Perfect Homeopathy

Perfect Homeopathy গেন্ডারিয়া এলাকার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট

20/08/2019

#একটি_পরিবর্তনের_গল্প

ডিউটিরত অবস্থায় একদিন একটা বাইক আটকালাম চানখারপুল এলাকায়।
বাইকার ঢাকা মেডিকেলের ইমার্জেন্সি গেটের ওইদিক থেকে উল্টোপথে আসছিল....
স্বভাবতই আমি বাইক খুব কম ধরি বা গুরুতর কিছু নাকরলে মামলা নাদিয়ে ওয়ার্নিং দিয়ে ছেড়ে দেই।
কিন্তু উনি শুধু উল্টোপথেই আসেনি, মাথায় হেলমেটও ছিলনা।
আমি তাকে আটকিয়ে দেখলাম ভদ্রলোকের সব পেপার আপটুডেট আছে।
বাইকে আরহি দুইজন...
পিতা পুত্র
বাবার বয়স ৪০/৪২ হবে ছেলে ৪/৫ বছর।
আমি বললাম ভাই আপনার অপরাধ দুইটা আপনি উল্টো এসেছেন আর হেলমেট থাকা সত্ত্বেও ব্যবহার করেননি, আপনার মামলা হবে।
ভদ্রলোক কোন কথা বল্লেননা কিন্তু পিচ্চিটা বলে উঠল আংকেল আমার বাবাকি অপরাধ করেছে?
তাকেকি মামলা দিবেন?
তাকেকি জেলে নিয়ে যাবেন? প্লিজ আংকেল আমার বাবাকে জেলে দিয়েননা....
প্লিজ প্লিজ প্লিজ.... ঠিক এভাবেই বলেছিল।
আমি থ খেয়ে গেলাম কি করব বুঝতে পারছিলামনা...
বললাম না আংকেল মামলা কেন দিব তোমার বাবা আমা পরিচিত বন্ধু হয় তাই তাকে থামিয়েছি কথা বলার জন্য আর পকেটে একটা মি. ম্যাংগো চকলেট ছিল সেটা পিচ্চিটাকে দিলাম। আমি যখন তাকে ছেড়ে দিলাম,
বিশ্বাস করুন ওই ভদ্রলোকটা কেদেছিল অঝোরে কেদেছিল... আর কথা দিয়ে গিয়েছিল জীবনে যতদিন বেচে থাকবে ততোদিনে কোনদিন ভুলেও উল্টো পথে বাইক চালাবেনা....

মজার ব্যাপার হলো আজকে আজিমপুরে ডিউটি করতেছি তখন দুপুর১১টার একটু বেশি বাজে।
একজন লোক এসে বল্ল রায়হান ভাই কেমন আছেন? আর ৬০০ মিলি একটা কোক হাতে দিতে চাচ্ছিলেন
আমি একটু ইতস্তত ভাবে বললাম আমি আসলে আপনাকে চিনিনাই।
বল্ল আমি মাসুদ মাস দুয়েক আগে চানখারপুলে আটকেছিলেন আর আমার বাচ্চার কথায় ছেড়েদিয়েছিলেন।
আমার ছেলের কসম রায়হান ভাই আমি ঐদিনের পর এক সেকেন্ডের জন্য উল্টোপথে বাইক চালাইনি।
ওনার কথা শুনে আমার সবকিছু মনে পড়লো আর কোকের বোতলটা হাতে না নিয়ে পারিনি...

আমি যদি সেদিন তাকে মামলা দিতাম তাইলে হয়তো আমার টার্গেটের একটা মামলা ফিলার্প হতো কিন্তু উনি উল্টো যাওয়া বন্ধ করতনা....

ধন্যবাদ মাসুদ ভাই
আপনার ছেলেটা একদিন অনেক বড় হবে দোয়া রইল।
আর হ্যা আপনার দেয়া কোকটা আমি পান করে অন্যরকম তৃপ্তি পেয়েছি ❤💙💚💛💜

27/07/2019

লাখে লাখে ডেঙ্গু রোগী, সে তুলনায় মৃত্যুর হার আশ্চর্য রকম কমই বলব।

আমাদের দেশের সীমিত রিসোর্স আর চিকিৎসক স্বল্পতার মাঝেও এই আউটকাম ভাবা যায় না।
খেয়ে না খেয়ে, বিশ্রাম ঘুমকে সিকেয় তুলে যারা এই মহামারী এখন পর্যন্ত দারুণ ভাবে সামাল দিয়েছেন সেই সকল চিকিৎসক এবং সহায়তাকারী মানুষ গুলোকে ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন । সেই সকল মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা যারা কারো প্রয়োজনে কাল বিলম্ব না করে রক্ত দিয়ে আসছেন। যারা অনলাইন অফলাইনে রক্ত যোগাড় করতে সাহায্য করছেন সালাম আপনাদেরকেও।

ওদিকে যাদের নাওয়া খাওয়া ছুটে যাবার কথা সেই সকল মানুষ(!) গুলি দেখুন গিয়ে মশা মারার ঔষধের টাকায় কেনা প্যারিসের সুগন্ধি মেখে আরামের নিদ্রা যাপন করছেন।

আমি বাজি ধরে বলতে পারি তারা ওঁত পেতে আছেন। ডাক্তারদের উপর দিয়ে এই ঝড়টা পার হয়ে গেলেই তারা গর্ত থেকে বের হবেন।
বুক চিতিয়ে দাঁত কেলিয়ে মিডিয়ার সামনে এসে বলবেন কিভাবে তারা এই দুর্যোগ সফলতার সাথে মোকাবেলা করেছেন।
তখন এই নির্লজ্জ বেহায়াগুলো এটাও বলবে- যে কয়জন ডেঙ্গুতে মারা গেছে সেখানে চিকিৎসকের গাফিলতি ছিল। এ বিষয়ক তদন্ত কমিটি তারা শীঘ্রই গঠন করবেন।

শুধু তাই না, এখনি তারা পাবলিককে বিভ্রান্ত করতে শুরু করে দিয়েছেন। বলে বেড়াচ্ছেন যে ডেঙ্গু হলে হটলাইন নাম্বারে কল দিতে, ডেঙ্গুর ওষুধ নাকি বাড়িতে পৌঁছে দিবেন। এই আহাম্মকেরা জানেই না যে ডেঙ্গুর কোন ঔষধ নাই। চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রেখে রোগীর সিম্পটোমেটিক সেবা দেয়াই ডেঙ্গুর চিকিৎসা। অথবা তারা জেনে বুঝেই ইচ্ছা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন এবং সেই সাথে চিকিৎসকদের জন্যে পরিস্থিতি সামাল দেয়াটা আরো কঠিন করে তুলছেন।

দুই এক যায়গায় দেখলাম এমন কথাও বলা হচ্ছে ডেঙ্গুর জন্যে নাকি একটা বা দুইটা পরীক্ষাই যথেষ্ট। কি ভয়ংকর বিভ্রান্তিমূলক একটা কথা! রোগীদের কি সুন্দর ভাবে মিসলিডিং করা হচ্ছে।

হ্যাঁ, ডেঙ্গু হয়েছে কিনা এটা ধরতে একটা বা দুইটা পরীক্ষাই যথেষ্ট কিন্তু রোগীর চিকিৎসা দিতে তা কখনোই যথেষ্ট না।
ক্ষেত্র বিশেষে প্রতি ছয় ঘন্টায় একবার করে রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
তারপর মনে করুন রক্তের প্লাটিলেট খুব বেশি কমে গিয়ে কোন রোগীর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হল। তখন সেই রোগীর মাথার সিটি স্ক্যানও লাগবে।

তাই বলছি ঐসব অকর্মা নির্লজ্জ লোকগুলি যারা বড় বড় পদে আসীন হয়ে স্টুপিডের মত অনবরত মিথ্যা বলে যাচ্ছে তাদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।

নিজে সচেতন থাকুন, বাড়ির আশপাশে যেখানে ডেঙ্গু মশা বংশ বিস্তার করতে পারে সেসব যায়গা পরিষ্কার করুন।
আর জ্বর হলেই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, তার পরামর্শ মোতাবেক চলুন।

সুস্থ হয়ে পরে না হয় তাকে আবার কসাই বলে গালি দিয়েন।
এসবে তাদের অভ্যাস আছে।
কার্টেসিঃ ডাঃ সাইফুল ইসলাম।

27/07/2019

জনস্বার্থেঃ পুনশ্চ ডেংগি নিয়ে কিছু কথা
--------------------------------------------------------

১.
আজ যদি এই শহরের সবগুলি মশাকে মেরে ফেলতে পারেন তাহলে সাতদিন পর আর এই শহরে ডেংগি রোগী থাকবেনা৷ কারণ মশা ছাড়া ডেংগির আর কোন বাহক নেই। তাই মশা মারাই এর একমাত্র প্রতিরোধক। হয়ত পুরোটা সম্ভব না৷ কিন্তু অনেকখানিই তো সম্ভব।

২.
সিটি করপোরেশন এর আশায় বসে থাকবেন না৷
নিজের ঘর নিজেই পরিষ্কার করুন। ঘরের কোথাও আবদ্ধ জল আছে কিনা দেখে নিন। থাকলে ধ্বংস করুন। বাড়ির সামনের রাস্তায়, কোনায় কানায় কোথাও খানাখন্দ আছে কিনা দেখুন৷ থাকলে ধ্বংস করুন। টায়ার, জেরিক্যান, খোলা পাত্র থাকলে নষ্ট করুন। ওসব জায়গায় পানি জমেই সেখানে এডিস মশা হয়।

এডিসের প্রজনন ক্ষমতা যত উচ্চই হোক প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস হলে তো নির্বংশ হতে সময় লাগবেনা। রিপেলেন্ট ব্যাবহার করুন। গায়ে মাখাও কিছু ওষুধও পাওয়া যায় সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। দিনে রাতে মশারি খাটান। যতভাবে নিজেকে রক্ষা করা যায় করুন।

৩.
পাড়ায় মহল্লায় তরুন-তরুনীরা গ্রুপ করে মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করা কাজে নেমে পড়ুন। অনেক বড় একটা কাজ হবে। একটা ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিলে এক সপ্তাহের ভেতর ফল পাবেন। যারা করবেন তারাই এই সময়ের শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক।

৪.
সতর্ক হোন, আতংকিত হবেননা৷ আতংকিত হলে করনীয় কাজটি ভুল হয়ে যাবে। ডেংগির শারীরিক লক্ষণ নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। লক্ষণ মিলিয়ে আসলে জ্বর আসেনা সব সময়। এই আউটব্রেকের মৌসুমে জ্বর এলেই, মানে জ্বরের প্রথম দিনেই ডাক্তারের কাছে যাবেন। সিবিসি ও ডেংগি এনএসওয়ান পরীক্ষা করবেন। Dengue NS1 ১-৩ দিনের ভেতর পজিটিভ থাকে। এর সেনসিটিভিটি ৬৬-৭০ ভাগ। তিরিশ ভাগ ডেংগি হবার পরও নেগেটিভ দেখাতে পারে৷ তাই চিকিৎসকের অব্জারভেশনকে গুরুত্ব দিন।

৫.
ডেংগি হলেই শিরায় স্যালাইন দিতেই হবে এমন নয়। মুখে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি বা খাবার স্যালাইন খেতে পারলে শিরায় না দিলেও চলবে৷ শকের হিসাব আলাদা। বমি, পাতলা পায়খানা হলেও বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে তখন শিরায় স্যালাইন নিতে হতে পারে।

৬.
ডেংগি হলেই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে তাও না। প্রাইমারি কেয়ার সেন্টার বা আপনার নিয়মিত চিকিৎসকের চেম্বারে গেলেই চলবে। তিনি রক্তের রিপোর্ট, শারীরিক পরীক্ষা, ব্লাড প্রেসার, পালস ইত্যাদি পরীক্ষা করে তবেই সিদ্ধান্ত দেবেন ভর্তি হবেন কি হবেন না৷ নিজে নিজে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হবার জন্য চেষ্টা করবেন না। হাসপাতালগুলি এমনিতেই ভারাক্রান্ত। সবার হয়ত দরকারও নেই তবু গিয়ে ভর্তি হয়েছে৷

৭.
"প্লেইটলেট কমে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী শকে চলে যায়" এরকম প্রচারণায় বিশ্বাস করবেন না। ফেসবুকে যা দেখবেন তাই বিশ্বাস করবেন না৷ অমুক প্রফেসর বলেছেন বলে যেগুলো প্রচার হচ্ছে সেগুলোও না। দেবী শেঠির নামেও ফেসবুকে অনেক বাকোয়াজ কথা প্রচার করা হয়।

৮.
প্লেইটলেট নিয়ে অযথা ভীত হবেন না। প্লেইটলেট কাউন্ট ডেংগির আরলি প্রেডিকশনে সহায়তা করে। এর বেশি কিছু নয়। প্লেইটলেট ভাল থাকা বা খারাপ থাকা দিয়ে রোগীর ভাল মন্দ বা রোগের তীব্রতা নির্ধারন করা যায়না। ডেংগি শক সিন্ড্রোম একদম ভিন্ন জিনিস। প্লেইটলেট কম বেশির সাথে এর তেমন সম্পর্ক নেই।

৯.
ডেংগিতে প্লেইটলেট শরীরে দেওয়া খুব কমন ট্রেন্ড হলেও আসলে খুব কম ক্ষেত্রেই প্লেইটলেট লাগে। দিলেও কাজে লাগে কিনা সেটা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে৷ এ ব্যাপারে ডাক্তারকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। প্রভাবিত করবেন না। প্লেইটলেট কমে গেলেই আতংকিত হয়ে প্লেইটলেট দিচ্ছেন না কেন বলে পীড়াপীড়ি করবেন না। প্রেসার,পালস, হিমাটোক্রিট বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

১০.
ডেংগি শক সিন্ড্রোম খুব জটিল একটি পর্যায়। আইসিইউতে ম্যানেজ করা উচিত। লিভার, কিডনি,হার্ট, লাংস সব দিকেই সমস্যা হতে পারে। সব কিছু পরীক্ষা করে মনিটর করতে হয়। হিসেব করে শিরায় ফ্লুইড দিতে হয়৷ তারপরও কেউ কেউ মারা যেতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে৷

১১.
জ্বর কমে যাওয়ার পরই মূলত ক্রিটিক্যাল ফেইজ শুরু হয়। তাই জ্বর কমলেই ভাল হয়ে গেল সব কিছু এটা মনে করবেন না।

১২.
ডাক্তার ভাইদের বলব ন্যাশনাল গাইডলাইন হাতের কাছে না থাকলে আজই সংগ্রহ করুন। স্ট্রিক্টলি ফলো করুন। প্রতিটি লাইন পড়ুন। আরেকজনের পোস্ট দেখেই কিছু একটা লিখে ফেলবেন না৷ মনগড়া কথা প্রচার করবেন না৷

ডাঃ গুলজার হোসেন
রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ

23/07/2019

আজানের সময়, ম্যাক্সিমাম হিন্দুই গান শোনা বন্ধ করে দেয়। রমজানে লুকিয়ে লুকিয়ে খাবার খায় যাতে আমরা দেখলে আমাদের রোজা হালকা না হয়। সেহেরিতে উঠতে না পারলে ডেকে দেয়, ইফতারে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।আজানের সময় অনেক পূজামণ্ডপে সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ রাখে। এগুলা করার জন্য ওদের জোর করতে হয় না। মন থেকে করে। আমাদের ধর্মকে সম্মান করে বলেই করে।

হিন্দু স্যার ম্যামকে আদাব দিলেই যেমন আমরা হিন্দু হয়ে যাই না তেমনি হিন্দু বন্ধুর সাথে মিশলে, এক প্লেটে খাবার খেলেই আপনি হিন্দু হয়ে যাবেন না। আপনি যদি আপনার ধর্ম সম্পর্কে খুব সচেতন থাকেন তাহলে আপনার ধর্মে যতটুকু মিশতে,যা করতে মানা আছে তা করবেন না। ব্যাস।
কোনো ধর্মেই বলা নেই অন্য ধর্মকে ছোট করে দেখো। সংখ্যাগরিষ্ঠ হোক বা লঘিষ্ঠ সবার কাছে সবার ধর্ম সমান। স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার সবার আছে।

আমাদের কাছে গরু, খাসি,দুম্বা জবাই যেমন কোরবানি, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, রোজা রাখা যেমন ত্যাগ ওদের কাছেও মাটির তৈরী মূর্তি পানিতে ভাসিয়ে দেওয়াটাও অনেক বড় একটা ত্যাগ। আপনি অন্য ধর্ম নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে পারেন না। আমার জানামতে প্রায় প্রত্যেক হিন্দু বন্ধু বান্ধবীই জীবনে একবার হলেও এই প্রশ্নের সম্মুখীন হয়
"গরুর দুধ খাও ঠিক ই, মাংস খাও না কেন?" আমি জানি অনেকে অনেক বিকৃত করে এই প্রশ্নটা করে। আমি আমার ধর্ম নিয়ে সচেতন থাকলে অন্য ধর্ম নিয়ে কটু কথা বলব কেন?

মানুষ কিছু জায়গায় বিবেক নয়, আবেগ দিয়ে বিচার করে।
যেমন - ধর্ম, খেলাধুলা, চিকিৎসা। তাই এসব ব্যাপারে কথা বলতে গেলেই কিছু মানুষ একপ্রকার তেড়ে আসে। ধর্ম সবার কাছে সেন্সিটিভ বিষয়। আমাদের কারোরই উচিত না অন্য ধর্মকে ছোট করে দেখা, অন্য ধর্মের মানুষকে খুঁচিয়ে কথা বলা, তিরস্কার করা।
"মাটি দিয়ে মূর্তি বানায়া আবার পানিতে ফেলে দাও, এই মূর্তি কি কোনো কাজের?"
কোথাও কি বলা আছে অন্য ধর্মের মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলো?

মুসলমানরা হিন্দুদের মালো বলে ডাকে, হিন্দুরা ডাকে জঙ্গি। এই জাতিবিদ্বেষ কবে শেষ হবে?

দেশের ভাবমূর্তি বাহিরের নষ্ট হয়েছে। দিনেদুপুরে খুন, ঘুষ, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল, প্রতিদিন ধর্ষণ আর হত্যার এই মিছিলে দেশের ভাবমূর্তি যা নষ্ট হবার তা অনেক আগেই হয়েছে।

মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, চাকমা, মারমা সহ আরও যত উপজাতি আছে সবাইকেই আমি ভাই,বোনের মতো ভাবি। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি অন্ধকার রাস্তায়,নির্জন গলিতে আমার মুসলমান বোন যেমন আমার কাছে নিরাপদ তেমনি অন্য ধর্মের বোন ও আমার কাছে নিরাপদ।
আমরা যদি আমাদের ধর্ম ভালোভাবে মানতাম তাহলে দেশে এত ধর্ষণ,খুন হতো না।

ফেইসবুকে ধাওয়া পালটা ধাওয়া না করে আসুন নিজেরা ঠিক হই। আমাদের চিন্তা ভাবনা উন্নত করি। হাসপাতালে যেমন রক্ত লাগলে কে হিন্দু,কে মুসলিম না দেখেই রক্ত দেওয়া হয় রোগীর জীবন বাঁচাতে, অসুস্থ্য মায়ের বুকের দুধ না আসলে যেমন হিন্দু মায়ের বুকের দুধ খেয়ে বাচ্চা বেঁচে যায় তেমনি দিনশেষে আমরা সবাই মানুষ। সবাই সবার ধর্মকে সম্মান করি।তাহলেই শান্তি ফিরে আসবে।

©

জরুরী সতর্কতাঃ● কিছুদিন অপরিচিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।● অপরিচিত এলাকায় গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিক-সেদিক উদভ্রান্...
22/07/2019

জরুরী সতর্কতাঃ
● কিছুদিন অপরিচিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

● অপরিচিত এলাকায় গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিক-সেদিক উদভ্রান্তের মতো তাকানো থেকে বিরত থাকুন।

● কাউকে খুঁজতে গেলে তার সাথে পূর্বেই যোগাযোগ করে নিন, সারপ্রাইজ দিতে কিংবা কোন কারণেই না জানিয়ে যাবেন না।

● নিজের বাচ্চাকে তার মাকে ছাড়া কোথাও নিয়ে যাবেন না। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা ছিচ কাদুনে এবং খালি বায়না ধরে তাদের নিয়ে কয়েকটা দিনের জন্য একা একা দূরত্বে বের হবেন না।

● যদি চাকুরীজীবী হন, তবে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সাথে রাখুন, প্রয়োজনে অপরিচিত এলাকায় গেলে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন।

● কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে থতমত খাবেন না, কনফিডেন্ট/সহজভাবে উত্তর দিন। ভাব নিতে যাবেন না।

● পথে-ঘাটে কারো সাথে উটকো ঝামেলায় জড়াবেন না।

● এ ধরণের ঘটনা দেখলে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে পুলিশকে জানান।

● গণপিটুনি দেখলে তৎক্ষনাৎ ৯৯৯ এ ফোন দিন।

● যদি আপনি কোনও এলাকায় নতুন হোন (আপনাকে যদি কেউ না চিনে থাকে), তাহলে কর্মক্ষেত্র থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসুন।

● সর্বোপরি, এ অবস্থার দ্রুতই অবসান হবে আশা করি। তাই আতঙ্কিত হবেন না।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

**Collected post** #রিকশা মিথ১. রিকশা  #জরুরি:মোটেই না। 😒  #হাঁটুন! ঢাকা শহরের সকল রিকশায় চড়া দূরত্বই হাঁটার যোগ্য দূরত...
12/07/2019

**Collected post**

#রিকশা মিথ

১. রিকশা #জরুরি:
মোটেই না। 😒 #হাঁটুন! ঢাকা শহরের সকল রিকশায় চড়া দূরত্বই হাঁটার যোগ্য দূরত্ব। যদি হাঁটতে না পারেন (শারীরিক কারণে, হাতে মাল-পত্র থাকার কারণে) বাসে উঠুন, বাস না থাকলে উবার নিন।

২. রিকশা গরিবের #বাহন:
রিকশা ভাড়া উবার প্রিমিয়ামের কাছাকাছি এখন, কিসের #গরিব? উবার প্রিমিয়ামে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া (বেস বাদ দিলে) ২৩.৫০* টাকা, উবার-এক্সে প্রতি কিলোমিটার ১৮* টাকা, মোটো তে ১২* টাকা। রিকশা এখন কোন এলাকাতেই ২০ টাকা প্রতি কিলোমিটারের নিচে যায়না, প্রায়ই তা ২৫-৩০ টাকায় ঠেকে। বিশ্বাস না হলে #গুগল ম্যাপ দিয়ে দূরত্ব মেপে রিকশায় উঠুন, তারপর হিসাব করুন। রিকশা রিতিমত #লাক্সারি বাহনে পরিণত হয়েছে।

৩. রিকশাওয়ালারা গরিব, #অসহায়:
রিকশাওয়ালারা তেমন গরিব নয়। তাঁদের মাসিক আয় ২০-৩০ হাজার টাকার উপরে, যা অনেক চকচকে অফিসে নতুন যোগ দেওয়া স্নাতক বেতন হিসেবে পান না। তাঁরা বিনা বাক্য ব্যয়ে কোথাও যেতে চান না। ঝড়-বৃষ্টিতে কাওকে সাহায্য করেন না। তাঁরা প্রায়ই ভাড়া নিয়ে অন্যায্য ঝগড়া বাধান। তাঁরা গায়ে খেটে কষ্ট করে রিক্সা চালায় এই দোহাই দিবেন তো?... আরো অনেক পেশার মানুষ প্রতিদিন গায়ে খাটেন, এবং তাঁদের মজুরিটাও আপনি খুব হিসাব করেই দেন। কৃষকও গায়ে খাটেন, দিনমজুরও গায়ে খাটেন, কই তাঁদের জন্য তো কেউ কাঁদে না, দুইটা পয়সা বাড়তিও দেয়না। রিক্সাওয়ালাকে প্রতিনিয়ত চোখের সামনে দেখেন বলে আপনার মায়া লাগে। আপনার চোখের আড়ালে আরও হাজারো মানুষ ওদের চেয়ে বেশি খাটে নাম মাত্র মজুরিতে।

৪. রিকশাওয়ালা রা খাবে কি ?:
এই ২০১৯ সালে কোন #সভ্য সমাজে মানুষ কে টেনে নিয়ে যাওয়া কোন #পেশা হতে পারে না। উনারা উৎপাদনমখী পেশায় ফেরৎ যাবেন। রিকশা শ্রমিকদেরকে পাঠান গ্রামে #কৃষিকাজে তাদের মূল পেশায়। তাদের #উৎপাদিত #পণ্য কিনুন সরাসরি ন্যায্য দামে, জানেন গ্রামে এখন কৃষক নাই ? ৫ বছর পরে কি টাকা খাবেন মরিচ দিয়ে ?

৫. জ্যাম এর কারণ কি শুধুই রিকশা ?:
অবশ্যই না, #অশিক্ষিত #ড্রাইভার, #ফুটপাথ দখল, #পাবলিক বহনের স্বল্পতা সব ই দায়ী, সব গুলো ব্যাপার নিয়েই কাজ হচ্ছে, আর কোনটা আগে বা কোনটা পরে করা হচ্ছে না দেখে, কিছু একটা হচ্ছে এটাই তো পজিটিভ পয়েন্ট অফ ভিউ নাকি ?

জাপানে রিকশা আবিষ্কার করেছে অথচ যুগের তালে এখন ওখানেও রিকশা একদম নাই বলতে গেলে। আবার ঐদিকে আমাদের থেকে গরীব দেশ ৪৯ টা, রিকশা চলে কোথায়?

খোঁজ নিয়ে দেখুন, খেয়াল করে দেখুন।

যাদের সামর্থ্য নাই তাদের জন্যে ঢাকা শহর না। ঢাকার বাইরে যান, #বিকেন্দ্রীকরণ এ সাহায্য করুন নিজের এলাকা #উন্নয়ন এ হাত লাগান, নিজের এলাকা কে সিঙ্গাপুর বানান নিষেধ করেছে কে ?

আমাদের #ঢাকা কে বাঁচতে দেন, আপনার জন্য এইটা টাকা কামানোর আর থুতু ফেলার জায়গা, আমাদের কাছে এটা বাড়ী যেখানে আমাদের পরিবার থেকে যুগ থেকে যুগান্তরে! আপনারা যখন ঈদ এ আনন্দ করতে বাড়ি যান, তখন ক্লান্ত এই শহরে আমরা একটু দম নেবার চেষ্টা করি!

যাদের দরদ বেশি তারা রিকশাওয়ালাদের নিজের বাড়ি নিয়ে জায়গা দিন আর নিজের কামাই এর অর্ধেক দিয়ে দেন। আর না পারলে নগর উন্নয়নে বাধা হয়ে দাড়াবেন না। গতি ছাড়া নগর হবেনা, এবং অন্যান্য সমস্যার মতো রাজপথে রিকশা থাকলে এই গতি কখনোই আসবেনা!

বুড়া-বুড়ি ছোট-বড় অন্ধ অসহায় মহিলা এর উসিলা দিবেন না। পৃথীবির প্রতিটি শহরে সবাই হাঁটাচলা করে কিন্তু আমাদের দেশের এই যুগে এসে অনেক #অলস #নবাবের আবির্ভাব হয়েছে যারা এক রাস্তা হতে আরেক রাস্তায় যেতে রিকশা লাগে। হাটতে #কষ্ট লাগে তাদের ! হাঁটা শুরু করেন, হাসপাতাল এর বিল বাঁচান!!

-Main Post Collected and Edited

পাদটীকা:
একটি গবেষনা সংস্থার দাবি,
১। ঢাকায় বৈধ রিক্সা ৮০ হাজার, যা এরশাদ আমল থেকে বন্ধ। কিন্তু ঢাকায় রিক্সা চলে ১০ লাখ এর ও বেশি।
২৷ বেশিরভাগ রিক্সা চালক শিফট করে একবেলা রিক্সা চালান এবং সারাবছর ই অসুস্থ থাকেন। কেউই ২০ দিন এর বেশি রিক্সা চালাতে পারেন না। রিক্সা কোন স্বাস্থ্যকর পেশা নয়।
৩। এখানে রিক্সা প্রেমীদের কমেন্ট দেখে মনে হয়ে হচ্ছে তারা জানেন না। সবার জ্ঞ্যাতার্থে আবার বলছি, রিক্সা নগরী তিনটি প্রধান সড়কে বন্ধ করা হয়েছে, অলিতে গলিতে এবং আবাসিক এলাকায় নয়।
শুধু তর্ক করার খাতিরে বা নিজের মতৈক্যে জোর করে আনার জন্যে কমেন্ট করবেন না, জেনে বুঝে করুন।

---------------

Mashpy Rahman কমেন্ট করেছেন :

"ভোর হইলে ভাড়া বেশি,
রাত হইলে ভাড়া বেশি,
রোজা হইলে ভাড়া বেশি,
ঈদ হইলে ভাড়া বেশি,
ঈদের ৫ দিন পরেও ভাড়া বেশি,
রোদ হইলে ভাড়া বেশি,
বৃষ্টি হইলে ভাড়া বেশি,
রোগী নিয়া যেতে লাগলে ভাড়া বেশি,
রাস্তা খারাপ হইলে ভাড়া বেশি,
জ্যাম হইলে ভাড়া বেশি,
পহেলা বৈশাখে ভাড়া বেশি,
স্বাধীনতা দিবসেও ভাড়া বেশি,
হরতালে ভাড়া বেশি,
অনেক বেশি মানুষ রিকশা খুজলে ভাড়া বেশি।

কেউ কি বলতে পারেন ভাড়াটা কখন কম? এরপরে কিছু কিছু মানুষ ফেসবুকে প্রচারণা চালায় ৫-১০ টাকা বাড়াই দিয়েন। বাড়াই দিতে দিতে এখন উবার প্রিমিয়ামও ক্রস করছে।"

আজকের গেন্ডারিয়া
12/07/2019

আজকের গেন্ডারিয়া

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের ওয়েব সাইট থেকে দারুন একটা তথ্য পেলাম যেটা আগে জানা ছিলো না । তথ্যটা জানানোর আগে একটু ভূমিকা করে ...
11/07/2019

ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের ওয়েব সাইট থেকে দারুন একটা তথ্য পেলাম যেটা আগে জানা ছিলো না । তথ্যটা জানানোর আগে একটু ভূমিকা করে নেই ।

গত কিছু দিন থেকে ইউকে তে ওয়েদার অসম্ভব রকমের রৌদ্রজ্জল । বাচ্চাদের স্কুল বন্ধ চলছে । ওয়েদার ভালো বলে বেশিরভাগ এরা বাগানে সময় কাটায় । সান বার্ন এর প্রটেকশন হিসেবে তাদের জন্য নিভিয়া সানস্ক্রীন কেনা হয়েছে । বোতলের ছিপির উপর বড় বড় করে লেখা -
Cancer research UK
Recommends covering up

‘ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’ কাভার করা কিংবা ঢেকে রাখা কে কেন রেকমেন্ড করছে সেটা জানার জন্য তাদের ওয়েব সাইটের শরনাপন্ন হলাম । যা পেলাম তা হুবহু তুলে ধরছি এখানে -

“ Covering up:
Along with shade, another way to protect your skin from the sun is with clothing, a wide-brimmed hat and good quality sunglasses.

Clothes
The more skin that’s covered by your clothing, the better the protection you’re getting. Choose clothing that’s loose-fitting and deeper in colour. Also look for materials with a close weave- as a guide hold the material up to check you can’t see through the fabric. Clothing that’s dry also provides more protection than if it’s wet. This is particularly the case for cotton clothes. “ [ স্ক্রিনশট দেওয়া হলো ]

বাংলা অনুবাদ করে যা বুঝলাম তা থেকে বেশ কয়েকটা পয়েন্ট উঠে এসেছে । ক্যান্সার রিসার্চ ইউকের মতে -

১. সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি (যা স্কিন ক্যান্সারের সম্ভাবনা তৈরী করে ) থেকে বাঁচার জন্য শরীর যতটা সম্ভব বেশি ঢেকে রাখা উচিত । কারন তারা দাবী করছে, চামড়া যত বেশি ঢাকবে তত বেশি প্রটেকশন নিশ্চিত হবে ।

২. তারা আরও রেকমেন্ড করছে, এমন ধরনের কাপড় বাছাই করার জন্য যা ঢিলেঢালা এবং গাড় রঙ্গের ।

৩. কাপড়ে সুতার বুনন এই পরিমান ঘন হওয়া উচিত যেন কাপড় উঁচু করে ধরে একপাশ থেকে তাকালে অপর পাশে কিছুই দেখা যায়না । অর্থাৎ মোটা কাপড় পরা উচিত যার ভেতর দিয়ে চামড়া দেখা না যায় ।

৪. শুকনো কাপড় থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হয় ।সুতি কাপড় ঘেমে গেলে ভিজে বেশি যা আরও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় । সে ক্ষেত্রে সুতি কাপড় না পরাই উত্তম বলে তারা মনে করে ।

অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, সান বার্ন থেকে বাঁচার জন্য কাপড় কতটুকু পরা এবং তা কিধরনের হওয়া উচিত সমেত যে তথ্যগুলো (তাদের রিসার্চ মতে ) উপরে পাওয়া গেছে তা কেবল একটি মাত্র পোশাকের ক্রাইটেরিয়াগুলোর সাথে হুবহু মিলে যাচ্ছে - তা হলো বোরকা কিংবা আবায়া !!!

এছাড়াও স্ক্রীন শটে মাথায় হ্যাট ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তার অংশটুকু পড়ে এতটুকু স্পষ্ট হলো, মাথা-মুখ-দু’কান-ঘাড়ের পিছনের অংশ এগুলো ঢেকে রাখাও কতটা জরুরি । আর এই কাজটা যে ঢিলেঢালা বড় হিজাব এবং নিক্বাব অত্যন্ত সহজ ভাবে করে দেয়, আশা করি এটা বোঝানোর আর প্রয়োজন নেই ।

চিন্তা করছি, সাড়ে চৌদ্দোশো বছর আগে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’লার জীবন বিধান মানতে উত্তপ্ত মরুর বুকে মোটা কাপড়ে আপাদমস্তক ঢেকে চলতে মু’মিন নারীরা কেন পিছপা হয়নি । কারন তাঁরা মনে প্রানে বিশ্বাস করতেন, যিনি আমাদের রাব্ব তিনিই সর্বোত্তম জানেন তাঁর বান্দাদের কল্যান কিসে নিহিত । তিনি আমাদের সাধ্যের অতীত কোন কিছু চাপিয়ে দেননা । তিনি তাঁর বান্দাদের অপার ও অসীম ভাবে ভালোবাসতে জানেন ।

এ ভালোবাসা এমন যা কেউ কোনদিন দেখবেনা, কেউ কোনদিন আনুধাবন করতে পারবেনা । কারন এ ভালোবাসা হয় কেবল একজন রাব্বের, তাঁর বান্দাদের জন্য ।

আমি সন্তুষ্ট
আমি সন্তুষ্ট
আমি সন্তুষ্ট কারণ
রাব্বুল আরশিল আজীম আমার রাব্ব এবং
আমি তাঁর বান্দা ....
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
লেখাঃ নুসরাত জাহান (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)

09/07/2019

ছাত্রীকে পড়াচ্ছিলাম। কিছুক্ষণপর দরজায় কে যেন নক করলো। ছাত্রী উঠে গিয়ে দরজা খুলে ওর আম্মুকে ডেকে বলতে লাগলো!
আম্মু "পরিষ্কারওয়ালা" এসেছে......!

অত:পর ছাত্রী আবার সেখান থেকে এসে পড়ার টেবিলে বসলো আমি জিজ্ঞেস করলাম।
হুমায়রা, 'পরিষ্কারওয়ালা' আবার কে??
ছাত্রী: আম্মু বলেছে ময়লাওয়ালাদেরকে পরিষ্কারওয়ালা বলতে। কারণ আমরা ময়লা করি আর তারা সেগুলো পরিষ্কার করে।

মায়ের শিক্ষা ♥

Education begins at home 🤗

(Couldn't give credit because I don't know the writer but thanks to him/her for presenting this perspective)

মন খারাপ হয় না কার বলেন তো? আপনি মানুষ আর আপনার মন খারাপ হবে না, তা হতে পারে না। মানুষের মন খারাপ হবেই। ইয়াকূব নাবির কথা...
07/07/2019

মন খারাপ হয় না কার বলেন তো? আপনি মানুষ আর আপনার মন খারাপ হবে না, তা হতে পারে না। মানুষের মন খারাপ হবেই। ইয়াকূব নাবির কথা মনে আছে? ঐ যে উনার ছেলে ইউসুফকে তাঁর ভাইয়েরা মিলে কুয়োতে ফেলে দিল। ছেলের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে চোখের দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছিলেন আল্লাহর এই নাবি।
আমাদের নাবি মুহাম্মাদের ‎ﷺ কথাই ধরুন। তাঁর নবুয়াতি জীবনের প্রথম দিকে অবস্থা যখন খুব খারাপ ছিল, তখন তাঁর পাশে ছায়া হয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী খাদিজা। ঢাল হয়ে ছিলেন তাঁর চাচা আবু তালিব। অথচ এদুজন একই বছরে মারা গেলেন। কাছের দুজন মানুষের এভাবে চলে যাওয়ায় ‎নবিজি ‎ﷺ এতটাই দুঃখ পেয়েছিলেন যে, সেই বছরটা মুসলিমদের কাছে “বিরহ বছর” নামে পরিচিতি পায়।
উনাদেরও মন খারাপ হয়েছে। তবে হতাশ হয়ে পড়েননি। সেখান থেকে উঠে এসেছেন।
মন খারাপ আর হতাশ হওয়া কিন্তু দুটো এক জিনিস না। হতাশ ব্যক্তি নিজের উপর আশা তো ছেড়ে দেয়ই, আশেপাশের পরিবেশ থেকেও মন উঠিয়ে নেয়। কোথাও কোনো আশার আলো দেখতে পায় না। এভাবে নিজের তৈরি অন্ধকার কুঠুরীতে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে দিতে একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়। ঠিক আছে, বুঝলাম মন খারাপ। এখন ভালো করব কীভাবে? মানুষের যেকোনো সমস্যা সমাধানের দুটো মৌলিক উপায় আছে। একটা ইসলামিক। আরেকটা সেক্যুলার। সেক্যুলার সমাধান শুধু বাহ্যিক আর দুনিয়ারটা দেখে। মানুষ তার কাছে আর দশটা প্রাণী ছাড়া আর কিছু না। যেকারণে এই উপায়ে সমাধান করলে সমাধান হয়, কিন্তু সেটা স্থায়ী হয় না। মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্যের সাথে যায় না। যেকারণে কিছুদিন পরপর আবার নতুন করে তাকে নতুন সমাধান খুঁজতে হয়। আর সেক্যুলার পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এটা তৈরি হয় “ট্রায়াল অ্যান্ড এরর” করে করে। যেকারণে চূড়ান্ত সমাধান হয় না। কোথাও একটা ফাঁকা থেকে যায়।
কিন্তু ইসলামিক সমাধানে ইহকালীন পরকালীন দুটো দিকই থাকে। আপনার ডিভাইসের কোনো সমস্যা হলে আপনি কার কাছে যান? গুগলে। বা কোনো এক্সপার্টের কাছে। এরা কোথা থেকে শিখল বলেন তো? অরিজিনাল মেকারের দেওয়া ম্যানুয়াল বা ট্রাবলশুটার থেকে। সহজ হিসাব। যে যে-জিনিস বানায় সে-ই ওটার ভালোমন্দ সবচে ভালো জানে। ওটার কোনো সমস্যা হলে কীভাবে ঠিক করতে হবে, সেটা তারচে বেশি ভালো আর কেউ জানে না। তো আমরাও আমাদের মনের এই সমস্যার জন্য আমাদের মেকার মানে আল্লাহর কাছে যাব। আল্লাহ তাঁর কুর’আন ও হাদীসে মন খারাপ ও হতাশ হওয়ার কী সমাধান দিয়েছেন তা দেখব।
❒ কারও মাথার উপর সাধ্যাতীত বোঝা নেই
___________
প্রথম কথা, আল্লাহ কাউকে এত বড় বোঝা দেন না, যা সে বহন করতে পারে না। সূরা বাকারার আয়াতটা মনে আছে?
“লাা য়ুকাল্লিফু-ল্লাহু নাফসান ইল্লা উস‘আহা”
"আল্লাহ কারও মাথার উপর তার সাধ্যে কুলোবে না এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।" (সূরাহ আল বাকারাহ, আয়াত : ২৮৬)
কিছু কিছু সময় এমন মনে হয়, আর পারব না। এত কষ্ট আর সহ্য করতে পারব না। অনেকে তো কষ্ট সহ্য করতে না পেরে জীবনও দিয়ে বসেন। অনেকে আবার ভাঙচুর করে বসেন। খেলাধুলায় প্রিয় দলের হারে এরকম কত ঘটনার খবর পত্রিকায় আসে।
যাহোক, উপরের আয়াতটা যদি মাথায় থাকে, তাহলে বুঝবেন যে, যত বড় কষ্টই হোক না কেন, ওটা সহ্য করার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা আপনার আছে। আমার আপনার কথা রদবদল হতে পারে। কিন্তু আল্লাহর কথার কখনো কোনো রদবদল হয় না। তিনি যখন বলেছেন, তিনি আমাদের উপর এমন কোনো বোঝা চাপান না, যা আমরা সহ্য করতে পারব না, তাহলে তা-ই সই। আমার মধ্যে ঐ কষ্ট সহ্য করার সামর্থ্য আলবৎ আছে।
আপনি যখন এভাবে আপনার মনটাকে ঠিক করে নেবেন, তখন দেখবেন, মুহূর্তের মধ্যে মন শান্ত হয়ে যাবে। কষ্টের খবর বা ঘটনায় কষ্ট তো লাগবেই, কিন্তু সেটা যেন আমাদেরকে শেষ করে না দেয়। কারণ…
❒ কষ্টের পর স্বস্তি আছে
___________
“কষ্টের পর অবশ্যই স্বস্তি আছে। আবার শোনো, কষ্টের পর অবশ্যই স্বস্তি আছে।” (সূরা আল ইনশিরাহ, ৫-৬)
একবার না, সূরা আল-ইনশিরায় আল্লাহ কথাটা পরপর দুবার বলেছেন। আমরা কখন কোনো কথা দুবার বলি বলেন তো? শুধু দুবারই না, দুবারই বললেন, “অবশ্যই” আছে। আরবিতে “ইন্না”। মানে আছেই আছে। উপরে একবার বলেছি, আমাদের কথার ঠিকঠিকানা না-ই থাকতে পারে, কিন্তু আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না কখনো। কাজেই তিনি যখন বলেছেন কষ্টের সাথে স্বস্তি আছেই আছে, দুনিয়ার আর কোনো ওষুধ আমার এই কষ্ট উধাও করতে পারবে না।
মন খারাপ যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যাবে, তখনো আশাহত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, “কষ্টের পর অবশ্যই স্বস্তি আছে।” এখানেই শেষ না। এই কষ্টকর অবস্থাটা যদি দাঁতে দাঁত চেপে পার করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে আল্লাহ আপনাকে আরও ভালো কিছু উপহার দেবেন।
আচ্ছা, বলেন তো, পৃথিবীতে কোনো সুখ কি চিরস্থায়ী হয়? আপনি এই কথা ভেবে মন খারাপ করেন। অথচ এটা ভাবেন না যে, পৃথিবীতে কোনো দুঃখও তো চিরস্থায়ী হয় না! কী আশ্চর্য মনমানসিকতা আমাদের। খালি নেতিবাচকটাকে আমল দিই। সুখ যেমন বেশিক্ষণ থাকে না, দুঃখও থাকবে না। কাজেই দুঃখে দুঃখে নিজেকে শেষ করার কোনো মানে নেই।
❒ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতে, আপনার হাতে না
___________
মানুষের মনে হতাশা কোথা থেকে আসে জানেন? অসহায়ত্ব থেকে। আমি যেভাবে সবকিছু ঠিক করেছিলাম সেভাবে হলো না। সবকিছু আমার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দিনকেদিন পরিস্থিতি খারাপের দিকেই যাচ্ছে। আমি কিছুই করতে পারছি না। এভাবে মানুষ একসময় সবকিছুর আশা ছেড়ে দেয়। আমি কিছু পারলাম না। আমাকে দিয়ে কিছু হলো না। এইসব আত্মঘাতী চিন্তাগুলো বাড়তে বাড়তে হতাশায় রূপ নেয়।
আচ্ছা, আমাকে একটা কথা বলেন তো, পৃথিবীর কোন জিনিসটার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে? সবকিছুই তো আল্লাহর হাতে। আল্লাহই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাহলে আপনি কেন খামোকা নিজের অক্ষমতা নিয়ে আক্ষেপ করে করে নিজের বারোটা বাজাচ্ছেন?
একটু থেমে চিন্তা করুন: চারপাশের পরিস্থিতি কোনোকালেই আপনার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। যাঁর হাতে এগুলোর নিয়ন্ত্রণ তিনিই সেরা পরিকল্পনাকারী। আর তাঁর চেয়ে বেশি কেউ আপনাকে ভালোও বাসে না। কাজেই সবকিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন। দেখবেন, কী নির্ভার লাগছে!
অনেকসময় আমরা আল্লাহর অনেক কাজকর্মে মাথামুণ্ডু বুঝতে পারি না। কী কারণে আল্লাহ এমনটা করলেন মাথায় ঢোকে না। ঢোকার কথাও না। সে যাহোক, আল্লাহ সবকিছু সামলাবেন, এটা মাথায় ভালো করে ঢুকিয়ে নিন। আল্লাহর পরিকল্পনায় আস্থা রাখুন। দেখবেন শরীর-মন সব মুহূর্তেই চনমনে হয়ে পড়ছে।
❒ নিজের সেরাটা ঢেলে বাকিটা আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিন
___________
একটা জায়গায় যেয়ে আমরা সবাই বাধা। কাচ্চি বিরিয়ানী বানানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করে চুলোয় তুলে দেওয়ার পর আপনার কিন্তু আর কিছু করার নেই। এখন যা হওয়ার ওটা আল্লাহর ইচ্ছায় উপকরণগুলো নিজেরাই করবে। ওষুধ খাওয়ার পর আপনি কি ওষুধকে বলে দিতে পারেন, কী কী করতে হবে? ওষুধ তার নিজগুণেই করে। যখন আল্লাহ চান না, তখন সেই ওষুধের বাবারও কিছু করার থাকে না। একই ক্যানসার অসুখ থেকে যুবরাজ সিংরা বেঁচে আসে, আবার হুমায়ূন আহমেদরা মারা যায়। আমার আপনার কী করার আছে এখানে?
একটা সীমা পর্যন্ত আমরা কিছু করতে পারি। আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি। আমাদের কাজকর্ম আমাদের হাতে, কিন্তু এর ফলে কী হবে সেটা কস্মিনকালেও আমাদের হাতে ছিল না।
আপনার আমার কথা বাদ দেন, খোদ আল্লাহর নাবিদেরও তাদের কাজের ফলাফল কী হবে সেটার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে ছিল না।
নূহ (আ.)-এর কথাই চিন্তা করুন। নয় শ বছর দিনরাত মানুষকে আল্লাহর দিকে ডেকে ডেকে কী ফল পেলেন তিনি? নিজের স্ত্রী-সন্তানকেই মুসলিম বানাতে পারলেন না। লূত নাবির নিজের স্ত্রীর অবস্থাও একই। আমাদের ‎নবিজিই ‎ﷺ তো কত জায়গায় দা‘ওয়াহ দিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে এসেছেন। তো তার মানে কি এই যে, উনারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন? অ্যাবসার্ড! কক্ষনো না। উনারা উনাদের সর্বোচ্চ ঢেলে দিয়েই সবসময় সব কাজ করেছেন। কিন্তু, ঐ যে, ফলাফল আমার আপনার হাতে না; আল্লাহর হাতে। আল্লাহর জ্ঞানে যেটা যেভাবে ভালো হবে, সেটা তিনি সেভাবেই করেন। যখন ভালো মনে করবেন, তখনই করবেন।
আমি যেভাবে চাইলাম, সেভাবে হলো না। আমি যেমনটা চেয়েছিলাম, তেমনটা হলো না — এতসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ না করে, আপনি আপনার কাজটা করে যান ঠিকঠাকমতো। কাজের ফলাফল দিয়ে আল্লাহ আপনাকে কক্ষনো যাচাই করবেন না। কাজটা আপনি খালিস নিয়্যাতে তাঁর জন্য করেছেন কি না, তিনি শুধু সেটাই দেখবেন। এর উপরই আমাকে, আপনাকে নাম্বার দেবেন। কাজেই, নিজের কাজ ভালোমতো করে যান। বাকিটা আল্লাহর চিন্তা!
❒ আল্লাহ আপনাকে যা দিয়েছে তা নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকুন
___________
খারাপ সময়ে আমাদের আরেকটা জনপ্রিয় বদভ্যাসের কথা বলি। সময় যখন খারাপ যায়, তখন কী নেই এগুলোই দেখি। কত কী যে আল্লাহ দিয়ে রেখেছেন সেগুলোর দিকে ভুলেও চোখ যায় না।
বিপদে আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার জন্য মা আছে। শক্তহাতে ধরার জন্য আপনার বাবা আছে। ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখার জন্য আপনার স্ত্রী আছে। ভালো বন্ধুবান্ধব আছে। নিদেনপক্ষে থাকার একটা ঘর আছে। কিছু না কিছু আছেই আপনার। কী আছে শুধু এটার লিস্ট বানিয়ে মনে হয় আরেকটা আর্টিকেল লেখা যাবে। এত কিছু থাকার পরও মন খারাপ করে থাকার কোনো মানে হয় না ভাই।
পশ্চিমে মানে পশ্চিমা দেশগুলোতে “গ্রাটিটুড জার্নাল” নিয়ে বেশ গবেষণা হচ্ছে। গ্রাটিটুড জার্নাল বা “কৃতজ্ঞতা রোজনামচা”র কাজ হলো আপনি আপনার জীবনের কোন কোন জিনিস নিয়ে কৃতজ্ঞ সেগুলোর তালিকা করবেন। ওরা গবেষণা করে দেখেছে যে, সামান্য এই তালিকা করলেই মনের উপর থেকে চাপ কমে যায়। মন শান্ত হয়। করণীয় কাজটা সুন্দর করে মন দিয়ে করা যায়।
আমাদের আল্লাহ সেই কবেই বলে দিয়েছেন, “তোমরা যদি কৃতজ্ঞ থাকো, তাহলে আমি আরও বাড়িয়ে দেব।” (সুরাহ ইবরাহীম, আয়াত : ৭)
কী বাড়িয়ে দেবেন সেটা নির্দিষ্ট করে বলে দেননি। আর মজাটা এখানেই। আপনার যখন যেটা প্রয়োজন বলে আল্লাহ মনে করবেন, ইনশা’আল্লাহ, তিনি তখন আপনাকে সেটা দেবেন। শুধু দেবেনই না, দিতেই থাকবেন! শুধু কৃতজ্ঞ থাকতে হবে আর কি!
❒ হতাশ অবস্থার দু‘আ
___________
দু‘আ মু’মিনের সেরা অস্ত্র। হ্যারি পটারের জাদুর কাঠির আসর শুধু সিনেমার পর্দাতেই। বাস্তবে এসবের কোনো ভিত্তি নেই। অথচ এগুলো নিয়েই আজকাল মাতামাতি।
কিন্তু দু‘আ নামক অস্ত্র দিয়ে কত মুসলিম যে কত অসম্ভব সাধন করছে, তার খবর কজন রাখে। দু‘আ মু’মিনের মিরাকল অস্ত্র। আমাদের একটা ধাত আছে দু‘আকে শেষ ভরসা হিসেবে ব্যবহার করার। ঐ যে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে। ডাক্তাররা সব আশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন বলছেন, আল্লাহকে ডাকুন। একমাত্র আল্লাহই এখন ভালো করতে পারবেন। আচ্ছা, ডাক্তাররা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভালো করলে সেটা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইচ্ছায় হয়? সবকিছু বিফলে যাওয়ার পর কি আল্লাহ ময়দানে হাজির হয়ে ভোজবাজির মতো সব পাল্টে দেন? আল্লাহকে নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনাগুলো এমন ফ্যান্টাসিময় কেন!
যাহোক, আমরা যেন হতাশ না হই, নিরাশ না হই, সেজন্য আমাদের ‎নবিজি ‎ﷺ একটি চমৎকার দু‘আ শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। বলেছেন শোনামাত্রই যেন মুখস্থ করে নিই। মুখস্থ করা নিয়ে আমাদের আরেকটা সমস্যা আছে। এত বড় দু‘আ (আসলে কিন্তু মাত্র কয়েক লাইন) কি আমি মুখস্থ করতে পারব? এই বয়সে কি আর এসব মুখস্থ হয়? কী আর বলব। আমরা নিজেরাই যদি নিজেদের নিয়ে এমন বাজে ধারণা রাখি, তাহলে আর কী বলার আছে। যাদের মনের মধ্যে এরকম ধারণা তাদেরকে যদি বলি ৬০/৭০ বছরেও মানুষ পুরো কুর’আন মুখস্থ করে ফেলেছে, তাহলে কি তারা কিছুটা অনুপ্রেরণা পাবেন?
যাহোক, দু‘আ মুখস্থ করার বেলায় আমার ক্ষেত্রে যেটা কাজ করে তা হলো, দু‘আর অর্থ জানা। অর্থ জানলে সেই দু‘আটা মুখস্থ করার ব্যাপারে আগ্রহ জাগে। দু‘আ শুধু দুর্বোধ্য “মন্ত্রের” মধ্যে আটকে থাকে না।
আচ্ছা দু‘আর মানে কী বলেন তো? মিনতি। আকুতি। আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া। কী চাচ্ছেন সেটা যদি না-ই বোঝেন, তাহলে সেটা মন্ত্র ছাড়া আর কী! তোতাপাখিও তো বুঝেই মুখস্থ কথা বলে, না?

اللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِيْ عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِي، وَنُوْرَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّيْ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ইবনু ‘আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী।
ভাবার্থ হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন — আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী। (আহমাদ ১/৩৯১, নং ৩৭১২। আর শাইখ আলবানী তাঁর সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ গ্রন্থে ১/৩৩৭ একে সহীহ বলেছেন)
দু‘আটার শেষে আল্লাহর ‎রাসূল ‎ﷺ চমৎকার একটা কথা বলেছেন। “আল্লাহ তার দুঃখ তো দূর করবেনই, তার কষ্টটাকে আনন্দ দিয়ে বদলে দেবেন!”
আল্লাহ, তুমি সত্যিই মহান! একমাত্র আল্লাহই আছেন, যিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। কাজেই এসব দুঃখকষ্ট ঠিক করা তাঁর কাছে কোনো ব্যাপার না। যারা তাঁর কাছে চায়, তিনি তাদের ঠিকই সাহায্য করেন। আল্লাহর উপর ভরসা করার মতো ভরসা করুন। তার পরিকল্পনায় আস্থা রাখুন। দেখবেন মনের উপর থেকে ভীষণ একটা চাপ নেমে যাবে। নির্ভার লাগবে। স্বস্তির নিঃশ্বাস বের হবে। স্নিগ্ধ প্রশান্তিতে মনটা ভরে উঠবে। আপনার জীবন ও এর আশেপাশের সবকিছু যে আপনার হাতে না, সেরা পরিকল্পক আল্লাহর হাতে — এই কথাটাই মনটাকে ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
একটু দাঁড়ান…
খুব সম্ভবত এরকম লেখা আপনি প্রথম পড়ছেন না। আগেও অনেকবার পড়েছেন। পড়ার পর মোটামুটি কয়েকদিন আর্টিকেলে দেওয়া ওষুধ কাজে লাগাতে পেরেছেন। কিন্তু কয়েকদিন বাদে যেই কে সেই। দুদিন পর পর একই সমস্যায় এই লেখাটা যেন কাজে লাগাতে পারেন, সেজন্য দুটা কাজ করুন।
ডিগো (প্লে-স্টোর, ক্রোম একস্টেনশন) — অ্যাপে লেখাটা “মন খারাপ”, “হতাশা” ইত্যাদি উপযুক্ত ট্যাগ দিয়ে সেইভ করে রাখুন। ডিগো অ্যাপ দিয়ে যেকোনো আর্টিকেলের নোট আউটলাইন করে তুলে রাখা যায়।
এরপর যখনই আবার মন খারাপ হবে, হতাশ হবেন, এবং এই আর্টিকেলের অনেক টোটকাই আর মনে থাকবে না তখন ঐ নোটগুলো দেখে স্মৃতি ঝালিয়ে নিন। আর কিছু করা লাগবে না। জীবনেও আর মন খারাপ করা নিয়ে অন্য কোথাও যেতে হবে না ইনশা’আল্লাহ।
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
'দাওয়াহ' পেইজ থেকে সংগৃহীত! (আল্লাহ্‌ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
_
#ওহী (Seeking The Way To Jannah)

Address

West Jatrabari
Dhaka
1204

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Perfect Homeopathy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Perfect Homeopathy:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram