Raqi Zakaria Tamim

Raqi Zakaria Tamim Raqi Zakaria Tamim

আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সমন্বয়ে রাসূল (সাঃ) এর চিকিৎসা বিজ্ঞানকে পুনরুজ্জীবিত করা।

রুকইয়াহ বিষয়ে জানতে এবং পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন 01742835639 এই নাম্বারে।

সুন্নাহ সম্মত চিকিৎসা প্রচার করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

27/11/2025

মাথার চুল প্রচুর পরিমাণে ঝরে পড়া,

খাওয়ানো বা পান করানো যাদুর অন্যতম শক্তিশালী লক্ষণ ।

25/11/2025

আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজের উত্তর দিতে পারি নাই। দয়া করে আপনারা আমাকে পুনরায় মেসেজ করুন।

‘জিন বশ করা’ ও ‘জিনের সাহায্য নেওয়া’: আমরা কোন কবিরাজ ও মুদাব্বিরদেরকে ভণ্ড ও প্রতারক বলি?সম্প্রতি অনেক দ্বীনি ভাই আমাদে...
17/11/2025

‘জিন বশ করা’ ও ‘জিনের সাহায্য নেওয়া’: আমরা কোন কবিরাজ ও মুদাব্বিরদেরকে ভণ্ড ও প্রতারক বলি?

সম্প্রতি অনেক দ্বীনি ভাই আমাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে প্রশ্ন করেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, আমরা কেন ‘মুদাব্বির’, ‘কবিরাজ’ বা ‘জিন হুজুর’ নামধারীদের ব্যাপারে ঢালাওভাবে কথা বলছি। আপনাদের এই গঠনমূলক প্রশ্নের জবাবে, আজ আমরা বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।

আমরা লক্ষ্য করেছি, বাংলাদেশের অধিকাংশ কবিরাজ ও মুদাব্বির নিজেদেরকে হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। একারণেই, আজ আমরা অন্য কোনো মাযহাব বা মতাদর্শের আলোকে নয়, বরং সরাসরি হানাফী মাযহাবের বিশ্ববরেণ্য ও স্তম্ভস্বরূপ ইমামগণের অকাট্য বক্তব্যের আলোকেই বিষয়টি বিশ্লেষণ করব।

এর আরেকটি কারণ হলো, অনেক সময় হক কথা সামনে এলে, কিছু ব্যক্তি প্রতিপক্ষকে ‘আহলে হাদিস’ বা অন্য কোনো ট্যাগ লাগিয়ে মূল আলোচনাকে এড়িয়ে যেতে চায় এবং সত্যকে উপেক্ষা করার সুযোগ খোঁজে। আমরা সেই দরজাটিও সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিতে চাই।

আজ আমরা পরিষ্কার করব, আমরা মূলত কোন ধরনের ব্যক্তিদের কথা বলছি, তারা কারা, কেন তাদের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করা জায়েজ নয় এবং কেনই বা তারা হানাফী মাযহাবের ইমামদের দৃষ্টিতেই ভণ্ড ও প্রতারক।

প্রথম প্রশ্ন: ‘জিন বশ করার’ (تَسْخِيرُ الْجِنِّ) দাবিদারদের নিকট চিকিৎসা নেওয়া কি জায়েজ?

আমাদের জবাব: না, এটি সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ ও হারাম।

দলিল: আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ.) ইমাম খাত্তাবী (রহ.)-এর সূত্রে দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন:

وَمَا نُهِيَ عَنْهُ وَهُوَ رُقْيَةُ العَزَّامِينَ وَمَنْ يَدَّعِي تَسْخِيرَ الجِنِّ.
“(যে সকল রুকইয়াহ) নিষিদ্ধ (হারাম) করা হয়েছে, তা হলো— (কুফর-শিরকযুক্ত) মন্ত্র পাঠকারী ব্যক্তির রুকইয়াহ এবং যে ব্যক্তি জিন বশীভূতকরণ (تَسْخِيرَ الْجِنِّ) বা অধীনস্থকরণের দাবী করে তার রুকইয়াহ।”
(উমদাতুল ক্বারী: ২১/৩৯৪)

এই বক্তব্য থেকে যা সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়:

১. ‘وَمَنْ يَدَّعِي تَسْخِيرَ الجِنِّ’ (এবং যে ব্যক্তি জিন বশীভূতকরণের দাবী করে):
আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহ.)-এর এই কথাটি সকল বিতর্কের অবসান ঘটায়। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, যে ব্যক্তিই দাবি করবে যে সে জিনকে বশ করে, নিয়ন্ত্রণ করে বা নিজের অধীনস্থ করে কাজ করায়—তার রুকইয়াহ বা চিকিৎসা পদ্ধতি নিষিদ্ধ ও হারাম।

২. সুলাইমান (আঃ)-এর বিশেষত্ব:
জিন বশ করার ক্ষমতা ছিল শুধুমাত্র নবী সুলাইমান (আঃ)-এর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিশেষ মু'জিযা। তিনি দোয়া করেছিলেন: "হে আমার রব... আমাকে এমন এক রাজত্ব দান করুন, যা আমার পরে আর কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না।" (সূরা সোয়াদ: ৩৫)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে যখন সালাতের মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী এক ইফরিত শয়তানকে ধরে ফেলেছিলেন, তখন তিনি তাকে বেঁধে রাখতে গিয়ে সুলাইমান (আঃ)-এর এই দোয়ার কথা স্মরণ করেন এবং তাকে ছেড়ে দেন (সহীহ বুখারী)। এই ঘটনা প্রমাণ করে, জিনকে অধীনস্থ করার দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে গেছে।

৩. আমাদের চূড়ান্ত বক্তব্য:
সুতরাং, যে ব্যক্তিই—চাই সে যত বড় মুফতি, মাওলানা বা মুহাদ্দিস হোক না কেন—জিনকে বশ করার বা নিজের অধীন করার দাবি করবে এবং অন্যকে জিন বশ করার তদবির শিক্ষা দিবে, সে কার্যত নিজেকে নবুয়তের একটি বৈশিষ্ট্যের অংশীদার বলে দাবি করছে, যা একটি ভয়ংকর মিথ্যাচার। আর এ কারণে সে একজন মিথ্যাবাদী ও প্রতারক। তার কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করা মানে এমন এক ব্যক্তির নিকট চিকিৎসা সেবা নেওয়া, যার চিকিৎসা পদ্ধতির ভিত্তিটাই মূলত একটি মিথ্যা ও ভন্ডামিপূর্ণ দাবির উপর দাঁড়িয়ে আছে ।

দ্বিতীয় প্রশ্ন: ‘ভালো অথবা মুমিন, মুসলমান জিনের সাহায্য’ নিয়ে চিকিৎসা করা কি জায়েজ?

আমাদের জবাব: না, এটিও সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ ও হারাম।

দলিল: আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহ.) ‘বাতিল রুকইয়াহ’ বা অবৈধ ঝাড়ফুঁকের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন:
..مَنْ يَأْكُلُ بِرُقْيَةٍ بَاطِلٍ كَذِكْرِ الْكَوَاكِبِ وَالِاسْتِعَانَةِ بِهَا وَبِالْجِنِّ.
“...মানুষের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে বাতিল রুকইয়ার মাধ্যমে উপার্জন করে; যেমন তারকাদের নাম উল্লেখ করা এবং সেগুলোর ও জিনের সাহায্য নেওয়া।”

এই বক্তব্য থেকে যা সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয়:

১. ‘وَالِاسْتِعَانَةِ... بِالْجِنِّ’ (এবং জিনের সাহায্য নেওয়া):
ইমাম মোল্লা আলী কারী (রহ.) এখানে কোনো প্রকার রাখঢাক ছাড়াই বলেছেন, জিনের সাহায্য নেওয়া (ইস্তি'আনাহ বিল জিন) বাতিল রুকইয়াহর অন্তর্ভুক্ত। তিনি এখানে ‘ভালো জিন’ বা ‘খারাপ জিন’—কোনো প্রকার পার্থক্য করেননি। তিনি সাধারণভাবে ‘আল-জিন’ (الجن) শব্দটি ব্যবহার করেছেন, যা সকল প্রকার জিনকেই অন্তর্ভুক্ত করে।

২. কেন জিনের সাহায্য নেওয়া হারাম?

প্রতারণার দরজা উন্মুক্তকরণ:
কোনো জিন এসে যদি নিজেকে ‘ভালো অথবা মুমিন মুসলমান’ বলে দাবি করে, তবে তা স্বচক্ষে দেখে, এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বিশ্বাস করার কোনো উপায় আমাদের কাছে নেই। শয়তান জিনেরা স্বভাবগতভাবেই মিথ্যুক ও প্রতারক। শয়তান খুব সহজেই একজন ‘ভালো জিনের’ বেশ ধরে এসে একজন আলেম বা সাধারণ মানুষকে শিরকের পথে নিয়ে যেতে পারে।

এর সবচেয়ে বড় দলিল হলো আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত যাকাতের মাল পাহারা দেওয়ার বিখ্যাত হাদিসটি। সেখানে শয়তান একজন অত্যন্ত দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তির রূপ ধরে এসে আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর দয়ার সুযোগ নিয়ে পরপর দুইবার চুরি করতে এসে ধরা পড়ে এবং মিথ্যা বলে ছাড়া পায়। তৃতীয়বার ধরা পড়ার পর সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ‘আয়াতুল কুরসি’ পাঠ করার ফযিলত শিখিয়ে দেয়। যদিও তার শেখানো কথাটি (আয়াতুল কুরসির ফযিলত) সত্য ছিলযা রাসূল (ﷺ) সত্যায়ন করেছিলেন , রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:

«أَمَا إِنَّهُ قَدْ صَدَقَكَ وَهُوَ كَذُوبٌ، تَعْلَمُ مَنْ تُخَاطِبُ مُنْذُ ثَلاَثِ لَيَالٍ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ؟» قَالَ: لاَ. قَالَ: «ذَاكَ شَيْطَانٌ»
“জেনে রেখো, সে তোমাকে সত্য বলেছে, যদিও সে চরম মিথ্যুক। হে আবু হুরায়রা, তুমি কি জানো, তিন রাত ধরে তুমি কার সাথে কথা বলছিলে?” আবু হুরায়রা (রাঃ) বললেন, ‘না’। তিনি বললেন, “সে ছিল শয়তান।”
(সহীহ বুখারী)

এবার আসুন মূল প্রশ্নে, যা সকল ভণ্ডামির মুখোশ খুলে দেবে:
একবার ভাবুন, আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর মতো একজন মহান সাহাবীও শয়তানের পাতা ফাঁদে প্রায় পড়েই গিয়েছিলেন। শয়তান যখন একজন অসহায় মানুষের রূপ ধরে এসে ‘আয়াতুল কুরসি’র ফযিলতের মতো একটি সত্য কথা শেখালো, তখন তিনিও ধোঁকা খেয়ে গিয়েছিলেন। যদি না স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওহীর মাধ্যমে তাকে সতর্ক করে দিতেন, তাহলে তিনিও হয়তো সেই শয়তানকে একজন ভালো মানুষই ভেবে নিতেন।
চিন্তার বিষয় হলো: এখন তো রাসূল (ﷺ) নেই, ওহীর দরজাও বন্ধ।
তাহলে আজকের এই ‘মুদাব্বির’ ও ‘কবিরাজরা’ কোন ক্ষমতাবলে এত নিশ্চিত হয়ে যান যে, তাদের সাহায্যকারী জিনটি আসলেই একজন ‘ভালো মুসলিম’? কে তাদের কাছে এসে এই অদৃশ্য জগতের বাসিন্দাদের চরিত্র সম্পর্কে রিপোর্ট দিয়ে যায়? জিনদেরকে ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ হিসেবে আলাদা করার এই বিশেষ ‘ওহী’ তারা কোথা থেকে পায়?

সালাফদের কর্মপন্থা:
রাসূল (ﷺ), সাহাবায়ে কেরাম বা কোনো তাবেঈ কখনো চিকিৎসার জন্য জিনের সাহায্য নিয়েছেন—এমন কোনো সহীহ দলিল নেই। বরং, তারা আল্লাহর কালাম ও দোয়া তথা রুকইয়াহ শারইয়াহর মাধ্যমেই জিনের আছর ,জাদুগ্রস্থ হওয়া, বদনজর ও হিংসার শিকার হওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট এ সকল অদৃশ্য রোগ ও সমস্যার চিকিৎসা করেছেন।

অদৃশ্য শক্তির উপর নির্ভরশীলতার ভয়াবহ পরিণতি:
জিনের মতো অদৃশ্য শক্তির উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণেই আজ কিছু ‘মুদাব্বির’ ও ‘কবিরাজ’ প্রকাশ্যে বলার দুঃসাহস দেখাচ্ছে যে, শুধুমাত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে রুকইয়াহ শারইয়াহর মাধ্যমে নাকি সুস্থ হওয়া যায় না! (নাউযুবিল্লাহ)। তাদের মতে, পূর্ণাঙ্গ সুস্থতা পেতে হলে এমন কবিরাজদের কাছেই যেতে হবে, যারা জিন জবাই করতে পারে, বোতলে বন্দী করতে পারে বা তাবিজ-কবজ দিতে পারে! দেখুন, জিনের সাহায্য নেওয়ার এই দরজা কীভাবে মানুষকে আল্লাহর কালামের উপরই অবিশ্বাসী করে তুলেছে!

৩. আমাদের চূড়ান্ত বক্তব্য:
সুতরাং, যে ব্যক্তি দাবি করে যে সে "ভালো অথবা মুমিন মুসলমান জিনের" সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করে, সে আল্লামা মোল্লা আলী কারী (রহ.)-এর ফতোয়া অনুযায়ী একটি বাতিল ও অবৈধ পন্থার অনুসরণ করছে। তার কাছে চিকিৎসা গ্রহণ করা মানে একটি বাতিল পদ্ধতিতে নিজেকে সঁপে দেওয়া, যা শরীয়তে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

হানাফী মাযহাবের এই দুজন মহান ইমামের বক্তব্য থেকে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়েছে যে, নিম্নোক্ত দুটি কাজ সম্পূর্ণরূপে হারাম ও বাতিল:

১. জিনকে বশ করার (تَسْخِيرُ الْجِنِّ) মিথ্যা দাবি করা।
২. মুমিন, মুসলমান ‘ভালো’ বা ‘খারাপ’—যেকোনো প্রকার জিনের সাহায্য (الِاسْتِعَانَةُ بِالْجِنِّ) নেওয়া।

সুতরাং, যদি কোনো ‘মুদাব্বির’, ‘কবিরাজ’ বা ‘জিন হুজুরের’ মধ্যে এই দুটি বিষয়ের কোনো একটিও পাওয়া যায়, তবে হানাফী মাযহাবের এই মহান ইমামগণের ফতোয়া অনুসারেই তাদের নিকট থেকে চিকিৎসা নেওয়া সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ এবং হারাম। এবং তারাই হলো সুস্পষ্টভাবে ভণ্ড ও প্রতারক।
এখন চাই সেই কবিরাজ বা মুদাব্বির যত বড়ই হাফেজ, মাওলানা, মুফতি ও মুহাদ্দিস হোক না কেন, তাতে কিছুই যায় আসে না। কারণ, ব্যক্তির পদবি বা লেবাস নয়, বরং কোরআন-সুন্নাহ এবং সালাফদের মূলনীতিই হলো হক ও বাতিলের চূড়ান্ত মাপকাঠি।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই সুস্পষ্ট মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে সত্যকে চেনার এবং সকল প্রকার প্রতারণা থেকে নিজেদের ঈমানকে হেফাজত করার তাওফিক দিন। আমীন।

লেখা : আব্দুল মালেক ভাই

15/11/2025

বিবাহিত মেয়েদের শ্বশুর বাড়িতে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসা বিচ্ছেদের যাদুতে আক্রান্ত হওয়া,
-- অন্যতম আলামত

08/11/2025
07/11/2025

🖊️অনেকের ধারণা যাদু বদনজরে আক্রান্ত হলেই অসুস্থ হয়ে যাবেন। বিষয়টি এমন নয়।

যাদু বদনজরের ফলে অসুস্থতা —এটা অসংখ্য ধরণের মাঝে একটি ধরণ মাত্র।

যাদুর মূল লক্ষণ হচ্ছে একটি খাচা বা বলয়ে আটকে যাওয়া। এই খাচায় আপনার চিন্তা, ইচ্ছাশক্তি, শারীরিক মানসিক সামর্থ্য বুদ্ধিমত্তা সব আটকে যাবে। ইল্লা মা শা আল্লাহ।

ধরুন একজন ব্যবসায়ীকে ধ্বংসের যাদু করা হলো। সেক্ষেত্রে তিনি প্রথমে স্বাধীন চিন্তা করার শক্তি হারাবেন। গভিরে ভাবতেই পারবেন না, অন্যমনস্কতা অস্থিরতা বাড়বে। বেশি ভাবতে গেলে মাথা ব্ল্যাংক ফিল হবে, ধরে আসবে। স্ট্রেসড লাগবে।

কোনো একটি পয়েন্ট নিয়ে সময় নিয়ে স্থিরতার সাথে ক্যালকুলেটিভলি অনেক দূর চিন্তা করতে পারা, কল্পনা করতে পারা —এই বিচক্ষনতা ও দুরদর্শী চিন্তার সক্ষমতা হারাবেন তিনি।

অর্থাৎ আপনার স্বাভাবিক চিন্তার ক্ষমতাকে প্রথমে লক করা হলো।

এরপর ব্যবসায়ীর চিন্তায় অতিরিক্ত তাড়াহুড়া প্রবনতা ও অতিরিক্ত ধীরতা চলে আসবে। ফলে তিনি হয় তাড়াহুড়ায় ভুল সিদ্ধান্ত নিবেন নয়তো অতি ধীরতার কারণে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নই করতে পারবেন না।

তার মাথায় প্রচুর চিন্তা আসতে থাকবে যেগুলোকে গভিরভাবে চুলচেরা বিশ্লেষন করার সক্ষমতা তার নেই। এসকল সিদ্ধান্তের প্রতি তার ঝোক, আগ্রহ, ভালোবাসা তুঙ্গে থাকবে। এবং এর ফলে তিনি প্রতিবার ডুবতে থাকবেন ধীরে ধীরে।

অনেকের ক্ষেত্রে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে সব ঠিক থাকার পরও অজানা কারণে সব ভেস্তে যাবে।

এতোকিছু অতিক্রম করে পিয়ার প্রেশারে ব্যবসায়ী সব এগিয়ে নিয়ে গেলে তখন ফিল করবেন যে, কাজ করতে মনেই চাচ্ছেনা। কে যেনো হাত পা সব আটকে রেখেছে। কাজে মনই বসছেনা, একটুতেই অস্থির লাগছে, স্ট্রেস বেড়ে যাচ্ছে, বিরক্তি মেজাজ চড়ে যাচ্ছে। যেখানে যা আচরণ করা দরকার, যে ধরনের লীডারশীপ আচরণ ও প্রডাক্টিভিটি দরকার তা আসছে না। নিজের প্ল্যানের সাথে হাত, পা, শরীর, মন সব বিদ্রোহ করে বসেছে।

এতোকিছুর সাথে যুদ্ধ করে ব্যবসায়ী যখন কাজ এগিয়ে নিতে যাবেন তখন শরীর অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে যাবে।

এটাকেও কোনোভাবে ওভারকাম করে কাজ এগিয়ে নিতে গেলে শুরু হবে ঘরের অশান্তি আর একের পর এক অসুস্থতার পেছনে খরচ। ফলে তিনি নিজের বাকি সব সামলাতে গিয়ে পুরো ব্যবসা ইনকাম হারাবেন।

আর এ—সবের পেছনে কাজ করবে শরীরের ভেতরে থাকা যাদুর খাদেম জ্বীন।

এই একই জিনিস ঘটে বিচ্ছেদের যাদু, মেরে ফেলার যাদুসহ বড় বড় ক্যাটাগরির যাদুগুলোর ক্ষেত্রে। রোগী টের পাওয়ার আগেই পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।

প্রোপার কাউন্সেলিং, রুকইয়াহ ও মোটিভেশন ছাড়া যাদুর শেকল ভেঙে মুক্ত হয়ে আসা আসলেই কঠিন।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন জ্বীন যাদুর ক্ষতি থেকে।

যারা আক্রান্ত তাদের কে সুস্থ করে দিন ইয়া রব।

লিখা: আব্দুল্লাহ্ ফাহাদ ভাই।

03/11/2025

আপনি যদি জিন জাদুর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে চান অবশ্যই কোরআন অর্থ সহ পড়েন। এতে আপনার ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

01/11/2025

কোরআন তেলাওয়াত করতে গেলে ঘুম ঘুম ভাব আসা, তন্দ্রা আসা,ঝিমানো,

''বদ নজরে আক্রান্ত হওয়ার'' লক্ষণ।

31/10/2025

জ্বীন-যাদুর সমস্যা ডায়াগনসিসে করে বোঝার পর, অধিকাংশ পেশেন্টদের ক্ষেত্রে একটা কমন সমস্যা হচ্ছে সেল্ফ রুকইয়াহ করতে না পারা, রুকইয়াহ করতে গেলে অত্যাধিক বাঁধা অনুভব করা। এরকম কেইসে জ্বীন শয়তান সাধারণত পেশেন্টকে অনেক তা'তিল/বাঁধা, দিতে থাকে ও পেশেন্টের শরীর জুড়ে হুসুন তৈরি করতে থাকে যেন পেশেন্ট দ্রুত সুস্থ না হতে পারে।

কিন্তু দীর্ঘসময় টানা রুকইয়াহ করা হলে এই ধরনের তা'তিল/বাধা ও হুসুন নষ্ট হয় । ফলে পেশেন্টের সেলফ রুকইয়াহ করতে কষ্ট অনুভব হয় না।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তৌফিক দান করুন সঠিক উপায়ে চিকিৎসা করার।

29/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ ওমরাহ সফর শেষে দেশে ফিরে আসলাম, যদিও মন এখনো বায়তুল্লাহ শরীফে,
আল্লাহ তাআলা সবাইকে তার ঘরে যাওয়ার তৌফিক দান করুন।

25/10/2025

আল্লাহর ঘর এক শান্তির জায়গা,যে শান্তি পৃথিবীর অন্য কোথাও পাওয়া যায় না।

゚ ゚シ゚

24/10/2025

আলহামদুলিল্লাহ যারা দোয়া চেয়েছেন আমার পেশেন্ট দের ভিতরে সবার জন্যই দোয়া করা হয়েছে বায়তুল্লাহকে সামনে রেখে।

Address

Keraniganj , Kadomtoli, Chunkutia
Dhaka
1310

Telephone

+8801881219976

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Zakaria Tamim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Raqi Zakaria Tamim:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram