23/10/2024
শিখনে খেলা" বা "Play-based Learning" হল এমন একটি শিক্ষণ পদ্ধতি যেখানে শিশুদের শিখতে খেলাকে ব্যবহার করা হয়।
শিক্ষাবিদরা বিশ্বাস করেন যে "শিখনে খেলা" পদ্ধতি শিশুদের জন্য একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকর শেখার মাধ্যম। এটি শিশুদের শেখার সঙ্গে তাদের সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তিকে মিলিত করে, যা দীর্ঘমেয়াদী শেখার জন্য উপকারী।
শিশুদের শেখার প্রক্রিয়ায় খেলার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলার মাধ্যমে শিশুরা সৃজনশীলতা ও চিন্তাশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন দক্ষতা অর্জন করে।
শিখনে খেলার গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
১. শেখার পক্রিয়াকে আনন্দময় করে তোলা:
খেলার মাধ্যমে শেখার সময় শিশুরা মজা করে, যা তাদের শেখার ইচ্ছা ও আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে। তারা শেখার চাপে থাকে না বরং আনন্দের সাথে বিষয়বস্তু আয়ত্ত করে।
২. প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন:
খেলার মাধ্যমে শিশুরা সরাসরি বিভিন্ন বিষয় বা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, একটি বয়স ভিত্তিক রোল প্লে খেলার মাধ্যমে শিশুরা বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো কীভাবে সমাধান করতে হয় তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে যা শিশুর শিখনকে দীর্ঘস্থায়ী করে।
৩. মোটর স্কিলস: বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে শিশুরা শারীরিক দক্ষতা যেমন দৌড়ানো, লাফানো, বল ধরা ইত্যাদি শিখে। এতে তাদের শারীরিক শক্তি ও সমন্বয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪.মানসিক ও আবেগীয় বিকাশ: খেলার মাধ্যমে শিশুরা সমস্যার সমাধান, সিদ্ধান্ত গ্রহণ, আবেগীয় দক্ষতা, পরষ্পরের প্রতি সহযোগিতামূলক আচরণ এবং ধৈর্য ধরার মতো মানসিক দক্ষতা অর্জন করে।
৫. ভাষাগত ও যোগাযোগের দক্ষতা: খেলার সময় শিশুরা বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে ও নতুন বিষয় শিখে, যা তাদের ভাষাগত দক্ষতা উন্নত করে।
শিশু খেলার সময় নিজের বা অন্যের প্রয়োজনে পরষ্পরের মধ্যে যোগাযোগ করে যার মাধ্যমে শিশু যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন করে।
৬.সামাজিক দক্ষতা: দলগত খেলার মাধ্যমে শিশুরা সহযোগিতা, শেয়ার করা, এবং একসাথে কাজ করার কৌশল শেখে, যা তাদের সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৭. সৃজনশীলতা ও কল্পনাশক্তি: শিশুরা খেলার সময় তাদের কল্পনাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন জগৎ তৈরি করে, যা সৃজনশীলতা বাড়াতে সহায়ক।
তাছাড়া পাজল বা কন্সট্রাকশন খেলনা দিয়ে খেলার সময় তাদের চিন্তাশক্তি, সমস্যার সমাধান করার ক্ষমতা এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
খেলার মাধ্যমে শিখন একটি সামগ্রিক শিক্ষা ও উন্নয়নের পদ্ধতির দিক নির্দেশ করে।
শিশুদের সামাজিক, শারীরিক,মানসিক, জ্ঞানীয়, ভাষাগত বিকাশকে ত্বরান্বিত করে। শিশু অন্যদের সঙ্গে এবং চারপাশের বস্তুগত ও প্রতীকী বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তার চারপাশের পৃথিবীর সাথে পরিচিত হতে শেখে।
শিশুর প্রারম্ভিক শিখনে বয়স অনুযায়ী খেলার বিকল্প হয় না।
অর্থাৎ শিশুর সার্বিক বিকাশে খেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Neer Daycare
ধানমন্ডি ১৩ (পুরাতন ৩০)
ঢাকা