Benguet Corporation

Benguet Corporation Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Benguet Corporation, D1A Arifabad, Rupnagar, Mirpur, Dhaka.

17/01/2020
31/12/2019

শুভ খ্রীষ্টিয় নববর্ষ

ভুলগুলো সব ফুল হয়ে যাক
কষ্টগুলো মেঘ
মেঘগুলোকে সরিয়ে দিক
ভালবাসা, আবেগ
উঠেছে যে নতুন সূর্য
নতুন বছর এলো
নতুন করে শুরু করার
সুযোগ এসে গেলো
সুখস্মৃতি সঙ্গে থাকুক
অনুপ্রেরণা হয়ে
তিক্তগুলো শিক্ষা হয়ে
ভান্ডারে যাক রয়ে
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই
নতুন শব্দ ছন্দে
নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলি
না জড়াই দ্বন্দে
আশাবাদিতায় বুক বাঁধি
সবাই মিলে আজ
নতুন বছরটা চমতকার কাটুক
নিয়ে আনন্দ কাজ
সূর্যটাও বলবে দেখো
দিয়ে জোরে ডাক
2020 সবার জন্য
খুব চমতকার যাক

হেরে যাব কেন? হারকে নিয়তিই বা মনে করবো কেন?হারতে চায় না কেউ, তবুও সবাই হারে।হারের তিক্ত স্বাদ আমাদের জীবনটাকে দুর্বিসহ ক...
30/12/2019

হেরে যাব কেন? হারকে নিয়তিই বা মনে করবো কেন?

হারতে চায় না কেউ, তবুও সবাই হারে।

হারের তিক্ত স্বাদ আমাদের জীবনটাকে দুর্বিসহ করে তোলে বিভিন্ন সময়। অনেকেই আছেন, যাদেরকে হারটা খুব সহজেই কাবু করে ফেলে। মনটা ভীষণ খারাপ হয়। মনে হয়, আমার সব শেষ হয়ে গেল। আমি আর ঘুরে দাড়াতে পারবো না। জীবনে কখনোই এমনটা মনে হয় হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কষ্টকর হবে।

বাস্তব কথা হচ্ছে, মানুষ এই অবস্থা থেকেও ঘুরে দাড়ায় এবং জীবন চলতে থাকে। অনেকের মনে হতে পারে, হয়তো আগের মতো নয়। কিন্তু, হিসেব করলে দেখা যাবে, কখনো কখনো আগের চেয়েও অনেক ভালো।

আমি আসলে এসব কথা বলার জন্য এই লেখাটি শুরু করিনি। আমি একটু ভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে চাই। আর সেটা হলো-হারকে আমরা কতটুকু হার হিসেবে নেবো? জীবনে হারকে কীভাবে মূল্যায়ন করবো?

যদি কেউ মনে করেন-জ্ঞান দিচ্ছি-মনে করতে পারেন-কিন্তু আমি আসলে আমার জীবন থেকে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আপনার অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে। কিন্ত আপনি যদি চান তো, আমার অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃতও হতে পারেন।

জীবনে অনেক হেরেছি, অনেককে হারতে দেখেছি। এখন হার থেকে শিখতে এবং ঘুরে দাড়াতে এবং হারকে জীবন বদলে দিতে কাজে লাগাতে শিখছি।

আপনি জীবনে অনেক বড় বড় হাররে সম্মুখীন হতে পারেন। মনে করতে পারেন-আপনার জীবনটা অর্থহীন, নিষ্ফল হয়ে গেলে। কিন্তু আপনি চাইলে একটু ভিন্নভাবেও দেখতে পারেন।

দেখা যাক-হারকে আমরা সাধারণত যেভাবে নিই-সেভাবে নিলে কি হতে পারে। প্রথমত হতে পারে আপনার প্রচন্ড মন খারাপ হবে, আপনি হাল ছেড়ে দেবেন, আর চেষ্টা করতে চাইবেন না। আমি বলছি না এটা খুব খারাপ কিছু। কিন্তু আমরা এটা করি। প্রায়ই করি।

এবার দেখা যাক-এই কাজটা করা ছাড়াও আমরা আর কি করতে পারি।

প্রথমে যেটা করতে পারি সেটা হলো হারকে খেলার একটি অংশ হিসেবে নিতে পারি। (ইংরেজীতে বললে হয়তো আরেকটু ভাল হতো- স্পোর্টিংলি শব্দটা বিষয়টা আরো ভাল বোঝায়)। যাই হোক। খেলা হিসেবে নিলে কি সুবিধা? সুবিধা হলো এই যে, একটা হারই আমাদের জীবনের সব কিছুতে পরিণত হবে না। কারণ, কোন একটা খেলায় হেরে যাওয়া মানে জীবনের সব কিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বরং, পরবর্তীতে আরো ভাল প্রস্তুতি নিয়ে আরো ভাল করার সুযোগ থাকে, এমনকি খেলা পরিবর্তনের সুযোগও থাকে। সুতরাং- হারকে খেলার অংশ হিসেবে নিলে ম্যানেজ করতে বা ডিল করতে সুবিধা।

আচ্ছা, এবার দেখা যাক, খেলায় ভাল করার জন্য আমরা কি করতে পারি? তিনটা জিনিস করতে পারি:
এক: আগে থেকে খুব ভাল একটা প্ল্যান করে খুব ভাল প্রস্তুতি নিতে পারি
দুই: প্ল্যানটা খুব ভাল ভাবে কাজে লাগিয়ে হার এড়াতে পারি অন্য কথায় জিততে পারি।
তিন: যদি হেরেও যাই, সেটাকে খেলার অংশ হিসেবে নিয়ে, পাকা খেলোয়ারের মতো পরবর্তী খেলার জন্য আরো ভাল করে প্রস্তুত হতে পারি।

প্রত্যেকটি বিষয়টি নিয়ে লিখতে গেলে বিশাল বিশাল উপন্যাস লেখা যাবে। আমি যেহেতু উপন্যাস লিখতে পারি না বা জানি না তাই ছোট করে একটু লিখে দেই।

প্রথমতঃ প্ল্যান ব্যাপারটা অনেক ব্যাপক। আপনাকে ভাবতে হবে এবং সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনি আসলেই খেলাটি খেলতে চান কিনা? যদি খেলতে চান কেন-এই খেলাতে অংশগ্রহণ করা বা জেতা আপনার জন্য কতটুকু প্রয়োজন বা গুরুত্বপূর্ণ? আপনি কি খেলাটি খেলার উপযুক্ত(কোয়ালিফায়েড)? এই খেলায় জেতার জন্য আপনার যা যা উপাদান বা উপকরণ প্রয়োজন তা কি আপনার আছে বা আপনি যথাসময়ে সংগ্রহ করতে পারবেন? এর জন্য যথাযথ প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যথেষ্ঠ সময় আপনি দিতে পারবেন কি? কি কি সমস্যা বা বাধা আসতে পারে? সেগুলো কিভাবে মোকাবেলা করবেন? এই খেলায় জেতার জন্য আপনার বিশেষ ভাল দিক কি-সেগুলো কিভাবে কাজে লাগাবেন? আপনার দুর্বলতাগুলোই বা কি -সেগুলো কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন? আপনাকে এই বিষয়ে কে কে সঠিকভাবে সাহায্য করতে পারবে, তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছ থেকে কার্যকর প্রস্তুতিমূলক সহায়তা নেয়া বা খেলা চলাকলীন বা খেলা পরবর্তী সময়ে সহায়তা নেয়ার জন্য তাদের প্রস্তুত করা। এক্সিট প্ল্যান থাকা। জয়ী না হতে পারলে কি কি ঘটতে পারে। সেগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা হবে।

দ্বিতীয়তঃ মাঠ পর্যায়ে অর্থাত খেলা চলাকালীন সময়ে, প্ল্যান সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা এবং যেকোন সমস্যা (ভাল শব্দ হলো চ্যালেঞ্জ) প্ল্যান মোতাবেক মোকাবেলা করা। এবং জয়ী হওয়া।

তৃতীয়ত: জয়ী হলে তো হলেন, না হলে এক্সিট প্ল্যান কাজে লাগিয়ে পরবর্তী খেলার জন্য প্রস্তুত হওয়া অথবা অন্য খেলার জন্য প্ল্যান তৈরী করা।

পুরো বিষয়টি অনেকটা হালকা ধরণে, দুষ্টুমির ধাচে লেখা। কিন্তু কেউ যদি কাজে লাগাতে চায়, সে চাইলে সারা জীবন এটা কাজে লাগাতে পারে, জীবনটাকে পরিবর্তন করে নিতে পারে।

এই লেখাটির বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত সাদরে গৃহীত হবে। কোন কিছু বাদ পড়ে থাকলে সেটা যোগ করা হবে, কিছু ভুল থাকলে বাদ দেয়া হবে।

বি:দ্র:- বিশ্বাসীদের জন্য দু'টো কথা। যদি স্রষ্টায় বিশ্বাস করেন তাহলে মনে রাখবেন, আল্লাহ তাকেই সাহায্য করেন-যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনে চেষ্টা করেন। আমি ভাগ্যকে পরিবর্তন করতে চাইনি, ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা পদ্ধতি বলতে চেয়েছি। যদি আল্লাহ চান তো পদ্ধতিতে কাজ হবে, আল্লাহ না চাইলে আপনি যতো চেষ্টাই করেন না কেন কিছুই হবে না। তবে, চেষ্টা না করলে যে কিছু হবে না সেটাও কিন্তু সত্যি। সুতরাং চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর সাহায্য প্রার্থণা করতে ভুলবেন না। আর যদি এতো কিছু করার পরেও হার না এড়াতে পারেন তাহলে মনে করবেন-এটা আল্লাহর পরীক্ষা স্বরূপ। ধৈর্য়্য ধারণ করলে এবং আল্লাহর উপর আস্থা অটুট থাকলে, আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনাকে ইহকালে অথবা/এবং পরকালে এর চেয়ে উত্তম প্রতিদান দান করবেন।

https://www.youtube.com/watch?v=pLqCksXE47Q

"এইবার" কথা, সুর ও কন্ঠঃ সায়ান যত দূরে যাও পেছনে তাকাও শুধু পরাজয় তার’ই দেখা তুমি পাবে... এইবার... এইবার... এইবার কি যেন...

27/12/2019

প্রিয় ও সম্মানীত বন্ধুরা,

আমরা অনেকেই কখনো কখনো অন্য মানুষকে অযোগ্য, অপদার্থ বলে উপহাস করি, বিদ্রুপ করি। অথচ আমরা একটু ভেবে দেখিনা যে আমাদের নিজেদের মধ্যে কত সীমাবদ্ধতা, কত বিষয়ে কত কম জানি আমরা, কত কিছু আমরা পারি না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, অন্যকে বিচার করার, ছোট ভাবার অধিকার আমাকে কে দিল?

একজন মানুষ যেমন সব বিষয়ে সমান দক্ষ হতে পারে না, তেমনি যে জিনিসটা আমার চোখে তার অযোগ্যতা বা সীমাবদ্ধতা; সেটাই হয়তো অন্য কারো কাছে খুব কাঙ্খিত এবং খুব উপকারের।

বিশেষত, সহজ সরল মানুষেদের আমরা প্রায় সবাই করুণার চোখে দেখি বা কেউ কেউ সুযোগ পেলেই তাদের ঠকানোর চেষ্টা করি। অথচ, আসল বোকা তো আমরা! আমরা আমাদের ভেতরকার সবচেয়ে বিরাট মানবিকগুণটাই হারিয়ে যে, একটি তথাকথিত চালাক, চতুর হয়ে একটা পশুতে পরিণত হয়ে আছি সেটাই খেয়াল করছি না।

একটা কথা প্রচলিত আছে, তুমি যদি কাউকে ঠকাতে পারো-সেটাকে তোমার যোগ্যতা মনে করোনা। বরং, একটু ভাব যে, একজন মানুষ তোমাকে বিশ্বাস করেছিল আর তুমি তার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে ব্যর্থ হয়েছো। এটা চরম লজ্জার।

কিন্তু, কলি কালের মানুষ আমরা। আজ আমাদের অযোগ্যতাগুলোই আমাদের যোগ্যতা। কে কার মাথায় কিভাবে কাঠাল ভেঙ্গে খাবো? কাকে কিভাবে ঠকানো যায় সেই দক্ষতা অর্জনে আমরা প্রতিযোগীতায় লিপ্ত।

ধিক! আমাদের! ধিক এই সভ্যতা, যা মানুষের মধ্য থেকে মানবিকতা, সহজ-সরলতা দূর করে দিয়ে মানুষকে জটিলতা, কুটিলতা, কঠোরতা ও ঠকবাজীর প্রতিযোগীতার লিপ্ত রেখেছে।

বন্ধুরা, আমরা মানুষে এবং মনুষত্বে আস্থা না হারাই। হয়তো সাময়িকভাবে আমরা অনেকবার ঠকবো, হয়তো কয়েকবার প্রতারিত হবো। এই অমানবিক অসুস্থ কাজগুলো যারা করবে বা করে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। শেষে পর্যন্ত আমরাই জয়ী হবো। শেষ পর্যন্ত মনুষত্ব ও মানিবিকতাই জয়ী হবে।

আমাদের মানবিক মূল্যবোধ, সহজ সরলতা আমাদের সমস্যা নয়, আমাদের বিরল একটি গুণ। অন্যের পাশবিকতার কারণে এই মহত গুণটি আমরা হারাবো না।

কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি সব মানুষ এখনো পশুতে পরিণত হয়ে নি। এমনকি মানুষের দেহ ধারী পশুগুলোকে আমরা আমাদের মানবিক মূল্যবোধ ও চর্চা দ্বারা আবার মানুষে পরিণত করতে পারবো।

না হয়, আমরা হয়তো, নিজেদের ঐ পশুদের সমক্ষক করে এমন কাউকে অবিশ্বাস করবো বা ঠকাবো বা অবিচার করে বসবো এমন কারো উপরে যে সত্যিকার অর্থে একজন ভাল, অসহায়।

আর কে না জানে, অসহায় মানুষের উপর অবিচার যখন সকল সীমা অতিক্রম করে যাবে। পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা কেন জেনে বুঝে এ্ই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংসযজ্ঞে অংশীদার হবো?

চলুন না, একটু ভাবি, একটু কষ্ট করি, নিজেকে একটু শুধরে নিই। আমাদের প্রিয় পৃথীবিটাকে আরো মানবিক, আরো সুন্দর করে তুলি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

21/11/2019

কয়েকটি পরষ্পর সংযুক্ত বিষয়ঃ

কোন ধরণের মানুষের সার্পোট প্রয়োজন! সমালোচনা কিভাবে করলে ভাল হয়!

যে অপারগ, অসমর্থ তার অনেকবেশী সাপোর্ট প্রয়োজন।

আর যে কর্মক্ষম, সামর্থবান তারও অনেক সাপোর্ট প্রযোজন। বরং একটু বেশীই প্রয়োজন।

দু’টো ক্ষেত্রেই সাপোর্ট প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতায় ভিন্ন কারণে।

একটু ব্যাখ্যা করা যাক.....

যে অপারগ-অসামর্থ; অন্ততঃ দৃশ্যমান, তাকে সাপোর্ট কেউ না কেউ করেই। কারণ, আমাদের চারপাশে অমানুষের তুলনায় মানুষের সংখ্যাই বেশী। কারো অপারগতা বা অসামর্থের সুযোগ নিয়ে তাকে শোষণ বা বঞ্চিত বা নির্যাতন করার মতো অমানুষ নেই- পৃথিবী এতো ভাল যায়গাও না। তবুও দেখা যায়, কোন না কোন ভাবে কোন সহৃদয়বান, দয়ালু মানুষ এগিয়ে আসছেন। চিরদিন এগিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যতেও আসবেন। যতদিন আমাদের চারপাশে অমানুষের তুলনায় মানুষের আধিক্য থাকবে।

যা-ই হোক। কর্মক্ষম বা সামর্থবান মানুষের কেন সাপোর্ট বা সহায়তা লাগবে? সেই প্রসংগে আসা যাক। প্রথমেই বলে রাখি এই খানে আমি সার্পোট বা সহায়তা বলতে আর্থিক সাপর্টের কথা বলছি না।

যারা কোন কিছুর জন্য চেষ্টা করে নিজের যোগ্যতা দ্বারা নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। সেটা অর্থ, সম্মান,স্বীকৃতি, প্রতিপত্তি অর্জন-যা ই হোক না কেন।

তার কিন্তু একটু মানসিক সাপোর্টটা ভীষণ প্রয়োজন। এবং আমাদের কর্তব্য তাকে সেই সাপোর্টটা দেয়া। সেটা হতে পারে তার কাজের স্বতঃস্ফূর্ত স্বীকৃতি। সেটা তার একটু অকৃত্তিম প্রসংশা হতে পারে, তাকে একটু নিঃস্বার্থ সঙ্গ দেয়া-নিজে থেকে তার কাজ সম্পর্কে জানতে চাওয়া, সম্পৃক্ত হতে চাওয়া, ইত্যাদি অনেক উপায়ে। যাতে সে আরো ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা পায়। নিজেকে রিচার্জ করে নিতে পারে।

এখানে আমাদের তথা সমাজের সবার দুইটা লাভ আছে।

১. সেই মানুষটা তার কাজের স্বীকৃতি পেলে নতুন উদ্যোমে নতুন কিছু করতে পারবে বা আগেরটাকে আরো বিস্তৃত করতে পারবে। সে তার কাজের সাথে সম্পৃক্ত আরো দশটা মানুষকে কোন না কোন ভাবে সহায়তা করতে পারবে।

২. একজন মানুষের সফলতা আরো দশজন মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে ভাল কিছু করার চেষ্টা করার। এভাবে পুরো সমাজ উপকৃত হবে।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ
আমাদের মধ্যে অনেকের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, আমাদের মধ্য থেকে কেউ একটু উপরে উঠে গেলে, বিশেষ করে আর্থিক ভাবে বা সম্মানের দিক থেকে, তার সফলতাটাই আমাদের মানসিক অশান্তির কারণ ঘটায়। আমরা ব্যস্ত হয়ে যাই, তার ছিদ্র অনুসন্ধানে। এবং গল্প করার মতো অনেক সীমাবদ্ধতা, ছিদ্র আমরা পেয়েও যাই। আর সেগুলিই রসিয়ে রসিয়ে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে আমরা ছড়াতে থাকি আমাদের চারপাশের মানুষগুলোর মধ্যে।

ব্যাপারটা এমন যেন, সে সফল হয়ে মহা পাপ করে ফেলেছে। আমাদের একমাত্র কর্তব্য তার চরিত্র হনন করে নিজেদের বিকৃত মানসিকতার তৃপ্তি ঘটানো। এখানে ব্যাপারটি আসলে উল্টো। আমরা এই কাজটা করতে গিয়ে নিজেদের অক্ষমতটাই বেশী প্রকাশ করে ফেলি। এবং সাথে সাথে নিজের বিকারগ্রস্থ মানসিকতা সম্পর্কে অন্যদের জানিয়ে দিই। আমার সামনে বসা মানুষটি হয়তো আমার সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে ভবিষ্যতের জন্য আমাকে চিহিৃত করে রাখছে যে, তার সফলতার ব্যাপারেও আমি একই মনোভাব পোষণ করবো।

আমরা কারো সমালোচনা করবো না সেটা নয়। সেটা এভাবে করতে পারিঃ
তার সামনা-সামনি। তার অনুমতি নিয়ে তাকে একাকী বুঝিয়ে বলতে পারি। আমার দৃষ্টিতে তার সীমাবদ্ধতা বা ঘাটতিটা কোথায়। যাতে করে সে নিজে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে-এই বিষয়টা সে কিভাবে মোকাবেলা করতে পারে।

কিন্তু কাউকে তার উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে ছোট করার মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসা আমাদের নিজেদের জন্যই মঙ্গল। এটা দু’টো বিষয় বলা যত সহজ, চর্চা করা ভয়ঙ্কর কঠিন।

আমরা সবাই এই মুহুর্ত থেকে এই বিষয়গুলো সচেতনভাবে সব সময় চর্চা করার চেষ্টা করি।

আল্লাহ আমাদের সেই সামর্থ দান করুন। আমীন।

15/11/2019

আমাদের নৈতিকতাবোধ ও একটি পরম কাংখিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিপ্লব

আজ পারিবারিক অন-আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে বির্তক হচ্ছিল এক উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তার সাথে।

যিনি ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ সততার পূজারী এবং নীতিবান।

আমাদের গঠনমূলক আলোচনার সূত্রপাত শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।

ক্রমশঃ নগরায়ন, সুশাসন, পদ্ধতিগত বিচ্যুতি ইত্যাদি অসংখ্য উপশাখায় কথা চলে।

আমি জোর দিচ্ছিলাম, সিস্টেম ডেভলপমেন্ট এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে।

উনি জোর দিচ্ছিলেন, ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক সংস্কার, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ইত্যাদির উপরে।

যেহেতু আমি নিজেই সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বড় সমর্থক এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সংগঠক। আমার খুব ভাল লাগছিল একজন বিচক্ষণ আমালাকে টপ ডাউনের বদলে বটম আপ, পিরামিডের বদলে ফ্ল্যাট অর্গণগ্রাম, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, সিদ্ধান্তগ্রহলে জনগণের সম্পৃক্ততা, জন প্রতিনিধিদের ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ের সমর্থণে কথা বলতে। সাধারণত তাদের রন্ধ্রেরন্ধ্রে কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল পদ্ধতির প্রতি একনিষ্ঠ ভক্তিই লক্ষ্য করা যায়। তবে আমি জানতাম আমি একজন ব্যতিক্রমী মানুষের সাথে কথা বলছি। আমি জানি তিনি যা বলেছেন তিনি তা বিশ্বাস করেন এবং সাধ্যমতো চর্চার চেষ্টা করেন। এবং নীতির বিষয়ে তিনি আপোষহীন।

কিন্তু, যেহেতু তিনি সরকারের একজন বড় কর্মকর্তা, আমি তাকে বারবার স্বীকার করাতে চাচ্ছিলাম কিছু অতি আবশ্যকীয় প্রয়োজনের কথা, ঘুণে ধরা প্রথাগত আমলাতান্ত্রিক সিস্টেম পরিবর্তণের কথা, সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা, জনগণের ডিমান্ড কে সম্মান দেখিয়ে সরকারী নীতি নির্ধারণ করা, ইত্যাদি।

অনেকক্ষণ গল্পের পর আসল ব্যাপারে আমরা একমত হলাম যে, আমাদের আসলে প্রয়োজন একটি সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিপ্লব। যেখানে কোন রক্তপাত নেই। বরং সামজিক অবক্ষয় এর ফলে সৃষ্ট ক্ষত উপশমের দাওয়াই আছে; সমাজে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, নীতির বিষয়ে কঠোর আপোষহীনতা, সুবিধাবাদের বদলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সততা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বোধের সংরক্ষণ ও চর্চা, সামাজিকতা ও সাংস্কৃতিক চর্চা
ও উন্নয়ন। এগুলো পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা খুব দরকার। এবং জরুরী ভিত্তিতে। নাহয়, কি ভয়াবহ পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে, তা আমরা কেউ অনুমানও করতে পারছি না।

আপনারা কি ভাবছেন এই বিষয়ে?

13/11/2019

আমরা কি সারা জীবন ভর পাশবিক - জৈবিক জীবনই যাপন করবো?

এটাতো ঠিক যে, পৃথিবীর বেশীর ভাগ মানুষই এমন একটা জীবন কাটাতে চায় যেখানে নাওয়া - খাওয়া - বিনোদন - ইত্যাদি হলেই - তাদের সব পাওয়া হয়ে যায়। এই চাওয়াগুলো অর্জন করাই তাদের কাছে অনেক কঠিন এবং তাদের জীবন যাপন এসব চাওয়া অর্জন করা কেন্দ্রিক।

আমরা বলতে চাইছি না যে, যারা এমনটা ভাবছে তারা ভুল। তবে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, জীবনটা কি শুধু এসব কিছুর মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য? আমাদের কি আর কিছুই ভাবার, বলার, করার নেই? তাহলে, পৃথিবীর অন্য একটি স্বল্পবুদ্ধির প্রাণী ও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের মধ্যে জীবন যাপন গত কি পার্থক্য রইলো?

একটা পাখিও তো ঘর বানায় - বাসা বাঁধে, খাবার জোগার করে, সঙ্গী খুঁজে, বাচ্চা পালন করে, কেউ কেউ সুন্দর কন্ঠে ডাকে, কেউ ঘুরে বেড়ায় - খেলা করে অন্যদের আনন্দ দেয়। একই ভাবে পৃথিবীর সব প্রাণীই জৈবিকতা ভিত্তিক এই কাজগুলো তার মতো করে করে।

এমনকি পৃথিবীর সকল প্রাণীদের মধ্যে কারো কারো মধ্যে সাংগঠনিক ও সামাজিকতার কিছু নিদর্শণও দেখা যায়। একটা পিপঁড়ার কথা আমরা খেয়াল করেছি বা একটি কাক? তারাও কিভ‍াবে দলবদ্ধ হয়, এক সাথে কাজ করে, সামাজিকতা পালন করে।

আর আমরা মানুষ। নিজের জীবনটা জৈবিকতায় সীমাবদ্ধ করে নিজেদের প্রাণীদের সমতূল্য করে তুলছি। এই বিষয়ট নিয়ে কি একটু ভাবার প্রয়োজন আছে? নিজেকে কীভাবে নিছক জৈবিক জীবন যাপন থেকে একটু মানবিক জীবন যাপন করায় উত্তীর্ণ করা যায়?

নাকি, আছি তো। খাচ্ছি দাচ্ছি ফূর্তি করছি, সঙ্গী বানাচ্ছি, বাচ্চা বড় করছি তারপর একদিন টুক করে মরে যাচ্ছি। আহা! এই তো জীবন। বেশ ভাল আছি। বেশ দিন কেটে যাচ্ছে।

কিন্তু, আমাদের মতো ‍‍অন্য যেসব মানুষও আমাদের চারপাশেই ঘুরছে, চলছে এবং যাদের আমাদের মতো- মানুষের মতো একটা দেহ আছে কিন্তু, সে ভাল নেই। সে হয়তো শত কষ্ট করেও দু’বেলা খাবার যোগার করতে পারছে না, তার হয়তো দিন শেষে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই নেই। তার হয়তো একটি সঙ্গীও নেই - কারণ তার নিজের জীবনটাই ভয়াবহ অনিশ্চয়তায় ভরা, সে হয়তো আরেকটি মানব সন্তানকে পৃথিবীতে আনার কথা ভাবতেও পারছে না, সে অসুস্থ হলে হয়তো ধুঁকে ধুঁকে বিনা চিকিতসায় মারা যাবে পথের পাশে।

আমরা খুব সহজ একটা উত্তর দিয়ে দায় এড়াতে পারি - এটা কি আমার কাজ? আর আমি একা কি-ই বা করতে পারি?

সত্যি, দায় এড়ানোর জন্য খুব সত্যি? কিন্তু, সাথে সাথে কি আমরা মনুষ্যত্বও এড়িয়ে যাচ্ছি। আমি বা আপনি একা একা অনেক কিছু করতে পারবো না। কিন্তু, আমরা কি চেষ্টা করছি এই অবস্থাতা পরিবর্তনের জন্য কিছু করতে? একটা পরিবর্তন?

করছি না, কারণ, আমরা ভাবছি আপনি ঠিক তো জগত ঠিক। আমি ভাল আছি, আমি বেশ আছি, জগতের সব কিছু যেভাবে ইচ্ছে চলুক। যার যা ইচ্ছে করুক। যে যেভাবে পারে বাঁচুক।

কিন্তু, কাল যখন, একা একা রাস্তায় চলার সময় ছিনতাইকারী আমার বা আমার কোন প্রিয়জন এর সর্বস্ব কেড়ে নেবে বা ছুড়ি মেরে দেবে বা বন্দুক দিয়ে গুলি করে বসবে? তখন তো, সব সরকারের দোষ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দোষ এবং গণতন্ত্রহীনতার কারণে হবে, ত‍াই না?

অথচ, আমরা কোন না কোনভাবে ঠিকই অংশীদার সবকিছুর। এবং আমাদের মতোই কেউ না কেউ নিজেদের দায়িত্বটুকু ঠিকমতো পালন না করে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়াতে ব্যাপারগুলো ঘটলো।

সরকার, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বা গণতন্ত্রের ধারক বাহকরা কি আকাশ থেকে আসা ফেরেস্তা নিয়ে তৈরী হয়? হয় না। সব জায়গাতেই, আমরা, আমরাই। আমাদের মধ্যেই কেউ না কেউ কোন কোন না দায়িত্ব পালন করছে।

কোন খারাপ ব্যাপার ঘটলে যেমন আমরা সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্ব যার তাকে দোষারোপ করতে পিছপা হই না। তেমনি, মানুষ হিসেবে আমরা যদি জৈবিক জীবনে সীমাবদ্ধ না থেকে একটু মানবিক দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি তাহলে পৃথিবীতে মানবিকতার কোন সংকট থাকে না।

নিজে নিজের দায় এড়িয়ে, সীমাবদ্ধ জৈবিক জীবন যাপন করে, মানবিক দায়িত্ব পালন না করে- চিরকাল বেশ থাকা যায় না, ভাল থাকা যায় না - নিজে কোনমতে বেশ আছি- ভাল আছি এই ভাবে দিনগুলো কাটিয়ে গেলেও নিজের সন্তানকে কোন অস্থিতিশীল দোজখে রেখে যাচ্ছেন সেটা কি একটু বিবেচনা করবেন না?

আমরা শুধু আমাদের ভাবনার কথা আপনাকে বলতে পারৰ, আপনাকে আহবান জানাতে পারবো, আপনি হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এলে আপনার হাত ধরে একসাথে এগিয়ে চলার চেষ্ট‍া করতে পারবো। এই টুকু বিরাট কিছু নয়, বরং খুব ক্ষুদ্র আর সামান্য। তবুও এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র, সামান্য কাজ টুকুতো অনেকেই করছে না। নাকি?

11/11/2019

নিজের মনের খবর নিয়েছেন?!

মনের ভেতরটা কেমন? কি আছে সেখানে? কি কি ঘটে সেখানটায়?

অন্যের মনের খবরতো অনেক দূরের ব্যাপার নিজের মনের ভেতরটাতে কখনো ঢোকার চেষ্টা করি আমরা? বোঝার চেষ্টা করি কি ঘটছে সেখানে?

কি আছে? কি নেই? কেন আছে? কে রেখেছে? কেন রেখেছে? কীভাবে রেখেছে? কখন রেখেছে?

কিছু কি আছে সরিয়ে ফেলার? সারানোর? বাতিল করে দেয়ার?

কিছুর কি অভাব আছে? নতুন কি ঢোকালে ভেতরটা আরো সুন্দর হবে?

দেখার কি চেষ্টা করি ফাঁক ফোঁকরগুলি? দেখার কি চেষ্টা করি অন্ধকার অংশটাতে কি লুকিয়ে আছে?

আলোকিত অংশটার ই বা কি অবস্থা? সেখানে কি নক্ষত্র জ্বলছে না মোমবাতি?

দরজা -জানালাগুলি ঠিক আছে তো? সহজে খোলা বন্ধ করা যায়? দ্বারটা কি কাজ করছে ঠিক মতো?

ধুলো কি জমেছে কোথাও? একটু ঝাড়পোছ কি দরকার হয়েছে?

কিছু কি একটু নেড়েচেড়ে দেয়া দরকার? অদল বদল কি আবশ্যক কোন কিছুর?

অনেক প্রশ্ন হয়ে গেল কি? সবই কি অপ্রয়োজনীয়?

নাকি চাগিয়ে উঠলো কোন পুরানো ব্যাথা-যা ভুলে থাকা গেছে অনেক দিন?

নাকি চুলকচ্ছে কোন একটা অংশ? অরুচিকর হবে বলে উপেক্ষা করেছি অনেক সময়? আর তো সহ্য করা যাচ্ছে না!

চলুন না একটু সময় নিয়ে ঘুরে আসি নিজের মনের ভেতরটা।

মনটা তো আপনার নিজেরই। তার দেখভাল করার দায়িত্বটাও তো আপনার।

খুব খারাপ কিছু কি হওয়ার আছে? আর যা হওয়ার তাতো হবেই। হোক না।

ঝুঁকিটুকু নেয়াই যায়। ঝুঁকিটুকু নেয়াই উচিত।

বিঃদ্রঃ- যদিও আমরা বলি মন চুরি গেছে। চুরি হয়তো যায় কিন্তু সেটা মনের অবস্থান নয়। মনের ভেতরের সবকিছু। সেটাও খারাপ কিছু না। নতুন করে মনের মতো করে সাজানো যায় সব কিছু। কারণ, চোর যদি ভাল হয়, তাহলে ভাল অনেক কিছুই ফেরত তো দেয়ই সাথে অনেক কিছু অতিরিক্তও দেয়।

আর কপাল খারাপ হলে কি আর করা? ডাকাতমনা চোরের কাছে সব হারানোর দুঃখটাও মেনে নিতে হয় মাঝে মধ্যে।

এতোসব তরল কথার পরে আসল কথা কথা হলো, মনের ঘরে চুরি হোক বা ডাকাতি। শেষ পর্যন্ত মালামাল যোগ-বিয়োগ যা-ই হোক। ঘরটা শেষ পর্যন্ত আপনারই থাকে। তাই, হিসেব নিকেশ, দেখাশোনার কাজটা একা করাই ভাল।

মনের ঘরে ঢোকার সময়টা পুরো পৃথিবী থেকে আলাদা হয়ে একা একাই ঢুকবেন। আর হিসেব নিকেশ বোঝাপড়াগুলো নিজে নিজে করাই ভাল।

সব কিছুর ভাগ, সবাইকে, সব সময় দেয়া যায় না। কখনো কখনো খুব একা কিছু করার দরকার হয়।

মাঝে মাঝে নিজের মনের খবরটাও নিজে একটু নিয়েন। তাহলে আপনি ভাল থাকবেন। আপনি যাদের ভাল রাখতে চান তারাও ভাল থাকবে।

01/11/2019

লড়াই কেন করবো?- যারা প্রচন্ড হতাশা গ্রস্থ, নিরাশ এবং ব্যর্থ - সেই সব মানুষদের জন্য!

লড়াই কেন করবো-কথাটির মধ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ একটা ভাব থাকলেও আমি আসলে বোঝাতে চাইছি চেষ্টা কেন করবো!

তবে চেষ্টা করাটাও এক রকম লড়াই-ই। হতাশা বা নিরাশা ক্লান্ত মানুষ যখন সেটা করে। অন্ততঃ তখন
চেষ্টা করাটা তার জন্য নিজের সাথে লড়াই করা-ই হয়।

কোন কিছু চেষ্টা না করার জন্য একটা কারণই যথেষ্ট-ইচ্ছে করছে না। ব্যাপারটাকে আরো জোরলো করার জন্য
বলা যায় ‘অনেক চেষ্টা করেছি, কিছু হয় নি, আর চেষ্টা করার শক্তি পাচ্ছি না’।

কিন্তু, শেষ পর্যন্ত এটা একটা অজুহাত। চেষ্টা করলে হয় না এমন ব্যাপার খুব কমই আছে-এখানে চেষ্টা বলতে জান প্রাণ উজার করে চেষ্টা করা বোঝানো হচ্ছে । পৃথিবীতে যেগুলোকে আমরা মিরাকল বলি, সেগুলো আসলে সর্বোচ্চ আন্তরিক চেষ্টাই ফল।

যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে চাই, তাহলেও তো এই কথাটি সমর্থিত। সৃষ্টিকর্তা কোন কারণ ছাড়াই অকৃপনভাবে দান করেন -এটা যেমন সত্য। আল্লাহ কাউকে কোন কিছু দান করেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না সে নিজে তা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। এটাও সত্য।

কোন কিছু পেতে হলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। আর যদি আস্তিক হই, তাহলে, অতি অবশ্যই আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে। ইনশা-আল্লাহ বলাটা আল্লাহ পছন্দ করেন। এটা অভ্যাস করতে পারলে আরও ভাল।

যে চেষ্টা করে আল্লাহ তাকে দেন। সে আস্তিক হোক আর নাস্তিক হোক। পার্থিব কর্মফলের সাথে ধর্মের খুব একটা সম্পর্ক বোধ হয় নেই। ধর্ম তার জন্যই যে পরকাল বিশ্বাস করে। ধার্মিক তার কৃতকর্মের পুরষ্কার বা শাস্তি -যা-ই প্রাপ্য তা ইহকালে না হলেও পরকালে অবশ্যই পাবেন।

যাই হোক। যা বলছিলাম। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে মানুষ তা পায়। পাওয়ার হলেতো অবশ্যই পায়। না পাওয়ার হলেও অনেক সময় পেয়ে যায়। সেটাকে আমরা অলৌকিক বলি। এবং এটা হয়।

স্রষ্টায় অবিশ্বাসীরা যেটাকে বলেন কখনও কাকতালীয়, কখনও অন্যের কর্মফল। যা-ই হোক। বাস্তবতা হলো পার্থিব বিষয়ের কর্মফল অধিকাংশ সময়েই পৃথিবীতেই পাওয়া যায়।

কিন্তু, নিরাশ হলে, হাল ছেড়ে দিলে, চেষ্টা না করলে, কোন কিছু হওয়ার বা পাওয়ায় থাকে না।

ব্যর্থতা কোন লজ্জার বিষয় না। চেষ্টা না করাটাই চরম লজ্জা এবং অপমানের।

তবে দু’টো কথা-
১. চেষ্টাটা অবশ্যই সর্বোচ্চ এবং আন্তরিক হতে হবে। অন্ততঃ নিজের কাছে দৃঢ় বিশ্বাস থাকতে হবে-এটা হবে। নিজেই বিশ্বাস না করতে পারলে চেষ্টাটা সর্বোচ্চ হবে না আন্তরিক তো না-ই। তাহলে সফলতা কেমন করে আসবে?

২. বারবার ব্যর্থ হলে, নিজের সাথে নিজের একটু কথা বলতে হবে, একটু গঠনমূলক আত্মসমালোচনা করতে হবে।
কেন ব্যর্থ হচ্ছি? পরিকল্পনায় কোন গলদ থেকে যাচ্ছে কিনা? চেষ্টার ত্রুটি কোথায় ছিল? প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রমের উপায় কি? ইত্যাদি ইত্যাদি।

ভাল রেসপন্স পেলে এই সিরিজের লেখা আসতেই থাকবে ইনশা-আল্লাহ, যতদিন আমি বাঁচি আর সামর্থ থাকে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ-

এই কথাগুলো কোথাও হতে কপি করা না। কোন ভাব নেয়ার চেষ্টাও না। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আহত বা নিহত করার চেষ্টাও না।

ভাল লাগলে মূল লিংকটা শেয়ার করতে পারেন। আর আপনার প্রার্থনায় আমাকে অনুগ্রহ করে স্মরণ করলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

সুচিন্তিত বক্তব্য, ভিন্নমত, পরামর্শ, মতামত থাকলে দিতে পারেন। আলোচনা চলতে পারে-সবাই সেই মুক্ত আলোচনা থেকে উপকৃতই হবে বলে আমার বিশ্বাস। দয়া করে কোন বিষয়ে তেনা পেচানোর চেষ্টা না করলেই ভাল করবেন।

এটা আশংকা না। এই বিঃদ্রঃ টি একটি নিজ দায়মুক্তি, সাবধান বাণী এবং কপিরাইট নোটিস।

26/10/2019

A mother is very sick. She has a tumor and doctor asked for

4 bags of B+ blood

We do not have any donors. Could you please contact help us to get a donor for this lady.

Contact: 01723176948

2nd floor, ward 8, bed 20, Sohrawardi medical college and Hospital, Shayamoli, Dhaka

19/09/2019

জরুরি o+ রক্তের প্রয়োজন

প্রথম মা হতে যাওয়া একজন সরকারি চাকুরীজীবি তরুণীর ডেলিভারি সংক্রান্ত প্রয়োজনে জরুরিভাবে ৩ ব্যাগ "ও পজিটিভ" রক্ত দরকার।

Blood group: O+ positive

যোগাযোগ:
সাঈদ: ০১৬৭০৫৩৫৩৩৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
বেড ১৬, ৭ম ফ্লোর, সি ব্লক
শাহবাগ, ঢাকা

20/08/2019

জরুরি ও-নেগেটিভ (O-) ব্লাড দরকার,
৫বছরের বাচ্চা জন্য, ডেঙ্গুতে অবস্থা খারাপ হচ্ছে।
হাতিরপুল পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে।
যোগাযোগেঃ 01772552026

19/08/2019

একজন প্রসূতি মায়ের জন্য রক্তের প্রয়োজন।

রক্তের গ্রুপ:- বি পজেটিভ(১ব্যাগ)
রক্তদানের স্থান: - আদ দ্বীন হাসপাতাল,
ঢাকা।
তারিখ: ২০ই, অগাস্ট
যোগাযোগ:- +8801711924799 (মি. রানা, পেশেন্ট এর স্বামী)

Address

D1A Arifabad, Rupnagar, Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Benguet Corporation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share