Dr. Bose's Care

Dr. Bose's Care Bachelor of Homoeopathic Medicine and Surgery (DU)

হ্যপেরদন্তিয়া( হাইপারডোন্টিয়া)/ অতিরিক্ত দাতসাধারণ সংখ্যা থেকে অতিরিক্ত সংখ্যায় দাত থাকাকে হাইপারডোন্টিয়া বলে। ✳️ মানুষে...
03/10/2025

হ্যপেরদন্তিয়া( হাইপারডোন্টিয়া)/ অতিরিক্ত দাত

সাধারণ সংখ্যা থেকে অতিরিক্ত সংখ্যায় দাত থাকাকে হাইপারডোন্টিয়া বলে।
✳️ মানুষের সাধারণত ২০ টি দাত শৈশবে থাকে। আর প্রাপ্তবয়স্ক হলে ৩২ টি দাত থাকে।
✳️ আরেক নাম হলো সুপারনিউমেরারি(Supernumerary)

✅ ধরণঃ-
১) Mesiodens(মেসিওডেন্স): যেখানে অতিরিক্ত দাত উপরের পাটির সামনের কর্তন দুই দাতের মধ্যবর্তী স্থানে উঠে থাকে। এই ধরণের হাইপারডোন্টিয়া বেশি দেখা যায়।
২) Distomolar(ডিসটোমোলার): বড় চাবানোর দাত গুলোর(Molar) লাইনের পিছনে উঠে।
৩)Paramolar(প্যারামোলার): বড় চাবানোর দাত গুলোর(Molar) সাথে উঠে।

✅ কারণঃ- বিভিন্ন পরিবেশগত ও জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। তাছাড়াও নিন্মলিখিত রোগ গুলোর কারণেও হতে পারে।
১) Gardnee's syndrome(গার্ডনার'স সিনড্রোম)
২) Cleidocranial dysplasia(ক্লিইডোক্রেনিয়াল ডিসপ্লেসিয়া)
৩) Cleft lip and palate(ক্লেফট লিপ ও প্যালেট)
৪) Fabry disease(ফেবব্রি ডিজিজ)
৫) Ellis van creveld syndrome(এলিস ভ্যান ক্রেভেল্ড সিনড্রোম)
৬) Nance-Horan syndrome(নেন্স-হোরেন সিনড্রোম)
৭) Rubinstein-Taybi syndrome(রুবিনস্টেইন- টাইবি সিনড্রোম)
৮) Trichorhinophalangeal(ট্রাইকোরাইনোফেলাঞ্জিয়াল)

✅ জটিলতাঃ-
১) চাবানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা।
২) মাড়িতে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
৩) টুথ ইনপেকশন(Tooth impaction) অর্থাৎ মুখের হাড়ের ভেতর কোন দাত আংশিক বা সম্পূর্ণ আটকে যায়।
৪) দাত ভাঙার প্রবণতা বাড়ে।
৫) দাতে ক্ষত(Cavities) দেখা যায়।
৬) ওরাল সিস্ট(Oral cyst) দেখা যায়।
৭) মেলওকক্লুশন(Malocclusion) অর্থাৎ মুখের অভ্যন্তরীণ দেয়ালে দাতের কামড় লাগা।

✅ চিকিৎসাঃ-
এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা সার্জিকাল, অর্থাৎ দাতের ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে অপারেশন এর মাধ্যমে অতিরিক্ত দাত অপসারণ করাতে হবে। ঔষধের মাধ্যমে এর কোন চিকিৎসা নেই। তাই যারা এই রোগে আক্রান্ত তারা কোনো সমস্যা অনুভব করলে অবশ্যই দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

❇️ বি.দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন -

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

মুখে দুর্গন্ধ / Bad breath/ Halitosis(হেলিটোসিস)সাধারণত মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন থেকে, মুখের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার...
27/09/2025

মুখে দুর্গন্ধ / Bad breath/ Halitosis(হেলিটোসিস)

সাধারণত মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন থেকে, মুখের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, ও অন্যান্য অনেক কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।

✅ কারণঃ-
১) দাঁত ও জিহ্বা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া জমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।
২) কিছু খাবার যেমন পেঁয়াজ, রসুন অথবা ধূমপান, মদ্যপান মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ।
৩) মুখ শুকিয়ে গেলে লালা ঠিকমতো তৈরি হয় না, যা মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে বাড়তে সাহায্য করে।
৪) মুখের অভ্যন্তরীণ দেয়াল, দাতের মাড়ি, নাক, সাইনাস বা গলার যেকোনো সংক্রমণের কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
৫) ডায়াবেটিস, লিভারের রোগ, কিডনির রোগ এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো গুরুতর অসুস্থতাও মুখে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
৬)টনসিলের খাঁজে ক্যালসিয়াম জমে "টনসিল পাথর" তৈরি হতে পারে, যা মুখে দুর্গন্ধ তৈরি করে।

✅ প্রতিকারঃ-
১) দিনে অন্তত দুবার ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
২) জিহ্বার ওপর থেকে ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করতে ব্রাশ বা জিহ্বা পরিষ্কারক ব্যবহার করতে হবে
৩) মুখের শুষ্কতা কমাতে এবং লালা বাড়াতে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হবে।
৪) ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে।
৫) ফ্লস দিয়ে দাতের ফাকের খাবার কণা ও ময়লা পরিষ্কার করতে হবে।
৬) তাজা ফল ও সবজি খেতে হবে এবং মসলাদার বা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
৭) যদি দুর্গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে একজন ডেন্টিস্ট বা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

✳️ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে মুখে দুর্গন্ধ / হেলিটোসিস এর নিরাময় সম্ভব। তাই যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন ও সুস্থ থাকুন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 ( WhatsApp, imo)

Leukoplakia/ লিউকোপ্লাকিয়া লিউকোপ্লাকিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে প্রাথমিকভাবে মুখ গহব্বরের শ্লেষা ঝিল্লীতে ঘন, সাদা বা ধূ...
23/09/2025

Leukoplakia/ লিউকোপ্লাকিয়া

লিউকোপ্লাকিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে প্রাথমিকভাবে মুখ গহব্বরের শ্লেষা ঝিল্লীতে ঘন, সাদা বা ধূসর দাগ তৈরি হয়। এগুলো মাড়িতে, গালের ভিতরের অংশে, মুখের নীচে ও জিহবায় পাওয়া যায়।

✳️ এই লিউকোপ্লাকিয়া অন্যান্য নামেও প্রকাশ করা হয়- Leucoplakia(লিউকোপ্লাকিয়া), Leukokeratosis(লিউকোকেরাটোসিস),
Idiopathic leukoplakia(ইডিওপ্যাথিক লিউকোপ্লাকিয়া), Leukoplasia(লিউজোপ্লাসিয়া)।

✅ ধরণঃ-
১) সমজাতীয় লিউকোপ্লাকিয়া: মসৃণ, সমতল বা সামান্য কুচকানো ও একইরকম সাদা,পাতলা প্যাচ(Patch)।
২) অসমজাতীয় লিউকোপ্লাকিয়াঃ- অনিয়মিত, নোডুলার বা লাল অংশে দাগযুক্ত এবং ম্যালিগন্যান্সির অর্থাৎ ক্যান্সারে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩) প্রলিফারেফিভ ভেরুকাস লিউকোপ্লাকিয়া(PVL): এটি বিরল আক্রমণাত্মক ধরণ যা পুনরাবৃত্ত হয় ও মারাত্মক অবস্থায় রুপান্তরিত হতে পারে।

✅ কারণঃ-
১) তামাক, সিগারেট ব্যবহারে হয়ে থাকে।
২) মাত্রা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে হতে পারে।
৩) হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস(Human papilloma virus- HPV) এর আক্রমণে লিউকোপ্লাকিয়া ও ওরাল ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে।
৪) ভিটামাটিন- A,B,C, আয়রন এর অভাবে হতে পারে।
৫) মুখের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে হতে পারে।

✅ লক্ষণঃ-
১) সাদা বা ধূসর প্যাচ(Patch) দেখা যায়, যা মুছে ফেলা বা কিছু দিয়ে ঘসে তোলা যায় না।
২) মুখের অভ্যন্তরীণ আক্রান্ত স্থান শক্ত হয়ে যাওয়া।
৩) ইনফেকশনের সাথে প্রচন্ড ব্যাথা, চাবাতে ও গিলতে অসুবিধা।
৪) মুখে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হওয়া।

✅ চিকিৎসাঃ-
লিউকোপ্লাকিয়া খুবই মারাত্মক ধরনের ওরাল ডিজিজ। এই রোগ নিয়ে অসচেতনতা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ চিকিৎসা বিহীন অবস্থায় রাখলে ইনফেকশন ক্যান্সারে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই যারা এই রোগে আক্রান্ত আছেন দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220( WhatsApp, imo)

Oral hairy leukoplakia/ ওরাল হেয়ারি লিউকোপ্লাকিয়াওরাল হেয়ারি লিউকোপ্লাকিয়া হলো জিহবার এক ধরনের লোমের মতো সাদা ক্ষত যা সা...
20/09/2025

Oral hairy leukoplakia/ ওরাল হেয়ারি লিউকোপ্লাকিয়া

ওরাল হেয়ারি লিউকোপ্লাকিয়া হলো জিহবার এক ধরনের লোমের মতো সাদা ক্ষত যা সাধারণত এপস্টাইন-বার ভাইরাস(Epstein-Barr virus- EBV) দ্বারা সৃষ্ট।

✳️ এই ওরাল হেয়ারি লিউকোপ্লাকিয়া এর ক্যান্সারে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

✅ কারণঃ-
১) এপস্টাইন-বার ভাইরাস(EBV) নামক ভাইরাসের আক্রমনে হয়ে থাকে।
২) দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে। AIDS/HIV তে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বেশি হয়।

✅ লক্ষণঃ-
১) জিহবার পাশে বা উপরে সাদা বা ধূসর লোমশ শ্যাগি ধরনের দাগ দেখা যায়। যা উভয় পাশে হয়।
২) এই লোমের মতো সাদা দাগ বা ক্ষতগুলো ব্রাশ বা অন্য কিছু দিয়ে ঘসে তোলা যায় না।
৩) মুখে খাবারে অরুচি ও স্বাদের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।

✅ চিকিৎসাঃ-
হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তারা দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। কারণ চিকিৎসাবিহীন অবস্থায় থাকলে ক্যান্সার না হলেও ইনফেকশন খারাপ অবস্থায় যেতে পারে।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov.Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

Oral Lichen Planus/ ওরাল লাইকেন প্ল্যানাসওরাল লাইকেন প্ল্যানাস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যা মুখের ভেতরের তাল...
19/09/2025

Oral Lichen Planus/ ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস

ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনক অবস্থা যা মুখের ভেতরের তালুতে, জিহবায়, গালের ভেতরের দেয়ালে দেখা যায়। সাদা সুতার মতো,ও লাল হয়ে ফুলে যায়।
✳️ একটি অটোইমিউন ডিজিজ। কিন্তু সংক্রামক রোগ নয়।
✳️ এটি পরবর্তীতে ক্যান্সারে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

✅ কারণঃ-
১) অটোইমিউন ডিজিজ। আক্রান্ত ব্যাক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই ভুলবশত মুখের শ্লেষাঝিল্লীতে আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে।
২) ভিটামিন ডি এর অভাবে হতে পারে।
৩) নির্দিষ্ট খাবারের এলার্জির প্রতিক্রিয়ায় হতে পারে।
৪) বংশগত কারণেও পরিবারের লোকজনের হতে পারে।

✅ লক্ষণঃ-
১)মুখের ভেতরে সাদা,লেইসের মতো দাগ তৈরি হয়।
২) আক্রান্ত স্থানসহ, মাড়ি ফুলে যেতে পারে।
৩) খাবার বা কথা বলার সময় প্রচন্ড ব্যাথা অনূভব হয়, গিলতে অসুবিধা হয়।

✅ চিকিৎসাঃ-
হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই কেউ আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হোন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov.Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

ভৌগোলিক জিহবা / Geographical tongue জিওগ্রাফিকাল জিহবা হলো একটি সাধারণ, ক্ষতিকারক নয় এমন অবস্থা যেখানে জিহবার উপর মানচিত...
18/09/2025

ভৌগোলিক জিহবা / Geographical tongue

জিওগ্রাফিকাল জিহবা হলো একটি সাধারণ, ক্ষতিকারক নয় এমন অবস্থা যেখানে জিহবার উপর মানচিত্রের মতো লাল মসৃণ এলাকা তৈরি হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন পরে না তবে জ্বালা পোড়া বা ব্যাথা বেশি অনূভব হলে চিকিৎসা নিতে হবে।

✴️ ছোট বাচ্চা যারা মায়ের বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ খায়, তাদের ক্ষেত্রে বেশি হতে দেখা যায়। কয়েক ঘন্টা পর পর দুধ খাওয়ানো হয়, কিন্তু প্রতিবার ব্রাশ করা হয় না৷ তাই বাচ্চাদের জিহবায় সহজে এই ধরনের ইনফেকশন দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা নিজ থেকেই ভালো হয়। কিন্তু যদি অবস্থা খারাপ থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

✴️ অনেকেই Geographical tongue কে Oral candidiasis, Lichen planus, Oral hairy leukoplakia এর সাথে মিলিয়ে ফেলেন। কিন্তু এটা উল্লেখিত রোগ গুলো থেকে আলাদা।

✅ কারণঃ-
এর নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় নি।কিন্তু নিন্মলিখিত কারণগুলোর কারণে হয়ে পারে।
১) জিহবার উপরের স্তর প্যাপিলাই(Papillae) গুলো ফুলে গেলে কোন সংক্রমণের ফলে।
২) সোরিয়াসিস(Psoriasis) এর কারণে হতে পারে।
৩) কোনো বিশেষ খাদ্যে এলার্জি থাকলে।
৪) জিংক, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন B6, B12 এর অভাবে হতে পারে।
৫) সঠিকভাবে মুখের অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে।
৬) ডায়বেটিস, পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের কারণে।
৭) যে সকল মহিলা জন্মবিরতিকরণ পিল খান তাদের হতে পারে।
৮) কিছু ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদের কারণেও হতে দেখা যায়।

✅ লক্ষণঃ-
১) জিহবায় লালচে, মসৃণ ও মানচিত্রের আকারের মতো ছোপ ছোপ দেখতে এলাকা তৈরি হয় যাকে প্যাচ(Patch) বলে।
২) প্যাচগুলোর বর্ডার সাদা হয়ে থাকে।
৩) জিহবায় জ্বালাপোড়া, ব্যাথা অনূভব হয়।
৪) খাবার, পানীয় চাবাতে, গিলতে অসুবিধা হয়।

✅ চিকিৎসাঃ-
এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজ থেকেই ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে অবস্থা খারাপ থাকতে পারে।
হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই আক্রান্ত ব্যাক্তিগণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারেন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

প্রোস্টেট বৃদ্ধি পাওয়া / Enlarged Prostate Enlarged Prostate বা প্রোস্টেট বৃদ্ধি পাওয়া বলতে পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থিটি...
17/09/2025

প্রোস্টেট বৃদ্ধি পাওয়া / Enlarged Prostate

Enlarged Prostate বা প্রোস্টেট বৃদ্ধি পাওয়া বলতে পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থিটি আকারে বৃদ্ধি পাওয়াকে বুঝায়। একে বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া( Benign prostatic hyperplasia) ও বলা হয়। যা সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে হয়ে থাকে। এর কারণে আক্রান্ত রোগী মূত্রনালীর উপর চাপ অনুভব করেন। চিকিৎসা বিহীন অবস্থায় থাকলে আরও মারাত্মক ধরনের জটিলতা হতে পারে।

✅ কারণঃ-
১) বয়স বৃদ্ধির কারণে। মূলত ৫০ উর্ধ্ব পুরুষদের বেশি হয়ে থাকে, কিন্তু এর থেকে কম বয়সের মানুষেরও হতে পারে।
২) হরমোনের পরিবর্তনের কারনে বা ভারসাম্য পরিবর্তনের কারণে।
৩) ডায়বেটিস, স্থূলতার কারণেও হয়ে থাকে।

✅ লক্ষণঃ-
১) প্রস্রাব করার সময় দূর্বল প্রবাহ এবং মাঝে মধ্যে ফোটায় ফোটায় হওয়া।
২) প্রস্রাব করতে অক্ষমতা।
৩) প্রস্রাবের বেগ তৈরী হলে ধরে রাখতে অসুবিধা।
৪) বার বার প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হওয়া।
৫) মূত্রাশয় সঠিকভাবে খালি না হওয়া।
৬) প্রস্রাব করার সময় ব্যাথা বা রক্ত যাওয়া।

✅ চিকিৎসাঃ-
হোমিওপ্যাথিতে এই রোগের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির উচিৎ দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া যাতে পরবর্তীতে জটিল সমস্যা তৈরি হতে না পারে।

❇️বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-
ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg. No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

দাত শিরশির/ Teeth sensitivity    আমাদের দাতের উপরিভাগের শক্ত আবরণ এনামেল (Enamel) যখন ক্ষয় প্রাপ্ত হয় তখন ভেতরের লেয়ার ড...
16/09/2025

দাত শিরশির/ Teeth sensitivity

আমাদের দাতের উপরিভাগের শক্ত আবরণ এনামেল (Enamel) যখন ক্ষয় প্রাপ্ত হয় তখন ভেতরের লেয়ার ডেন্টিন(Dentin) যা এনামেল এর নিচে অবস্থিত, তা গরম বা ঠান্ডা পানীয় বা খাবারের সংস্পর্শে শিরশির অনুভূতি তৈরি করে।
ডেন্টিনে ছোট টিউবের মতো থাকে যা সেন্টারেনার্ভ সাপ্লাই এ গিয়ে পৌঁছে। এনামেল ক্ষয় হলে গরম, ঠান্ডা তাপ, খাবারে উপস্থিত চিনি নার্ভে পৌঁছে ব্যাথা ও শিরশির অনুভূতি তৈরি করে।
✅ কারণঃ-
১) এসিডিক খাবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এনামেল ক্ষয় হয়।যেমন: লেবু,টমেটো, আচার।
২) খুব জোরে ব্রাশ করলে।
৩) দাতের কোনো অংশ ভেঙে গেলে।
৪) মাড়িতে ইনফেকশন দেখা দিলে।
৫) মাড়ি ক্ষয় হলে ও দাত থেকে আলগা হয়ে গেলে।
৬) দাতে দাত ঘষার অভ্যাসের কারণে।
৭) দাত সাদা করার ক্যামিকেল ব্যবহার ও ফিলিং করার সময় ক্ষয় হলে।

✅ প্রতিকারঃ-
১) আস্তে ও সুন্দর ভাবে দাত ব্রাশ করা ও নরম ব্রিসেল ব্যবহার করা।
২) এসিডিক খাবার পরিমিত পরিমাণ খাওয়া।
৩) সেনসিটিভিটি কমায় ও ফ্লুরাইড সমৃদ্ধ টুথপেষ্ট ব্যবহার করা।
৪) দাত ঘষার অভ্যাস ত্যাগ করা।
৫) নিয়মিত দাতের ডাক্তার দেখানো।

✅ চিকিৎসাঃ-
১) দাতের ক্ষয় মেরামত করা।
২) ফ্লুরাইড(Fluoride) ভার্নিশ এর মাধ্যমে এনামেল রিপেয়ার করা।
হোমিওপ্যাথিতে দাত শিরশির রোগের চিকিৎসা বিদ্যমান। আমাদের অনেক ঔষধ আছে যা নার্ভের বিভিন্ন রোগের নিরাময়ে খুব ভালো কাজ করে। তাই কেউ দাতের যে কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

❇️ বি, দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-
ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov. Reg No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

দাতে গর্ত/ ক্ষয় [Tooth cavities(টুথ ক্যাভিটি) / Dental caries(ডেন্টাল ক্যারিস)/ Tooth decay(টুথ ডিকেয়)]Dental caries/ ca...
11/09/2025

দাতে গর্ত/ ক্ষয় [Tooth cavities(টুথ ক্যাভিটি) / Dental caries(ডেন্টাল ক্যারিস)/ Tooth decay(টুথ ডিকেয়)]

Dental caries/ cavities/ decay হলো দাতের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ যাতে গর্ত বা ক্ষয় দেখা যায়। আমাদের দাতের শক্ত বাহিরের আবরণ এনামেল (enamel) ক্ষয় হলে দাতে ক্যাভিটি দেখা যায়।

✅ ধরণঃ-
ক্যাভিটি দাতের যে কোনো স্থান থেকে শুরু হতে পারে। সাধারণত কিছু স্থান হতে বেশি হতে দেখা যায় -
🔹দাতের ফাঁকে: দুই দাতের মধ্যবর্তী স্থান হতে এনামেল ক্ষয়ের ফলে হতে পারে। মূলত দাতের অযত্ন থেকে হয়ে থাকে।
🔹দাতের উপরের অংশে ও ফাটলে: যে সকল দাত চাবানোর জন্য ব্যবহৃত হয় তাদের উপরের অংশে ক্ষয় হলে ও দাতে কোন ফাটল থাকলে বা ভেঙে গেলে সেখান থেকে।
🔹দাতের গোড়া: যাদের দাতের মাড়িতে ইনফেকশন থাকে, দাতে পাথর তৈরি হয়, তাদের হয়ে থাকে।

✅ লক্ষণঃ-
১) দাতে প্রচন্ড ব্যাথা অনূভব হয়।
২) গাল ফুলে যায়।
৩) মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে ও মাড়ি সংক্রান্ত রোগ দেখা যায়।
৪) মুখে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।
৫) ঠান্ডা ও গরম খাবারে দাত শিরশির করে।

✅ কারণঃ-
১) অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ।
২) দত ও মুখের সঠিক যত্ন ও পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখা।
৩) অপুষ্টিজনিত কারণে- ভিটামিন বি,সি, ডি, ফলিক এসিডের অভাবে।
৪) ডায়বেটিস থাকলে ও হজমে সমস্যা, এসিডিটি বেশি হলে।

✅ দাতের ক্ষয়/ caries এর স্তরঃ-
১) ডিমিনারালাইজেশন(Demineralization): অর্থাৎ প্রাথমিক স্তরে দাতে ছোট সাদা দাগ দেখা যায় যা মিনারেল ক্ষয়ের কারণে হয়ে থাকে।
২) এনামেল ক্ষয়(Enamel decay): মিনারেল ক্ষয় রোধ না করলে এনামেল অর্থাৎ দাতের উপরের শক্ত আবরণটি ক্ষয় হয়ে যায়।
৩) ডেনটিন ক্ষয়(Dentin decay): এনামেল এর নিচের স্তর হচ্ছে ডেনটিন যা এনামেল থেকে নরম হয়ে থাকে। এই স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হলে দাত শিরশির অর্থাৎ sensitivity দেখা যায়।
৪) পাল্প ক্ষয়(Pulp damage): দাতের সবচেয়ে ভেতরের স্তর পাল্প যেখানে নার্ভ ও ব্লাড সাপ্লাই হয়ে থাকে। এর ইনফরমেশন এর ফলে মাড়িতেও ইনফরমেশন হতে পারে।
৫) দাতে গর্ত ও পুজ হওয়া(Abscessed tooth): দাতের ক্ষয় চিকিৎসা বিহীন অবস্থায় থাকলে আরও গভীর ভাবে ইনফরমেশন হয়। গর্ত গভীর হয়ে মাড়ি পর্যন্ত পৌছায় ও পুজ তৈরি হয়। এই ইনফ্লেমেশন বিশেষ ক্ষেত্রে রক্তে ইনফেকশন (Sepsis) ও ব্রেইনেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

✅ প্রতিকারঃ-
১) দিনে কমপক্ষে ২ বার দাত ব্রাশ করতে হবে।
২) প্রচুর চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা যাবে না।
৩) মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
৪) ৩ মাস পর পর ব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে।
৫) ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ও ভিটামিন বি, সি, ডি, ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
৬) ১ বছর পর পর স্কেলিং করে দাতের প্লাগ বা পাথর পরিষ্কার করতে হবে।
৭) দাতের ফাক ফ্লস দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

✅ চিকিৎসাঃ-
১) ফ্লোরাইড(Fluoride): ফ্লোরাইড দিয়ে দাতের এনামেল ক্ষয় ঠিক করতে হবে।
২) ফিলিং(Filling): ডেমেজ হওয়া দাতের অংশে ডেন্টাল ফিলিং দিতে হবে।
৩) রুট ক্যানেল(Root canal): একজন দক্ষ ডেন্টাল সার্জনের কাছে গিয়ে রুট ক্যানেল করাতে হবে যদি দাতে বড় গর্ত ও পুজ হয়ে থাকে ও মাড়ি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
৪) দাত ফেলে দেয়া(Tooth extraction): দাত সম্পুর্ন রুপে নষ্ট হয়ে গেলে তা ফেলে দেয়া হয়ে থাকে।

✳️ প্রাথমিক অবস্থাতেই যদি চিকিৎসা নেয়া যায় তাহলে হোমিওপ্যাথিতে দাত ক্ষয়ের খুব ভালো চিকিৎসা বিদ্যমান। তাই দাত ও দাত সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। দাত থাকতে দাতের মর্যাদা বুঝুন।

❇️ বি. দ্রঃ- আপনাদের যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে যোগাযোগ করতে পারেন-
ডা: বিনায়ক রঞ্জন বসু
BHMS(DU)
Gov Reg No: H-1275
Mobile No: 01715-520220 (WhatsApp, imo)

10/09/2025
ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির আরও একটি সফলতা। রুগীর অবস্থা আগে থেকে অনেক উন্নত। চিকিৎসা এখনো চলমান। আশা করি কিছু ...
10/09/2025

ফ্যাটি লিভারের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির আরও একটি সফলতা। রুগীর অবস্থা আগে থেকে অনেক উন্নত। চিকিৎসা এখনো চলমান। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে রুগি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবেন।

Address

Dr. Bose's Care, House No-646(ground Floor), Road No : 9 Avenue: 3, Mirpur DOHS
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 09:00 - 20:00
Tuesday 09:00 - 20:00
Wednesday 09:00 - 20:00
Thursday 09:00 - 20:00
Friday 09:00 - 20:00
Saturday 09:00 - 20:00

Telephone

+8801715520220

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Bose's Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category