Homeo Health care bd

30/05/2019

19/05/2019

🔮আসুন আমরা আগে পলিপাস বা সাইনোসাইটিস কি জেনে নেই।
🔰📍🔰📍🔰📍🔰📍🔰📍🔰📍🔰📍🔰
নাকে মিউকাস মেমব্রেন অধিক বৃদ্ধি পেলে বা তাতে জলীয় পদার্থ অধিকমাত্রায় জমলে মেমব্রেন হতে আঙ্গুর ফলের মতো বস্তু প্রলম্বিত হয় যাকে পলিপ বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নাকের সম্মুখ ভাগে এটি হয়ে থাকে। এগুলো একসঙ্গে একটির বেশি হয়ে থাকে। নাকের ছিদ্রপথের পিছন দিক দিয়েও গলার দিকে পলিপ বের হতে পারে যাকে বলা হয় কোয়ানাল পলিপ। এই ধরনের পলিপ সাধারণত ম্যাক্সিলারি সাইনাসের পুরাতন প্রদাহের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
ধরন: উৎপত্তিস্থল বিচার করলে পলিপ প্রধানত দু’ধরনের। এথময়ডাল সাইনাস থেকে যেগুলোর জন্ম সেগুলো নাকের সামনের দিকে বের হয়ে আসে। আর ম্যাক্সিলারি সাইনাস থেকে যেগুলোর জন্ম সেগুলো নাকের পিছনের দিকে অর্থাৎ কোয়ানা থেকে মুখের ভিতরে ঝোলে।

অ্যান্ট্রাম থেকে কোয়ানা পর্যন্ত এদের বিস্তৃতি বলে এদের নাম অ্যান্ট্রাকোয়ানাল পলিপ। যেকোনো পলিপ যেকোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে কিন্তু এসি পলিপ সাধারণত শিশু ও যুবকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
যে কারণে হয়: নাকের ছিদ্রপথের উপরের দিক স্বভাবত অপরিসর। মধ্যবর্তী কঙ্কা ও মিডল মিয়াটাসের পাশে স্থান খুব কম থাকায় এই স্থানে প্রদাহ হলে বা অ্যালার্জিজনিত পরিবর্তন হলে স্থানীয় মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে বৃদ্ধি পেতে বাধ্য হয়। তাছাড়া বারবার নাক পরিস্কার করার সময় চাপের দরুণ মিউকাস মেমব্রেন নিচের দিকে প্রলম্বিত হতে সুবিধা হয়। পরে এটি নিজের ওজনের জন্যই ক্রমে ক্রমে আরও নিচে ঝুলে পড়ে। ঝুলে পড়লে রক্তের ছোট ছোট ধমনী ও লিম্ফনালী সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় জলীয় পদার্থ উপরের দিকে কম ফিরে যেতে পারে। ফলে পলিপ আকারে আরও বড় হয়।

সাইনাসের অভ্যন্তরের মিউকাস যখন অত্যধিক বৃদ্ধি পায় তখন তা স্বাভাবিক ছিদ্রপথ বা সাইনাসের অস্টিয়ামের মধ্য দিয়ে কিছুটা বের হয়ে এসে পলিপের সৃষ্টি হয়। নাকের দুই ছিদ্রের মধ্যবর্তী দেয়াল বা ন্যাজাল সেপ্টাম যখন একদিকে হেলে পড়ে তখন সেই দিকের ছিদ্রে বাতাস পূর্ণরূপে প্রবেশ না করায় তার মিউকাস মেমব্রেনের সিলিয়াগুলো সম্মুখ ও পিছনের দিকে আন্দোলিত হয়ে জীবাণুকে পূর্ণরূপে সরিয়ে দিতে না পারায় সেইস্থানে জীবাণুর আক্রমণ হয়। ফলে প্রদাহ হয় এবং আরও ফুলে যায়। এই চক্রের ফলস্বরূপ পলিপের সৃষ্টি হয়। পলিপ দ্বারা সাইনাসের স্বাভাবিক ছিদ্রপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এর মধ্যে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ঢিলা এরিওলার টিস্যু দ্বারা পলিপ গঠিত। এর উপরিভাগ সিলিয়েটেড এপিথেলিয়াম দ্বারা আবৃত। পলিপের গায়ে রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধমনী।

🔮প্রকারভেদ :- পলিপাস দুই প্রকার - ১) বৃন্তহীন পলিপাস ২)বৃন্ত যুক্ত পলিপাস।

🌻কারণ :- ঠাণ্ডায় বা সর্দি লাগিলে ইহারা প্রায়ই আকারে বৃদ্ধি পাইয়া শ্বাসগ্রহণে ব্যাঘাত জন্মায় এবং সর্দি আরোগ্য হইলেবৃন্তের সৃষ্টিহয় কখনও ক্ষুদ্রায়তন হইয়া থাকে এবং কখনও বা বর্ধিত অবস্থায় থাকিয়া ক্রমাগত অসস্হিরকারণ হইয়া থাকে।ধমনী ও কৌষিক তন্তু যুক্ত সবৃন্ত পলিপাস হইতে কখনও কখনও রক্ত স্রাব হইয়া থাক।

🎯লক্ষণ : যখন পলিপ ছোট থাকে তখন কোনো লক্ষণ থাকে না। যখন বড় আকারের হয় তখন শ্বাসপ্রশ্বাসে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ও সাইনাসের স্বাভাবিক ছিদ্রপথ বন্ধ হয়। রোগী প্রায়ই সর্দিতে ভোগে এবং নাক একদিকে সকল সময় বন্ধ থাকে। প্রথম দিকে নাকের শ্লেষ্মা পানি জাতীয় থাকে। যখন জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয় তখন পুঁজযুক্ত হয়। কয়েকটি আঙ্গুর ফলের মতো বস্তু নাকের ছিদ্রের মধ্যে দেখা যায় যেগুলো নাড়ানো যায়।
হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান: শরীরের গঠনে যে পরিবর্তন বা বিশৃঙ্খলাবশত পলিপাসের উদ্ভব হয় তা দূর না করে শুধু অস্ত্রোপচার করে পলিপাস অপসারণ করলে সাময়িক উপকার পাওয়া যায় মাত্র। কিছুদিন পরই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পলিপাসের পুনরাবির্ভাব হয়ে থাকে। অপারেশন ছাড়াই পলিপ সারানো যায়। নাকের পলিপ চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথিতে অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ আছে।
লক্ষণ সাদৃশ্যে এই রোগে ব্যবহৃত ঔষধসমুহ :-

🌻স্যাঙ্গুনেরিয়া নাইট :এই ঔষধটিকে পলিপাসের পেটেন্ট ঔষধ বলা চলে।এই ঔষধটি ব্যবহার করলে পলিপাস প্রায়ই সেরে যায়।

🌻এলুমিনা :বাম নাসিকামধ্যে পলিপাস এবং তৎসহ স্নায়বিক শিরঃপীড়া(neuralgic headache)এবং মুখমণ্ডল ও সমগ্র দেহচর্মের কর্কশতা;কোষ্ঠবদ্ধতা,ক্রমাগত কয়েকদিন আদৌ মলবেগ হয় না ও পরে প্রস্তরের ন্যায় কঠিন মলত্যাগ কালে কিয়ৎ পরিমাণ রক্তপাত হয় এবং মলদ্বারে দপদপ করিতে থাকে ,প্রায়শই সর্দি হেতু টনসিলের বিবৃদ্ধি ও কাঠিন্য।

🌻এপিস মেল :দক্ষিণ বাডান নাসিকামধ্যে পলিপাস স্ফীত হইয়া জলপূর্ণ থলীর ন্যায় দেখায় এবং উষ্ণতায় নাসা অবরোধ বৃদ্ধি পায়।সমগ্র নাসিকা লাল ও শোথবৎ স্ফীত দেখায়।

🌻অরাম মেটিলিকাম : পলিপাস সহ বাম নাসিকায় বেদনা ও উত্তেজনা বোধ,শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী হইতে রক্তস্রাব,গলমধ্যে জ্বালা ও সুড়সুড়ানি ,অবসাদ ও দুর্বলতা,আহারের পর নিদ্রালুতা ও নিদ্রাকালে মুখমন্ডলের লালিমা।

🌻ক্যালকেরিয়া কার্ব :নিজস্ব বিশিষ্ট ও চরিত্রগত লক্ষণাদি (constitutional symptoms)যুক্ত রোগীদের নাসিকা মধ্যে পলিপাস ও তৎসহ ঘ্রাণশক্তি লোপ।ইহা পলিপাসের শ্রেষ্ঠ ঔষধগুলি মধ্যে অন্যতম।

🌻ক্যালকেরিয়া আয়োড :ক্যাল্কেরিয়া কার্ব ও আয়োডিয়ামের যুক্ত ধাতুগত লক্ষণাদি যুক্ত রোগীদের,যাহারা সর্দি প্রবণ ও যাহাদের শরীরের বিভিন্ন গ্রন্থিগুলি সহজেই আক্রান্ত হইয়া স্ফীত ও কঠিন হয়,বিশেষতঃ যাহাদের টনসিল বৃহদায়তন ও ছিদ্রময় হইয়া মৌমাছির চাকের ন্যায় দেখায় ( honeycombed with little crypts ) তাহাদের নাসিকামধ্যে পলিপাসে ইহা বিশেষ উপযোগী।

🌻ক্যালকেরিয়া ফস :- ক্যাল্কেরিয়া ফস ধাতুগত লক্ষণাদিযুক্ত,নাসিকামধ্যে অতি বৃহৎ সবৃন্ত পলিপাস,পুনঃ পুনঃ হাঁচি,নাক ঝাড়িলে রক্তস্রাব।

🌻এলিয়ম সিপা :যাহাদের পুনঃ পুনঃ সর্দির আক্রমণ হয় তাহাদের পলিপাস।সর্দির আক্রমণ সময়ে পলিপাস বৃদ্ধি এবং তারজন্য নাসিকার অবরোধ জনিত অস্বস্তি,উষ্ণ গৃহমধ্যে বৃদ্ধি পায় ও উম্মুক্ত বায়ুতে হ্রাস হয় ;পুনঃ পুনঃ প্রবল হাঁচিসহ নাসিকা ও চক্ষু হইতে জল নিঃসৃত হইতে থাকে;কখনও কখনও নাসিকা হইতে পলিপাস জনিত রক্তস্রাব;বাম নাসারন্ধে পলিপাস।

🌻কার্বনিয়াম সালফঃনাসিকাগ্রভাগের লালিমা ও জ্বালা,নাসিকামধ্যে অস্বস্তিকর শুষ্কতা, চুলকানি ও অবরুদ্ধতা বোধ ; নাসিকামুলে বেদনা ও জ্বালা ; প্রাতে ও সন্ধ্যায় এবং নাক ঝাড়িলে নাসিকা হইতে কালচে রক্তস্রাব,পুনঃ পুনঃ হাঁচি সহ প্রবহমান সর্দি ও শীতার্ততা ইত্যাদি লক্ষণসহ নাসিকা মধ্যে পলিপাস।

🌻ফসফরাস :ইহা সন্ধিবাত ধাতুগ্রস্থ ব্যক্তিগনের নাসিকামধ্যে পলিপাস হইবার উপক্রম হইলে তাহা নিবারণ করিয়া থাকে।দীর্ঘকালস্থায়ী সন্ধিবাতযুক্ত সন্ধিগুলির আড়ষ্টতা,সন্ধিবাতজনিত বেদনা নড়াচড়ায় বৃদ্ধি ও চাপ প্রদানে উপশম ; দক্ষিণ নাসারন্ধ মধ্যে পলিপাসজনিত অবরুদ্ধতা বোধ,ঠাণ্ডায় ও শিলাবৃষ্টির পূর্বে বৃদ্ধি,তাপ,চাপ ও ঘর্ষণে উপশম মাথায় চিরুনি দিয়া আঁচড়াইলে মস্তকের যন্ত্রণা হ্রাস।

🌻গ্রাফাইটিস :-সিকামধ্যে পলিপাস সহ নাসিকার দৃঢ় ও কোমলাস্থিসমূহ স্পর্শে বেদনা,শীতকালে পুনঃ পুনঃ সর্দির আক্রমণ,শীতল বায়ুতে সর্দির তীব্রতা বৃদ্ধি, নাসিকার পক্ষদ্বয়ে বিদারণ ও তৎসহ জ্বালা,নাসিকা হইতে রক্তযুক্ত শ্লেষ্মা নিঃসরণ,নাসিকার অবরোধ।গাত্রত্বকের অসুস্থতা নিবন্ধন নানা প্রকার চর্মপীড়া ও কোষ্ঠবদ্ধতাপ্রবন ব্যক্তিগনের পক্ষে বিশেষ উপযোগী।

🌻ক্যালি বাইক্রম :নাসিকা মধ্যে তরুণ বা দীর্ঘকাল স্থায়ী পলিপাস,নাসারন্ধের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লীর স্ফীতি সহ নাসিকা অবরোধ ও নাসিকা মধ্যে জ্বালা,রন্ধমধ্যে জ্বালাজনক শুষ্কতা সহ কপালের ছিদ্রমধ্য পর্যন্ত বিস্তৃত চাপপ্রদ বেদনা প্রাতঃকালে দক্ষিণ নাসিকা হইতে রক্ত অথবা রক্তযুক্ত শ্লেষ্মা স্রাব;সন্ধ্যায় প্রবহমান সর্দির প্রকোপ বৃদ্ধি,সর্দির আস্রাবে নাসিকা ও ওষ্ঠ হাজিয়া যায়।

🌻ক্যালি নাইট্রিকামঃডান সাইটের পলিপাস,দক্ষিণ নাসামধ্যে স্ফীতিসহ নাসিকা মধ্যে জ্বালা,স্পর্শে বেদনা,প্রবল সর্দিসহ নাসা অবরোধ ও ঘ্রাণশক্তি লোপ ; নাসামধ্যে অতি বৃহৎ পলিপাস।

🔮নাকের পলিপাসের বাইয়োকেমিক ঔষধ : -

🌻ক্যালকেরিয়া ফস :ক্যালকেরিয়া ফসের অভাবহেতু এইরোগ হলেএটিই একমাত্র ঔষধ।পুরান সর্দিপ্রবন রোগী ঘ্রানহীণ,বৃন্তযুক্ত পলিপাসের প্রধান ঔষধ।ইহা বাহ্য ব্যবহারও হয়।মাত্রাঃ৩,৬,১২x শক্তির বয়স্কদের চারটি ছোটদের দুই বড়ি দিনে তিন বার আহারের পরে গরম পানিতে খাবেন।

🌻নেট্রাম মিউর :লবন প্রীয় রোগীর সর্দি,হাছিসহ বৃন্তহীণ পলিপাসথাকলে এবং রোগী ঘ্রাণশক্তিহীন হলে এইঔষধ অত্যন্ত উপকারী।ইহা বাহ্য ব্যবহৃত হয়।মাত্রা ৩,৬,১২x শক্তির বয়স্কদের চারটি ছোটদের দুই বড়ি দিনে তিনবার আহারের পরে গরম পানিতে খাবে।

🌻সাইলেসিয়া :শ্লেষ্মা ময় পলিপাসের রোগীর, সাইলেসিয়ার ধাতুগত মিলথাকিলে বৃন্তহীন পলিপাসে ব্যবহার করলে আরোগ্য হয়মাত্রা ৩,৬,১২x শক্তির বয়স্কদের চারটি ছোটদের দুই বড়ি দিনে তিন বার আহারের পরেগরম পানিতে খাবে।

🌻কেলি সালফ :বৃন্ত যুক্ত ও বৃন্তহীণ উভয় প্রকার পলিপাসের রোগীর শরীরের চামড়া শুষ্ক,কর্কশ ও অপরিস্কার থাকলে এবং রোগীর যে কোন স্রাবআঠাল,পিচ্ছিল,চটচটে হলুদ বর্নের হলে অত্যন্ত কার্যকরী।মাত্রা:মাত্রা:মাত্রা ৩,৬,১২x শক্তির বয়স্কদের চারটি ছোটদের দুই বড়ি দিনে তিন বার আহারের পরেগরম পানিতে খাবে।

🔰পরামর্শ : পলিপাসের রোগীর নাকের ভিতরে পানি দ্বারা পরিস্কার রাখা জরুরী, কনিষ্ঠ আংগুল দ্বারা নাকের ভিতরে মালিশ করিলে উপকার হয়।

🌻রোগীর ধাতুগত লক্ষণ, মানসিক লক্ষণ ও রোগ লক্ষণসমষ্টির সাদৃশ্যে সর্বাপেক্ষা অধীক সদৃশ ঔষধ নির্বাচন করতে সক্ষম হলেই দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব।
আর এ জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন করতে হবে।
📌বিঃদ্রঃ - চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না, এতে করে আরো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
Dr. A S A Mamun
DHMS - BHB
MSS.
☎ 01990912372 ☎ 01830500703

19/05/2019

🌻পাইলস (Piles) বা অর্শ রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থা :-

🔮পাইলস বা অর্শ্ব রোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক ওষধের প্রয়োগ সংকেত নিয়ে আজকের আলোচনা, লিখেছেন - ডা. প্রধীর রঞ্জন নাথ। যে সকল কারণে মলদ্বারের নিকটবর্তী শিরা সমূহে রক্ত চলা-চলের গতিরোধ হয়ে রক্ত সঞ্চিতির ফলে স্ফীতি এবং বড় হয় তাকে পাইলস বা অর্শ বলে। কখনও একটা কখনও বা একাদিক থোকা থোকা আঙ্গুরের ন্যায় দেখতে পাওয়া যায়। অর্শের বলি মলদ্বারের বাইরে থাকলে তাকে বর্হিবলি এবং অভ্যন্তরে থাকলে তাকে অন্তর্বলি বলে।

🔮মানুষের রোগব্যাধির মধ্যে মলদ্বারের রোগই সবচেয়ে বেশি স্বচিকিৎসা এবং হাতুড়ে চিকিৎসা হয়। কিছুটা ভয় ও বিব্রতকর অনুভূতির জন্য এ জাতীয় রোগ হলে রোগীরা ডাক্তার দেখাতে চায় না। রোগীরা নিজে নিজে অথবা সস্তায় পাওয়া হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে যান বেশি। বিভিন্ন কুসংস্কার এবং মলদ্বারের সব রোগই পাইলস এ ভ্রান্ত ধারনার কারনে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করেন,যা কখনো কখনো ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনে।

🔮পাইলসের প্রকারভেদ :-

বলিভেদে পাইলস দুই প্রকার। যথা- বহির্বলি ও অন্তর্বলি। আবার স্রাব সম্বন্ধীয় পাইলস বা অর্শকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
যে অর্শ থেকে প্রবল রক্ত ধারা ছুটে তাকে রক্তস্রাবী পাইলস বলে।

🌻যে অর্শে রক্ত স্রাব থাকে না কিন্তু জ্বালা যন্ত্রনা, সুঁচ ফোটান ব্যথা ইত্যাদি কষ্টদায়ক উপসংগ থাকে তাকে অস্রাবী পাইলস বলে।

🌻যে অর্শে কেবল মাত্র আম নির্গত হয় তাকে আম শ্রাবী পাইলস বলে যা বর্ষাকালেও বসন্তকালে প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

🌻যে রোগীরা পাইলসে ভোগেন তাদের সাধারনত কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া জাতীয় সমস্যা থাকে। অনেক রোগী আছেন যাদের পেটে গ্যাস হয়। পায়খানার সঙ্গে মিউকাস বা আম যায়।
পায়খানা করার পর মনে হয় ক্লিয়ার হয়নি। দুধ, পোলাও, ঝাল, গরু বা খাসির মাংস ইত্যাদি খেলে হজমে গোলমাল হয়। টয়লেটে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। অনেকে মলদ্বারের ভেতর আঙুল দিয়ে মলত্যাগ করেন। রোগীরা এ সমস্যাগুলোকে গ্যাস্ট্রিক বা ক্রনিক আমাশয় হিসেবে মনে করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে আমরা বলি ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ডোম বা আইবিএস। এ জাতীয় রোগীদের দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, পোলাও, ঝাল, বিরিয়ানি খাওয়া নিষেধ।

♦🎯♦পাইলসের উৎপত্তি :-

কোষ্ঠবদ্ধতা, উৎকট উদরাময়, যকৃতের বিবৃদ্ধি, অতিরিক্ত মদ্য কিংবা মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার, অলস জীবন যাপন, স্ত্রীলোকের জরায়ুর বিবৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে বস্তি গহ্বরের শিরা সকলে চাপা পড়ে। ফলে রক্তের গতিরুদ্ধ হওয়ার কারণে মলদ্বারে নিকটবর্তী শিরা সকল রক্ত সঞ্চিত হয়ে স্ফীত হয়। এভাবে অর্শের জন্ম হয়। মোট কথা বস্তি গহ্বরের শৈরিক রক্তস্রোত বাধা প্রাপ্ত হলেই পাইলস বা অর্শের উৎপত্তি ঘটে।

🔮এই রোগের লক্ষনাদি :-

মলের সঙ্গে রক্তের ছিটে দেখা যায় অথবা সময় সময় এক বারকার পাইখানাতেই প্রায় এক ছটাক হতে আধ পোয়া পর্যন্ত রক্ত বাহির হয়। মল ত্যাগকালে রোগী বিষম কষ্ট পান এবং সরলাস্ত্র মধ্যে জ্বালা, দপ্‌দপানি ও চিড়িক মারা মতন যাতনা ভোগ করেন এবং সময় বিশেষে মল নির্গত হয়ে যাবার পরও অনেকক্ষন পর্যন্ত উক্ত যাতনাদি অবস্থান করে। যখন অর্শের বলীগুলো প্রদাহিত হয় অথবা গুহ্যদ্বারের পেশী বা স্ফিংটার দ্বারা নিষ্পেষিত হয়, তখন অতিশয় ক্লেশ বোধ হতে থাকে এবং উপর্যুপরি দুই তিন দিন পর্যন্ত রোগী বিছানা হতে উঠে কোন কাজকর্ম করতে পারেন না। প্রায় সকল সময়েই অর্শ্বরোগের সাথীরূপে কোষ্টবদ্ধতা প্রকাশ পায়। এই রোগ কতকটা পূর্বোক্ত "মেক্যানিক্যাল অবষ্ট্রাকসান" এবং কতকটা মলত্যাগকালীন যন্ত্রনা জন্য আনীত হয়। অর্শরোগ নিবন্ধন, আলস্য বোধ, রুক্ষ্ম মেজাজ, শিরপীড়া, মূর্চ্ছাভাব এবং পরবর্তী অবস্থায় অতিরিক্ত রক্তস্রাবহেতু রক্তাল্পতা ও মাথা ঘোরা, উপসর্গ রূপ দেখা দেয়।

🎯খাদ্যাভাসের পরিবর্তন :-

আমরা প্রচুর রোগী পাই। যাদের সঠিক খাদ্যাভাসের অভাবে পায়ুপথের বিভিন্ন রোগ হয়। পায়খানার পরিমান বাড়ে এমন খাবার খাওয়া উচিত। যেমন- শাক, সবজি,সালাদ, ফল, ইসুপগুলের ভূষি, গমের ভূষি ইত্যাদি। দৈনিক পরিমিত পানীয় খেতে হবে। একজন পূর্ন বয়স্ক লোকের জন্য ৬-৮ গ্লাস কমপক্ষে অধিক দশ/বারো গ্লাস পানি পান করতে হবে ।

🔰🔰পাইলস বা অর্শে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কার্যকারিতা বহু প্রাচীনকাল থেকেই সন্দেহাতীতভাবে দৃঢ়তার সাথে প্রমানিত হয়ে আসছে। কেন্ট রেপার্টরীর প্রয়োগ-সংকেতও এ পীড়ায় প্রনিধানযোগ্য। অর্শে বহুল প্রচলিত ওষধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিশেু প্রদত্ত হল।
শ্রম বিমুখতা ও ভোগ বিলাসিতাজনিত অর্শে নাক্স ভমিকা, সালফার, পডোফাইলাম, পালসেটিলা বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে,
কোষ্ঠকাঠিন্য হেতু অর্শে ইস্কিউলাস, নাক্স, সালফার,কলিনসোনিয়া ও কার্বোভেজ
গর্ভাবস্থায় অর্শে- কলিনসোনিয়া, ইস্কুলাস, নাক্স ভমিকা,হ্যামামেলিস, অ্যাসিড মিউর, অ্যালো,
রক্তস্রাবী অর্শে- কলিনসোনিয়া, ইগ্লোসিয়া, র‌্যাটানহিয়া,হ্যামামেলিস, পিওনিয়া, এব্রোটেনাম, সালফার, ক্যাপসিকাম, ইস্কুইলাস-গ্ল্যাবরা, এসিড নাইট্রিক,তমন কার্ব।
অস্রাবী অর্শে- আর্সেনিক এল্ব, একোনাইট ন্যাপ, ইস্কুইলাস হিপ, এসিড মিউর, এমন মিউর,প্লান্টেগো, ক্যালিকার্ব।
আমস্রাবী অর্শে- এন্টিম ক্রুড, হিসার সালফ, লাইকোপডিয়াম সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

🔖🔖🔖সর্বোপরি : হোমিওপ্যাথি একটি রোগ লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই শারীরিক, মানসিক ও রোগলক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করলে রোগ থেকে সম্পূর্ণরুপে স্থায়ী আরোগ্যলাভ করা যায়।
আর এ জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ও সেবা নিতে হবে।
🎯বিঃদ্রঃ - চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না, এতে করে আরো বেশি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
Dr. A S A Mamun
DHMS - BHB
MSS.
☎ 01990912372 ☎ 01830500703

19/05/2019

🔮যৌন দুর্বলতা জনিত সকল রোগের স্থায়ী চিকিৎসা ও সমাধানে হোমিওপ্যাথিক।
🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰🔰
(🔷দ্রুত বীর্যপাত🔶বীর্য পাতলা🔷সামান্য উত্তেজনায় পাতলা বীর্য বের হয় 🔶মলত্যাগ করতে সাদা বীর্য বের হয় 🔷পুরুষাঙ্গ - নিস্তেজ,সহজে দাঁড়ায় না, আকারে ছোট হয়ে গেছে,চিকন ও বাঁকা🔶পুরুষাঙ্গ একটু গরম হলেও মূহুর্তে ঠান্ডা হয়ে যায়🔷2/4 মিনিটের বেশি সহবাস করা যায় না🔶একাধিক বার মেলামেশা করা যায় না, শরীর অত্যধিক দুর্বল হয়ে পড়ে 🔷সহবাসের অনিহা🔶ইত্যাদি।)

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ১৮০০ ইং সাল হইতে আজ পর্যন্ত সারাবিশ্বে তার অস্তিস্তের প্রমান দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে তাই সঠিক হোমিওপ্যাথি ঔষধ নির্বাচনের মাধ্যমে চিকিৎসা করলে স্বল্প সময়ের মধ্যে সকল প্রকার জটিল ও পুরাতন রোগ স্থায়ী ভাবে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

🌻যৌন রোগ একটি মানসিক রোগ , যাহা শুধু মানুষের মনের মধ্যে বার বার ঘুরপাক খেয়ে নানা প্রকার সমস্যার সৃষ্টি করে যাহা আদৌও কোন রোগ নয় । আমরা শুধু মাত্র কিছু নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারি ।

আসুন আমরা জেনে রাখি স্বাভাবিক যৌনতা বা নরমাল সেক্সুয়ালিটি ( Normal Sexuality ) কি ?

স্বাভাবিক যৌনতা বুঝতে হলে পুরুষ ও স্ত্রী উভয়ের স্বাভাবিক যৌন অঙ্গ সমূহ ও উহাদের ক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন । প্রকৃত ও তথাকথিত যৌন ব্যাধির মুল উৎস হল যৌন অঙ্গ সমূহ ও স্বাভাবিক ক্রিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতা ও ভ্রান্ত ধারণা ।

🎯পুরুষ জননেন্দ্রিয়
( Male Reproductive Organs )

( ক ) পুরুষাঙ্গ । ( খ ) কাউপার ও লিটার গ্ল্যাণ্ড । ( গ ) বীর্যথলি বা সেমিনাল ভেসাইকল ( Seminal Vesicle ) । ( ঘ ) প্রস্টেট ( Prostate ) গ্ল্যাণ্ড । ( ঙ ) শুক্রাণুনালী বা ভাসডিফারেন্স ( Vasdeferens ) । ( চ ) এপিডিডিমিস ( Epididymis ) । ( ছ ) অণ্ড বা টেস্টিস ( Te**is ) ।

🎯অঙ্গ দৃঢ় ও শিথিল হওয়ার কারণ ও প্রণালী :

প্রথমে যে কোন উদ্দীপনা হইতে যৌন কামনার সৃষ্টি হয় । এই উদ্দীপনা প্রথমে শারীরিক কারণ বা মানসিক কারণ হইতে সৃষ্টি হইয়া থাকে । এই উদ্দীপনার ঢেউ মস্তিস্কে পৌছিলে ঐস্থান হইতে মেরুদণ্ডের মধ্যস্থিত লাম্বার ( Lumbar ) অংশের স্নায়ুকেন্দ্রে খবর পৌছে । এখানে দুইটি কেন্দ্র আছে । প্রথমটি অঙ্গ দৃঢ় হওয়ার জন্য দ্বিতীয়টি বীর্যস্খলন হওয়ার জন্য দায়ী । অঙ্গ দৃঢ় হওয়ার কেন্দ্র হইতে পুরুষাঙ্গের স্নায়ুতে খবর পৌছার সঙ্গে সঙ্গে কর্পাস ক্যাভারনোসাম ও কার্পাস এসপঞ্জিওসামের মৌমাছি চাকের মত অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠে রক্ত জমা হইতে থাকে । বাহির হইয়া যাইবার পথ নাই । রক্ত কেবল জমিতে থাকে । যতই উত্তেজনা বাড়িতে থাকে ততই এই প্রকোষ্টগুলির মধ্যে রক্ত ঠাসা ঠাসি হইয়া জমিতে থাকে । অধিক সময় ধরিয়া রক্ত জমিতে পারিলে উহা ফিরিয়া যাইবার সময় ধীরে ধীরে যায় । কাজেই অঙ্গটি ধীরে ধীরে শিথিল হয় ।

অঙ্গের দৃঢ়তা জিয়াইয়া রাখার জন্য অনবরত দৈহিক উদ্দীপনার প্রয়োজন । সে ছাড়া মানসিক সক্রিয়তা অঙ্গের দৃঢ়তার জন্য আরও অধিক প্রয়োজন । এই জন্য অল্প উত্তেজনা, ইচ্ছার বিরুদ্ধে মিলন, নির্জনতা বা গোপনীয়তার অভাব, গর্ভভয় , সিফিলিস ও গনোরিয়া রোগের ভয়, ব্যর্থতার ভয় ইত্যাদি থাকিলে অঙ্গ দৃঢ় হওয়ার পরেই সত্বর শিথিল হইয়া পড়ে । ইহা ব্যাধি নয় । ইহা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক । কেননা মানসিক নিষ্ক্রিয়তার দরুন মস্তিস্ক হইতে মেরুদণ্ডের স্নায়ু কেন্দ্রের মাধ্যমে হুকুম আসা বাধা গ্রস্থ হয় বলিয়া অঙ্গের দৃঢ়তা কমিয়া যায় ।

দৈহিক বা মানসিক উত্তেজনা চরমে পৌছিলে মেরুদণ্ডের বীর্যস্খলন কেন্দ্র হইতে হুকুম পাইয়া বীর্য স্খলন হইয়া অঙ্গ শিথিল হইয়া যায় । বীর্য স্খলন ব্যতীত উপরোক্ত যাবতীয় কারণ ও প্রণালীগুলি একজন স্ত্রী লোকের বেলায়ও প্রযোজ্য ।

প্রধানত পুং যৌন হরমোন যথা অ্যান্ডরোজেন ( Androgen ) ও স্ত্রী যৌন হরমোন যথা ইসট্রোজেন ( Oestrogen ) তৎসহ পিটুইটারি অ্যাড্রিনাল ও থাইরয়েড গ্ল্যাণ্ডের হরমোনের প্রভাবে যথাক্রমে পুরুষ ও স্ত্রী লোকের যৌনঅঙ্গ গুলি মাতৃগর্ভ হইতে আরম্ভ করিয়া ১৮ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি পাইতে থাকে ।

যৌন কামনার সূচনার জন্য ঐ সকল গ্ল্যাণ্ডের ক্রিয়া প্রয়োজনীয় । কিন্তু অঙ্গের দৃঢ়তা, উহার স্থায়িত্ব , দৃঢ়তার অভাব বা রতি ক্রিয়ার সাফল্যের উপর উহাদের কোন প্রভাব নাই । ঐ প্রভাব সম্পূর্ণরুপে মনের । যৌন কামনা বৃদ্ধি পাইবে বা রতি শক্তির স্থায়িত্ব বাড়িবে এই ধারণা করিয়া ৪০ বছর নিন্ম বয়স্করা যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বা ইনজেকশন নিলে সাময়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাইলেও ইহার পরবর্তী ক্রিয়া মঙ্গলজনক নহে । কেননা অণ্ড বা টেস্টিস ( Te**is ) গ্ল্যাণ্ডের স্বাভাবিক অন্ত নিঃসরণ বা ইন্টারনাল সিক্রেশন ( Internal Secretion ) থাকা সত্ত্বেও এই ট্যাবলেট বা ইনজেকশন দেওয়ার পরে উহার স্বাভাবিক নিঃসরণ বাধাগ্রস্থ হইয়া উহা কমিয়া যায় । কাজেই ঐ সকল ঔষধ বন্ধ করিবার পরে স্বাভাবিক ক্রিয়া কমিয়া যাওয়ায় রোগীর ক্ষতি হইল ।

🌻বীর্যপাত বা রেতস্খলন ( Emissions ) :

নৈতিক অনাচারে আসক্ত নয় বা জননেন্দ্রিয়ের কোন রোগ নাই, এরূপ সুস্থকায় নীতিপরায়ণ ব্যক্তিরও কখনও কখনও অনৈচ্ছিক “ রেতস্খলন ” বা বীর্যপাত হয় শরীর নিতান্ত দুর্বল বা অত্যন্ত বীর্যশালী হইলে, আমাদের দেশের নীতিপরায়ণ যুবক ছাত্রদের মধ্যে কাহারও কাহারও এই প্রকার রেতস্খলন হইতে দেখা যায় । যথাসময়ে ইহার প্রতিবিধান করা উচিত ।

🌻শুক্রক্ষরণ, ধাতুদৌব্বল , শুক্রমেহ বা স্বপ্নদোষ ( Spermatorrhcea ) :

অনৈচ্ছিক বীর্যপাতের নাম “ ধাতুদৌব্বল বা শুক্রমেহ ”। স্বপ্নাবেশে বা কামোদ্দীপণ ব্যতীত অযথা যথোচিত লিঙ্গউত্থান না হইয়া পুনঃ পুনঃ বীর্যপাত হইলে “ ধাতু– দৌব্বল্য ” ঘটিয়াছে অনুমান করিতে হইবে ।

যৌবনের প্রারম্ভে প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন করিয়া অনৈসর্গিক উপায়ে রেতপাত, এই পীড়ার প্রধান কারণ । অধিকাংশ স্থলে হস্তমৈথুন, অত্যধিক স্ত্রী-সহবাস বা প্রমেহ হইতে এই রোগ জন্মে । পূর্ণ যৌবনে সঙ্গমের অভাব, অতি বৃহৎ বা সরু লিঙ্গমুণ্ড – আবরক- ত্বক ; অগ্নিমান্দ্য, কষ্টোকাঠিন্য, অনিন্দ্রা, ক্রিমি জন্য সরলান্ত্রের উপদাহ, মুত্রনলী ও মূত্রাশয়ের উপদাহ, মস্তিস্ক, পৃষ্ঠ ও মজ্জার পীড়া, অর্শরোগ এবং সর্বদা অশ্বারোহণ বা সাইকেল ভ্রমণ হেতুও এই পীড়া জন্মিতে পারে । শুক্রমেহ পীড়ায় ধারণাশক্তি একেবারেই থাকে না । স্ত্রীলোক দর্শন বা স্পর্শন মাত্রেই, মলত্যাগকালে বেগ দিলে এবং অল্প উত্তেজনায়, রেতস্রাব হইয়া থাকে । অতিরিক্ত শুক্রক্ষরণ হেতু ক্রমে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় –

বিমর্ষচিত্ততা ও সলজ্জ ভাব, স্মৃতিশক্তির অল্পতা, সকল কাজেই নিরুৎসাহ, শারীরিক দৌর্বল্য, অগ্নিমান্দ্য, কোষ্ঠবদ্ধতা, পেটফাঁপা, বুক ধড়ফড় করা, সহসা শিরপীড়া, দাঁড়াইলে অন্ধকার দেখা , চক্ষুকোনে, কৃষ্ণবর্ণের দাগ, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি । এই পীড়া হইতে ক্রমে ধ্বজভঙ্গ ও পক্ষাঘাত হইতে পারে । রোগের শুরুতেই ইহার চিকিৎসা করা উচিৎ নতুবা পরিণত অবস্থায় এই রোগ করা কষ্টসাধ্য হইয়া পড়ে ।

🔮হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাঃ –

রোগের উত্তেজক কারণ বর্জন করিয়া নিম্নলিখিত ঔষধ সমূহ লক্ষণ সাদৃশ্যে নিয়মিত সেবন করিলে আপনি অবশ্যই আরোগ্য লাভ করিবেন । ইনশাআল্লাহ্‌ ।

🎈অ্যাসিটিকাম অ্যাসিডাম ( Aceticum acidum ) দুর্বল বীর্যস্খলন ; মলত্যাগের সময় বীর্য নির্গমন । লিঙ্গাগ্রচামড়া পুরু, ফাটা, যথাযথভাবে সংকুচিত হতে পারে না এবং ভীতিপ্রদ চুলকানি । যৌন কামনা, কিন্তু সামান্য লিঙ্গোথান ।

🎈অ্যাগারিকাস মাসকেরিয়াস ( Agaricus mascarius ) যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি, সেইসাথে লিঙ্গের শিথিলতা । সঙ্গমে সামান্য বীর্যপাত । রতিক্রিয়ার পর অধিক দুর্বলতা ও নৈশকালীন ঘাম । যৌনাঙ্গে চুলকানি । অণ্ডকোষের মধ্যে একটি টান অনুভূতি ।

🎈এগনাস কাস্ট ( Agnus Castus ) যৌন শক্তির হ্রাস । লিঙ্গ ক্ষুদ্র ও শিথিল ( flaccid ) ; এমন ঢিলা যে যৌন আনন্দের উত্তেজনা প্রয়োগেও লিঙ্গোথান হয় না ( voluptuous fancies excite no er****on ) । নগণ্য লিঙ্গোথান যৌন ইচ্ছা ছাড়াই । অণ্ডকোষ ঠাণ্ডা, স্ফীত, শক্ত এবং ব্যথাযুক্ত । ধ্বজভঙ্গ তার সাথে প্রমেহ ( বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন গনোরিয়া হয় ) । প্রমেহ, যৌন ইচ্ছা ব্যতিরেকে লিঙ্গোথান । মলত্যাগের সময় যখন কোঁত দেয় তখন প্রস্টেট গ্রন্থির রস নির্গমন ; প্রস্রাবত্যাগের সময়ও যদি চাপ দেয় তখনও অনুরূপ রসক্ষরণ হয় । দুর্বল উত্তেজনা ও মূত্রাশয় গ্রন্থি থেকে রসক্ষরণ ( prostatorrhoea ) এর ফলে কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত ( pollution ) ।

🎈এলো ( Aloe ) যৌন ইচ্ছা বর্ধিত; < ঘুম হইতে জাগ্রত হওয়ার পর ; আহারের পর ; সন্ধ্যায় । সকালে ও প্রস্রাবত্যাগের পর লিঙ্গোথান । দিবা নিদ্রাকালে অনৈচ্ছিক বীর্যপাত ; সকালের দিকে রেতঃপাত ( pollution ) পরে যৌন উত্তেজনা । অস্থির নিন্দ্রা । সহবাসকালে লিঙ্গ সংকুচিত হয়ে যায় এবং অণ্ডকোষ শীতল ।

🎈আম্ব্রা গ্রিসিয়া ( Ambra grisea ) বাহিরের কোন কারণ ছাড়াই যৌনাঙ্গে ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর উত্তেজনা ও চুলকানি । রেতঃরজ্জু অঞ্চলে ও ছোট থলিতে ( vesicle ) জ্বালা । সকালে লিঙ্গোথান, তার সাথে যৌনাঙ্গ অসাড় । দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানে কাঁচা ক্ষত । ভীষণ লিঙ্গোদ্রেক সকালে কিন্তু কামোম্মত্ততা সুচক কোন অনুভূতি নেই, সেইসাথে লিঙ্গে অবশতা ।

🎈অ্যামোনিয়াম কার্বোনিকাম ( Ammonium carbonicum ) অত্যধিক যৌন ইচ্ছা, কামবিষয়ক চিন্তা ছাড়া অযথা লিঙ্গোথান ; অথবা যৌন ইচ্ছার অভাব অন্য লিঙ্গের প্রতি বিমুখতা । বারবার কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত, এবং অণ্ডকোষের মধ্যে সংকোচন, হেঁচড়ানো ও ভারী অনুভূতি । কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ ।

🎈এনাকার্ডিয়াম ( Anacardium orientalis ) দিনে উত্তেজনা ছাড়াই লিঙ্গোথান । কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত । অণ্ডকোষে সুখকর চুলকানি । যৌন ইচ্ছার বৃদ্ধি অথবা অউত্তেজনা ( inexcitable ) । সঙ্গমের সময় সুখানুভূতির অভাব । প্রস্রাব ও মলত্যাগের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ । কঠিন মলত্যাগের সময় বীর্য নিঃসরণ ।

🎈এনাগ্যালিস আর্ভেনসিস ( Anagallis arvensis ) লিঙ্গোথানের পূর্বে ও সময়ে মুত্রনালিতে জ্বালা সঙ্গমের সময় উপশম । ডান অণ্ডকোষ ও রেতঃরজ্জুতে টেনেধরা ব্যথা । রেতঃরজ্জুতে ছিন্নকর ব্যথা । সিম্ফাইসিস পিউবিসে শিহরণ ।

🎈আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম ( Argentum nitricum ) যৌন ইচ্ছার অভাব, অঙ্গ কুঁচকে বা শিথিল হয়ে পরে । ধ্বজভঙ্গ ; লিঙ্গের উত্থান কিন্তু তারা ব্যর্থ হয় যখন সঙ্গম শুরু করে । লিঙ্গোত্থানের সময় ব্যথাপূর্ণ টান, লিঙ্গ নীচের দিকে বেঁকে যায় তার সাথে ব্যথা ( chordee ), মুত্রনালি থেকে রক্তপাত এবং মুত্রনালির পিছন থেকে সম্মুখ পর্যন্ত চিড়িকমারা ব্যথা । মুত্রনালি ফোলা, শক্ত, গিঁটযুক্ত, ব্যথাপূর্ণ ।

🎈আর্ণিকা ( Arnica ) রেতঃরজ্জুর ব্যথাপূর্ণ ফোলা, তার সাথে টেস্টিসের মধ্যে চিড়িকমারা ব্যথা, যা তলপেটের দিকে বিস্তৃত । যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি, তার সাথে লিঙ্গোত্থান, তার সাথে সামান্য আনন্দপূর্ণ যৌন চিন্তা করলেই বীর্যস্খলন । অত্যধিক যৌন ক্রিয়া বা অপব্যবহারে ধ্বজভঙ্গ ।

🎈অরাম মেটালিকাম ( Aurum met ) যৌন ইচ্ছা প্রবল । সমস্ত জননতন্ত্র আক্রান্ত হয় । রাতে দণ্ডায়মান ও কৃত্রিমভাবে রেতঃপাত । প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রসক্ষরণ, সেইসাথে লিঙ্গের শিথিলতা ।

🎈এভেনা স্যাট ( Avana Sativa ) প্রধান পরিচায়ক লক্ষণসমূহ হচ্ছে ; পুংজননেন্দ্রিয় সিস্টেমের অনিয়মিত অবস্থা । স্নায়বিক পরিশ্রম । সাধারণ দুর্বলতা । স্নায়বিক বুক ধড়ফড়ানি । অনিন্দ্রা । কোন বিষয়ের প্রতি মনোনিবেশ করতে অক্ষম, বিশেষত যখন হস্তমৈথুন অথবা অনিয়মিত যৌনাচারে লিপ্ত থাকে ।

🎈ব্যারাইটা কার্বোনিকা ( Baryta carbonica ) যৌন ইচ্ছার হ্রাস এবং যৌন ক্রিয়ার দুর্বলতা । লিঙ্গ শিথিল, অতি দ্রুত বীর্যপাত । সঙ্গমের সময় ঘুমিয়ে পড়ে বীর্যপাত ব্যতীত । প্রমেহ । প্রস্টেট গ্রন্থির বিবৃদ্ধি । উরু ও অণ্ডকোষের মধ্যবর্তীস্থানে ছাল উঠা ও চুয়ে পড়া ( oozing ) । সকালে ঘুম থেকে উঠার আগে কেবল লিঙ্গের উত্থান ।

🎈বোভিস্টা ( Bovista ) যৌন ইচ্ছার বৃদ্ধি । ঘন ঘন শুক্রস্খলন ( Pollution ) । যৌন সঙ্গমের পর মাথা ঘোরা, কিছু বুঝতে না পারা এবং মস্তকে অবশতা । পুংলিঙ্গ শক্ত, ব্যথাপূর্ণ এবং পুঁজযুক্ত গিঁট ( node)
। যৌনাঙ্গে জ্বালাকর ব্যথা । পুরাতন প্রদাহ ।

🎈বিউফো ( Bufo ) ধ্বজভঙ্গ ; অনৈচ্ছিকভাবে বীর্যপাত ; অতি শীঘ্র বীর্যপাত । হস্ত-মৈথুনের প্রবল ইচ্ছা ; নির্জনস্থান অন্বেষণ করে, অসাড়ে অজ্ঞাতসারে শুক্রস্খলন হয়, তাহাতে রোগী ক্রমশঃ দুর্বল ও ধ্বজভঙ্গ হইয়া পড়ে ।

🎈ক্যালেডিয়াম (Caladium Seg ) পুংজননযন্ত্র ( তুলতুলে ), ঢিলা ও ঘর্মাক্ত । লিঙ্গাগ্রের চামড়ার কিনারায় ফোলা তার সাথে প্রস্রাবত্যাগের সময় হুলফুটানো ব্যথা । হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গমণি তুলতুলে হয় । যৌন ইচ্ছা ছাড়া ব্যথাপূর্ণ লিঙ্গোত্থান, পর্যায়ক্রমে যৌন ইচ্ছাসহ ঢিলা পুরুষাঙ্গ মানসিক অবসাদসহ ধ্বজভঙ্গ । রাতে ঘন ঘন রেতঃপাত বা স্বপ্নদোষ । রাতে যৌন অথবা অযৌন স্বপ্নে বীর্যপাত । সঠিক লিঙ্গোত্থান এবং যথাসময়ের পূর্বেই বীর্যস্খলন । ধ্বজভঙ্গ ; পুরুষাঙ্গ ঢিলা, এমন কি উত্তেজিত হলেও । ঠাণ্ডা অনুভূতি এবং যৌনাঙ্গে ঠাণ্ডা ঘাম ।

🎈ক্যাল্কেরিয়া – কার্ব ( Calcaria Carb ) যৌনাঙ্গের ক্রিয়ার দুর্বলতা এবং যৌন ইচ্ছার অভাব । যৌন ইচ্ছার বৃদ্ধি, তার সাথে ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর ও কামোদ্দীপক ধারনা । রতিক্রিয়ার অনুপস্থিতি অথবা অত্যধিক কামোম্মত্ততা । স্বল্প সময়ের জন্য লিঙ্গোত্থান এবং ধীরে ধীরে বীর্যপাত এবং সঙ্গমের সময় অতি ক্ষীণ । যৌনাঙ্গে জ্বালা ও ছুরি দিয়ে কেটে যাওয়ার মতো ব্যথা যৌনমিলনে বীর্যপাতের সময় । যৌনমিলনের পর মাথার মধ্যে দুর্বলতা ।

🎈ক্যাম্ফার ( Camphora ) যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি । ধাতুদোষজনিত উত্তেজনা । স্বপ্নের মধ্যে ভয়ানক ব্যথাময় লিঙ্গদ্রেক । যৌনকামনার অভাব ও ধ্বজভঙ্গ । হঠাৎ করে লিঙ্গের শিথিলতা । স্বপ্নদোষ । অনৈচ্ছিক হস্তমৈথুন । অণ্ডকোষের সংকোচন অনুভূতি । দাঁড়ানো অবস্থায় লিঙ্গের বামপাশে বাইরের দিকে চাপ যেন হার্নিয়া হয়ে অন্ত্র বেড়িয়ে পড়বে । সংকোচন থেকে মুত্রকৃচ্ছতা ( Strangury ) ।
🎯🎯🎯
Conium ( কোনিয়াম ) ,
Gelsimium ( জেলসিমিয়ম ),
Cantharis ( ক্যান্থারিস ) ,
Lycopodium ( লাইকোপোডিয়াম ) ,
Selenium ( সিলিনিয়াম ) ,
Acid Phos ( এসিড ফস ) ,
Corbonium Sulph ( কার্বোনিয়াম সালফ ) ,
Salix Nig ( স্যালিক্স নায়গ্রা ) ,
Titanium ( টিটেনিয়াম ) ,
Nuphar Lut ( নুপার লুটিয়া ) ,
Turnera ( টার্নেরা ) ,
Medorrhinum ( মেডোরিনাম ) ,
Phosphorus ( ফসফরাস ) ,
Moschus ( মস্কাস ),
Sulphur ( সালফার )
Staphisgria ( ষ্টাফিসেগ্রিয়া ) ,
Digitalis Purpura ( ডিজিটেলিস ) , ইত্যাদি ।

🔮বায়োকেমিক ঔষধঃ

Natrum Mur ( নেট্রাম মিউর ) ,
Kali Phos ( কেলি ফস ) ,
Calcaria Phos ( ক্যাল্কেরিয়া ফস )
Silicea ( সাইলেসিয়া ) ।

🔖সর্বোপরি : হোমিওপ্যাথি একটি রোগ লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই শারীরিক, মানসিক ও রোগলক্ষণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা প্রদান করলে রোগ থেকে সম্পূর্ণরুপে স্থায়ী আরোগ্যলাভ করা যায়।
আর এ জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ ও সেবা নিতে হবে।
🎯বিঃদ্রঃ - চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না, এতে করে আরো বেশি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
Dr. A S A Mamun
DHMS - BHB
MSS.
☎ 01990912372 ☎ 01830500703

19/05/2019

🔮দ্রুত বীর্যপাত (Pre mature ej*******on) জনিত সমস্যা :
🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯
যদি নিয়মিত নারী-পুরুষের মধ্যে ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত হয়। অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরেই বীর্যপাত ঘটে। তাহলে যে সমস্যাটি বোঝা যাবে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন। প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। প্রায় মানুষের মধ্যে এ রোগটি লক্ষ্য করা যায়। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়।

🔮উপসর্গ : পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। যেমন- হস্তমৈথুন বা যৌনমিলনের সময়।

🔮কারণ : কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখনও পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায়, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সঙ্গে মানসিক ও জৈবিক দুটোরই সম্পর্ক রয়েছে।

🔮মানসিক কারণ : কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রথম বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌঁছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন : -

১। লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি বা তাড়াতাড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর চেষ্টা।

২। অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতা: যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।

🔮দুশ্চিন্তা : অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। যৌনকর্ম ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই যত দুশ্চিন্তা। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

#জৈবিক কারণ : বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে।

এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-

১। হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা।

২। মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা।

৩। বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া : - অতিরিক্ত হস্তমৈথুন , অধিক হারে অবৈধ নারী মিলন বা অন্য যে কোন পন্থায় যৌনকর্ম সম্পাদন।

৪। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

৫। প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রামণ।

🔮ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় : দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয় –

🔮পুরুষাঙ্গের শিথিলতা : লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হওয়া বা মাঝে মাঝে উত্থিত হওয়া অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষণ এ অবস্থায় না থাকা। এটা দ্রুত বীর্যপাত ঘটানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না। এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

🔮স্বাস্থ্যগত সমস্যা : যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা- হৃদরোগ থাকে। এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

🔮মানসিক চাপ : আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক দুশ্চিন্তা বা চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

🔮জটিলতা : যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না। কিন্তু এটা ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-সম্পর্কে টানাপড়েন। দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।

🔮প্রতিরোধ : দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌনসঙ্গিনীর সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে নাও পারে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নারী ও পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দু’জনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ লাভ না করেন তাহলে তার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে একজন ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এ ক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

🔮চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের চিকিসৎসা অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়ে থাকে, যা সম্পূর্ণরূপে স্থায়ী নিরাময় করা সম্ভব। এ জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ - Agnus cast, Turnera, Lycopodium, Tribulas, Titanium, Nufer Lut, Ashwagandha, Damiana সহ অসংখ্য ঔষধ রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একেক রোগীর একেক ধরনের ঔষধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় লক্ষন ভেদে। রোগী, রোগের লক্ষণ ও মাত্রা ভেদে এসব ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।এখানে রোগ লক্ষনটা ও মাত্রার বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করলেই এই সমস্যার সঠিক ও স্থায়ি সমাধান পাবেন ইনশা'আল্লাহ্।
Dr. A S A Mamun
DHMS (BHB)
M S S
☎01990912372☎01830500703

19/05/2019

🔮দ্রুত বীর্যপাত (Pre mature ej*******on) জনিত সমস্যা :
🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯🔰🎯

যদি নিয়মিত নারী-পুরুষের মধ্যে ইচ্ছার চেয়ে দ্রুত বীর্যপাত হয়। অর্থাৎ যৌনসঙ্গম শুরু করার আগেই কিংবা যৌনসঙ্গম শুরুর একটু পরেই বীর্যপাত ঘটে। তাহলে যে সমস্যাটি বোঝা যাবে তার নাম প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন। প্রি-ম্যাচিউর ইজেকুলেশন একটি সাধারণ যৌনগত সমস্যা। প্রায় মানুষের মধ্যে এ রোগটি লক্ষ্য করা যায়। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়।

🔮উপসর্গ : পুরুষের বীর্যপাত হতে কতটা সময় নেবে সে ব্যাপারে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আদর্শ মাপকাঠি নেই। দ্রুত বীর্যপাতের প্রাথমিক লক্ষণ হলো নারী-পুরুষ উভয়ের পুলক লাভের আগেই পুরুষটির বীর্যপাত ঘটে যাওয়া। এ সমস্যা সব ধরনের যৌনতার ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। যেমন- হস্তমৈথুন বা যৌনমিলনের সময়।

🔮কারণ : কী কারণে দ্রুত বীর্যপাত হচ্ছে তা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞরা এখনও পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় ধারণা করা হতো, এটা সম্পূর্ণ মানসিক ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে জানা যায়, দ্রুত বীর্যপাত হওয়া একটি জটিল বিষয় এবং যার সঙ্গে মানসিক ও জৈবিক দুটোরই সম্পর্ক রয়েছে।

🔮মানসিক কারণ : কিছু চিকিৎসক বিশ্বাস করেন, প্রথম বয়সে যৌন অভিজ্ঞতা ঘটলে তা এমন একটি অবস্থায় পৌঁছে যে, পরবর্তী যৌন জীবনে সেটা পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে। যেমন : -

১। লোকজনের দৃষ্টিকে এড়ানোর জন্য তড়িঘড়ি বা তাড়াতাড়ি করে চরম পুলকে পৌঁছানোর চেষ্টা।

২। অপরাধ বোধ, যার কারণে যৌনক্রিয়ার সময় হঠাৎ করেই বীর্যপাত ঘটে যায়। অন্য কিছু বিষয়ও আপনার দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

পুরুষাঙ্গের শিথিলতা: যেসব পুরুষ যৌনমিলনের সময় তাদের লিঙ্গের উত্থান ঠিকমতো হবে কি না কিংবা কতক্ষণ লিঙ্গ উত্থিত অবস্থায় থাকবে এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলেও দ্রুত বীর্যস্খলন ঘটে।

🔮দুশ্চিন্তা : অনেক পুরুষের দ্রুত বীর্যপাতের একটি প্রধান কারণ দুশ্চিন্তা। যৌনকর্ম ঠিকমতো সম্পন্ন করতে পারবেন কি না তা নিয়েই যত দুশ্চিন্তা। আবার অন্য কারণেও হতে পারে। দ্রুত বীর্যপাতের আরেকটি প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত উত্তেজনা।

#জৈবিক কারণ : বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে।

এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-

১। হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা।

২। মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা।

৩। বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া : - অতিরিক্ত হস্তমৈথুন , অধিক হারে অবৈধ নারী মিলন বা অন্য যে কোন পন্থায় যৌনকর্ম সম্পাদন।

৪। থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।

৫। প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রামণ।

🔮ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় : দ্রুত বীর্যপাতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে যেসব বিষয় –

🔮পুরুষাঙ্গের শিথিলতা : লিঙ্গ ঠিকমতো উত্থিত না হওয়া বা মাঝে মাঝে উত্থিত হওয়া অথবা উত্থিত হয় কিন্তু বেশিক্ষণ এ অবস্থায় না থাকা। এটা দ্রুত বীর্যপাত ঘটানোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। যৌনসঙ্গমের সময় লিঙ্গের উত্থান অবস্থা বেশিক্ষণ থাকবে না। এমন ভয়ও দ্রুত বীর্যপাত ঘটাতে পারে।

🔮স্বাস্থ্যগত সমস্যা : যদি এমন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে যার কারণে যৌনমিলনের সময় উদ্বেগ অনুভব করে যথা- হৃদরোগ থাকে। এতেও দ্রুত বীর্যপাতের ঘটনা ঘটতে পারে।

🔮মানসিক চাপ : আবেগজনিত কারণ কিংবা মানসিক দুশ্চিন্তা বা চাপ দ্রুত বীর্যস্খলনের ব্যাপারে ভূমিকা রাখে।

🔮জটিলতা : যদিও দ্রুত বীর্যপাত আপনার মারাত্মক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ায় না। কিন্তু এটা ব্যক্তিগত জীবনে ধস নামাতে পারে। যেমন-সম্পর্কে টানাপড়েন। দ্রুত বীর্যপাতের সাধারণ জটিলতা হলো যৌনসঙ্গিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি।

🔮প্রতিরোধ : দ্রুত বীর্যপাতের কারণে যৌনসঙ্গিনীর সঙ্গে ঠিকমতো যোগাযোগ বন্ধন গড়ে উঠতে নাও পারে। চরম পুলকে পৌঁছতে পুরুষের তুলনায় নারীর দীর্ঘ উদ্দীপনার প্রয়োজন হয় আর এই পার্থক্য একটা দম্পতির মধ্যে যৌন অসন্তুষ্টি ঘটাতে পারে। অনেক পুরুষ যৌনমিলনের সময় চাপ অনুভব করেন বলে দ্রুত বীর্যপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

নারী ও পুরুষ একে অপরকে বুঝতে পারলে দু’জনের জন্যই যৌন আনন্দ লাভ করা সহজ হয়। এতে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাও দূর হয়। যদি সঙ্গিনীর কাছ থেকে যৌনসুখ লাভ না করেন তাহলে তার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করুন। আপনাদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায় তা খুঁজে বের করুন এবং প্রয়োজনে একজন ভালো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এ ক্ষেত্রে সব লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে আলাপ করুন। দেখবেন সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

🔮চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিতে এ রোগের চিকিসৎসা অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়ে থাকে, যা সম্পূর্ণরূপে স্থায়ী নিরাময় করা সম্ভব। এ জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ - Agnus cast, Turnera, Lycopodium, Tribulas, Titanium, Nufer Lut, Ashwagandha, Damiana সহ অসংখ্য ঔষধ রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় একেক রোগীর একেক ধরনের ঔষধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় লক্ষন ভেদে। রোগী, রোগের লক্ষণ ও মাত্রা ভেদে এসব ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।এখানে রোগ লক্ষনটা ও মাত্রার বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই একজন অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ সেবন করলেই এই সমস্যার সঠিক ও স্থায়ি সমাধান পাবেন ইনশা'আল্লাহ্।
Dr. A S A Mamun
DHMS (BHB)
M S S
☎01990912372☎01830500703