01/03/2025
আমরা তখন ফার্স্ট এয়ার বা সেকেন্ড এয়ারে পড়ি। আমাদের ভেতর অনেককে কুমিল্লা, টাঙ্গাইল আর বগুড়া থেকে কন্ট্যাক্ট করা হতো যে, ম্যাটস/প্যারামেডিক ইত্যাদিতে পরীক্ষা দিলে ওই জেলা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো থেকে শুরু করে ওই জেলার সিগ্নেচার আইটেম কিনে দেয়া হবে, পরীক্ষা দিলে ৫০০০ টাকা এবং চান্স পেলে আরও ২৫০০০ টাকা দেয়া হবে। সেসময়কার প্রতিটা ভার্সিটিতেই নিডি ছেলেমেয়েরা পরীক্ষা দিতো। আমাদের আশপাশে অনেকেই পরীক্ষা দিয়েছে।
আর মেডিকেলেতো ২০০৭ সাল থেকেই প্রশ্ন ফাসের কথা শুনে আসছি। মেডিকেলের বিষয়টা ফাস হলেও, প্রতিনিয়ত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও ম্যাটস/প্যারামেডিকের এ বিষয়ে আজ পর্যন্ত কাউকে কথা বলতে দেখিনি।
প্রাথমিক চিকিৎসা বা চিকিৎসার সহজলভ্যতার দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে এগিয়ে থাকলেও মানসম্পন্ন চিকিৎসা বাংলাদেশে কবে নিশ্চিত হবে তা সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারে না।
কিন্তু, বাংলাদেশে চিকিৎসকেরা পর্যাপ্ত সম্মান কখনো পায় না। তারোপর যদি এই চিকিৎসক, নার্স আর প্যারামেডিকের ভেতর ঝামেলা বাধিয়ে রাখা হয় এক্ষেত্রে চিকিৎসা প্রদানে ডাক্তাররা যেমন অনাগ্রহী হচ্ছে, সাধারণ মানুষও চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরকারি হাসপাতালে চেইন অব কমান্ড না থাকার কারণে ডাক্তাররা ভোগান্তিতে যতো পড়ে তার থেকে বেশি ভোগান্তি সাধারণ মানুষের। নার্স, ওয়ার্ডবয়, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, স্যাকমো কেউই ডাক্তারের কথা শোনে না। সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে কিভাবে? এখনো যদি ম্যাটস/প্যারামেডিকের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে তাদের ডিউটি, অংশগ্রহণ, তাদের পজিশন, তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে না জানে, তারা কতোটুকু করতে পারে আর কতোটুকু করবে না তা সম্পর্কে না জানে কিভাবে দেশের স্বাস্থ্যখাত টিকবে। স্বাস্থ্যখাতের সবার দায়িত্ব/পদবী কেন সংজ্ঞায়িত নয়? কেন সরকারের কাছে তাদের এতো দাবি-দাওয়া থাকবে? স্বাস্থ্যখাতের বিরুদ্ধে এতো ষড়যন্ত্র নিয়ে কিভাবে দেশের চিকিৎসার মান উন্নত হবে।
ছেলেটা কথাগুলোর লিংক কমেন্টে দেয়া। একটু শুনে দেখুন তার কথাগুলো। আমাদের সেক্টরগুলোতেতো আমাদের নিম্নপদস্থ কেউ এভাবে কথা বলতে পারেন না, বলেন না। তাহলে ডাক্তাররাই বা কিসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
লেখা- ওয়ালিদ ইসলাম
বাংলাদেশে দূতাবাস , ইরানের ফার্স্ট সেক্রেটারী , পররাস্ট্র ক্যাডার ওয়ালিদ ইসলাম ।
ডিপ্লোমা নামের এই উটকোগুলোকে নিয়ে ওয়ালিদ এর উপলব্ধি ।
Respect Man ♥️