Sathi সাথী

Sathi সাথী Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Sathi সাথী, Health & Wellness Website, 78 Satmasjid Road, Dhaka.

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ডায়েরিঃ" কৃষাণের মাঠের শীতকালীন ফসল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে"প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট, ঢাকা মেডিকেল ...
25/11/2025

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ডায়েরিঃ
" কৃষাণের মাঠের শীতকালীন ফসল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে"

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ২০১৪ সাল থেকে নিরাময় অযোগ্য রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীদের সেবা দেওয়া সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক দের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কেন না আমরা বেতনধারী সরকারি কর্মচারী।

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটে যেসব রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন তারা জানেন - রোগটা আর পরিপূর্ণ রুপে শরীর থেকে নির্মূল করা যাবে না। আসার সময় জীবনের সকল আশা হারিয়ে অনেকটা মৃত্যুর দিন গুনতে গুনতে আসেন।

টিম প্যালিয়েটিভ কেয়ার চেষ্টা করে জীবন থাকা অবস্থায় যেন মানুষটির মরণ না হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করি যেন রোগী তার জীবনের সর্বোচ্চ সম্মান নিয়ে আয়ুকাল পার করতে পারেন। আমাদের এই কাজে পরিবারের সদস্যদেরও ভূমিকা অপরিহার্য।

দেখতে দেখতে প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটকে রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকেরাও আপন করে নিয়েছেন। তাই তো মানিকগঞ্জ থেকে শীতকালীন সবজি আর দুধ, সাতক্ষীরা থেকে সুন্দরবনের মধু, মুন্সিগঞ্জ থেকে দুধ আর মিষ্টি , বি. বাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি নিয়ে চলে আসেন প্যালিয়েটিভ কেয়ার চিকিৎসা নেওয়া মানুষেরা। এই যেন এক রোগী, রোগীর পরিবারের সাথে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আত্মার বন্ধন।

বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ে প্যালিয়েটিভ সেবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ পৌছে দিতে পেরেছে। প্রশ্ন হতে পারে সবাই কে কি পেরেছে!! স্বীকার করে নিচ্ছি শতকরা ১% ও না। তবে, আমরা দাবী রাখছি - যারা আসেন বা যাদের আসার সুযোগ হয় তারা জানেন প্যালিয়েটিভ কেয়ার তাদের জীবনে কি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বা রেখেছে।

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটের প্রতি রোগীদের এই অমূল্য উপহারাদিই প্রমাণ করে আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি। অশেষ কৃতজ্ঞতা প্যালিয়েটিভ কেয়ার টিমের সকল সদস্যের প্রতি।।

ডা. ওয়াই ওয়াই ম্রয় জন
এম.ডি (প্যালিয়েটিভ মেডিসিন)
ফেলো (আই.পি.এম, ইন্ডিয়া)
প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ডায়েরিঃ'জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিটায়ার্ডমেন্ট হোম' এ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন কনসালটেন্ট ভিজিটে একিদিনে ...
30/10/2025

প্যালিয়েটিভ কেয়ার ডায়েরিঃ

'জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রিটায়ার্ডমেন্ট হোম' এ প্যালিয়েটিভ মেডিসিন কনসালটেন্ট ভিজিটে একিদিনে তিনজন ষাটোর্ধ বয়স্ক রোগী কে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দিয়েছি। এই প্রতিষ্ঠানে আমার রোগী দেখা রুটিন মাফিক না হলেও প্যালিয়েটিভ চিকিৎসার প্রয়োজনে অনকল ভিজিটে আপাতত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
প্যালিয়েটিভ কেয়ার সবসময় দলগত চিকিৎসার কথা বলে। সে হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠছে প্যালিয়েটিভ কেয়ারে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত নার্স, ফিজিও ও পিসিএ দের নিয়ে একটি দক্ষ প্যালিয়েটিভ কেয়ার টিম।

তিনজন রোগীর মধ্যে একজন আমার পূর্বে দেখা। যিনি শরীরের ক্ষত নিয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। টিমের সঠিক পরিচর্যা পেয়ে খুব অল্পসময়ে ক্ষত স্থান শুকিয়ে যায়। পাশাপাশি, প্রাথমিক পর্যায়ে যা শারীরিক উপসর্গ ছিলো তাও প্রশমিত হয়ে এসেছে। ওনার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকেন।

প্রথম ভিজিটের পর আমি ওনার শারীরিক ভোগান্তির পাশাপাশি মানসিক, আর্থ-সামাজিক, ও আধ্যাত্মিক বিষয় গুলো বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা করি। এরি অংশ হিসেবে "জুম" এ দেশের বাইরে অবস্থানরত ছেলেমেয়ে, মেয়ের জামাই, ও নাতনীদের নিয়ে ফ্যামিলি মিটিং করি। সচরাচর আমি মিটিং এর সময় ৪০-৪৫ মিনিট হিসেবে ধরে রাখি। সেদিন সময় লেগেছে ২ ঘন্টা ৩০মিনিট। এই ফ্যামিলি মিটিং এর পর মেয়ে ও নাতনি দেশে এসেছেন ১ সপ্তাহের মধ্যে। আসার কারণ--??? মিটিং এর আলোচনার প্রেক্ষিতে ওনারা বুজতে পেরেছেন শুধু শারীরিক কষ্ট কমানো এই সময়ে মূল উদ্দেশ্য না। এর পাশাপাশি নানাকে পরিপূর্ণ যত্ন আর ভালোলাগার কাটানো সময় গুলো আবার নানাকে মনে করিয়ে দিতে আর শেষ বেলায় ভালো স্মৃতি ধরে রাখতে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে আসা।
ওনারা সবাই মিলে চেষ্টা করছেন আর চিন্তা করছেন বাবার জন্য আজ আর একটি ঘন্টাও ফেলনা না।

প্যালিয়েটিভ মেডিসিনে আমার ভালো লাগার বিষয়টি হলো- সবাই যখন বলে আরকিছু করার নেই, সবার আশা যেখানে অস্তমিত হয়ে আসে, সেখানে আমরা ভোগান্তিহীন একটি ঘন্টা, একটি দিন, একটি সপ্তাহ.. মাসের গল্প বুনে যায়।।

জীবনের অন্তিম সময়েও ভালো থাকুক নিরাময় অযোগ্য রোগীরা, বেঁচে থাকুক সারাজীবনে জমানো কষ্টের প্রতিদানে প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে।

ডা. ওয়াই ওয়াই ম্রয় জন
প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

কনসালটেন্ট
সাথী হেলথ কেয়ার।

09/06/2025

🩸🩹**রক্তদানের পর সুঁইয়ের জায়গায় রক্তপাত বন্ধ হয় কিভাবে?**

রক্তদানের সময় ১৬ G সাইজের সুঁই ব্যবহার করা হয়, যা রক্তনালীতে একটি ছোটো টানেল তৈরি করে।

সুঁই বের করার পর এই টানেল বন্ধ হওয়ার প্রক্রিয়াটি দুই ধাপে হয়: 🤔💉🩹

🩹১. প্রাথমিক বন্ধ হওয়া (Primary Hemostasis – ২-৫ মিনিট)

- প্লেটিলেট জমে একটি অস্থায়ী প্লাগ (জটলা) তৈরি করে।

- এজন্য ৫-১০ মিনিট চাপ দিয়ে রাখতে হয়, যাতে প্লেটলেট ঠিকভাবে কাজ করতে পারে।

- হাত সোজা রাখা জরুরি, কারণ ভাঁজ করলে চামড়া ও মাংসপেশি নড়ে টানেল আবার খুলে যেতে পারে। এতে রক্ত চামড়ার নিচে জমে কালো দাগ (ব্রুইজিং) হতে পারে।

🩹২. স্থায়ী বন্ধ হওয়া (Secondary Hemostasis – ২০-৩০ মিনিট):

- প্লেটলেট প্লাগের উপর **ফাইব্রিন জমাট** বেঁধে স্থায়ীভাবে রক্তপাত বন্ধ করে।

- এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে **৩০-৬০ মিনিট** লাগে, তাই এই সময়ে হাত ব্যবহার না করাই ভালো।

# #**কালো দাগ (ব্রুইসিং) হলে কী করবেন?** 🤔🤕🩹

- **প্রথম ২৪ ঘণ্টা:** বরফ দিন। এটি রক্তনালী সংকুচিত করে রক্ত জমা ও ফোলা কমাবে। 🧊

- **২৪ ঘণ্টা পর:** গরম সেঁক দিন। এতে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং জমা রক্ত দ্রুত শোষিত হয়। 🔥

- **তাড়াতাড়ি না সারলে:** ব্লাড ব্যাংক বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

# # **সতর্কতা:** ⚠️🚨❗

- রক্তদানের পর **কমপক্ষে ৩০ মিনিট** হাত সোজা রাখুন ও ভারী কাজ এড়িয়ে চলুন।

- হাত ভাঁজ করলে বা বেশি নড়াচড়া করলে রক্তপাত আবার শুরু হতে পারে।

এভাবে সঠিক যত্ন নিলে রক্তদানের পর কোনো সমস্যা হয় না!👍🏥✅

ডা. মো: আশরাফুল হক
সহকারী অধ্যাপক

(শেয়ার করুন এবং সবাইকে জানার সুযোগ দিন)

#রক্তক্ষরণ #প্রাথমিকচিকিৎসা #স্বাস্থ্য

06/06/2025
🐄 কোরবানী উপলক্ষে সচেতনতামূলক পোস্ট 🐄দুর্ঘটনায় শরীরের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হলে করণীয় কী?কোরবানীর ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দের বার্ত...
06/06/2025

🐄 কোরবানী উপলক্ষে সচেতনতামূলক পোস্ট 🐄

দুর্ঘটনায় শরীরের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হলে করণীয় কী?
কোরবানীর ঈদ আমাদের জীবনে আনন্দের বার্তা বয়ে আনে, কিন্তু এই সময় ‍দ্রুত ও অসাবধানতার সঙ্গে মাংস কাটতে গিয়ে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। হাতের আঙুল, কাঁচি বা ছুরি দিয়ে কাটা অংশ, বা আরও জটিলভাবে পুরো হাত পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। কেবল ঈদের সময় নয়, মিল-কারখানা, রিকশা-ভ্যান, রাস্তার দুর্ঘটনা বা কাজকর্মে অসাবধানতার কারণেও এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।

এমন দুর্ঘটনার পর বিচ্ছিন্ন অঙ্গ পুনঃস্থাপন এখন সম্ভব—এটিকে বলা হয় ‘রিপ্লান্টেশন সার্জারি’। তবে সফল রিপ্লান্টেশনের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়টি হলো: বিচ্ছিন্ন অঙ্গটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা।

🩺 বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সংরক্ষণের সঠিক পদ্ধতি

১. পরিস্কার করুন:
অঙ্গটি (যেমন আঙুল বা অন্য যে কোনো অংশ) পরিষ্কার পানি বা সম্ভব হলে স্যালাইন দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
2. মোড়ানো:
একটি পরিষ্কার গজ, তোয়ালে বা কাপড়কে স্যালাইন দিয়ে ভিজিয়ে বিচ্ছিন্ন অঙ্গটি তাতে মুড়ে ফেলুন।
3. এয়ারটাইট ব্যাগে রাখুন:
ভেজা গজে মোড়ানো অঙ্গটি একটি পরিষ্কার পলিব্যাগ বা এয়ারটাইট ব্যাগে রাখুন।
4. বরফে সংরক্ষণ করুন (তবে সরাসরি নয়):
আরেকটি ব্যাগে কিছু বরফ নিন এবং পলিব্যাগে রাখা অঙ্গটি সেই বরফের ব্যাগে রেখে ঠাণ্ডা পরিবেশে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, অঙ্গটি যেন সরাসরি বরফের সংস্পর্শে না আসে।

🚑 তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা কোথায় পাবেন?

অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি।দেশের অনেক টারসিয়ারী হাসপাতালে প্রিপ্লান্টেশন সার্জারি করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে নিকটস্থ হসপিটালে যান যেখানে “রিপ্লান্টেশন সার্জারি” করা হয় । নিচে কয়েকটি হসপিটাল এর নাম দেয়া হলো :

✅ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকা
✅ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট
✅বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ)
✅ নিটোর (NITOR)
✅ কিছু আধুনিক বেসরকারি হাসপাতালেও এখন এই সার্জারি হচ্ছে।

⚠️ সতর্ক থাকুন, সচেতন হোন!
ঈদের খুশি যেন দুর্ঘটনায় ম্লান না হয়। কাজেই ছুরি বা কসাই সরঞ্জাম ব্যবহারে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে উপরের নির্দেশনা মেনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

➡️নিচে ছবি সংযুক্ত রয়েছে – বিচ্ছিন্ন অঙ্গ সংরক্ষণের ধাপগুলো চিত্রসহ বোঝানো হয়েছে।
➡️এই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন—কারণ সচেতনতা জীবন বাঁচাতে পারে।

©Collected

"স্বামীর ধূমপান ছাড়াতে যখন সকল চেষ্টা অসম্ভব হয়ে গেলো স্ত্রীর" তখন স্বামীর মাথায় লোহার তাঁর দিয়ে তৈরি করা খাঁচা তৈরি কর...
01/06/2025

"স্বামীর ধূমপান ছাড়াতে যখন সকল চেষ্টা অসম্ভব হয়ে গেলো স্ত্রীর"

তখন স্বামীর মাথায় লোহার তাঁর দিয়ে তৈরি করা খাঁচা তৈরি করে লক্ করে দিলেন স্ত্রী। স্বামী মাথায় খাঁচা নিয়ে সারাদিনের সমস্ত কাজ কর্ম করছেন। খাবার সময় স্ত্রী চাবি দিয়ে খাঁচার মুখ খুলে স্বামীকে খাইয়ে দিচ্ছেন। ব্যতিক্রমী এই কাজে মাধ্যমে স্ত্রী প্রশংসায় ভাসছেন।

সংগৃহীত

শিশুকে মধু খাওয়ানোর পর ক্লস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম টক্সিন বিষক্রিয়ায় শিশুর কি অবস্থা হয়েছে দেখুন!Infant Botulism (শিশু ...
01/06/2025

শিশুকে মধু খাওয়ানোর পর ক্লস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম টক্সিন বিষক্রিয়ায় শিশুর কি অবস্থা হয়েছে দেখুন!

Infant Botulism (শিশু বোটুলিজম) একটি বিরল কিন্তু গুরুতর নিউরোলোজিক্যাল রোগ, যা Clostridium botulinum নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে উৎপন্ন টক্সিনের কারণে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ১ বছর বয়সের নিচের শিশুরা আক্রান্ত হয়।

🦠 Infant Botulism এর কারণ:

Clostridium botulinum ব্যাকটেরিয়ার spores (বীজাণু) শিশুর অন্ত্রে প্রবেশ করে এবং সেখানে বৃদ্ধি পেয়ে botulinum toxin উৎপাদন করে। এই টক্সিন acetylcholine নামক স্নায়ুবিষয়ক রাসায়নিকের নিঃসরণ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে শিশুর পেশিগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে।

🧬 সংক্রমণের উৎস:

মাটি বা ধুলাবালি। প্রাকৃতিক পরিবেশ (বাগান, কৃষিক্ষেত্র) গিয়ে সেগুলো মুখে খাওয়া।

মধু (হানি) — ১ বছরের নিচে শিশুদের কখনোই মধু খাওয়ানো উচিত নয়

ঘরের ধুলোবালি (spore-দূষিত হতে পারে)

⚠️ লক্ষণসমূহ (Symptoms):

জীবাণু মুখ দিয়ে পেটে প্রবেশের পর সাধারণত ৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই রোগটির লক্ষণ দেখা যায়। লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে:

১. শিশুর অতিরিক্ত নিস্তেজতা (floppiness) – “floppy baby syndrome”

২. শিশু সঠিকভাবে মাথা ধরে রাখতে পারে না

৩. শিশুর চুষে খাওয়ার ক্ষমতা কমে যায় – খাওয়ায় সমস্যা

৪. শিশুর কাঁদার শব্দ দুর্বল হয়ে পড়া

৫. শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য (constipation) দেখা দেয়– প্রাথমিক লক্ষণ

৬. শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসের জটিলতা দেখা যায়

৭. শিশুর রক্তচাপ কমে যায় এবং অবচেতনতা দেখা যায় (চরম ক্ষেত্রে)

🧪 রোগ নির্ণয় (Diagnosis):

শিশুর মল পরীক্ষা (stool test) – toxin বা ব্যাকটেরিয়ার স্পোর শনাক্ত করতে

শিশুর রক্ত পরীক্ষা

শিশুর EMG (Electromyography) – স্নায়ু-পেশি কার্যকলাপ দেখতে

শিশুর নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষা। যা শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিজ হাত দিয়ে করে দেখবেন।

💉 চিকিৎসা (Treatment):

১. Botulism Immune Globulin (BIG-IV) – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে “BabyBIG®” নামে ব্যবহৃত হয়

২. সমর্থনমূলক চিকিৎসা (Supportive care):

শ্বাসযন্ত্র সহায়তা (যদি দরকার হয়) বা ventilation

তরল ও পুষ্টি প্রদানের জন্য IV therapy

NG tube দিয়ে তরল খাবার খাওয়ানো

৩. অ্যান্টিবায়োটিক সাধারণত প্রয়োজন হয় না, কারণ এন্টিবায়োটিক টক্সিন এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে না।

🚫 প্রতিরোধ:

১ বছরের নিচের বয়সের শিশুদের মধু খেতে না দেওয়া

শিশুকে পরিষ্কার এবং ধুলাবালিমুক্ত পরিবেশে রাখা

শিশুর খাবার রান্নার সময় সবজির ভালোভাবে রান্না করে সিদ্ধ করে খাওয়ানো উচিত

📌 মনে রাখবেন:

Infant botulism একবার শনাক্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে বেশিরভাগ শিশুই পুরোপুরি সেরে ওঠে। তবে এটি একটি জরুরি অবস্থা, তাই উপরের লক্ষণগুলোর কোনোটি দেখা গেলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

দয়াকরে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য আশীর্বাদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন। অসংখ্য বাবা-মায়ের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই পোষ্টটি পড়া অত্যন্ত জরুরী। একটি শেয়ার হয়তো একটি শিশুর জীবন রক্ষা করবে।

ধন্যবাদ 🙏

ডা. মানিক মজুমদার
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), এমডি (শিশু)
নবজাতক, শিশু, কিশোর ও কিশোরী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
নবজাতক, শিশু পুষ্টি ও শিশু নিউরোলজি বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত
কনসালটেন্ট (শিশু)
ময়মনসিংহ।


#স্বাস্থ্য #শিশুস্বাস্থ্য

Hand washing day
16/10/2024

Hand washing day

World Hospice & Palliative Care Day
12/10/2024

World Hospice & Palliative Care Day

09/10/2024

সচেতনতা

অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ কী – কোন বিষয়ে সতর্ক থাকবেন? জানুন

অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ – তাৎপর্য
স্তন ক্যান্সার প্রথম দিকে সনাক্ত করলে কেন তা সাহায্য করে?
অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী?
অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ- নিজে পরীক্ষা করুন
স্তন ক্যান্সার কীভাবে নিজে পরীক্ষা করে দেখবেন?
মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কী করতে হবে?
অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ – তাৎপর্য
স্তন ক্যান্সার (Breast Cancer) সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে। এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় না ঠিকই তবে স্তন ক্যান্সারের কারণে মৃত্যু রোধ করা যায়। স্তন ক্যান্সারের কারণে মৃত্যু রোধ করার উপায় হল প্রথম স্টেজে এটিকে সনাক্ত করা এবং সঠিক চিকিৎসা করানো।

স্তন ক্যান্সার প্রথম দিকে সনাক্ত করলে কেন তা সাহায্য করে?
বিজ্ঞানীদের মতে, স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা সম্ভব যদি এটি প্রথম দিকেই ধরা পড়ে। কারণ এই পর্যায়ে টিউমারগুলি (tumours) খুব ছোটো হয় এবং ক্যান্সার সাধারণত অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে না।

অল্পবয়সী মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী কী?
প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণগুলি (Breast Cancer Symptoms) নিম্নরূপ (দ্রষ্টব্য: এই লক্ষণগুলির উপস্থিতি কেবলমাত্র আপনার ক্যান্সার আছে বলেই নয়, আপনি যদি এর মধ্যে যে কোনওটি লক্ষ্য করেন তবে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন):

স্তনে বা বগলে লাম্প বা পিণ্ড
উভয় স্তনের রঙের পরিবর্তন
উভয় স্তন থেকে অস্বাভাবিক স্রাব নির্গমন
পুরো স্তন বা স্তনের একটি অংশ ফুলে যাওয়া
স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন
স্তনবৃন্তে (Ni***es) চুলকানি বা ব্যথা
স্তনের ত্বক অস্বাভাবিক কুঁচকে যাওয়া
স্তনবৃন্ত ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া

Address

78 Satmasjid Road
Dhaka
1209

Telephone

+8801674471860

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sathi সাথী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Sathi সাথী:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram