24/04/2025
Special BCS Guidelines
আমি সবসময় নতুনদের জন্য লিখি আর এটা তাদের জন্য এর আগে যারা বিসিএস এর প্রিপারেশন নেননি বা স্পেশাল বিসিএস পাননি, কোচিং এ ভর্তি হয়েছেন কিন্তু এখনো পড়া শুরু করেননি।
স্পেশাল বিসিএস যেহেতু এই সুযোগ কোনভাবেই মিস করা যাবে না। এরকম সুযোগ বারবার আসবেও না। অনেক বেশি কম্পিটিশন হবে, যারা অলরেডি কোর্সে আছেন তারা হয়তো এগিয়ে থাকবেন কিন্তু ফ্রেশার যারা তাদের কিছু সুবিধা আছে। যতই কনফিডেন্স থাকুক অন্তত স্ট্রাকচার্ড ওয়েতে প্রিপারেশন না নিয়ে পরীক্ষা দিলে পরে আফসোস হবে।
ফাইনাল প্রফের পরে আমি তিন সাড়ে তিন মাস সময় পেয়েছিলাম এপ্রিলে সার্কুলার দিয়েছিল আগস্ট এর ফাস্ট উইকেট পরীক্ষা হয়। আর ৪২ এর ক্ষেত্রে নভেম্বরে সার্কুলার দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হয়। মোটামুটি আড়াই থেকে তিন মাস পাবেন। এই সময়টাকে আপনি কতটুকু কাজে লাগাবেন এর উপর নির্ভর করছে আপনার প্রিলিতে টিকা আর ক্যাডার হওয়ার সুযোগ।
✅ স্পেশাল বিসিএস মার্কিং
প্রিলি (এমসিকিউ বেসড রিটেন) ২০০
(১০০ জেনারেল ১০০ মেডিকেল)
ভাইভা ১০০
ভাইভাতে একটু কম বেশি হলেও ৫০ এ পাশ যেহেতু ফেল খুব একটা হয় না। কিন্তু বিসিএস হওয়া নির্ভর করবে এমসিকিউ বেসড প্রিলির উপরে যেটা নির্ভর করে মেডিকেল পার্টে আপনার দক্ষতার উপর। পড়াশোনার short cut নেই কিন্তু Preli পাশ করতে গেলে একটু technical হতে হবে। 🙋🏻♂️🙋🏻♂️
✅ মেডিকেল পার্ট সিলেবাস
Anatomy (২৫)
Physiology Biochemistry (২৫)
Microbiology Pathology (২৫)
Medicine (২৫)
উপরের ৩ টা থেকে ৭৫ বললেও মেডিসিন থেকে ৩০-৩৫ টা প্রশ্ন চলে আসে। এর জন্য অবশ্য পুরো ডেভিডসন পড়ার দরকার নেই। গাইনী সার্জারি থেকে দুই একটা প্রশ্ন আসলে এমবিবিএস এর নলেজ দিয়ে আনসার করতে পারবেন।
আমরা মেডিকেলে চারটা প্রফে পাঁচ বছরে যা যা শিখেছি যা যা পড়েছি মোটামুটি সেখান থেকে আসে। পোস্ট গ্রাজুয়েশন লেভেলের খুব একটা কঠিন প্রশ্ন আসে না। Superficial প্রশ্ন আসে যেগুলো আগের পড়া একটু recall করলেই পারা যায়।
✅ জেনারেল পার্ট সিলেবাস
বাংলা ব্যাকরণ ও সাহিত্য (১৫+৫)
ইংরেজি গ্রামার ও লিটারেচার (১৫+৫)
গণিত ও মানসিক দক্ষতা (১০+১০)
বাংলাদেশ বিষয়াবলী (২০)
আন্তর্জাতিক ও সাম্প্রতিক (২০)
৩৯ বা ৪২ বিসিএসে সাধারণ বিজ্ঞান, ভূগোল, সুশাসন এসব ছিল না।
✅ কবে হতে পারে? বয়স বাড়াবে কিনা?
স্পেশাল বিসিএস এর সার্কুলারের পরে মোটামুটি আড়াই থেকে তিন মাস সময় পাবেন সেখানে সিলেবাস দিয়ে দেওয়া হবে জেনারেল পার্ট মেডিকেল পার্ট কোনটা কতটুকু থাকবে।
কিন্তু এখন যেহেতু স্পেশাল বিসিএস নিয়ে কথা হচ্ছে তাই এখনই পড়াশোনা শুরু করে দেওয়া উচিত। অল্প অল্প করে হলেও মেডিকেল পার্ট টুকু পড়তে থাকুন। সেটা জুলাইতে এফসিপিএস বা নভেম্বরে রেসিডেন্সিতেও কাজে দিবে।
✅ বয়স বাড়াবে কিনা কিংবা ডেন্টাল নিবে কিনা সেটা সার্কুলারের পর জানা যাবে।
✅ ফাইনাল প্রফ দিয়ে দেয়া যাবে কিনা?
ফাইনাল প্রফ এর রিটেন শেষ হওয়ার পরে যদি রেজিস্ট্রেশন ডেট থাকে তাহলে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। বিসিএস অ্যাপিয়ার করার জন্য পাস করা বা সার্টিফিকেট পেতে এমন কোন শর্ত নেই। কিন্তু ভাইভা বোর্ডে সার্টিফিকেট লাগবে।
✅ কোচিং করবেন কিনা?
কোচিং করতে চাইলে করতে পারেন। যদি একটা routine এর মধ্যে থাকতে চান বা আপনাকে pressure দিয়ে পড়াবে এমন কোনোকিছুর সাথে attached থাকার চেষ্টা করবেন। কিন্তু দিন শেষে আপনার পড়া আপনাকেই পড়তে হবে। ✌🏻✌🏻
✅ কত মার্ক টার্গেট করে আগাবেন ??
২০০ টার্গেট না করে টার্গেট করতে হবে ১৫০-১৬০। পরীক্ষায় যত দাগাবেন তত ঠিক হওয়ার থেকে ভুল হওয়ার চান্স বেশি। সব দাগানোর থেকে sure হয়ে দাগানোটা বুদ্ধিমানের কাজ।
যদি preparation ঠিক ভাবে নেন, আর confidently ১২০-১৩০ দাগিয়ে আসেন, আপনার প্রিলি confirm. আজ পর্যন্ত কোনো প্রিলিতেই cut mark ১১০/১১৫ এর উপরে যায়নি। আর এই confidence আসবে যখন আপনি একটা Topics পড়ার পর সেটার আগের প্রশ্নগুলো জানবেন এবং মডেল প্রশ্নগুলো solve করবেন। 🧔🏻🧔🏻
✅ কিভাবে শুরু করবেন মেডিকেল পার্টের প্রিপারেশন ?
মেডিকেল পার্টের জন্য শুরু তে যেটা করা উচিত অবশ্যই ৩৯ এবং ৪২ এর প্রশ্ন সলভ করতে হবে, দেখতে হবে ৩৯ আর ৪২ বিসিএস এর কোশ্চেন প্যাটার্ন, টপিকস ব্রেকডাউন। কোন কোন চ্যাপ্টার থেকে বেশি কোশ্চেন আসে, কোনগুলো ইম্পর্টেন্ট সেটা বুঝতে পারবেন। পরীক্ষা দেওয়ার আগে যদি আপনি জানেন যে আপনাকে কোন টপিকস এ গুরুত্ব বেশি দিতে হবে তাহলে পরীক্ষার প্রিপারেশন আপনার জন্য ভালো হবে। ফিক্সড টপিকস গুলো মোটামুটি আয়ত্তে নিয়ে আসতে হবে কারন এটা আপনার কনফিডেন্স বাড়াবে।
স্পেশাল বিসিএস এর গেমচেঞ্জার হবে মেডিকেল পার্ট। কারণ আপনি যত কনফিডেন্স বা যত নলেজ আপনি এখানে দেখাতে পারবেন জেনারেল পার্ট এ পারবেন না যদি না আপনার কয়েক বছর ধরে বিসিএস এর প্রিপারেশন নেয়া থাকে। তাই মেডিকেল পার্টের প্রিপারেশন আপনাকে খুব ভালোভাবে নিতে হবে।
✅ জেনারেল পার্ট এর প্রিপারেশন
জেনারেল পার্ট এর সমস্যা হলো মেডিকেল এ এত কিছু পড়াশোনা করে এসব পড়তে ভালো লাগে না। তাই যত কমে বেশি মার্ক কভার করা যায় সেটার জন্য প্রিভিয়াস কোশ্চেন কোনগুলো এসেছে, ৪৬ থেকে পেছনের সব বিসিএস এর প্রশ্ন সলভ করতে হবে। অন্তত বাংলা অংক ইংরেজি টুকু।
একটু ভালো করে সময় নিয়ে পড়তে গেলে ডাইজেস্ট পড়তে পারেন। প্রতিটা সাবজেক্ট আলাদা সাবজেক্টের জন্য আলাদা আলাদা করে বই পড়ার থেকে ডাইজেস্টের বিভিন্ন টপিক্স যেগুলো প্রিভিয়াস কোশ্চেন এসেছে, ওইসব চ্যাপ্টার থেকে কোশ্চেন পড়ার পরে আরো পিএসসির চাকরি পরীক্ষাতে যা যা এসেছে সেগুলো সলভ করে ফেলতে হবে।
ডাইজেস্ট বাজারে অনেক আছে আবার অনেক বই আছে প্রিভিয়াস কোশ্চেন ক্র্যাক করা যায় সহজেই। আর একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে আগের বিসিএস এর প্রশ্নগুলোতে যে অপশন থাকতো সেই অপশন থেকে অন্য বিসিএসে কোশ্চেন এসেছে। তাই শুধু প্রশ্ন পড়লে হবে না। অপশন গুলো থেকেও খেয়াল রাখতে হবে স্পেশালি জেনারেল পার্টের জন্য।
সবচেয়ে কঠিন যে পার্টটা হয় সেটা হচ্ছে সাহিত্য, লিটারেচার, আন্তর্জাতিক এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলী। এসব নিয়ে যতটুক ফেসবুক বা নিউজ পেপার যা পড়েছেন যেটুকু আপডেটেড থাকবেন সেটুকু হয়তো আপনার উপকারে দিবে। বই খুলে এত কিছু পড়ার সময় না থাকলেও অন্তত বাংলাদেশ নিয়ে যে ফিক্সড প্রশ্নগুলো হয় যেগুলো ছোটবেলা থেকে পড়ে এসেছেন ওগুলো পড়ে ফেলবেন।
✅ পড়াশোনা করবেন কতটুকু
আপনাকে রোজ ২০ ঘন্টা করে পড়তে হবে না কিন্তু রোজ আপনি যদি ৪-৫ ঘন্টা করেও মনোযোগ দিয়ে পড়েন regularly, দেখবেন পড়া হয়ে গিয়েছে, মোটামুটি একটা Preparation হয়ে গেছে, confidence পাওয়ার মত। আপনার কাজ থাকবে ডিউটি থাকবে পরিবার থাকবে পরিবারের কাজ থাকবে সব ব্যালেন্স করে হলেও আপনাকে পড়তে হবে।
মেডিকেল পার্ট তিন চার ঘন্টা এবং এটলিস্ট এক ঘন্টা জেনারেল পার্ট পড়তে হবে এবং রোজ আগের দিনের পড়া রিভাইস করতে হবে। না হলে এত বেশি ইনফরমেশন সবকিছু মাথায় থাকবে না। ডেইলি আধা ঘন্টা সময় দিবেন আগের দিনের পড়া রিভাইস করার জন্য। আর যেগুলো ভুল হয় সেগুলো অন্তত একটু শর্ট নোট রাখার try করবেন।
✅ পরীক্ষায় কারা এগিয়ে থাকবে?
পরীক্ষায় এগিয়ে থাকবে তারাই যারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেছেন, কোর্সে আছেন, রিসেন্ট চান্স পেয়েছেন, পার্ট ওয়ান হয়েছে বা ডিপ্লোমাতে ঢুকেছেন বিশেষ করে মেডিসিন আর বেসিক সাবজেক্ট গুলোতে।
✅ যারা নতুন যারা পাশ করলো, ফ্রেশার বা ইন্টার্ন তাদের ক্ষেত্রে সুবিধা টা কি?
একদম নতুন পাশ করার ফলে বেসিক সাবজেক্ট গুলো ক্লিনিক্যাল মেডিসিন গাইনী সার্জারি কোশ্চেন গুলো ইন্টার্নদের মাথায় থাকে। পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশন এ অনেক সময় ডিটেইলস পড়ার জন্য অনেক সিম্পল জিনিস গুলো মিস হয়ে যায় কিন্তু ফ্রেশার বা ইন্টার্নদের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার হচ্ছে এখানে রিফ্লেক্সে অনেক কোশ্চেন কারেক্টলি আনসার করা যায়। অনেক কঠিন প্রশ্ন সহজ হয়ে যায় আনসার করা।
✅ কোশ্চেন প্যাটার্ন
প্রথম স্পেশাল ছিল ৩৯ তম বিসিএস তাই কি ধরনের কোশ্চেন আসে না আসে সেটা অনেকের আইডিয়া ছিল না। অনেকেই ভেবেছিল পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন এর মত প্রশ্ন হবে কিন্ত ৩৯ এর কোশ্চেন প্যাটার্ন টা মোটামুটি সহজ ছিল বলা যায় মেডিকেলে ৫ বছর যা পড়াশোনা হয়েছে সেখান থেকে কমন ছিল।
৪২ এর সময় মোটামুটি একটা ধারণা ছিল যে কোশ্চেন কিরকম হতে পারে তারপরও ৪২ এর কিছু কোশ্চেন অনেক ট্রিকী ছিল, কিছু ডাবল আনসার ছিল, ভুল আনসার ছিল বা কোন একটা পোস্ট গ্রাজুয়েশনের বই থেকে তুলে দেয়ার অভিযোগ ছিল।
সামনে স্পেশাল বিসিএস হলেও এমবিবিএস লেভেলের পড়াশোনাতেই পার করতে পারবেন। কম করে চল্লিশ হাজার ডাক্তার পরীক্ষা দিলেও সবার প্রিপারেশন সমান থাকবে না। আপনি কতটুকু এগিয়ে থাকবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করছে।
✅ করবেন কি?
নতুন যারা নিজে নিজে পড়ার চেষ্টা করছেন বা বিভিন্ন কোচিং এ ভর্তি হয়েছেন তাদের মেইন কাজটা হবে জেনারেল পার্টটা কনসাইজ করে ফেলা। প্রশ্ন যেগুলো এসেছে বারবার সেগুলো পড়ে ফেলা এবং ম্যাক্সিমাম ইফোর্ট মেডিকেল পার্টে দেওয়া। এমবিবিএস লেভেলে পড়ে আসা টপিকস গুলো গাইড বা বই থেকে সুপারফিসিয়াল রিডিং পড়া বা ভালো কোন কোচিং এর মেডিকেল পার্ট পড়ে ফেলা। আর ইমপর্ট্যান্ট টপিকস যেগুলো ৩৯, ৪২ এ এসেছে সেই চ্যাপ্টারগুলো গুরুত্ব দিয়ে পড়া। ইন্টার্নির ফাঁকে ফাঁকে মেডিকেল পার্টগুলো পড়া উচিত রোজ।
এত কম সময় তো আপনি এত ডিটেলস পড়তে পারবেননা। আমি নিজেও চেষ্টা করেছি খুব ভালো পড়তে কিন্তু আসলে খুব একটা লাগে না ডিটেলস। কোশ্চেন সহজ হোক বা সুপারফিশাল বা ট্রিকি, না পড়া থাকলে কঠিন লাগবে অনেক।
একটা চ্যাপ্টার বা একটা টপিক নিয়ে বেশি ডিসকাস না করে আপনি যেটুকু পড়বেন সেটুকু ভালো করে ডেলিভারি করার চেষ্টা করবেন।
✅ পড়াশোনার ট্রিকস
আপনাকে পড়তে হবে সময় দিতে হবে রোজ প্রচুর কোয়েশ্চেন সলভ করতে হবে। যত প্রশ্ন সলভ করবেন তত কনফিডেন্স বাড়বে, পরীক্ষার হলে সহজ প্রশ্ন ভুল কমে হবে।
আমি নিজে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পাইনি তাই আমার অনেক ভুল হয়েছে সহজ সহজ প্রশ্ন। অনেক সময় দেখা যায় এই দুই তিনটা কোশ্চেন পারা না পারার উপরেই কাটমার্কের এপাশ ওপাশ হওয়াতে চান্স হয় না।
আপনি ৭০-৮০ টপিক্স কমন পাবেন কিন্তু সেটা আনসার কতটুকু কনফার্ম করতে পারবেন সেটা আপনার প্রিপারেশনের উপর নির্ভর করছে। আপনি কতগুলো কোশ্চেন প্র্যাকটিস করছেন কিভাবে পড়ছেন কিভাবে মনে রাখছেন সেটার উপরে কারণ প্রশ্ন সলভ করার কোন বিকল্প নেই। আপনি যত বেশি কোয়েশ্চেন সলভ করবেন তত বেশি আপনার ভুল হওয়ার চান্স কম থাকবে। এমন অনেক সহজ সহজ কোশ্চেন মিস হয়ে যায় পড়া জিনিস জানা থাকার পরও কারণ এত বেশি কোশ্চেন পরীক্ষার হলে এত কম সময়ে ভুল হয়েই যায়।
সব একসাথে পড়তে গিয়ে জগাখিঁচুড়ি না করে subject wise শেষ করুন। Confidence বাড়বে। কিন্তু মেডিসিন পড়বেন রোজ। Topics কমিয়ে পড়বেন, কিন্তু যেটা পড়বেন ভালো করে পড়বেন, যেনো সেখান থেকে প্রশ্ন আসলে পারেন। এক টপিকে বেশি সময় নষ্ট করা যাবে না। 🙅🏻♂️🙅🏻♂️
✅ পরীক্ষার টিপস
ফাইনাল প্রফ দিয়ে ইন্টার্নশিপের শুরুতে যখন প্রথম বিসিএস দেই, নিজে কোথাও কোচিং করিনি বা কোথাও পরীক্ষা দেইনি তাই জানতাম না কতটুকু দাগাতে হবে কি দাগাতে হবে কোনটা আগে দাগাতে হবে কোনগুলো ছাড়তে হবে। শুরুতেই জেনারেল দাগানো শুরু করেছি এবং দেখি যে এক ঘন্টা পরে ৮০-৮৫টা কোশ্চেন দাগিয়ে ফেলেছি। এরপর যখন মেডিকেল পার্ট শুরু করি তখন দেখেছি মোটামুটি পারছি কোশ্চেনগুলো টপিক কমন ছিল কিন্তু মেডিকেল পার্টটাই আগে দাগানো উচিত কারণ পরীক্ষার শুরুতে concentration ভালো থাকে। এরপর যখন সময় শেষ হলো তখন দেখি ১৮৫ টার মতো দাগিয়ে ফেলেছি। যদিও এতগুলো তাকানো ঠিক হয়নি।
প্রথম বিসিএস ছিল তাই ভেবেছিলাম সব মন মত দাগিয়ে আসব তারপরও কিছু বাদ পড়ে গেছে। এরপর দেখি ৩০-৪০ টা ভুল ছিল যেগুলা বেশিরভাগই জেনারেল পার্ট থেকে। জেনারেল পার্টের একটা অসুবিধা হলো দেখে মনে হবে পারি কিন্তু দাগানোর পর ভুল হয়ে যায়। এসব রিস্ক নেয়া যাবে না।
জেনারেল পার্ট খুব বেশি দাগানো যাবে না। আপনাকে টার্গেট করতে হবে মেডিকেল পার্টের ১০০ টা প্রশ্ন । কারণ এই ১০০ টপিকস আপনার স্ট্রেংথ। এখানে আপনি যত ভালো পরীক্ষা দিবেন আপনার চান্স তত বেশি হবে এবং ভাইভা পাস করলে ক্যাডার হওয়ার সুযোগ তত বেড়ে যাবে।
সাহিত্য বা literature শেষের দিকে বারবার পড়বেন।ভালো না লাগলে মনে না থাকলে আগের প্রশ্নগুলো revise করবেন। খুব sure না হলে সাহিত্য দাগাবেন না। 🙅🏻♂️🙅🏻♂️
জেনারেল পার্টের ৬০-৭০ মার্কের প্রিপারেশন আর মেডিকেলের পড়াশোনা গুলো আপনার পড়া আছে তাই residual knowledge আপনাকে হেল্প করবে। ৭০-৮০ টপিকস আপনি কমন পাবেন। সেগুলোর আনসার ঠিক মত করার জন্য আপনাকে পড়তে হবে এবং প্রচুর প্রশ্ন সলভ করতে হবে। যত কোশ্চেন সলভ করবেন তত বেশি সহজ প্রশ্ন ভুল হওয়ার চান্স কমে যাবে।
ফেসবুক use করবেন properly. বিভিন্ন গ্রুপে suggestion বা important topics পাবেন , যখন দেখবেন তখনই পড়ে ফেলবেন। Pdf নামালেও একবার reading দিবেন। কারন save আমরা অনেক কিছুই করি, কিন্তু পরে খুলে দেখা হয়না কি ছিলো। বিভিন্ন Newspaper follow করবেন, সাম্প্রতিক বিষয়ে updated থাকবেন। রেগুলার newspaper পড়তে পারেন। অন্তত headline গুলো, শুধু বিনোদন আর খেলার খবর নয়। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ আছে বিসিএস প্রস্তুতির, ওগুলোতে অনেক সময় PSC এর বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন শেয়ার করে, ওগুলো পড়তে হবে। 🙋🏻♂️🙋🏻♂️
কারো BCS হওয়া না হওয়া নির্ভর করে বিসিএস আপনার জীবনের Target কিনা, আর এই Target এর পেছনে আপনি কতটুকু Effort দিতে পারবেন। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখবেন। আপনি BCS দিবেন, সেটার জন্য আপনাকে পড়তে হবে, কষ্ট করতে হবে। রোজ পড়া চালিয়ে যেতে হবে। ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে পড়লেও কোনোদিন কম বেশি পড়া হবে। ওটুকু make up করতে হবে আরেকদিন। নিজের উপর আস্থা রাখুন আপনি পারবেন। Determined থাকুন। Goal সেট করুন, সেই অনুযায়ী চেষ্টা করুন। সফল হবেন। 👨🏻🏫👨🏻🏫
Dr. Aavi
MBBS, BCS (Health)
FCPS Part 1 (Medicine)
MRCP UK (Paces)
MRCS UK (OSCE)
MRCEM UK (Intermediate)
Residency Cardiology (NICVD)