15/10/2025
জাতী ধব্বংসের কলংকিত ইতিহাস-
ছবির ব্যক্তির নাম কিং বিলি। তাসমানিয়া দ্বীপের শেষ আদিবাসী পুরুষ তিনি। পশ্চিমারা এই জাতি ও জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।
কিং বিলি নামটি দেওয়া হয়েছিল বিদ্রূপ করে। তার প্রকৃত নাম ছিল উইলিয়াম ল্যানি। জন্ম আনুমানিক ১৮৩৫ সালে, তাসমানিয়া দ্বীপে। তখন দ্বীপের নাম ছিল ভ্যান ডিমেনস ল্যান্ড।
এই আদিবাসীরা ছিল শান্তিপ্রিয়। তারা যুদ্ধ বা অস্ত্র চিনত না। তাদের একমাত্র চাওয়া ছিল "আমাদের শান্তিতে থাকতে দাও"।
কিন্তু যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এল, তারা ঘোষণা দিল, এই দ্বীপে কেউ নেই! শুরু হলো ১৯ শতকে এক ভয়ংকর গ.ণ.হ.ত্যা, যা পরিচিত "কালো যুদ্ধ" নামে।
আদিবাসীদের জমি থেকে উৎখাত করা হলো। পুরুষদের হ.ত্যা. করা হলো ।
নারী ও শিশুদের বন্দি করে পাঠানো হলো কথিত সভ্যতা শিবিরে।
সেখানে তারা মারা গেল নির্যাতন, রোগ ও অপুষ্টিতে।
উইলিয়াম ল্যানি ছিলেন সেই অল্প কয়েকজন শিশুর একজন, যিনি এই গ.ণ.হ.ত্যা থেকে বেঁচে যান। তাকে পাঠানো হয় ফ্লিন্ডার্স দ্বীপে, যেখানে তাকে "সভ্যতা ও উন্নয়ন" কর্মসূচির আওতায় রাখা হয়।
তিনি দেখলেন, তার জাতির সংখ্যা ১৫,০০০ থেকে কমে, মাত্র কয়েকজন হয়ে গেছে, শেষে শুধু তিনিই রইলেন।
পরে তিনি হোবার্ট শহরে চলে আসেন, সেখানে তিনি নাবিক হিসেবে কাজ করেন। ইউরোপীয়রা তাকে দেখতে লাগল এক "অন্যরকম" মানুষ হিসেবে- যাকে "নমুনা" হিসেবে সংরক্ষণ করার চিন্তা করল তারা।
তাকে দেওয়া হলো একটি ব্যঙ্গাত্মক উপাধি, কিং বিলি।
১৮৬৯ সালের ৩ মার্চ, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। সম্ভবত যক্ষ্মা বা নিউমোনিয়ায়।
কিন্তু মৃত্যুর পরও তার প্রতি অবমাননা থামেনি। তার দেহ নিয়ে শুরু হয় লড়াই- হোবার্টের ব্রিটিশ রাজকীয় জাদুঘর এবং স্থানীয় মেডিকেল কলেজের মধ্যে।
কে পাবে তার দেহ?
পরে তার মাথা কে.টে. নেওয়া হয়। চুরি করা হয় তার খুলি ও যৌ.না.ঙ্গ। তথাকথিত "নৃবিজ্ঞান" গবেষণার নামে। যা ছিল বর্ণবাদী শ্রেষ্ঠত্ব তত্ত্বের অংশ।
তাসমানিয়ার সরকার এখনও তাকে সম্মানের সাথে পুনঃসমাধিস্থ করার প্রচেষ্টা করছে ।
_____________________________________
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে বলুন, আমরা কি তাদের থেকে বেশি অসভ্য?
#তাসমানিয়া #কিংবিলি