Pregnancy and Child Care

Pregnancy and Child Care Pregnant Mother and Child care. Help for many problem Solution
(2)

সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয়গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি ও হরমোনের পরিবর্তনের ফলে অনেক নারী কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হন। ...
26/10/2025

সিজারের পর কোমর ব্যথার কারণ ও করণীয়

গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি ও হরমোনের পরিবর্তনের ফলে অনেক নারী কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হন। যদিও অনেকে গর্ভধারণের আগে থেকেই এ বিষয়ে সচেতন থাকেন, কিন্তু সি-সেকশনের পরের প্রসবোত্তর কোমর ব্যথা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। এ প্রসঙ্গে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। সন্তান জন্মদানের পর, অনেক মায়েরাই কোমর ব্যথায় কষ্ট পান। এই ব্যথা প্রসবের কয়েক ঘণ্টা পর শুরু হয়ে বেশ কিছু সপ্তাহ বা মাস ধরে থাকতে পারে। কোমর ব্যথা বিভিন্ন কারণ ও তার প্রতিকার

Table of Contents hide
1 সিজারিয়ান সেকশনের পর কোমর ব্যথা হবার কারণ?
1.1 হরমোনগত পরিবর্তন
1.2 ওজন বৃদ্ধি
1.3 বাচ্চাকে কোলে নেওয়া
1.4 বুকের দুধ খাওয়ানো
1.5 এনেস্থেশিয়ার প্রভাব
2 কোমরের ব্যথা কেন হয়
3 সিজারের পর কোমর ব্যথায় আপনি কি করতে পারেন?
3.1 আপনার বাচ্চাকে কোলে তোলার সময় ঝুঁকবেন না
3.2 স্তন্যপানের সময় আপনার পিঠ সোজা রাখুন
3.3 গরম পানিতে গোসল করুন
3.4 বিশ্রাম নিন
3.5 হালকা ব্যায়াম শুরু করুন
4 তথ্যসূত্র
সিজারিয়ান সেকশনের পর কোমর ব্যথা হবার কারণ?
হরমোনগত পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় কেবল পেটের আকার বৃদ্ধি পায় এমনটি নয়, বরং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিবর্তনও ঘটে যা প্রসবের পর কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় শরীর প্রসব প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে রিলাক্সিন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা জয়েন্ট ও লিগামেন্টগুলিকে নমনীয় করে তোলে। এই হরমোন শরীরে নিঃসৃত হওয়ার ফলে, মাংশপেশি ও জয়েন্টের উপরের চাপ বৃদ্ধি পায়, যার ফলে কোমর ব্যথার সৃষ্টি হয় । সুখবর হল, সন্তান জন্মানোর পরের কয়েক মাসে, জয়েন্ট ও লিগামেন্টগুলি আবার স্বাভাবিক শক্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে পায়। প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

ওজন বৃদ্ধি
সিজারিয়ান সেকশনের পর প্রায়ই কোমর ব্যথার সমস্যা দেখা যায়, যার মূল কারণ হল গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি। গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক, কারণ আপনার শরীরে একটি নতুন প্রাণের বিকাশ ঘটে। এই বাড়তি ওজন ভারসাম্যের কেন্দ্রবিন্দুকে স্থানান্তরিত করে যার দরুণ মেরুদণ্ড ও কোমরে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে কোমরে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।

বাচ্চাকে কোলে নেওয়া
আপনার সন্তানের ওজন যদিও শুধুমাত্র ছয় থেকে সাত পাউন্ড হতে পারে, এটি আপনার শরীরের জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝা যা আপনাকে প্রতিদিন বহন করতে হচ্ছে। বাচ্চাকে বিছানা থেকে তুলে নেওয়া বা কোলে নেওয়ার সময় আপনাকে বারবার ঝুঁকতে হয়, যা আপনার মেরুদণ্ড ও কোমরে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ কোমরে ব্যথা সৃষ্টির একটি প্রধান কারণ হতে পারে ।

বুকের দুধ খাওয়ানো
দীর্ঘ সময় ধরে স্তন্যপান করানোর ফলে ঘাড়ের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা ক্রমান্বয়ে ঘাড়ে ব্যথা উৎপন্ন করে। এই ব্যথা ধাপে ধাপে ঘাড় থেকে কোমরে প্রসারিত হতে পারে, যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রে “রেডিয়েটিং পেইন” বলা হয়। স্তন্যপানের সময় পজিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যদি আপনি অনুপযুক্ত অবস্থানে থাকেন, বিশেষত যদি আপনার কাঁধ শিশুর দিকে অতিরিক্ত ঝুঁকে থাকে, তাহলে এটি কোমরে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।

এনেস্থেশিয়ার প্রভাব
সি-সেকশন অপারেশনের আগে প্রদান করা এনেস্থেশিয়ার প্রকার এবং প্রয়োগের পদ্ধতি অনুযায়ী প্রসবের পরে কোমর ব্যথার সম্ভাবনা বিবেচিত হয়। সাধারণত, এপিডুরাল অথবা স্পাইনাল ব্লক এনেস্থেশিয়া প্রয়োগের দুটি প্রধান পদ্ধতি। এপিডুরাল এনেস্থেশিয়া ক্ষেত্রে, চিকিৎসক মেরুদণ্ডের চারপাশে এনেস্থেটিক ওষুধ ইঞ্জেক্ট করেন, অপরদিকে স্পাইনাল ব্লকে, মেরুদণ্ডের খুব কাছে ওষুধ ইঞ্জেক্ট করা হয় যা দ্রুত কাজ করে। এপিডুরালে অনুভূতি নাশক ওষুধের প্রভাব আসতে ২০ মিনিট প্রায় সময় নেয়।

কোমরের ব্যথা কেন হয়
এই এনেস্থেশিয়া পদ্ধতিগুলি অপারেশনের ধরণকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এগুলির ব্যবহারের পরে মেরুদণ্ডের কাছাকাছি মাংশপেশি স্পাজম বা শক্ত হয়ে যেতে পারে, যা প্রসবের পর কোমর ব্যথার একটি সম্ভাব্য কারণ। এই মাংশপেশির অস্বাভাবিকতা কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস ধরে ব্যাথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ হঠাৎ কোমর ব্যথা শুরু হলে কি করবেন?

সিজারের পর কোমর ব্যথায় আপনি কি করতে পারেন?
সিজারিয়ান সেকশনের পর কোমর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারেন:

আপনার বাচ্চাকে কোলে তোলার সময় ঝুঁকবেন না
বাচ্চাকে কোলে নেওয়ার সময় নিজেকে অযথা ঝুঁকাবেন না। নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং কোলে উত্তোলনের সময় হাঁটু বাঁকানোর মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগ করুন। বাচ্চাকে নামানোর সময়ও একই নিয়ম মেনে চলুন।

স্তন্যপানের সময় আপনার পিঠ সোজা রাখুন
স্তন্যপানের সময় আপনার মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং আরামদায়ক চেয়ার বা সফা ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে, বাচ্চার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য বালিশ ব্যবহার করুন যাতে আপনাকে ঝুঁকতে না হয়।

গরম পানিতে গোসল করুন
গরম পানির স্নান মাংশপেশির টান এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য আরামদায়ক হতে পারে, কারণ গরম পানি রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং পেশীগুলিকে শিথিল করে, ফলে প্রদাহ এবং ব্যথা উভয়ই হ্রাস পায়। যদিও সি-সেকশন একটি বড় ধরণের অস্ত্রোপচার, ডাক্তারের অনুমোদন ছাড়া গোসল করা উচিত নয়। তবে, কোমরের যন্ত্রণা হ্রাস করার জন্য হিটিং প্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে, কিন্তু সার্জারির অংশে সরাসরি তাপ প্রয়োগ এড়িয়ে চলা উচিত।

বিশ্রাম নিন
সি-সেকশনের পরে অতিরিক্ত চলাফেরা আপনার কোমরের ব্যথাকে বৃদ্ধি করতে পারে। সেই কারণে, নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং যথেষ্ট বিশ্রাম নিশ্চিত করা জরুরি। সম্ভব হলে, সুযোগ পেলেই কিছু সময় ঘুমানোর চেষ্টা করুন কারণ ঘুমের সময় আপনার শরীর সেরে উঠার ও নিজেকে পুনর্নির্মাণের কাজ করে। একজন নতুন মা হিসেবে, বাচ্চার যত্নে ব্যস্ত থাকার ফলে অনেক সময় পর্যাপ্ত ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে, তবে ঘুমের প্রতি নজর দেওয়া আপনার নিজের সেরে ওঠার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।

হালকা ব্যায়াম শুরু করুন
প্রসবোত্তর সময়ে সক্রিয় থাকা কোমর ও পেটের পেশিগুলিকে সুস্থ রাখতে এবং ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করে। যোগ ব্যায়াম, পিলাটিস বা হালকা হাঁটা এই প্রক্রিয়ায় বিশেষভাবে কার্যকরী। এখানে আপনাদের কিছু সহজ ব্যায়াম সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছি যা বাড়িতে অনায়াসে করা যায়।

বেলি ব্রিদিংঃ বেলি ব্রিদিং হচ্ছে একটি চমৎকার শিথিলকরণ কৌশল যা আপনার কোর পেশি গুলিকে আবার কার্যকরী করে তোলে।

প্রথমে একটি আরামদায়ক জায়গায় শুয়ে পড়ুন।
হাত পেটের উপর রাখুন এবং শরীর শিথিল করুন।
নাক দিয়ে গভীর শ্বাস নিন, পেটের প্রসারিত হওয়া অনুভব করুন।
মুখ দিয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন, নাভি মেরুদণ্ডের দিকে টানুন এবং পেটের পেশিগুলো সঙ্কুচিত করুন। ৩ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
প্রতিদিন তিনবার, প্রতিবার ৫ থেকে ১০ বার অনুশীলন করুন।
সিটেড কেগেল এক্সারসাইজঃ গবেষণা বলছে, প্রসবোত্তর অবস্থায় পেলভিক ফ্লোর পেশীকে সজীব রাখার জন্য কেগেল এক্সারসাইজ দারুণ উপকারী। সিজারিয়ান সেকশনের পর ইউরিনারি ক্যাথেটার থাকলে, ক্যাথেটার সরানোর পর এই ব্যায়ামটি আরম্ভ করুন ।

প্রথমে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন, পা মাটিতে রেখে।
পেলভিক ফ্লোর পেশীগুলোকে সংকুচিত করুন যেন আপনি প্রস্রাব থামাচ্ছেন এমন ভাব।
সংকোচন যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখুন, শুরুতে ৫ সেকেন্ড থেকে শুরু করে সময়কাল ধীরে ধীরে বাড়ান।
গভীর শ্বাস নিয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন এবং পেশীগুলো শিথিল করুন।
বসে, দাঁড়িয়ে বা শুয়ে কেগেল এক্সারসাইজ করুন। প্রতিবার ২ মিনিটের বিরতি নিয়ে ৮-১২ বার অনুশীলন করুন, দিনে দুইবার।
ওয়াল স্কোয়াটঃ ওয়াল স্কোয়াট এক্সারসাইজটি আপনার কোয়াড্রিসেপস, হ্যামস্ট্রিং, পেলভিক ফ্লোর, কোর এবং লোয়ার ব্যাকের মাসলগুলোকে একসাথে কাজ করতে সাহায্য করে।

প্রথমে দেয়ালের সাথে পিঠ দিয়ে দাঁড়ান, দেয়াল থেকে ১-২ ফুট দূরে।
তারপর দেয়ালের দিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকুন এবং বসার ভঙ্গিতে নেমে আসুন, যাতে আপনার কোমর ও হাঁটু ৯০ ডিগ্রী কোণে থাকে।
গভীর শ্বাস নিয়ে, শ্বাস ছেড়ে দিন এবং এই সময় পেটের পেশিগুলোকে সংকুচিত করুন।
এই অবস্থায় কেগেল এক্সারসাইজ করার চিন্তা করতে পারেন।
যতক্ষণ সম্ভব অবস্থান ধরে রাখুন, তারপর ১ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিন। এটি ৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
আপনার শারীরিক গঠন এবং অবস্থানুযায়ী, কোমর ব্যথার চিকিৎসায় একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্ট বিভিন্ন পদ্ধতিতে সাহায্য করতে পারেন। তাই যদি সিজারিয়ান সেকশনের পর কোমর ব্যথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন তবে দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিন।

শিশুকে কৃমি থেকে রক্ষা করবেন যেভাবে
25/10/2025

শিশুকে কৃমি থেকে রক্ষা করবেন যেভাবে

শুভ দুপুর
25/10/2025

শুভ দুপুর

নবজাতকের পরিচর্যা
25/10/2025

নবজাতকের পরিচর্যা

সিজারিয়ান অপারেশনের দীর্ঘদিন পরও সেলাইয়ে ব্যথা করছে, কী করব?লেখা: ডা. সুমাইয়া বি. জাহানসন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক নারী...
25/10/2025

সিজারিয়ান অপারেশনের দীর্ঘদিন পরও সেলাইয়ে ব্যথা করছে, কী করব?
লেখা: ডা. সুমাইয়া বি. জাহান

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে অনেক নারীকেই সিজারিয়ান করাতে হয়। এমনিতে এটি খুব জটিল অস্ত্রোপচার নয়, কিন্তু এই সিজারিয়ানের কারণে পরে নারীরা কিছু অসুবিধা ভোগ করতে পারেন। সেলাইয়ে ব্যথা, সেই সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সিজারিয়ান অপারেশন সফলভাবে পরিচালনা করার দীর্ঘদিন পরও অনেকে ব্যথার অভিযোগ করে থাকেন।

এই ব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেসব কারণে অপারেশনের অনেক দিন পরও সেলাইয়ে ব্যথা থাকে।

১. স্নায়ুরোগ: অপারেশনের সময় কেটে যাওয়া স্নায়ু অস্বাভাবিকভাবে আরোগ্য লাভ করতে পারে, যা বছরের পর বছর ধরে তীব্র জ্বালাপোড়া বা ঝিনঝিন ব্যথার সূত্রপাত করে।

২. সেলাইয়ের মোটা স্তর: অভ্যন্তরীণ সেলাইয়ের স্তর অনেক সময় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ও মাংসপেশির সঙ্গে লেগে থাকে। ফলে অস্বস্তি, টান টান ভাব ও নড়াচড়ার সময় ব্যথা করে।

৩. সেলাইয়ের মোটা স্তর ও এন্ডোমেট্রিওসিস: যদি এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যু কোনোভাবে অভ্যন্তরীণ সেলাইয়ের স্তরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যায়, তবে তা মাসিকের সময়ে তীব্র ব্যথার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

৪. হার্নিয়া: যদি সেলাইয়ের জায়গার আশপাশে কোনো স্ফীত অংশ পাওয়া যায় ও সঙ্গে তীব্র ব্যথা থাকে, তাহলে তা হার্নিয়া।

৫. পেটের মাংসপেশির বিভাজন: পেটের মাংসপেশিতে দুর্বলতা বা বিভাজন হলে তা সেলাইয়ের জায়গায় অস্বস্তি ও টান টান অনুভূতি সৃষ্টি করে।

৬. অনিয়ম: অপারেশনের তাৎক্ষণিক পরে নিয়ম না মেনে যদি ভারী কাজ করা হয়, তাহলে সেলাইয়ের ব্যথা অনুভূত হয়, যা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়।

সমস্যাগুলো এড়াতে যা করতে পারি

১. ব্যথার জায়গা প্রসারিত করা: অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ও মাংসপেশির সংযোজনকে বিচ্ছিন্ন করে শারীরিক গতিবিধিকে উন্নত করতে হবে।

২. ব্যথার ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ এ ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।

৩. শরীরচর্চা: একজন দক্ষ প্রশিক্ষককে দিয়ে মাংসপেশির চর্চা করতে হবে। এতে সেলাইয়ের ব্যথা ও অঙ্গের সঙ্গে মাংসপেশি সংযোজন কমে আসবে।

৪. সাময়িক চিকিৎসা: স্নায়ু রোগ হলে ওই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

ব্যথা যদি তীব্র আকার ধারণ করে ও প্রাত্যহিক জীবনযাপনে ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে অবশ্যই কাছের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে চিকিৎসা নিতে হবে।

ডা. সুমাইয়া বি. জাহান, রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসার, গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড

শুভ রাত্রি
24/10/2025

শুভ রাত্রি

শুভ বিকেল
24/10/2025

শুভ বিকেল

শুভ সকাল
23/10/2025

শুভ সকাল

গর্ভধারণ সক্ষমতা বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল ঃ--------------------------------------------------গর্ভধারণের সঠিক ও কার্যকর উপায় ব...
22/10/2025

গর্ভধারণ সক্ষমতা বাড়ানোর কয়েকটি কৌশল ঃ
--------------------------------------------------

গর্ভধারণের সঠিক ও কার্যকর উপায় বলতে গেলে নানা রহস্যে ঘেরা। ফলে গর্ভধারণে সক্ষম নারীও অনেক সময় জটিলতায় ভুগতে পারেন। আবার খাদ্যাভ্যাসসহ কিছু শারীরিক কারণেও বিলম্বিত হতে পারে গর্ভধারণ। সবার আগে জানতে হবে নিজের শরীরকে। যত্ন নিতে হবে শরীরের। এ ছাড়া কিছু অভ্যাস মেনে চললে গর্ভধারণের জটিলতা অনেকটাই কমে আসতে পারে।

গর্ভধারণে আগ্রহী নারীর জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো নিজের শরীর, বিশেষত ঋতুচক্রকে জানা।

‘ঋতুচক্রের বিরতি কত দিনের সেটা সবার আগে জানা দরকার। এতে করে নারী তার যৌন মিলনের সময় নির্দিষ্ট করতে পারবেন ও গর্ভধারণের চেষ্টা চালাতে পারবেন।’

১. ঋতুচক্রের পুনরাবৃত্তির তথ্য সংরক্ষণ

সন্তান গ্রহণে ইচ্ছুক নারীর প্রতি মাসে তার পিরিয়ডের প্রথম দিনটির তারিখ লক্ষ রাখা উচিত। প্রতি মাসেই সমান দিনে পিরিয়ড শুরু হলে তা নিয়মিত বলে ধরে নেয়া হয়। তবে এর হেরফের হলে অনিয়মিত পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হয়। ক্যালেন্ডারে এ তথ্যের ভিত্তিতে নারীর ওভুলেশন কখন হচ্ছে, তা অনেকটা সঠিকভাবে অনুমান করা যায়। ওভুলেশন হচ্ছে নারীর ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম নিঃসরণ। ডিম্বাণু নির্গত হওয়ার পর সেটি ফেলোপিয়ান টিউবের নিচের দিকে চলে যায়, আর সেখানেই শুক্রাণু কোষ এই ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে।

২. ওভুলেশনের দিকে দৃষ্টি রাখা

‘সাধারণত পিরিয়ডের দুই সপ্তাহ আগে একজন নারীর ওভুলেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়। অবশ্য যাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্র ব্যাহত হয়, তাদের ওভুলেশনের সময় নির্ণয় করা বেশ কঠিন। তবে সাধারণত পরবর্তী পিরিয়ডের আগের ১২ থেকে ১৬ দিন আগে এটি ঘটতে পারে।’

ঋতুচক্রের দৈর্ঘ্য নারীভেদে আলাদা হতে পারে। সেই সঙ্গে নারীর রজঃশীল থাকার বছরগুলোর বিভিন্ন সময়ে ওভুলেশনের সময় ও দৈর্ঘ্যও বদলে যেতে পারে। এ কারণে ওভুলেশনের সময়কে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারলে নারীর গর্ভধারণ সহজ হয়।

৩. ফার্টাইল উইন্ডোর সময় বিকল্প দিনে যৌন মিলন

ফার্টিলিটি উইন্ডো (ডিম্বাণু নিগর্ত হওয়ার প্রস্তুতি ও নির্গত হওয়ার পরে কার্যকর থাকার সময়) সাধারণত ছয় দিনের। ওভুলেশনের দিন এবং এর আগের পাঁচ দিন। প্রতি মাসে একজন নারী এই সময়টাতেই জন্মদানে সবচেয়ে বেশি সক্ষম বা উর্বর থাকেন।

৪. দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

একজন নারীর ওজন তার গর্ভধারণের সামর্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত ওজন বা অনেক কম ওজন গর্ভধারণের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়। সাধারণ বডি মাস ইনডেক্সের (বিএমআই) একজন নারীর চেয়ে অতিরিক্ত ওজনের নারীর গর্ভধারণে দ্বিগুণের বেশি সময় লাগতে পারে। আর যেসব নারীর ওজন অনেক কম তাদের ক্ষেত্রে চার গুণ সময় লাগতে পারে।

শরীরে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকলে তা অতিরিক্ত এস্ট্রোজেন তৈরি করে। এটি ওভুলেশন প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। যেসব দম্পতির দুজনই অতিরিক্ত ওজনের এবং যাদের বিএমআই অন্তত ৩৫ (বিএমআই অনুযায়ী ২৫-২৯.৯ পর্যন্ত অতিরিক্ত ওজন ও ৩০ এর বেশি স্থূলকায় বা ওবিস ধরা হয়) তাদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ দম্পতির চেয়ে ৫৫ থেকে ৫৯ শতাংশ পর্যন্ত সময় বেশি লাগে।
পুরুষের ওবিসিটি বা স্থূল দেহের জন্য হরমোন উৎপাদনের জন্য নিয়োজিত এন্ডোক্রিন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা ও ঘণত্ব কমে যেতে পারে। এর প্রভাব পড়ে নারীর গর্ভধারণের ওপর।

যেসব নারীর ওজন অনেক কম (বিএমআই ১৮ এর নিচে) তাদের পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে বা ওভুলেশন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে করে গর্ভধারণের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।

৫. গর্ভাবস্থার আগে ভিটামিন খাওয়া

যেসব নারী গর্ভধারণের চেষ্টায় আছেন তাদের প্রতি দিন কিছু না কিছু মাল্টিভিটামিন খেতে হবে । তবে তাতে ন্যূনতম ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড থাকতে হবে। এটি এক ধরনের বি-ভিটামিন, যা শিশুর মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড মজবুত করতে সহায়তা করে।

৬. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

গর্ভধারণের জন্য নির্দিষ্ট কোনো খাদ্যতালিকা না থাকলেও, স্বাস্থ্যকর খাবার একজন নারীর দেহে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদানে সুষম অবস্থা বজায় রেখে গর্ভধারণে সহায়তা করে। এর অর্থ হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, সুষম প্রোটিন, দুগ্ধজাত পণ্য ও চর্বিযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।

ফলিক এসিডযুক্ত সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পাশাপাশি একজন নারী সবুজ শাক-সবজি, ব্রকোলি, ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত রুটি, বিনস, লেবু জাতীয় ফল ও কমলার রস খেতে পারেন।

৭. কঠিন বা ভারী ব্যায়াম কমানো

প্রতিদিনের শারীরিক সক্রিয়তা একজন নারীর দেহকে গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের জন্য প্রস্তুত করে। এতে করে তাদের জন্মদান ক্ষমতা সংক্রান্ত সমস্যাও কমিয়ে দেয়। যে সব নারী অতিরিক্ত ব্যায়াম করেন বা নিয়মিত ভারী কাজ করেন তাদের ওভুলেশন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

যে সব নারী ভারী ব্যায়াম করেন তাদের রজঃচক্রে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নারী গর্ভধারণ করতে চাইলে ব্যায়ামের পরিমাণ কমাতে হবে।

৮. বয়স বাড়লে কমে উর্বরতা

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নারীর সন্তান জন্মদান ক্ষমতা বা উর্বরতা কমতে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকা ডিম্বাণু ও মান কমে যাওয়াই এর মূল কারণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউটেরিন ফাইব্রয়েডস, ফেলোপিয়ান টিউবে ব্লক ও এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। যে কারণে উর্বরতা কমে যেতে পারে।
সাধারণত ‘৩০ বছরের পর নারীদের জন্মদান ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ৩৭ বছরের পর তা আরও কমে যায় এবং ৪০ এর পর তা অনেকখানি হ্রাস পায়।‘
হ্রাস পাওয়ার অর্থ গর্ভধারণে বেশি সময় লাগতে পারে।

৯. ধূমপান ও মদ্যপানে বিরত থাকা

ধূমপানের কারণে নারী ও পুরুষ উভয়েরই বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সিগারেটের নিকোটিন ও কার্বন মনোক্সাইডের মতো রাসায়নিক নারীর ডিম্বাণু নষ্ট হওয়ার হারকে ত্বরান্বিত করে।
নারীর ডিম্বাশয়ের জীর্ণতা তৈরি করে এবং দ্রুত এর ডিম্বাণুকে নিঃশেষ করে দেয়।

সবশেষে ‘নারীর বয়স ৩৫ বছরের ওপরে হলে এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ছাড়া নিয়মিত যৌন সম্পর্কের পর ছয় মাসের মধ্যে সন্তানসম্ভবা না হলে নারী ও পুরুষ উভয়েরই বন্ধ্যাত্বের পরীক্ষা করানো উচিত।’
যে সব নারীর বয়স ৩৫ বছরের নিচে, তারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার না করে এক বছর নিয়মিত যৌন সম্পর্কের পরেও গর্ভধারণ করতে না পারলে তার সঙ্গীর বন্ধ্যাত্বের পরীক্ষা করানো উচিত।

Address

Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pregnancy and Child Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram