Md uzzal ali

Md uzzal ali Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Md uzzal ali, AIDS Resource Center, Fulbaria.

23/12/2024

Hi

07/08/2024
Aagami Din tomake Kumar Khali khoksha MP hisab Dekhte chai
07/08/2024

Aagami Din tomake Kumar Khali khoksha MP hisab Dekhte chai

Hi
27/11/2023

Hi

মধুবালা [১৯]
ফারজানা_আক্তার

ছোঁয়া থা'প্প'ড় দিতে হাত এগিয়ে নিতেই শুভ্র ছোঁয়ার হাত ধরে ফেলে শক্ত করে। এতে ছোঁয়ার বিরক্তি লাগে খুব। রকিকে মা'র'তে পারলেই যেনো ছোঁয়ার এই বিরক্তি কাঁ'ট'বে। রকিরও মন খারাপ হয়ে যায় ছোঁয়া শুভ্রর সামনে ওকে মা'র'তে চেয়েছে বলে। একটু লজ্জা আর অপমানবোধও লাগে রকির। শুভ্র দাঁত কিড়মিড় করে ছোঁয়াকে বলে "জোর করে মা'র'পি'ট করে ভালোবাসা হয়না বুঝিসনা তুই?"

"তো কি করবো? এই মাথা মোটা কী বুঝতেছে সে কি হারাতে যাচ্ছে? তানহা রকি আমি আমরা তো সেই স্কুল লাইফ থেকে ফ্রেন্ডস তাহলে রকি কেনো বুঝতেছেনা তানহার অনুভূতি গুলো? ও তো তানহাকে খুব ভালো করেই চিনে। শুধু মাত্র রকিকে ভালোবাসে বলে কোনো ছেলের দিকে চোখ তুলে তাকাইনি কখনো কথা বলা তো দূরের কথা।"

"আচ্ছা আচ্ছা শান্ত হ তুই। তুই রেগে আছিস, বস কিছুক্ষণ মাথা ঠান্ডা কর। আমি কথা বলতেছি রকির সাথে।"

এটা বলেই শুভ্র রকির হাত ধরে ওর বেলকনিতে নিয়ে যায়। রকিও বাধ্য ছেলের মতো গেলো শুভ্রর সাথে। রকির বেলকনিটা বেশ বড়সড়। একদম গুছানো পরিপাটি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে রকি ছেলেটাও বেশ গুছানো। শুভ্র খানিক মুগ্ধ হয় রকির প্রতি। এমন গুছানো মানুষ শুভ্রর বেশ পছন্দ। রকি ভাবতে থাকে সেদিনের কথা যেদিন সে প্রথম দেখেছিলো ছোঁয়াকে। ক্লাস নাইনে থাকতে রকি স্কুল চেঞ্জ করে ছোঁয়াদের স্কুলে ভর্তি হয়েছিলো। রকি স্কুলে পা রাখতেই একটা কুটকুট হাসির শব্দ ওর কর্ণকুহরে প্রবেশ করে আর ও কিছু না ভেবেই ছোঁয়াকে গিয়ে বলে "মেয়ে হাসিটা খুব সুন্দর তোমার?"
আর সেই থেকেই ওরা বন্ধু। তানহা সেদিন আসেনি স্কুলে, অসুস্থ ছিলো তানহা বেশ। পরে কয়েকদিন পর তানহা স্কুলে আসলে তানহার সাথেও খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে যায় রকির। কলেজ লাইফে পা রাখতেই তানহা বুঝতে পারে সে রকির জন্য কিছু অনুভব করে কিন্তু বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হবে ভেবে সে কাউকে কিছু জানাইনি। হঠাৎ শুভ্রর কথায় হুঁশে ফিরে রকি।

"তা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা কেনো আসলো তোমার মাথায়? কিছু মনে করোনা বয়সে ছোট হবে তাই তুমি করে বললাম।"

"যাকে আমি ভালবেসে আসছি ৬/৭ বছর ধরে সে নাকি ভালোবাসে অন্যকাউকে। কি করবো বলুন, জোর করে সব হলেও ভালোবাসা পাওয়া যায়না তাই চলে যাচ্ছি দেশ আর দেশের মানুষের মায়া কাটিয়ে।"

"তোমার ভালোবাসার মানুষ অন্য কাউকে ভালোবাসে বলে তুমি দেশ ছেড়ে যাচ্ছো। পারছোনা সহ্য করতে এমন অসহ্যকর কষ্ট। একবার ভাবো তো তানহার কথা। মেয়েটার কি অবস্থা হচ্ছে? তোমার মতো একই নৌকায় মেয়েটাও ভাসতেছে। ছোঁয়ার থেকে যতটুকু শুনলাম মেয়েটাও তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। নিজে যে কষ্ট পাচ্ছো সেই একই কষ্ট তুমি মেয়েটাকেও দিচ্ছো। এটা কিন্তু ঠিক নাহ।

আমি কোথায় জানি শুনছিলাম মন ভা'ঙা'র কষ্ট শুধু সেই বুঝে যার মনটাও ভে'ঙে'ছে কাউকে ভালোবাসে তাহলে তুমি কেনো বুঝতে চাইছোনা তানহার কষ্ট টা। তুমি পারোনি তোমার ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে কিন্তু তুমি পারবে তানহার ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে।
আর কষ্ট দিওনা মেয়েটাকে। বিয়েটা করে নাও। সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।
**********
সন্ধ্যায় ছোঁয়া আর শুভ্র বাসায় ফিরে। তানহা অনেক খুশি হয়েছে। দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই তাদের বিয়েটা হয়ে গেলো। রকি মেনে নিতে পারেনি তবে তানহার ভালোবাসাকে সম্মান করতে বাধ্য হয়েছে।
শুভ্র ফোন করে বাসায় জানিয়ে দিয়েছিলো তারা ফিরতে দেরি হবে তাই কেউ আর কোনো প্রশ্ন করেনি। ছোঁয়া ফ্রেশ হয়ে বসতেই জায়েদা বেগম কফি নিয়ে হাজির হয়। ছোঁয়া এখন আবারও আগের মতো সন্ধ্যায় কফি খাই জায়েদা বেগমের হাতে। কিন্তু তবুও সেলিনা পারভীন এর জন্য মাঝে মাঝে একটু বেশিই মন খারাপ হয় ছোঁয়ার।

ছোঁয়াকে কফি দিয়ে জায়েদা বেগম চলে যান নিজের রুমে। গিয়ে দেখেন জীবন মির্জা কেমন জানি ছটপট করছেন। জায়েদা বেগম খুব ভয় পেয়ে যান। জীবন মির্জার বুকে জ্বালা করছে খুব। জায়েদা বেগম সবাইকে ডাকতে চাইলে জীবন মির্জা বাঁধা দেন, ডাক্তারকে ডাকতেও দিলেননা। জায়েদা বেগম সং হয় বসে আছেন। স্বামীর অবস্থা দেখে কষ্ট হচ্ছে খুব কিন্তু কিছু করার নেই উনার। কিছুক্ষণ পর জীবন মির্জা কিছুটা শান্ত হলেন, আগে থেকে একটু সুস্থতা অনুভব করছেন।
জায়েদা বেগমের হাত ধরে জীবন মির্জা অপরাধীর মতো বলেন "আজ একটা কঠিন সত্য বলবো তোমায়। অনেক বড় অন্যায় করেছি তোমার সাথে। পারবে তো ক্ষমা করতে আমায়?"

"কি বলছেন এসব? আপনি অসুস্থ, বিশ্রাম করুন কিছুক্ষণ। আমি আপনার জন্য স্যুপ বানিয়ে আনছি।"

"না কোথাও যেওনা। শুনে যাও জায়েদা প্লিজ। "

"আচ্ছা বলুন।"

"আমি ইনজেকশন নিয়েছিলাম ছোঁয়ার মায়ের মৃত্যুর পর। যার কারণে তুমি মা হতে পারোনি এতোগুলা বছর এতো এতো চেষ্টা করেও। তোমার মাঝে কোনো সমস্যা নেই। আমি ইচ্ছে করেই করেছি এটা যাতে আর কখনো বাবা হতে না পারি। ছোঁয়ার প্রতি যাতে আমার স্নেহ কখনো কমে না যায়। বিশ্বাস করো আমি বিয়ে করতে চাইনি মা আমাকে জোর করে বিয়ে করিয়েছেন। আমি তোমার অপরাধী, তুমি যা শাস্তি দিবে আমি মাথা পেতে নিবো।"

পরপর দুটো ধা'ক্কা তে একদম ভে'ঙে পরেছেন জায়েদা বেগম। কিছু বলতে পারছেননা তিনি। শুধু গাল বেয়ে নামছেন অশ্রকণা। নিজেকে খুব বেশিই অসহায় মনে হচ্ছে জায়েদা বেগমের, ভাগ্যের উপর রাগ হচ্ছে খুব। একটা সুন্দর পরিপূর্ণ জীবন পাওয়ার অধিকার কী তার ছিলোনা? মনের কাছে প্রশ্ন করছেন তিনি।
জীবন মির্জার বলা কথাগুলো জায়েদা বেগম ছাড়াও আরো একজন শুনেছে দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে। ছোঁয়া জায়েদা বেগমের কাছে এসেছিলো চুলে তেল দেওয়ার বাহানায় আর এসেই এই কঠিন সত্য টা জানতে পারলো। জীবন মির্জা ওর জন্য এতো বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন এটা যেনো হজম হচ্ছে না ছোঁয়ার। ছোঁয়াও কাঁদতেছে। হঠাৎ জায়েদা বেগমের কানে শব্দ এলো হেঁচকির। জায়েদা বেগম শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখ-মুখ ভালো করে মুছে দ্রুত দরজা খুলে দেখে ছোঁয়া কাঁদছে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। জায়েদা বেগম মুহুর্তেই ছোঁয়াকে জড়িয়ে ধরে, মেয়েটা যে বড্ড ইমোশনাল। জায়েদা বেগম বুঝতে পারে ছোঁয়া সব শুনে ফেলেছেন তাই ছোঁয়াকে রুমে এনে জীবন মির্জার পাশে বসায়। জীবন মির্জা এতক্ষণ শুয়ে থাকলেও মেয়েকে দেখে চট করে উঠে বসেন। ছোঁয়া মাথা নিচু করে কেঁদেই যাচ্ছে। জায়েদা বেগম নিজের কষ্ট গুলো চাপা দিয়ে ছোঁয়ার হাত শক্ত করে নিজের হাতের মুঠোয় ভরে বলেন "দেখো মা তোমার বাবা যা করেছেন তোমাকে ভালোবেসেই করেছেন। আর রেগে থেকোনা বাবার প্রতি মা। উনার ভুলের জন্য অনেক শাস্তি পেয়েছেন উনি। শেষ বয়সে কী একবার বাবা ডাক শোনার অধিকার দিবে তাকে?"

ছোঁয়া কিছু না বলেই কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরে জীবন মির্জাকে। বাবা মেয়ে দুজনেই কাঁদছে, এই কান্না যে সুখের কান্না।

মান্নান মির্জা খুব খুশি হয়েছেন ছোঁয়ার মুখে হাসি দেখে। ছোঁয়া যখন মান্নান মির্জাকে বলল আজ থেকে তার দুটো বাবা তখনই তিনি মেয়ের মাথায় হাত রেখে বলেন "আজ থেকে কোনো চিন্তা নেই আমার। আমার মেয়ে খুশি থাকলেই আমি খুশি।"
**********
সন্ধ্যা ৬টা। আজ সারাদিন ছোঁয়া ঘুরেছে শুভ্রর সাথে। শুভ্রকক আজকেও অফিসে যেতে দেয়নি ছোঁয়া। এতে শুভ্র মোটেও বিরক্ত হয়নি বরং খুশি হয়েছে বেশ। এখনো দুজন কাউকে কেউ সরাসরি বলেনি ভালোবাসি তবুও দুজনকে ছাড়া যেনো দুজনের চলেনা।

মির্জা বাড়ির হলরুমে আজ আবার মেলা বসেছে। ছোট বড় সব সদস্য উপস্থিত। ছোট রা সবাই মিলে হৈ হুল্লোড় আড্ডা দিচ্ছে। ছোঁয়া হুট করে বলে উঠে "বালার প্রেমে অন্ধ আমি, স্বপ্ন সাজিয়েছি রোজ।
স্বপ্ন নগরে বালা জোড়া, কেউ কী রেখেছে খোঁজ? "

ছোঁয়ার ছন্দ শুনে কুটকুট করে হেঁসে ফেলে সবাই। মির্জা বাড়ির হলরুম ভরে উঠেছে খুশির শব্দে। কারো উপর আর নেই কোনো অভিমান অভিযোগ কারো। সবাই আজ একতালে মেতে উঠেছে খুশির উৎসবে। সবাই আজ বসেছে ছোঁয়া আর শুভ্রর বিয়ের তারিখ ফিক্সড করার জন্য। তারিখ ঠিক হয়েছে সামনের শুক্রবার। বাড়ির ছোট রা সবাই নেচে উঠেছে এটা শুনে।
ছোঁয়া গম্ভীর মুখে বলে উঠে "আমার কিছু বলার আছে। আমি চাই আমার সাথে লিলিও বধু সাঁজুক।"

ছোঁয়ার কথা শুনে সবাই অবাক। আজ সোমবার মাত্র হাতে গুনা দিনে লিলির জন্য পাত্র কোথায় খুঁজবে প্রশ্ন করেছে বেলাল মির্জা।
মির্জা পরিববার যে অজানা তাদের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত অতীত।

চলবে_ইনশাআল্লাহ

Hi
27/11/2023

Hi

Hi
27/11/2023

Hi

হৃদয়হরণী
পর্ব:৩১
তানিশা সুলতানা

"আমাকে এখানে কেনো এনেছেন?

ঔশীর কন্ঠে রাগ স্পষ্ট। সামির খাটের ওপর টানটান হয়ে শুয়েছিলো। ঔশীর কথায় পায়ের ওপর পা তুলে নেয়। রাগে ঔশীর শরীর কাঁপছে। দিন দিন অসয্য হয়ে উঠছে লোকটা।

" কুতকুতি মাইয়া গানটা মুখস্থ করেছি। তোমাকে শোনানোর জন্য তুলে আনছি।

সামিরের মুখে হাসি। ঝকঝকে দাঁত গুলো দেখে ঔশীর রাগ তরতর করে বাড়তে থাকে। ইচ্ছে করছে লোকটার বড়বড় দাঁত গুলো হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে পেটে ঢুকিয়ে দিতে।
সামির এক লাফে বসে পড়ে।

"আরেহহহ বা তোমায় তো দারুণ হ*ট লাগছে। উমমমম বেয়ারের থেকেও বেশি নেশা ধরে যাচ্ছে।

ঔশী এবার সামিরের গলা চেপে ধরতে যায়। সামির হাত ধরে টেনে পাশে বসিয়ে দেয়। ঔশী ছাড়া পাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকে।
সামির কানের কাছে ঠোঁট নিয়ে ফিসফিস করে বলে
" একদম বাড়াবাড়ি করবে না। মানুষ মনে হয় না আমায়? কাল থেকে কন্টিনিউসলি ইগনোর করে যাচ্ছো। কষ্ট হয় না?।

ঔশী দাঁতে দাঁত চেপে জবাব দেয়
"মায়ার সাথে কি করেছেন আপনি মনে নেই? আপনার ইগনোর কেনো খু*ন করতে পারলে ভালো লাগতো।

সামির হাসে। ঔশীর কোঁকড়াচুল গুলো বিনুনি করা ছিলো। বিনুনিটা বা পাশে দিয়ে গলায় ওষ্ঠ ছোঁয়ায়। কেঁপে ওঠে ঔশী। শক্ত হয়ে বসে পড়ে।

" মায়ার সাথে আমি কিচ্ছু করি নি। ইনফ্যাক্ট আমি তাকে ভালো করে চিনিও না।

কান্না পায় ঔশীর। ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে সে। মায়া তার বেস্টফ্রেন্ড। গোটা দুনিয়া ঔশীকে মিথ্যে বললেও মায়া কখনোই মিথ্যে বলবে।
গত পৌরসু ঔশী এবং মায়া এক সাথে ভার্সিটিতে যাচ্ছিলো। তখনই সামিরকে দেখিয়ে বলে "এই ছেলেটাই আমার এক্স ছিলো"
দুনিয়া থমকে গিয়েছিলো ঔশীর। সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো মানুষটার সাথে আর যোগাযোগ রাখবে না।

সামির ছেড়ে দেয় ঔশীকে। মেয়েটা মাথা নিচু করে কাঁদছে।
"আমি তোমাকে ভালোবাসি ঔশী। ট্রাস্ট মি আমি মায়া নামের মেয়েটিকে ঠিকভাবে চিনিও না। তোমার কোথাও ভুল হচ্ছে।

ঔশী জবাব দেয় না। সামির বিরক্ত হয়।
দাঁড়িয়ে যায় সে। দুনিয়ায় এই একটা মানুষ যার কান্না তার সয্য হয় না।

" মায়াকে ডাকো।
সামনাসামনি ক্লিয়ার করবো ব্যাপারটা। এভাবে রংতামাশা ভাল্লাগছে না আমার আর।

ঔশী তবুও জবাব দেয় না।

__

সাদি লাগেজ গোছাচ্ছে। হাতে আরও একটা দিন সময় আছে তবুও আজকেই লাগেজ গুছিয়ে রাখছে। গতকাল সারাদিন পরিবারের সাথো কাটাবে সময় পাবে না।
ছোঁয়া খাটের ওপর বসে আছে পা নাচাচ্ছে এবং নুডলস খাচ্ছে।

"আচ্ছা সাদু আমাদের বেবি কবে হবে? দিয়া কবে আসবে?

সাদি দীর্ঘ শ্বাস ফেলে
"একটা শয়তান সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছি। আরেকটা শয়তান কি করে আনবো?

" আমি জানি আমি শয়তান। কিন্তু আমাদের দিয়া অর্ধেক শয়তান হবে। কেনো বলুন তো?
আপনি ভালো আমি শয়তান। তাহলে ভালো + শয়তান যোগ করলে কি হয়? অর্ধেক শয়তান।

সাদি জবাব দেয় না। সে তার কাজে ব্যস্ত। ছোঁয়ার নুডলস খাওয়া শেষ। বাটিটা খাটের ওপরেই রাখে। সাদির পেছনে এসে দাঁড়ায়।
"সাদু একটা প্ল্যানিং করলাম এখুনি। আপনার সাথে আমাকেও নিয়ে যান না। হানিমুনটাও সেরে আসতে পারবো।

" তোমার পাসপোর্ট নেই।
"তাতে কি হইছে? আমি নাহয় দাঁড়িয়ে যাবো। আর তাও না হলে আপনার কোলে বসে যাবো।
সাদি কোমরে হাত দিয়ে তাকায় ছোঁয়ার দিকে। ছোঁয়ার চোখে মুখে খুশির ঝিলিক। মেয়েটা সুন্দরী। বড়বড় চোখ দুটো উঁচু নাক চিকন পাতলা ঠোঁট জোড়া। ঠোঁট লিপস্টিক নিয়েছিলো। নিচের ঠোঁটের লিপস্টিক খেয়ে ফেলেছে। এবার ওপরের ঠোঁটে আছে শুধু।
নাকে চিকচিক করছে পাথরের নাক ফুল। গলায় চিকন স্বর্নের চেইন।এই গল্পটির পরবর্তী ৩২ পর্ব পড়তে এই গ্রুপে জয়েন হয়ে থাকেন- ব্যর্থ প্রেমের গল্প। গোলাপি ওড়নাটা গলায় ঝোলানো।প্রথম বার বোধহয় মেয়েটাকে এতোটা গভীর চোখো পর্যবেক্ষণ করলো সাদি। ছোঁয়া দু পা এগিয়ে এসে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সাদিকে। মুখ ঠেকেছে সাদির প্রসস্থ বুকে।
সাদিও পরম যত্নে আগলে নেয় নিজের প্রেয়সীকে।
" আমি আপনাকে ভীষণ ভালোবাসি সাদি। আপনার ভালোবাসা চাই আমি। সাদি গম্ভীর গলায় জবাব দেয়
"সামান্য কিসটাই সয্য করতে পারো না। আমায় কিভাবে সামলাবে?
ছোঁয়া জবাব দেয় না। চুপচাপ মানুষটার হার্টবিট গুনতে থাকে।
এভাবে কতোটা সময় পার হয় জানা নেই কারোরই।
" আমায় নিবেন না?
সাদি ধমক দেয় না। খুবই নরম গলায় প্রেয়সীকে বোঝায়
"এভাবে হবে না জান। পাসপোর্ট ছাড়া তোমাকে এয়ারপোর্টের ভেতরেই ঢুকতে দেবে না।
ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুত তোমাকে নিয়ে যাবো।

চট করে ছোঁয়া সাদির বুক থেকে মাথা তুলে। এক গাল হেসে শুধায়
" গবুর কাছে নিয়ে যাবে?

বিরক্তিতে চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে সাদি। ইচ্ছে করছে শয়তান ইডিয়েটটার তুলতুলে গাল দুটো চাপকে লাল করে দিতে।

"বলুন।
গবুর কাছে নিবে?

সাদি লাগেজে মন দিয়ে বলে
" হুমম

"আনরোমান্টিক কোথাকার।
কোথায় বলবেন "তুমি আমার ছোঁয়া তোমাকে কেনো গবুর কাছে নিয়ে যাবো"
তা না
ধুররর
রোমাঞ্চ করার বয়সে জামাইকে আমিষ বানানোর চেষ্টা করছি। আমার মতো কপাল পোড়া আর কে আছে?

ছোঁয়ার ন্যাকামি দেখে সাদি ভ্রু কুচকে ফেলে। সিরিয়াসলি ভাই?
মানুষ এভাবে কি করে ন্যাকামি করে?
"তোমাকে আমি ভালো হওয়ার ওয়ার্নিং দিলাম ইডিয়েট

" আমিও আপনাকে রোমান্টিক হওয়ার ওয়ার্নিং দিলাম জামাই।

"তাই না?

বলতে বলতো সাদি ছোঁয়ার হাত ধরে কাছে টেনে নেয়।

চলবে.....

Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Md uzzal ali posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share