15/09/2025
বুড়িগঙ্গা নদীর রাতের দৃশ্য দেখতে গিয়েছিলাম। ট্রলারে মেশিনের শব্দে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে🎧।
🔥যারা নৌপথে যাতায়াত করে তারা প্রতিনিয়ত এই উচ্চমাত্রার শব্দ সহ্য করেন। ফলে তাদের কানের পাওয়ার প্রতিনিয়ত লস হচ্ছে। এই কাজটা অনেকটা নীরবে হচ্ছে। আমরা নিজেরাও এটা নিয়ে সচেতন নই।
🎯শব্দ দূষণের প্রতি এই যে অসচেতনতা; এই অসচেতনতার জন্যই বিভিন্ন সমস্যা আমাদের ঘিরে ধরে।
শব্দদূষণ কেবল শ্রবণের সমস্যা নয়, এটি মানবদেহ এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
🚫স্বাস্থ্যগত প্রভাব:
❎ শ্রবণশক্তি হ্রাস: দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে থাকলে কানের ভেতরের সূক্ষ্ম কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে।
❎ হৃদরোগ: উচ্চশব্দ হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ বাড়ায়, যা দীর্ঘমেয়াদে হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
❎ মানসিক সমস্যা: শব্দদূষণ মানুষের মধ্যে দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, খিটখিটে মেজাজ এবং অনিদ্রার কারণ হতে পারে।
❎ কর্মক্ষমতা হ্রাস: ক্রমাগত উচ্চ শব্দের কারণে মনোযোগের অভাব হয় এবং কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় দক্ষতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
🚫পরিবেশগত প্রভাব:
প্রাণীজগতের ওপর প্রভাব: উচ্চ শব্দের কারণে প্রাণীরা তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে বিভ্রান্ত হয়। এর ফলে তাদের শিকার করা, প্রজনন এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
❎পাখিদের সমস্যা: শহরের উচ্চ শব্দের কারণে পাখিরা তাদের গান বা ডাক স্পষ্ট করে শুনতে পায় না, যা তাদের যোগাযোগ ও জীবনধারণের জন্য জরুরি।
♻️সমাধান কী?
✅ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা একটি কঠিন কাজ হলেও এটি অসম্ভব নয়। এর জন্য কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:
✅ সচেতনতা বৃদ্ধি: শব্দদূষণ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা।
✅ আইন প্রয়োগ: শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণকারী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা এবং নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া।
✅ শব্দ নিরোধক ব্যবহার: শিল্প-কারখানা এবং যানবাহনে শব্দ নিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
✅ সবুজ বেষ্টনী তৈরি: রাস্তার পাশে, কারখানা ও আবাসিক এলাকার চারপাশে গাছ লাগানো, যা শব্দ শোষণ করতে সাহায্য করে।
⚠️শব্দদূষণ একটি নীরব কিন্তু মারাত্মক সমস্যা, যা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে সমাধান করা প্রয়োজন।