MEDIG

05/08/2025

28/07/2025

24/07/2025

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আগুন থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারানো দুই শিক্ষিকাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ভূষিত করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নিহত দুই শিক্ষিকা, মাহেরীন চৌধুরী ও মাসুকা বেগম, ঘটনার দিন মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন এবং রাতেই মারা যান।

আজ (২৪ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তাদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। তবে এ সম্মাননার বিস্তারিত শিগগিরই জানানো হবে।

বৈঠকে আরও জানানো হয়, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের সহায়তায় সরকার সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।

এই সাহসী দুই শিক্ষিকার আত্মত্যাগ ইতোমধ্যে সারা দেশের মানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছে। তাঁরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার চেষ্টায় ছিলেন। এমন সেবামূলক দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতেই তাঁদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

21/07/2025

19/07/2025

রাজধানীর উত্তরা আজমপুরে পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ডা. সজীব সরকার। গতকাল ১৮ জুলাই ছিল তাঁর প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী।

ছোট ভাই আব্দুল্লাহকে আনতে নরসিংদী থেকে ঢাকায় এসেছিলেন ডা. সজীব। বাসা ছাড়ার আগে অসুস্থ মায়ের কপালে শেষবারের মতো চুমু এঁকে দিয়েছিলেন তিনি। ঢাকায় পৌঁছালেও আর ফেরা হয়নি মায়ের কাছে।

পরিবারের বড় সন্তান, একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। ছোট ভাই-বোনদের পড়ালেখা ও মায়ের চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। বাবাও অবসরের অপেক্ষায় থাকা একজন সরকারি চাকরিজীবী। সজীবের মৃত্যুর মাত্র ১০ দিন পরই পরিবারটি ভাড়া বাসা ছাড়তে বাধ্য হয়। শহীদ সন্তানের শোকে মা ঝর্ণা বেগম এখন শয্যাশায়ী।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাত্র এক ফুট দূরত্ব থেকে পুলিশের ছোড়া গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ডা. সজীব সরকার। তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেন জুলাই অভ্যুত্থানের ফ্রন্টলাইনের আন্দোলনকারীরা। দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে দেহ নিথর হয়ে গেছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন তাঁকে।

তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজের প্রাত্তন ছাত্র ডা. সজীব সরকারের মৃত্যুর কিছু সময় আগেও দেখা হয়েছিল ছোট বোন সুমাইয়া সরকার স্বর্ণার সঙ্গে। ১৭ জুলাই ছিল স্বর্ণার জন্মদিন। সজীব তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। পরে শহীদ হওয়ার ঠিক আগে চাচাতো ভাই ডা. অনিকুর রহমানকে পাঠান শেষ ক্ষুদেবার্তা, “পুলিশ খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।” সেই সাথে সবার কাছে দোয়াও চেয়েছিলেন তিনি।

এরপরই পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ডা. সজীব সরকারকে ঘিরে ফেলে; চিরতরে কেড়ে নেয় মা ঝর্ণা বেগম এবং বাবা হালিম সরকারের আদরের বড় সন্তান, ছোট ভাই-বোনদের আশা-ভরসার স্থল ডা. সজীব সরকারকে।

18/07/2025

18/07/2025

09/05/2025