Save Hayya

Save Hayya Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Save Hayya, Health & Wellness Website, Keraniganj, Dhaka.

‘সতর’ শব্দটি আরবি ‘আস-সাতরু’ ধাতুমূল থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ ঢেকে রাখা। অর্থাৎ শরীরের যেসব অঙ্গ লজ্জার কারণে ঢেকে র...
13/04/2024

‘সতর’ শব্দটি আরবি ‘আস-সাতরু’ ধাতুমূল থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ ঢেকে রাখা। অর্থাৎ শরীরের যেসব অঙ্গ লজ্জার কারণে ঢেকে রাখা হয় তাকে সতর বলা হয়।
ইসলামের পরিভাষায়, পুরুষের সতর হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত।
অর্থাৎ এতটুকু স্থান অন্য ব্যক্তিদের সামনে ঢেকে রাখা ফরজ।
বাকি মানুষের সামনে যাওয়ার সময় ক্ষেত্র ও সমাজ হিসেবে যা শালীন ও খোদাভীতি প্রকাশ করে এমন পোশাক পরিধান করা উত্তম।
নামাজে পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ।

মুঠোফোন ও গেম–আসক্তি ক্যারিয়ার গঠনের অন্তরায়আধুনিকতার এই যুগে মুঠোফোনের সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। শিশু থেকে...
09/04/2024

মুঠোফোন ও গেম–আসক্তি ক্যারিয়ার গঠনের অন্তরায়
আধুনিকতার এই যুগে মুঠোফোনের সঙ্গে পরিচিত নয়, এমন লোক পাওয়া দুষ্কর। শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবাই এর সঙ্গে পরিচিত। ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ইমপ্যাক্টের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২০ সালের শেষ নাগাদ বিশ্বে ৫২০ কোটি মুঠোফোন গ্রাহক ছিল, যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬৭ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালের তুলনায় ২২ কোটি বেড়ে ২০২০ সালে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৪০০ কোটিতে পৌঁছেছে
১৯৭৩ সালে ড. মার্কিন কুপার ও তাঁর সহকর্মী ফ্রান্সিস মিচেল প্রায় ২ কেজি ওজনের হাতে ধরা একটি মুঠোফোন আবিষ্কার করেন। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন মডেলের মুঠোফোন বাজারে আসতে থাকে। তবে এই ফোনগুলো দিয়ে কেবল কথা বলা ও খুদে বার্তা পাঠানো যেত। ১৯৯৪ সালে আইবিএম ও মিতসুবিসি ইলেকট্রনিক করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন তৈরি করা হয়। এটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সিমন’। স্মার্টফোন বাজারে আসার পর থেকে বিশ্ব যোগাযোগমাধ্যম হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এতে যেমন যোগাযোগসহ বিভিন্ন কাজ সহজ হয়েছে, তেমনি বেশ কিছু অপকারী দিকও উঠে আসে। এর মধ্যে অন্যতম হলো মুঠোফোন আসক্তি বা ডিজিটাল আসক্তি, যা বর্তমান প্রজন্মের তরুণ- তরুণীদের ক্যারিয়ার ধ্বংসের অন্যতম কারণ।
মোবাইল বা ডিজিটাল আসক্তির কারণে শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রধান কারণ ভিডিও গেম। বিশেষ করে ফ্রি ফায়ার গেম উল্লেখযোগ্য। দেশের একটি অনলাইন পত্রিকায় ২০২১ সালের ২৫ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিশ্বে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ প্রতিদিন ফ্রি ফায়ার গেমটি খেলছে। আমাদের বাংলাদেশেও প্রায় ৭ মিলিয়ন মানুষ গেমটি খেলছে। কিশোর, তরুণ ও প্রাপ্তবয়স্কদের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইন্টারনেট গেমিংয়ে আসক্ত। এর মধ্যে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কিশোর এবং ১ দশমিক ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এসব অনলাইন গেমস, মুঠোফোন, কম্পিউটার বা ভিডিও গেমসের ক্ষতিকারক ব্যবহারকে একটি রোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মজার বিষয় হলো, যাঁরা এই গেম তৈরি করেছেন, তাঁরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের গেম–আসক্তি থেকে দূরে রেখেছেন। অস্ট্রেলিয়ার ডায়াকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হেলেন ইয়ং তাঁর নিবন্ধ ‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড ফার রাইটস’-এ লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসভিত্তিক ভিডিও গেমগুলো সন্ত্রাস-হিংসাকে সাধারণীকরণের ষড়যন্ত্র। এটি মানুষের অভ্যন্তরীণ অপরাধবোধকে উসকে দিচ্ছে। তরুণদের হত্যার বিষয়টি স্বাভাবিক হিসেবে ভাবাতে শেখানো হচ্ছে, মানুষের মধ্যে নৈতিকতা নষ্ট হচ্ছে।’
ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ধ্বংস হচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সৃজনশীল চিন্তাভাবনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, যা যথাযথ ক্যারিয়ার গঠনের অন্যতম অন্তরায়। ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল তাঁর একটি লেখায় উল্লেখ করেন, ‘শিগগিরই বাংলাদেশে এই সন্ত্রাসভিত্তিক গেম বন্ধ করা জরুরি। তদুপরি বাচ্চাদের এ–জাতীয় আসক্তি থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া দরকার। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় জড়িত হতে উৎসাহিত করতে হবে।’
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মাদকের আসক্তিকে না বলার পাশাপাশি মুঠোফোন ও ডিজিটাল আসক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারকে ‘না’ বলতে হবে।

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। অন্যান্য গবে...
09/04/2024

মোবাইল আসক্তিকে কিছু গবেষক সেল ফোনের উপর মনস্তাত্ত্বিক বা আচরণগত নির্ভরতার একটি রূপ হিসেবে প্রস্তাব করেছেন। অন্যান্য গবেষকরা বলেছেন যে স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আচরণগত আসক্তি সম্পর্কিত। এই ধারণা থেকেই মূলত মোবাইল আসক্তি শব্দটির উদ্ভব হয়েছে ।মোবাইল আসক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো হলো: মোবাইল যোগাযোগে ব্যস্ততা, মোবাইল ফোনে অত্যধিক অর্থ বা সময় ব্যয় করা এবং অটোমোবাইল চালানোর মতো সামাজিক বা শারীরিকভাবে অনুপযুক্ত পরিস্থিতিতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার। অত্যধিক মোবাইল ব্যবহার , মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং মোবাইল ফোন বা পর্যাপ্ত সংকেত থেকে আলাদা হলে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। নবাগত শিশু এবং অল্প বয়স্কদের মোবাইল আসক্তির জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি রয়েছে।
তরুণরা একটি অনুষ্ঠানে তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে
২০০০ এর দশকের শেষের দিক থেকে স্মার্টফোনের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালের পরিচালনায়, বিশ্বব্যাপী মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪১.৫ ভাগ মোবাইল ব্যবহার করে । ব্যাপক প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে, স্মার্টফোনের অত্যধিক ব্যবহার চীনের মতো এশিয়ান দেশগুলিতে একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।২০১৮ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট নিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭০০ লক্ষ। ডিজিটাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার চোখের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিশেষ করে এই সমস্যা অল্প বয়স্কদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি অনুমান করা হয়েছে যে ,ডিজিটাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার করার ফলস্বরূপ ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্ব জনসংখ্যার শতকরা ৪৯.৮ ভাগ (৪.৮ বিলিয়ন) মায়োপিয়াতে আক্রান্ত হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কাটানোর ৭ উপায়জীবনযাপন ভাবছেন মিনিট দশেকের জন্য ফেসবুকে ঢুঁ মারবেন। কিন্তু স্ক্রলিং করতে করতে কখন ...
09/04/2024

সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি কাটানোর ৭ উপায়
জীবনযাপন
ভাবছেন মিনিট দশেকের জন্য ফেসবুকে ঢুঁ মারবেন। কিন্তু স্ক্রলিং করতে করতে কখন যে একঘণ্টা সময় পেরিয়ে গেছে টেরই পাননি! ফেসবুক তথা সোশ্যাল মিডিয়া নিজেদের অজান্তেই এভাবে আমাদের আসক্ত করে তোলে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল সাইটগুলোতে পড়ে থাকলে কেবল সময়ই নষ্ট হয় না, শারীরিক ও মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সমীক্ষা বলছে, আজকাল বিষণ্ণতার মতো ব্যাধি অনের বেড়ে গেছে অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কারণে। কীভাবে দূরে থাকবেন ফেসবুক, টুইটার বা ইন্সটাগ্রাম থেকে? জেনে নিন নিন।


১। ব্যবহারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি

আপনি কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন? এই উত্তর খুঁজে বের করতে হবে আপনাকেই। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা, সাম্প্রতিক বিষয় সম্পর্কে তথ্য পাওয়া, পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করা ইত্যাদি নানা কারণ থাকতে পারে। আপনি ঠিক কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছেন সেটা খুঁজে বের করুন। বিষয়টি সম্পর্কে আপনি একবার সচেতন হয়ে গেলে সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াও উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করা যায় কিনা সেটা নিয়ে ভাবতে পারবেন।

২। নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করুন

প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে কতোটা সময় ব্যয় করবেন সেটা ঠিক করুন। সে অনুযায়ী স্মার্টফোনে অ্যাপ টাইমার সেট করে নিন।

৩। নোটিফিকেশন অ্যালার্ট বন্ধ করে দিন

ফোনে সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন আসলে বারবার চেক করতে ইচ্ছে হয়। তাই মুঠোফোনে যেন নোটিফিকেশন না আসে সেজন্য সেটিং বদলে দিন।

৪। শখের কাজে সময় ব্যয় করুন

সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাহীন সময় ব্যয় করা কোনও ভালো ফল বয়ে আনে না। নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে তাই অন্যান্য শখের কাজের প্রতি মনোযোগ দিন। বই পড়া, শখের বাগান করা বা অন্য কোনও শখের কাজ থাকলে সেটা নিয়ে সময় কাটান।

৫। বাস্তব যোগাযোগ বাড়ান

অনলাইনে যোগাযোগ করা সহজ, তবে সবসময় এটি খুব স্বাস্থ্যকর নয়। চেষ্টা করুন বন্ধুদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করে আড্ডা দিতে। আড্ডার সময় ফোন ব্যবহার করবেন না, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করার জন্য। পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটান। একসঙ্গে রাতের খাবার খান, নির্মল আড্ডা দিন। এই সময় হাতের কাছে স্মার্টফোন রাখবেন না।

৬। কেনাকাটার পেইজগুলো প্রয়োজন ছাড়া লাইক দেবেন না

শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, গয়না, গ্যাজেট বা অনলাইন কেনাকাটার সাইটগুলোর পেইজ লাইক করবেন না। অযথা বিজ্ঞাপন আসলে সেগুলো হাইড করে দিন।

৭। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন

একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিন নিজেকেই। সেটা শুরুতেই অনেক বেশি সময়ের জন্য হতে হবে এমন নয়। শুরুতে একটি পুরো বেলা, এরপর একদিন এভাবে এগিয়ে সপ্তাহখানেকের জন্য সময় নির্ধারণ করতে পারেন। এই সময় ভ্রমণে যেতে পারেন বন্ধুদের নিয়ে।

শিশুর মোবাইল আসক্তি দূর হবে এই ৫ উপায়েগবেষণায় দেখা গেছে, অত্যধিক স্ক্রিন টাইমের ফলে শিশুদের ঘুম কমে যাচ্ছে। তারা সহজে মন...
09/04/2024

শিশুর মোবাইল আসক্তি দূর হবে এই ৫ উপায়ে

গবেষণায় দেখা গেছে, অত্যধিক স্ক্রিন টাইমের ফলে শিশুদের ঘুম কমে যাচ্ছে। তারা সহজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারছে না এবং অল্পতেই রেগে যাচ্ছে। দেখা যায়, শিশুরা আগে যেসব কাজে মজা পেতো সেসব কাজে তাদের অনীহা তৈরি হয়েছে। সব ফেলে তারা চার কোণা স্ক্রিনেই সব থেকে বেশি আনন্দ পাচ্ছে। আর স্ক্রিন টাইম বেড়ে যাওয়ার ফলে তা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

অপরদিকে নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ শিশুদের সুস্থভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক কসরতের রয়েছে অনেক উপযোগিতাও। এটি তাদের শক্তি, নমনীয়তা, হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সামগ্রিক মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও সাহায্য করে।
যে ৫ উপায় শিশুর মোবাইল আসক্তি কমাতে সাহায্য করবে
আপনি নিজেই কি মোবাইল আসক্ত?

শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। বড়দের কোনো আচরণ বারবার ঘটতে দেখলে তা তারা রপ্ত করার চেষ্টা করে। আপনার সন্তান যদি দেখে আপনি নিজেই সারাক্ষণ মোবাইলে কথা বলছেন কিংবা কাজ করছেন তখন তারাও আপনার নিষেধকে আমলে নেবে না। তাই এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো আপনার নিজের স্ক্রিন টাইমের ওপর নজর দেয়া। আপনি যদি দেখতে পান যে স্ক্রিনে যতটা সময় কাটানো উচিত তার চেয়ে বেশি কাটাচ্ছেন, তাহলে আপনার সন্তানদের দেখতে দিন আপনি নিজে কীভাবে এটি মোকাবিলা করেছেন। আপনার নিজের জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পেতে আপনি যে পরিবর্তনগুলো করছেন তা তাদের ব্যাখ্যা করুন।

সবসময় পজিটিভ থাকুন

আমরা অনেকসময় শিশুদের ডিভাইস নিয়ে প্রলোভন দেখাই। কোনো ভালো কাজের উপহারস্বরূপ তাদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় মোবাইল ব্যবহার করতে দেই। আবার, বিপরীতটাও ঘটে। শাস্তিস্বরূপ তাদের কাছ থেকে ডিভাইস কেড়ে নেয়া হয়। অভিভাবকের এমন আচরণ শিশুদের মনকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। তারা ভাবা শুরু করে যে, অন্য যে কোনো খেলার চেয়ে ডিজিটাল ডিভাইস বেশি আনন্দের তাই বড়রা খুশি হলে মোবাইল ব্যবহার করতে দিচ্ছে। কিন্তু আপনার উচিত এ বিষয়টিকে একদম সাধারণ একটিভিটির কাতারে নিয়ে আসা। শিশুদের মোবাইলের পরিমিত ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করুন।

একটি শিডিউল তৈরি করে ফেলুন

শিশুরা যদি হঠাৎ কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয় তখন তারা অবাধ্য আচরণ করে। তাই নিষেধ নয়, বরং তারা যাতে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনে সে ব্যাপারে নজর দিন। তাদের সাথে বসে একটি রুটিন তৈরি করতে পারেন। তাদের জিজ্ঞাসা করুন তারা মোবাইল বা অন্য ডিভাইস দিয়ে কী করতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। জেনে নিন তাদের নিজস্ব মতামত। দিনের কোন সময়ে তাদের মোবাইল ব্যবহারের আগ্রহ বেশি থাকে সেটাও আপনার বিবেচনা করা উচিত। কতক্ষণ তারা ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে তা আপনি নির্ধারণ করুন কিন্তু কখন ব্যবহার করবে তা শিশুদের ওপরই ছেড়ে দিন। কিন্তু খাবার গ্রহণের সময় তাদের মোবাইল ব্যবহার করতে দেবেন না।

তারা যা ভালোবাসে তা করতে উৎসাহিত করুন

মোবাইল তো রাখা হয়ে গেল! এবার আপনার শিশুকে নিজের পছন্দের কাজটি খুঁজে পেতে সাহায্য করতে হবে। কোনো নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং তাদের স্বাধীনতা দিন। শারীরিক কার্যকলাপ অনেক বেশি উপভোগ্য হয় যখন আপনি যা পছন্দ করেন তা করেন। তাই শিশুদের নিজের পছন্দের এক্টিভিটি খুঁজে পেতে দিন। বাচ্চাকে তাদের পছন্দের বহিরঙ্গন ক্রিয়াকলাপে নিয়োজিত করতে উৎসাহিত করুন, তা সে হোক সাইকেল চালানো, স্কেটবোর্ডিং, সাঁতার বা অন্যদের সঙ্গে সাতচাড়া খেলা। ফলে ব্যায়ামও হবে, তাদের একঘেয়েমিও কাটবে।

নিজেও যুক্ত হন ফান- একটিভিতে

কাজ পাশে রেখে আপনি নিজেও যুক্ত হয়ে যান শিশুর সঙ্গে মজার সব খেলায়। এতে করে শিশুর সঙ্গে আপনার সম্পর্কও মজবুত হবে।

৩ অ্যাপে কাটবে ফোনের আসক্তিফোনে থাকা আকষর্ণীয় বিভিন্ন অ্যাপে ডুবে থাকার কারণেই এমনটি হয়। এতে পড়া বা কাজের বেশ ক্ষতি হয়...
09/04/2024

৩ অ্যাপে কাটবে ফোনের আসক্তি
ফোনে থাকা আকষর্ণীয় বিভিন্ন অ্যাপে ডুবে থাকার কারণেই এমনটি হয়। এতে পড়া বা কাজের বেশ ক্ষতি হয়।
এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন অ্যাপের মাধ্যমে। আপনার আসক্তি কমাতে নামিয়ে নিতে পারেন পছন্দের অ্যাপ। এমন বেশ কয়েকটি অ্যাপের মধ্যে আজ থাকছে দু’টির কথা।
আসক্তির লেভেল জানাবে ইউর আওয়ার
অনেকেরই ধারণ স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও থাকা সম্ভব নয়। আপনার আসক্তির লেভেল কম না বেশি, তা জানতে ফোনে ইন্সটল করে নিতে পারেন ‘ইউর আওয়ার’ অ্যাপটি।
অ্যাপটি ব্যবহারকারীর ফোন ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী বলে দেবে আসক্তির লেভেল সম্পর্কে। তারপর আসক্তি কাটিয়ে উঠতেও সহায়তা করবে এটি।
ব্যবহারকারীরা এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতটুকু সময় ফোনে কাটাবেন সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে আসক্তি কমাতে পারবেন।
অ্যাপটির সাহায্যে কত সময় ফোনের স্ক্রিন অন ছিল, কোন সময় কোন অ্যাপ ব্যবহার করেছেন ইত্যাদি তথ্য টাইমলাইন আকারে পাওয়া যাবে।
৪.৫ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি ১০ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৯.০ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
অ্যাপব্লকার
এ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্লক করা যাবে। তাই চাইলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপগুলো ব্লক করে রাখতে পারবেন কাজের সময়।
যে কোনো অ্যাপ্লিকেশনের নোটিফিকেশন আলাদাভাবে বন্ধ করে রাখা যাবে। পরে আনব্লক করলে নোটিফিকেশনগুলো দেখে নেওয়া যাবে।
এতে রয়েছে পাসওয়ার্ড দেয়ার সুবিধা। ফলে অন্য কেউ চাইলে সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না।
প্রতিদিন টাইম লিমিট করে দিতে পারেন।
৪.২ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি পাঁচ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৫.৭ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।
স্টে ফোকাস
ধরুণ, আপনি ফোন হাতে নিয়ে একটু পরপরই ফেইসবুকে ঢু মারেন। প্রতিদিন ৩০-৪০ বার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাপটি চালু করেন। এ আসক্তি কমাতে সহায়তা করতে পারবে অ্যাপটি।
এটির মাধ্যমে প্রতিদিন কতবার ফেইসবুক অ্যাপ চালু করেন বা কত সময় চালাচ্ছেন এমন হিসাব জানতে পারবেন। তা থেকে কতটা সময় নষ্ট হচ্ছে তা জেনে নিতে পারবেন।
এটির মাধ্যমে আপনি ফোনে থাকা কোন অ্যাপ কতবার চালু করবেন তা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। পরে অ্যাপটি নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে আপনি সীমার চেয়ে বেশি কতবার অ্যাপটি ব্যবহার করতে চাইছেন।
এ অ্যাপে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন।
এ ছাড়া এটিতে কুইক অ্যাপ ব্লকসহ বিভিন্ন ফিচার পাওয়া যাবে।
৪.৫ রেটিং প্রাপ্ত অ্যাপটি পাঁচ লাখের বেশি ডাউনলোড হয়েছে। এ ঠিকানা থেকে ৪.৬ মেগাবাইটের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।

ডোপামিন ডিটক্স বা সহজভাবে সুখানুভূতির আসক্তির উপবাসহল হলো সাময়িকভাবে সামাজিক মিডিয়া, প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্মে গান শোনা...
09/04/2024

ডোপামিন ডিটক্স বা সহজভাবে সুখানুভূতির আসক্তির উপবাসহল হলো সাময়িকভাবে সামাজিক মিডিয়া, প্রযুক্তিগত প্ল্যাটফর্মে গান শোনা, এবং ইন্টারনেট গেমিং এর মতো আসক্তিমূলক প্রযুক্তি থেকে বিরত থাকা এবং সামাজিক মিথস্ক্রিয়া এবং খাওয়ার সাময়িক বঞ্চনা পর্যন্ত প্রসারিত করা যেতে পারে। [১] [২] [৩]
ডোপামিন উপবাসের প্রবক্তারা আসক্তি হিসাবে দেখা হয় এমন প্রযুক্তিগুলি (যেমন স্মার্টফোন) থেকে পর্যায়ক্রমিক বিরতি নেওয়ার একটি সুবিধা দেখতে পান।
হার্ভার্ড গবেষকরা এই অনুশীলনটিকে একটি "বাস্তবতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নবসৃষ্ট রীতি" হিসাবে উল্লেখ করেছেন। [৫] এর পিছনের ধারণাটি হল উত্তেজনা এবং উদ্দীপনার পুনরাবৃত্তিমূলক নিদর্শনগুলি থেকে বিরতি নেওয়া যা ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে মিথস্ক্রিয়া দ্বারা ট্রিগার করা যেতে পারে,[৭] এবং আনন্দদায়ক ক্রিয়াকলাপ এড়ানোর অভ্যাস খারাপ অভ্যাসকে পূর্বাবস্থায় আনতে, আত্ম-প্রতিফলনের জন্য সময় দিতে এবং ব্যক্তিগত সুখকে শক্তিশালী করতে কাজ করতে পারে।[৭]

আসক্তি সাধারণ সংজ্ঞামতে সেইসব বস্তুর  ব্যবহার বোঝায় যা গ্রহণ করার পরে রক্ত ও মস্তিষ্কের প্রতিবন্ধক অতিক্রম করে সাময়িকভ...
09/04/2024

আসক্তি সাধারণ সংজ্ঞামতে সেইসব বস্তুর ব্যবহার বোঝায় যা গ্রহণ করার পরে রক্ত ও মস্তিষ্কের প্রতিবন্ধক অতিক্রম করে সাময়িকভাবে মস্তিষ্কের রাসায়নিক দ্রব্যের পারিপার্শ্বিক অবস্থা পরিবর্তন করে। [১]

মাদকাসক্তির যেমন কতগুলো উপসর্গ আছে, ঠিক তেমনি অনলাইন আসক্তিরও রয়েছে বিভিন্ন উপসর্গ। এগুলো দেখে বোঝা যায় একজন মানুষ অনলাই...
09/04/2024

মাদকাসক্তির যেমন কতগুলো উপসর্গ আছে, ঠিক তেমনি অনলাইন আসক্তিরও রয়েছে বিভিন্ন উপসর্গ। এগুলো দেখে বোঝা যায় একজন মানুষ অনলাইনে আসক্ত কিনা। যেমন –

১. নানা পারিবারিক কাজে সহযোগিতা না করা এবং অন্যান্য সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ হ্রাস পাওয়া।
২. আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সাথে পারস্পারিক মিথষ্ক্রিয়া কমে যাওয়া।
৩. কোথাও বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করা এবং বাইরে বের হতে না চাওয়া।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।
৫. অযথা রাত জাগা এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা।
৬. প্রতিনিয়ত শিক্ষা বা কর্মস্থলে দেরি করে যাওয়া।
৭. শিক্ষার্থীরা পড়তে বসলে দ্রুত পড়া শেষ করা বা খেতে বসলে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করা।
৮. খেতে বসলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা, ইউটিউবে গান শোনা বা ভিডিও দেখা।
৯. অনেক সময় চড়া গলায় কথা বলা এবং মেজাজ খিটখিটে থাকা।
৭.জরুরি কাজ না থাকলেও দিনের বেশিরভাগ সময় কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করা।
৮.শারীরিক ও মানসিকভাবে দূর্বল ও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া।
৯. অতিমাত্রায় ইন্টারনেট ব্যবহার এবং অনলাইন গেম খেলার কারণে চোখ ফুলে যাওয়া ও চোখের নিচে কালি পড়া।
১০.সবসময় ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত থাকা।

আসক্তি দূর করবেন কীভাবে?বিকল্প খুঁজে নিনযখন নেশাজাতীয় কিছুর জন্য অস্থিরতা কাজ করবে, তখন অন্যকিছুতে মনঃসংযোগ করুন। যেমন স...
09/04/2024

আসক্তি দূর করবেন কীভাবে?

বিকল্প খুঁজে নিন
যখন নেশাজাতীয় কিছুর জন্য অস্থিরতা কাজ করবে, তখন অন্যকিছুতে মনঃসংযোগ করুন। যেমন সিগারেটের নেশা রয়েছে যাদের, তারা চুইংগাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

দূরে থাকুন প্ররোচনা থেকে
আপনার যদি সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে স্মোকিং জোন থেকে দূরে থাকুন। যদি ইন্টারনেটে আসক্তি থাকে, তাহলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইন্টারনেট কিনবেন না মোবাইলে।

বন্ধু খুঁজে নিন
এমন কিছু মানুষের সঙ্গে সময় কাটান যাদের সে বদভ্যাসগুলো নেই, যেগুলো আপনি ত্যাগ করতে চাইছেন।

মেডিটেশন করুন
মনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মেডিটেশন করতে পারেন।

নিজেকে ভালোবাসুন
বিভিন্ন ধরনের আসক্তি দূর করার জন্য নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। নিজেকে নিজেই উৎসাহিত করুন এবং পণ করুন যত কষ্টই হোক, আসক্তির কাছে কখনও হার মানবেন না।

বিভিন্ন ধরনের বদভ্যাস সময়মতো ত্যাগ করতে না পারলে সেটা ধীরে ধীরে আসক্তিতে রূপ নেয়। সিগারেট খাওয়া, ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময়...
09/04/2024

বিভিন্ন ধরনের বদভ্যাস সময়মতো ত্যাগ করতে না পারলে সেটা ধীরে ধীরে আসক্তিতে রূপ নেয়। সিগারেট খাওয়া, ইন্টারনেটে অতিরিক্ত সময় কাটানো, ফাস্টফুড খাওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের আসক্তি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে সেটা একসময় আমাদের ভয়ংকর ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আসক্তি দূর করা কষ্টকর হলেও অসম্ভব নয়। প্রয়োজন শুধু ইচ্ছা ও আত্নবিশ্বাসের। জেনে নিন কীভাবে দূর করবেন আসক্তি-



বিকল্প খুঁজে নিন
যখন নেশাজাতীয় কিছুর জন্য অস্থিরতা কাজ করবে, তখন অন্যকিছুতে মনঃসংযোগ করুন। যেমন সিগারেটের নেশা রয়েছে যাদের, তারা চুইংগাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

দূরে থাকুন প্ররোচনা থেকে
আপনার যদি সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকে তবে স্মোকিং জোন থেকে দূরে থাকুন। যদি ইন্টারনেটে আসক্তি থাকে, তাহলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইন্টারনেট কিনবেন না মোবাইলে।

বন্ধু খুঁজে নিন
এমন কিছু মানুষের সঙ্গে সময় কাটান যাদের সে বদভ্যাসগুলো নেই, যেগুলো আপনি ত্যাগ করতে চাইছেন।

মেডিটেশন করুন
মনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মেডিটেশন করতে পারেন।

নিজেকে ভালোবাসুন
বিভিন্ন ধরনের আসক্তি দূর করার জন্য নিজের ইচ্ছাই যথেষ্ট। নিজেকে নিজেই উৎসাহিত করুন এবং পণ করুন যত কষ্টই হোক, আসক্তির কাছে কখনও হার মানবেন না।

Address

Keraniganj
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Save Hayya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share