
11/08/2024
ওলী আল্লাহ উনাদের কবর কেন উঁচু করা হয়?
১) কবরের ওপর বসা যাবে নাঃ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমাদের কারো জলন্ত অঙ্গারের ওপর বসে থাকা এবং তাতে তার কাপড় পুড়ে গিয়ে শরীরের চামড়া দগ্ধ হওয়া কবরের ওপর বসার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম ২১৩৮)
কবর সমতলের থেকে উঁচু না হলে মানুষ বুঝবে কি করে এখানে কোন মানুষের কবর রয়েছে? তাই কবর সমতলের চেয়ে উঁচু করা হয় যেন কেউ কবরের উপর না বসে। দূর থেকেও যেন বুঝতে পারেন এখানে কোন মুসলমানের কবর রয়েছে।
২) কবর পা দিয়ে মাড়ানো নিষিদ্ধঃ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আগুনের অঙ্গার কিংবা তরবারির ওপর দিয়ে আমার হেঁটে যাওয়া কিংবা আমার পায়ের চামড়া দ্বারা আমার চটি তৈরি করা একজন মুসলমানের কবরের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া থেকে আমার কাছে বেশি প্রিয়।’ (ইবনু মাজাহ ১৫৭৬)
কবর সমতলের থেকে উঁচু না হলে মানুষ বুঝবে কি করে এখানে কোন মানুষের কবর রয়েছে? তাই কবর সমতলের চেয়ে উঁচু করা হয় যেন কেউ পা দিয়ে কবর না মাড়ায়। দূর থেকেও যেন বুঝতে পারেন এখানে কোন মুসলমানের কবর রয়েছে।
৩) কবরস্থানে প্রস্রাব করা অপরাধঃ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কবরস্থানের মধ্যে মল-মূত্র ত্যাগ করতে পারলে বাজারের মধ্যস্থলে মল-মূত্র ত্যাগের কোনো পরোয়া করি না।’ (ইবনু মাজাহ ১৫৬৭)
কবর সমতলের থেকে উঁচু না হলে মানুষ বুঝবে কি করে এখানে কোন মানুষের কবর রয়েছে? তাই কবর সমতলের চেয়ে উঁচু করা হয় যেন কেউ কবরের উপর বসে প্রস্রাব না করে। দূর থেকেও যেন বুঝতে পারেন এখানে কোন মুসলমানের কবর রয়েছে।
৪) কবর জিয়ারত করা সুন্নতঃ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি আমার রবের কাছে, আমার মায়ের কবর জিয়ারত করতে চাইলে তিনি এর অনুমতি দিয়েছেন। কাজেই তোমরা কবর জিয়ারত করবে। কেননা তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (আবু দাউদ ৩২৩৪)
কবর সমতলের থেকে উঁচু না হলে মানুষ বুঝবে কি করে এখানে কোন মানুষের কবর রয়েছে? তাই কবর সমতলের চেয়ে উঁচু করা হয় যেন দূর থেকেও বুঝতে পারেন এখানে কোন মুসলমানের কবর রয়েছে।