Nutricounsel By Oishi

Nutricounsel By Oishi Let's unlock your healthier you!

Helping you reach your health goals through personalized nutrition!

• Get science-backed guidance to feel your best.
• Deliver lasting outcomes through tailored methods.
• Stay supported, anytime, anywhere.

গরমকালে হিট স্ট্রোক (Heat Stroke) একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে শরীরের তাপমাত্রা ...
12/05/2025

গরমকালে হিট স্ট্রোক (Heat Stroke) একটি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা। অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে গেলে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

১. প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা :
* ঘাম শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, আর ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। তাই ডিহাইড্রেশন এড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা জরুরি।
* শুধু পানি ছাড়াও ডাবেরপানি, শরবত, ফলের রস, ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় পান করতে পারেন।
* চা, কফি বা অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো শরীরকে আরও ডিহাইড্রেটেড করতে পারে।

২. হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা :
* হালকা রঙের পোশাক তাপ শোষণ কম করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
* ঢিলেঢালা পোশাক বাতাস চলাচল করতে দেয়, যা ঘাম শুকিয়ে শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
* সুতির (Cotton), লিনেন (Linen), সিল্ক (Silk) বা হেম্প (H**p) কাপড়ের পোশাক গরমের জন্য আরামদায়ক।

৩. দিনের বেলায় রোদ এড়িয়ে চলা (Avoid the Sun Between 11am and 3pm):
* দিনের এই সময়টাতে সূর্যের তেজ সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই সম্ভব হলে এই সময়টাতে সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলুন।
* যদি বাইরে বেরোতে হয়, তাহলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ ব্যবহার করুন।
* সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন, কারণ সানবার্ন ত্বকের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং শরীরকে ঠান্ডা করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কমপক্ষে SPF 15 যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন এবং প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর পুনরায় লাগান।

৪. ঠান্ডা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করা :
* যদি বাড়িতে এয়ার কন্ডিশনার থাকে, তাহলে তার ব্যবহার করুন।
* যদি এয়ার কন্ডিশনার না থাকে, তাহলে দিনের বেলায় জানালা ও দরজা বন্ধ রাখুন এবং রাতে যখন তাপমাত্রা কমে যায় তখন খুলে দিন।
* পাখা ব্যবহার করুন, তবে খুব বেশি গরমের সময় শুধু পাখা যথেষ্ট নয়। ভেজা কাপড় গায়ে দিয়ে বা স্প্রে বোতলে পানি ভরে শরীরে স্প্রে করে পাখার বাতাস নিন।
* শপিং মল বা অন্য কোনও ঠান্ডা পাবলিক প্লেসে কিছু সময় কাটান।
* ঠান্ডা পানিতে গোসল করুন অথবা ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে নিন।

৫. শারীরিক কার্যকলাপ সীমিত করা:
* গরমের সময় অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
* যদি ব্যায়াম বা অন্য কোনও শারীরিক কাজ করতেই হয়, তাহলে দিনের ঠান্ডা সময়ে (সকালের আগে অথবা সন্ধ্যার পরে) করুন।
* কাজের সময় ঘন ঘন বিশ্রাম নিন এবং ছায়াযুক্ত স্থানে বসুন।

৬. কিছু ঔষধের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা :
* কিছু ওষুধ শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করতে পারে বা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাধা দিতে পারে। আপনি যদি এমন কোনও ওষুধ খান, তাহলে গরমের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৭. তাপমাত্রার পূর্বাভাস সম্পর্কে অবগত থাকা:
* আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস জেনে নিন এবং তাপমাত্রা বেশি থাকলে সেই অনুযায়ী নিজের কাজকর্ম পরিকল্পনা করুন।

৮. ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা :
* গরমের সময় বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। তাদের হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

হিট স্ট্রোক একটি জরুরি অবস্থা। যদি কারও হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা যায় (যেমন - উচ্চ তাপমাত্রা, ত্বক লাল ও শুকনো, দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া), তাহলে অবিলম্বে তাকে ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে যান, জামাকাপড় ঢিলা করে দিন এবং দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।

গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে হঠাৎ করে মন চাইলো নাহ এক ঢোক কোক খেলেই বোধ-হয় তৃপ্তি লাগবে,এই ভাবে নিজের পকেটের টাকা তো খসাচ্ছেন ই...
27/04/2025

গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে হঠাৎ করে মন চাইলো নাহ এক ঢোক কোক খেলেই বোধ-হয় তৃপ্তি লাগবে,
এই ভাবে নিজের পকেটের টাকা তো খসাচ্ছেন ই সাথে শরীরের কি ক্ষতি করছেন একটু তো জানা প্রয়োজন!!!!!
কোমল পানীয় বা এই সফট ড্রিংকস গুলো সাময়িক সময়ে আমাদের আরাম বোধ করালেও বিনিময়ে আমাদের যে ক্ষতি করছে-

ওজনবৃদ্ধি এবং স্থুলতা-কোমল পানীয় তে অতিরিক্ত চিনি বা অতিরিক্ত ক্যালরি থাকে যা আমাদের ওজন বৃদ্ধি করতে পারে এবং ফলাফলস্বরূপ স্থুলতার পর্যা যেতে পারে।

হৃদরোগজনিত সমস্যা-অতিরিক্ত চিনি উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে এবং পরবর্তী এটি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বৃদ্ধি করে

দাঁতের ক্ষয় - কোমল পানীয় তে ফসফরিক আ্যসিড এবং সাইট্রিক আ্যসিড থাকে যা দাঁতের এনামেল কে ক্ষয় করতে পারে।

টাইপ-২ ডায়াবেটিস-কোমল পানীয় তে থাকা অতিরিক্ত চিনি ব্লাড সুগার স্পাইক বা রক্তে শর্করার বৃদ্ধি করতে পারে যা পরে ইনসুলিন রেসিস্টেন্স করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস এর প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।

এছাড়াও নিজের শরীরকে আমরা হাইড্রেটেড করতে এটি খাই,কিন্ত এটি আমাদের শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে দেয় এবং কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তাহলে উপায়?
কোমল পানীয় এর এক ঢোক এর বদলে আমরা এক বোতল মিনারেল ওয়াটার নিতে পারি।
যা তুলনামূলক ভাবে উপকারী এবং আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড করবে,
এছাড়াও সাশ্রয়ী।

মিনারেল ওয়াটার এ থাকে ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা আমাদের শক্তশালী হাড় গঠনে সহায়তা করে।

মিনারেল ওয়াটার এ থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের হার্টের জন্য উপকারী, কারণ এটি আমাদের শরীরে HDL(ভালো কোলেরেস্টল) এর মাত্রা বাড়ায় এবং LDL(খারাপ কোলেস্টেরল) এর মাত্রা কমায়।

মিনারেল ওয়াটার থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের হজমেও সহয়তা করে থাকে।

নোট-ব্রান্ড এবং এর উপাদান গুলো ভালোভাবে দেখে মিনারেল ওয়াটার কিনতে হবে।

তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, এবং তীব্র দাবদাহের সতর্কতা ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলেছে।  এই প্রচণ্ড গরম শুধু ...
17/04/2025

তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে, এবং তীব্র দাবদাহের সতর্কতা ইতোমধ্যেই মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলেছে। এই প্রচণ্ড গরম শুধু অস্বস্তির কারণই নয়, বরং তা পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের মতো গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।
এমন পরিস্থিতিতে দই দিয়ে বানানো এই পানীয়টি গ্রীষ্মকালে শুধু শরীর ঠান্ডা রাখার জন্যই নয়, বরং তা পুষ্টি ও হাইড্রেশনের চমৎকার উৎস হিসেবেও বিবেচিত।

✅লাচ্ছি কী?
লাচ্ছি হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী পানীয়, যা দই, পানি, মসলা ও কখনও ফল দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। এটি মূলত দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনপ্রিয় পানীয়। শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলজুড়ে এটি গ্রীষ্মকালীন তাপ থেকে স্বস্তি ও হজমে সহায়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি হাইড্রেশন ও পুষ্টির উৎস হিসেবে লাচ্ছি ব্যাপক জনপ্রিয়।

✅দাবদাহে লাচ্ছির উপকারিতা
১. প্রাকৃতিক হাইড্রেশন: লাচ্ছি প্রধানত দই দিয়ে তৈরি হওয়ায় এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। প্রচণ্ড গরমে দেহে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে এটি কার্যকর। দইয়ের পানি দেহে তরল ফিরিয়ে আনে এবং ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
২. শীতল প্রভাব: ঠান্ডা পরিবেশিত লাচ্ছির ঘন ও ক্রিমি গঠন শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৩. ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ: অতিরিক্ত ঘামের কারণে দেহে পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইট হারিয়ে যায়। লাচ্ছি, বিশেষ করে লবণ দিয়ে তৈরি করা হলে, এই ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
৪. হজমে সহায়ক: গরমে অনেক সময় হজম ক্ষমতা কমে যায়। লাচ্ছিতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, অম্বল কমায় ও হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে।
৫. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রোবায়োটিক উপাদানযুক্ত দই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গরমকালে খাদ্যজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়, আর নিয়মিত লাচ্ছি পান করলে শরীর সুস্থ থাকে।
৬. তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়: লাচ্ছিতে প্রাকৃতিকভাবে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বি থাকে, যা গরমে ক্লান্ত শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি ফিরিয়ে আনে।
৭. সানস্ট্রোক ও হিট এক্সহস্টশন প্রতিরোধ করে: পুড়ছে এমন তাপমাত্রায় লাচ্ছি শরীর ঠান্ডা করে এবং মাথা ঘোরা, বমিভাব ও দুর্বলতা প্রশমনে সহায়তা করে। পুদিনা পাতা বা অন্যান্য ঠান্ডা প্রভাবকারী উপাদান যোগ করলে এর কার্যকারিতা আরও বাড়ে।

✅ বাড়িতে লাচ্ছি তৈরির উপায়
মিষ্টি লাচ্ছি:
উপকরণ:
- ১ কাপ দই
- আধা কাপ ঠান্ডা পানি
- ১–২ টেবিল চামচ চিনি (স্বাদমতো)
- এক চিমটি এলাচ গুঁড়ো
- বরফের টুকরো (ঐচ্ছিক)
প্রস্তুত প্রণালি:
সকল উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
নোনতা লাচ্ছি:
উপকরণ:
- ১ কাপ দই
- আধা কাপ ঠান্ডা পানি
- আধা চা চামচ লবণ (স্বাদমতো)
- এক চিমটি জিরা গুঁড়ো (ঐচ্ছিক)
- পুদিনা পাতা সাজানোর জন্য
প্রস্তুত প্রণালি:
সব উপকরণ ব্লেন্ড করে পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা পরিবেশন করুন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান দাবদাহের সময় স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ সময় পানিশূন্যতা এড়াতে ও শরীর ঠান্ডা রাখতে লাচ্ছির মতো প্রাকৃতিক ও উপকারী পানীয়ই হতে পারে কার্যকর সমাধান। গরমের দিনে এক গ্লাস লাচ্ছি কেবল শরীরকে ঠান্ডা রাখে না—এটি এক ঐতিহ্য, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষকে স্বস্তি দিয়ে আসছে।

I am profoundly grateful for the trust the INO platform has placed in me. Contributing to a prestigious event that empow...
27/03/2025

I am profoundly grateful for the trust the INO platform has placed in me. Contributing to a prestigious event that empowers and inspires the next generation of nutrition leaders is an immense honor.

Meet the Jury of INO 2025.

We are delighted to have Zinatul Jahra Oishi as our esteemed jury.
Register now & be part of this movement!

Registration Link: https://forms.gle/fJxMusdSUaZ8EG9r6

Submission Link: https://forms.gle/CoDEBUqNccyrAjQ29

Find out your id from this link: https://shorturl.at/nKfuW

✅ইফতারে নানা ধরনের শরবতের আয়োজন থাকে। দিনভর রোজা রাখার পর এসব পানীয় আমাদের দ্রুত চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। এছাড়া পানির চা...
27/03/2025

✅ইফতারে নানা ধরনের শরবতের আয়োজন থাকে। দিনভর রোজা রাখার পর এসব পানীয় আমাদের দ্রুত চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। এছাড়া পানির চাহিদা মেটাতেও শরবতের জুড়ি নেই। রুহ আফজা, তরমুজ, পুদিনা পাতা, লেবুসহ নানা কিছু ব্যবহৃত হয় শরবত বানাতে। এসব শরবতেই যদি কিছু বীজ ও উপাদান মিশিয়ে নেন, তাহলে বাড়তি উপকার পেতে পারেন। জেনে নিন শরবতে কোন কোন উপাদান মিশিয়ে এর গুণ বাড়াবেন।

১। তোকমা
ইফতারে তোকমার শরবত খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। স্মুদি কিংবা শরবতে ভেজানো তোকমা মিশিয়ে দিতে পারেন সহজেই। বীজটি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। তোকমা অনেকটা চিয়া বীজের মতোই দেখতে, পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ছোট, কালো এবং থকথকে হয় এটি। খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে তোকমা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা পর্যন্ত এটি ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায়। তোকমায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফাইবারের অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার মধ্যে একটি হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক। রোজা রেখে তোকমার শরবত খেলে আমাদের শরীরের তরলের মাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়। আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে তোকমার শরবত। এতে মিউকিলেজ থাকে। এটি এক ধরনের জেলের মতো পদার্থ যা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে যায়। এই জেলের মতো টেক্সচার নিয়মিত খেলে হজম ভালো হয়। এছাড়া তোকমায় থাকা ফাইবার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, কোলোরেক্টাল ক্যানসার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

২। চিয়া সিড
চিয়া সিডকে বলা হয় সুপার ফুড। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস এই বীজ। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজও মেলে এই বীজ থেকে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। চিয়া বীজ প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে, ফলে ইফতারে চিয়া সিডের শরবত খেলে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজম ভালো হয়, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সর্বোপরি ভালো থাকে হার্টের স্বাস্থ্য। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে ক্ষুদ্র এই বীজ। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে শরীরের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করতে পারে চিয়া বীজ। ফলে ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজ ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের দারুণ উৎস।
ইসবগুল মিশিয়ে নিতে পারেন শরবতে। ছবি- সংগৃহীত

৩। ইসবগুল
রোজা রেখে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। জারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা তো বটেই, অন্যরাও শরবতের সঙ্গে খেতে পারেন ইসবগুলের ভুসি। ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করে, হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ইসবগুল পাকস্থলী ও খাদ্যনালির ভেতরে আলাদা একটি পর্দা তৈরি করে, যা অ্যাসিড থেকে খাদ্যনালীর পর্দাকে রক্ষা করে বুক জ্বালাপোড়া কমায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়ক উপাদানটি। তবে ইসুবগুল দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খাবেন না। শরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।

৪। সাবুদানা ইফতারে বানিয়ে ফেলতে পারেন সাবুদানার শরবত। চুলায় পানি বসিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে এক কাপ সাবুদানা দিন। মাঝারি আঁচে ১০ থেকে ১২ মিনিট সেদ্ধ করুন। সাবুদানাগুলো স্বচ্ছ দেখা গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ছাঁকনিতে থাকা অবস্থাতেই ঠান্ডা পানি ঢেলে ধুয়ে নিন। পছন্দের যেকোনো শরবতে মিশিয়ে নিন সেদ্ধ সাবুদানা। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় সাবুদানায়। ফলে এটি খেলে অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমে। শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতেও এর ভূমিকা রয়েছে।

রোজা রেখে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং অত্যধিক ভাজাপোড়া খাবার...
21/03/2025

রোজা রেখে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। হঠাৎ জীবনযাত্রার পরিবর্তন, পর্যাপ্ত পানির অভাব এবং অত্যধিক ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। রোজার মাসে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কিছু পরামর্শ জেনে নিন।

কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর উপায়:
✅ পর্যাপ্ত পানি পান:
* সারা দিন রোজা রাখার পর শরীর পানিশূন্য হয়ে যায়। তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে পানি পান করুন।
* ইফতারে শরবত, ফলের রস এবং অন্যান্য তরল খাবার রাখতে পারেন।

✅ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ:
* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য আঁশযুক্ত খাবার খুবই জরুরি। ইফতার ও সেহরিতে শাকসবজি, ফলমূল, ডাল, লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি, ওটস ইত্যাদি খাবার রাখুন।
* ইফতারে খেজুর খাওয়া খুব ভালো, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
✅ নিয়মিত হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা :
* নিয়মিত হালকা ব্যায়াম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। রাতে খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
রোজার সময় ব্যায়াম করা যাবে না এমন নয়। বরং ব্যায়াম কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আমাদের সুস্থ রাখে। ইফতারের পর ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন।

✅ তেল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার:
* অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যেতে পারে।

✅প্রাকৃতিক খাবার গ্রহণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা:
* প্রাকৃতিক খাবার, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিয়ম করে একই সময়ে টয়লেটে যাওয়া—এ রকম অভ্যাস ভালো থাকতে সাহায্য করবে।
* ইফতারে পানিতে ইসবগুলের ভুসি, চিয়া সিড, সাহ্‌রিতে খাওয়া শেষে মিনিট বিশেক পর হালকা গরম পানিতে লেবু, গরম দুধ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
* বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বনেটেড পানীয়, ফাস্ট ফুড জাঙ্ক ফুড ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।

✅ বেশি বেশি ফলমূল গ্রহণ :
* ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কাজ করে।
* আপেল ফাইবারসমৃদ্ধ ফল। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপেলের রস বেশ সহায়ক।
* মৌরিতে থাকে ডায়াটেরি ফাইবার। এটি মলে পানির অংশ যোগ করে মল নরম করে। রোজায় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আপেল ও মৌরি মিশিয়ে খেতে পারেন।

✳️এছাড়া ইফতারে শুরুতেই অনেকে পেট ভরে খেয়ে ফেলেন যা একদমই উচিত না। এ সময় অল্প চিনিযুক্ত শরবত বা জুস ও খেজুর খেয়ে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া ভালো। একবারে অতিরিক্ত খেয়ে সাহরিতে কিছু না খাওয়াও ভালো অভ্যাস না। রোজা ভেঙে দ্রুত ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটে ব্যথা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

লাবাং (Laban) একটি জনপ্রিয় দুধজাত পানীয়, যা মূলত টক দই ও ঠান্ডা পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, ...
17/03/2025

লাবাং (Laban) একটি জনপ্রিয় দুধজাত পানীয়, যা মূলত টক দই ও ঠান্ডা পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এটি বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া এবং তুরস্কে জনপ্রিয়। বাংলাদেশ ও ভারতেও এটি বিশেষ করে রমজানে ইফতারের সময় বেশ প্রচলিত।

✅লাবাং হল দই, পানি, এবং মশলা মিশিয়ে তৈরি এক ধরনের ঠান্ডা ও সুস্বাদু পানীয়, যা বিশেষ করে গরমের দিনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। লাবাং-এর বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যেমন—
১. লাবাং-এ প্রোবায়োটিক (গুড ব্যাকটেরিয়া) থাকে, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে
২. এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩. লো-ক্যালোরি ও উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় লাবাং ক্ষুধা কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৪. ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ হওয়ায় হাড় ও দাঁতের জন্য উপকারী।
৫.লাবাং এ উপস্থিত প্রোটিন ও পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
৬.লাবাং-এ থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমাতে সহায়ক।

🟢 পেটের ফ্যাট কমাতে লাবাং বেশ উপকারী , কারণ এটি কম ক্যালোরিযুক্ত, প্রোটিনসমৃদ্ধ, এবং হজমবান্ধব একটি পানীয়।
1 লাবাং-এর প্রোটিন ও প্রোবায়োটিক উপাদান হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে, যা ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
2.এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে, ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
3. লাবাং-এর ক্যালোরি তুলনামূলকভাবে কম, যা ওজন কমানোর জন্য আদর্শ।
4. পেট ফোলা ও গ্যাস কমিয়ে হালকা অনুভূতি দেয়।
5.দেহ থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়ক, যা ফ্যাট জমার প্রবণতা কমায়

✳️ ইফতারে লাবাং একটি দারুণ স্বাস্থ্যকর ও হাইড্রেটিং পানীয় হতে পারে। রোজা রাখার পর শরীর দ্রুত শক্তি পুনরুদ্ধার করতে চায়, আর লাবাং সেই চাহিদা পূরণে কার্যকরী।
ইফতারে লাবাং-এর উপকারিতা:
1. দীর্ঘক্ষণ রোজা রাখার পর শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
2. ইফতারের পর খাবার হজম সহজ করে, বিশেষ করে ভারী খাবার খেলে।
3.এতে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও মিনারেল শরীরকে শক্তি দেয়।
4.সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে পাকস্থলীতে যে অ্যাসিড তৈরি হয়, তা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
5. ভাজাপোড়া বা মিষ্টি পানীয়ের চেয়ে লাবাং বেশি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।

🟩 ইফতারে কখন খাবেন?
- ইফতার শুরুতে ১ গ্লাস লাবাং পান করলে শরীর সতেজ থাকবে।
- বেশি ভাজাপোড়া খাওয়ার আগে এটি পান করলে হজমে সাহায্য করবে।

রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এর অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও রয়েছে। নিচে রোজা রাখার কিছু বৈজ্ঞানিক উপকা...
16/03/2025

রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এর অনেক বৈজ্ঞানিক উপকারিতাও রয়েছে। নিচে রোজা রাখার কিছু বৈজ্ঞানিক উপকারিতা তুলে ধরা হলো:
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণ:
* রোজা রাখার মাধ্যমে ক্যালোরি গ্রহণ কমে যায়, ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* রোজা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
✅হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস:
* রোজা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
* রোজা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
✅ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
* রোজা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* রোজা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
✅হজমের উন্নতি:
* রোজা হজমতন্ত্রকে বিশ্রাম দেয় এবং এর কার্যকারিতা বাড়ায়।
* রোজা শরীরের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
✅ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
* রোজা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* রোজা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
✅ মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি:
* রোজা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
* রোজা মানসিক শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বাড়ায়।
✅কোষের পুনর্জন্ম:
* রোজা অটোফেজি নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে।
* এটি শরীরকে ডিটক্সিফাই এবং পুনরুজ্জীবিত করে। যার ফলে মানব শরীর নতুন জীবনীশক্তি লাভ করে।
✅ঘুমের উন্নতি:
* রমজান মাসে রোজা রাখা ভালো ঘুম হওয়া এবং ঘুমের সাথে সম্পর্কিত রোগের জন্য উপকারী।
🔺এসমস্ত উপকার পাওয়া তখন ই সম্ভব যখন রোজা রাখার সাথে সাথে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন,খাওয়াদাওয়া হয়।প্রতিদিন ইফতারে ভাজাপোড়া,তেলজাতীয় খাবার এসব বর্জন করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
সেই সাথে, কিছু স্বাস্থ্যগত অবস্থা থাকলে রোজা রাখার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

আমাদের দেশে রমজান মাসে ইফতারে ৯৫% মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছোলা বা বুট খেয়ে থাকে। ছোলা বা বুট অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উচ্চমানে...
12/03/2025

আমাদের দেশে রমজান মাসে ইফতারে ৯৫% মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছোলা বা বুট খেয়ে থাকে। ছোলা বা বুট অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উচ্চমানের প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি খাবার।ছোলা আমিষের জন্য খুব ভাল একটি উৎস। শুধু তাই নয় শর্করা, আঁশ এবং প্রোটিন ছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলের দিক দিয়ে ছোলার কোনো জুড়ি নেই।
রমজানে প্রায়ই আমরা ছোলাবুট মুড়ি মাখা বা ভাজপোড়ার সাথে খেয়ে থাকি,এতে পুষ্টির চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
তাই আজ জানবো ছোলাকে কিভাবে আরো ভিন্ন কয়েকটি উপায়ে খাওয়া যেতে পারে।

🔸গাজর ও ছোলার সালাদ

গাজর এবং ছোলার সালাদ তৈরির জন্য:

▪️একটি বড় বাটিতে সেদ্ধ ছোলা, কুচি করা গাজর, টমেটো এবং পেঁয়াজ দিন।
▪️এতে অলিভ অয়েল, লেবুর রস, নুন, কাঁচা মরিচ এবং ধনে পাতা যোগ করুন।
▪️সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।

এটি একটি স্বাস্থ্যকর ও তাজা সালাদ!

🔸পালং শাকের সাথে ছোলা রেসিপি:

▪️একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ এবং রসুন ভেজে নিন।

▪️এরপর জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো, এবং নুন যোগ করুন।

▪️পালং শাক দিন এবং ভালোভাবে নেড়ে শাক সেদ্ধ হতে দিন।
▪️সেদ্ধ ছোলা যোগ করে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন।
সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

🔸মসুর ডাল দিয়ে ছোলার স্যুপ রেসিপি:
▪️মসুর ডাল ও সেদ্ধ ছোলাকে পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন।

▪️একটি প্যানে তেল গরম করে জিরা, পেঁয়াজ ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভেজে নিন।

▪️এরপর টমেটো, গাজর, হলুদ গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো ও নুন যোগ করুন।
▪️সেদ্ধ করা মসুর ডাল ও ছোলা যোগ করে একটু পানি দিয়ে স্যুপের মতো তৈরি করুন।
কিছুক্ষণ রান্না করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

এটি একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু স্যুপ!

🔸হামাস (Hummus) একটি জনপ্রিয় মধ্যপ্রাচ্যের ডিপ, যা সাধারণত পিটা ব্রেড, সালাদ বা গ্রিলড মাংসের সাথে খাওয়া হয়। এটি তৈরি করা হয় ছোলা, তাহিনি (তিলের পেস্ট), রসুন, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল দিয়ে।

🔸হামাস রেসিপি:

▪️ভিজিয়ে রাখা ছোলা ভালোভাবে ধুয়ে নিন এবং সিদ্ধ করুন যতক্ষণ না নরম হয়ে যায়। চাইলে ক্যান ছোলা ব্যবহার করতে পারেন।
সিদ্ধ ছোলা ঠান্ডা করে ব্লেন্ডারে নিন।
▪️এর মধ্যে তাহিনি, রসুন, লেবুর রস, অলিভ অয়েল, জিরা গুঁড়া ও লবণ যোগ করুন।
মসৃণ ও ক্রিমি টেক্সচারের জন্য অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে উপরে অলিভ অয়েল ছিটিয়ে দিন।

▪️সাজানোর জন্য পাপরিকা গুঁড়া ও পার্সলে ছিটিয়ে পরিবেশন করুন।

রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও রাতের খাবারের গুরুত্বপবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও খাওয়ার সময়ে পরিবর্তন আসে, য...
03/03/2025

রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও রাতের খাবারের গুরুত্ব

পবিত্র রমজান মাসে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও খাওয়ার সময়ে পরিবর্তন আসে, যা শরীরের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। দীর্ঘসময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের শক্তি ও পুষ্টি ধরে রাখা জরুরি। অনেক সময় সঠিক খাদ্য নির্বাচন না করার কারণে হজমজনিত সমস্যা, গ্যাসট্রিক-অ্যাসিডিটি ও বমির মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এসব সমস্যা এড়াতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ এবং তা সঠিক সময়ে খাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। ইফতার ও সেহরির পাশাপাশি রাতের খাবারও শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

✅ সঠিক পদ্ধতিতে খাবার গ্রহণ করলে শরীর সুস্থ থাকে এবং পরবর্তী দিনের রোজার জন্য শক্তি ধরে রাখা সম্ভব হয়। যদি ইফতার হালকা রাখা হয়, যেমন এক গ্লাস শরবত, দুটি খেজুর ও একটি ফল, তাহলে এক ঘণ্টা পর পুষ্টিকর রাতের খাবার খাওয়া যেতে পারে। রাতের খাবারে ভাত বা রুটি, ডাল, মাছ-মাংস ও সবজি রাখা যেতে পারে, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, যদি ইফতারে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনসমৃদ্ধ ভারী খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করা হয়, তাহলে রাতের খাবার হালকা রাখা ভালো। কারণ ভারী খাবার হজমের জন্য সময়ের প্রয়োজন হয় এবং তা পরিপাকতন্ত্রের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে ইফতার করার অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা পর রাতের খাবার খাওয়া উত্তম।

✅ অনেকেই ইফতারে অতিরিক্ত গুরুপাক খাবার খেয়ে ফেলেন, যার ফলে রাতের খাবার এড়িয়ে যান বা গ্রহণ করতে চান না। এটি সম্পূর্ণ অনুচিত, কারণ সারাদিনের উপবাসের পরে শরীরের জন্য ধাপে ধাপে খাবার গ্রহণ করা জরুরি। এতে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে, শরীর সুস্থ থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। ভারী ইফতারের পরে খুব হালকা রাতের খাবার যেমন এক গ্লাস দুধ, একটি কলা, সেদ্ধ ডিম, এক বাটি স্যুপ বা কিছু সবজি খাওয়া যেতে পারে। এতে খাবার গ্রহণের পরিমাণ সঠিকভাবে সমন্বিত থাকবে এবং হজমও সহজ হবে।

রমজানে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখতে ইফতার ও সেহরির পাশাপাশি রাতের খাবারকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ইফতারের পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে না থেকে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে তা হজমে সহায়তা করে এবং শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত ও পরিমিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোজার সময় সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব, যা আমাদের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

01/03/2025
ফাতেমা মেয়েটির, মেয়ে না বলে কিশোরী বললেই ভালো হবে বৈ কি; ওজন ছিলো ১০১ কেজি। সাথে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের সমস্যা। ওজন কমানো...
05/11/2024

ফাতেমা মেয়েটির, মেয়ে না বলে কিশোরী বললেই ভালো হবে বৈ কি; ওজন ছিলো ১০১ কেজি। সাথে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের সমস্যা। ওজন কমানোর অনেক চেষ্টা করেও বিফল হয়। শেষমেশ কি মনে করে যেনো শেষ চেষ্টা হিসেবেই আমার কাছে আসা তার।

আলহামদুলিল্লাহ, এক মাসে মেয়েটি ৬ কেজি ওজন কমাতে সক্ষম হয়েছে। সাথে মেন্সট্রুয়াল সাইকেলের সমস্যাও দূর হয়েছে। শুধু যে ওজনই কমেছে তা নয়, বরং পেটের মাপও কমেছে কিছুটা। অনেকেরই ওজন কমলেও দেখা যায় পেটের মাপ অপরিবর্তিতই থাকে। আস্তে আস্তে আরও উন্নতি হবে বলে আশা রাখছি।



Address

Mirpur/11
Dhaka
1216

Telephone

+8801620999525

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutricounsel By Oishi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nutricounsel By Oishi:

Share

Category