24/04/2024
#সাদাস্রাব_প্রতিরোধ ও প্রতিকার, হোমিও চিকিৎসা
==================================
শারীরিক গঠনের ও কার্যকারিতার ভিন্নতার কারণে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু বেশিরভাগ নারীরা তাদের সমস্যাগুলো অজ্ঞতা, ভয়, লজ্জা, সংকোচ, উপযুক্ত পরিবেশ-পরিস্থিতির না পাওয়া ইত্যাদি কারণে কাউকে বলতে চান না। যার ফলে প্রতিনিয়ত তারা মেয়েলি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং শুধু তাই নয়- নারী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কিছু ঘাতক ব্যাধি দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকে আবার ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে সাদাস্রাব হওয়া।
যে সব নারীরা সাদা স্রাবের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যই বলছি কখনো এই সমস্যাটি লুকিয়ে রাখবেন না। লুকানো এই সমস্যাটি আপনার জন্য ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ। সাদাস্রাব নারীদের একটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া হলেও কখনো কখনো এটি মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে।সেক্ষেত্রে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে বিষয়টা কোন পর্যায়ে আছে তার উপর। প্রত্যেকটা নারীর এই সাদাস্রাব থাকবে এমনকি একটি মেয়ে শিশু জন্মের ৭-১০ দিনের মাথায় তার এই সাদাস্রাব দেখা দিতে পারে কিন্তু তার কোন চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
সাদাস্রাব সব সময় স্বাভাবিক তা কিন্তু নয়। কখনো কখনো এটা অস্বাভাবিকও হতে পারে। এমনকি এটা জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের কারণও হতে পারে। জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের একটা পূর্বধাপ (Pre-cancerous state) আছে। এই অবস্থায় যদি ধরা পড়ে এবং ঠিক মতো চিকিৎসা হয় তাহলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।এছাড়া হরমোনের নানা সমস্যা, যোনিতে ইনফেকশন, যৌন রোগ, জরায়ুতে ক্যান্সার, পেলভিক ইনফ্লেমেশন ইত্যাদিও অতিরিক্ত সাদাস্রাবের কারণ হতে পারে। তবে প্রচুর পরিমাণে, রক্তে দাগ, দুর্গন্ধ যুক্ত, স্বাভাবিক রংয়ের না হলে তা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।
#সাদাস্রাব_কী:
=========
সাধারণত, স্বাভাবিক স্রাব পাতলা এবং সামান্য চটচটে হয়। এটা অনেকটা সর্দির মত। আর তা যদি অস্বাভাবিক হয় তাহলে সাদা বর্ণ পরিবর্তন করে হলদেটে, আঠালো, পিচ্ছিল এবং প্রচুর দূর্গন্ধযুক্ত হয়। সাথে যোনি পথের চুলকানি থাকে।
#সাদাস্রাবের_অস্বাভাবিকতার_কিছু_সাধারণ_কারণ:
============================
1. সাদাস্রাব যাওয়ার খুব কমন একটা কারণ হচ্ছে ফাঙ্গাল ইনফেকশন।
2. সাধারণত যখন মানসিক চাপের বৃদ্ধি ঘটে।
3. মাসিক চক্রে তারতম্য হয় তখন।
4. অপরিচ্ছন্ন কাপড়ের কারণে ফাঙ্গাস আক্রমণ করতে পারে।
5. জন্ম বিরতিকরণ পিল খাওয়ার কারণেও সাদাস্রাবের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।আর যদি পিল খেতেই হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
6. স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয়, বয়সন্ধিকালে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে নিঃসরণ-ও বেশি হয়।
7. যৌন মিলনকালে, যৌন আবেগে।
8. গর্ভাবস্থায়, শরীরের রাসায়নিক সমতা বজায় রাখতে এবং যোনির কোষগুলোকে সচল রাখতে ইস্ট্রোজেন (oestrogen) হরমোনের প্রভাবে সাদাস্রাবের নিঃসরণ হতে পারে।
9. পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টির অভাব হতে পারে সাদাস্রাবের সমস্যা। তাই বিশ্রাম নেওয়ার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ডিম, দুধ, মাছ, মাংস , সবুজ সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।
10. নারীদের শরীরে পুষ্টিহীনতার জন্য কৃমির কৃমির সংক্রমণ হতে পারে। আর কৃমির সংক্রমণ হলে আপনি যা-ই খান, তার একটি বড় অংশ কৃমির পেটে চলে যাবে। কৃমির সমস্যা থেকে হতে পারে সাদাস্রাব।
#সাদাস্রাব_প্রতিরোধ ও প্রতিকার:
-----------------------------------
এক্ষেত্রে সচেতনতা ও সতর্কতা এবং কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলাই আমাদেরকে মুক্তি দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম, বিশ্রাম, মানসিক প্রশান্তি, পরিমিত পুষ্টিকর খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি দিকে খেয়াল রাখলেই অনেকাংশে কমে যাবে এই সমস্যা।
#সাদাস্রাবের_হোমিওপ্যাথি_চিকিৎসাঃ
----------------------------------------------------
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে সাদাস্রাবের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান সম্ভব। সাধারণত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা-পদ্ধতি লক্ষণ ভিত্তিক হওয়ায় রোগীর সার্বিক শারীরিক ও মানসিক লক্ষণের উপর ভিত্তি করেই উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচিত হয়। এক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ, প্রকৃত ধারার হোমিওপ্যাথ দ্বারা চিকিৎসা করানো উত্তম। কেবল সাদাস্রাবকেই একটি রোগ ভেবে চিকিৎসা করলে তা ভুল হবে। মূলত এর নেপথ্য কারণটি খুঁজে বের করে একজন উপযুক্ত চিকিৎসক তা দূর করার মাধ্যমেই কেবল তার স্থায়ী নিরাময় হতে পারে। জীবনযাত্রা সংক্রান্ত যে ত্রুটিগুলোর কারণে এটি হতে পারে, সেগুলোও সেই সাথে সংশোধন করে নিতে হবে। যথাসময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ভবিষ্যতের যে কোন নেতিবাচক পরিণতির হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে পারে।
যে কোনো সমস্যায় যোগাযোগ করুন
ডা. তৌহিদুল ইসলাম
আধুনিক হোমিও হল
01710-050200