা হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন।

আর মনের যত্ন নিতে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট ধ্যান করুন। দেখবেন, আপনার মন শান্ত থাকবে, আর কাজে মনোযোগ আরও বাড়বে।

৬. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে বিরতি নিন।

ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম—এগুলো যতটুকু দরকার ততটুকুই ব্যবহার করুন। এই ছয় মাসে ঠিক করুন, দিনে এক ঘণ্টার বেশি এদের পেছনে সময় দেবেন না।

এই সময়টা বরং কিছু শিখতে ব্যয় করুন। একটা অনলাইন কোর্স করতে পারেন, বা একটা নতুন বই পড়া শুরু করতে পারেন।

৭. প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন।

নতুন কিছু শেখা মানেই নতুন দরজা খোলা। ছয় মাসের জন্য একটা পরিকল্পনা করুন। প্রতিদিন একটা নতুন স্কিল শেখার চেষ্টা করুন। হয়তো এটা কুকিং, হয়তো ডিজিটাল মার্কেটিং, কিংবা কোনো নতুন ভাষা।

ছয় মাস পরে দেখবেন, আপনি নিজেই একটা সম্পদে পরিণত হয়েছেন।

ভাবুন তো, ছয় মাস পরে আপনি কোথায় দাঁড়াবেন?

ছয় মাস খুব বেশি সময় নয়। কিন্তু এই সময়টা যদি ঠিকমতো ব্যবহার করেন, ছয় মাস পরে আপনার জীবন একদম নতুন মোড় নেবে। আপনি হয়তো নিজের স্বপ্নের একদম কাছে পৌঁছে যাবেন।

জীবনটা ছোট।

কিন্তু আমরা এটাকে আরও ছোট করি অপ্রয়োজনীয় কাজে।

ছয় মাসের জন্য নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ নিন।

নিজের স্বপ্ন, নিজের লক্ষ্য, নিজের ভবিষ্যতের জন্য সময় দিন।

ছয় মাস পর যখন আয়নায় নিজেকে দেখবেন, তখন একজন বদলে যাওয়া মানুষকে দেখতে পাবেন—আর সেই মানুষটি হবে আপনারই আপডেটেড ভার্সন।

তো? এই ছয় মাসের যাত্রা শুরু করবেন কবে?

আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হয়তো আজ থেকেই শুরু হতে পারে।

পেয়ারা পাতাআমাদের দেশে এই পাতার তেমন একটা কদর নেই; কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই এই পাতা মূল্য দিয়ে কিনতে হয়।কেন মূল্য দি...
17/06/2025

পেয়ারা পাতা

আমাদের দেশে এই পাতার তেমন একটা কদর নেই; কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশেই এই পাতা মূল্য দিয়ে কিনতে হয়।
কেন মূল্য দিয়ে কিনে? কারন এর বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে,যা উপকারী।
এই পাতায় রয়েছে ভিটামিন সি ও এন্টি অক্সিডেন্ট এর প্রাচুর্যতা। যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে।
এতে বিদ্যমান ভিটামিন বি-৩, যা নিয়াসিন নামে পরিচিত তা আমাদের দেহের জন্য অপরিহার্য একটা ভিটামিন। শক্তি উৎপাদন এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ! ক্রমাগত নিয়াসিন এর অভাবে দেহে ক্লান্তি ভাব, ত্বকের সমস্যা, মাথাব্যথা, মুখে ঘা এই উপসর্গগুলো সাধারণত দেখা যায়। সেক্ষেত্রে হাতের নাগালে থাকা পেয়ারা পাতার চা কিছু টা সমাধান দিতে পারে বৈকি!
এক লিটার পানিতে এক মুঠো পরিস্কার পেয়ারা পাতা ২০ মিনিট অল্প আঁচে ফুটিয়ে পান করতে হবে।
আর হ্যাঁ, পেয়ারা পাতায় পটাশিয়াম এর পর্যাপ্ত উপস্থিতি থাকায় আমাদের হৃদয় এর দেখভালের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে।

চেষ্টা করি দেশীয় জাতের পেয়ারা পাতা ব্যবহার করতে।

পরিবার নষ্ট করে এমন ১০ টি ভুল অভ্যাস!১.কথা না বলাচুপ থাকলে দূরত্ব বাড়ে, সম্পর্ক নয়!২) সবসময় দোষ ধরা-সাহস না দিয়ে মন ভেঙে...
02/06/2025

পরিবার নষ্ট করে এমন ১০ টি ভুল অভ্যাস!
১.কথা না বলা
চুপ থাকলে দূরত্ব বাড়ে, সম্পর্ক নয়!

২) সবসময় দোষ ধরা-
সাহস না দিয়ে মন ভেঙে দেওয়া!

৩) একসাথে সময় না কাটানো
কাছাকাছি থেকেও মন থেকে দূরে থাকা!

৪) রাগ ধরে রাখা-
ছোট ছোট অভিমান সম্পর্ক নষ্ট করে!

৫) অর্থের ভুল ব্যবস্থাপনা-
টাকার সমস্যা পরিবারের চাপ বাড়ায়!

৬) ব্যক্তিগত সীমা না মানা-
একে ওপরের স্পেস ও অনুভূতিকে সন্মান না করা!

৭) পরিবারের সদস্যদের তুলনা করা!
বাবা-মা হিসেবে সন্তানের মধ্যে তুলনা করা, বাবা মা'র মধ্যে তুলনা করা!

৮) সমস্যা থেকে পালানো
সমস্যা মিটিয়ে না নিয়ে ফেলে রাখা!

৯) মোবাইল বা স্ক্রিনে আসক্তি!
সবার জন্য একটা বিরাট সমস্যা, প্রয়োজনীয় ব্যবহার করেন!

১০) কৃতজ্ঞতা না দেখানো
ভালোবাসা ও যত্নকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়া!

বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই অনেকের শরীরে বার্ধক্য জেঁকে বসে। ফিকে হয়ে যাওয়া অনুজ্জ্বল ত্বক দেখে মনে হয়, বেলা হয়ে...
24/05/2025

বয়স চল্লিশের কোঠা পেরোতে না পেরোতেই অনেকের শরীরে বার্ধক্য জেঁকে বসে। ফিকে হয়ে যাওয়া অনুজ্জ্বল ত্বক দেখে মনে হয়, বেলা হয়ে এল বুঝি। অথচ যথেষ্ট বয়স হওয়ার পরও তো কাউকে কাউকে বেশ তরুণ দেখায়! কেন এমন হয়?

এর নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। তবে দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রণালিই এ ক্ষেত্রে প্রধানত দায়ী। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, আপনার দিনের শুরু, তথা সকালের কিছু বদভ্যাস আপনাকে দ্রুত বুড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষত সকালের এক ঘণ্টা। মিডিয়াম ডটকমে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, ঘুম থেকে ওঠার প্রথম ঘণ্টা আপনার বয়স বাড়ার গতি কমিয়ে বা বাড়িয়ে দিতে পারে। নাটকীয় শোনালেও এটাই সত্য। সংশ্লিষ্ট নিবন্ধটিতে এমন পাঁচটি ভুল বিষয় এবং সেসবের সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
_______________
১. সকালের ক্লান্তিবোধ:

আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এমন হয়। রাতে টানা ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরও শরীর ভারী লাগে। মনে হয় আরও ঘুমালে ভালো হতো। এই ভারী লাগা, আধো জাগ্রত আধো ঘুমন্ত অবস্থাকে বলা হয় ‘স্লিপ ইনারশিয়া’। বাংলায় ঘুম–জড়তা বলা যেতে পারে। সহজ ভাষায়, শরীরের চেয়ে মস্তিষ্কের পিছিয়ে থাকা। অর্থাৎ আপাতদৃষ্টে আপনার শরীর জাগলেও মস্তিষ্ক তখনো ঘুমের মুডেই থাকে। ঘুম থেকে ওঠার প্রথম ৩০ মিনিটে আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ফলে সকালে স্পষ্টভাবে চিন্তা করা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

যা করবেন:

শরীর ও মনকে একই সঙ্গে পুরোপুরি জাগিয়ে তুলতে তিনটি কাজ করতে পারেন।

শরীর নাড়াচাড়া করুন। একটু হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে। ঘাড়, হাত-পা ঘোরানোর মতো ছোট্ট কিছু কাজ আপনার আড়ষ্টতা কাটাতে সাহায্য করবে। এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং পেশিগুলো সক্রিয় হয়ে উঠবে।

মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। এতে স্নায়ুতন্ত্র সজাগ হয়ে উঠবে।

শরীরে সূর্যের আলো লাগান। এই প্রাকৃতিক আলো আপনার মস্তিষ্ককে সংকেত দেবে যে সকাল হয়েছে। এটি মেলাটোনিন (ঘুমের হরমোন) নিঃসরণ বন্ধ করে এবং আপনাকে জেগে উঠতে সাহায্য করে।

২. পানিশূন্যতা:

ঘুমের সময় শ্বাসপ্রশ্বাস এবং ঘামের মাধ্যমে আপনার শরীর স্বাভাবিকভাবেই পানি হারায়। বেশির ভাগ মানুষ ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা পানিশূন্যতায় ভোগেন। ঘুম থেকে উঠে পানি পান না করে যদি চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে ধরে রাখুন, আপনি দিনের শুরুতেই পানিশূন্যতার শিকার হচ্ছেন।

যা করবেন:

অন্য কিছু খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি খান।

তাতে একচিমটি লবণ (ইলেকট্রোলাইটের জন্য) বা সামান্য লেবুর রস (ভিটামিন সি এবং হজমের জন্য) মেশান।

সামান্য মধু মেশালে আরও উপকার পাবেন। মধু হজম ও এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়ক।

৩. শরীরচর্চা:

ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরচর্চার কথা ভাবতেও খারাপ লাগে; কিন্তু শরীর ও মস্তিষ্ককে সজাগ করতে এবং বয়স বাড়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করতে এটি দুর্দান্ত উপায়। এটি দেহের আড়ষ্টতা কমায়। দেহে রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

যা করবেন:

ভয় নেই। এ জন্য আপনাকে জিমে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরানোর কথা বলা হচ্ছে না। ৫-১০ মিনিটের হালকা ব্যয়াম করুন। হাত-পা নাড়াচাড়া করা, গোটা দশেক স্কোয়াট, সিঁড়িতে ওঠানামা, একটু দৌড়ানোর মতো অল্প শ্রমের ব্যয়ামই এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতে পারে।

৪. সকালের নাশতা:

অনেকেই সকালের নাশতা বাদ দেন, কেউবা নাকেমুখে কিছু গুঁজে ছোটেন কাজে। অনেকে আবার দেরি করে নাশতা করেন। এর কোনোটাই স্বাস্থ্যকর নয়।

যা করবেন:

দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার সকালের নাশতা। সকালের নাশতায় এমন খাবার বেছে নিন, যাতে সারা দিন পর্যাপ্ত শক্তি পাওয়া যায়, আবার অতিরিক্ত শর্করা বা স্নেহজাতীয় উপকরণও না থাকে। রাজার মতো খাবার দিয়ে দিন শুরু করার আসল অর্থ কিন্তু এটাই। এতে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে, আপনি থাকবেন সুস্থ।

৫. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খাবার:

বয়সের গতি কমাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারের তুলনা নেই। এটি ফ্রি র‍্যাডিক্যালকে নিষ্ক্রিয় করে, যা কোষের ক্ষতি রোধ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধ করে।

যা করবেন:

দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। শাকসবজি ও ফলমূল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎকৃষ্ট উৎস। ডার্ক চকলেট, কাঠবাদাম, আখরোট, গ্রিন–টি খেতে পারেন। আনারস, আঙুর, আপেল, গাজর, টমেটো, কিশমিশ, ভুট্টা, জলপাই, খেজুর, লাল আটা, বাদাম তেলসহ বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ তেলেও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাবেন। ভিটামিন ই ও সি-সমৃদ্ধ খাবারও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
©

সব পান্তা, পান্তা নয়।পান্তা পাততে জানতে হয়,  পান্তা খেতেও কিছু নিয়ম মানতে হয়।অনেক স্বাস্থসম্মত, প্রাচীন এ-ই খাবার সম্পর্...
07/05/2025

সব পান্তা, পান্তা নয়।
পান্তা পাততে জানতে হয়, পান্তা খেতেও কিছু নিয়ম মানতে হয়।
অনেক স্বাস্থসম্মত, প্রাচীন এ-ই খাবার সম্পর্কে স প্রশ্নের জবাব একসাথে।

পান্তা ভাত অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ডাইজেস্টিভ ইস্যুতে খুব ভালো একটা খাবার। একদম দেশীয় প্রোবায়োটিক। কিন্তু এটা ঠিকভাবে তৈরির নিয়ম আমরা বেশিরভাগই জানি না। কতোটুকু পানি দিচ্ছি, কতোক্ষণ রাখছি এগুলো ইচ্ছেমতো করি। এই লেখাটা পড়লেই আশা করি আর কারো ভুল হবে না।

পান্তা ভাতের মতো যেকোন প্রোবায়োটিক খাবার ফার্মেন্টেশান প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। ফার্মেন্টেশান মূলত ব্যাকটেরিয়া, ইস্টের বেঁচে থাকার একটা মেটাবোলিক প্রক্রিয়া যেখানে এরা অক্সিজেনের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে খাবারের উপাদান ভেঙে নিজেদের জন্য শক্তি তৈরি করে আর খাবার ভাঙার ফলে অন্য কিছু উপাদান যেমন, অ্যালকোহল, অ্যাসিড ইত্যাদি আমরা পাই।

কিছু ব্যাকটেরিয়া অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে এই খাবার ভাঙে আর তখন অ্যাসিড তৈরি হয়। অক্সিজেনের উপস্থিতিতে যারা খাবার ভাঙে সেখান থেকে অ্যালকোহল তৈরি হয়।

এখন কথা হচ্ছে, ভাত ফার্মেন্ট করে আমরা কী চাই বা পাই? মূলত পাই, ল্যাকটিক অ্যাসিড। দইয়ে যে ফার্মেন্টেশান হয়, একই জিনিস ভাতেও হয়। ভিনেগার, অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এগুলোতে তৈরি হয় অ্যাসিটিক অ্যাসিড।

কিন্তু ভাত থেকে যদি আমরা অ্যালকোহল পেতে চাই? তাহলে ফার্মেন্টেশানের সময় মেইনলি অক্সিজেনের প্রয়োজন হবে।

বেসিক ক্লিয়ার হয়ে গেলে, এখন খুবই সহজ বুঝতে পারা যে ভাতে কতোটুকু পানি দিয়ে ফার্মেন্ট করবো? যেহেতু ল্যাকটিক অ্যাসিড তৈরি করবো, তাই ভাত পানির ১-২ ইঞ্চি নিচে ডুবে থাকবে যেন বাতাস না পায়। কাপে মেপে পানি হিসেবের কোন প্রয়োজন নেই।

এখন প্রশ্ন হলো, কতোক্ষণ রাখবো? যতোক্ষণ না আমরা পানিতে বুদবুদ দেখতে পাই এবং স্বচ্ছ পানি ঘোলাটে হয়ে আসে। রাতে ভেজাবো নাকি দুপুরে ভেজাবো, ১২ ঘণ্টা নাকি ২৪ ঘণ্টা এই হিসাবও অপ্রয়োজনীয়। কারণ পরিবেশের তাপমাত্রা অনুযায়ী, ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা অনুযায়ী এই সময় পরিবর্তিত হবে।

এরপরে প্রশ্ন আসতে পারে, কোন চালের ভাত নিবো? সহজ উত্তর আপনি কী চান এই পান্তা ভাত থেকে তার উপর নির্ভর করে। আমি চাই, সিম্পলি প্রোবায়োটিক খাবার খেতে। সেক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার লাগবে স্টার্চ যেটা সে চট করে ভাঙবে। স্টার্চের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে সাদা চালে।

যদি লাল চাল নিই, তাহলে পান্তা হবে না? হবে কিন্তু সময় অনেক বেশি লাগবে কারণ রান্নার পরেও লাল চালের ফাইবার বাইরে থেকে সরিয়ে ভেতরের স্টার্চ ভাঙতে ব্যাকটেরিয়ার সময় বেশি লাগবে। সাদা ভাত যদি পান্তা করতে ২৪ ঘণ্টা লাগে, লাল ভাত লাগবে আনুমানিক ৪৮ ঘণ্টা। টেক্সচার এবং স্বাদও আলাদা হবে। সাদা পান্তার টেক্সচার হবে নরম। লালটার হবে চিউয়িং গামের মতো। সাদা ভাতের পান্তায় সহজে ল্যাকটিক অ্যাসিডের টক স্বাদ পাওয়া যাবে, লালটার স্বাদ আলাদা হবে কিছুটা।

রান্নার কতোক্ষণ পরে ভাতে পানি দিবো? ভাত ঠাণ্ডা করেই পানি দেয়া যায়। দুপুরে রান্না করে রাতে পানি দেয়া অর্থহীন। বাতাসে যতো বেশি থাকবে অ্যালকোহল এবং পরবর্তীতে পানিতে অ্যাসিটিক অ্যাসিড ফার্মেন্টেশান হবে। সুতরাং ভাত পুরনো করে ঘামিয়ে, নরম করে পানি দেয়া অপ্রয়োজনীয়।

কোন পাত্রে ফার্মেন্ট করবো? যে পাত্র ফার্মেন্টেশানে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের সাথে রিয়্যাক্ট করবে না। মেলামাইল, প্লাস্টিক বা অ্যালুমিনিয়াম কিছুতেই না। কাঁচ, মাটির পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। মাটির পাত্রের আরেকটা সুবিধা হলো, তাপমাত্রা সহজে বের হয় না।

পানি দিয়ে ভাত ঢেকে রাখবো নাকি খোলা রাখবো? অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে যেন ধুলো, মাছি, পোকা এগুলো না পড়ে।

ভাতে পানি দিয়েই ভারতীয় স্টাইলে তাড়কা ঢেলে দিলে কী হবে? ফার্মেন্টেশানে অনেক দেরি হবে। পানি ভেজানো ঠাণ্ডা ভাত, তাড়কা খাবেন কিন্তু সেটা প্রোবায়োটিক হিসেবে কাউন্ট হবার সম্ভাবনা কম। পুরোপুরি পান্তা খেতে চাইলে ফার্মেন্ট করে নিয়ে খাবারের আগে আগে তাড়কা বা যা ইচ্ছে নিয়ে খেতে পারেন।

ভাত ভিজিয়ে অনেকেই সাথে দই দিয়ে রেখে দেয়। সেক্ষেত্রে ফার্মেন্টেশান আরো দ্রুত হবে। কারণ দইয়ে অলরেডি ব্যাকটেরিয়া থাকবে। ভাত, পানি আর দই মিশিয়ে রাখলে এক রাতের মাঝেই প্রোপারলি পান্তা ভাত পাওয়া সম্ভব।

আরেকটা কাজ করতে পারেন, যেটা আমি করি। প্রথমদিন পান্তা বানিয়ে খাওয়ার পর আধা কাপ পানি ফ্রিজে রেখে দিই। পরের দিনের ফ্রেশ পানির সাথে এই পুরনো পানিটা ঢেলে দিলে পান্তা দ্রুত হয়।

পান্তার পানিও সমানভাবে ভালো। ফেলে না দিয়ে খেয়ে ফেলবেন। আর পান্তা হয়ে গেলে যদি খেতে দেরি হয়, তাহলে ফ্রিজে রাখবেন। এতে ফার্মেন্টেশান প্রসেস থেমে যাবে। কারণ এই প্রসেসটা তাপমাত্রা সেনসিটিভ। দই যেমন উষ্ণ জায়গায় পাততে হয়, এটাও তেমনি। হয়ে গেলে যেমন ফ্রিজে রাখতে হয়, এটাও তেমনি। কিন্তু ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। মানে খুব গরমে ফার্মেন্টেশান হবে না।

আশা করি, ঠিকভাবে পান্তা ভাত তৈরি করে খেতে আর কোন সংশয় থাকবে না।

শিশুটির হাতে মোবাইল , মোবাইলের স্ক্রিনে রীলস। অন্তহীন অর্থহীন শালীন অশালীন ভেদাভেদজ্ঞানহীন রীলস। 🫨🫨শিশুটি দেখে যাচ্ছে টা...
28/04/2025

শিশুটির হাতে মোবাইল , মোবাইলের স্ক্রিনে রীলস। অন্তহীন অর্থহীন শালীন অশালীন ভেদাভেদজ্ঞানহীন রীলস। 🫨
🫨
শিশুটি দেখে যাচ্ছে টানা, নড়া নেই চড়া নেই, মাথা খাটানো নেই, আগে শিশুরা কার্টুন শো দেখতো মিনিট কুড়ির...অতক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখার ব্যাপারও নেই। দুয়েক মিনিটের রীল...চলছে পর পর পরের পর। শিশুটি কাউকে বিরক্ত করে না ...চেঁচামেচি করে না...ঘরদোর নোংরা করে না। ভালো ব্যবস্থা...তাই না? বেশ সুবিধার ।

🤪 আর তার মনের ভিতর...তার অপরিণত নিষ্পাপ ...কাদার তালের মত যে কোনো ছাঁচে পড়ে তার রূপ ধারণ করার মতো নরম মনটার ভিতর...কি ঢুকছে পর পর পরের পর? একটু কোন সুস্থ চিন্তা... একটু কোন শোভন বিনোদন? কি মনে হয়?

🍈 দয়া করে আপনার পরিবারের খুদে সদস্যটির হাত থেকে মোবাইলটি নিয়ে একটি বই ধরান। হ্যাঁ...মানছি... এখনই পড়তে পারেনা হয়তো ...পড়ে দিতে হবে। আপনি ব্যস্ত...সত্যিই ব্যস্ত...সেটাও জানি। আচ্ছা...নাহয় ছবিই দেখুক খানিক...যখন সময় হবে পড়ে দেবেন 'খন। ছিঁড়ে ফেলবে...নষ্ট করবে? এদিকে যে মনের সুকুমার কোমল বৃত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে...তার কি হবে !

🍒আচ্ছা বেশ...বই না হয় নাই দিলেন। সাদা কাগজ আর রং পেন্সিল দিন...হিজিবিজি কাটুক। ঘর নোংরা হবে? বিশ্বাস করুন...ওর মনে যে নোংরা ঢুকছে তার থেকে বেশী হবে না। আর নাহলে ব্লকস দিন...কাঠের বা প্লাস্টিকের। মডেলিং ক্লে। তাও না পেলে সাবেক খেলনাবাটি, গাড়ি , পুতুল। কিছু তো করুক হাত দিয়ে...মাথা দিয়ে...মন দিয়ে। অন্যের বানানো কিছু উদ্ভট কিম্ভুত কার্যকলাপের রেকর্ডিং দেখে মগজধোলাই না হয়ে নিজের মনে খামখেয়ালিপনাই করুক না হয়।

🍋আপনার শিশুকে আপনি কি ভাবে বড়ো করবেন সে বিষয়ে আমি সামাজিক মাধ্যমে উটকো লোক গায়ে পড়ে জ্ঞান দিচ্ছি...,আপনার বিরক্তির উদ্রেক হতে পারে...মানছি। আসলে..,.চার বছরের কন্যা আয়নার সামনে নানা অঙ্গভঙ্গি সহকারে বলছে..".মা আমাকে চেক্সি লাগছে"...আর মা বাবা গদ গদ হয়ে বলছেন... "দেখেছো কি সব বলে .. কোথায় যে শেখে কে জানে" ...সদ্য দেখা এই দৃশ্য আমাকে খুব ভয় পাইয়ে দিয়েছে...জানেন।

🛟এখনও সাবধান না হলে খুব বড়ো ক্ষতি হয় যাবে ওদের,,,, আমাদের,,,,🛟
©️

কারো সাথে দেখা হলে যে কথাগুলো একদমই বলা উচিত না। এগুলো কটু বাক্য। এগুলো বলা এক ধরনের অভদ্রতা। “আপনি তো অনেক মোটা হয়ে গেছ...
26/04/2025

কারো সাথে দেখা হলে যে কথাগুলো একদমই বলা উচিত না। এগুলো কটু বাক্য। এগুলো বলা এক ধরনের অভদ্রতা।

“আপনি তো অনেক মোটা হয়ে গেছেন!”

“জামাটা কোথা থেকে নিয়েছেন? গায়ে তো মানাচ্ছে না একদম।”

“বেতন কত পান?”

“বিয়ের এতদিন হলো, এখনো বাচ্চা হয় না?”

“বাচ্চাটা এত রোগা কেন?”

“ বয়স তো হলো, বিয়ে করেন না কেন ?”

“মুখে এত ব্রণ কেন?”

“এত বয়স হলো, এখনো চাকরি নেই?”

“তোমার গায়ের রঙ এত কালো কেন?”

“এতদিন ধরে সংসার করছেন, এখনো ভাড়া বাসায় থাকেন?”

“এই বয়সে এমন পোশাক পরেন কীভাবে?”

“বাবা-মা তো ফর্সা, বাচ্চাগুলো কালো হলো কী করে?”

“তোমার স্বামীর আয় কত?”

“স্বামী বিদেশে থাকে, তুমি একা থাকো কেমন করে?”

“তুমি তো আগে সুন্দর ছিলে, এখন এমন হলে কেন?”

“খাওয়া-দাওয়া করো না নাকি, এত শুকিয়ে গেলে যে?”

“তোমার বয়স কত?”

“এখনো কি আগের মতোই আছো, নাকি পরিবর্তন আসছে?”

“বাসায় শাশুড়ির সাথে কেমন সম্পর্ক?”এগুলো আপনার কাছে হয়তো কয়েকটি বাক্য মাত্র, কিন্তু যাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, তার কাছে এগুলো কাঁটার চেয়েও ভয়ঙ্কর। তাই, এগুলো বলা থেকে বিরত থাকুন।

মনে রাখবেন, সব কথা বলার না, সব প্রশ্ন করার না।সবার জীবনের গল্প এক না। তাই, কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অযাচিত প্রশ্ন না করাই শ্রেয়।

জ্ঞানী হোন। সংবেদনশীল হোন। মানুষকে আঘাত নয়—ভালোবাসা দিন, সম্মান দিন।

~ লেখাঃ ©©©

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট (মস্তিষ্কের বিকাশ) ভালোভাবে নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। নিচে কিছু ক...
25/04/2025

শিশুর ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট (মস্তিষ্কের বিকাশ) ভালোভাবে নিশ্চিত করতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। নিচে কিছু করণীয় দেওয়া হলো:

১. সঠিক পুষ্টি:👶
মায়ের দুধ: জন্মের পর প্রথম ৬ মাস শুধু বুকের দুধ দিন। এতে শিশুর ব্রেইনের বিকাশে প্রয়োজনীয় সব উপাদান থাকে।
পুষ্টিকর খাবার: ৬ মাসের পর সুষম খাবার যেমন ডিম, মাছ, শাকসবজি, ফল, দুধ ইত্যাদি দিতে হবে।

২. পর্যাপ্ত ঘুম:👶
শিশুর বয়স অনুযায়ী ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম ব্রেইনের নিউরোন গঠনে সহায়তা করে।

৩. আবেগিক ও সামাজিক সাড়া:👶
শিশুকে আদর করুন, তার সঙ্গে কথা বলুন, গান গেয়ে শোনান।
মায়ের হাসি, স্পর্শ ও কথাবার্তা শিশুর ব্রেইনকে সক্রিয় করে তোলে।

৪. খেলাধুলা ও বুদ্ধিবৃত্তিক খেলনা:👶
বয়স উপযোগী খেলনা যেমন রঙ চিনতে শেখায় এমন খেলনা, কাঠের পাজল, শব্দ তৈরি করা খেলনা ইত্যাদি দিন। wooden intelligent toys এই কাজে বেশ উপকারী হতে পারে।

৫. ভাষার বিকাশে সহায়তা:👶
শিশুর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলুন—even সে কথা না বললেও।ছবি দেখিয়ে জিনিসের নাম বলুন, ছোট ছোট গল্প বলুন।

৬. পর্যবেক্ষণ ও কৌতূহল বাড়ানো:👶
শিশুকে বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করার সুযোগ দিন—সে যেন স্পর্শ করে, শব্দ শুনে, গন্ধ নিয়ে শিখতে পারে।

৭. স্ক্রিন টাইম কমান:👶
২ বছরের নিচের শিশুদের স্ক্রিন টাইম না থাকাই ভালো। বড় হলে বয়স অনুযায়ী সীমিত রাখুন।

আপনার এখন থেকে নেয়া যত্ন ওর ভবিষ্যৎ সুন্দর করবে, সবাই সচেতন হবেন।

✅পড়ার জন্যে বিশেষ অনুরোধ রইলো🙏♦️প্রসঙ্গ: খাবার স্যালাইন।♦️সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো। "প্রচণ্ড গরম পড়েছে... পা...
06/04/2025

✅পড়ার জন্যে বিশেষ অনুরোধ রইলো🙏
♦️প্রসঙ্গ: খাবার স্যালাইন।♦️

সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
"প্রচণ্ড গরম পড়েছে... পাশের সারির সিটে বসেছিল দুই ছেলে... দুজনই ছাত্র...
কৌতূহল নিয়ে দেখছি কী করে!!
হাফ লিটার (৫০০ মি.লি) পানির বোতলে প্রথমে এক প্যাকেট খাবার স্যালাইন ঢালল... একটু ঝাঁকি দিল... এরপর আরেক প্যাকেট স্যালাইন বের করল... সব মিলে দুই প্যাকেট স্যালাইন ঢালল ঐ হাফ লিটার পানির মধ্যেই...
জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই দুই প্যাকেট কেন ঢাললেন?
- এক প্যাকেটে অত স্বাদ পাওয়া যায় না... তাছাড়া যে গরম পড়েছে, তাতে বেশি খাওয়াই ভালো।

এরকম ভুল প্রায় লোকই করে... সবাই ভাবে, স্যালাইনই তো... কী আর হবে!! কিন্তু এটা যে কত মারা*ত্মক ভুল, তা বেশিরভাগ লোকই জানে না... বিশেষ করে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তো আরো বেশি বিপজ্জনক...
কয়েক মাস আগের কথা... ডায়রিয়া হওয়ার পর খিঁচুনি নিয়ে এক বাচ্চাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে।
একটু সন্দেহ হলো... জিজ্ঞাসা করলাম, কী খাইয়েছেন বাবুকে?
- কেন? স্যালাইন।
- বানিয়েছেন কীভাবে?
- হাফ গ্লাসের মতো পানিতে এক প্যাকেট স্যালাইন গুলিয়েছি।
- নিয়ম তো হাফ লিটার বা আধা সের পানিতে স্যালাইন গুলানো। কিন্তু হাফ গ্লাস পানিতে কেন?
- ছোট বাচ্চা, অত আর স্যালাইন খেতে পারবে?

তাড়াতাড়ি বাচ্চাকে মেডিকেলে রেফার করে দিলাম। অল্প পানিতে স্যালাইন গুলানোর কারণে বেশি ঘনত্বের লবণ শরীরের ভেতরে গিয়ে লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে খিচুনি শুরু হয়েছে, যা খুবই মারাত্মক... কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এভাবে অনেক বাচ্চা মারা যায় ডায়রিয়ার কারণে নয়, ভুলভাবে স্যালাইন বানানোর কারণে।

মনে রাখা উচিত, খাবার স্যালাইন কোন সাধারণ পানীয় নয় যে ইচ্ছেমতো খাবেন। এটি ওষুধ... ব**মি, পাতলা পায়**খানা বা গরমের ফলে প্রচণ্ডরকম ঘেমে শরীর থেকে যে পানি, লবণ বের হয়ে যায়, তা পূরণ করার জন্য এটি খাওয়া হয়।

এটি নির্দিষ্ট নিয়মেই গুলাতে হবে... ছোট-বড় সবার জন্য একই নিয়মে বানাতে হবে... আধা সের বা হাফ লিটার পানির মধ্যে পুরো এক প্যাকেট মিশিয়ে স্যা*লাইন দ্রবণ প্রস্তু*ত করতে হবে। তবেই তা শরীরে গিয়ে কাজ করবে।

এর কম পানিতে বানালে লবণের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে কিড*নির ক্ষ*তি করবে... বেশি পানিতে বানালে লবণের ঘন*ত্ব কমে গিয়ে সঠিকভাবে ঘাটতি পূরণ হবে না।

একবার স্যালাইন বানালে, তা সর্বোচ্চ বারো ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা যায়, তবে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত রাখতেও অনেকে পরামর্শ দেন।

কখনো হাফ প্যাকেট স্যালাইন, এক গ্লাস পানি- এভাবে বানাবেন না... কিংবা পরবর্তিতে বানানোর জন্য প্যাকেটে কিছু স্যালাইন রেখেও দিবেন না... এক প্যাকেট দিয়ে একসাথে হাফ লিটারই বানাবেন...
একবার বানানোর পর, বয়স ও প্রয়োজনভেদে যতটুকু দরকার, সেখান থেকে নিয়ে সেভাবে খাবেন। শেষ হয়ে গেলে আবার হাফ লিটার পানিতে এক প্যাকেট গুলিয়ে নতুন করে বানাবেন।
ডায়াবেটিস, উচ্চ*রক্ত*চাপ, কি*ডনি-রোগ কিংবা হা*র্টের রুগীর ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে স্যালাইন খাবেন।

আর হ্যাঁ, বাজারে "টে*স্টি স্যালাইন" নামক যা পাওয়া যায়, সেগুলো অবশ্যই খাওয়া যাবে না.. এগুলোতে মাত্রার কোন ঠিক তো নেই-ই, এর পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসনেরও কোনো অনুমোদন নেই। বরং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অনেক কোম্পানির টেস্টি স্যালাইনে স্যাকারিন ও কাপড়ের রং পর্যন্ত পাওয়া গেছে।

বিনা আঘাতে শব্দ করা ঢোল - একটি জাপানি লোককথাএক দেশে ছিল এক অদ্ভুত নিয়ম।এই নিয়ম অনুযায়ী, যারা বার্ধক্যে উপনীত হয়ে কাজ করত...
19/03/2025

বিনা আঘাতে শব্দ করা ঢোল - একটি জাপানি লোককথা

এক দেশে ছিল এক অদ্ভুত নিয়ম।

এই নিয়ম অনুযায়ী, যারা বার্ধক্যে উপনীত হয়ে কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়তেন, তাদের পাহাড়ে ফেলে আসতে হতো।

রাজা মনে করতেন, বয়স্কদের যত্ন নেওয়ার বোঝা কমালে সাধারণ মানুষের জীবন সহজ হয়ে যাবে।

এই কঠোর নিয়ম চালু থাকাকালীন এক পিতা-পুত্র খুব ভালোবাসতেন একে অপরকে।

সময় গড়িয়ে গেল। পিতার বয়স হয়ে গেল, তিনি আর কাজ করতে পারতেন না।

দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ছেলেকে বাধ্য হয়ে তাঁকে পাহাড়ে ফেলে আসতে হবে।

কিন্তু বাবাকে ছেড়ে থাকতে পারার কথা ছেলে ভাবতেই পারছিল না।

তবু, শাস্তির ভয়ে সে বাবাকে কাঁধে নিয়ে পাহাড়ের দিকে রওনা দিল।

পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে তার মন কেঁদে উঠল।

শেষ পর্যন্ত বাবাকে সেখানে রেখে আসতে পারল না।

সে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এল এবং বাড়ির পিছনে লুকিয়ে রাখল।

চুপিচুপি খাবার এনে তাঁকে খাওয়াতে লাগল।

একদিন রাজা তাঁর প্রজাদের বুদ্ধি পরীক্ষা করতে চাইলেন।

তিনি ঘোষণা করলেন, "যে ছাই দিয়ে বোনা দড়ি এনে দিতে পারবে, সে পুরস্কৃত হবে!"

লোকজন অবাক হয়ে গেল। ছাই দিয়ে কি কখনও দড়ি তৈরি করা সম্ভব?

ছেলেও এই ধাঁধার কথা শুনে বাবাকে বলল।

বাবা বললেন, "একটা দড়ি নিয়ে বড় পাত্রে পেঁচিয়ে রাখো, তারপর সেটা জ্বালিয়ে দাও।"

ছেলে বাবার কথা মতো কাজ করল।

দড়ি পুড়ে গেল, কিন্তু তার ছাই ঠিক আগের মতো দড়ির আকারেই থেকে গেল।

সে সেটি রাজাকে দেখাল এবং পুরস্কার জিতল।

এক মাস পর, রাজা দ্বিতীয় পরীক্ষার আয়োজন করলেন। তিনি একটি কাঠের ডাল দিলেন এবং বললেন, "এর শিকড় আর আগার পার্থক্য খুঁজে বের করো!"

ডালের দু’প্রান্ত দেখতে একই রকম ছিল, তাই কেউই এর উত্তর খুঁজে পেল না।

ছেলে কাঠের ডালটি বাড়িতে এনে বাবাকে দেখাল। বাবা বললেন, "ডালটি পানিতে রাখো। যেটি বেশি ডুবে যাবে, সেটি গোড়া, আর যেটি ভেসে থাকবে, সেটি আগা।"

ছেলে বাবার উপদেশ মতো কাজ করল এবং রাজাকে দেখিয়ে আবারও পুরস্কার জিতল।

এরপর রাজা আরও কঠিন এক ধাঁধা দিলেন। তিনি বললেন, "একটি ঢোল তৈরি করো, যা কোনো আঘাত ছাড়াই শব্দ করবে!"

সবার মাথা ঘুরে গেল। কেউই এমন ঢোল বানানোর উপায় খুঁজে পেল না। ছেলে আবার বাবার শরণাপন্ন হল।

বাবা বললেন, "ঢোল তৈরি করো, তার ভেতরে একটি মৌমাছির চাক রাখো।"

ছেলে বাবার নির্দেশ মতো ঢোল বানিয়ে রাজাকে দিল।

রাজা ঢোলটি হাতে নিয়ে নাড়ালেই এর ভেতরের মৌমাছিরা ওড়ে, ফলে ঢোলে শব্দ হয়!

রাজা বিস্মিত হয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কীভাবে এত কঠিন প্রশ্নের উত্তর পেলে?"

অভিজ্ঞতার মূল্য
ছেলে বলল, "রাজামশাই, আমার নিজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমার বৃদ্ধ বাবাই সব উত্তর দিয়েছেন।"

ছেলের কথা শুনে রাজা খুবই নরম হয়ে গেলেন। তিনি উপলব্ধি করলেন, জীবনের কঠিন সমস্যার সমাধান বের করতে অভিজ্ঞতা সবচেয়ে মূল্যবান।

রাজা সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করলেন, "আজ থেকে আর কোনো বৃদ্ধকে পাহাড়ে ফেলে আসতে হবে না!" এরপর থেকে সকল বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা পরিবারের সঙ্গেই আনন্দে থাকতে লাগলেন।

মূল্যবান শিক্ষা
বিনা আঘাতে শব্দ করা ঢোলের কাহিনি আমাদের শেখায়, অভিজ্ঞতা অমূল্য। বয়স্করা আমাদের জীবনের আশীর্বাদ। তাদের যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্বই নয়, বরং এটা আমাদের সৌভাগ্য।

বেঁচে থাকাটাই আশ্চর্য! সকালে ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলেন-তার মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান!তারপর নাস্তায় পরোটা খেলেন- তা...
03/03/2025

বেঁচে থাকাটাই আশ্চর্য!

সকালে ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলেন-তার মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান!

তারপর নাস্তায় পরোটা খেলেন- তার মধ্যে অ্যামোনিয়ার তৈরি সল্টু মিশানো!

তারপর কলা খেলেন - কার্বাইড দিয়ে পাকানো!

তারপর কফি নিলেন - এতে তেঁতুলের বিচির গুড়া মিশানো!

তারপর বাজারে গেলেন টাটকা শাক সবজি কিনলেন -
কপার সালফেট ছিটায়ে সতেজ করা, হাইব্রিড সার দিয়ে ফলানো!

মসলা আর হলুদের গুড়া নিলেন - লেড এবং ক্রোমাইট ক্যামিকেল মিশানো!

গরমের দিন বাসায় এসে তরমুজ খেলেন - পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট দিয়ে লাল করা!

আম এবং লিচু বাচ্চাকে দিলেন খেতে - কার্বাইড দিয়ে পাকানো এবং ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত!

দুপুরে ভাত খাবেন - ইউরিয়া দিয়ে সাদা করা!

মুরগী নিলেন প্লেটে - ক্রমাগত এন্টিবায়োটিক দিয়ে বড় করা!

সয়াবিন তেলে রান্না সব - ভিতরে অর্ধেক পাম অয়েল মেশানো!

খাওয়ার পর মিষ্টি জিলাপি নিলেন - পোড়া মবিল দিয়ে মচমচে করা!

রোজা থাকলে সন্ধ্যায় রুহ আফযা নিলেন - কেমিকেল আর রং ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি পরীক্ষায়!

খেজুর খেলেন - বছরের পর বছর স্টোরেজে ফরমালিন দিয়ে রেখেছিলো!

সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি মাখানো খেলেন - মুড়ি ইউরিয়া দিয়ে ফুলানো আর সাদা করা এবং সরিষার তেলে ঝাঁঝালো কেমিক্যাল মিশানো!

রাতে আবার একই বিষ ডবল খেলেন!
ঘুমানোর আগেও বাদ যাবেনা। গরম দুধ আর হরলিক্স খেলেন - গাভীর পিটুইটারি গ্রন্থিতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অতিরিক্ত দুধ দোওয়ানো হয়, এরপর ইউরিয়া মেরে সাদা করা হয়।আর হরলিক্সে পরীক্ষা করে কেমিক্যাল ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি!

এত ভেজাল খেয়ে দু একটা ঔষধ না খেলে তো শরীর টিকবেনা। ৭০ ভাগ ঔষধ কোম্পানি দেশে মান সম্মত ঔষধ তৈরি করেনা।

এইসব খাওয়ার পর ভাবছেন, কেমনে বেঁচে আছেন !..মানুষের ঈমান তো নাই নাই, দুর্নীতির ভিতরেও এরা দুর্নীতি করে।

আসলে আমরা কেউই বেঁচে নাই। এখানে বেচে থাকাটাই অদ্ভুত ব্যাপার।
©

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমামের অংগ।নিজের শরীর, কাপড়, ব্যবহারের জিনিস, ঘরদোড় সবাই পরিস্কার থাকার অভ্যস্ত হওয়া উচিত। সবাই সবা...
27/02/2025

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমামের অংগ।নিজের শরীর, কাপড়, ব্যবহারের জিনিস, ঘরদোড় সবাই পরিস্কার থাকার অভ্যস্ত হওয়া উচিত। সবাই সবার কাজ করবে,জায়গার জিনিস জায়গায় রাখবে, তাহলে পরিবারের একজনের উপর চাপ কম পরবে।
এতে ফিজিকাল এক্টিভিটি ও হয় আবার অসুখ বিসুখ ও কমে!

সাজানো গোছানো বাসা দেখতে বেশ লাগে। মনেও শান্তি আনে। তবে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও খাটনিকর।

এজন্য প্রতিদিন ছোটখাট উদ্যোগ নিলে পরে বড় পরিসরে গুছিয়ে রাখার কাজ করতে হয় না। এতে খাটনিও কমে।
পরিষ্কার রাখার প্রতিদিনের ছোটখাট অভ্যাস বড় ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।

১. যখনকার কাজ তখনই করা:

খাওয়ার পর টেবিল থেকে থালাবাটি সরানো, ধোয়া কাপড় শুকানোর পরপরই গুছিয়ে রাখা বা ঘরের ফিরে বাইরের পরনের কাপড়-জামা বদলিয়ে তখনই গুছিয়ে রাখার মতো অভ্যাসগুলো পরে বাড়তি কাজের চাপ থেকে রক্ষা করতে পারে।
মাত্র কয়েক মিনিট অতিরিক্ত সময় খরচে এসব কাজ করলে পরে অতিরিক্ত বড় কাজের চাপ এড়ানো যায়। আর সবসময় ঘর জঞ্জাল মুক্ত রাখা সম্ভব হয়।

২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় রাখা:

দিনের শেষে ১৫ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করে রাখা যেতে পারে, যখন ঘরের টুকটাক অগোছালো হয়ে থাকা জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখা যেতে পারে। হতে পারে সেটা টেবিলের ওপর পড়ে থাকা কোনো অপ্রয়োজনীয় বাক্স বা চেয়ারের ওপর রাখা অগোছালো পোশাক।

৩. সবসময় জঞ্জাল মুক্ত করা:

পরে করবো বলে বসে না থেকে, সাথে সাথে জঞ্জাল ফেলে দেওয়া হল ঘরে পরিষ্কার রাখার অন্যতম পদ্ধতি।
যে জিনিস কাজে লাগছে না সেটা এখনই ডাস্টবিনে ফেলে দিন। জমিয়ে রাখার দরকার নেই। যেমন- কোনো জিনিসের বাক্স, ঠোঙা, ওষুধের পাতা ইত্যাদি।

৪. সাজানোর জিনিসের স্থান পরিবর্তন:

ঘর সাজানোর জন্য সব জিনিস বা ছবি একসাথে প্রদর্শন না করে, কয়েকদিন পরপর দুয়েকটা ছবি বা ‘শো পিস’ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা যেতে পারে।
নিয়মিতভাবে মাঝে মাঝে এসব জিনিসের স্থান পরিবর্তন করে সাজিয়ে রাখলে দেখাতে যেমন নতুনের ছোঁয়া মিলবে তেমনি অনেক জিনিস একসাথে প্রদর্শন না করার কারণে অগোছালো ভাবটাও আসবে না।

৫. পরিষ্কারের ক্ষেত্রে একই রকম জিনিস একসাথে করা:

যদি গোছানোর বিষয়টা হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়, সেক্ষেত্রে পরামর্শ হল- প্রথমে একই রকম জিনিস একত্র করা।
একটা একটা করে জিনিস বাছাই করে ফেলতে গেলে সময় বেশি লাগে। তাই আগে জঞ্জালের মধ্যে একই রকম জিনিসগুলো ‘গ্রুপ’ হিসেবে আলাদা করে, অপ্রয়োজনীয়গুলো ফেলে দিতে পারেন। এতে সময় ও খাটনি- দুটোই কমবে।

৬. একটি আসলো, একটি গেল:

ঘরে অনেক জিনিস হয়ে গেছে, নতুন কোনো কিছু ঘরে রাখার তেমন কোনো জায়গা নেই। এক্ষেত্রে একটা আনলে একটা বাদ- পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
যেমন- নতুন কোনো টি-শার্ট কেনা হলে, ঘরে থাকা পুরানো দেখতে বাজে হয়েছে এমন টি-শার্ট বাতিল করে ফেলে দিতে পারেন। বা পুরানো জিনিস পরিবর্তন করে নতুন জিনিস আনা।

৭. ভাগে ভাগে কাজ করা:

ছোট ছোট পদক্ষেপে কাজ করলে পরিষ্কার রাখার বিষয়টা সহজ হয়।
কাজগুলো ভাগ করে অল্প করে আগালে চাপ কম পড়ে। আর এভাবে কাজের অর্ধেক আগিয়ে ফেললে, পুরো কাজ শেষ করারও উদ্যোম পাওয়া যায়।
যেমন- পরিবারের একেক সদস্যের জামা-কাপড় আলাদা করে নিয়ে গোছানো। বাথরুমে পরিষ্কার রাখতে খালি হওয়া শ্যাম্পু বা সাবানের বোতল এক জায়গায় রাখা, তারপর ফেলে দেওয়া – ইত্যাদি।

Address

Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health Talk - স্বাস্থ্য কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Health Talk - স্বাস্থ্য কথা:

Share