Dr.Md.Nurul Amin

Dr.Md.Nurul Amin স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল

 #সোনার  #দুল  #খাওয়া  #চোরচুরি করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি এমন এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে, যা শুনলে...
17/09/2025

#সোনার #দুল #খাওয়া #চোর

চুরি করতে গিয়ে ধরা খাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি এমন এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটেছে, যা শুনলে যে কারও হাসি পেয়ে যাবে।

গতকাল এক চোর এক মহিলার সোনার দুল চুরি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পড়ে। কিন্তু ধরা পড়লেই তো শাস্তি! তাই বুদ্ধি খাটিয়ে সে করল এক অভিনব কাজ। মুহূর্তের মধ্যে সে একটা দুল মুখে ঢুকিয়ে খেল!

মানুষ সাধারণত সোনার গহনা গলায়, হাতে বা কানে পরে। কিন্তু এই চোর ইতিহাস গড়ল—সে সোনার দুল খেল! ঘটনাটা শুনে আশপাশের সবাই একদিকে ক্ষুব্ধ হলেও অন্যদিকে হাসি চাপতে পারল না।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশের হাত থেকে সে রক্ষা পায়নি। পুলিশ নিয়ে আসছে হাসপাতালে।যথারীতি তাকে ভর্তি রেখে এই দুল টয়লেটের মাধ্যমে বের করতে হবে। তবে এ ঘটনার পর মানুষ নতুন একটা প্রবাদ আবিষ্কার করেছে—

“সোনা শুধু পরার জিনিস নয়, কারও কারও কাছে খাওয়ারও জিনিস!”

11/09/2025

সাবধান একটা সচেতনতামূলক পোস্টারস্কাবিস (Scabies) – এই ছোট্ট এক পরজীবীর কিন্তু বড় যন্ত্রণার নাম! 🐛 কিন্ত চিকিৎসা করার পর কেন ঠিক হয় না ?

আর মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে বলে নেই যদি সঠিক নিয়ম অনুযায়ী এর চিকিৎসা না করেন এবং আর উপদেশ মেনে না চলেন তাহলে কোন ঔষধে ঠিক হবে না এটা কোনভাবেই ।

মূল লক্ষণসমূহ হচ্ছে :

১) এর কারনে প্রচণ্ড চুলকানি হয় , বিশেষ করে রাতে
আপনার এই রোগ হয়েছে আর কারো হয়নি কেনো চিন্তা করছেন? খোঁজ নিলে জানতে পারবেন অন্য সদস্যদের স্কিনের তেমন সমস্যা হয়নি কিন্তু রাতে অনেক বেশি চুলকায় তাদের।

২) এটা ছোট ছোট লাল দানা বা ফুসকুড়ি মত

৩) এটা আঙুলের ফাঁকে, কবজি, বগল এ হয় , কোমর, নাভি তে হয়, স্তন, ও গোপনাঙ্গের আশেপাশে বেশি হয় ওইগুলো 🧍‍♀️ শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ এবং মাথা সহ পুরো শরীরে ছড়াতে পারে এইগুলা

স্কেবিস কীভাবে ছড়ায় বলেন তো ?

১) এমন আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে সংস্পর্শে 🧑‍🤝‍🧑
২)আর একসাথে ব্যবহার করা জামা-কাপড়, তোয়ালে, বিছানার চাদর 🛏️👕 যদি ধোয়া হয়ে থাকে, ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে খোঁজ নিলে জানা যায় কোন বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছে কিছু সময়ের জন্য তখন এবং বিছানায় শোয়ানো হয়েছে তখন হয়েছে,
৩) এবং পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে সহজেই অন্যদের মধ্যেও ছড়াতে পারে এই রোগ ⚠️

প্রতিরোধ ও যত্ন কিভাবে নিতে হবে :

১) এটার চিকিৎসা নিন: আপনারা ডাক্তারে পরামর্শ অনুযায়ী স্কেবিসের চিকিৎসা নিবেন অবশ্যই। যদি শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে যায় এই ক্ষেত্রে আগে এন্টিবায়োটিক মাধ্যমে ইনফেকশন ঠিক করতে হবে তখন ।আর না হলে ক্রিম অথবা লোশন কাজ করবে না

২) এটার ক্রিম/ লোশন: ইনফেকশন না থাকলে / ঠিক হয়ে গেলে ২ মাস বয়স থেকে Lorix plus/ Unix c লোশন গলা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীরে বিশেষ করে আঙ্গুলের চিপা, রানের ভাঁজ ভালো করে লাগাতে হবে কমপক্ষে ৮-১২ ঘন্টার জন্য। তারপর গোসলের মাধ্যমে পরিষ্কার করতে হবে অবশ্য ই, আর দুই বছরের কম শিশুদের ক্ষেত্রে যদি মুখে এবং মাথায় আক্রান্ত হয় সেই ক্ষেত্রে ওই অংশে লাগাতে পারবেন , তবে চোখ - নাক ও মুখে কাছাকাছি জায়গা দেওয়া যাবে না। যদি কোন কারনে হাত পা ধুতে হয় (ওযু) সেই ক্ষেত্রে পুনরায় লাগাতে হবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে। সাত দিন পর আবার একবার ব্যবহার করতে হবে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

৩) আর পরিবারসহ চিকিৎসা: একজন আক্রান্ত হলেও পরিবারের সবাইকে অবশ্যই অবশ্যই একসাথে চিকিৎসা করাতে হবে 👨‍👩‍👧‍👦 যে সকল বাচ্চা সুস্থ্য ঠিক হয় না তাদের ক্ষেত্রে খোঁজ দিলে জানা যায় পরিবারের কোন সদস্য নিজকে সুস্থ মনে করে এই লোশন অথবা ক্রিম ব্যবহার করেন না। আবার পাড়া-প্রতিবেশী যাদের স্কাবিস আছে তাদের সংস্পর্শে আসলেও সুস্থ হবে না।

৪) অবসই জামাকাপড় পরিষ্কার রাখুন: ব্যবহার করা পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকান ☀️চিকিৎসা শুরু করার পর কোন ধরনের পুরাতন অপরিষ্কার জামা কাপড় ব্যবহার করলে সমস্যা সমাধান হবে না

৫) এবং পরিচ্ছন্ন থাকুন: নিয়মিত গোসল করুন, পরিষ্কার পোশাক পরুন 🛁 নিজের জিনিসপত্র অন্যের সঙ্গে শেয়ার করবেন না।

চুলকানি শুরু হতেই চিকিৎসা নিন দ্রুত – কিন্তু দেরি করলে পরিবারসহ সবাই আক্রান্ত হতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম না মানার কারণে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।

হাত একটু বাকাঁ মনে হওয়ার কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিল। আজ তার হাতের এই অবস্থা দেখে বুকটা কেঁপে উঠলো।মেয়েটির বয়স ১৬ ...
02/09/2025

হাত একটু বাকাঁ মনে হওয়ার কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করিয়েছিল। আজ তার হাতের এই অবস্থা দেখে বুকটা কেঁপে উঠলো।
মেয়েটির বয়স ১৬ বছর, জীবন পুরোটাই বাকি। এখন হাত কেটে ফেলা ছাড়া আর কিছু করার নেই। কবিরাজি চিকিৎসার ৭ দিন পর ফলাফল।

পোস্টটি জনসচেতনতায় শেয়ার করার অনুরোধ রইল।
✅ হাড়-জোড়ার সমস্যা হলে অবশ্যই অর্থোপেডিক চিকিৎসকের কাছে যান।
❌ ভুল চিকিৎসা = আজীবনের ক্ষতি

28/08/2025

থাইরয়েড নিয়ে কিছু কথা:-

থাইরয়েড দুই প্রকার হয়। হাইপো ও হাইপার। এটি এমন একটি সমস্যা, যেটা বাইরে থেকে দেখা যায় না, কিন্তু ভেতর থেকে জীবনটাকে নষ্ট করে দেয়। ঘন ঘন মুড সুইং হয়, হঠাৎ করেই মানুষ রেগে যায়।
শরীরে অনেক ক্লান্তি থাকে অথচ ঘুম ঠিকমতো হয় না। অনেক সময় মাথা ঘোরায়, হাত পা থর থর করে কেঁপে উঠে। চোখে অন্ধকার দেখা, শরীরে হুটহাট ব্যাথা অনুভব করা। মাথা কাজ করে না, ভুলে যাওয়া, এক রকম উপস্বর্গ দেখা দেয়। কখনও ওজন বাড়ে, আবার কমে। খাওয়ার অভ্যাসেও পরিবর্তন আসে।
চুল পড়ে, ত্বক শুকিয়ে যায়, কিন্তু সবাই ভাবে হয়তো নিজের যত্ন নেয়া হচ্ছেনা।
মন খারাপ থাকে, কিছুতেই আনন্দ লাগে না, কিন্তু কেউ ভাবে না এটা হরমোনাল ইম্বব‍্যালেন্স কারণেও হতে পারে।
অন্যরা ভাবে “অলস”, অথচ প্রতিদিন নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কতটা লড়াই করে চলতে হয়।
যাদের থাইরয়েডের সমস্যা নেই সেই মানুষ গুলো সামাজিকভাবে বুঝতে পারে না বা বুঝতে চায় না যে এটা কতটা কষ্টদায়ক। তারা ভাবে,
“হাঁটা চলা, খাওয়া দাওয়া সবইতো ঠিকঠাক আছে!!!
“তোমার কষ্ট কিসের?”
“কম খাও, বেশি হাঁটো, সব ঠিক হয়ে যাবে!”
এরা জানে না যে, হাইপোথাইরয়েডিজমে মেটাবলিজম স্লো হয়ে যায়, ঘুমের চক্র নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি মনের শক্তিও কমে যায়।।
এটা ঠিক যে, বাইরে থেকে মানুষ না বুঝলেও, হাজার হাজার মানুষ এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে- বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে থাইরয়েডের রোগী যে পরিবারে থাকে সেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কাউন্সিলিং করানো হয়। রোগীর সাথে কেমন আচরন করলে তারা স্বাভাবিক থাকবে সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। কি খেতে পারবে কি খাবে না সব॥অথচ আমাদের বাঙ্গালী বেশীরভাগ পরিবারই এই মুডসুইং,ডিপ্রেশনকে ঢং বলে উড়িয়ে দেয়, মানুষ না জেনে নানান ভাবে জাজ করে।এরজন‍্য রোগীর আশেপাশের শুভাকাঙ্খী এবং পরিবার পরিজন সবার সচেতনতা দরকার ॥


একটা বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরে লিখব ভাবছিলাম কিন্তু লেখা হয়ে উঠে নি। এই যে বোতল দেখতে পাচ্ছেন এটা অত্যন্ত দামী একটি ওষুধ। এক...
23/07/2025

একটা বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরে লিখব ভাবছিলাম কিন্তু লেখা হয়ে উঠে নি।

এই যে বোতল দেখতে পাচ্ছেন এটা অত্যন্ত দামী একটি ওষুধ। এক বোতলের দাম প্রায় ১০ হাজার টাকা। আর এত দাম হবার কারণেই এই সোনার দেশে জিনিসটা নকলে সয়লাব হয়ে গেছে।

এটা হল Albumin. Albumin হল এক ধরণের প্রোটিন। আমাদের শরীরে প্রোটিনের অনেক অনেক কাজ রয়েছে। তাই যাদের শরীরে প্রোটিন কম থাকে তাদের এটি দেয়া হয় প্রোটিনের অভাব পূরণ করতে। এছাড়া ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত যাদের শরীরে এলবুমিন কম থাকে তাদের এটি দেয়া হয়। বড় বড় অপারেশনের পরেও রোগিকে এই ইঞ্জেকশন দেয়া হয় দ্রুত ঘা শুকাবার জন্য। আগুনে পোড়া রোগিদেরকেও এটি দেয়া হয় দ্রুত পোড়া জায়গা শুকিয়ে যায় যেন।

তো এই ইঞ্জেকশনটি বাংলাদেশের কোন কোম্পানি এখন পর্যন্ত প্রস্তুত করে না, বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। একটি ১০০ মিলি বোতলের দাম প্রায় সাড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ৫০ মিলির দাম ৪৫০০_৬০০০ টাকা পর্যন্ত।

গত প্রায় বছর দুয়েক ধরে এই ইঞ্জেকশনের নকল বের হয়েছে। বর্তমানে এমন অবস্থা যে, আসল বোতল কোথাও পাওয়া যায় না বললেই চলে। বোতলের মোড়ক সিল প্যাক, হলোগ্রাম স্টিকার মারা, সব কিছুই ওকে। কোন এক্সপার্ট বা আমদানীকারক নিজেও দেখে বুঝবে না এটা আসল নাকি নকল। অথচ দাম রাখা হচ্ছে আসলটার সমান!!

আমি গত ২ বছর ধরে লক্ষ্য করেছি, এই ইঞ্জেকশন যাকেই দেয়া হচ্ছে তার শরীরেই রিয়েকশন হচ্ছে। রিয়েকশন বলতে গা কাঁপুনি শুরু হয় এবং পরে জ্বর চলে আসে। ইঞ্জেকশন অফ করে দিলেই কাঁপুনি চলে যায়, জ্বর থাকে না। পরেরদিন আবার নতুন বোতল দিলে সেই কাঁপুনি সাথে জ্বর। এর অর্থ হচ্ছে যে ইঞ্জেকশন দেয়া হচ্ছে সেটায় কোন ঝামেলা হচ্ছে।

আমাদের এই সোনার দেশে সোনার মানুষ আর সোনার ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তো সবার ধারণা আছে। কোন একটা সিন্ডিকেট এই ইঞ্জেকশনের অতিরিক্ত দাম দেখে বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের নাম দিয়ে বাংলাদেশেই এটা বানিয়ে মার্কেটে ছেড়ে দিচ্ছে।

ভাবুন তো, দেশে স্কয়ার, ইনসেপ্টা, বেক্সিমকোর মত হাজার কোটি টাকার বিজনেস করা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি থাকার পরেও কেউ এটা উৎপাদন করতে পারছে না প্রযুক্তিগত কারণে। অথচ সেই জিনিস হয়ত জিঞ্জিরা বা কামরাঙ্গির চরের কোন বাসার খুপড়ি ঘরে তৈরি হচ্ছে মাত্র ৫০-১০০ টাকা খরচে এবং দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১০০০০ টাকায়!!

অসম্ভব মনে হচ্ছে? এই দেশে কোন কিছুই অসম্ভব না। এটা সব সম্ভবের দেশ।

আমি গত সপ্তাহে এক রোগিকে সরাসরি ইম্পোর্টার থেকে আনিয়ে এই ইঞ্জেকশন দিয়েছি, কোন রিয়েকশন হয় নি অথচ অন্য রোগিকে পরপর ২ দিন দোকান থেকে আনিয়ে দিয়েছি, ২ দিনই রিয়েকশন হওয়ায় ফেলে দিতে হয়েছে। ভেবে দেখুন ১০০০০ টাকার ওষুধ এনে ফেলে দিতে হচ্ছে, কারণ রোগির জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে। রিয়েকশন হবার পরেও কোন ওষুধ কন্টিনিউ করলে রোগির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

আমার মনে হয় এলবুমিনের এই কাহিনী জানে না এমন কোন প্র‍্যাক্টিসিং ডাক্তার বাংলাদেশে নেই এখন। রিয়েকশন হলে ওষুধ ফেলে দিতে হচ্ছে, কিছুই করার নেই। এসব নিয়ে কথা বলার, দেখার বা নিষিদ্ধ করারও কেউ নেই। ওষুধের দামের কথা না হয় বাদই দিলাম, রোগির জীবন নিয়ে যে টানাটানি পড়ে যায় সেই দায়িত্ব কে নিবে? রোগি মারা গেলেই সব দোষ ডাক্তারের উপর এসে পড়বে, অথচ এই ওষুধ বাজারে কিভাবে আসে, কিভাবে ফার্মেসিগুলায় বিক্রি হচ্ছে এসব মনিটরিং করার কেউ নেই।

[ আমি যে কোম্পানিরটা পেয়েছি সেটার ছবি দিলাম, কিন্তু প্রায় সব এলবুমিনই এখন নকল পাওয়া যাচ্ছে মার্কেটে। কোম্পানির প্রতি কোন আক্রোশ বা ক্ষোভ নেই, কিন্তু যারা আমদানিকারক তারা অন্তত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারে। উল্লিখিত কোম্পানি সহ অন্য যে সব কোম্পানির আমদানিকারক আছে সকলেই যদি নকল ওষুধ ধরার জন্য ঔষধ প্রশাসন অদিদপ্তরে অভিযোগ জানায় এবং দোষীদের জেল জরিমানা করে কারখানা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে রোগিদের জীবন রক্ষা পাবে]

বর্তমানে একটা ভয়াবহ ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ চলছে। তীব্র জ্বর আসবে। ১০৩°/১০৪° এর মতো উঠে যাবে। সাথে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তী...
21/07/2025

বর্তমানে একটা ভয়াবহ ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ চলছে। তীব্র জ্বর আসবে। ১০৩°/১০৪° এর মতো উঠে যাবে। সাথে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ব্যথা হবে। আর ভয়াবহ রকমের দূর্বলতা থাকবে। প্রেসার লো করবে।
ব্লাড টেস্ট করালে দেখা যায় এটা ডেংগু ও না, চিকনগুনিয়া ও না। কিন্তু ভয়াবহ এক জ্বর। হসপিটালাইজড ও হওয়া লাগতে পারে। আর জ্বর সেরে গেলেও শরীরের ব্যথা সহজে সারে না।
সকলে সাবধানে থাকুন। সুস্থ থাকুন।

07/07/2025

স্ক্যাবিস এখন মহামারি আকার ধারন করেছে। সবাইকে তাই সচেতন হবার অনুরোধ করছি।

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি তীব্র চর্মরোগ, যা Sarcoptes Scabiei নামক এক ধরনের পোকা বা ক্ষুদ্র পরজীবী মাইট (mite) দ্বারা হয়। এটি খুবই সংক্রামক এবং চুলকানির মাধ্যমে এর প্রধান উপসর্গ প্রকাশ পায়।

স্ক্যাবিসের ভয়াবহতা :

১. চরম চুলকানি: স্ক্যাবিস হলে বিশেষ করে রাতে বেশি চুলকানি হয়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। অনেক বাচ্চারা চুলকাতে চুলকাতে ঘুম ভেঙে যায়, যন্ত্রনায় কান্নাকাটি করে।

২. চামড়ায় ফুসকুড়ি ও ক্ষত: স্ক্যাবিস হলে ঘর্ষণ এবং চুলকানোর ফলে চামড়ায় ঘা ও ইনফেকশন হতে পারে। কখনো কখনো চামড়ার নিচে পুঁজ জমে যায়।

৩. পরিবারে দ্রুত ছড়ায়: স্ক্যাবিস রোগে পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে তার সংস্পর্শে এলে পুরো পরিবার এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ এটি।

৪. দীর্ঘমেয়াদে হলে সেকেন্ডারি ইনফেকশন: স্ক্যাবিসের সঠিক চিকিৎসা না হলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, সেলুলাইটিস, এমনকি শিশু রোগীর কিডনি সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে, তাই সচেতনতা ভীষন ভাবে প্রয়োজন।

৫. মানসিক অস্বস্তি: অতিরিক্ত চুলকানি ও অস্বস্তির কারণে শিশুর মানসিক চাপ ও অস্থিরতা তৈরি হয়।

স্ক্যাবিস থেকে মুক্তির উপায়:

১. চিকিৎসা:

☞ পারমেথ্রিন - ৫% (Permethrin - 5%) ক্রিম: এটি সবচেয়ে কার্যকর। শরীরের গলা থেকে পা পর্যন্ত মেখে রাতভর রেখে সকালে (১০-১২ ঘন্টা শরীরে রাখার পর) ধুয়ে ফেলতে হয়। এই নিয়মে একটু ভুল হলে কোনেভাবেই এউ স্ক্যাবিস রোগ শরীর থেকে যাবেনা।আর অবশ্যই পরদিন সকালে গায়ে থাকা পোষাক, বিছানার চাদর, বালিশের কাভার সব কিছু গরম পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে ধুয়ে ফেলুন। নিজের ও শিশুর শরীর গরম পানি ও বডি ওয়াস দিয়ে ভালো ভাবে রগরে গোসল করুন ও করান।

☞ আপনার শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী (Permethrin - 5% + Crotamiton) Combined Cream বা Monosulfuram - 25% Solutions ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারবেন।

☞ আইভারমেকটিন (Ivermectin) ওষুধ: কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনার শিশুর স্ক্যাবিস রোগের চিকিৎসায় খাওয়ার ওষুধ দিতে পারেন, বিশেষ করে জটিল ও পুনঃসংক্রমণের ক্ষেত্রে।

☞ অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট: চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। শিশুদের ক্ষেত্রে Syrup বড়দের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট।

২. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা:

আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, বিছানার চাদর, তোয়ালে গরম পানিতে ৩০ মিনিট ধরে সিদ্ধ করে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।

এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে ৩ দিন পর্যন্ত দূরে রাখতে হবে (কারণ রোগ সৃষ্টিকারী পোকা বা মাইট ২–৩ দিন বেঁচে থাকে)।

৩. একসাথে চিকিৎসা:

পরিবারের সকল সদস্যকে একসাথে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। এমনকি উপসর্গ না থাকলেও। এটা খুবি জরুরি।

৪. নিয়মিত হাত ধোয়া ও শরীর পরিষ্কার রাখাবেন। বাইরে থেকে বাসায় ফিরে সবার আগে ভালো ভাবে হাত ধোয়ার অভ্যাস করবেন। এতে রিইনফেকশন হবার সম্ভাবনা কমে

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
এই স্ক্যাবিসকে সাধারন ভাবে দেখবেন না। এর ভয়াবহতা অনেক। তাই সচেতন হবেন। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তারাও প্রতি মাসে একবার করে পরিবারের সবাই একসাথে পারমিথ্রিন ৫% ব্যবহার করুন এবং পরিধেয় পোষাক, বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
নিজে জানুন অন্যকে জানান।

আশা করি আজকের আলোচনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে, আমার জন্য দোয়া রাখবেন, সবাই সুস্থ থাকবেন, সম্ভব হলে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন।

দয়া করে আপনারা সবাই সচেতন হবেন।

মনে রাখবেন, আপনার সচেতনতা, আপনার সন্তানের জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ।

ধন্যবাদ।






22/06/2025





➡️ডায়রিয়া হলে বাচ্চাকে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন না খাওয়ান সেই ক্ষেত্রে পানি শূন্যতা হওয়ার চান্স থাকে।➡️স্যালাইন...
21/06/2025

➡️ডায়রিয়া হলে বাচ্চাকে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যালাইন না খাওয়ান সেই ক্ষেত্রে পানি শূন্যতা হওয়ার চান্স থাকে।

➡️স্যালাইন কতটুকু খাওয়াবেন?

➡️ওর স্যালাইন ছয় মাসের আগেও খাওয়াতে পারবেন, কিন্তু রাইস স্যালাইন ছয় মাস কমপ্লিট হওয়ার পর থেকে খাওয়াতে পারবেন। বাচ্চার ওজন যত কেজি, অন্তত তত চামচ বা তার বেশি পরিমাণ ওরস্যালাইন বা রাইস স্যালাইন খাওয়াবেন
🔹 যেমন: ওজন ৮ কেজি হলে ➜ মিনিমাম ৮ চামচ বা তার বেশি।
🔹 প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী ঠিক পরিমাণ পানিতে স্যালাইন তৈরি করবেন — কোনরকম কম/বেশি করা যাবে না।

➡️স্যালাইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

পর্যাপ্ত স্যালাইন না খাওয়ালে বাচ্চার শরীরে পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) হতে পারে।
এতে দেখা যেতে পারে —

☑️ মাথার তালু ডেবে যেতে পারে
☑️ চোখ বসে যেতে পারে
☑️ পেটের চামড়া কুঁচকে যেতে পারে
☑️ অতিরিক্ত তৃষ্ণা পাবে
☑️ একদম খাওয়া বন্ধ হয়ে দূর্বল হয়ে যেতে পারে

✅ বিশেষ সতর্কতা:
👉 যদি পায়খানার সাথে রক্ত আসে, পানি শুন্যতা লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🫚 আদা সম্পর্কে ৫টি আশ্চর্যজনক তথ্য:১. আদা ছিল এক সময় ‘সোনার দামের সমান’!!!মধ্যযুগে ইউরোপে আদা এতটাই দামী ছিল যে, এক পাউন...
18/06/2025

🫚 আদা সম্পর্কে ৫টি আশ্চর্যজনক তথ্য:

১. আদা ছিল এক সময় ‘সোনার দামের সমান’!!!
মধ্যযুগে ইউরোপে আদা এতটাই দামী ছিল যে, এক পাউন্ড আদার দাম ছিল একটি ভেড়ার সমান।

২. রান্না করা আদা ও কাঁচা আদার উপকার আলাদা।
কাঁচা আদা প্রদাহ কমাতে বেশি কার্যকর, আর রান্না করা আদা হজমে বেশি সহায়ক। মানে কোনটা কীভাবে খাবেন, তাও গুরুত্বপূর্ণ।

৩. জার্মানিতে আদা দিয়ে বিয়ার বানানো হয়।
বিশ্বের অনেক দেশে আদা দিয়ে বানানো হয় Ginger Beer বা Ginger Ale, যা কোমল পানীয় হলেও হজমে সাহায্য করে।

৪. আদা ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বয়সের ছাপ ও বলিরেখা কমিয়ে স্কিন টোন উজ্জ্বল রাখতে পারে।

৫. গাড়িতে উঠলে বমি বোধ হলে আদা জাদুর মতো কাজ করে।Adacapsule বা আদা চিবিয়ে খেলে গাড়ির যাত্রায় বমি ভাব বা মাথা ঘোরানো অনেক কমে যায়। একে বলে motion sickness relief।

গরু বা ছাগলের পায়ার মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে বলে একটা খুব খুব বড় ভুল ধারণা আছে আমাদের।মূলত হাড়ের যে অংশটা আমরা ফেলে দেই, শক...
08/06/2025

গরু বা ছাগলের পায়ার মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে বলে একটা খুব খুব বড় ভুল ধারণা আছে আমাদের।

মূলত হাড়ের যে অংশটা আমরা ফেলে দেই, শক্ত, সাদা অংশ, ওটা ক্যালসিয়ামের লবণ দিয়ে তৈরি। আর যে জিনিসটা আমরা নেহারিতে খাই, সে জিনিসটা পুরোটাই চর্বি। ওতে ক্যালসিয়ামের ছিঁটেফোঁটাও নেই। থাকলেও খুবই অল্প। এতে অন্যান্য নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন আছে কিন্ত চর্বির তুলনায় নগণ্য।

তাই ক্যালসিয়ামের দোহাই দিয়ে বয়স্ক মানুষ বিশেষত দাদু,নানুদের নেহারি বেশি খাওয়া একদমই উচিৎ নয়। শুধু বয়স্ক ব্যক্তিগণ নন, আমাদেরও উচিত এই চর্বি খেতে সতর্কতা অবলম্বন করা।

পায়া খেলে ক্যালিসিয়ামের অভাব তো পূরণ হয়ই না বরং হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায় বয়স্কদের।

Address

Dholaipar, Donia, Jatrabari
Dhaka
1236

Telephone

+8801818591440

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Md.Nurul Amin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr.Md.Nurul Amin:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category