26/04/2025
প্র্যাকটিক্যাল প্রমাণ দিয়েই হোমিওপ্যাথি মানুষের আস্তা অর্জন করেছে..
আমার চেম্বারে কখনই এমনটা হয়নি, একটা পেশেন্ট খুব মনোযোগ সহকারে দেখলাম। তারপর ওষুধ দেয়ার পর পেশেন্টের মা কমপ্লিন করল, স্যার, রোগী আপনার ওষুধটা নিতে চাচ্ছে না। আমি বললাম কেন? তাকে ডাকুন, তাকে জিজ্ঞেস করার এক পর্যায়ে সে বলল, দেখুন আমি পিজি( বিএসএমএমইউ) হসপিটালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েছি।
সবাই এক বাক্যে বলেছিল অপারেশন ছাড়া হবে না, কিন্তু আপনি বললেন যে ওষুধ খেলে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহলে কি তারা ভুল বলল? আমি বললাম তাই তো! তোমার ইচ্ছা কি? বলল আমি ওষুধ নিতে চাচ্ছি না, আমি অপারেশন করাবো। ব্যসতো, তুমি ভিজিট টা দিয়ে চলে যাও, তারপর কিছুটা ইতস্তত করে দ্বিধা দ্বন্দ্ব নিয়ে পেশেন্টের মা ওষুধটা নিল। উনাকে বললাম কষ্ট করে এই ডোজটা আপনি তাকে সেবন করান, পরবর্তীতে সে -ই আপনাকে এই চেম্বারে নিয়ে আসার জন্য তাগাদা দিবে।তারপর এক মাস পরের ঘটনা। রোগী আবার আসলো, তার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রবলেমটা ছিল ইউরেথ্রাল স্ট্রিকচার(LUTS)। পেশেন্টের মাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি তাকে নিয়ে আসছেন, না সে-ই আপনাকে নিয়ে আসলো? বলল, না সে নিজেই স্বীকার করেছে, ওষুধ সেবনের পর তার অনেক ভালো লাগছে এবং তার যে ধারণা ছিল সে ধারণাটা পরিবর্তন হয়েছে, সেজন্য সে আমাকে রিকোয়েস্ট করলো যে আমার ওষুধ শেষ হয়েছে, আমি আবার ওষুধ আনতে যাব, তুমি আমার সাথে যেতে হবে। আমি কিন্তু আপনাকে তাই বলছিলাম রুগী আপনাকে আবার এখানে আসার জন্য তাগাদা দিবে, তাহলে আমার কথাটা সত্যি হলো!হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে মানুষের ধারণা গুলো ঠিক এরকমই! যে তারা বিশ্বাস করতে চায় না যে হোমিওপ্যাথিতে এইসব ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা আছে কিনা? কিন্তু প্র্যাকটিক্যালি যখন তাদের উন্নতি হয় তখনই তাদের ভুল ধারণাগুলো ভেঙে যায় এবং বিশ্বাস জন্মে যে, না আসলেই এটা দ্বারা আমাদের উপকার হচ্ছে, অবিশ্বাস করার কিছু নেই। চিকিৎসার পূর্বে অনেক রোগীই আমাদেরকে বাকা চোখে দেখে আর যখনই উপকার পায় তখন হোমিওপ্যাথি জিন্দাবাদ!
👍পুরনো পোস্ট, ফেসবুক প্রোফাইলে ছিল, এখন পেইজে
👍বর্তমানে রোগী ঔষধ ছাড়াই ভালো আছে অনেক দিন যাবত।
ডাঃ মোঃ রুহুল আমিন
বি,এইচ,এম,এস(ঢাবি)
এমপিএইচ(বাউবি)
লেকচারার,ক্রনিক ডিজিজ, মেডিসিন বিভাগ
সরকারী হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, মিরপুর ১৪,ঢাকা।
মোবাইল ০১৭১৬৬২০০৯৭