03/10/2024
আগেকার দিনে বাপ দাদাদের দেখতাম বয়স একদম পঞ্চাশ না পেরোলে চুল সাদা হতো না। অথচ আজকাল যুগের ছেলেদের অবস্থা খুবই করুন! বয়স এত অল্প অথচ চুল দাড়ি সাদা হয়ে একাকার অবস্থা। কালার লাগিয়ে নিজেকে জোয়ান দেখানো লাগছে।
ইয়ং জেনারেশন মারাত্মকভাবে এই সমস্যা সাফার করছে! ১০ বছরের শিশু থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত অনেকেরই এমন হচ্ছে যেখানে আশির দশকে ৫০-৬০ না হলে তেমন দৃশ্যমান হতো না।বর্তমানে মোবাইল রেডিয়েশন,গ্লোবাল আবহাওয়া পরিবর্তন কে দ্বায়ী করা হলেও আরও উল্লেখযোগ্য কিছু কারন আছে।
যদি বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে চুল পেকে যাওয়া বা চুলের রং সাদা হয়ে যেত তাহলে এটা একটি সাধারণ ঘটনা হতো, যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিকভাবেই সবারই ঘটে বা ঘটবে ।
কিন্তু অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া সবাই কে অবাক করছে এর জন্য মেডিকেল সাইন্স কারন হিসেবে বলছেঃ-
1. বংশগত বা জেনেটিক্সঃ- পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যদি অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা থাকে, তবে আপনারও এমন হতে পারে। বিশেষ করে বাপ দাদা, চাচা এদের।
2.পুষ্টির ঘাটতিঃ- ভিটামিন B12, ভিটামিন D, আয়রন, কপার এবং জিঙ্কের অভাব চুল পাকার একটি কারণ হতে পারে।দীর্ঘদিন ধরে ভিটামিন মিনারেল এর ঘাটতি চলমান থাকলে এমনটা বেশি হয়।
3. হরমোনের পরিবর্তনঃ- হরমোনজনিত সমস্যা, যেমন থাইরয়েড সমস্যা থাকলে চুল পেকে যেতে পারে।
এছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রাত জাগা, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তি ইত্যাদিকেও দ্বায়ী করা হচ্ছে।
4.অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা হতাশাঃ-
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপও চুল পেকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।মেজাজ খিটখিটে, কোন কিছু ভালো না লাগা,চাপা কষ্ট, ডিপ্রেশন ইত্যাদি এই সমস্যা গুলো বেশি তৈরি করে।
5.ধূমপান বা নেশাঃ-
নেশা বা ধূমপানের কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়, যা চুল পাকার সম্ভাবনা বাড়ায়।
6.অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণেঃ-
হেয়ার ডাই, হেয়ার স্ট্রেটনার বা রাসায়নিকযুক্ত পণ্য অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে চুলের ক্ষতি হয় এবং চুল পেকে যেতে পারে।
তবে উপায় কি??
১)পুষ্টিকর খাবার খাওয়া (সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, দুধ, ডিম)।
২) নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা।
৩)মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা,মেডিটেশন করা।
৪) চুলে নিয়মিত তেল ব্যবহার করা (যেমন নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল,জবা,আমলকী, পেঁয়াজের রস,লেবুর রস ও ভালো কাজ করে)।
বৃদ্ধ বয়সে চুল পাকা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো কেননা এটা অন্য কোন অসুখের জন্য ও হয়ে থাকতে পারে।
চলমান থাকবে.....