03/07/2025
প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা সবাই স্বাস্হ্য সম্পর্কে সহজে জানতে পারি এবং নিজে ও অপরের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে পারি। কিন্তু সব জেনেও কি আমরা সেগুলো মানি? সচেতনতা তৈরির জন্যই বিভিন্ন পোস্ট, ভিডিও, বার্তা আমরা সচারাচর Facebook, YouTube এবং অনান্য social media তে দেখে থাকি কিন্তু সেই message ওইখানেই থেকে যাই, আমরা কয়জন সেটা মেনে নিজেকে পরিবর্তন করি?
প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি, আজকে আর কিছু জেনে নেই।
ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতেও প্রবেশ করছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। সম্প্রতি এক গবেষণায় মাইক্রোপ্লাস্টিক স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে, তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।যুক্তরাজ্যের বিজনেস ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের ভয়ানকভাবে প্লাস্টিক দূষণের মুখে পড়ছে পৃথিবী। মানুষের মস্তিষ্ক, রক্ত, বুকের দুধের পাশাপাশি নাড়ি ও ধমনিতেও প্রবেশ করছে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা বা মাইক্রোপ্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিকের কারণে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে মানুষের শরীরে। সম্প্রতি এক গবেষণায় মাইক্রোপ্লাস্টিক স্বাস্থ্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলছে, তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।যুক্তরাজ্যের বিজনেস ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের প্লাস্টিক বর্জ্যবিশেষজ্ঞ মার্ক হল জানিয়েছেন, মানুষের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে এখন প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে প্লাস্টিক দূষণের কারণে নানা ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছেপ্লাস্টিক বর্জ্যবিশেষজ্ঞ মার্ক হল জানিয়েছেন, মানুষের ওপর মাইক্রোপ্লাস্টিকের প্রভাব নিয়ে এখন প্রাথমিক পর্যায়ের গবেষণা চলছে। এরই মধ্যে প্লাস্টিক দূষণের কারণে নানা ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছ। প্লাস্টিকের যেসব কণার আকার ৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের কম, সেগুলোকে মাইক্রো প্লাস্টিক বলা হয়।প্লাস্টিকের ক্ষয় প্রক্রিয়া বেশ ধীর গতির; অধিকাংশ ক্ষেত্রে হাজার বছর লেগে যায়।
মাইক্রো প্লাস্টিক মানবদেহে বিভিন্নভাবে প্রবেশ করে।
আজকে আলোচনা করব একটি বিষয় নিয়ে
🥤আহার বা পানের মাধ্যমে
অন্যান্য জীবাণুর মতো এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণাও যেকোনো খাবার খাওয়া বা পানীয় পানের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। যেমন দীর্ঘ দিন ধরে প্লাস্টিকের পাত্রে সঞ্চিত খাবার কিংবা তাতে গরম করা খাবারে মাইক্রো প্লাস্টিক থাকতে পারে। পুরোনো প্লাস্টিকের গ্লাস এবং নিত্য ব্যবহৃত টুথপেস্ট বা টুথব্রাশও এই কণাগুলোর সহায়ক উৎস। এ ধরনের কণা ধারণকারী মাটিতে শস্য চাষ করা হলে তা থেকে উৎপাদিত ফসল স্বাভাবিকভাবেই দূষিত থাকবে। সেই সূত্রে অধিকাংশ শস্য খাদ্যই মাইক্রোপ্লাস্টিক দ্বারা দূষিত। গম ও লেটুসে যথেষ্ট পরিমাণে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে।
🫙 প্লাস্টিকের বোতলের খাবার পানি যে পরিমাণ প্লাস্টিক কণা থাকে, তা সরাসরি ট্যাপ বা কলের পানির তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। এমনকি বিভিন্ন মোড়কে বিক্রি করা কোমল পানীয়তেও এসব ক্ষুদ্র কণার উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
আমরা যারা college, University তে পড়ার জন্য বাড়ি থেকে দূর এ মেসে, হল এ থাকি প্লাস্টিকের বোতল এ পানি খাইনা এমন মানুষ নেই বললেই চলে, শুধু তাই না একি বোতলে মাসের পর মাস পানি পান করি, খাবার এর বক্স থেকে শুরু করে মশলার কৌটা সব ই যেন প্লাস্টিকে ঘেরা। বর্তমানে বাসা বাড়িতে বাড়িতে যে বিশুদ্ধ পানি সাপ্লাই দেওয়া হই সেটাও বছর এর পর বছর ব্যবহার করা একি প্লাস্টিকের বোতল যা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করা হয়।
যেসব স্বাস্থ্য জটিলতার উপক্রম ঘটে সেগুলো হলো–
গবেষণার তথ্য মতে, মাইক্রোপ্লাস্টিকের বেশির ভাগ লক্ষণ শরীরের অভ্যন্তরে দেখা যায়। এসব পরিবর্তনের মধ্যে ত্বকে শুষ্কতা, লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। ত্বকের এন্ডোক্রাইনের সঙ্গে মাইক্রোপ্লাস্টিকের মিথস্ক্রিয়ার কারণে এসব ঘটছে। পেটের ফোলা ভাব, অস্বস্তি ও হজমের সমস্যার পাশাপাশি ক্লান্তিসহ নানা শারীরিক জটিলতা হয়ে থাকে। বাতাসে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতির কারণে কাশি ও শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যার পাশাপাশি শরীরের হরমোনের স্বাভাবিক কার্যক্রমও ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে ওজন কমে যাওয়া, স্মৃতি বিভ্রাটসহ হাতের কাঁপুনিও হতে পারে। কোষের ধ্বংস বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে নতুন কোষ তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটা, ফুসফুসে প্রদাহ, সাধারণ কোষের ক্যান্সার কোষে রূপান্তর।
প্লাস্টিকের পরিবর্তে এই পর্যন্ত অনেক কিছুই এসেছে যেমন পলিথিন এর পরিবর্তে পাঁটের আঁশের ব্যাগ, প্লাস্টিকের কলম এর পরিবর্তে কাগজ এর কলম আর প্লাস্টিকের বোতল এর পরিবর্তে মাটির পাত্র, কাঁচের আরও অনেক কিছু, কিন্তু আমরা সেগুলো গ্রহণ করতে পারি নি। তাই সময় এর সাথে অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে। কিন্তু সুস্থ থাকতে হলে অবশ্যই নিজেদের পরিবর্তন করতে হবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল
Swornaly Akter Sonaly
Jashore University of Science and Technology
Programme Support Associate
Bangladesh Nutrition and Wellness Academy