FAST HOME Medicare

FAST HOME Medicare Fast Home MediCare has been providing Various health benefits and healthy lifestyle solutions to individual clients.

We stand committed to provide similar through natural solutions for a life-time of wiliness to corporate world also.

স্ট্রোকের ছোট–বড় লক্ষণবেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স্করা স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও অল্প বয়সীদেরও এ সমস্যা হতে পারে। তাই যেকোনো বয়...
05/05/2024

স্ট্রোকের ছোট–বড় লক্ষণ
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বয়স্করা স্ট্রোকে আক্রান্ত হলেও অল্প বয়সীদেরও এ সমস্যা হতে পারে। তাই যেকোনো বয়সে স্ট্রোকের কোনো লক্ষণ দেখা দিলেই অবহেলা করা চলবে না। এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, স্ট্রোকের রোগীর জন্য সময় মহামূল্যবান। সময় পেরিয়ে গেলে মূল চিকিৎসার সুযোগ কমে যায়। তখন কেবল সহায়ক চিকিৎসা চলে। এতে পরবর্তী জীবনের জটিলতাগুলো এড়ানো সম্ভব হয় না। কাজেই ছোট-বড় সব লক্ষণের দিকেই সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও পুষ্টি পরিবহনকারী রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা ফেটে গেলে স্ট্রোক হয়। সাধারণত শরীরের এক পাশ দুর্বল বা অবশ হয়ে গেলে আমরা বলি স্ট্রোক বা পক্ষাঘাত হয়েছে। কিন্তু সব সময় যে এমনটাই হবে, তা নয়। স্ট্রোকের আরও উপসর্গ আছে। এসব উপসর্গ নির্ভর করে মস্তিষ্কের ঠিক কোন জায়গায় স্ট্রোক হয়েছে, তার ওপর।
হঠাৎ প্রচণ্ড মাথাব্যথা, যা কোনো কিছুতেই কমছে না—স্ট্রোকের লক্ষণ হতে পারে। বমি বা মাথা ঘোরানো, খিঁচুনি হতে পারে। স্ট্রোকের কারণে হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া, কথা বলতে কিংবা বুঝতে অসুবিধা হওয়া, খেতে অসুবিধা, ঠোঁটের কোণ দিয়ে খাবার গড়িয়ে পড়া, কিংবা মুখ একদিকে বাঁকা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। রোগীর চোখ বুজতে সমস্যা হতে পারে, আবার চোখের পাতা ঝুলে থাকতে পারে। দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। ঝাপসা দেখা, একটি জিনিস দুটি দেখা কিংবা কানে শুনতে সমস্যা হতে পারে।
মুখের কোনো অংশ অবশ হয়ে পড়তে পারে, এক হাত বা এক পায়ে বোধশক্তি কমে যাওয়া কিংবা এক হাত বা এক পা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। অসংলগ্ন কথা ও আচরণ, এমনকি চেতনা হারালেও স্ট্রোকের কথা ভাবতে হবে। হঠাৎ করে কেউ লিখতে পারছেন না, ডান-বাঁ বুঝতে পারছেন না, হঠাৎ সাধারণ গণনার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে সাবধান হতে হবে।
ছোট–খাটো লক্ষণকে পাত্তা না দেওয়ার কারণে স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে অনেকটা মূল্যবান সময় চলে যায়। স্ট্রোক হয়েছে বুঝতে পারলেই কাছের যেসব হাসপাতালে সর্বাধুনিক চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে রোগীকে তেমন কোনো হাসপাতালে নিতে হবে। মস্তিষ্কের জমাট বাঁধা রক্ত গলিয়ে ফেলার ওষুধ শিরাপথে বা ধমনিপথে প্রয়োগ করে, বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে রক্তনালির মধ্যে জমাট রক্ত সরিয়ে এবং রক্তনালি থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত (রক্তক্ষরণ) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা সম্ভব।
নিউরো আইসিইউ স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, ঢাকা

কেন হাঁটবেন, কীভাবে হাঁটবেন ???হাঁটা একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত হাঁটলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এ তথ্য সবার জানা থাকলেও স...
10/03/2024

কেন হাঁটবেন, কীভাবে হাঁটবেন ???
হাঁটা একটি উৎকৃষ্ট ব্যায়াম। নিয়মিত হাঁটলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এ তথ্য সবার জানা থাকলেও স্পষ্ট ধারণা অনেকেরই নেই। জেনে নেওয়া যাক হাঁটার কিছু উপকারিতা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
নিয়মিত হাঁটলে টাইপ–২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও হাঁটা বেশ কার্যকর। হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে।
উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে এবং তা নিয়ন্ত্রণে হাঁটা বেশ কার্যকর। নিয়মিত হাঁটলে রক্তনালির দেয়ালে চর্বি কম জমে। তাই করোনারি হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমে। এ ছাড়া মূল করোনারি রক্তনালিতে ব্লক থাকলেও নিয়মিত হাঁটার কারণে আশপাশের ছোট রক্তনালিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। কমে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও।
মেদ কমায়
নিয়মিত হাঁটলে মেদ কমে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বাড়ে, মন্দ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমে।
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
নিয়মিত হাঁটলে ওজন কমে। ফলে স্তন ক্যানসারসহ অন্য অনেক ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।
মেজাজ ভালো রাখে
নিয়মিত হাঁটলে মস্তিষ্কে এনডর্ফিন, ডোপামিন, সেরোটোনিনের মতো ভালো অনুভূতি তৈরির রাসায়নিক নিঃসরণ বাড়ে। ফলে বিষণ্নতা কমে, মন–মেজাজ ভালো থাকে, রাতে ঘুম হয় চমৎকার।
হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
হাঁটার সময় হৃৎস্পন্দন আর শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বাড়ে। ফলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ে।
হাঁটার উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটুন
হাড় ও গিঁটের জন্যও ভালো
হাঁটলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং ক্ষয় কমে। যাঁরা নিয়মিত হাঁটেন, তাঁদের অস্টিওপোরোসিস কম হয়। হাড়ের জোড়া বা গিঁট সুস্থ থাকে।
শারীরিক কর্মক্ষমতা বাড়ায়
হাঁটার ফলে পেশিতে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। এতে পেশির শক্তি বাড়ে।
কিছু পরামর্শ
হাঁটার উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন হাঁটুন। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। একবারে ৩০ মিনিট হাঁটতে না পারলে ১০ মিনিট করে দিনে তিনবার হাঁটা যেতে পারে। হাঁটার জন্য সকাল বা বিকেলের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন। দ্রুত হাঁটুন যাতে ঘাম হয়, নাড়ির স্পন্দন বাড়ে। হাঁটা শুরুর পর প্রথম কয়েক মিনিট এবং শেষ কয়েক মিনিট ধীরে হাঁটুন। এতে শরীর মানিয়ে নেবে। ভরপেট খাওয়ার পরপরই হাঁটবেন না। হাঁটার শুরুতে এবং শেষে একটু পানি পান করুন। ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক ও উপযুক্ত জুতা পরে হাঁটুন।
- মো. শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ, কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

দৈনিক ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা মেটাবে মাত্র দুটো আমলকি আমলকি একটি পরিচিত ফল। এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূ...
12/09/2020

দৈনিক ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা মেটাবে মাত্র দুটো আমলকি

আমলকি একটি পরিচিত ফল। এর রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকিতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকি খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকি খেলে মুখে রুচি বাড়ে।

এছাড়াও এর রয়েছে আরও অনেক ঔষধি গুণ-

আমলকি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।

দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।

হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।

দাঁত, চুল ও ত্বক ভালো রাখে আমলকি।

খাওয়ার রুচি বাড়ায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল, রক্তাল্পতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।

বহুমূত্র রোগে এটি উপকারী।

চুল ওঠা দূর করতে আমলকি বেশ উপকারী। চুলের খুশকির সমস্যা দূর করে।

আমলকির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণায় বলা হয়, আমলকি ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।

প্রতিদিন সকালে আমলকির জুস খাওয়া পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে।

আমলকি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমায়।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকি খুব দ্রুত কাজ করে। আমলকির গুঁড়ো মধু দিয়ে প্রতিদিন খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

কোন ভেষজ চায়ের কী গুণ? কখন খাবেন, কীভাবে বানাবেন? সবাই সুস্থ থাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা করেন। কেউ স্বাস্থ্যসম্মত ভেষজ চা...
07/09/2020

কোন ভেষজ চায়ের কী গুণ? কখন খাবেন, কীভাবে বানাবেন?

সবাই সুস্থ থাকার জন্য নানা রকম চেষ্টা করেন। কেউ স্বাস্থ্যসম্মত ভেষজ চা পান করেন। বাজারে নানা রকম ভেষজ চা পাওয়া যায়। তবে, সে সবের চেয়ে ঘরোয়া টাটকা উপাদান দিয়ে নিজে বানিয়ে নিলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

সব চা কী সবাই খেতে পারেন? কোন চা কখন খাবেন? কীভাবে পান করা উচিত ভেষজ চা? এমন কয়েকটা পরামর্শ রইল।
তুলসি চা

একবাটি পানিতে একমুঠো তুলসি পাতা ফুটিয়ে নিন। ভালোভাবে ফুটলে আঁচ কমিয়ে আরও ১০ মিনিট ফোটান। এরপর এতে এক চামচ মধু আর দু-চামচ লেবুর রস মেশাতে হবে। তাহলে এই চায়ে মধু দেবে এনার্জি আর লেবু দিবে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজে লাগবে।

একই সঙ্গে তুলসির প্রভাবে জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ কম থাকবে। নিয়মিত খেলে প্রদাহের প্রবণতা কমবে, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

শুকনো কাশির প্রকোপ কমাতে চাইলে এতে ধনে ও আদা মিশিয়ে নিন। প্রদাহের প্রবণতাও কমবে তাতে। কীভাবে বানাবেন, দেখুন।

এক লিটার পানিতে দু-চামচ আদা কুচি, চার চামচ ধনে ও একমুঠো তুলসি পাতা দিয়ে কম আঁচে ভাল করে ফোটান, যতক্ষণ না পানি অর্ধেক হয়ে যায়। এবার ছেঁকে নিয়ে মধু ও লেবু মিশিয়ে খান।
কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্রে এই চা না খাওয়াই ভাল। যেমন-

• গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খাবেন না। কারণ তুলসিতে আছে এস্ট্রাপানি যা জরায়ুর সংকোচন বাড়াতে পারে।

• ডায়াবেটিসের ওষুধ খেলে বা ইনসুলিন নিলে নিয়মিত খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। কারণ তুলসি রক্তে সুগারের মাত্রা কমায় বলে জানা গেছে।

• রক্ত পাতলা রাখার ওষুধ খেলেও সাবধান। কারণ তুলসিও রক্ত পাতলা রাখে।

• বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, যাদের নিয়মিত অ্যাসিটামিনোফেন জাতীয় ব্যথার ওষুধ খেতে হয়, তারা তুলসি খাওয়ার আগে দু-বার ভাববেন। কারণ দুইয়ের মিলিত প্রভাবে লিভারের কিছু ক্ষতি হতে পারে।

দারুচিনি চা

দারুচিনি, গোলমরিচ, লেবুর রস ও মধু দিয়ে বানাতে পারেন ভেষজ চা। এক চামচ দারুচিনির গুড়ো, সিকি চামচ গোলমরিচ গুড়ো, এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ মধুর মধ্যে এক কাপ ফুটন্ত পানি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ছেঁকে নিন।

দারুচিনির কুমারিন, গোলমরিচের পিপারিন প্রদাহের প্রবণতা কমাবে, বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে কুমারিন বেশি খাওয়া ঠিক না। লিভারের ক্ষতি হতে পারে। আবার সুগার কমাতে পারে বলে যার ডায়াবেটিসের ওষুধ চলছে, তিনি বুঝেশুনে খাবেন।

অশ্বগন্ধা চা

রোজ সকালে বা বিকেলে এক কাপ অশ্বগন্ধার চা খেতে পারেন। এক কাপ ফুটন্ত পানিতে এক চা-চামচ অশ্বগন্ধা মূলের গুড়ো দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন মিনিট ১০-১৫। ছেঁকে লেবুর রস ও মধু দিয়ে খান।

এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি প্রদাহের প্রবণতা কমবে। অশ্বগন্ধার জীবাণুনাশক গুণও আছে। কমবে মানসিক চাপ-অবসাদ ও বয়সজনিত ক্ষয়-ক্ষতির হার।

ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ সাইকোলজিক্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই চা খেলে খুব সহজে সতেজ ও ফুরফুরে হওয়া যায়।

আদা চা

এক চা-চামচ আদা কুচি, দুটো লবঙ্গ, এক ইঞ্চি দারুচিনি থেঁতো করে দু-কাপ পানি দিয়ে ফোটান। তাতে দিন ৩ ইঞ্চি কমলালেবুর খোসা। কম আঁচে ফোটান ১৫ মিনিট। দেড় চামচ মধু মিশিয়ে খান। জ্বর-সর্দি-গলা ব্যথা, সবের আরাম হবে।

হলুদ চা

আধ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা ও সিকি চামচ গোলমরিচের গুঁড়োতে ফুটন্ত পানি মেশান। এতে মেশান একটা গোটা লেবুর রস আর দেড় চামচ মধু। সকাল-বিকেল খেলে ইমিউনিটি নিয়ে আর ভাবতে হবে না।

পুদিনা চা

ফুটন্ত পানিতে মেশান রোজমেরি। তাতে দিন ১০-১২টা পুদিনা পাতা। দেওয়ার আগে একটু কুচি কুচি নেবেন যাতে গন্ধটা পুরোপুরি বেরোয়। ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। তৈরি পুদিনা চা।

চায়ের সঙ্গে ‘টা’
সাধারণ চায়ে ক্যাফেইন, ট্যানিন ইত্যাদি থাকে বলে খালি পেটে খেলে কারও কারও অম্বলের সমস্যা বাড়ে। ভেষজ চায়ে সে ভয় নেই। কাজেই ‘টা’ না খেলে কোনো ক্ষতি নেই। বিস্কুট জাতীয় কিছুও খুব একটা না খাওয়াই ভাল। কিন্তু অভ্যাস বলে কথা। কিছু একটা না খেলে অস্বস্তি হয়। কাজেই স্বাস্থ্যকর কিছু খান।

বাদাম খেতে পারেন। চিনে বাদাম খেলেও উপকার হবে। পেট ভরা থাকবে অনেকক্ষণ। তবে সেটিও পরিমাণমতো। সবমিলিয়ে পুষ্টিকর খাবার খান, সুস্থ থাকুন।

সূত্র: আনন্দবাজার

শিশুর জ্বরের সঙ্গে এসব উপসর্গ থাকলে সাবধান! করোনাভাইরাসের কারণে এখন জ্বর সবাই আতঙ্কে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচ...
03/09/2020

শিশুর জ্বরের সঙ্গে এসব উপসর্গ থাকলে সাবধান!

করোনাভাইরাসের কারণে এখন জ্বর সবাই আতঙ্কে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কিছু দিন আগেও জানান, শিশুরা কোভিড ১৯ ভাইরাসের থেকে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ। কিন্তু সার্স কোভ-২ ভাইরাসের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে কাওয়াসাকি ডিজিজ ও এরই মতো আরও একটি রোগ এমআইএস-সি অর্থাৎ মাল্টিপল সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেনের প্রবণতা যথেষ্ট বেড়েছে।

ভারতের ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরি জানান, প্রবল জ্বর আর শরীরজুড়ে লাল র‍্যাশ, এ ধরনের উপসর্গ দেখলে চিকিৎসকরা এখন মাল্টিপল সিস্টেম ইনফ্ল্যামেটরি সিনড্রোম ইন চিলড্রেন বা কাওয়াসাকি ডিজিজের কথা মাথায় রাখছেন।
করোনা সংক্রমণের গতিবিধি নিয়ে এখনও বিভ্রান্ত চিকিৎসকরা। তবে করোনা আবহে শিশুদের মধ্যে কাওয়াসাকি ডিজিজ এবং এমআইএস-সির ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেড়ে গেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ চরমে ওঠে মার্চ-এপ্রিল মাসে।

ইতালি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন ইত্যাদি দেশে কোভিড ১৯-এর পাশাপাশি বাচ্চাদের মধ্যে কাওয়াসাকি এবং কাওয়াসাকির মতো রোগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলেছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে চিকিৎসকরা বাচ্চাদের কোভিড টেস্ট করে দেখেন, বেশকিছু বাচ্চার কোভিড পজিটিভ। করোনা নেগেটিভ বাচ্চাদের প্রায় সকলেই করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছিল। তার থেকেই এই সংক্রমণ।

প্রভাস প্রসূন গিরি জানালেন, ‌'এর পরেই চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন যে, কোভিড ১৯-এর সঙ্গে সরাসরি কাওয়াসাকি ও কাওয়াসাকির মতো উপসর্গ যুক্ত রোগের (অর্থাৎ এমআইএস- সি) সম্পর্ক আছে।

ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের আরেক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রিয়ঙ্কর পাল জানান, 'মূলত ঋতু পরিবর্তনের সময় কাওয়াসাকি ডিজিজের প্রবণতা বাড়তে দেখা যায়। তবে এবারে এই সময়টায় কাওয়াসাকি নিয়ে আসা বাচ্চার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।'

প্রিয়ঙ্কর জানালেন, গত ১০ বছরে কলকাতা শহরে কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে।

কোভিড ১৯-এর সঙ্গে কাওয়াসাকি এবং এমআইএস- সির একটা সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত হয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তারাই কাওয়াসাকি ও এমআইএস- সি অসুখ ডেকে আনে। টোকিয়োর রেড ক্রশ হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ তোমিসাকু কাওয়াসাকি নামে এক চিকিৎসক প্রথম এই রোগটি সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তার নামেই রোগটির এই নাম দেওয়া হয়। এ বছরের ৫ জুন কাওয়াসাকি ৯৫ বছর বয়সে মারা যান।

প্রভাস প্রসূন গিরি জানান, “এই রোগের শুরুতে ১০২ ডিগ্রি বা তারও বেশি জ্বর হয়। তিন দিন বা তারও বেশি সময় ধরে জ্বর চলতে থাকে। ঠোঁট ও চোখ টকটকে লাল হয়ে যায়। তবে চোখ থেকে পিচুটি বেরয় না। শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল র‍্যাশ বেরোয়। যৌনাঙ্গেও র‍্যাশ বেরোতে পারে। ঠোঁট ও জিভ লাল হয়ে ফেটে যায়, ঘাড়ের গ্রন্থি ফুলে যায়, হাতের তালু ও পায়ের পাতা লাল হয়ে ফুলে গিয়ে ত্বক ফেটে ছাল ওঠে। এ ছাড়া পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।'

প্রায় একই কথা জানিয়ে প্রিয়ঙ্কর পাল বলেন, এই রকম উপসর্গ দেখে কিছু রক্ত পরীক্ষা করে রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। মূলত পাঁচ বছরের কম বয়সিদের কাওয়াসাকি রোগ হয় এবং তুলনামূলক ভাবে একটু বড় বাচ্চাদের মধ্যে (৮–১৫ বছর) এমআইএস- সি বেশি দেখা যায়।”

প্রভাস প্রসূন জানান, “এমআইএস- সি কাওয়াসাকির থেকেও মারাত্মক। কাওয়াসাকি রোগে হার্টের ধমনিতে প্রদাহ হয়ে ফুলে উঠে ব্লকেজ হতে পারে। অন্য দিকে এমআইএস- সি অসুখে হার্ট, কিডনি, ফুসফুস-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়। হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি। কাওয়াসাকি রোগে আক্রান্ত ১০০ জনের মধ্যে ১০–১৫ জন শিশুকে ইন্টেনসিভ কেয়ারে রেখে (আইসিইউ) চিকিৎসা করতে হয়। অন্য দিকে এমআইএস- সি আক্রান্তদের ৬৫–৭৫ জন শিশুকে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা করতে হয়। আসলে এই রোগে বাচ্চাদের হার্টের পেশিগুলো আক্রান্ত হয়ে মায়োকার্ডাইটিস হয়। হৃদপিণ্ডের পাম্পিং রেট কমে গিয়ে হার্ট ফেলিওর হয়। এই অসুখে দ্রুত চিকিৎসা না করালে হার্ট ফেলিওর হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি। কাওয়াসাকিতে হার্টের ধমনি আক্রান্ত হলেও হার্ট ফেলিওর হয় না বললেই চলে। তবে পরবর্তীকালে হার্টের সমস্যা থেকেই যায়। অ্যাসপিরিন ও ইন্টারভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজন হলে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় থাকা রোগীদের স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।'

সব থেকে সমস্যার হলো, এই রোগ দুটির নির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে এখনও কিছুই জানা যায়নি। এই দুটিই মূলত অটো ইমিউন ডিজিজ। তবে কোভিড ১৯-এর সঙ্গে যেহেতু রোগের সরাসরি সম্পর্কের কথা জানা গেছে, তাই এই পরিস্থিতিতে যেসব নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে দুই চিকিৎসকেরই একই অভিমত।

সূত্র : আনন্দবাজার

জেনে নিন আর্থ্রাইটিস রোগের প্রাকৃতিক সমাধানআর্থ্রাইটিস একটি নিষ্ঠুর ঘাতক। আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন হয়ে উঠ...
29/08/2020

জেনে নিন আর্থ্রাইটিস রোগের প্রাকৃতিক সমাধান

আর্থ্রাইটিস একটি নিষ্ঠুর ঘাতক। আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা, উঠতে বসতে সমস্যা এমনকি ব্রেডে মাখন লাগাতেও অক্ষম হয়ে পড়া আর্থ্রাইটিস রোগের সাধারণ চিত্র।

আর্থ্রাইটিস মূলত ৩ প্রকারের। অস্টিয়আর্থ্রাইটিস, রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং জোরিয়াক আর্থ্রাইটিস। এগুলোর ফলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে সমস্যা দেখা দেয়। ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে আর্থ্রাইটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে আছে কি?

শরীরের ওজন বেড়ে গেলে অস্থিসন্ধিগুলোতে প্রচুর চাপ পড়ে। তাই ওজন কমানোর মাধ্যমে আর্থ্রাইটিসের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১১ পাউন্ড ওজন বাড়লে অস্টিয়আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৩৬ শতাংশ বেড়ে যায়।

ব্যায়াম করুন নিয়মিত:

সপ্তাহে নিয়মিত ১ ঘন্টা ব্যায়াম করলে আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ কমে যায়। ভারী ব্যায়াম করতে না পারলে হাল্কা স্ট্রেচিং ব্যায়াম করলেও উপকারে আসে।

শুধুমাত্র অ্যাথলেট নয়, আপনিও করতে পারেন ভারোত্তোলন:

ভারোত্তোলনের মাধ্যমে মাংসপেশির দৃঢ়তা বৃদ্ধি করা যায় যা আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে খুবই উপকারী। গবেষণায় পাওয়া গেছে যেসকল মহিলাদের শক্তিশালী ঊরূ থাকে তাদের নি-আর্থ্রাইটিস্‌ হওয়ার প্রবণতা ৫৫ শতাংশ কমে আসে।

ধূমপান ত্যাগ করুন:

ধূমপান আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল করে দেয়। যা আমাদের অস্থিসন্ধিগুলোতে আক্রমন করতে পারে। ফলে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহন করুন:

ভিটামিন ডি আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও সবল করে। হাড় মজবুত করে এবং অস্থিসন্ধিস্থলকে বিভিন্ন ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়।

ফল খান দু হাত ভরে:

ফলমূলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বেটাক্রিপ্টোক্সানথিন এবং অন্যান্য অনেক উপকারী উপাদানের কারণে ফলের রঙ লাল, কমলা, নীল বা সবুজ হয়ে থাকে। এই সকল উপাদান আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি ২০ থকে ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। ভিটামিন সি অস্থিসন্ধির জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন টকজাতীয় ফলের মধ্যে ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়।

কোন কোন খাবার আর্থ্রাইটিসের জন্য উপকারী?

আদাঃ আদা একটি অতি উপাদেয় ভেষজ বা মশলা যা শত বছর ধরে জ্বালা-পোড়া কমানোর কাজে আয়ুর্বেদ এবং চাইনিজ মেডিসিন উভয়ে ব্যবহার হয়ে আসছে। অস্থিসন্ধিতে এবং মাংসপেশিতে জ্বালা-পোড়া কমানোর কাজে আদা খুবই উপকারী। এটা আপনি দৈনন্দিন খাবারের সাথে বা চায়ের সাথে খেলে আপনার রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং লুপাস হওয়ার প্রবণতা কমে আসে। এটি আপনার রক্তের ঘনত্বও বাড়িয়ে দেয়।

আনারসঃ মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী আনারসে প্রচুর পরিমানে ব্রোমেলিন এনজাইম থাকে যা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা লুপাসে আক্রান্ত রোগীর অস্থিসন্ধিতে জ্বালা-পোড়া, ব্যথা, অবশ ভাব, লাল ভাব এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। এটা শরীরের প্রোটিন হজমের ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়। শুধুমাত্র ব্রোমেলিন গ্রহণ করলে দুই বেলার খাবারের মাঝখানে নেওয়াই ভাল। আনারস জুস করে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

চেরিঃ ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান হেলথ্‌ সিস্টেমের প্রকাশনা মতে রান্না করা, জুস আকারে বা ফল হিসেবে যেভাবেই খান না কেন চেরি লুপাস বা রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের ব্যথা ও জ্বালা-পোড়া দূরীকরণে খুবই কার্যকরী। আরও বলা হয়েছে, নিয়মিত কয়েক সপ্তাহ মোটামুটি ৮ থেকে ২০ টি চেরি খেলে অস্থিসন্ধিতে ব্যথা অনেক কমে যায়। অনেকে মনে করেন টক জাতীয় চেরি বেশি উপকারী, কিন্তু ডাক্তাররা বলেন দুই ধরনের চেরিই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

তারপরও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন:

যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে যারা রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধির ঔষধ সেবন করছেন তারা এই সকল প্রাকৃতিক চিকিৎসা নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন।

সহজেই টনসিলের ব্যথা দূর করবেন যেভাবে জিহ্বার পিছনে গলার দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে জিনিসটি দেখা যায়, সেটাই হ...
27/08/2020

সহজেই টনসিলের ব্যথা দূর করবেন যেভাবে

জিহ্বার পিছনে গলার দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে জিনিসটি দেখা যায়, সেটাই হল টনসিল। সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোর সংক্রামণেই টনসিলে ব্যথা বা সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার সমাধানে বাজারে নানা রকম ওষুধ, সিরাপ তো রয়েছেই, তবে একেবারে ঘরোয়া উপায়েও টনসিলে ব্যথা দূর করা সম্ভব। জেনে নিন সেই উপায়গুলো সম্পর্কে...

লবণ-পানি: গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি কম-বেশি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি তা হল, সামান্য উষ্ণ পানিতে লবণ দিয়ে গড়গড়া করা। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণের আশঙ্কাও দূর করে দেয়।
আদা চা: দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদার কুচি আর আন্দাজ মতো চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এই পানীয়টি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি খুবই কার্যকরী।

লেবুর রস: এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি যত দিন গলা ব্যথা ভাল না হয়, ততদিন পর্যন্ত খেতে থাকুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী।

হলুদ দুধ: এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলে সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে থাকে।
তথ্য সূত্র - ইন্টারনেট

মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় যে ৭টি খাবারনিগার আলম: মাথাব্যথা একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার নাম। আর তা যদি হয় মাইগ্রেনের ...
25/08/2020

মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় যে ৭টি খাবার

নিগার আলম: মাথাব্যথা একটি যন্ত্রণাদায়ক সমস্যার নাম। আর তা যদি হয় মাইগ্রেনের ব্যথা তবে তো কথা নেই। এই ব্যথা যে কত ভয়ংকর তা শুধু মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বুঝতে পারেন। মাইগ্রেনের ব্যথা একবার শুরু হলে সহজে তা আর কমানো সম্ভব হয় না। কিছু খাবার আছে যা এই ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। মাইগ্রেনের সময় এই খাবারগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কোন কোন খাবারগুলো মাইগ্রেনের সময় খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

১। বিনস

যেকোনো ধরনের বিন বা শিম জাতীয় খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে মটরশুঁটি জাতীয় খাবার এই সময় না খাওয়াই ভালো।

২। আচার

মশলাদার খাবার যেকোনো ব্যথার জন্য ক্ষতিকর। যেকোনো খাবারের যেমন শসা, অলিভ, সবজির আচার মাইগ্রেনের ব্যথা বৃদ্ধি করে থাকে।

৩। লাল মরিচ

লাল ক্যাপসিকাম এবং লাল মরিচ মাইগ্রেনের ব্যথাকে বাড়িয়ে দেয় বহুগুণ। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় মরিচ জাতীয় খাবার না খাওয়া ভালো।

৪। কলা

প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ ফল কলা। কিন্তু এই কলাও আপনার মাথা ব্যথা বৃদ্ধি করে দিতে পারে। কলাতে টাইরামিন নামক উপাদান আছে যা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। তাই মাথা ব্যথার সময় কলা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

৫। লেবু জাতীয় ফল

লেবু বা লেবু জাতীয় ফলে টাইরামিন এবং হিসটামিন নামক দুটি উপাদান রয়েছে যা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারনা করা হয়।

৬। পিজ্জা

আপনার অতি পছন্দের খাবার পিজ্জা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন মাইগ্রেনের ব্যথার সময়। পিজ্জাতে থাকা ইস্ট মাথাব্যথা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। শুধু পিজ্জা নয় ইস্ট দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবার এইসময় না খাওয়াই ভালো।

৭। চকলেট পানীয়

চকলেট সমৃদ্ধ পানীয় যেমন চকলেট মিল্কশেক, চকলেট দুধ ইত্যাদি খাবারও মাথা ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। ট্যানিন, ক্যাফিন ইত্যাদি উপাদানের কারণে চকলেট জাতীয় পানীয় মাথা ব্যথা বৃদ্ধি করে।

এছাড়া অ্যালকোহল, রেড ওয়াইন, ফুল ফ্যাট মিল্ক, পুরাতন চিজ, টক ক্রিম, সসেজ, অলিভ, অ্যাভোকাডো ইত্যাদি মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মাথা ব্যথার সময় এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত টিভি দেখায় স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি!বিগত মাস খানেক ধরে করোনা আতঙ্কের জেরে ঘরবন্দী হয়ে কাটাচ্ছ...
22/08/2020

অতিরিক্ত টিভি দেখায় স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি!
বিগত মাস খানেক ধরে করোনা আতঙ্কের জেরে ঘরবন্দী হয়ে কাটাচ্ছেন বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। স্বাভাবিক কারণেই তাই বেড়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার। একই কারণে টিভির সামনেও বিভিন্ন ধারাবাহিক, সিনেমা বা রিয়ালিটি শো দেখার ভিড় বেড়েছে। খবর জি নিউজের।

তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, অতিরিক্ত সময় টিভির সামনে যারা কাটান, তাদের মধ্যে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকটাই! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে ইউকে বায়োব্যাংক-এর একটি সমীক্ষার রিপোর্টে।

৩৭ থেকে ৭৩ বছর বয়সী মোট ৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৬৬ জনের উপর এই সমীক্ষা চালায় ইউকে বায়োব্যাংক। এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের টিভি দেখার প্রবণতা বেশি বা যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় টিভির সামনে কাটান, তাদের মধ্যে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেশি।

গবেষকদের মতে, কোনও ব্যক্তিরই দিনে ২ ঘণ্টার বেশি টিভি দেখা উচিৎ নয়। এই গবেষণা দলের প্রধান হামিশ ফস্টার জানান, অতিরিক্ত সময় টিভির সামনে বসে কাটানোর ফলে শুধু স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক নয়, অনিদ্রা, অবসাদের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গবেষণা দলের প্রধান হামিশ ফস্টার জানান, কোনও ব্যক্তি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে টিভি দেখার সময় ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারেন এবং এর সঙ্গেই দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাচলার অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে ফেলা সম্ভব।

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
20/08/2020

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:
19/08/2020

জরুরী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:

Address

155, TEJKUNIPARA, TEJGAON
Dhaka
1215

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:00
Sunday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801998421103

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when FAST HOME Medicare posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to FAST HOME Medicare:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram