Family Doctor's

Family Doctor's Welcome to my Profile

28/04/2025

টিউমার এর খুটিনাটি :

টিউমার ইংরেজি শব্দ। যাকে বাংলায় বলে আর্বুদ। শরীরের যে কোনো স্থানে কোষসমূহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সঙ্গে অস্বাভাবিক ও অসামঞ্জস্যভাবে ফুলে ওঠে তাকে টিউমার বলা হয়।
এক কথায় টিউমার হলো মূল দেহ কোষের অস্বাভাবিক রূপান্তর বা নতুন কোষের সংযোজন।

টিউমারের প্রকারভেদ:

টিউমার সাধারণত তিন রকমের হয়-
১. বিনাইন টিউমার,
২. প্রি-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এবং
৩. ম্যালিগন্যান্ট টিউমার।

বিনাইন টিউমার: এই জাতীয় টিউমার সাধারণত তুলতুলে নরম হয় এবং শক্ত হয় না। খুব আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। এর কোনো আবরণ থাকে না। এর উপরের চর্ম আলাদা পৃথক মনে হয়। এই টিউমারের সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয় না। চাপ দিলে এতে কোনো যন্ত্রণা অনুভূত হয় না।

প্রি-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: এই টিউমারগুলিতে কোষগুলি এখনও ক্যান্সারযুক্ত নয়, তবে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: এটা নিরেট বা শক্ত হয়। খুব দ্রুত বৃদ্ধি হয়। এতে আবরণ থাকে। এটার উপরের চর্ম আলাদা পৃথক মনে হয় না। এই টিউমার সংলগ্ন গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয়। চাপ দিলে এতে যন্ত্রণা অনুভূত হয়। এতে আঘাত করলে বা অস্ত্রোপচার করলে ক্ষতি হয়। অস্ত্রোপচার করলে পরে প্রায়ই ক্যান্সার হতে দেখা যায়।

শরীরের বিভিন্ন স্থানে টিউমার বিভিন্ন নামে পরিচিত:

১. নাক, জরায়ু প্রভৃতি শৈ্লষ্মিক ঝিলি্লর টিউমারের নাম প্যাপিলোমা,
২. জরায়ু, পাকস্থলী প্রভৃতি স্থানের মাংসপেশির টিউমারের নাম মাইওমা,
৩. চর্মের টিউমারের নাম এপিথেলিওমা,
৪. পিঠ, কাঁধ প্রভৃতি স্থানে ফ্যাটিটিস্যু টিউমারের নাম লিপোমা,
৫. বোনের কার্টিলেজের টিউমারের নাম কনড্রমা,
৬. মাথার খুলি, মুখম-ল, নাসিকা গহ্বর প্রভৃতি স্থানে হাড়ের অস্থি টিউমারের নাম অস্টিওমা,
৭. মস্তিষ্ক কোষের টিউমারের নাম গ্লাইওমা,
৮. মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি স্থানে রক্ত নালিকার টিউমারের নাম হেমান জিওমা,
৯. ঘাড়, জিহ্বা, বগল প্রভৃতি স্থানের লসিকা নালির টিউমারের নাম লিমফ্যানজিওমা। সাধারণত কম বয়সে সার্কোমা টিউমার দেখা দেয়। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর কার্সিনোমা টিউমার দেখা দেয়।

টিউমারের কারণ:

কি কারণে মানবদেহে এমন টিউমার হয় তার কারণ সঠিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

যে সব মহিলা ডিঅ্যান্ডসি বা এমআর করে বা কোনো গাছ-গাছড়া দিয়ে ভ্রূণ নষ্ট করে বা প্রসবকালে যেসব মহিলার প্রচন্ড কষ্ট হয় বা যে সব মহিলা ঘন ঘন সন্তান প্রসব করে বা যে সব মহিলার অতি অল্প বয়সে বিয়ে হয় সেই সব মহিলার জরায়ুতে আঘাত হেতু, জরায়ু, জরায়ু মুখ, ডিম্বকোষ, স্তন গ্রন্থিতে টিউমার দেখা দিতে পারে। সাধারণত মহিলাদের উপরোক্ত কারণ থেকে নিবৃত থাকা বাঞ্ছনীয়।

পুরুষদের অ-কোষে কোনো রকম লাগলে অন্ডকোষ ফুলে শক্ত হয়ে টিউমার দেখা দেয়।

যারা কলকারখানায় চিমনি পরিষ্কার করে তাদের বিভিন্ন স্থানে টিউমার দেখা দেয়।

কোনো কোনো পরিবারে বংশগতভাবে টিউমার দেখা দিতে পারে আঘাত, ঘর্ষণ, পেষণ বা উদ্দীপনার ফলে স্থান বিশেষ অ্যাডিনোমা সৃষ্টি হতে পারে পুরনো পোড়া ঘায়ে অনেক টিউমার বা ক্যান্সার দেখা দিতে পারে আলকাতরা, সেল অয়েল সুট ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্য চামড়ার উপর প্রদাহ সৃষ্টি করে টিউমার দেখা দিতে পারে খাদ্যের পরিপুষ্টির অভাবে লিভারে টিউমার দেখা দিতে পারে গায়ক, বংশীবাদক এদের গলায় বা ফুসফুসে টিউমার দেখা দিতে পারে ইসট্রিন হরমোনের অভাবে স্তনে টিউমার দেখা দিতে পারে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করার ফলে নারীদের সাধারণ হরমোন বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে জরায়ুতে বা স্তনে, যৌন দ্বারে টিউমার দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আলোচিত কারণসমূহ ব্যতীত আরো নানাবিধ কারণে টিউমার দেখা দিতে পারে।

♥️ ছোট বালিকাদের Leukorrhea বা সাদা স্রাব ♥️  🧠 Leukorrhea কী? (ছোট মেয়েদের ক্ষেত্রে)Leukorrhea (লিউকোরিয়া) হলো যোনিপথ...
21/04/2025

♥️ ছোট বালিকাদের Leukorrhea বা সাদা স্রাব ♥️


🧠 Leukorrhea কী? (ছোট মেয়েদের ক্ষেত্রে)
Leukorrhea (লিউকোরিয়া) হলো যোনিপথ থেকে সাদা বা হলদেটে তরল পদার্থ নির্গত হওয়া, যা শিশু বা কিশোরীদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। এটি সাধারণত শরীরে কোনো ইনফেকশন, দুর্বলতা, কৃমি, অ্যালার্জি বা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে।

প্রথম শ্রেণীর মেডিসিন হল
1 Merc sol
2 Sepia

দ্বিতীয় শ্রেণীর মেডিসিন গুলো হল
1 Pulsatilla
2 Calc carb
3 Cina
4 Medorrhinum
5 Syph

Dr Wassily এর মতে,
" 1 ছোট বালিকাদের সাদাস্রাবে কোন কারণ খুঁজে না পেলে আমি প্রথমে পালসেটিলা ও পরে সালফার প্রয়োগ করতাম, যেখানে স্রাবটি ক্রিম এর মত ঘন থাকতো।"
" 2 লক্ষণ অনুসারে আমি Sepia ব্যবহার করতাম। "
" 3 এতেও যদি কোন উপকার বা আরোগ্য না পেতাম তবে আমি Calc carb ব্যবহার করতাম ।"

🎯 কারণসমূহ (বাংলায়):
১। ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব (জেনিটাল হাইজিন খারাপ)।
২। যোনিপথে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণ।
৩। পেটের কৃমি বা অ্যালার্জির সমস্যা।
৪। গোপনাঙ্গে ঘন ঘন হাত দেওয়া বা ঘষা।
৫। ঠান্ডা লাগা বা দীর্ঘদিনের অপুষ্টি ও দুর্বলতা।

👧 যেসব মেয়েরা বেশি ভোগে :
১। যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল।
২। কৃমি বা অ্যালার্জির ইতিহাস আছে।
৩। যারা বাইরে খেলাধুলা করে কিন্তু পরিষ্কার থাকে না।
৪। যাদের ঘামে ভেজা জামা পরে থাকে।
৫। অপুষ্টি ও মানসিক অস্থিরতায় ভোগে এমন শিশুরা।

🧬 মিয়াজম (Miasm) কারণ :
মিয়াজম ভূমিকা
Psora হাইজিনের অভাব, অ্যালার্জি, দুর্বলতা।
Sycosis অতিরিক্ত স্রাব ও পুনরাবৃত্ত সংক্রমণ।
Syphilis ধ্বংসাত্মক সংক্রমণ, গন্ধযুক্ত পচা স্রাব।

⚠️ ঝুঁকি ও ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সমস্যা :
১। জরায়ু ও প্রজনন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে।
২। পেট ব্যথা, ক্ষুধা কমে যাওয়া।
৩। পড়াশোনায় অমনোযোগ ও মানসিক অবসাদ।
৪। প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও বারবার প্রস্রাব।
৫। দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি।

📉 শরীরের বিকাশে খারাপ প্রভাব (বাংলায়):
১। শারীরিক দুর্বলতা ও ওজন কমে যাওয়া।
২। মানসিক স্থিরতা নষ্ট হয়।
৩। উচ্চতা ও হাড়ের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।
৪। রক্তশূন্যতা ও ক্লান্তি বাড়ে।
৫। শিশু অসুস্থ দেখায় এবং খেলাধুলায় অনীহা।

🩺 General Management (সাধারণ পরিচর্যা ):
১। প্রতিদিন জেনিটাল অংশ পরিষ্কার রাখা।
২। সুতির ও শুকনো আন্ডারওয়্যার ব্যবহার করা।
৩। বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার, চকোলেট এড়ানো।
৪। পেটের কৃমির চিকিৎসা করানো।
৫। ঠান্ডা-ভেজা পরিবেশে বেশি না থাকা।
৬। হালকা খাবার, সবজি, ও পর্যাপ্ত পানি পান।
৭। সন্তানকে হাইজিন ও শরীরের যত্ন সম্পর্কে শেখানো।

💊 Homeopathic চিকিৎসা ও লক্ষণসমূহ :

১। Mercurius Solubilis
• স্রাব ঘন ও দুর্গন্ধযুক্ত।
• গোপনাঙ্গে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি।
• স্রাব রাতে বেড়ে যায়।
• শরীর ঘামে কিন্তু ঘাম ঠাণ্ডা ও দুর্গন্ধযুক্ত।
• মুখে পিচ্ছিল ভাব ও লালা পড়ে।

২। Sepia
• পাতলা, ডিমের সাদা অংশের মতো স্রাব।
• নিচের অংশ ভারী অনুভব হয়।
• খিটখিটে মেজাজ ও একাকীত্ব পছন্দ।
• ঘরে থাকতে ভালো লাগে না।
• মাথাব্যথা ও তলপেটে চাপ।

৩। Pulsatilla
• আবেগপ্রবণ, মা থেকে দূরে থাকতে পারে না।
• স্রাব রঙ পরিবর্তনশীল – কখনো সাদা, কখনো হলুদ।
• খোলা হাওয়ায় উপশম হয়।
• খাবারে অনীহা ও মুখ শুকনো থাকে।
• ঠান্ডা জায়গায় আরাম লাগে, গরমে কষ্ট।

৪। Calcarea Carbonica
• মাথায় ঘাম বেশি হয় (বিশেষ করে ঘুমে)।
• দুধের মতো ঘন সাদা স্রাব।
• স্থূল শরীর ও অলস স্বভাব।
• ঠান্ডা ও ভেজা আবহাওয়ায় উপসর্গ বাড়ে।
• হাড়ে ব্যথা, দাঁত দেরিতে ওঠে।

৫। Cina
• কৃমিজনিত স্রাব ও পেট ফাঁপা।
• ঘন ঘন নাক খোঁটে ও দাঁত কিড়মিড় করে।
• ক্ষুধা বেশি বা একেবারে কম।
• মেজাজ খিটখিটে, কাউকে সহ্য করতে পারে না।
• চোখের নিচে কালচে ছাপ পড়ে।

৬। Medorrhinum
• জন্মগত দুর্বলতা ও পুনরাবৃত্ত স্রাব সমস্যা।
• স্রাব দুর্গন্ধযুক্ত ও ঘন।
• বাচ্চা অতিরিক্ত চঞ্চল বা ভীতু।
• বিছানা ভেজানো ও হাঁটুর ব্যথা।
• পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া।

৭। Syphilinum (Syph)
• গভীর, ধ্বংসাত্মক সংক্রমণজনিত স্রাব।
• পচা গন্ধযুক্ত ও রক্তমিশ্রিত স্রাব।
• শরীরে ঘন ঘন ফোঁড়া বা ঘা হয়।
• ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা বারবার হয়।
• পারিবারিক ইতিহাসে জটিল রোগ থাকে।

🔍 Merc Sol Vs Sepia: পার্থক্য

• স্রাবের প্রকৃতি 1. গন্ধযুক্ত, ঘন, হলদে 1. ডিমের মতো পাতলা
• সময় 2. রাতের বেলা উপসর্গ বাড়ে 2. সকালের দিকে উপসর্গ বেশি
• গোপনাঙ্গের অনুভূতি 3. জ্বালাপোড়া ও চুলকানি 3. ভারী ও চাপ অনুভব
• মনের অবস্থা 4. রাগী, সন্দেহপ্রবণ 4. একাকীত্ব পছন্দ করে, বিষণ্ণ
• শরীরের লক্ষণ 5. ঘাম ও মুখে লালা 5. মাথাব্যথা ও তলপেটে টান

16/04/2025

ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতার জন্য কার্যকর ১০টি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ

1. Ignatia Amara

গভীর মানসিক আঘাত বা দুঃখ

হঠাৎ কান্না ও দীর্ঘশ্বাস

আবেগ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা

প্রেমে প্রত্যাখ্যান বা প্রিয়জন হারানোর শোক

2. Natrum Muriaticum

চুপচাপ ও আবেগ সংবরণে পারদর্শী ব্যক্তি

পুরনো স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা

মানসিক আঘাত মনে পুষে রাখা

সম্পর্কজনিত কষ্ট ও নিঃসঙ্গতা

3. Aurum Metallicum

ব্যর্থতা থেকে আত্মঘৃণা

আত্মহত্যার চিন্তা প্রবল

কাজ না করলে নিজেকে অকার্যকর মনে হয়

দুশ্চিন্তা ও ভারি মন

4. Pulsatilla

আবেগপ্রবণ ও নির্ভরশীল প্রকৃতি

মন দ্রুত পরিবর্তনশীল

সহানুভূতির আকাঙ্ক্ষা

কান্না পেলেই স্বস্তি পাওয়া

5. Sepia

গৃহস্থালির ক্লান্তিকর দায়িত্বে বিরক্তি

পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নতা বোধ

শারীরিক ও মানসিক অবসাদ

ভালোবাসা বা স্নেহে আগ্রহহীনতা

6. Lachesis

সন্দেহপ্রবণতা ও ঈর্ষা

কথা বলার সময় নিজেকে থামাতে না পারা

আবেগপ্রবণ ও অসহিষ্ণু মনোভাব

একাকীত্বে বিষণ্নতা বাড়ে

7. Staphysagria

মানসিক অবদমন ও অপমানজনিত বিষণ্নতা

অন্যায় সহ্য করে অভ্যন্তরে ক্ষোভ

আত্মমর্যাদা হ্রাস

গোপন দুঃখ

8. Calcarea Carbonica

নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়

সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া

অনেক চিন্তা করে উদ্বিগ্ন থাকা

ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়

9. Kali Phosphoricum

অতিরিক্ত পড়াশোনা বা কাজের চাপে স্নায়বিক দুর্বলতা

সহজে হতাশ হয়ে পড়া

স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে সমস্যা

নিঃসঙ্গতা ও ক্লান্তি

10. Arsenicum Album

উদ্বেগ ও ভয়

নিখুঁত হওয়ার অস্থির প্রচেষ্টা

শারীরিক অস্বস্তিতে মানসিক চাপ

ছোট বিষয়েও অতিরিক্ত চিন্তা

সতর্কতা: উপরের ওষুধগুলো শুধুমাত্র তথ্যগত উদ্দেশ্যে এবং জুনিয়র চিকিৎসকদের শিক্ষার উদ্দেশ্যে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেহেতু হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা ব্যক্তিকেন্দ্রিক, তাই উপসর্গ ও মানসিক অবস্থার গভীর বিশ্লেষণ ছাড়া সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এজন্য অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। ভুল ওষুধ ব্যবহারে উপকারের পরিবর্তে সমস্যা বাড়তে.

টিউমারঃএক আতংকের নাম, রোগিরা টিউমার দেখলেই অনেকটাই ভয়ে থাকে, টিউমার দেখলেই ভাবেন এটা হয়ত ক্যান্সার হবে যাবে।আবার এমন ও হ...
04/04/2025

টিউমারঃ
এক আতংকের নাম,
রোগিরা টিউমার দেখলেই অনেকটাই ভয়ে থাকে, টিউমার দেখলেই ভাবেন এটা হয়ত ক্যান্সার হবে যাবে।

আবার এমন ও হয় ভুল চিকিৎসায় ম্যালিগন্যান্ট টিউমার জটিল আকার ও ধারন করে।

আসসালামু আলাইকুম
আজ আমরা আলোচনা করব টিউমার নিয়ে

👉👉টিউমার কিঃ
কোষের অস্বাভাবিক ( অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি) এর ফলে যে পিন্ড আকার ধারন করে তাকে টিউমার বলে।

👉👉 টিউমার কত প্রকারঃ
টিউমারের চরিত্রের উপর ভিত্তি করে টিউমার কে ২ ভাগে ভাগ করা হয় তা হল

১) বিনাইন টিউমার ( যা ক্যান্সারিয়াস না)
২) ম্যালিগন্যান্ট টিইমার ( ক্যান্সার)

অনেকে বিনাইন টিউমার নিয়ে আমাদের কাছে আসেন
এবং বলেন আমি ভয়ে আছি আমার টিউমার আবার ক্যান্সার হয়ে যায় কি না?

উত্তরঃ বিনাইন টিউমার জন্মগত ভাবেই বিনাইন ইহা ক্যান্সার হওয়ার চান্স নাই

আর ম্যালিগন্যান্ট জন্ম গত ক্যান্সার তাই, টিউমার হলে আতংকিত না হয়ে একজন।
এক্সপার্ট কে দেখিয়ে সনান্ত করে নিন আপনার টিউমার এর পরিচয় কি?
ম্যালিগন্যান্ট না কি বিনাইন।
প্রয়োজনে বায়োস্পি করে ও পরিচয় জানতে পারেন।

মনে রাখবেন সব ক্যান্সার ই টিউমার কিন্তু সব টিউমার ক্যান্সার নয়।

অর্থাৎ টিউমার হলেই ক্যান্সার এর ভয় পাবেন না।
আগে এর পরিচিতি জানবেন।

এখন আমরা জানার চেষ্টা করি বিনাইন ও ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের পার্থক্য কি 💪💪

১) রেট অব গ্রোথ অর্থাৎ বৃদ্ধির হার: বিনাইন টিউমার সচারাচার স্লো ডেভেলপ হয় অর্থাৎ আস্তে আস্তে বড় হয়, কিন্তু অপর দিকে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের বৃদ্ধি অনেক দ্রুত হয়ে থাকে।

২) মেটাস্টাসিস অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়া: বিনাইন টিউমারের মেটাস্টাসিস হয় না অর্থাৎ যেই জায়গায় টিউমার তৈরী হয় সেখানেই থাকে। কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট টিউমার একজায়গায় তৈরী হলেও এরা দ্রুত অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে যেমন: কারো ব্রেষ্টে যদি ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হয়ে থাকে তা অতি দ্রুত লাংসে ছড়িয়ে পড়ে, মুলত দুটি মাধ্যম দিয়ে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ায় তা হলো : ১. লিম্ফেটিক মেটাস্টাসিস অর্থাৎ আমাদের লিম্ফ নোডের মাধ্যমে ছড়ায় এবং ২. হেমাটোজেনাস মেটাস্টাসিস অর্থাৎ রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়।

৩) ব্যথা: বিনাইন টিউমার সচারাচর ব্যথা থাকে না, কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে ব্যথা থাকে।

৪) ব্লিডিং: বিনাইন টিউমারে ব্লিডিং হয় না কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট টিউমারে ব্লিডিং হয়ে থাকে।

৫) বিনাইন টিউমার অপেক্ষাকৃত নরম ও মুভ করে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার শক্ত ও মুভমেন্ট করে না।

মেটেরিয়া মেডিকা ও টিস্থ্য রেমেডিস (২য় বর্ষ)হ্যামামেলিসঃHamamelis Virginicaসমনাম- উয়িচ হ্যাজেলপ্রকার- ডাঃ এইচ,দি প্রিসটন ...
02/04/2025

মেটেরিয়া মেডিকা ও টিস্থ্য রেমেডিস (২য় বর্ষ)

হ্যামামেলিসঃ

Hamamelis Virginica

সমনাম- উয়িচ হ্যাজেল

প্রকার- ডাঃ এইচ,দি প্রিসটন ও ডাঃ সি, হেরিং।

উৎসঃ এক ধরনের গুল্ম জাতীয় বৃক্ষ যার তাজা মূল থেকে মূল ঔষধ তৈরী হয়।

প্রাতিস্থানঃ আমেরিকা ও কানাডা।

ধাতুগত লক্ষনঃ রক্তস্রাব প্রবন।

ক্রিয়ানাশকঃ এমন কার্ব, পাদৎ, ক্যাম্ফর, চায়না, আনিকা।

অনুপুরকঃ ফেরাম মোট, এসিড ফ্লোর।

রোগের কারণ- আঘাত।

ক্রিয়াস্থলঃ শিরা (শিরায় রক্তজমা, শিরা ফোলা) বিশেষতঃ মলগ্নার ও জননেন্দ্রিয়ের শিরা, লিভার, রক্তস্রাব, অর্শাবলি।

উপশমঃ রাত্রিকালে।

বৃদ্ধিঃ পরিশ্রমে, বৃষ্টি দিনে, গরম জলীয় বাহুতে ও স্পর্শে।

চরিত্রগত লক্ষণঃ

ক) 'সকলে আমাকে সম্মান করুক" এরূপ প্রত্যাশা করে, রোগী খিটখিটে ও শীতকাতুরে।

খ) শরীরের নানা স্থানে আঘাত লাগার মত টাটানি ব্যথা। থেৎলানি ব্যথা।

গ) রক্তস্রাব-এই ঔষধের রক্তস্রাবের বৈশিষ্ট্য হল রক্তস্রাবের সঙ্গে কোন মানসিক উৎকণ্ঠা থাকে না।

ঘ) রজস্রাব কালবর্ণের কিন্তু জরায়ু হতে যে রক্তস্রাব হয় তাহা উজ্জ্বল লাল বর্ণের।

৩) শল্য চিকিৎসার পর ক্ষতে ব্যাথা থাকিলে ও অতিরিক্ত রক্তস্রাব হেতু দুর্বলতা।

চ) শিরাতে রক্ত সঞ্চয়, রক্তস্রাব, শিরা স্ফীতি, অর্শবলি।

হ) রক্তস্রাব কালো এবং চাপচাপ।

অর্শঃ

অর্শ হতে প্রচুর কাল, চাপচাপ রক্ত, টাটানি বা থেৎলান ব্যথা, রক্তস্রাবের তুলনায় দূর্বলতা বেশী অনুভুত হয়। অর্শের সঙ্গে কোমর ব্যথা। মনে হয় কোমড় খসিয়া পড়িবে।

রক্তস্রাবে হেমামেলিস ও কার্বোভেজের তুলনাঃ

হেমামেলিস

কার্বোভেজ

১.
হেমামেলিস - রক্তস্রাবের সহিত কোন মানসিক উৎকণ্ঠা থাকেনা।

কার্বোভেজ - রক্তস্রাব বেগে বাহির হয় না, চুয়াইয়া চুয়াইয়া পড়ে।

২.
হেমামেলিস - রক্তস্রাব কালো এবং চাপ চাপ কিন্তু জরায়ু হতে যে রক্তস্রাব হয় তা উজ্জ্বল লাল বর্ণের।

কার্বোভেজ - রক্তস্রাবের সহিত আক্রান্ত অঙ্গে জ্বালা ও বিভিন্ন অঙ্গে জ্বালা।

৩.
হেমামেলিস - শল্য চিকিৎসাতে অতিরিক্ত রক্তস্রাব হইয়া দূর্বলতা।

কার্বোভেজ - শরীরের ভিতরে ও বাহিরে ঠান্ডা বোধ।

৪.
হেমামেলিস - আক্রান্ত অঙ্গে থেৎলান বা টাটানি ব্যথা।

কার্বোভেজিটেবল - জিহ্বা, নাক, কান, হাঁটু এমনকি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ঠান্ডা হইয়া যায়।রোগী সর্বদা পাখার বাতাস চায়। ঠান্ডা ঘাম হয়।

শরীরের বিভিন্ন অংশ হইতে রক্তক্ষরণ এর উপর হেমামেলিসের কার্যকারিতাঃ

হেমামেলিসের ক্রিয়াস্থল হল শিরা (বিশেষতঃ মল গ্লার ও জননেন্দ্রিয়ের শিরা, শিরা ফোলা, শিরায় রক্তজমা), রক্তস্রাব, অর্শবলি ইত্যাদি। এটা শিরাগুলির বহিরাবরণের উপর কাজ প্রকাশ করে শিথিলতা
উৎপাদন করে, ফলে ঐগুলিতে রক্তাধিক্য ঘটে রক্তক্ষরণ হয়। যেমনঃ

(ক) চোখ- চোখের রক্তবহা নাড়ীগুলি রক্তে ফুলে উঠে, ফলে চোখ লাল দেখায়, চোখ হইতে রক্তক্ষরণ হয়।

(খ) নাক হতে প্রচুর রক্তস্রার, রক্ত জমাট বাঁধে না।

(গ) পাকস্থলী হতে কালবর্ণের রক্ত বমি।

(ঘ) রক্তামাশয়, অর্শবলি হতে প্রচুর রক্তস্রাব।

(ঙ) রক্ত প্রস্রাব।

(চ) দুই ঋতুর মধ্যবর্তী সময়ে প্রচুর রক্তস্রাব, রক্ত কালবর্ণ।

(ছ) কাশির কফের সহিত রক্ত।

28/03/2025

ডা.হুমায়ূন বিশ্বাস স্যারের লেখা থকে নেওয়া
ডিএইচএমএস কোর্সের পরীক্ষার্থীদের সহায়ক হিসেবে
মেটেরিয়া মেডিকা ১ম বর্ষ

রাস-টক্সিকোডেনড্রনঃ
Rhux Toxicodendron(Rhus-t)
🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐🌐

📕প্রুভারঃ ডাঃ হ্যানিম্যান

📌উৎসঃ
ইহা ঝোপজাতীয় একপ্রকার গাছের পাতা হইতে তৈরী হয়, যা ফুল ফোটার পূর্বে সূর্যাস্তের সময় সংগ্রহ করা হয়।

📌সমনামঃ
পয়জন ওক, পয়জন আইভি, স্নো- রোজ।

📌প্রাপ্তিস্থানঃ

উত্তর আমেরিকার মাঠে জঙ্গলে এই গাছ জন্মিয়া থাকে।

📌উপশমঃ
নড়িলে-চড়িলে, বেড়াইলে, এপাশ ওপাশ করিলে। শরীর টিপলে, সেঁক দিলে, নাক দিয়া রক্ত স্রাবে, কুসুম কুসুম গরম পানিতে গোছলে, গরম শুষ্ক আবহাওয়ায়, শরীর গরম বস্ত্রে ঢাকিয়া রাখিলে।

📌বৃদ্ধিঃ
রাতে, ঠান্ডায়, বিশ্রামে, ডান পাশ চাপিয়া শয়নে, স্থির হইয়া শয়নে, চিৎ হইয়া শয়নে, অতিরিক্ত পরিশ্রমে, বর্ষার বৃষ্টির ভিজা ঠান্ডায়,ঘর্মাবস্থায় পানিতে ভিজিলে, ঘর্ষণে, ঝড়-বজ্রপাতের পূর্বে, মধ্যরাত্রির পর, ঠান্ডা পানি পান করিলে, মাখা খোলা রাখিলে।

📌ক্রিয়াস্থলঃ
মাংসপেশী, চর্ম, মিউকাস মেমব্রেন, সন্ধিসকল, রায়মন্ডলী, রক্ত সঞ্চালন, মন্ডলী, শরীরের বাম দিকে বা বাম দিক হতে ডানদিকে ক্রিয়া প্রকাশ করে, গ্লান্ড।.

📌ধাতুগত লক্ষণঃ
শীতকাতর, সোরা মায়াজম, বাত ও গেঁটে বাত প্রবণতা, খোলা বাতাস সহ্য হয় না।

📌রোগের কারণঃ
অতিরিক্ত শারিরীক পরিশ্রম, ভারী-জিনিস তুলিলে, স্যাঁত স্যাঁতে মেঝেতে ঘুমাইলে, বর্ষাকালে, নদী বা পুকুরে অতিরিক্ত গোছল করিলে, সামান্য রাগ হলে, বরফ ঠান্ডা পানি পান করিলে।

📌অনুপূরকঃ
ফসফরাস, চর্মরোগে-রাস-ভিনেনেটার, ব্রাইয়ো, ক্যাল-কার্ব, ম্যাগ-কার্ব, মেডোরিনাম, ফাইটো, ক্যাল-ফ্লোর।

📌ক্রিয়ানাশকঃ
এন্টিম-টার্ট, ব্রাইয়ো, বেল, ক্যাক্ষর, কফিয়া মার্কসল,
সালফার।

📌শত্রুভাবাপন্নঃ এপিস-বিশেষতঃ চর্মরোগ।

চরিত্রগত লক্ষণঃ
============

🖍️১. রাস-টক্সের সকল লক্ষণের সহিত অস্থিরতা বিদ্যমান। আক্রান্ত অঙ্গের উপসর্গ সমূহ প্রথম নড়াচড়ায় বৃদ্ধি এবং ধীরে ধীরে নড়াচড়া করিতে থাকিলে উপশম কিন্তু অঙ্গসমূহ অতিরিক্ত নড়াচড়া বা অতিরিক্ত ব্যবহার করিলে লক্ষণসমূহের বৃদ্ধি হয় বা রোগের কারণ হইয়া দাঁড়ায়, যেমন কোমরের বাত, গেটে বাত, হাটুর বাত, ঘাড় বা কাঁধের বাত, বুক ধড়ফড়ানি। অস্থিরতার সহিত আক্রান্ত অঙ্গের কাঠিন্য (Rigidity), অনমনীয়তা (Stiffness) এবং খোঁড়াইয়া চলার (Lameness) মত অবস্থা হয়।

🖍️২. বর্ষাকালে ও বিশ্রামে বৃদ্ধি।

🖍️৩. উত্তাপে বা গরম প্রয়োগ বা দেহটি গরম কাপড় দিয়া ঢাকিয়া রাখিলে উপশম।

🖍️৪. জিহবার পশ্চাত ভাগ লেগাবৃত এবং সামনের ভাগ ত্রিকোনাকার লাল বর্ণ।

🖍️৫. দেহ সন্ধির উপাদান লিগামেন্ট (Ligaments), ফাইব্রাস টিসু (Fibrous tissues), টেন্ডল (Tendons) ইত্যাদি উপর অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে।

🖍️৬. ঠান্ডায় রোগের প্রবণতাও বৃদ্ধি পায় এবং রোগী অত্যন্ত শীতকাতুরে।

🖍️৭. পাকস্থলীর পীড়ায় ঠান্ডা দুধপানে উপশম।

🖍️৮.বামদিকে অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে বা বামদিক হইতে ডান দিকে যায়।

🖍️৯.ঋতুস্রাব শীঘ্র শীঘ্র, প্রচুর পরিমাণে, হাজাকারক, মেমব্রেনযুক্ত এবং দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়, অতিরিক্ত পরিশ্রম বা কোন ভারী জিনিস তোলার ফলে জরায়ুর স্থানচ্যুতি।

🖍️১০. বেকারী শ্রমিকদের চর্মরোগ, আর্টিকেরিয়া, চর্মরোগ ফোস্কার মত, উহা হইতে মাংসের পানির মত কষ বের হয়।🖍️১১. ক্ষুধা লাগে কিন্তু আহারের কোন স্পৃহা নাই।

🖍️১২. গায়কদের স্বরভঙ্গ, প্রথমে গাইতে কষ্ট পরে স্বাভাবিকভাবে গাইতে পারে।

🖍️১৩. জ্বরে বিরক্তিকর কাশি, কাশির আগমনে রোগী বুঝতে পারে তার জ্বর আসতেছে। সমস্ত শরীর গরম বস্ত্রে আবৃত করিয়া রাখে।

🖍️১৪. মুখের দুইকোনে ঘা হয়, দাঁতে ছেতলা (Sordes) পড়ে।

🖍️১৫. পরিশ্রম করা, নৌকা বাওয়া, সাঁতার কাটা, বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দৌড়ানো, দৈননন্দিন শারিরীক পরিশ্রমের স্বপ্ন ইত্যাদি দেখে।

🖍️১৬. কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ধর্মীয় আচারে নিষ্ঠাবান, অন্যকে সহজে বশ করতে পারে।

🖍️১৭. কেহ বিষ খাওয়াবে এইরূপ ভয়।

🖍️১৮. আত্মহত্যার চিন্তা, পানিতে ডুবিয়া অত্মহত্যার চিন্তা করে কিন্তু সাহসের অভাব।

🖍️১৯. কান্না আসে, কিন্তু কারণ জানে না।

🖍️২০. কোন প্রশ্নের জবাব সঠিক দেয় কিন্তু অতি ধীরে ধীরে।

🖍️২১. রোগী-শান্ত স্বভাবের।

রাস-টক্সকে হাইড্রোজেনয়েড ধাতুর ঔষধ বলা হয় কেন ?
📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦📦

যে সব রোগীদের বর্ষার স্যাঁত স্যাঁতে আবহাওয়ায় রোগের বৃদ্ধি হয় বা রোগের কারণ হয়, ভিজা স্যাঁতস্যাঁতে স্থানে, পুকুর বা নদীর পাড়ে বসবাসের ফলে, পানিতে উৎপন্ন শাক-সবজি খেলে, বৃষ্টির পানিতে ভিজিলে, পুকুরে বা নদীতে গোছল করার ফলে যাদের কোন পীড়া দেখা দেয় তাদেরকে হাইড্রোজেনয়েড ধাতু বলে। রাস-টক্সে ঐ সব লক্ষণ বিদ্যমান বলে রাস-টক্সকে হাইড্রোজেনয়েড ধাতুর ঔষধ বলা হয়।

বাত রোগে রাসটক্স ও ব্রাইয়োনিয়ার তুলনাঃ
===============================

রাস-টক্সঃ
🎇🎇🎇

নড়াচড়ায় উপশম, তাই রোগী বিছানায় অনবরত পাশ পরিবর্তন করে।বর্ষাকালে বৃদ্ধি, বিশ্রামে বৃদ্ধি, ঠান্ডা খোলা বাতাসে বৃদ্ধি। বামদিকে অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে।ব্যথা হঠাৎ শুরু হয়। অস্থিরতার সহিত আক্রান্ত অঙ্গের কাঠিন্য,অনমনীয়তা ও খোঁড়াইয়া খোড়াইয়া চলিতে হয়।শীতকাতর,হাইড্রোজেনয়েড ধাতুর রোগী।

ব্রাইয়োনিয়াঃ
🎇🎇🎇🎇

নড়াচড়া বৃদ্ধি, তাই রোগী নড়াচড়া করতে চায়না,চুপচাপ থাকে।গ্রীস্মকালে বৃদ্ধি, বিশ্রামে উপশম।ঠান্ডা খোলা বাতাসে উপশম।ডানদিকে অধিক ক্রিয়া প্রকাশ করে।ব্যথা ধীরে ধীরে বেড়ে পূর্ণতা লাভ করে।সূঁচ ফোঁটানো ব্যথা।গরম কাতর,শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর শুষ্কতা প্রবন।যেমন - কোষ্ঠকাঠিন্য।

রাস-টক্স ও ব্রাইয়োনিয়ার জিহবার পার্থক্য বর্ণনা করঃ
=====================================

রাস-টক্সঃ

জিহ্বার সামনের অংশ ত্রিকোনাকার লাল এবং পিছনের অংশ সাদা লেপাকৃত। জিহবায় দাঁতের দাগ, মুখের স্বাদ তিতা।"

ব্রাইয়োনিয়াঃ

জিহবা শুষ্ক, সাদা লেপাকৃত, অনেকক্ষণ পর পর প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে। মুখের স্বাদ তিতা।

রাস-টক্সের মৃত্যু ভয়ঃ

রোগী একা একা নির্জনে থাকতে চায়। তার ভয় কেহ তাকে বিষ খাওয়াবে।

মানবদেহ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য -1: হাড়ের সংখ্যা: 2062: পেশী গণনা: 6393: কিডনি কাউন্ট: 24: দুধের দাঁতের সংখ্যা: 205...
28/03/2025

মানবদেহ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য -

1: হাড়ের সংখ্যা: 206
2: পেশী গণনা: 639
3: কিডনি কাউন্ট: 2
4: দুধের দাঁতের সংখ্যা: 20
5: পাঁজর সংখ্যা: 24 (12 জোড়া)
6: হার্ট রুম নম্বর: 4
7: বৃহত্তর ধমনী: আর্তা
8: সাধারণ রক্তচাপ: 120/80 mmhg
9: ফোন রক্ত: 7.4
10: মেরুদন্ডে ভারটেব্রা সংখ্যা: 33
11: ঘাড়ে ভেরটেব্রে সংখ্যা: 7
12: মাঝ কানে হাড়ের সংখ্যা: 6
13: মুখের হাড়ের সংখ্যা: 14
14: মাথার খুলিতে হাড়ের সংখ্যা: 22
15: বুকের হাড়ের সংখ্যা: 25
16: হাতে হাড়ের সংখ্যা: 6
17: মানুষের হাতের পেশীর সংখ্যা: 72
19: সবচেয়ে বড় অঙ্গ: ত্বক
20: সবচেয়ে বড় খাবার: লিভার
21: বৃহত্তম সেল: মহিলাদের ডিম
22: ক্ষুদ্রতম কোষ: শুক্রাণু কোষ
23: সবচেয়ে ছোট হাড়: মধ্য কানের যাত্রী
24: প্রথম সদস্য ইমপ্ল্যান্ট: কলেজ
25: পাতলা অন্ত্রের গড় দৈর্ঘ্য: 7 m
26: বড় অন্ত্রের গড় দৈর্ঘ্য: 1.5 মি
27: নবজাতকের মধ্য ওজন: 3 কেজি
28: এক মিনিটে পালস রেট: 72 গুন
29: শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা: 37°c
30: গড় রক্ত আকার: 4 থেকে 5 লিটার
31: লাল রক্ত কোষ বয়স: 120 দিন
32: সাদা রক্ত কোষ বয়স: 10 থেকে 15 দিন
33: গর্ভাবস্থার সময়কাল: 280 দিন (40 সপ্তাহ)
34: মানুষের পায়ে হাড়ের সংখ্যা: 33
35: প্রতিটি কব্জিতে হাড়ের সংখ্যা: 8
36: হাতে হাড়ের সংখ্যা: 27
37: বৃহত্তম এন্ডোক্রিন: থাইরয়েড
38: বৃহত্তম লিম্ফাটিক অঙ্গ: স্প্লিন
40: সবচেয়ে বড় হাড় এবং শক্তিশালী হাড়: নারী
41: ক্ষুদ্রতম পেশী: স্টেপডিয়াস (মধ্যম কান)
41: ক্রোমোজোম সংখ্যা (রাজবংশ): 46 (23 জোড়া)
42: হাড়ের সংখ্যা বেবি নাসেন্ট: 306
43: রক্ত স্ত্রী: 4.5 থেকে 5.5
44: রক্তের গ্রুপ গ্লোবাল ডোনার
45: ব্লাড ওয়ার্ল্ড রিসেপশন গ্রুপ: এবি
46: সবচেয়ে বড় সাদা বল: মনোসাইট
47: সবচেয়ে ছোট সাদা বল: লিমফোসাইট
48: লাল রক্তকোষ বৃদ্ধিকে বলা হয়: পলিগ্লোবুলি
49: শরীরে ব্লাড ব্যাংক হচ্ছে: স্প্লিন
50: জীবন নদীকে বলা হয়: রক্ত
51: সাধারণ স্তরের রক্ত কোলেস্টেরল: 100 মিলিগ্রাম / ডিএল
52: রক্তের তরল অংশ হল: প্লাজমা

28/03/2025

ডা.হুমায়ূন বিশ্বাস স্যারের লেখা থেকে নেওয়া
ডিএইচএমএস কোর্সের পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক
মেটেরিয়া মেডিকা টিস্যু রেমিডি ২য়বর্ষ

ক্যালকেরিয়া সাল্ফঃCalcarea Sum(Calc-p)
💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐

ক্যালকেরিয়া সালফের জিহ্বা ও স্রাবের প্রকৃতিঃ
🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇

✒️জিহ্বাঃ

থলথলে, শুকনো কাদার মত লেপ, জিহ্বার পিছন দিকহলুদ বর্ণ। জিহ্বার স্বাদ টক/সাবানের মত/কটু বা ঝাঁঝাল।

✒️স্রাবঃ

✏️ক) চোখ- হতে হলুদ বর্ণ ঘন স্রাব বের হয়।

✏️খ) কানের- পুঁজ রক্তাক্ত।

✏️গ) সর্দি- ঘন হলুদ পুঁজময় শ্লেষ্মা।

✏️ঘ) মলের- সঙ্গে রক্ত মিশান থাকে।

✏️ঙ) কাশি-পুঁজের মত শ্লেষ্মা উঠে।

✏️চ) চর্মরোগ-পুঁজময় হলুদ বর্ণ স্রাব, হলুদ বর্ণ মামড়ি পড়ে

✏️ছ) লিউকোরিয়া- ঘন সাদা স্রাব।

ক্যালকেরিয়া সালফের স্রাবের প্রকৃতি নিম্নরূপঃ
💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐💐

🖍️(ক) যখন কোন স্থান হইতে বহুদিন ধরিয়া পুঁজ নির্গত হইতে থাকে।

🖍️(খ) গাঢ় হলদে এবং রক্ত সংযুক্ত পূজস্রাব।

🖍️(গ) কাশির গয়ার বা কফ পানিতে ডুবিয়া যায় ও পাত্রের চারদিকে ছড়াইয়া পড়ে।

ক্যালকেরিয়া সালফের মানসিক লক্ষণ নিম্নে বর্ণনা
🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇🎇 করা হইলঃ
🎇🎇🎇

📌(ক) পরিবর্তনশীল মন মতলবের কোন ঠিক নাই।

📌(খ) ক্রোধের পর দুর্বলতা অনুভব করে।

📌(গ) যে সকল লোকের সহিত তাহার মতের মিল হয় না তাহাদিগকে দেখিতে পারে না।

📌(ঘ) তাহার ধারণা লোকে তাহার গুন উপযুক্তভাবে গ্রহন করে না, এই জন্য সে দুঃখিত হয়। জা

📌(ঙ) প্রাতে ও সন্ধ্যায় মনে গোলমাল।

📌(চ) অস্থির বিষন্ন, একগুঁয়ে, লজ্জাশীল, ভয়যুক্ত ও ঝগড়াটে।

📌(ছ) মৃত্যুভয়, পাগল হইবার ভয়, বিপদের ভয়।

এ্যাব্রোটেনাম এই ঔষধের মাদার টিংচার দক্ষিণ ইউরোপের পার্বত্য এলাকার এক ধরনের ছোট গাছের টাটকা পাতার রস থেকে তৈরি হয়। গাছগ...
12/03/2025

এ্যাব্রোটেনাম

এই ঔষধের মাদার টিংচার দক্ষিণ ইউরোপের পার্বত্য এলাকার এক ধরনের ছোট গাছের টাটকা পাতার রস থেকে তৈরি হয়। গাছগুলি বেশি বড় হয় না ঝোপ টাইপের, তিন ফুটের মতন উচ্চতা হয়।

ডাঃ গ্যাটচেল নামের একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ঔষধটি সর্বপ্রথম পরীক্ষা করেন।

এই ঔষধের প্রধান প্রধান লক্ষনগুলি হচ্ছে ------

★ ভালো খাওয়া দাওয়া সত্ত্বেও বাচ্চাদের শরীর শুকিয়ে যেতে থাকে, বিশেষ করে পায়ের দিকে বা শরীরের নিচের দিকটা বেশি শুকিয়ে যায়, এবং এই শুকিয়ে যাওয়া ভাবটা পায়ের দিক থেকে আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠতে থাকে, কিন্তু পেটটা সর্বদা ফোলা থাকে, পেটটা যেন দিন দিন বড় হয়ে ওঠে।

( বাচ্চাদের শুকিয়ে যাওয়া ভাবটা শরীরের উপরের দিক থেকে হঠাৎ ঘাড়, কাঁধ, হাত, এইসব দিক থেকে আরম্ভ হয়ে শরীরের নিচের দিকে অর্থাৎ পায়ের দিকে নামে -- লাইকোপোডিয়াম, প্লাম্বাম)।

( আয়োডামেও এমাসিয়েশন বা শুষ্কতা আছে তবে তা এ্যাব্রোটেনামের মতন পায়ের দিক থেকে উপরের দিকে উঠে না, তা সর্বাঙ্গীণ। তাদের সারা শরীর একসাথে শুকাতে থাকে। তাছাড়া আয়োডাম খুব গরম কাতর, এ্যাব্রোটেনাম শীতকাতর। আয়োডামে শিশুদের মানসিক অস্থিরতা বেশি থাকে )।

★ শিশুদের চামড়া কুঁচকে যায়, চেহারার মধ্যে অকাল বার্ধক্যতা আসে। মুখ দেখতে বৃদ্ধদের মতন লাগে।

★ শুকিয়ে যেতে থাকলেও এইসব বাচ্চাদের ক্ষুধা খুব বেশী থাকে, বাংলায় যাকে রাক্ষুসে ক্ষুধা বলে। সর্বদাই খাই করে, ( সিনা )।

★ এ্যাব্রোটেনামের বাচ্চারা সাধারণত খুব রাগী, জেদী, উগ্র, হিংস্র বা নিষ্ঠুর প্রকৃতির হয়, এদের মনে দয়া মায়া খুব একটা থাকে না। বাচ্চাদের বাচালতা স্বভাবও খুব বেশী, তারা অনর্গল বকবক করতে থাকে।

★ ডেলিভারি হওয়ার পরে নবজাতকের আম্বিলিকাল কর্ড কাটার জায়গাটা, ( চলতি বাংলায় যাকে নাড়ি কাটা বলে) , বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলেও মোটেই শুকাতে চায় না, চুঁয়ে চুঁয়ে রস বা রক্ত পড়তে থাকে, ( ক্যাল্কেরিয়া ফস৷)

★ শীত বেশি, ঠান্ডা বা আদ্র আবহাওয়ায় এরা কষ্ট পায়, এবং গরম আবহাওয়ায় বা গরম ঘরে ভালো থাকে। এজন্য শীতকালে, এবং বর্ষাকালে এদের সব রকম রোগবৃদ্ধি হয়। রাতের দিকেও রোগবৃদ্ধি হয়। বাচ্চাদেরকে ঠান্ডা জলে স্নান করাতে গেলে কান্নাকাটি আরম্ভ করে।

★ এইসব বাচ্চারা প্রায় ডায়েরিয়া বা উদরাময়ে ভোগে। গ্রহণ করা খাদ্যদ্রব্য প্রায়ই মলের সাথে অজীর্ণ অবস্থায় বের হয়। ইংরেজিতে একে লায়ানটেরিক স্টুল বলা হয়। কখনো কখনো কোন বাচ্চার কিছুদিন পাতলা পায়খানা তারপর আবার কিছুদিন শক্ত পায়খানা এমন পর্যায়ক্রম মলত্যাগ চলতে থাকে।

★ পর্যায়ক্রমে রোগের প্রকোপ দেখা যায়। যেমন, কিছুদিন উদরাময় তারপর কোষ্ঠবদ্ধতা, বা কিছুদিন বাতের ব্যথা চলতে থাকে, তারপর বাতের ব্যথা কমে গিয়ে আবার আমাশা আরম্ভ হয়, এইরকম।

★ তাড়াতাড়ি ডায়েরিয়া সারানোর জন্য যদি বিশেষ ধরনের কিছু এ্যালোপ্যাথিক ট্যাবলেট খেয়ে থাকে তাহলে তার পরে শরীরের কোথাও ব্যথা হতে পারে। ব্যথা সাধারণত রাতের দিকে বাড়ে , ঠান্ডায় বাড়ে, এবং গরম সেঁক দিলে ভালো লাগে।

★ রয়াল লন্ডন হোমিওপ্যাথিক হসপিটালের প্রখ্যাত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ডগলাজ বোরল্যান্ড তার " চিলড্রেন্স টাইপস ", বইয়ে বলেছেন, এ্যাব্রোটেনাম বহু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের কনজেনিটাল পাইলোরিক স্টেনোসিস রোগটি সারাতে সক্ষম হয়।

★ অনেকে বলেছেন ছোট ছোট বাচ্চাদের হাইড্রোসিলে এ্যাব্রোটেনাম ঔষধটি ভাল কাজ করে, অর্থাৎ হাইড্রোসিল স্যাক থেকে জল এ্যাবজর্ব করতে পারে ।

শততমিক শক্তি ---৩০, ২০০, ১০০০, যদি মনে করা হয় কোন রকম সাপ্রেশন বা চাপা পড়ার পরে রোগ হয়েছে, এবং সেই সাপ্রেশন বা অবদমন বের করতে না বেরোলে রোগী সুস্থ হবে না, তাহলে ২০০ শক্তি বা তদুর্ধ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।

একদিনের জ্বর,দ্বিতীয় দিনে ঠোঁট,মুখ ও চোখে এরকম অবস্থা।সাসপেক্টেড ড্রাগ রিএকশন কিন্তু সাড়াশি অভিযানের পরেও "জ্বর উঠছে তাই...
11/03/2025

একদিনের জ্বর,দ্বিতীয় দিনে ঠোঁট,মুখ ও চোখে এরকম অবস্থা।সাসপেক্টেড ড্রাগ রিএকশন কিন্তু সাড়াশি অভিযানের পরেও "জ্বর উঠছে তাই একটা নাপা খাইছে" পড়ে কোনো ড্রাগের হিষ্ট্রি পাওয়া গেলো না।

আমরা পেশেন্ট ভর্তি নিলাম এবং পরের দিন অবস্থা আরও খারাপ হতে শুরু করলো।শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বুলাস লেশন(Bullous lesion-অনেকে ফুসকুড়ি বলে থাকেন) দেখা গেলো।এ ধরনের লেশন ড্রাগ রিএকশনেও হয় আবার ইমিউন হাইপারসেন্সিটিভিটিতেও হতে পারে।

যেহেতু সিগনিফিক্যান্ট ড্রাগ খাওয়ার হিষ্ট্রি নাই এবং বুলাস লেশন হতে পারে ইমিউন বুলাস ডিজিজগুলোতে।কিন্তু বয়স এবং অন্যান্য লক্ষনের সাথে সে রোগও প্রমাণ করা যাচ্ছে না।

কনফার্মেশনের জন্য স্কিন ডিপার্টমেন্টের শরনাপন্ন হলাম।উনারা বায়োপসি ফর হিস্টোপ্যাথলজি এবং DIF(Direct Immunofluorescence) দিলেন।

ফাইনালি,বায়োপসিতে আসলো ড্রাগ রিএকশনের কারনেই হইছে।এবং সেই একটা ড্রাগের নাম "নাপা"।

যেহেতু নাপা মানুষ মুড়ির মত খায় এবং এটা একটা OTC(drugs you can buy without a prescription) ড্রাগ। তাই নাপার কারনে এমন হতে পারে আমাদের চিন্তাতেও ছিলো না।

"নিরীহ নাপা"ও মারনঘাতি হতে পারে এরকম কপাল হয়তো খুবই অল্পকিছু মানুষের আছে।পৃথিবীর বুকে এই ছেলেটাও সেই বিরল কিছু মানুষের একজন।

গ্রোথ এবং সিস্ট (Growths and Cysts) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যমানবদেহে বিভিন্ন ধরনের গ্রোথ (Growth) এবং সিস্ট (Cyst) তৈরি হ...
10/03/2025

গ্রোথ এবং সিস্ট (Growths and Cysts) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের গ্রোথ (Growth) এবং সিস্ট (Cyst) তৈরি হতে পারে। এগুলো সাধারণত ত্বক, অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা টিস্যুতে গঠিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে এগুলো ক্ষতিকর নয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।

গ্রোথ (Growth) কী?

গ্রোথ বলতে শরীরের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা অতিরিক্ত টিস্যু গঠনের প্রক্রিয়াকে বোঝায়। এটি দুই ধরনের হতে পারে—

1. বিনাইন (Benign) বা নিরীহ গ্রোথ: এটি ক্যান্সারজনিত নয় এবং সাধারণত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে না। যেমন—

লিপোমা (Lipoma) – চর্বিযুক্ত গ্রোথ

ফাইব্রোমা (Fibroma) – আঁশযুক্ত টিস্যুর গ্রোথ

2. ম্যালিগন্যান্ট (Malignant) বা ক্যান্সারজনিত গ্রোথ: এটি ক্যান্সারের কারণে হয় এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সিস্ট (Cyst) কী?

সিস্ট হলো একটি তরল বা আধা-ঠাসা পদার্থে ভরা থলির মতো গঠন যা শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। সাধারণত এটি নিরীহ, তবে কখনো কখনো সংক্রমিত হয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

সিস্টের কিছু সাধারণ ধরন:

এপিডারময়েড সিস্ট (Epidermoid Cyst): এটি চামড়ার নিচে ছোট গোলাকার গুটি হিসেবে দেখা যায়।

সেবাসিয়াস সিস্ট (Sebaceous Cyst): এটি ত্বকের তৈলাক্ত গ্রন্থির ব্লক হয়ে যাওয়ার ফলে তৈরি হয়।

ডারময়েড সিস্ট (Dermoid Cyst): এতে চুল, চামড়া বা দাঁতের উপাদান থাকতে পারে এবং এটি জন্মগতভাবে হতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিস্ট (Polycystic O***y Syndrome - PCOS): এটি মহিলাদের ডিম্বাশয়ে একাধিক সিস্ট তৈরি করে এবং হরমোনজনিত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

কিডনি সিস্ট (Kidney Cyst): কিডনির ভেতরে বা বাইরে তরলপূর্ণ থলি তৈরি হতে পারে।

11/10/2024

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Family Doctor's posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category