27/12/2024
ফিজিওথেরাপি (Physiotherapy) হলো চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি শাখা যেখানে ব্যথা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা হ্রাস বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিশেষ কিছু শারীরিক কৌশল এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়। এটি বিশেষত অস্থি, মাংসপেশি, স্নায়ু ও জয়েন্ট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে কার্যকর।
ফিজিওথেরাপির প্রধান উদ্দেশ্য:
1. ব্যথা কমানো।
2. অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার।
3. পেশির শক্তি বৃদ্ধি।
4. রোগীর দৈনন্দিন কাজের সক্ষমতা উন্নত করা।
5. অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পুনর্বাসন।
---
ফিজিওথেরাপি কখন প্রয়োজন?
1. অস্থি ও জয়েন্টের সমস্যা: আর্থ্রাইটিস, স্পন্ডিলাইটিস, ফ্রোজেন শোল্ডার।
2. ব্যথা: কোমর ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা।
3. স্নায়ুজনিত সমস্যা: স্ট্রোকের পর পুনর্বাসন, সেরিব্রাল পালসি, প্যারালাইসিস।
4. অস্ত্রোপচারের পরে পুনর্বাসন: জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট, ফ্র্যাকচার।
5. ক্রীড়াজনিত আঘাত: স্পোর্টস ইনজুরি, মাংসপেশির টান।
---
ফিজিওথেরাপির পদ্ধতি:
1. ম্যানুয়াল থেরাপি: হালকা ম্যাসাজ, জয়েন্ট ম্যানিপুলেশন।
2. ইলেক্ট্রোথেরাপি: আল্ট্রাসাউন্ড, টেনস, ইন্টারফেরেনশিয়াল থেরাপি।
3. ব্যায়াম: রোগীর উপযোগী শারীরিক অনুশীলন।
4. হাইড্রোথেরাপি: পানিতে বিভিন্ন ব্যায়াম করা।
5. থার্মোথেরাপি: হিট বা ঠাণ্ডা থেরাপি।
---
একজন ফিজিওথেরাপিস্টের ভূমিকা:
রোগীর অবস্থা নির্ণয়।
সমস্যার ধরন অনুযায়ী সঠিক থেরাপি নির্ধারণ।
রোগীর উন্নতির পর্যবেক্ষণ ও থেরাপি পরিবর্তন।
---
ফিজিওথেরাপির সুবিধা:
ড্রাগমুক্ত চিকিৎসা।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম।
সুস্থ হওয়ার সময় কমিয়ে আনে।
ব্যথা কমানোর পাশাপাশি স্থায়ী সমাধান দেয়।
আপনার যদি বিশেষ কোনো সমস্যার জন্য ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয়, তাহলে একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।