19/05/2025
সতর্ক থাকুন! সব বয়সে সব ফল নয়। বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আগেই সতর্ক হন। বিস্তারিত কমেন্টে 👇
এই গরমে বাজারে যেসব ফল ভরপুর — কলা, আম, তরমুজ, মাল্টা, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, আঙুর, লিচু — সবই দেখলে মন চায় বাচ্চাকে একটু একটু করে খাওয়াই। কিন্তু ১ বছরের নিচে অনেক ফলই শিশুর জন্য নিরাপদ না। নিচে বয়স অনুযায়ী কোন ফল দেবেন, কোনটা এড়িয়ে চলবেন, সহজভাবে লিখে দিলাম।
✳️৬ মাসের পর (ফল শুরু):
পাকা কলা
পাকা পেঁপে
এই সময় ফল খুব নরম, সহজ হজম ও অ্যালার্জি কম এমনটাই দিন। চটকে বা পিউরি করে দিন।
🚫৬ মাসের শিশুকে যেসব ফল দেওয়া যাবে না:
আম (মিষ্টি হলেও এখনই নয়)
তরমুজ
আনারস
মাল্টা / কমলা
লিচু
কাঁঠাল
পেয়ারা
জাম
আঙুর
এসব ফলে চিনি বেশি, গ্যাসের সমস্যা করে, চোকার ঝুঁকি থাকে বা অ্যাসিডিক — যা ৬ মাসের হজম ক্ষমতার উপযোগী নয়।
✳️৭–৮ মাসে:
কলা, পেঁপে তো আছেই
চাইলে সামান্য চালতা দিতে পারেন
ধীরে ধীরে স্বাদ চেনানোর জন্য।
🚫৭–৮ মাসের শিশুকে যেসব ফল এখনো না দেওয়া ভালো:
লিচু (অ্যালার্জি ও হাইপোগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি)
কাঁঠাল (গ্যাস ও পাতলা পায়খানার আশঙ্কা)
তরমুজ (বেশি পানি, হজমে ভারী)
আনারস, মাল্টা (অ্যাসিডিক)
জাম (চোকার ঝুঁকি)
পেয়ারা (শক্ত ও হজমে কঠিন)
আঙুর (চোকার ঝুঁকি ও বিচি)
✳️৯–১০ মাসে:
পাকা আম অল্প করে দেওয়া যায় (খুব মিষ্টি বা টক না হলে)
তরমুজ ২–৩ চামচ করে শুরু করতে পারেন
তবে খেয়াল রাখবেন, তরমুজে অনেক পানি থাকে, বেশি খেলে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
🚫যা দেওয়া যাবেনা:
আনারস
লিচু
পেয়ারা
মাল্টা / কমলা
জাম
আঙুর (চটকে দিলে কিছুটা দেওয়া যেতে পারে, তবে এখনো ঝুঁকি থাকে)
✳️১১ মাসে:
কাঁঠাল খুব অল্প করে দেওয়া যায় (গ্যাস সমস্যা হলে এড়ান)
আঙুর দেওয়া যাবে, তবে অবশ্যই বিচি ফেলে, খোসা ছাড়িয়ে, চটকে।
✳️যা ১ বছরের আগে না দেবেন:
আনারস — খুব অ্যাসিডিক, গলা চুলকাতে পারে, র্যাশ হতে পারে
পেয়ারা — শক্ত, চোকার ঝুঁকি
কমলা/মাল্টা — এসিডিক, অনেক শিশুর র্যাশ ও গ্যাস হয়
লিচু — অ্যালার্জির ঝুঁকি ও কখনো হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে
জাম — খুব চোকার, এসিডিক, হজমে ভারী
আঙুর (পুরো ফল হিসেবে) — চোকার ঝুঁকি, তাই চটকে না দিলে নয়
✳️সবসময় মনে রাখবেন:
✔️নতুন ফল দিলেই ৩ দিনের নিয়ম মানুন
✔️খোসা ও বিচি অবশ্যই সরিয়ে দিন
✔️বাচ্চার পায়খানা, ত্বক ও আচরণে কোনো পরিবর্তন ✔️হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন
✔️সুস্থ খুদে মানেই শান্ত মা। খাবার হোক ভালোবাসা দিয়ে, বুঝে শুনে।