Dr. Juthi Bhowmik

Dr. Juthi Bhowmik MBBS, FCPS (Reproductive Endocrinology and Infertility)
FCPS (Gynae and Obstetrics)
Fertility Specialist, Obstetrician and Laparoscopic Surgeon

গর্ভধারণ এড়ানোর জন্য নারীরা অনেকসময় টিউব লাইগেশন নামের একটি স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নেন। এটি মূলত ফ্যালোপিয়ান ট...
07/12/2025

গর্ভধারণ এড়ানোর জন্য নারীরা অনেকসময় টিউব লাইগেশন নামের একটি স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নেন। এটি মূলত ফ্যালোপিয়ান টিউব কেটে বা বেঁধে দেওয়া হয়, যাতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন না ঘটে। তবে অনেকেই পরবর্তীতে আবার সন্তান নিতে চাইলে প্রশ্ন জাগে-
টিউব লাইগেশনের পর কি সত্যিই মা হওয়া সম্ভব?

টিউব লাইগেশন রিভার্সাল (Tubal Ligation Reversal)

টিউব লাইগেশন করা নারীদের জন্য একটি সমাধান হলো সার্জারির মাধ্যমে টিউব আবার জোড়া লাগানো বা খোলা।

যদি টিউবগুলো সুস্থ থাকে, তাহলে প্রায় ৫০%–৮০% নারী পুনরায় গর্ভধারণ করতে সক্ষম হন।

তবে সফলতার হার নির্ভর করে-

🔰 নারীর বয়স

🔰 টিউব কীভাবে কাটা বা বাঁধা হয়েছিল

🔰 টিউবের বাকি দৈর্ঘ্য

🔰ডিম্বাশয়ের স্বাভাবিক কার্যকারিতা আছে কিনা

যদি টিউব মেরামত সম্ভব না হয়

এমন ক্ষেত্রে IVF (টেস্ট টিউব বেবি) সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এতে টিউব খোলা থাকার দরকার হয় না। ডিম্বাশয় থেকে ডিম সংগ্রহ করে ল্যাবে শুক্রাণুর সাথে নিষিক্ত করা হয়, এরপর ভ্রূণকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয়।

শেষকথা

টিউব লাইগেশন ঠিক করার পর গর্ভধারণ করা সম্ভব, তবে সফলতার হার সবার ক্ষেত্রে এক রকম নয়। তাই ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য, বয়স ও টিউবের অবস্থা অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
#গর্ভধারণ #মাতৃত্ব #নারীস্বাস্থ্য

গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই সময়ে শরীরের আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টির চাহ...
01/12/2025

গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া) একটি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই সময়ে শরীরের আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। রক্তশূন্যতা হলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট বা মুখ ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। অবহেলা করলে মা ও শিশুর উভয়ের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

✅ করণীয়:
🔸 আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান – যেমন: পালং শাক, কলিজা, ডিম, খেজুর
🔸 ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন ট্যাবলেট নিয়মিত সেবন করুন
🔸 দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে কৃমিনাশক ট্যাবলেট গ্রহণ করুন
🔸 পর্যাপ্ত পানি পান করুন
🔸 নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা ও গর্ভকালীন চেকআপ করুন

⚠️ রক্তশূন্যতা অবহেলা করলে হতে পারে:

⭕️ প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি

⭕️ শিশুর ওজন কম হওয়া

⭕️ প্রসবকালীন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ

👩‍⚕️স্মরণ রাখুন:
সুস্থ মা মানেই সুস্থ শিশু। গর্ভাবস্থায় রক্তশূন্যতা হলে সময়মতো ব্যবস্থা নিন।

#গর্ভাবস্থা #রক্তশূন্যতা #গর্ভবতী_মায়ের_সচেতনতা #প্রেগনেন্সি_টিপস #ডা_যূথী_ভৌমিক #জরায়ু_সচেতনতা #আয়রন #ফলিকঅ্যাসিড #মাতৃত্ব #স্বাস্থ্যবার্তা

ডিম্বাশয়ের সিস্ট হলো ডিম্বাশয়ের ভেতরে তরলভর্তি একটি থলি, যা বিভিন্ন কারণে তৈরি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক...
25/11/2025

ডিম্বাশয়ের সিস্ট হলো ডিম্বাশয়ের ভেতরে তরলভর্তি একটি থলি, যা বিভিন্ন কারণে তৈরি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি ক্ষতিকারক নয় এবং নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং চিকিৎসা প্রয়োজন হয়।

ডিম্বাশয়ের সিস্ট কেন হয়?
ডিম্বাশয়ের সিস্ট সাধারণত মাসিক চক্রের হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে হয়।
কিছু সাধারণ কারণ হলো:
• ফলিকুলার সিস্ট: ডিম্বাণু বের হওয়ার আগে ফোলিকল বড় হয়ে সিস্ট তৈরি করে।
• করপাস লুটিয়াম সিস্ট: ডিম্বাণু বের হওয়ার পর ফোলিকল যদি পুরোপুরি না ভাঙে, তখন সিস্ট হতে পারে।
• পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS): ডিম্বাশয়ে অনেক ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয় যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
• এন্ডোমেট্রিওসিস: গর্ভাশয়ের টিস্যু ডিম্বাশয়ের মধ্যে প্রবেশ করলে সিস্ট তৈরি হতে পারে।
• গর্ভাবস্থা: গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে কিছু মহিলাদের মধ্যে সিস্ট দেখা যেতে পারে।

লক্ষণসমূহ
অনেক সময় সিস্ট লক্ষণহীন হতে পারে, তবে বড় সিস্ট বা বিশেষ ধরনের সিস্টের ক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখা যায়:
• তলপেটে বা পেলভিক অঞ্চলে ব্যথা।
• মাসিকের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা অধিক রক্তপাত।
• পেট ফুলে ওঠা বা চাপ অনুভব করা।
• প্রস্রাবের সমস্যা বা বারবার প্রস্রাবের তাগিদ।
• বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
• শারীরিক মিলনের সময় ব্যথা।
• ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ক্লান্তি।

চিকিৎসা
ডিম্বাশয়ের সিস্টের চিকিৎসা সিস্টের আকার, ধরন এবং লক্ষণের উপর নির্ভর করে। সাধারণত নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়:
• পর্যবেক্ষণ: ছোট সিস্ট হলে এবং লক্ষণ না থাকলে ডাক্তার এটিকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, কারণ অনেক সিস্ট নিজে থেকেই সেরে যায়।
• ওষুধ: হরমোনাল ওষুধ, যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, সিস্টের বৃদ্ধি থামাতে বা নতুন সিস্ট তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে।
• ল্যাপারোস্কোপি: বড় বা ব্যথাদায়ক সিস্ট হলে ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে সিস্ট অপসারণ করা যেতে পারে।
• ল্যাপারোটমি: বড় সিস্ট বা জটিল সিস্টের ক্ষেত্রে শল্যচিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে।
• PCOS এর জন্য ব্যবস্থাপনা: পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
যদি তীব্র ব্যথা, তলপেট ফুলে ওঠা বা রক্তক্ষরণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

অ্যাজোস্পার্মিয়া হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে একজন পুরুষের বীর্যে কোন শুক্রাণু (s***m) থাকে না। এই সমস্যা থাকলে স্বাভাবি...
16/11/2025

অ্যাজোস্পার্মিয়া হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে একজন পুরুষের বীর্যে কোন শুক্রাণু (s***m) থাকে না। এই সমস্যা থাকলে স্বাভাবিক উপায়ে স্ত্রী গর্ভবতী হতে পারেন না।
🤔 অ্যাজোস্পার্মিয়া কেন হয়?
অ্যাজোস্পার্মিয়ার কারণগুলো প্রধানত দুইভাবে ভাগ করা যায়:
১. অবস্ট্রাকটিভ অ্যাজোস্পার্মিয়া:
এক্ষেত্রে শুক্রাণু তৈরি হয়, কিন্তু তা বীর্যে পৌঁছাতে পারে না কারণ শুক্রাণু বহনের রাস্তায় কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে (যেমন: Vas deferens ব্লক হয়ে যাওয়া, জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি)।
২. নন-অবস্ট্রাকটিভ অ্যাজোস্পার্মিয়া:
এক্ষেত্রে শরীরেই পর্যাপ্ত পরিমাণে শুক্রাণু তৈরি হয় না। এর কারণ হতে পারে:
👉 হরমোনজনিত সমস্যা
👉 অণ্ডকোষের জন্মগত বা পরবর্তীকালের অকার্যকারিতা
👉 জেনেটিক বা বংশগত সমস্যা
👉 কেমোথেরাপি/রেডিয়েশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
👉 টেস্টিকুলার টিউমার
👉 স্থূলতা, ধূমপান, অতিরিক্ত মানসিক চাপ
🩺 কীভাবে নির্ণয় করা যায়?
অ্যাজোস্পার্মিয়া শনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হলো সিমেন অ্যানালাইসিস (বীর্য বিশ্লেষণ)। যদি দুইবারের পরীক্ষাতেও শুক্রাণু অনুপস্থিত থাকে, তবে অন্যান্য পরীক্ষা যেমন:
১. হরমোন পরীক্ষা (FSH, LH, Testosterone)
২. স্ক্রোটাল আল্ট্রাসোনো
৩. টেস্টিকুলার বায়োপসি
ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।
✅ চিকিৎসা ও প্রতিকার:
চিকিৎসা নির্ভর করে অ্যাজোস্পার্মিয়ার ধরণ ও কারণের উপর।
১. অবস্ট্রাকটিভ অ্যাজোস্পার্মিয়ার ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করে ব্লক খুলে দেওয়া যায়।
২. হরমোনজনিত কারণে চিকিৎসায় ওষুধে শুক্রাণু উৎপাদন পুনরায় শুরু হতে পারে।
৩. প্রজনন সহায়তা প্রযুক্তি (যেমন: IVF, ICSI) অনেক সময় সাহায্য করতে পারে যেখানে অল্প কিছু শুক্রাণু সংগ্রহ করে তা ডিম্বাণুর সঙ্গে নিষিক্ত করা হয়।
অ্যাজোস্পার্মিয়া মানেই জীবন থেমে যাওয়া নয়। সময়মতো বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও আধুনিক চিকিৎসায় সম্ভব সন্তান লাভ।
👨‍👩‍👦 পরিবার গঠনের স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আজই বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিন।
#পুরুষবন্ধ্যাত্ব #অ্যাজোস্পার্মিয়া #শুক্রাণু #বন্ধ্যত্ব_চিকিৎসা #ল্যাবএইড #স্বাস্থ্য_সচেতনতা #স্বাস্থ্যবার্তা

বন্ধ্যাত্ব, একটি জটিল শারীরিক অবস্থা যা অনেক দম্পতির জীবনে সন্তান জন্মদানের স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তবে আধুনিক চি...
15/11/2025

বন্ধ্যাত্ব, একটি জটিল শারীরিক অবস্থা যা অনেক দম্পতির জীবনে সন্তান জন্মদানের স্বপ্নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে এখন অনেক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যা বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সমাধানে সহায়ক। এর মধ্যে ইন্ট্রাউটেরাইন ইনসেমিনেশন (IUI) বা আই ইউ আই অন্যতম জনপ্রিয় ও কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি।

আই ইউ আই কী?
আই ইউ আই হল এক প্রকার প্রজনন সহায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত শুক্রাণুকে সরাসরি মহিলার জরায়ুর ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। এতে করে শুক্রাণুর ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে।

কখন আই ইউ আই প্রয়োজন হতে পারে?
আই ইউ আই পদ্ধতি সাধারণত নিচের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়:
1. পুরুষের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা: শুক্রাণুর সংখ্যা কম হলে বা গতি ঠিক না থাকলে।
2. অজানা বন্ধ্যাত্ব: যখন কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।
3. এন্ডোমেট্রিওসিস: মহিলাদের জরায়ুর সমস্যা।
4. গর্ভধারণের চেষ্টায় দীর্ঘ ব্যর্থতা।
5. ইজাকুলেশন ডিসঅর্ডার: পুরুষের ইজাকুলেশনে কোনো সমস্যা থাকলে।

আই ইউ আই পদ্ধতির ধাপ:
1. ডিম্বস্ফোটন ট্র্যাকিং: চিকিৎসক প্রথমে নারীর ডিম্বস্ফোটনের সময় নির্ধারণ করেন, যাতে সঠিক সময়ে শুক্রাণু প্রয়োগ করা যায়।
2. শুক্রাণুর প্রক্রিয়াজাতকরণ: পুরুষের শুক্রাণু সংগ্রহ করে তা বিশেষ পদ্ধতিতে প্রস্তুত করা হয়।
3. শুক্রাণু ইনসেমিনেশন: প্রক্রিয়াজাত শুক্রাণু সরাসরি মহিলার জরায়ুর ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, যা ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করে।
আই ইউ আই বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সমাধানে একটি সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, সফলতার হার নির্ভর করে দম্পতির শারীরিক অবস্থা, বয়স ও অন্যান্য প্রভাবকগুলোর ওপর। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আই ইউ আই শুরু করলে অনেকেই তাদের সন্তান ধারণের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন।

বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকলে দেরি না করে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন এবং আই ইউ আই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার মাতৃত্ব বা পিতৃত্বের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করুন।

#বন্ধ্যাত্ব #বন্ধ্যাত্বচিকিৎসা #আইইউআই #প্রজননস্বাস্থ্য #গর্ভধারণ #মাতৃত্ব #পিতৃত্ব #স্বাস্থ্যসেবা #নিরাপদগর্ভধারণ #প্রজননট্রিটমেন্ট #স্বাস্থ্য #শিশুকামনা #মা_হওয়ার_স্বপ্ন

বন্ধ্যাত্ব (Infertility) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন দম্পতি নিয়মিত যৌন সম্পর্ক করার পরও ১২ মাস বা তার বেশি সময় ধরে...
08/11/2025

বন্ধ্যাত্ব (Infertility) হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন দম্পতি নিয়মিত যৌন সম্পর্ক করার পরও ১২ মাস বা তার বেশি সময় ধরে সন্তান ধারণ করতে ব্যর্থ হয়। এটি পুরুষ এবং নারীর উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। সমীক্ষা অনুযায়ী বন্ধ্যাত্বের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের কোনো সমস্যা থাকে।

সন্তান না হওয়ার পেছনে পুরুষের সমস্যার কারণসমূহঃ
শুক্রাণুর সমস্যা:
১। অল্প শুক্রাণু (Oligos***mia): শুক্রাণুর সংখ্যা কম থাকলে।
২। শুক্রাণুর গঠনগত সমস্যা (Teratos***mia): শুক্রাণুর আকার বা গঠন সঠিক না হলে।
৩। শুক্রাণুর গতিশীলতার সমস্যা (Asthenozoos***mia): শুক্রাণুর গতি কম থাকলে।
৪। শুক্রাণুর সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি (Azoos***mia): বীর্যে কোনো শুক্রাণু না থাকলে।

হরমোনাল সমস্যা:
১। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, যেমন টেস্টোস্টেরন বা অন্যান্য হরমোনের মাত্রা কম থাকলে শুক্রাণু উৎপাদনে প্রভাব ফেলে।

অবস্ট্রাকটিভ সমস্যা:
১। শুক্রাণু পরিবহনকারী নালীর বাধা: শুক্রাণু পরিবহনকারী নালীতে কোনো বাধা থাকলে শুক্রাণু বাইরে আসতে পারে না।

অতীত সংক্রমণ:
১। অতীতে কোনো সংক্রমণ বা যৌনবাহিত রোগ হলে শুক্রাণু উৎপাদন বা পরিবহন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

জেনেটিক সমস্যা:
১। জেনেটিক বা ক্রোমোজোমের ত্রুটি থাকলে শুক্রাণু উৎপাদন বা ফাংশনে সমস্যা হতে পারে।

তাই বন্ধ্যাত্তর সমস্যায় চিকিৎসা নিতে প্রাথমিক ভাবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই চিকিৎসকের নিকট আসা উচিত।

জরায়ুতে ফাইব্রয়েড কেন হয় তা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার নয়, তবে বিভিন্ন কারণ এবং ফ্যাক্টর রয়েছে যা এর বৃদ্ধি প্রভাবিত করতে পার...
30/10/2025

জরায়ুতে ফাইব্রয়েড কেন হয় তা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার নয়, তবে বিভিন্ন কারণ এবং ফ্যাক্টর রয়েছে যা এর বৃদ্ধি প্রভাবিত করতে পারে।

জরায়ুতে ফাইব্রয়েড (Uterine Fibroids) একটি সাধারণ নারী রোগ যা জরায়ুর মধ্যে পেশীর টিস্যুর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সৃষ্টি হয়। ফাইব্রয়েড সাধারণত ক্যান্সার নয়, কিন্তু তারা বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের কিছু সাধারণ লক্ষণ নিম্নরূপ:
1. অতিরিক্ত রক্তপাত: মাসিকের সময় খুব বেশি রক্তপাত বা মাসিকের সময় দীর্ঘস্থায়ী রক্তপাত হতে পারে।
2. পেটের নীচে বা কুঁচকির ব্যথা: পেটের নীচে বা কুঁচকিতে চাপ বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
3. পিঠের নিচে ব্যথা: ফাইব্রয়েডের কারণে পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হতে পারে।
4. প্রসবনালীর চাপ: জরায়ুর ফাইব্রয়েডের কারণে প্রসবনালীতে চাপ অনুভব হতে পারে, যা প্রস্রাব করার প্রয়োজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
5. প্রসবনালীর জটিলতা: ফাইব্রয়েডের কারণে প্রস্রাব বা মলত্যাগ করতে সমস্যা হতে পারে।
6. পেটের বৃদ্ধি: বড় ফাইব্রয়েডের কারণে পেটের আকার বৃদ্ধি পেতে পারে, যা গর্ভাবস্থার মত দেখাতে পারে।
7. মাসিক চক্রের অনিয়ম: মাসিক চক্রের মধ্যে অনিয়ম হতে পারে, যেমন সময়ের আগেই বা দেরিতে মাসিক শুরু হওয়া।
8. বন্ধ্যত্ব: কিছু ক্ষেত্রে, জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বন্ধ্যত্বের কারণ হতে পারে।

যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয় বা কোনো সমস্যা মনে হয়, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা উচিত। জরায়ুতে ফাইব্রয়েডের চিকিৎসা বিভিন্ন হতে পারে, যেমন ওষুধ, শল্যচিকিৎসা বা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি।

শুভ দীপাবলি 🌟✨আলোর এই উৎসব আমাদের জীবনকে আনন্দ, সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দিক।প্রদীপের শিখায় থাকুক নতুন আশার আলো।
20/10/2025

শুভ দীপাবলি 🌟✨
আলোর এই উৎসব আমাদের জীবনকে আনন্দ, সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে দিক।
প্রদীপের শিখায় থাকুক নতুন আশার আলো।

৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে নারীদের শরীরে স্বাভাবিকভাবে ঘটে যাওয়া একটি প্রক্রিয়া হলো মেনোপজ। এসময় মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং ...
18/10/2025

৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে নারীদের শরীরে স্বাভাবিকভাবে ঘটে যাওয়া একটি প্রক্রিয়া হলো মেনোপজ। এসময় মাসিক বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীরে হরমোন পরিবর্তনের কারণে নানা শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখা দেয়।

🔎 সাধারণ লক্ষণগুলো হলো:
✔️ মাসিক চক্রে পরিবর্তন
✔️ হঠাৎ গরম লাগা (হট ফ্ল্যাশ)
✔️ যোনি শুষ্কতা
✔️ রাতে ঘেমে যাওয়া
✔️ মেজাজে পরিবর্তন

💡 অন্যান্য লক্ষণ:
👉 ঘুমের সমস্যা
👉 ওজন বৃদ্ধি
👉 চুল পাতলা হওয়া ও ত্বক শুষ্ক হওয়া
👉 যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া

👩‍⚕️মেনোপজের সাথে মানিয়ে নেওয়ার উপায়:

সুষম খাদ্য গ্রহণ: সুষম খাদ্যগ্রহণ শরীরকে শক্তি দেয় এবং বিভিন্ন লক্ষণের সাথে মোকাবেলা করতে সহায়ক।
ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
নিয়মিত ব্যায়াম:

নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মুড উন্নত করতে সহায়ক।
হট ফ্ল্যাশ কমানোর উপায়:

হালকা ও সুতির পোশাক পরা।
ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং মশলাদার খাবার এড়ানো।
মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য:

যোগব্যায়াম, ধ্যান এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক।
প্রয়োজন হলে একজন থেরাপিস্টের সঙ্গে কথা বলা।
পর্যাপ্ত ঘুম:

নিয়মিত ঘুমের রুটিন মেনে চলা।
শোবার ঘরকে আরামদায়ক রাখা এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়ানো।
সামাজিক সংযোগ বজায় রাখা:

বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো।
সমর্থন গ্রুপ বা কমিউনিটিতে যোগ দেওয়া।

পরামর্শ :
হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (HRT) এবং অন্যান্য ওষুধ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো করানো এবং চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা।

মেনোপজের সময় শরীরের পরিবর্তনগুলি স্বাভাবিক এবং এটি মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সঠিক পরামর্শ ও পরিচর্যা গ্রহণ করলে এই সময়টি সহজভাবে পার করা সম্ভব।

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হলে ডিম্বাণু (এগ) এবং শুক্রাণু (স্পার্ম) একত্রিত হতে পারে না, ফলে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ সম্ভব হয...
16/10/2025

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হলে ডিম্বাণু (এগ) এবং শুক্রাণু (স্পার্ম) একত্রিত হতে পারে না, ফলে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভধারণ সম্ভব হয় না। এটি বন্ধ্যাত্বের একটি প্রধান কারণ হতে পারে। এছাড়া বন্ধ টিউব ইনফেকশন বা পেটের ব্যথার কারণও হতে পারে।

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে:

ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হওয়ার কারণ:
1. ইনফেকশন (সংক্রমণ): পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিজিজ (PID) বা অন্যান্য ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ফ্যালোপিয়ান টিউবের ভেতরে প্রদাহ বা ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে, যা টিউব বন্ধের কারণ হতে পারে।
2. অস্ত্রোপচার: পেটের অস্ত্রোপচার বা সিজারিয়ান ডেলিভারির পরে টিস্যুর ক্ষতি বা আঠা ফ্যালোপিয়ান টিউবের আংশিক বা সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে।
3. এন্ডোমেট্রিওসিস: এন্ডোমেট্রিওসিসের ক্ষেত্রে জরায়ুর বাইরের টিস্যুগুলি ফ্যালোপিয়ান টিউবের আশেপাশে বা ভেতরে বেড়ে উঠতে পারে, যা টিউব বন্ধ করতে পারে।
4. ফাইব্রয়েড: জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউবের মুখের আশেপাশে অবস্থান করলে এটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
5. জেনেটিক কারণ: কিছু মহিলাদের জন্মগতভাবে টিউব বন্ধ থাকতে পারে।

ফ্যালোপিয়ান টিউব খোলার উপায়:
1. ল্যাপারোস্কোপি: এটি একটি মাইক্রো-ইনভেসিভ সার্জারি যার মাধ্যমে ছোট কাট দিয়ে ফ্যালোপিয়ান টিউব খোলার চেষ্টা করা হয়।
2. হাইস্টারোস্কোপি: এই প্রক্রিয়ায় গর্ভাশয়ে একটি ক্ষুদ্র ক্যামেরা প্রবর্তন করা হয়, যা দ্বারা ডাক্তার টিউবের বন্ধের কারণ দেখতে পারেন এবং সেটি সরিয়ে দিতে পারেন।
3. ফ্যালোপিয়ান টিউব রিকানালাইজেশন: এটি একটি বিশেষ ধরনের প্রক্রিয়া যেখানে ক্যাথেটার বা বিশেষ যন্ত্রপাতির সাহায্যে বন্ধ টিউব পুনরায় খোলার চেষ্টা করা হয়।
4. ফার্টিলিটি চিকিৎসা: আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) পদ্ধতি বন্ধ টিউবের সমস্যা এড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
যদি টিউব বন্ধ হয়ে যায়, তবে তা নির্ভর করে কিভাবে এবং কোন অবস্থায় বন্ধ হয়েছে তার ওপর, চিকিৎসক আপনার জন্য সেরা চিকিৎসার পথটি নির্ধারণ করবেন।

***mcounttreatment ***mcount

আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? আপনি হয়তো জানেনই না, আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির...
13/10/2025

আপনি কি দীর্ঘদিন ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছেন কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? আপনি হয়তো জানেনই না, আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যাই হতে পারে এর পিছনের মূল কারণ!

👉 হাইপোথাইরয়েডিজম হল থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া, যার ফলে শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন উৎপাদন ব্যাহত হয়।
এটি শুধু নারীদের নয়, পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব সমস্যারও একটি বড় কারণ।

👩‍⚕️ নারীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব:
ডিম্বাণুর সমস্যা

অনিয়মিত মাসিক চক্র

গর্ভধারণে ব্যর্থতা

গর্ভপাতের ঝুঁকি

👨‍⚕️ পুরুষদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব:
শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যাওয়া

স্পার্ম কোয়ালিটির অবনতি

টেস্টোস্টেরনের সমস্যা

যৌনশক্তি হ্রাস

🧬 একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত, হাইপোথাইরয়েডিজম যদি সঠিক সময়ে নির্ণয় ও চিকিৎসা করা হয়, তবে বন্ধ্যাত্বের অনেক সমস্যা প্রতিরোধযোগ্য।

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস একটি হরমোনজনিত অসুখ।বর্তমান বিশ্বের নারীরা যে সমস্যাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন,...
06/10/2025

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস একটি হরমোনজনিত অসুখ।
বর্তমান বিশ্বের নারীরা যে সমস্যাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন, তার অন্যতম হচ্ছে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস)। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০ জন নারীর ভেতর অন্তত ১ জন এ রোগে আক্রান্ত। নারীর প্রজনন হরমোনের তারতম্যের কারণে এই রোগ দেখা দেয়।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কেন হয়?
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সঠিক কারণ জানা যায় না। কিন্তু চিকিৎসকরা ধারণা করেন, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং বংশগত কারণ এ ক্ষেত্রে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে নারীদের মা ও বোনের পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম আছে তাদের এই সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বেশি।নারীদের শরীরে এন্ড্রোজেন হরমোন বেশি মাত্রায় থাকলেও পিসিওএস হতে পারে। বাড়তি এন্ড্রোজেন ডিম্বাশয় থেকে ডিম বের হওয়া এবং এর বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত ইনসুলিন উৎপাদনের কারণেও শরীরে এন্ড্রোজেন হরমোন বেড়ে যেতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের উপসর্গঃ
পিসিওএসের উপসর্গ শুরু হয় সাধারণত নারীদের মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকেই। তবে উপসর্গের ধরন এবং তীব্রতা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। সাধারণ যে উপসর্গ সবার মধ্যে দেখা যায় তা হলো অনিয়মিত মাসিক। অন্যান্য লক্ষণগুলো হলো -
● মুখে, বুকে, পেটে, পেছনে বা পায়ের আঙুলে চুল গজানো
● ব্রন, তৈলাক্ত ত্বক বা খুশকি
● অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া বা পুরুষদের মতো টেকো ভাব বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
● ঘাড়, হাত, স্তন বা উরুতে চামড়ায় গাঢ় বাদামি বা কালো দাগ। এটা বগলে বা পায়ের ভাঁজেও হতে পারে।
● স্তনের আকার ছোট হয়ে যাওয়া
● মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা বেড়ে যাওয়া
● বন্ধ্যাত্ব
● কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
● ডায়াবেটিস

তবে এসব উপসর্গের অনেকগুলোই অনেকের নাও থাকতে পারে।

চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়ঃ
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, সমস্যাটি তখনই শনাক্ত হয় যখন তিনি সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করে অসফল হন। সারা বিশ্বে বন্ধ্যাত্বের জন্য এটাকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়। তবে কারও পিসিওএস থাকা মানে এই নয় যে তিনি কখনোই মা হতে পারবেন না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে তারাও মা হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা গ্রহণ ও জীবনযাপনে পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।

যদি কারও কেবল মাসিকের সমস্যা থাকে তবে তাদের জন্য প্রথম চিকিৎসা হলো ওজন কমিয়ে ফেলা। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়। এর জন্য হাইপার এন্ড্রোজেনিজম হয়। এন্ড্রোজেন হচ্ছে, পুরুষ হরমোন। মেয়েদের শরীরের যদি পুরুষ হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়, তখনই দেখা যায় ওজন বাড়তে থাকে, লোম গজাতে থাকে, মাসিক অনিয়মিত হতে থাকে। তখন তাদেরকে ব্যায়ামের পাশাপাশি মেটফরমিন নামের একটি ওষুধ দেওয়া যায়। যেটা তার এন্ড্রোজেনের মাত্রাকে কমিয়ে দেয়। যখনই এন্ড্রোজেনের মাত্রা কমে যায় তখনই এই উপসর্গগুলো ঠিক হয়ে যায়। যদি ঠিক সময়ে নেওয়া হয় তাহলে ডিম্বাণুর পরিপক্বতা ঠিক থাকে, মাসিক নিয়মিত হয়ে যায়।
আর যদি কারও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা থাকে তবে তাদের ক্ষেত্রে ল্যাপরোস্কপি করানো হয়। ল্যাপরোস্কপিতে ছোটো ছোটো অনেক সিস্টকে পাংচার (টুকরো) করে দেওয়া যায়। এতে করে ভেতরে যে বাড়তি এন্ড্রোজেন থাকে, সেটি বের হয়ে যায়। এর ফলে হরমোনের ভারাসাম্যহীনতা ঠিক হয়ে গিয়ে মাসিক ঠিক হয়ে যায়। দেখা যায় ল্যাপরোস্কপি করার পর খুব দ্রুতই সন্তান ধারণ সম্ভব হয়।


Address

Dhaka

Telephone

+8801791937405

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Juthi Bhowmik posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram