19/03/2025
ব্যাক-পেইন । নেইক পেইন । মিডল ব্যাক পেইন । লোয়ার ব্যাক পেইন । বাটক পেইন । টেইল বোন পেইন | স্পনডাইলোসিস | স্পনডাইলো-লাইসিস । স্পনডাইলো-লিসথেসিস। লাম্বাগো-সায়াটিকা । ডিস্ক প্রলাপ্স । নার্ভ রুট কমপ্রেশন। রিউমাটোলজি বা বাত ব্যথা | আর্থ্রাইটিজ | প্যারালাইসিস । কাধের ব্যথা । কনুইয়ের ব্যথা । হাতের কব্জির ব্যথা । কুচকির ব্যথা । হাটুর ব্যথা । পায়ের গোড়ালীর ব্যথা । সফ্ট টিস্যু ইনজুরি । স্পোর্টস ইনজুরি । অর্থোপেডিকস ও নিউরোলজিক্যাল জনিত সমস্যা । গাইনোকোলজিক্যাল জনিত সমস্যা । পেডিয়াট্রিকস ও জেরিয়াট্রিকস জনিত সমস্যা ।
কি কি নিয়ম-কানুন মেনে চললে, একজন বাত-ব্যথা, আর্থ্রাইটিজ ও প্যারালাইসিসের নতুন, পুরাতন ও দীর্ঘ মেয়াদি রোগী মেডিসিনের পাশাপাশি, ইনট্রা-আর্টিকুলার ইনজেকশন ও ইন্টারভেনশনার পেইন ম্যানেজমেন্ট এবং ফিজিওথেরাপি, অকৃপেশনাল থেরাপি ও স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন এবং সুস্থ থাকতে পারবেন।
ইনট্রা-আর্টিকুলার ইনজেকশন ও ইন্টারভেনশনার পেইন ম্যানেজমেন্ট চিকিৎসা দেয়ার পরেও কিছু রোগী আবার সমস্যায় ভোগে কিছু নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করার কারণে। ইনজেকশন দেয়ার পরও একজন বাত-ব্যথা, আর্থ্রাইটিজ ও প্যারালাইসিসের নতুন, পুরাতন ও দীর্ঘ মেয়াদি রোগীকে অবশ্যই কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। তা না হলে ছোট্ট ভুলের কারনে আবার পুনরায় সমস্যায় ভুগতে হয় ।
একজন বাত-ব্যথা, আর্থ্রাইটিজ ও প্যারালাইসিসের নতুন, পুরাতন ও দীর্ঘ মেয়াদি রোগীকে যে বিষয় গুলো লক্ষ্য রাখা উচিতঃ
১) কোন কোন অবস্থায় আমাদের মেরুদন্ডে কত টুকু পরিমান প্রেসার বা চাপ পড়ে তা খেয়াল রেখে দৈনন্দিন কাজ করা।
২) সামনে ঝুকে বেশিক্ষন বসে না থাকা বা কাজ না করা। এসি রুমে বেশিক্ষন না থাকা বা কাজ না করা।
৩) সঠিক নিয়মে পরিমান মত ওজন তুলতে হবে এবং বহন করতে হবে।।
২) সামনে ঝুকে ভারী কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সামনে ঝুকে মোটর সাইকেল চালাবেন না।
৩) কোদাল-কুড়ালের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ভাঙ্গা রাস্তায় ভ্রমন করবেন না।
৪) কোমড়ে মোচড় খায়, এই ধরণের কাজ গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। স্বাভাবিক কাজ করুন।
৫) শেখানো ব্যায়াম গুলো নিযমিত দুইবার করে বাসায় করার অভ্যেস করতে হবে।
৬) ব্যায়ামগুলো করার পর উক্ত স্থানে হালকা গরম সেক দিবেন এবং আক্রান্ত স্থানে ব্যথার জেল লাগাবেন।
৭) কনসালটেন্টের পরামর্শ অনুযায়ী ঘাড়, পিঠ, কোমড়, হাটু ও পায়ের গোড়ালীতে এ্যাসিসটিভ ডিভাইছ ব্যবহার করবেন।
৮) সকাল ও বিকাল বেলা প্রতিদিন দুই বেলা করে দশ মিনিট করে হাটার অভ্যেস করবেন।
৯) প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যেস করুন। ফার্ম বেড বা জাজিম ও তোষক যুক্ত বিছানা ব্যবহার করুন।
১০) শারীরিক ওজন কন্ট্রোলে রাখুন এবং শবজি, মাছ, তরকারী, সালাদ ও পানি পরিমিত মাএায় গ্রহন করুন।
উক্ত নিয়ম কানুন গুলো মেনে চললে ইনট্রা-আর্টিকুলার ইনজেকশন ও ইন্টারভেনশনার পেইন ম্যানেজমেন্ট চিকিৎসা দেয়ার পরেও রোগী আজীবন সুস্থ থাকতে পারবেন। এপিডুরাল স্টেরয়েড ইনজেকশনে তেমন সাইড ইফেক্ট না থাকায়, আধুনিক চিকিৎসায় এটি অন্যতম।
এপিডুরাল স্টেরয়েড ইনজেকশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য যানতে যোগাযোগ করুনঃ ০১৩১৬১৭৪৩৭১
স্পন্ডিলাইলোসিস হল মেরুদণ্ডের প্রদাহ। এটি স্পন্ডিলোপ্যাথির একটি রূপ। অনেক ক্ষেত্রে, স্পন্ডিলাইরোসিসে এক বা একাধিক মেরুদণ্ডের জয়েন্টগুলি জড়িত থাকে। কোমর ব্যথার অন্যতম কারণ এই স্পন্ডালাইটিস।
মানুষের প্রতিটি জয়েন্টের হাড় Cartilage নামক এক ধরনের নরম হাড় দিয়ে ঢাকা থাকে যা হাড়ের ঘর্ষণ জনিত ক্ষতি থেকে হাড়কে রক্ষা করে। আর এই জয়েন্টে হাড়ের মসৃণ মুভমেন্টের জন্য শরীর থেকে এক প্রকার পিচ্ছিল তরল জাতীয় পদার্থ (Synovial Fluid) নিঃসৃত হয়ে থাকে।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে ও নানাবিধ কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে উক্ত পদার্থের নিঃসরণ কমে যেতে পারে। ফলে জয়েন্টের কার্টিলেজ ক্রমান্বয়ে শক্ত হয়ে ভাংতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে হাড়ে হাড়ে ঘর্ষণ হতে থাকে। ফলে জয়েন্টে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং ব্যথার তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।
সঠিক চিকিৎসা এই Synovial Fluid তৈরিতে ভূমিকা রেখে Cartilage-কে ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে এবং জয়েন্টের কার্যক্ষম স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি আপনার শারিরীক ফিটনেস এর চিকিৎসা করতে হবে। কেননা আপনি ভাল হয়ে যাবার পর পুনরায় আবার আগের কাজে ফিরে যেতে হবে। রোগাক্রান্ত হওয়ার আগের শরীর নিয়ে, এখনকার শরীর নিয়ে নয়।
About Prof. Dr. Md. Abu Saleh Alamgir
প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর বি পি টি (মেডিসিন ফ্যাকাল্টি – ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়), এম ডি (ফিজিওথেরাপি মেডিসিন –ইন্ডিয়া), এম পি এইচ ( পাবলিক হেল্থ এন্ড নিউট্রিশন – এ আই ইউ বি), এম ডি এম আর (ডিজএ্যাবিলিটি এন্ড রি-হ্যাবিলিটেশন – ইউ এন আই সি), পি এইচ ডি (ব্যাক-পেইন এন্ড স্পাইন কেয়ার – আমেরিকা)
প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাএ ব্যাক-পেইন ও স্পাইন হেয়ার এবং কাইরোপ্রাকটর, পাবলিক হেল্থ ও নিউট্রিশন এবং ডায়েট কাউন্সেলিং, ডিজএ্যাবিলিটি ও রি-হ্যাবিলিটেশন এবং ফিজিক্যাল ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সিনিয়র ফিজিওথেরাপি মেডিসিন কনসালটেন্ট
প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর একজন বিশিষ্ট ব্যাক-পেইন ও পেইন স্পেশালিস্ট, যিনি বিভিন্ন ধরণের সমন্বিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ইন্টারভেনশনাল পেইন ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি প্রয়োগ করে নতুন, পুরাতন ও দীর্ঘ মেয়াদি বাত – ব্যথা, আর্থ্রাইটিজ ও প্যারালাইসিস রোগীদের চিকিৎসা করেন।
প্রফেসর ডাঃ মোঃ আবু সালেহ আলমগীর
বি পি টি, এম ডি, এম পি এইচ, এম ডি এম আর, পি এইচ ডি
পাবলিক হেল্থ ও নিউট্রিশন এবং ডায়েট কাউন্সেলিং বিশেষজ্ঞ
সিনিয়র ফিজিওথেরাপি মেডিসিন কনসালটেন্ট
কনসালটেন্ট ফিজিওথেরাপি এন্ড বিভাগীয় প্রধান
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মতিঝিল, ঢাকা