Alternative Cure: Ruqyah and Hijamah, Bangladesh

Alternative Cure: Ruqyah and Hijamah, Bangladesh Ruqyah And Hijamah

বর্তমান সময়ের এক শ্রেণীর আলেমও তাবিজ নিয়ে শির্কের প্রতিবাদ করাকে অপরাধ বলে মনে করে থাকে। ইবনুল জাররাহ বিন অকী আল-কুফী। ত...
02/12/2025

বর্তমান সময়ের এক শ্রেণীর আলেমও তাবিজ নিয়ে শির্কের প্রতিবাদ করাকে অপরাধ বলে মনে করে থাকে।

ইবনুল জাররাহ বিন অকী আল-কুফী। তিনি ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য ইমাম। তাঁর অনেক কিতাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিতাবুল জামে অন্যতম। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল এবং তাঁর সমসাময়িক আলেমগণ তার নিকট থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ১৯৭ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

ইবরাহীম নাখঈ (রঃ) বলেন, তারা সব ধরনের তাবীজ-কবজ অপছন্দ করতেন। চাই তা কুরআন থেকে হোক বা অন্য কিছু থেকে হোক।

ইবরাহীম নাখঈর পূর্ণ নাম ইমাম আবু ইমরান ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ আল-নাখঈ আল-কুফী। তিনি ছিলেন বিজ্ঞ ফকীহদের অন্যতম। ৯৬ হিজরীতে ৫০ বছর বা এর কাছাকাছি বয়সে উপনীত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের ছাত্র আলকামাহ, আসওয়াদ, আবু ওয়ায়েল, হারেছ বিন সুওয়ায়েদ, উবায়দা আস্ সালমানী, মাসরুক, রাবী বিন খুছাইম, সুওয়ায়েদ বিন গাফালাহ এবং আরো অনেকেই তাবীজ লটকানো অপছন্দ করতেন। উপরের সকলেই ছিলেন নের্তৃস্থানীয় তাবেঈদের অন্তর্ভূক্ত। তাদের সময়ে মাকরুহ কথাটি হারাম অর্থেই ব্যবহৃত হত। এটিই সঠিক কথা।

কুরআন ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে তাবীজ বানিয়ে ঝুলালে তা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সবাই একমত। আর কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ তৈরী করে ঝুলানো হলে তিন কারণে তা নিষিদ্ধ।

(১) সকল প্রকার তাবীজ ঝুলাতে নিষেধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে কোন কিছুই বাদ পড়েনি। কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ বানিয়ে ঝুলানো হলে তা জায়েয হবে এমন কোন কথা বলা হয়নি।

(২) কুরআন দিয়ে তাবীজ লটকানো জায়েয বলা হলে লোকেরা কুরআন ছাড়া অন্য বস্ত্ত দিয়েও তাবীজ লটকানোর সুযোগ পেয়ে যাবে। ফলে তাদের প্রতিবাদ করা কঠিন হবে। এছাড়া তাবিজের উপর ভরসা করে অনেকেই আল্লাহর ইচ্ছায় এবং রহমতে যে তাবিজ কাজ করবে তা ভুলে যায়। ফলে শিরকে পতিত হয়ে যেতে পারে।

(৩) কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ লটকালে কুরআনের মর্যাদা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তাবীজ পরিধানকারী টয়লেটে এবং অন্যান্য অপবিত্র জায়গায় প্রবেশ করলে অবশ্যই কুরআনের অবমাননা হবে।

30/11/2025

রুকইয়াহ জগৎ হল এক বিস্ময়কর জগত। দিন দিন নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছি। একটা পেশেন্টের হিস্টোরি শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। ভদ্রমহিলা বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সমস্যাটি হচ্ছে শাশুড়ি পক্ষ থেকে। শাশুড়ি চায় না সে তার ছেলের বউ হিসেবে থাকুক। এজন্য যত পন্থা অবলম্বন করার সে করছে। মহিলার ভাষ্য আপনাদেরকে তুলে ধরছি-
আমার শাশুড়ি দুইটা মাজারের মুরিদ। দেওয়ানবাগী আরেকটা সদরঘাটের এদিকে কি মাজার যেন। তিনি সাধারণত নামাজ পড়েন না। মাঝে মাঝে দেখতাম উত্তর দক্ষিণ দিকে ফিরে নামাজ পড়েন। আর নিয়মিত যাদু চর্চা করেন।

জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কিভাবে বুঝতে পারলেন তিনি যাদু চর্চা করেন?
মহিলার উত্তর হল, তিনি আসাম গিয়েছেন। সেখান থেকে এগুলো শিখে আসছেন। এবং একদিন আমি দেখেছি, তিনি তার ঘরে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে মাথা ন্যাড়া করে সাধনা করতেছেন!
(লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)
তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন যেন স্বামী আমাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু আমি কোনভাবেই ছাড়তে চাই না। কারণ, আমার একটি মেয়ে আছে এবং একটি ছেলে আছে। আমার স্বামী আগে নামাজ পড়তো এখন পড়ে না। তার মা তাকে জাদুর মাধ্যমে সবকিছু থেকে ফিরিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। সে প্রায়সময় তার মার কাছে যায়। আমি তাকে কোনভাবেই নামাজ পড়াতে পারি না। ইদানিং টুকটাক পড়তেছে। তার অনেক মন্ত্র মুখস্ত। তার মা তাকে শিখিয়েছে। আমি যখন কোরআন পড়ে পড়া পানি দেই সে বুঝে ফেলে। মুখের কাছে নিয়ে কি মন্ত্র যেন পড়ে ওটার মধ্যে ফু দিয়ে কার্যকারিতা নষ্ট করে তারপর পান করে! আমাকে এতটা জ্বালাতন করে! কিছুদিন পরপর মারাত্মক ধরনের অসুস্থ হয়ে পড়ি! বারবার চালান করে। একদিন আমার শরীরে সম্পূর্ণ আগুন ধরে গিয়েছে। বার্ন ইউনিটে ছিলাম অনেক দিন।
জানতে চাইলাম কিভাবে আগুন ধরল?
তিনি বললেন
আমি খাটে বসা ছিলাম। আমার মেয়ে এবং আত্মীয়রা পাশে ছিল। ওই মুহূর্তে আমার শাশুড়ি চালান করেছে। আমার শরীরটা কেমন যেন হয়ে গেল। হঠাৎ করে দেখলাম কাপড়ের কোণায় একটু আগুন জ্বলতেছে। ওটা নিভানোর আগেই পুরো শরীরে আগুন ধরে গেছে। হুজুর বিশ্বাস করেন! যদি আল্লাহ ফেরেশতা না পাঠিয়ে আমাকে সাহায্য করতেন তাহলে ওই দিনে জ্বলে পুড়ে মারা যেতাম! আর কত বলবো হুজুর! কাহিনীর শেষ নেই!
সুবহানাল্লাহ! লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ!

মানুষ কতটা ভয়ংকর পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে দিনাতিপাত করছে কল্পনা করতে পারেন? এ সমস্ত পেশেন্টের ব্যাপারে আপনি সমাধান কি দিবেন? আমি মনে করি এগুলো সহজি করনের পিছনে বর্তমানে তাবিজ বৈধতার ফতোয়া দানকারীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। যদিও ওনারা জানেন না! মানুষ এগুলোকে খুব স্বাভাবিক ভাবে নিচ্ছে। তাবিজের মাধ্যমে কিভাবে কুফর শিরক হয় এ বিষয়টাকে যদি সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা যেত তাহলে অবস্থা এতটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করত না। অনেক আলেম পরিবারেও জাদুকরদের কাছে আসা-যাওয়া আছে। থাকবেই না বা কেন? আমার জানামতে বহু বড় বড় এবং বিখ্যাত ওলামাগণ যাদুগ্রস্থ! ‌ তিনারা চিকিৎসা নিচ্ছেন আমেল, মুদাব্বির নামক জাদুকরদের কাছে। যারা জীন সাধন করে বৈধ অবৈধ পন্থায় মানুষের চিকিৎসা করে থাকে। তাদেরকে তিনারা নিজেদের চিকিৎসক বানিয়েছেন। তাহলে পাবলিক তো তাদেরকে নিজেদের কলিজা কেটে খাওয়াবে এটাই স্বাভাবিক। পরিস্থিতির আলোকে বিবেচনা করতে হবে। যুক্তি কুযুক্তি দিয়ে এগুলোকে বৈধতা দানের কোন সুযোগ নেই। যদি আপনি কুফর শিরিকের পথ বন্ধ করতে চান। কিছু শর্তে তাবিজকে বৈধ বললেও বাস্তবতা হলো ৯৯ পার্সেন্ট তাবিজে ঐ সমস্ত শর্তের অনুপস্থিতি পাওয়া যায়। খোদ কওমি আলেমদের তাবিজ গুলোতেই জঘন্য কুফরী শব্দমালা এবং শিরিক বিদ্যমান থাকে। যারা রোকেয়ার ময়দানে আছেন তারা বিষয়টি খুব ভালোভাবেই জানেন। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন!

©সাইফুল্লাহ আইয়ুব

30/11/2025

সহবাসের স্বপ্ন বা অনুভূতির পিছনে কি শুধুই জিনের নোংরামি দায়ী? জি না। এর মাধ্যমে জিন আপনাকে মনস্তাত্ত্বিকভাবে দূর্বল করে আর কোন কোন ক্ষেত্রে লজ্জাস্থান ও জরায়ুতে যাদু প্রবেশ করায়। তাছাড়াও ইবাদতে বাধা দেয়া আরেকটি উদ্দেশ্য হতে পারে। এর সমাধানের জন্য আপনার সমস্যা অনুযায়ী রুকইয়াহ চালিয়ে যান।

🏚️ ঘরে জ্বীনের সমস্যা থাকলে প্রাথমিক করণীয়ঃঅনেক সময় বিভিন্ন ফ্ল্যাট বা পুরাতন ঘর এবং বাসা- বাড়ি জ্বীনদের উৎপাতের কেন্দ্র...
29/11/2025

🏚️ ঘরে জ্বীনের সমস্যা থাকলে প্রাথমিক করণীয়ঃ

অনেক সময় বিভিন্ন ফ্ল্যাট বা পুরাতন ঘর এবং বাসা- বাড়ি জ্বীনদের উৎপাতের কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হয়। দেখা যায় যে, সেই ঘরের সদস্যরা সবাই শারীরিক মানসিকভাবে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে থাকেন। ঘরে প্রবেশ করলে শরীর ভার লাগে এবং অবসাদগ্রস্থ লাগে। কখনো কখনো ঘরটি প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে সেই ঘরের সদস্যদের প্রাথমিক করণীয় হচ্ছে–

💠 ঘরে সর্বদা উচ্চশব্দে স্পিকারে সূরা বাক্বারাহ তিলাওয়াতের অডিও ছেড়ে রাখুন।

💠 প্রথমে যেই রুমে কিংবা স্থানে কুরআন পড়া পানি স্প্রে করতে চাচ্ছেন সেই রুমে জোরে আযান দিন। এরপর বাংলায় জোরে জোরে বলুন যে–

🗣️ "আমি আল্লাহর নামে কসম করে বলছি যে, তোমরা আমাদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যাও। আর কখনো ফিরে আসবে না।"

(এভাবে তিনবার বলুন।)

এরপর কুরআন পড়া পানির সাথে হালকা লবণ মিশিয়ে স্প্রে বোতলে করে সেগুলো রুমের দরজার ভেতরে- বাহিরে সকল স্থানে ভালো ভাবে স্প্রে করুন। কোনো জায়গা বাদ দিবেন না, এমনকি খাটের নিচেও বাদ দিবেন না! এটা টানা সাত থেকে চৌদ্দ দিন করুন অথবা সমস্যা যাওয়ার আগ পর্যন্ত করুন।

💠 ঘরে মানুষ, প্রাণী ইত্যাদির ছবি, পর্দা, পুতুল, শো পিস বা মুর্তি থাকলে সেগুলো সরিয়ে ফেলুন। এগুলো ঘর থেকে রহমতের ফিরিশতাদেরকে বের করে দেয় আর শয়তানকে ঘরে ঢুকতে সহযোগিতা করে। ঘরে টিভি, গান চললে অথবা তাবীজ ঝুলানো থাকলে শয়তান ঘরে প্রবেশ করে।

💠 ঘরে কঠিনভাবে জ্বীন যাদুতে আক্রান্ত রোগী বসবাস করলে কিংবা পরিবার যাদুগ্রস্থ হলেও সেই ঘরে জ্বীনের সমস্যা থাকে। ফলে রোগী বা সেই পরিবার বারবার ঘর পরিবর্তন করলেও তাদের সমস্যাগুলো পিছু পিছু যায়। এক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সমাধানের জন্য উপরোক্ত নিয়মের পাশাপাশি অসুস্থ ব্যক্তির রুকইয়াহ করুন এবং সমস্যার ধরন অনুযায়ী অভিজ্ঞ রাক্বীর পরামর্শ গ্রহণ করুন।

💠 ঘরের ভেতর হরর মুভি দেখা ও বাথরুমের দরজা খোলা রাখা ঘরের লোকদের জ্বীনাক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।

💠 ঘরের বারান্দায় বা চারপাশে কাঁটাওয়ালা বৃক্ষ লাগাতে পারেন। এটা জ্বীন শয়তানদেরকে ঘর থেকে দূরে রাখে।

💠 ঘরে ঢুকতে এবং বের হতে বিসমিল্লাহ পড়ুন। এটা শয়তানকে ঘরে ঢুকতে বাঁধা দেয়।

💠 রুমে নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করলে সেই রুমে শয়তানের প্রবেশ বাঁধাগ্রস্থ হয়।

📕 সমস্যার সমাধান না হলে বা সমস্যা জটিল হলে অভিজ্ঞ রাক্বীর পরামর্শ গ্রহণ করুন।

(পোস্টটি উপকারী মনে হলে সদকায়ে জারিয়ায় নিয়্যাতে অপরের সাথে শেয়ার করুন।)
©প্রফেটিক কিউর

✅সাথে মাঝে মধ্যে সমস্ত আসবাবপত্র রুকইয়াহ এর পানি দিয়ে মুছুন। ঘর রুকইয়াহ এর পানি দিয়ে মাঝে মধ্যে মুছুন। অব্যবহৃত কাপড় রুকইয়াহ এর পানি দিয়ে ধুয়ে বিসমিল্লাহ বলে কোন ব্যাগে রেখে বিসমিল্লাহ বলে মুখ বন্ধ করে দিবেন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে খুলতে হলে বিসমিল্লাহ বলে খুলবেন আবার বিসমিল্লাহ বলে বন্ধ করবেন। ঘরে যাদু আগে থেকে থাকলে তা খুজে বের করে নষ্ট করা আবশ্যক। নাহলে একই ঘটনা বারবার ঘটতে থাকবে। অথবা যাদু নষ্ট করার জন্য নিয়মিত রুকইয়াহ করবেন। উপরিউক্ত কাজগুলো রেগুলার করবেন।

28/11/2025

নিচের লক্ষণগুলোর সাথে কোনটা কোনটা আপনার সাথে মিলে তা লিখে কমেন্টে জানান বা ইনবক্সে জানান। "ফ্রি রুকইয়াহ" লিখে জানাবেন। আপনাদের মধ্য থেকে দুই জনকে ফ্রি শর্ট সেশন রুকইয়াহ করানো হবে ইনশাআল্লাহ।
এখান থেকে জিন যাদুর কি কি লক্ষন মিলে লিখে জানান।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=692387512903652&id=100063972273458&mibextid=Nif5oz

দেখা যাক।
27/11/2025

দেখা যাক।

যাদুর হুসুন হচ্ছে শরীরে থাকা এমন গীট যা যাদুর মূল উপাদান বা চুক্তি বা শক্তি যা একটা দলা/টিউমারের মত আপনার শরীরের সুনির্দ...
25/11/2025

যাদুর হুসুন হচ্ছে শরীরে থাকা এমন গীট যা যাদুর মূল উপাদান বা চুক্তি বা শক্তি যা একটা দলা/টিউমারের মত আপনার শরীরের সুনির্দিষ্ট স্থানে সুরক্ষিত থাকে। প্রতিটি যাদুর জন্য আলাদা আলাদা স্থান সুনির্দিষ্ট থাকে। উদাহরণ হিসেবে ছবির পয়েন্ট হল বিচ্ছেদের যাদুর মূল গীট বা হুসুন। এছাড়া এই বিচ্ছেদের যাদু কার্যকর হতে হলে যদি আরো কোন সমস্যা তৈরি করতে হয় তবে সেগুলোর গীট তৈরি হয় কিন্তু ওগুলো মূল গীট নয়। ওগুলো নষ্ট হলে আবার তৈরি হয় কিন্তু মূল যাদুর গীট নতুন করে তৈরি হবে না এবং এটা ধ্বংস হলে বাকিগুলোও শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আবার একাধিক মূল যাদু থাকলে একাধিক হুসুন থাকে। এই হুসুন আবার শরীরের অপর পাশেও ক্রিয়াশীল থাকে এবং প্রয়োজন হলে ব্যান্ড আকারে শরীরের চারপাশ ঘিরে ব্যথার রিং তৈরি হয় যার শুরু ও শেষ এই গীট বা হুসুন। এই যাদুর হুসুন বাদেও আরেকটা হুসুন বলা হয়। সেটা হল জিনের হুসুন।

জিনের হুসুন বলে একটা শব্দ আমরা ব্যবহার করি। সহজ ভাবে বললে বলা যায় তার শক্তি বা সহ্য ক্ষমতা। এটা একেক জিনের একেক রকম হয়। আবার যাদুর উপরেও নির্ভর করে এই ক্ষমতার লেভেল। ফলে কোন জিনকে এক বার আয়াতুল কুরসি পড়লেও সে সহ্য করতে পারে না। আবার কোন জিনের জন্য লাগে ঘন্টার পর ঘন্টা তেলয়াত। কোন জিনের লাগে দিনের পর দিন। কোন জিন গীটে ম্যাসেজ করলেই তারপর আর সহ্য করতে পারে না। কোন জিনের ক্ষেত্রে পেটের যাদু বের না হলে সে উইক হয় না।

তাই জিন বা জিনের পেশেন্টকে এক কাতারে ফালানো যাবে না। তাদের জন্য চিকিৎসার পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। যেমন রাসুলুল্লাহ সাঃ কারো ক্ষেত্রে বুকে থাপ্পড় দিয়েছেন, কারো ক্ষেত্রে পিঠে, কাউকে ফুক দিয়েছেন ইত্যাদি।

এখন কেউ যদি কোন পেশেন্টের উপর আয়াতুল কুরসি একবার বা কয়েকবার পড়ে এবং তাতে জিন কোন রিএকশন দেখায় না বরং উল্টো হাসে, এর কারণ একাধিক হতে পারে।
১। জিন কষ্ট সহ্য করে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছে।
২। জিনের জন্য আরো অনেক বার করে পড়তে হবে বা পড়া চালিয়ে যেতে হবে।
৩। জিনের হুসুন নষ্ট হয় নি তাই সে সুরক্ষার ভিতর আছে।
৪। আপনি সঠিকভাবে এবং সঠিক মেজাজে পড়েন নি।
৫। আপনার মানুষিকতা দূর্বল ছিল এবং অন্তর থেকে পড়তে পারেন নি। বিশ্বাস নিয়ে পড়তে পারেন নি।

ইত্যাদি অনেক কারণ হতে পারে। তবে এমতাবস্থায় পড়া চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষন না জিন উইক হয়ে যায়। আপনি না পারা মানে আল্লাহর কালাম হেরে গেল এমন কিছুই নয় নাআঊজুবিল্লাহ। বরং আপনি উপযুক্ত কৌশল অবলম্বন করতে পারেন নি বা বুঝেন নি। রাকিদের ক্ষেত্রেও এমন হয় যে পজেজ করা জিন নামছেই না, কন্ট্রোল ছাড়ছে না। তখন রাকিরা নানা পদক্ষেপ অবলম্বন করেন পরিস্থিতি অনুযায়ী।

জিনেদের সাথে যুদ্ধ এত সহজ নয়। অন্য সব কিছুর সাথে আপনার মানুষিকতাও প্রবল শক্ত হতে হবে এ যুদ্ধে জয়লাভ করতে হলে। সাথে লাগবে উপযুক্ত কৌশল জানা এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার উপস্থিত বুদ্ধি ও জ্ঞান।

24/11/2025

যারা দূর্বল মানুষিকতার তারা এই নিউজ দেখবেন না। আমাদের দেশে এমন যাদু একেবারেই হয় না এমন ধারণা সম্ভবত ভুল। তবে পশুপাখি দিয়ে ব্যাপক যাদু চর্চা করা হয়। পুরোপুরি জাহান্নামে যাবার রাস্তা এগুলো। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।

https://www.facebook.com/share/v/17iEKUDWXD/

❗জিন কিভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আপনার তা কি জানেন❓জেনে হয়ত অবাক হবেন জিন আক্রান্ত হবার পিছনে যেমন বেশ কিছু সাইকোলজিক্যাল কা...
24/11/2025

❗জিন কিভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আপনার তা কি জানেন❓

জেনে হয়ত অবাক হবেন জিন আক্রান্ত হবার পিছনে যেমন বেশ কিছু সাইকোলজিক্যাল কারণ থাকতে পারে, পারিবারিক এবং সামাজিক কারণ থাকতে পারে তেমনি কোন কারণে আক্রান্ত হলেও মানুষিক, শারীরিক কিংবা পারিপার্শ্বিক সমস্যা তৈরি হয়। সবচেয়ে মজার তথ্য হল আপনি যখন শারীরিক মানুষিক ভাবে দূর্বল থাকেন তখনই জিন আপনাকে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে সহজে।

একটা মানুষ যখন জিন দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন তাকে বেশ কিছু সমস্যার মাঝে দিয়ে যেতে হয়। জিনের ধরণ ও তার আক্রান্ত করার কারণের উপর নির্ভর করে সে কতটা প্রভাবিত হবে। তবে জিন দ্বারা আক্রান্ত হবার যে আইকনিক সিমট্রম আছে সেটা না দেখা দিলে কেউ যে জিন দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে এই বিশ্বাস বা জ্ঞান এখনো আমাদের মাঝে নেই। আর সেই আইকনিক লক্ষণ হল "ব্যাক্তিত্বের পরিবর্তন বা মাল্টিপল পারসোনাল ডিসঅর্ডার বা Dissociative identity disorder/DID"।

এটা আপনারা জানেন যে জিন পজেজ করে ব্যাক্তিকে কন্ট্রোল নিলে সে মানুষের মাঝে পরিবর্তন প্রকাশিত হয়। যেমন ভয়ংকর তেমনি কষ্টকর সে পরিবর্তন। একেক জনের একেক রকম হতে পারে তবে শরীর দোলা, চোখ উলটে যাওয়া, কাপুনি, ঝাকুনি, ভিন্ন ভাবে কথা বলা, ভিন্ন ভাষায় কথা বলা, বিভিন্ন প্রাণীর মত আচরণ করা, মারতে চাওয়া, ভিন্ন রকম অনুভূতি প্রকাশ করা, অদ্ভুত বিভিন্ন বিষয় প্রকাশ পাওয়া, সেক্সচুয়ালিটিতে পরিবর্তন প্রকাশিত হওয়া, অজানা জিনিস বলতে পারা ইত্যাদি। সবার অবশ্যই সকল কিছু প্রকাশিত হয় না। কিন্তু যাই হয় তা সাধারণ মানুষকে আতংকিত করার জন্য যথেষ্ট।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে এখন বলা হয় ডিআইডি। কারণ হিসেবে বলা হয় ট্রমা বা অজানা কারণ। সাধারণত ছোটবেলায় কোন ভীতিকর বা আতংক জনক অভিজ্ঞতা বা বড় হবার পরেও কোন বিশেষ ঘটনা বা ঘটনাসমূহ কিংবা পারিবারিক সামাজিক নিগ্রহের কারণে সৃষ্টি হওয়া ট্রমা থেকে সাইকোলজিক্যাল নানা ডিস্ট্রাবনেস তৈরি হয় পেশেন্টের মনে। সেখান থেকে মস্তিষ্ক তাকে বের করতে সম্পূর্ণ আলাদা একটা বা একাধিক সত্ত্বা প্রদান করে যার সাথে পেশেন্টের স্বাভাবিক সত্ত্বার মিল থাকে না। এই যে এক মানুষের ভিতর তার নিজের অজান্তে তৈরি হওয়া এবং সাধারণত তার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকা আলাদা আলাদা সত্ত্বার সমস্যাকে মাল্টিপল পারসোনাল ডিসঅর্ডার বা আধুনিক বিজ্ঞানে ডিআইডি বলে।

আমরা যারা রুকইয়াহ করি বা এর সাথে কোন না কোন ভাবে গভীর ভাবে যুক্ত তারা প্রতিনিয়ত এর প্রমাণ চাক্ষুষ করছি যে এদের প্রায় সবাই জিন্নাত দ্বারা আক্রান্ত। এ নিয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই। জিনের জন্য শরীরে তৈরি হওয়া গীট ধ্বংস বা শরীরে থাকা যাদু নষ্ট করে বের হলে এসব পেশেন্টের অনেকেই আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু কিছু পেশেন্টের ক্ষেত্রে সুস্থ হতে অনেক অনেক সময় লাগে। বা কেউ হয়ত বছরের পর বছর ধরে চেস্টা করেও সুস্থ হতে পারছেন না। কিন্তু কেন?

এর কারণ বেশ অনেকগুলো হতে পারে তবে আমি প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটা বলব যে পেশেন্টের ট্রমা। এমন কোন ভয়, আতংক, রাগ, ক্ষোভ, জিদ বা জিঘাংসা বা অহংকার পেশেন্টের মনে আছে যা হয়ত সে নিজেও জানে না বা লুকিয়ে রাখতে চায়। ফলে জিন এটাকেই তার অস্ত্র এবং শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে পেশেন্টের উপর কর্তৃত্ব বজায় রাখে। এটাই পেশেন্টের অন্তরকে বা নাফসকে প্রশান্ত হতে বাধা দেয় এবং শয়তানের আসনকে পোক্ত রাখে।

এক্ষেত্রে উচিত পেশেন্টকে প্রচুর পরিমাণ কাউন্সিলিং করা ইসলামিক ভাবে এবং তার ট্রমা ও নফস নিয়ে কাজ করা যাতে সে ট্রমা থেকে বের হতে পারে। রাকি নিজে না পারলে প্রয়োজনে প্রফেশনাল কারো সাহায্য নিতে হবে। এবং এ বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে খুব সচেতনভাবে।

24/11/2025

আলহামদুলিল্লাহ জটিল জিন যাদুর এক পেশেন্ট ভয়াবহ অবস্থা পেরিয়ে আল্লাহর রহমতে সুস্থতার পথে এসেছেন অনেকদূর যা তার কল্পনাতেও ছিল না যে এমন সুস্থ তিনি হতে পারেন। আলহামদুলিল্লাহ।

বাচ্চা হবার জন্য কবিরাজের দেয়া তাবিজ। সাথে ৩ খিলি পান, বৃহষ্পতিবার মাছ খাওয়া যাবে না। রাতে কারো নিজে গিয়ে কথা বলা যাবে ন...
23/11/2025

বাচ্চা হবার জন্য কবিরাজের দেয়া তাবিজ। সাথে ৩ খিলি পান, বৃহষ্পতিবার মাছ খাওয়া যাবে না। রাতে কারো নিজে গিয়ে কথা বলা যাবে না। বাচ্চা একেবারে গ্যারান্টেড।
কিছু বলে যান দুই লাইন।

১৯৯৫ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক হাসপাতালে জন্ম নেওয়া দুই প্রিম্যাচিউর যমজ—কাইরি ও ব্রিয়েল। জন্মের পর থেকেই দু’জনেই লড়াই করছি...
21/11/2025

১৯৯৫ সালে ম্যাসাচুসেটসের এক হাসপাতালে জন্ম নেওয়া দুই প্রিম্যাচিউর যমজ—কাইরি ও ব্রিয়েল। জন্মের পর থেকেই দু’জনেই লড়াই করছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে কাইরি একটু শক্ত হয়ে উঠলেও ব্রিয়েলের অবস্থা দ্রুত খারাপ হচ্ছিল। তার হৃদস্পন্দন অনিয়মিত, শ্বাস-প্রশ্বাস দুর্বল, এবং চিকিৎসকেরা পরিবারকে সবচেয়ে খারাপ কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন।

ঠিক সেই সময় এক নার্স নিয়ম ভেঙে নিজের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির ওপর ভরসা করে এক অবিশ্বাস্য সিদ্ধান্ত নেন। তিনি দু’টি শিশুকে একই ইনকিউবেটরে, ত্বক-টু-ত্বক অবস্থায় একসাথে শুইয়ে দেন—যা তখনকার প্রোটোকল অনুযায়ী করা হতো না।

হঠাৎ মনিটরের চিত্র বদলে যায়।

ব্রিয়েলের শ্বাস-প্রশ্বাস স্থিতিশীল হয়, অক্সিজেন স্যাচুরেশন বেড়ে যায়, আর তার শরীর ধীরে ধীরে স্থির হতে থাকে। নার্সেরা দেখেন—কাইরি তার অতি ছোট্ট হাতটি বোনের ওপর রেখে দিয়েছে, যেন তাকে জড়িয়ে ধরছে।

একটি ছোট পদক্ষেপ। একটি স্থির মুহূর্ত। যা চিকিৎসাবিজ্ঞান তখনও ব্যাখ্যা করতে পারেনি।

এই ঘটনাই পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে “co-bedding” বা প্রিম্যাচিউর যমজদের একই ইনকিউবেটরে রাখা পদ্ধতির সূচনা করে—যা এখন বহু হাসপাতালে চিকিৎসার অংশ।

সব অলৌকিকতা আকাশে থাকে না— কখনো সেটা লুকিয়ে থাকে একটি আলিঙ্গনের উষ্ণতায়, যত্নে। তাই জিন যাদু হোক বা যেই সমস্যা কিংবা রোগই হোক না কেন, আপনজনের স্রেফ পাশে বসে থাকা বা সামান্য ভালো বাক্য বা স্পর্শও অনেক বড় মিরাকল ঘটাতে পারে আল্লাহর ইচ্ছায়।

Address

Dhaka
1217

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alternative Cure: Ruqyah and Hijamah, Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Alternative Cure: Ruqyah and Hijamah, Bangladesh:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

রুকইয়ার মাধ্যমে যেই সকল রোগের ট্রিটমেন্ট হয়

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ার বরকতে অনেকদিন যাবত ( রুকইয়াহ ) চিকিৎসা করে আসছি। যাদের সরাসরি রুকইয়াহ পরামর্শ প্রয়োজন তারা কন্টাক্ট নাম্বার অথবা ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। রুকইয়ার মাধ্যমে যেই সকল রোগের ট্রিটমেন্ট হয় ১/ জ্বিনের স্পর্শ । ২/ বাতাস লাগা। ৩/ উপরি সমস্যা। ৪/ বাসা বাড়ীতে জ্বিনের সমস্যা। ৫/ কানে অদ্ভুত আওয়াজ শোনা। ৬/ কালো যাদু। ৭/ জ্বীনের মাধ্যেমে পাগল বানানোর যাদু। ৮/ অদৃশ্য আওয়াজ শোনার যাদু। ৯/ শারিরিক অসুস্ত বানানোর যাদু। ১০/ বিয়ে না হওয়া বা আটকে রাখার যাদু। ১১/ স্বামী এবং স্ত্রীর মাঝে যাদু। ১২/ স্বামীকে বশ করার যাদু। ১৩/ রক্ত স্রাবের যাদু। ১৪/ গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদু। ১৫/ বদনজরের সমস্যা। ১৬/ বাচ্চাদের বদনজর ইত্যাদি