02/12/2025
বর্তমান সময়ের এক শ্রেণীর আলেমও তাবিজ নিয়ে শির্কের প্রতিবাদ করাকে অপরাধ বলে মনে করে থাকে।
ইবনুল জাররাহ বিন অকী আল-কুফী। তিনি ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য ইমাম। তাঁর অনেক কিতাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিতাবুল জামে অন্যতম। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল এবং তাঁর সমসাময়িক আলেমগণ তার নিকট থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ১৯৭ হিজরী সালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
ইবরাহীম নাখঈ (রঃ) বলেন, তারা সব ধরনের তাবীজ-কবজ অপছন্দ করতেন। চাই তা কুরআন থেকে হোক বা অন্য কিছু থেকে হোক।
ইবরাহীম নাখঈর পূর্ণ নাম ইমাম আবু ইমরান ইবরাহীম বিন ইয়াযীদ আল-নাখঈ আল-কুফী। তিনি ছিলেন বিজ্ঞ ফকীহদের অন্যতম। ৯৬ হিজরীতে ৫০ বছর বা এর কাছাকাছি বয়সে উপনীত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের ছাত্র আলকামাহ, আসওয়াদ, আবু ওয়ায়েল, হারেছ বিন সুওয়ায়েদ, উবায়দা আস্ সালমানী, মাসরুক, রাবী বিন খুছাইম, সুওয়ায়েদ বিন গাফালাহ এবং আরো অনেকেই তাবীজ লটকানো অপছন্দ করতেন। উপরের সকলেই ছিলেন নের্তৃস্থানীয় তাবেঈদের অন্তর্ভূক্ত। তাদের সময়ে মাকরুহ কথাটি হারাম অর্থেই ব্যবহৃত হত। এটিই সঠিক কথা।
কুরআন ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে তাবীজ বানিয়ে ঝুলালে তা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সবাই একমত। আর কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ তৈরী করে ঝুলানো হলে তিন কারণে তা নিষিদ্ধ।
(১) সকল প্রকার তাবীজ ঝুলাতে নিষেধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা থেকে কোন কিছুই বাদ পড়েনি। কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ বানিয়ে ঝুলানো হলে তা জায়েয হবে এমন কোন কথা বলা হয়নি।
(২) কুরআন দিয়ে তাবীজ লটকানো জায়েয বলা হলে লোকেরা কুরআন ছাড়া অন্য বস্ত্ত দিয়েও তাবীজ লটকানোর সুযোগ পেয়ে যাবে। ফলে তাদের প্রতিবাদ করা কঠিন হবে। এছাড়া তাবিজের উপর ভরসা করে অনেকেই আল্লাহর ইচ্ছায় এবং রহমতে যে তাবিজ কাজ করবে তা ভুলে যায়। ফলে শিরকে পতিত হয়ে যেতে পারে।
(৩) কুরআনের আয়াত দিয়ে তাবীজ লটকালে কুরআনের মর্যাদা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা তাবীজ পরিধানকারী টয়লেটে এবং অন্যান্য অপবিত্র জায়গায় প্রবেশ করলে অবশ্যই কুরআনের অবমাননা হবে।