নাজাত রিসার্চ গার্ডেন

নাজাত রিসার্চ গার্ডেন happy health
(1)

জাতী ধব্বংসের কলংকিত ইতিহাস-ছবির ব্যক্তির নাম কিং বিলি। তাসমানিয়া দ্বীপের শেষ আদিবাসী পুরুষ তিনি। পশ্চিমারা এই জাতি ও জন...
15/10/2025

জাতী ধব্বংসের কলংকিত ইতিহাস-
ছবির ব্যক্তির নাম কিং বিলি। তাসমানিয়া দ্বীপের শেষ আদিবাসী পুরুষ তিনি। পশ্চিমারা এই জাতি ও জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।

কিং বিলি নামটি দেওয়া হয়েছিল বিদ্রূপ করে। তার প্রকৃত নাম ছিল উইলিয়াম ল্যানি। জন্ম আনুমানিক ১৮৩৫ সালে, তাসমানিয়া দ্বীপে। তখন দ্বীপের নাম ছিল ভ্যান ডিমেনস ল্যান্ড।

এই আদিবাসীরা ছিল শান্তিপ্রিয়। তারা যুদ্ধ বা অস্ত্র চিনত না। তাদের একমাত্র চাওয়া ছিল "আমাদের শান্তিতে থাকতে দাও"।

কিন্তু যখন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এল, তারা ঘোষণা দিল, এই দ্বীপে কেউ নেই! শুরু হলো ১৯ শতকে এক ভয়ংকর গ.ণ.হ.ত্যা, যা পরিচিত "কালো যুদ্ধ" নামে।

আদিবাসীদের জমি থেকে উৎখাত করা হলো। পুরুষদের হ.ত্যা. করা হলো ।
নারী ও শিশুদের বন্দি করে পাঠানো হলো কথিত সভ্যতা শিবিরে।
সেখানে তারা মারা গেল নির্যাতন, রোগ ও অপুষ্টিতে।

উইলিয়াম ল্যানি ছিলেন সেই অল্প কয়েকজন শিশুর একজন, যিনি এই গ.ণ.হ.ত্যা থেকে বেঁচে যান। তাকে পাঠানো হয় ফ্লিন্ডার্স দ্বীপে, যেখানে তাকে "সভ্যতা ও উন্নয়ন" কর্মসূচির আওতায় রাখা হয়।

তিনি দেখলেন, তার জাতির সংখ্যা ১৫,০০০ থেকে কমে, মাত্র কয়েকজন হয়ে গেছে, শেষে শুধু তিনিই রইলেন।

পরে তিনি হোবার্ট শহরে চলে আসেন, সেখানে তিনি নাবিক হিসেবে কাজ করেন। ইউরোপীয়রা তাকে দেখতে লাগল এক "অন্যরকম" মানুষ হিসেবে- যাকে "নমুনা" হিসেবে সংরক্ষণ করার চিন্তা করল তারা।

তাকে দেওয়া হলো একটি ব্যঙ্গাত্মক উপাধি, কিং বিলি।

১৮৬৯ সালের ৩ মার্চ, মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান। সম্ভবত যক্ষ্মা বা নিউমোনিয়ায়।

কিন্তু মৃত্যুর পরও তার প্রতি অবমাননা থামেনি। তার দেহ নিয়ে শুরু হয় লড়াই- হোবার্টের ব্রিটিশ রাজকীয় জাদুঘর এবং স্থানীয় মেডিকেল কলেজের মধ্যে।

কে পাবে তার দেহ?

পরে তার মাথা কে.টে. নেওয়া হয়। চুরি করা হয় তার খুলি ও যৌ.না.ঙ্গ। তথাকথিত "নৃবিজ্ঞান" গবেষণার নামে। যা ছিল বর্ণবাদী শ্রেষ্ঠত্ব তত্ত্বের অংশ।

তাসমানিয়ার সরকার এখনও তাকে সম্মানের সাথে পুনঃসমাধিস্থ করার প্রচেষ্টা করছে ।

_____________________________________
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন তাহলে বলুন, আমরা কি তাদের থেকে বেশি অসভ্য?

#তাসমানিয়া #কিংবিলি

টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করেছে ICDDR,B। তারা দেখেছে- বাংলাদেশে গড়ে প্রত্যেক ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৯১৩জন টাইফয়েড-এ আক্রা...
15/10/2025

টাইফয়েড নিয়ে গবেষণা করেছে ICDDR,B। তারা দেখেছে- বাংলাদেশে গড়ে প্রত্যেক ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে মাত্র ৯১৩জন টাইফয়েড-এ আক্রান্ত হয়। মানে টাইফয়েড আক্রান্তের শতকরা পরিমাণ ১%-এর কম। অর্থাৎ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয় না ৯৯% মানুষ। একই গবেষণায় আরো দেখা গেছে- এক ডোজ টাইফয়েডের টিকা সর্বোচ্চ ১৮ মাস পর্যন্ত ৮৫% শতাংশ সুরক্ষা (!) দিতে পারে (যদিও সেটা প্রশ্নবোধক)। তাহলে টিকা নেওয়ার পরেও সুরক্ষা (!) পায় না ১৫%। তার মানে দাড়াচ্ছে- টিকা গ্রহণ করলেও সর্বোচ্চ টাইফয়েড হতে পারে ১৫% আর গ্রহণ না করলে টাইফয়েড হবে বড়জোর ১%

যে কোনো টিকা হচ্ছে ওই রোগের জীবাণুর অংশবিশেষ- যা রোগ ঠেকানোর নামে শরীরে প্রবেশ করানো হয়; উদ্দেশ্য শরীরকে আগেভাগে জীবাণু চেনানো। তার মানে যাদের টাইফয়েড হয় নাই বা হওয়ার সম্ভাবনা নাই, তাদের শরীরেও অহেতুক টাইফয়েড-এর জীবাণু ঢোকানো হচ্ছে! গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন তো- এর আদৌ কোনো প্রয়োজন আছে কি না?!?

টাইফয়েড তো সেই মাত্রার কোনো রোগ নয় কিংবা চিকিৎসা নেই- এমন রোগও নয়। তাহলে কাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আগে থেকেই আমরা গণহারে টাইফয়েড রোগের জীবাণু-খণ্ড আমাদের শরীরে প্রবেশ করাবো? এর মাধ্যমে টাইফয়েড থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে কিনা বলা মুশকিল, কিন্তু আরো অনেকগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যে দেখা দেবে- সেটা সুনিশ্চিত। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, সরাসরি রক্তে কিছু মেশানো সম্পূর্ণরূপে শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ড।

আমি প্রায়ই বলি- ওষুধ নামক সিন্থেটিক ড্রাগস সেবন করবেন না। এগুলো কেমিক্যালের তৈরি কৃত্রিম বস্তু এবং মানবদেহের ভেতরে ঢোকার অনুপযুক্ত। এগুলো যারা তৈরি ও বিপনন করছে, সেটা তাদের ব্যবসা ও অর্থ উপর্জনের মাধ্যম। তারা চায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ যেন তাদের বানানো ড্রাগগুলো ব্যবহার করে আজীবন অসুস্থ থাকে। এতে তারা ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হবে। এজন্য তারা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অর্থ ঢেলে নিজেদের প্রত্যাশা অনুযায়ী গবেষণা ফলাফল তৈরি করাতেও পিছ পা হয় না, তারপর মিডিয়াতে টাকা ঢেলে সেটা প্রচার করায়, অতঃপর ভুলভাল জনমত গড়ে উঠলে সরকারকে প্রভাবিত (রাষ্ট্রীয়ভাবে বিক্রি) করে জনগণকে বিষ গ্রহণে বাধ্য করে। এর নেপথ্য উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতের রোগী বাড়ানো! গণহারে টিকা দিলে জনগণের যতটুকু লাভ (!), তার থেকে ঢের লাভবান হয় ড্রাগস কোম্পানিগুলো।

টাইফয়ের ভ্যাকসিন কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় দেওয়া হয় না? চাপিয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল কিংবা আফ্রিকান দেশগুলোর জনগণের ওপরে। এসব ভ্যাকসিনের আড়লে তাদের যে ভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে- সে বিষয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হয় না!

অনুগ্রহ করে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন- এই যে ৫ কোটি কোমলমতি শিশুর শরীরে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, এর মধ্যে বড় অংশের শরীরে আগে থেকেই এন্টিবডি তৈরি হয়ে আছে। তাহলে কেন টিকা গ্রহণ করে নিজের শরীরে বিষ ঢোকাতে হবে? রাষ্ট্রের কোনো অধিকার থাকতে পারে কি কারো দেহের ভিতরে কিছু ঢুকাতে বাধ্য করার? একটা বাচ্চার শরীরে যদি আগে থেকেই এন্টিবডি থাকে, তবে টিকা গ্রহণের কী দরকার? কোনোপ্রকার টেস্ট না করিয়ে কেন গণহারে শরীরে টিকা গ্রহণ করতেই হবে?

এখানেই আসল ব্যবসা। বাচ্চাদের গণহারে টিকা দেওয়াই বলে দেয়- শিশুদের স্বার্থের তুলনায় ব্যবসা করাটা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগস মাফিয়াদের কাছে। ব্যবসার পাশাপাশি আমাদের বাচ্চাগুলোকে স্রেফ গিনিপিগ বা কুকুর-বিড়াল বা ইঁদুরের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্ষতিকারক জীবাণু বাচ্চাদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার কুপরিণামে ভবিষ্যতে আরো বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হবে! ভবিষ্যতে সন্তানহীনতা এবং প্রতিবন্ধী শিশুর জন্মহার বেড়ে যাবে। তখন কিন্তু টিকার পক্ষে প্রচারনাকারীদেরকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না? আশা করি কথিত করোনা টিকার কুফল মানুষ এতো দ্রুত ভুলে যায়নি?

ড্রাগস মাফিয়ারা যে তাদের স্বার্থে আমাদের আদরের শিশুদেরকে কুকুর-বিড়ালের মতো ব্যবহার করছে- এটা নিয়ে কেউ মুখ খোলে না, কথাও বলে না। দোষ তো আমাদেরই; ইউরোপ-আমেরিকার সাদা চামড়ারা কিছু বললেই আমরা সেগুলো ধর্মগ্রন্থের চাইতেও বেশি বিশ্বাস করি! দীর্ঘমেয়াদে বাচ্চাদের উপর কথিত টিকার কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, তা না জেনে আমরা অন্ধের মতো আদরের বাচ্চাদের শরীরে কী ভয়ঙ্কর ইনজেকশন পুশ করাচ্ছি, তা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না!

অভিভাবকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ- ভবিষ্যতে দাদা-দাদী/নানা-নানি হওয়ার ইচ্ছে থাকলে বিনামূল্যের ভ্যাকসিন দিয়ে আপনার আদরের বাচ্চাদের শরীরটাকে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। এসব ষড়যন্ত্র থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন আর জনসচেতনতা বাড়াতে এই পোস্টটি শেয়ার করুন।
রাজিব আহমেদ এর ওয়াল থেকে

~জোঁক বনাম লবণ — রসায়নের এক বাস্তব যুদ্ধ!জানেন কি, জোঁকের শরীরে লবণ ছিটালে কেন সে কুঁকড়ে যায় বা মারা যায়? এর পেছনে লুকি...
15/10/2025

~জোঁক বনাম লবণ — রসায়নের এক বাস্তব যুদ্ধ!

জানেন কি, জোঁকের শরীরে লবণ ছিটালে কেন সে কুঁকড়ে যায় বা মারা যায়? এর পেছনে লুকিয়ে আছে এক আশ্চর্য রসায়ন—অসমোসিস (Osmosis) প্রক্রিয়া।

জোক একটি জলজ প্রাণী, যার শরীরের ভেতর পানির পরিমাণ অনেক বেশি (এই জন্যই জোঁককে হাতে স্পর্শ করলে অনেক নরম লাগে) এবং লবণের ঘনত্ব কম। যখন এর গায়ে NaCl বা সাধারণ লবণ ছিটানো হয়, তখন লবণ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে Na⁺ এবং Cl⁻ আয়নে বিভক্ত হয়। এই আয়নগুলো চারপাশের দ্রবণের ঘনত্ব অনেক বাড়িয়ে দেয়। ফলে জোকের শরীরের কোষের ভেতরে থাকা পানি বাইরে চলে যায়, কারণ পানি সবসময় কম ঘন দ্রবণ থেকে বেশি ঘন দ্রবণের দিকে যায়—এটাই অসমোসিসের মূল রাসায়নিক নীতি।

এর ফলে জোকের কোষগুলো তাদের ভেতরের পানি হারিয়ে ফেলে, কোষের ভেতরের চাপ কমে যায়, এবং পুরো দেহ শুকিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত কোষগুলো সঙ্কুচিত হয়ে ফেটে যায়, আর জোক মারা যায়।

এই প্রক্রিয়াটি কোনো বিষক্রিয়া নয়, বরং এক নিখাদ রাসায়নিক ভারসাম্য পরিবর্তন মাএ। রসায়নের এই মৌলিক নীতি শুধু জোকের মৃত্যুতেই সীমাবদ্ধ নয়, একই নীতি ব্যবহার করা হয় খাবার সংরক্ষণে—যেমন মাছ বা আচার শুকানোর সময় লবণ ব্যবহার করে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করা হয়। তাই দেখা যায়, লবণ শুধু রান্নাঘরের উপাদান নয়, এটি জীববিজ্ঞান ও রসায়নের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা প্রকৃতির ভারসাম্য ও জীবনের রসায়ন বোঝাতে সাহায্য করে।
~সংগৃহীত ©

শরীরের কারখানা: পাকস্থলীকে কেন্দ্র করে পূর্ণ গল্পঃ🔹 ধাপ ১:কারখানার দরজা হলো মুখ।দাঁত = গ্রাইন্ডার মেশিন, খাবার ছোট ছোট ক...
13/10/2025

শরীরের কারখানা: পাকস্থলীকে কেন্দ্র করে পূর্ণ গল্পঃ

🔹 ধাপ ১:কারখানার দরজা হলো মুখ।

দাঁত = গ্রাইন্ডার মেশিন, খাবার ছোট ছোট কণায় ভেঙে দেয়।

লালা = প্রথম কেমিক্যাল প্রসেসিং, যা স্টার্চ ভাঙতে সাহায্য করে।

👉 এখানে যদি গ্রাইন্ডার ভালো না চলে (দাঁত নষ্ট), তবে কারখানার ভেতরে বড় টুকরো ঢুকে গণ্ডগোল তৈরি করবে।
---

🔹 ধাপ ২: পরিবহন ব্যবস্থা

মুখ থেকে খাবার চলে যায় (খাদ্যনালী) দিয়ে, যা কনভেয়র বেল্টের মতো কাজ করে।

এখানে বিশেষ এক রোবোটিক মুভমেন্ট (Peristalsis) খাবারকে পাকস্থলীর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়।

👉 যদি কনভেয়র বেল্ট ভেঙে যায়, খাবার উল্টো দিকে চলে আসে = অ্যাসিড রিফ্লাক্স।
---

🔹 ধাপ ৩: প্রধান প্রসেসিং মেশিন – পাকস্থলী

এটাই কারখানার মেইন রিঅ্যাক্টর।
এখানে কাজের ধাপগুলো:

1. Mixing – পাকস্থলীর দেয়াল খাবারকে মিশিয়ে ফেলে।

2. Sterilization – শক্তিশালী HCl অ্যাসিড দিয়ে জীবাণু মারার কাজ।

3. Breaking down – এনজাইম (Pepsin) প্রোটিনকে ছোট টুকরোতে ভাঙে।

4. Output – খাবার ধীরে ধীরে এক ধরনের তরল মিশ্রণে পরিণত হয়, যাকে বলে chyme (কাইম)।

👉 পাকস্থলী আসলে বড় মিক্সার + জীবাণুনাশক চেম্বার + কেমিক্যাল ব্রেকার।
---

🔹 ধাপ ৪: সাব-প্রসেসিং ইউনিট

এখন কাইম ধীরে ধীরে কনভেয়র বেল্টে (স্মল ইন্টেস্টাইন) যায়, যেখানে সহকারী মেশিনগুলো কাজ করে:

লিভার = কেমিক্যাল ল্যাব, যা পিত্তরস (Bile) তৈরি করে → ফ্যাট ভাঙে।

প্যানক্রিয়াস = বিশেষায়িত প্রসেসিং প্ল্যান্ট, যা এনজাইম তৈরি করে → কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাটকে ছোট টুকরায় ভাগ করে।

স্মল ইন্টেস্টাইন দেয়াল = ফাইনাল প্যাকেজিং ইউনিট, যা খাবারকে শোষণ করে রক্তে পাঠায়।

👉 এখানে যদি লিভারের কেমিক্যাল না আসে = ফ্যাট জমে যাবে।
👉 যদি প্যানক্রিয়াস দুর্বল হয় = ডায়াবেটিস/হজম সমস্যা।
---

🔹 ধাপ ৫: ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম

এখন কারখানার ট্রাক সার্ভিস শুরু হয়:

রক্ত হলো ডেলিভারি ট্রাক।

অক্সিজেনের সাথে মিশে খাবার প্রতিটি “শহরের দোকানে” (কোষে) পৌঁছে যায়।

প্রতিটি কোষ এই খাবার থেকে শক্তি তৈরি করে = ফ্যাক্টরির চূড়ান্ত পণ্য।
---

🔹 ধাপ ৬: বর্জ্য ম্যানেজমেন্ট

যা কাজে লাগেনি, তা চলে যায় লার্জ ইন্টেস্টাইন ও রেক্টামে।
এখানে পানি শোষণ হয়, এবং শেষমেশ বর্জ্য বাইরে ফেলা হয়।

** যেমন একটি কারখানার জন্য ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অপরিহার্য, শরীরের জন্যও মলত্যাগ তেমনই জরুরি।
---

⚠️ যখন ফ্যাক্টরি নষ্ট হয়

1. অতিরিক্ত কাঁচামাল → পাকস্থলী ওভারলোড হয়ে ইনডাইজেশন হয়।

2. অতিরিক্ত অ্যাসিড → মেশিনের দেয়ালে গর্ত → আলসার।

3. দূষিত খাবার → কারখানার ভেতরে জ্বালা, ডায়রিয়া।

4. প্রসেসিং টাইম কম বা বেশি → এসিডিটি, গ্যাস, হজমের গোলমাল।

5. সহকারী মেশিন নষ্ট হলে (লিভার, প্যানক্রিয়াস) → ডায়াবেটিস, জন্ডিস, গলব্লাডার সমস্যা।
---

@@ কিভাবে কারখানা সচল রাখবেন?

** কাঁচামাল (খাবার) হতে হবে মানসম্মত → সুষম খাদ্য।
***প্রোডাকশন শিডিউল মেনে চলুন → সময়মতো খাওয়া।
**** মেশিন ঠাণ্ডা রাখুন → পর্যাপ্ত পানি পান।
***** রাসায়নিক দূষণ এড়ান → ধূমপান, অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
******মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ → নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
******* ওভারলোড করবেন না → অতিভোজন এড়ান।

*********সবশেষে বলতে চাই.....******

আমাদের শরীরের কারখানা কখনও থামে না—২৪ ঘণ্টা চলে।
এবং এই কারখানার প্রধান প্রসেসিং মেশিন হলো পাকস্থলী।
যদি এটি ঠিক থাকে, কারখানা ফুলফিল প্রোডাকশন চালাতে পারবে;
আর যদি নষ্ট হয়, পুরো সিস্টেম ভেঙে পড়বে।
dr Nobel থেকে

লজ্জার ইতিহাস,তারকা দর্ষন ও ক্ষমতার খেলা-সালটা ১৯৭৮। পুরো পাকিস্তান জুড়ে তখন সামরিক শাসক জিয়াউল হকের কঠোর শাসন। লাহোরের ...
13/10/2025

লজ্জার ইতিহাস,তারকা দর্ষন ও ক্ষমতার খেলা-
সালটা ১৯৭৮। পুরো পাকিস্তান জুড়ে তখন সামরিক শাসক জিয়াউল হকের কঠোর শাসন। লাহোরের অভিজাত গুলবাগ এলাকা। বাংলাদেশের সিনেমা জগতের কিংবদন্তী, যার লাবণ্য আর অভিনয়শৈলীতে মুগ্ধ দুই বাংলা ও পাকিস্তানের দর্শকরা, সেই অভিনেত্রী শবনম (আসল নাম ঝর্ণা বসাক)। স্বামী, প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষের সাথে সেখানেই তাদের সাজানো সংসার। কিন্তু সেই বছর তাদের সেই শান্ত জীবনে নেমে আসে এক চরম অন্ধকার।

রহস্যময়ী রাত এবং পাঁচজনের আগমন।

ঠিক সেই বছরের মে মাসের ১৩ তারিখ শনিবারের রাতের অন্ধকারে, মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে শবনমের বাসায় হানা দেয় পাঁচজন দুষ্কৃতিকারী। তাদের মূল হোতা ছিল মালিক মুহাম্মদ ফারুক বান্দিয়াল—পাঞ্জাবের এক অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং প্রতাপশালী পরিবারের সদস্য। তার সাথে ছিল ওয়াসিম ইয়াকুব বাট, জামিল আহমদ এবং তাহির তানভীর নামের চার বন্ধু , তারাও প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য।

বাড়িতে ঢুকে প্রথমে শুরু হয় ডাকাতি আর মারধর। রবিন ঘোষ এবং ছেলে রনিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। এরপর যা ঘটে, তা এক দুঃস্বপ্ন! ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ ফারুক বান্দিয়াল ও তার সঙ্গীরা তারকাখ্যাতির তোয়াক্কা না করে চোখের সামনে স্বামী ও ১২ বছর বয়সের পুত্র রনি ঘোষকে আটকে রেখেই শবনমকে গণধর্ষণ করেছিল ! তখন শবনমের বয়স ৩১ বছরের ছিলো।

এফআইআর-এ নীরব পুলিশ: ডাকাতির আড়ালে গণধর্ষণ!

এই জঘন্য ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের দ্বারস্থ হন শবনম-রবিন ঘোষ দম্পতি। কিন্তু প্রভাবশালীর হাতে তখন রাষ্ট্রযন্ত্র বাঁধা। পাঞ্জাব পুলিশ এফআইআর (FIR) নথিতে গণধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের উল্লেখ পর্যন্ত করল না! তারা কেবল 'ডাকাতি ও মারধরের' একটি মামুলি ঘটনা হিসেবে বিষয়টি নথিভুক্ত করে।

কিন্তু সামরিক শাসনের সময়, এই মামলা গেল সামরিক আদালতে। সামরিক আদালতের বিচারক প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এই ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন!
ক্ষমতার খেলা: বিচার থেকে মুক্তি।

মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা আসতেই শুরু হলো আসল নাটক। প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান ফারুক বান্দিয়ালের জীবন বাঁচাতে মাঠে নামলেন তার প্রভাবশালী সচিব চাচা—ফতেও বান্দিয়াল এবং কাজিন সাবেক বিচারপতি উমর বান্দিয়াল। তারা একযোগে চাপ সৃষ্টি করতে লাগলেন শবনম ও রবিন ঘোষের উপর।
ন্যায়বিচার পাওয়া দূরের কথা, ক্রমাগত চাপের মুখে শবনম-রবিন ঘোষকে একসময় সেই ইসলামী আইন 'দিয়াত' (রক্তমূল্য) বা প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ক্ষমা করতে বাধ্য করা হলো।

তবে আইনের মারপ্যাঁচ এখানেই শেষ হলো না! ক্ষমা ঘোষণার পরেও পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক সামরিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডকে মওকুফ করে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। এফ আই আরে যেহেতু গণধর্ষণের উল্লেখ ছিলো না হয়তো সে জন্য মৃত্যুদণ্ড ক্ষমা করে দেন, নতুবা জিয়াউল হক যে ভাবে কট্টর ইসলামপন্থী ছিলেন তাতে ক্ষমা করতেন না।

এক নীরব সংগ্রাম: পাকিস্তানে ১৮ বছর।

এই ভয়ানক ঘটনার পরেও প্রায় ১৮টি বছর শবনম পাকিস্তানেই কাটান। অবশেষে ১৯৯৮ সালে, জীবন সংগ্রামের সকল ক্লান্তি আর স্মৃতি নিয়ে প্রিয় জন্মভূমি, বাংলাদেশে ফিরে আসেন এই কিংবদন্তী অভিনেত্রী।

ক্ষমতার দাপটে কীভাবে একজন তারকাও অসহায় হয়ে পড়েন এবং কীভাবে ন্যায়বিচারকে অর্থের বিনিময়ে কিনে নেওয়া যায়, এই ঘটনা তারই এক করুণ উদাহরণ।

সেই ঘটনার ৪০ বছর পর ২০১৮ সালে সেই মালিক মুহাম্মদ ফারুক বান্দিয়াল ইমরান খানের পিটিআই তে যোগ দেয়া মাত্র পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ সোশাল মিডিয়া তোলপাড় প্রতিক্রিয়া জানায়, সাথে সাথে পিটি আই থেকে তাকে বের করে দেয়া হয়।
তারপর ফারুক বান্দিয়াল তার এলাকার প্রভাবশালী নেতা হিসেবে জীবন যাপন করে যাচ্ছেন।

শবনমের এই অন্ধকার অধ্যায় নিয়ে আপনার মতামত কী? কমেন্টে জানান!

#শবনম #রবিনঘোষ #ফারুকবান্দিয়াল #লাহোর১৯৭৮ #ট্রুক্রাইম #ইতিহাসেরসত্য #বাংলাদেশিঅভিনেত্রী

সাবধান কটন বাটে যাবে কান-আমরা ভাবি, কটন বাড কান পরিষ্কার করে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ঠিক এর উল্টোটা! এটি কানের ময়লাকে ঠেলে ...
12/10/2025

সাবধান কটন বাটে যাবে কান-
আমরা ভাবি, কটন বাড কান পরিষ্কার করে। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ঠিক এর উল্টোটা! এটি কানের ময়লাকে ঠেলে কানের পর্দার আরও কাছে নিয়ে যায়, যা সাধারণ প্রক্রিয়ায় আর বেরিয়ে আসতে পারে না। ফলাফল?

১. ময়লা জমতে জমতে কানের ভেতরে শক্ত জট (Impacted Wax) তৈরি হয়, যা আপনার শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং কানে তীব্র ব্যথা হতে পারে।

২. কানের ভেতরের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। কটন বাডের সামান্য আঘাতেও সেখানে ঘা হতে পারে। এই ক্ষত থেকে রক্তপাত, চুলকানি এবং মারাত্মক ইনফেকশন (Otitis Externa) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৩. অসাবধানতাবশত সামান্য জোরে খোঁচা লাগলেই কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। মারাত্মক ক্ষেত্রে, এটি কানের ভেতরের সূক্ষ্ম হাড়গুলোকে পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা আপনাকে সাময়িক বা এমনকি স্থায়ীভাবে বধির করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের কানের ময়লা বা খোল (Earwax) আসলে কানের সুরক্ষা কবচ। এটি বাইরে থেকে ময়লা ও ব্যাকটেরিয়াকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। কান প্রাকৃতিক নিয়মেই নিজে থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়, তাই আলাদা করে পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই।

এরপরও কানে বেশি অস্বস্তি হলে বা কম শুনলে, নিজে চিকিৎসা না করে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

12/10/2025
12/10/2025

তুমরু সিমান্তে মাইন বিস্ফোরণ, বিজিবি সদস্য আকতার হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন..
মায়ানমার সিমান্ত থমথমে

11/10/2025

ডলারের পতন ঠেকানো যাচ্ছে না,আমেরিকার স্টক মার্কেট থেকে আজকে আবারও ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি ডলার বেরিয়ে গেছে।সোনার দাম বাড়ছেই..

ফিরে যাই মাটির টানে-দেশ প্রম ঈমানের অংঙ্গ..মাতৃভূমি স্বাধীন করা ফরজ..গা জার মুক্তি কামি মানুষ যুদ্ধ ধ্বংস হওয়া ভূমিতে ফি...
10/10/2025

ফিরে যাই মাটির টানে-
দেশ প্রম ঈমানের অংঙ্গ..
মাতৃভূমি স্বাধীন করা ফরজ..
গা জার মুক্তি কামি মানুষ যুদ্ধ ধ্বংস হওয়া ভূমিতে ফিরার ছবি..
লক্ষ মানুষের প্রানের বিনিময়ে আজ শুক্রবার স্হানীয় সময় ১২ টার সময় যুদ্ধ বিরতী কার্যকর হয়েছে,স্বজন, ঘর,বাড়ি বুলেট বোমায় হারিয়ে গেলেও মাটি,মাতৃভূমিতে মুক্তির স্বাদ নিয়ে মাথা উচু করে ফিরতেছে,অসীম শক্তি কে মোকাবেলা করে,আলহামদুলিল্লাহ -
যুদ্ধ কিন্তু সম শক্তির সাথে হয় না,যুদ্ধ হয় অসম শক্তির সাথে..যুদ্ধ হয় বিমানের সাথে কাছি সাবলের,যুদ্ধ হয় ক্ষেপণাস্ত্র এর সাথে পাথরের, ইতিহাস বলে সেই অসম পরাক্রমশালী অসম শক্তির পরাজয় হয়,
আজ সেই দিন
ইয়া মেন সহ সকল দেশ প্রেম মুক্তি কামি মানুষের জয় হউক

10/10/2025

বাবারে সোনায় হাতই দেওয়া যাচ্ছে না-

ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য দুই বছর আগে এলাকার বোরহান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সু/দের ওপর ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন বৃ/দ্ধ...
08/10/2025

ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর জন্য দুই বছর আগে এলাকার বোরহান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সু/দের ওপর ৭০ হাজার

টাকা নিয়েছিলেন বৃ/দ্ধ আলী আকবর (৭০)। কিন্তু দুই বছরেও সেই টাকা পরি/শো/ধ করতে পারেননি তিনি। এরই মধ্যে সু/দের টাকার পরিমাণ বে/ড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় লাখে। সঠিক সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় বোরহান বৃ/দ্ধ আলী আকবরকে এলাকার

একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বেঁ/ধে রাখেন।
এই অপমান সহ্য করতে না পারায় বৃ/দ্ধ আলী আকবর অ/সু/স্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

গত ০৬/১০/২৫ সোমবার কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ ঘ/ট/না ঘ/টে/ছে।🥺

Address

Dhaka

Telephone

+8801936320387

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নাজাত রিসার্চ গার্ডেন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to নাজাত রিসার্চ গার্ডেন:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram