15/03/2025
প্রোক্রাস্টিনেশন!!
আমরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো পরে করার জন্য ফেলে রাখি, যদিও জানি যে দেরি করলে সমস্যা হতে পারে। এটিই কাজ পিছিয়ে দেওয়ার প্রবণতা।
☑️ প্রোক্রাস্টিনেশনের কিছু কারন হলো-
▪️ভালোভাবে করতে না পারার ভয় – মনে হয় কাজটি নিখুঁত না হলে সমস্যা হবে, তাই শুরু করি না।
▪️কাজ করতে ইচ্ছে না করা – যদি কাজটি বিরক্তিকর বা কঠিন মনে হয়, তাহলে সহজেই এড়িয়ে যাই।
▪️বড় কাজ দেখে ভয় পাওয়া – কাজ যদি অনেক বড় বা কঠিন মনে হয়, তাহলে সেটি শুরু করতেই ভয় লাগে।
▪️ব্যর্থ হওয়ার ভয় – মনে হয় যদি ভুল করি বা সফল না হই, তাহলে সমস্যা হবে, তাই কাজটা করি না।
▪️বিনোদনের প্রতি আকর্ষণ – সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি বা মজার কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দেই।
☑️ কিছু নিয়ম মেনে আমরা সহজেই প্রোক্রাস্টিনেশন হতে মুক্তি পেতে পারি।
▪️কাজ ভাগ করে নিন – বড় কাজকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ করলে শুরু করা সহজ হবে।
▪️পাঁচ মিনিট নিয়ম মেনে চলুন – নিজেকে বলুন, "শুধু পাঁচ মিনিট করব", একবার শুরু করলে কাজ চালিয়ে যাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
▪️নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন – ঠিক করে নিন, কখন কাজটি শেষ করবেন, তাহলে দেরি কম হবে।
▪️মনোযোগের সমস্যা দূর করুন – ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কিছু যা আপনার মনোযোগ নষ্ট করে, তা থেকে দূরে থাকুন।
▪️নিজেকে পুরস্কার দিন – কাজ শেষ হলে ছোটখাটো পুরস্কার দিন, এতে কাজ করার আগ্রহ বাড়বে।
▪️নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন – দেরি হলেও, নিজেকে বেশি দোষ না দিয়ে, পরেরবার সময়মতো করার চেষ্টা করুন।
▪️কাজের ভালো দিক চিন্তা করুন – ভাবুন, কাজটি শেষ করলে কীভাবে উপকৃত হবেন, তাহলে কাজ করার আগ্রহ বাড়বে।
প্রকাস্টিনেশন একটি অভ্যাস, কিন্তু এই অভ্যাসকে বদলানো সম্ভব। সবকিছুর প্রথম পদক্ষেপ হলো শুরু করা। ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন, নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন, এবং প্রক্রিয়াটি উপভোগ করুন। আপনি যত বেশি কাজ করবেন, ততই আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত আপনি লক্ষ্য অর্জন করবেন।
তাই, কাজ এখনই শুরু করুন, কারণ "পরে করবো" বলতেই সবচেয়ে বেশি সময় চলে যায়।🌻