18/07/2025
👉পিরিয়ডের অতিরিক্ত ব্যথা কাদের হয়❓এবং কিভাবে সচেতন হবেন❓
✅পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা কিছু নির্দিষ্ট গ্রুপের নারীদের বেশি হতে পারে, যেমন:
1️⃣তরুণী বা অল্পবয়সী নারীরা:
কিশোরী বয়সে ও অল্প বয়সে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর কয়েক বছর ব্যথা তুলনামূলক বেশি হতে পারে।
2️⃣যাদের পরিবারে বংশগত ইতিহাস রয়েছে:
মা বা বড় বোনের তীব্র পিরিয়ডের ব্যথা থাকলে এটি বংশগত কারণেও হতে পারে।
3️⃣এন্ডোমেট্রিওসিস রোগীরা:
যাদের জরায়ুর বাইরে জরায়ুর টিস্যু বৃদ্ধি পায় (এন্ডোমেট্রিওসিস), তাদের ব্যথা খুবই তীব্র হতে পারে।
4️⃣পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ (PID) আক্রান্তরা:
জরায়ুতে কোনো ধরনের প্রদাহ থাকলে ব্যথা বেশি হয়।
5️⃣ইউটেরাইন ফাইব্রয়েড বা জরায়ুতে টিউমার রয়েছে এমন নারী:
জরায়ুতে টিউমার থাকলে অতিরিক্ত ব্যথা হতে পারে।
6️⃣অ্যাডেনোমায়োসিস রোগীরা:
জরায়ুর পেশির ভেতরে অতিরিক্ত টিস্যু বৃদ্ধি পেলেও ব্যথা হতে পারে।
7️⃣জরায়ুর মুখ সরু হলে:
জরায়ুর মুখ সরু থাকলে রক্তপ্রবাহে বাধা পেয়ে ব্যথা হতে পারে।
✅কীভাবে সচেতন হতে পারেন?
1️⃣নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:
প্রতি বছর অন্তত একবার গাইনোকোলজিস্টের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, বিশেষত বেশি ব্যথা থাকলে।
2️⃣লক্ষণ পর্যবেক্ষণ:
পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথার পাশাপাশি বমি, পাতলা পায়খানা, মাথাব্যথা বা অজ্ঞান হবার অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
3️⃣সুষম খাদ্যাভ্যাস:
ফাস্টফুড, অতিরিক্ত চিনি, ক্যাফেইন এবং চর্বিযুক্ত খাবার কমিয়ে ফলমূল, শাকসবজি ও পানি বেশি খান।
4️⃣ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম:
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ব্যথা কমে।
5️⃣তাপ প্রয়োগ:
হট ওয়াটার ব্যাগ বা গরম তোয়ালে পেটে দিলে ব্যথা উপশম হয়।
6️⃣মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমাতে মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম ও রিল্যাক্সেশন টেকনিক ব্যবহার করুন।
7️⃣চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ ব্যবহার:
প্রচণ্ড ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্যথানাশক (প্যারাসিটামল, আইবুপ্রোফেন) সেবন করুন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করবেন না।
8️⃣পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:
পরিষ্কার ও শুষ্ক প্যাড ব্যবহার করুন, প্রতি ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পরপর প্যাড পরিবর্তন করুন।
👉যদি নিয়মিতভাবে পিরিয়ডের ব্যথা আপনার স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।