Clinical Dietitian - Sazeda Kashem Jyoti

Clinical Dietitian - Sazeda Kashem Jyoti Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Clinical Dietitian - Sazeda Kashem Jyoti, Nutritionist, Dhaka.

Dietician & Nutritionist
Executive Director, BADN
10 Years of Experience in Clinical Nutrition
⚠️ডিসক্লেইমার: এই পেজে শেয়ার করা সব তথ্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য। কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে, যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে চিকিৎসক/পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। সাজেদা কাশেম জ্যোতি একজন পেশাদার পুষ্টিবিদ, ডায়েটিশিয়ান ও প্রফেশনাল স্কিল ট্রেইনার (ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন)। তিনি বর্তমানে নিউট্রিশনিস্ট ও হেলথ এ

ডুকেশন অফিসার হিসেবে এনএইচএন, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, উত্তরা শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি বাংলাদেশের একজন সনামধন্য রেনাল ডায়েটিশিয়ান। দীর্ঘ ০৩ বছর গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে তিনি রেনাল ডায়েট স্পেশালিষ্ট হিসেবে কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি ‘বাংলাদেশ একাডেমী অব ডায়েটেটিক্স এন্ড নিউট্রিশন ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ একাডেমী অব ডায়েটেটিক্স এন্ড নিউট্রিশন মুলত সাধারন জনগন ও সংশ্লি­ষ্ট পেশাদারদের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত সাধারন জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষে কাজ করছে। নারী ও শিশুদের পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি প্রবীণ ও অটিস্টিক শিশুদের খাদ্য ও পুষ্টি নিয়েও কাজ করছেন, পাশাপাশি এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন লেখালেখি ও অনুষ্ঠান করেন।

🦴আমাদের সমাজে পায়া (গরু বা খাসির পায়ের ঝোল) একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে শরীর দুর্বল হলে বা হাড়ে ব্যথা থাকলে অ...
08/06/2025

🦴আমাদের সমাজে পায়া (গরু বা খাসির পায়ের ঝোল) একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ করে শরীর দুর্বল হলে বা হাড়ে ব্যথা থাকলে অনেকেই বলেন, “পায়ার ঝোল খাও, ক্যালসিয়াম বাড়বে।” কিন্তু এই কথাটি কতটা সত্য?

❌ প্রচলিত ধারণা: পায়া মানেই ক্যালসিয়ামের ভান্ডার
👉পায়ার ঝোল গরু বা খাসির হাড় দিয়ে তৈরি হয়। তাই অনেকের ধারণা, এতে হাড়ের সব ক্যালসিয়াম ঝোলে মিশে যায়। এর ফলে পায়া খেলে হাড় শক্ত হয়, দাঁত ভালো থাকে, এমনকি শিশুদের বৃদ্ধিও ভালো হয় — এমনটাই ভাবা হয়।
📌কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা ভিন্ন।

🔬 বিজ্ঞান কী বলছে?
👉সাধারণভাবে রান্না করা পায়ার ঝোলে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ খুবই কম।

এর কারণ হলো:

👉হাড়ের ক্যালসিয়াম রান্নার সময় সহজে ঝোলে মিশে না।
👉বিশেষভাবে লম্বা সময় ধরে রান্না করা না হলে (যেমন ১২-২৪ ঘণ্টার বোন ব্রথ), হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের হয় না।
👉ভিনেগার বা লেবুর রস ছাড়া হাড়ের খনিজ গলে না।

📌 তাই, শুধু পায়ার ঝোল খেয়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়।

✅ তাহলে পায়াতে কী উপকার?
👉পায়ায় ক্যালসিয়াম কম থাকলেও অন্য কিছু উপাদান আছে যা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে:

🦴কোলাজেন ও জেলাটিন – ত্বক, চুল ও জয়েন্টের জন্য ভালো
🦴গ্লুকোজামিন ও কন্ড্রয়েটিন – জয়েন্টের ব্যথা বা অস্থিসন্ধির সমস্যা কমাতে সহায়ক
🦴প্রোটিন– দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে

তাই বলা যায়, পায়া সুস্বাদু ও পুষ্টিকর, কিন্তু ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস নয়।

🥦 ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস কোনগুলো?
👉যদি আপনি হাড় ও দাঁত ভালো রাখতে চান, তাহলে নিচের খাবারগুলো নিয়মিত খাওয়া জরুরি:
🥛 দুধ ও দই
🧀 পনির
🥬 পালং শাক
🥜 বাদাম (বিশেষ করে আমন্ড)
⚪ তিল
🐟 ছোট মাছ (মাছের কাঁটা সহ খাওয়া হয় এমন)

এছাড়াও ভিটামিন D দরকার, কারণ এটি ক্যালসিয়াম শোষণে সহায়তা করে। রোদে কিছু সময় কাটানো, ডিমের কুসুম ও সামুদ্রিক মাছ খাওয়া এতে সহায়ক।

🤚পায়া খেতে সুস্বাদু, এবং এতে কিছু উপকারী উপাদান থাকলেও, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে এটি নির্ভরযোগ্য উৎস নয়।

👉 তাই হাড় ভালো রাখতে চাইলে প্রতিদিন দুধ, দই, পনির, শাকসবজি ও বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।

✅পায়া খাবেন, কিন্তু ক্যালসিয়ামের জন্য নয় —স্বাদের জন্য!

✍️ Clinical Dietitian - Sazeda Kashem Jyoti

সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা 🌙🌙। 🌙🐂ঈদ মুবারক 🐂🌙
07/06/2025

সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার অনেক অনেক শুভেচ্ছা 🌙🌙। 🌙🐂ঈদ মুবারক 🐂🌙

🌙🐂 ঈদে মাংস খাওয়া হোক স্বাস্থ্যকর ও সচেতনভাবে 🐂🌙কোরবানির ঈদ মানেই আনন্দ, তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ও ভুলভাবে সংরক্ষণ করলে ...
05/06/2025

🌙🐂 ঈদে মাংস খাওয়া হোক স্বাস্থ্যকর ও সচেতনভাবে 🐂🌙

কোরবানির ঈদ মানেই আনন্দ, তবে অতিরিক্ত মাংস খাওয়া ও ভুলভাবে সংরক্ষণ করলে হতে পারে হজমের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো জটিলতা। তাই সুস্থ থাকতে মেনে চলুন কিছু সহজ নিয়ম:

🧊 মাংস সংরক্ষণ:

✅জবাইয়ের পর ৫–৬ ঘণ্টা ঠান্ডা স্থানে রেখে রক্ত ঝরিয়ে নিন।
✅ছোট প্যাকেটে ফ্রিজে রাখুন, প্রয়োজনমতো বের করুন।
✅ফ্রিজে: ২ দিন, ডিপ ফ্রিজে: ৩–৬ মাস পর্যন্ত।
✅ফুড গ্রেড ব্যাগ ব্যবহার করুন।

🥘 রান্নার স্বাস্থ্যকর কৌশল:

✅কম তেল/ঘি ব্যবহার করুন।
✅গ্রিল/সেদ্ধ করে খেলে ফ্যাট কম থাকে, হজমও সহজ হয়।
✅সবজি মিশিয়ে রান্না করুন, অন্তত এক বেলা নিরামিষ খান।

🍽 ডায়েট টিপস:

✅সকালে হালকা খাবার (ডিম, ওটস, দই) খান।
✅প্রচুর পানি পান করুন।
✅দিনে একবার মাংসই যথেষ্ট।
✅মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবারে নিয়ন্ত্রণ আনুন।
✅ধনেপাতা, লেবু, জিরার পানি হজমে সহায়ক।

🚶‍♂️ হালকা হাঁটা:

✅প্রতিবার খাবারের পর ১৫–২০ মিনিট হাঁটুন।
✅পরিবারের সঙ্গে সন্ধ্যার হাঁটা হতে পারে আনন্দময় ও স্বাস্থ্যকর দুটোই।

🩺 বিশেষ সতর্কতা যাদের জন্য:

👩‍🏫ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্রিল বা সেদ্ধ মাংস খান সীমিত পরিমাণে। এছাড়াও কিডনি রোগীরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন। প্রয়োজনে ডায়েটিশিয়ান এর পরামর্শ নিন।

👩‍🏫শিশু ও বয়স্কদের জন্য হালকা ও সহজপাচ্য রান্না দিন।

🥩ঈদের আনন্দে মাংস খাওয়া খুব স্বাভাবিক, তবে স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে সেই আনন্দই হয় বিষাদে পরিণত। তাই সংরক্ষণ, রান্না ও খাওয়ায় কিছু নিয়ম মানলে আপনি ও আপনার পরিবার থাকতে পারবেন সুস্থ ও প্রাণবন্ত।

সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন – ঈদ হোক আনন্দময় ও স্বাস্থ্যকর!

🌙 ঈদ মোবারক! 🌙

ডায়েট ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সাজেদা কাশেম জ্যোতি, নিয়মিত অনলাইনে ডায়েট ও পুষ্টি কাউন্সেলিং দিচ্ছেন। এপোয়েন্টমেন্ট নিতে কল করু...
19/05/2025

ডায়েট ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সাজেদা কাশেম জ্যোতি, নিয়মিত অনলাইনে ডায়েট ও পুষ্টি কাউন্সেলিং দিচ্ছেন। এপোয়েন্টমেন্ট নিতে কল করুন 01677250597 নম্বরে বা পেইজে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

🥭আম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়। রসালো, মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। এতে রয়...
19/05/2025

🥭আম গ্রীষ্মকালীন ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়। রসালো, মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

#সাজেদাকাশেম
#আমেরউপকারিতা
#ফলেররাজা
#গ্রীষ্মেরফল
#স্বাস্থ্যকরখাবার
#প্রাকৃতিকপুষ্টি
#ভিটামিনসমৃদ্ধ



🩺❤️বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসতারিখ: ১৭ই মে"উচ্চ রক্তচাপ - নিঃশব্দ ঘাতক"উচ্চ রক্তচাপ, যা প্রায়ই উপসর্গহীন থাকে। হৃদরোগ, স্ট...
17/05/2025

🩺❤️বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস
তারিখ: ১৭ই মে

"উচ্চ রক্তচাপ - নিঃশব্দ ঘাতক"

উচ্চ রক্তচাপ, যা প্রায়ই উপসর্গহীন থাকে। হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিকভাবে রক্তচাপ পরিমাপ এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই ঝুঁকিগুলি হ্রাস করা সম্ভব।

💁‍♀️বিশেষ পরামর্শ:
১। নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন।
২। সুস্থ জীবনযাপন বজায় রাখুন, যেমন: সুষম খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ।প্রয়োজনে পুষ্টিবিদ এর পরামর্শ গ্রহণ করুন।
৩। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।

🩺আপনার রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন, দীর্ঘজীবী হন।
সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন।❤️

#বিশ্বউচ্চরক্তচাপদিবস
#উচ্চরক্তচাপ
#নিঃশব্দঘাতক
#রক্তচাপমাপুন





#সাজেদাকাশেম

🐂 কুরবানি ঈদে স্বাস্থ্য ভালো রাখার ৭টি  সহজ টিপসঃ   #সাজেদাকাশেম      #ডায়েটটিপস  #কুরবানি  #কুরবানি_ঈদ ্বাস্থ্য #স্বাস্...
17/05/2025

🐂 কুরবানি ঈদে স্বাস্থ্য ভালো রাখার ৭টি সহজ টিপসঃ

#সাজেদাকাশেম #ডায়েটটিপস #কুরবানি #কুরবানি_ঈদ
্বাস্থ্য
#স্বাস্থ্য_টিপস
িশেষ
#কুরবানি_ঈদ_টিপস
#স্বাস্থ্যকর_ঈদ

্দ
#বাংলা_স্বাস্থ্য_টিপস
#স্বাস্থ্য_সতর্কতা

🍉🥭🍍 গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা 🍇🍓🍈. #গ্রীষ্মকালীনফল #স্বাস্থ্যকরজীবন #ফলখাও #গরমকালে #ফলপ্রেমী
17/05/2025

🍉🥭🍍 গ্রীষ্মকালীন ফলের উপকারিতা 🍇🍓🍈.


#গ্রীষ্মকালীনফল
#স্বাস্থ্যকরজীবন
#ফলখাও
#গরমকালে
#ফলপ্রেমী




🍜নুডুলস: স্বাস্থ্যের পক্ষে না বিপক্ষে?🤔নুডুলস বর্তমানে শুধু শিশু-কিশোর নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের কাছেও একটি জনপ্রিয় খাবার। ...
13/05/2025

🍜নুডুলস: স্বাস্থ্যের পক্ষে না বিপক্ষে?🤔

নুডুলস বর্তমানে শুধু শিশু-কিশোর নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের কাছেও একটি জনপ্রিয় খাবার। সহজে রান্না করা যায়, স্বাদেও আকর্ষণীয়—তাই অনেকেই এটি দিনের খাবারে অন্তর্ভুক্ত করছেন। তবে একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে আমাকে প্রায়ই একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়—“নুডলস কি স্বাস্থ্যকর?”

এই প্রশ্নের উত্তর এক কথায় দেওয়া যায় না। চলুন, একটু গভীরভাবে বুঝি।

🔖নুডুলসের সাধারণ পুষ্টিমূল্য বিশ্লেষণ:

🍜এক প্যাকেট ইনস্ট্যান্ট নুডুলসে যা থাকে:
১. কার্বোহাইড্রেট: উচ্চ পরিমাণে (পেট ভরানোর কাজ করে)।
২. ফ্যাট ও ট্রান্স ফ্যাট: কিছু ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৩. সোডিয়াম (লবণ): অনেক বেশি।
৪. প্রোটিন ও ফাইবার: খুবই কম।
৫. ভিটামিন-মিনারেল: কার্যত অনুপস্থিত।

💁‍♀️কেনো এতো জনপ্রিয়? :
১. সহজ এবং দ্রুত প্রস্তুত: মাত্র কয়েক মিনিটেই রান্না করা যায়, যা ব্যস্ত সময়ে উপকারী।

২. স্বাদে বৈচিত্র্য: বিভিন্ন ফ্লেভারে পাওয়া যায়, ফলে একই জিনিস বারবার খেয়েও একঘেয়েমি আসে না।

৩. সুলভ এবং সহজলভ্য: অন্যান্য অনেক খাবারের তুলনায় দাম কম এবং দোকানে সহজেই মেলে।

🚫নিয়মিত ইনস্ট্যান্ট নুডলস খাওয়ার ঝুঁকি:
১. উচ্চমাত্রার সোডিয়াম: প্যাকেট নুডলসে থাকা ‘টেস্ট মেকার’-এ উচ্চমাত্রার লবণ থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।

২. ট্রান্স ফ্যাট ও প্রিজারভেটিভ: সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ও তেলে ভাজার ফলে ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত হয়, যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর।

৩. কম পুষ্টিগুণ: নুডলস মূলত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ, কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল খুব কম থাকে। ফলে এটি পেট ভরালেও শরীরের উপকারে আসে না।

৪. ময়দা থেকে তৈরি: বেশিরভাগ নুডলস তৈরি হয় পরিশোধিত ময়দা থেকে, যা হজমে সমস্যা করতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ব্যাঘাত: নুডলস খেতে খেতে অনেকেই ফল, সবজি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে যান। এতে স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে ব্যাঘাত ঘটে।

💁‍♀️তবে নুডুলস মানেই কি খারাপ?
না, একেবারেই নয়। যদি সঠিকভাবে এবং সীমিত পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে নুডুলস কখনো কখনো খাদ্যতালিকায় থাকতেই পারে।

🍜 স্বাস্থ্যকরভাবে নুডুলস খাওয়ার উপায়:
১. সবজি যোগ করুন: গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, লাউ, টমেটো ইত্যাদি।

২. প্রোটিন যুক্ত করুন: ডিম, মুরগি, ডাল বা টোফু মেশালে খাবারটি পুষ্টিগুণে ভারসাম্য পায়।

৩. কম লবণ ও তেল ব্যবহার করুন: প্যাকেটের মসলার সবটা না দিয়ে নিজের তৈরি হালকা মসলা ব্যবহার করুন।

৪. সাপ্তাহে একবার: প্রতিদিন নয়, মাঝেমধ্যে খেলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

🤔Sticky Noodles কি ভালো বিকল্প?
Sticky বা rice noodles তুলনামূলকভাবে কম প্রসেসড, হজমে সহজ, এবং এতে গ্লুটেন থাকে না। আপনি যদি বাড়িতে রান্না করেন এবং তাতে প্রচুর সবজি ও প্রোটিন যোগ করেন, তবে এটি ইনস্ট্যান্ট নুডলসের চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

📌নুডলস কখনোই একটি পূর্ণাঙ্গ পুষ্টিকর খাবার নয়। তবে যদি স্বাস্থ্যসচেতনভাবে রান্না করা হয়, উপযুক্ত উপাদান যোগ করে খাওয়া হয়, এবং নিয়মিত না হয়ে মাঝে মাঝে খাওয়া হয়—তাহলে এটি উপভোগ করা যেতে পারে।

পুষ্টির চাবিকাঠি হলো ভারসাম্য। তাই যেকোনো খাবারের পেছনে চোখ বন্ধ করে না গিয়ে, একটু বোঝার চেষ্টা করলে আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন কী খাওয়া উচিত আর কী নয়।

লেখক: সাজেদা কাশেম
খাদ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ (Nutritionist)

#সাজেদাকাশেম #ডায়েটটিপস #ফিটথাকুন #নুডুলস

🫁সুস্থ লিভারের জন্য কিছু করনীয় ও বর্জনীয় টিপস:  #সাজেদাকাশেম        #ডায়েটটিপস    #ফিটথাকুন      #লিভার
12/05/2025

🫁সুস্থ লিভারের জন্য কিছু করনীয় ও বর্জনীয় টিপস:

#সাজেদাকাশেম #ডায়েটটিপস #ফিটথাকুন #লিভার

🤦‍♀️ওজন কমছে না? ডায়েট করার পর কেন থেমে যায় ওজন কমা?🥗অনেকেই ডায়েট শুরু করার পর প্রথম কিছু দিনে বেশ ভালো ফল পান। ওজন দ্রু...
10/05/2025

🤦‍♀️ওজন কমছে না? ডায়েট করার পর কেন থেমে যায় ওজন কমা?

🥗অনেকেই ডায়েট শুরু করার পর প্রথম কিছু দিনে বেশ ভালো ফল পান। ওজন দ্রুত কমতে থাকে, শরীরে হালকা লাগতে থাকে। কিন্তু কিছুদিন পর হঠাৎ করেই সেই ওজন কমা থেমে যায়। অনেক চেষ্টা করেও আর ওজন কমে না। এই পরিস্থিতিকে বলে "Weight Loss Plateau"। ওজন কমার পর কেন তা থেমে যায় এবং এই অবস্থায় কী করা উচিত চলুন জেনে নেই 👇।

১. শরীর মানিয়ে নেয় (Metabolic Adaptation):

প্রথমে যখন ডায়েট শুরু করা হয়, শরীরে হঠাৎ ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি হয়। এতে শরীর জমে থাকা চর্বি ভেঙে শক্তি নিতে শুরু করে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে শরীর কম ক্যালোরিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং মেটাবলিজম (রূপান্তর শক্তি) ধীর হয়ে যায়। ফলে আগের মত ওজন কমা বন্ধ হয়ে যায়।

২. ক্যালোরি হিসাব ভুল হতে পারে:

অনেক সময় আমরা ভাবি খুব কম খাচ্ছি, কিন্তু বাস্তবে নানা ধরনের ছোট ছোট খাবার – যেমন বিস্কুট, বাদাম, দুধে চিনি, সস, তেল ইত্যাদির মাধ্যমে অনেক ক্যালোরি শরীরে ঢুকে পড়ে। এতে করে ডায়েটে থাকা সত্ত্বেও শরীর আবারও ভারী হতে পারে।

৩. ব্যায়ামে পেশী বাড়ছে (Muscle Gain):

আপনি যদি এক্সারসাইজ করেন, বিশেষ করে ওয়েট ট্রেনিং, তাহলে শরীরের চর্বি কমার পাশাপাশি পেশীর পরিমাণ বাড়ে। পেশী চর্বির তুলনায় বেশি ভারী, তাই ওজন কমছে না মনে হলেও শরীরের গঠন বদলে যাচ্ছে, আপনি টোনড হচ্ছেন।

৪. একই রকম ডায়েট দীর্ঘদিন ধরে চলা:

ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনীয় ক্যালোরিও কমে যায়। তাই প্রথম দিকে যেই ডায়েট কাজ করছিল, সেটা কিছুদিন পর আর ফল দেয় না। তখন ডায়েট বা এক্সারসাইজ প্ল্যানে নতুন করে পরিবর্তন আনা জরুরি।

৫. হরমোন ও মানসিক চাপ:

থাইরয়েড সমস্যা, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, PCOS – এই ধরনের হরমোনজনিত সমস্যাগুলো ওজন কমার পথে বাধা সৃষ্টি করে। মানসিক চাপ থাকলেও কর্টিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে মেদ জমাতে সাহায্য করে।

৬. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া:

প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে শরীরের হরমোন ব্যালান্স বিঘ্নিত হয়। এতে করে ক্ষুধা বাড়ে এবং মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে ওজন কমে না।

💁‍♀️ওজন কমাতে আবার গতি আনতে কী করবেন?

✅ডায়েট রিভিউ করুন: আপনার ক্যালোরি হিসাব ও খাবারের মান পর্যালোচনা করুন।

✅এক্সারসাইজে ভিন্নতা আনুন: শুধু কার্ডিও না করে কিছু ওয়েট ট্রেনিং যোগ করুন।

✅ঘুম ও স্ট্রেস কন্ট্রোল করুন

✅✅প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।

📌ওজন কমানো মানে শুধু ক্যালোরি কমানো না, এটা একটা বিজ্ঞান। ধৈর্য ধরে সঠিক পন্থায় এগোলে অবশ্যই আবার ওজন কমবে। মনে রাখবেন – শরীর পরিবর্তন সময় চায়, কিন্তু সঠিক পথে থাকলে ফল আসবেই।💯

________
সাজেদা কাশেম
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ

#স্বাস্থ্যসচেতনতা
#ওজনকমানোরজার্নি


#ফিটনেসমোটিভেশন
#ডায়েটটিপস


#ঘরোয়ারেমিডি
#পুষ্টিকথা

#ফিটথাকুন
#সাজেদাকাশেম

Address

Dhaka

Opening Hours

Friday 20:00 - 22:00
Saturday 20:00 - 22:00

Telephone

+8801677250597

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Clinical Dietitian - Sazeda Kashem Jyoti posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Clinical Dietitian - Sazeda Kashem Jyoti:

Share

Category

Our Story

সাজেদা কাশেম জ্যোতি একজন পেশাদার পুষ্টিবিদ, সমাজসেবী এবং তরুণ উদ্যোক্তা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকোনমিক্স থেকে খাদ্য পুষ্টি বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা ও ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনে বিশেষ প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করেছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস এর পাশাপাশি হারম্যান মেইনর কলেজ এ শিক্ষকতাও করেছেন ১ বছর। তিনি বর্তমানে গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারে রেনাল ডায়েটিশিয়ান হিসেবে কর্মরত আছেন। ২০১৪ সালে তিনি ‘বাংলাদেশ একাডেমী অব ডায়েটেটিক্স এন্ড নিউট্রিশন ট্রাস্ট’ নামক একটি রেজিস্টার্ড NGO প্রতিষ্ঠা করেন। এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশ একাডেমী অব ডায়েটেটিক্স এন্ড নিউট্রিশন মুলত সাধারন জনগন ও সংশ্লি­ষ্ট পেশাদারদের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত সাধারন জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষে কাজ করছে। নারী ও শিশুদের পুষ্টি সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি প্রবীণ ও অটিস্টিক শিশুদের খাদ্য ও পুষ্টি নিয়েও কাজ করছেন, পাশাপাশি এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ স্ট্রোক এ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) যা ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক এ্যাসোসিয়েশন এর অঙ্গ সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশের একমাত্র সংগঠনের পরিচালক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন। এ্যাসোসিয়েশন এর মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কাছে স্ট্রোক নিরাময়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা ও রিহেবিলিটেশন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছেন।