Dr. Salim Shah Babu

Dr. Salim Shah Babu Doctor

10/06/2025

২০২০ সালের নোভেল করোনা ভাইরাস কে মনে আছে?
আবার ফিরে এসেছে সেই করোনা,নতুন রূপে!

পরিচিতিঃনোভেল করোনা(SARS-CoV-2) এর এখন পর্যন্ত ৫টি প্রজাতি এসেছে-Alpha,Beta,Delta,Gamma,Omicron.
এবার যেগুলো ফিরে এসেছে এগুলো Omicron প্রজাতির।
মিউটেশনের সাথে সাথে Omicron এর আবার অনেক উপজাত হয়েছে-BN,XBB,JN.1,ইত্যাদি।
এদের মধ্যে JN.1 বর্তমানে ব্যাপক তান্ডব চালাচ্ছে।
JN.1 এর জাতগুলো হলো XFG,XFC,NB 1.8.1
ভারতে ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়েন্ট হলো NB 1.8.1
এবং বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া রোগীদের প্রায়ই সব রোগী XFG ও XFC ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) থেকে জানা গেছে, এই সাবভ্যারিয়েন্টটি বর্তমানে সক্রিয় অন্যান্য করোনা ভাইরাসের থেকে প্রায় চারগুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এছাড়া বাজারে প্রচলিত করোনা টিকাগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর নয়।

লক্ষণঃ
-গলাব্যথা
-জ্বর
-খুব দ্রুত ক্ষুদা চাহিদা কমে যাওয়া
-জয়েন্টে ব্যথা,
তবে অনেক ক্ষেত্রে এটি ব্যথাহীন ভাবে আক্রমণ করছি।
⚠️এটির আরেকটি বড় সমস্যা হলো-এটি নাকের সোয়াব পরীক্ষায় অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ফলাফল দিচ্ছে না।কারণ এটি গলাকে আক্রমণ না করে সরাসরি ফুসফুস কে আক্রান্ত করছে এবং নিউমোনিয়া সৃষ্টি করছে।

✅ কী করণীয়?
1. মাস্ক ব্যবহার করুন-বিশেষ করে ভীড় বা ঘন এলাকায় ।
2. হাত পরিষ্কার রাখুন-সাবান বা স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।
3. লক্ষণ দেখুন
4. পরীক্ষা করান
5. চিকিৎসা নিন

দেশে গত মে মাস থেকেই করোনার প্রকোপ বাড়ছে।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশে ২৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু মে মাসে এই সংখ্যা বেড়ে হয় ৮৬।বৃহস্পতিবার (৫ জুন) করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারাও যান।দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনকে পরীক্ষা করে তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন-এটির শনাক্তের হার বেশ অনেক বেশি! সুতরাং সাবধান থাকুন, সুস্থ থাকুন!

“সান্ডা আর গুইসাপ—ভ্রান্তির অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া হালাল-হারামের সীমারেখা”বৃষ্টির দেশে মরুর প্রাণীর গল্প,খেজুরের ছায়ায...
16/05/2025

“সান্ডা আর গুইসাপ—ভ্রান্তির অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া হালাল-হারামের সীমারেখা”

বৃষ্টির দেশে মরুর প্রাণীর গল্প,
খেজুরের ছায়ায় যে নামটা জনপ্রিয়—সান্ডা।
অথচ, বাংলার মাটিতে ঘুরে বেড়ানো গুইসাপকে কেউ কেউ ধরে, ভাবে—এই বুঝি সেই আরবের তেলে ভাজা হালাল প্রাণীটা!

আমাদের দেশে এখন একটা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে—
সান্ডা আর গুইসাপকে এক মনে করে অনেকে বাজারে বিক্রি করছে, কেউ কেউ খাচ্ছেও। অথচ এই দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রাণী।

চলুন দুটো প্রাণীকে চিনে নিই:
১. সান্ডা (Uromastyx): মরুর নিরীহ অতিথি

আবাস: মূলত সৌদি আরব, মিশর, মরক্কো, ও আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চল।
খাদ্যাভ্যাস: ঘাস, পাতা ও ফলমূল—অর্থাৎ নির্ভেজাল তৃণভোজী।

ইসলামে অবস্থান:
হাদিস অনুযায়ী, নবী করিম (সা.) নিজে সান্ডা খাননি, কিন্তু সাহাবিরা খেয়েছেন এবং তিনি নিষেধ করেননি। অর্থাৎ এটি হালাল।
বাংলাদেশে কী পাওয়া যায়? না। এটি মরুভূমির প্রাণী, আমাদের দেশে সান্ডা পাওয়া যায় না।

২. গুইসাপ (Monitor Lizard): আমাদের মাংসাশী প্রতিবেশী
আবাস: বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল।
খাদ্যাভ্যাস: ছোট প্রাণী, পাখি, সাপ ইত্যাদি শিকার করে—অর্থাৎ হিংস্র ও মাংসাশী।
ইসলামে অবস্থান:
এটি #হারাম—কারণ এর দাঁত তীক্ষ্ণ, স্বভাব হিংস্র এবং শিকারি। নবী (সা.) এই প্রাণীর মাংস থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের আইন:
গুইসাপ সংরক্ষিত বন্যপ্রাণী। একে ধরা, মারা, বিক্রি বা খাওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ (বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ২০১২)।

সান্ডা (Uromastyx বা Spiny-tailed Lizard)—মরুভূমির এক নিরীহ তৃণভোজী সরীসৃপ। আরব বিশ্বের অনেক জায়গায় একে বলা হয় "Dabb" (ضبّ)। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী এটি হালাল, কারণ এটি নিরীহ, তৃণভোজী এবং নবী করিম (সা.) নিজে না খেলেও সাহাবিরা যখন খেলেন, তিনি তা নিষেধ করেননি। মরু অঞ্চলের অনেক জনগোষ্ঠী এই প্রাণীটির মাংস ও তেলকে উপকারী ও পুষ্টিকর মনে করেন।

সান্ডার মাংসে ক্যালরি খুব কম, কিন্তু প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম সান্ডা মাংসে প্রায় ১৮ থেকে ২২ গ্রাম প্রোটিন থাকতে পারে। ফ্যাট থাকে খুবই কম, মাত্র ২ থেকে ৫ গ্রাম, এবং কার্বোহাইড্রেট প্রায় শূন্য। এই কারণে এটি হালকা ও সহজপাচ্য প্রোটিন উৎস হিসেবে ধরা হয়। এতে আছে ভিটামিন B কমপ্লেক্স, বিশেষ করে B12, এবং খনিজ উপাদান যেমন আয়রন, জিঙ্ক ও ফসফরাস, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

আরেকটি জনপ্রিয় ব্যবহার হলো—সান্ডা তেল। মরুভূমির মানুষজন এই তেলকে বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহার করে আসছে লোকজ চিকিৎসায়। বিশেষ করে ইউনানী ও হাকিমি চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হয় যৌন দুর্বলতা, পেশির ব্যথা ও বাতজনিত সমস্যার জন্য। আরব ও উপমহাদেশের অনেক হাকিম ও কবিরাজ এই তেলকে “মরুভূমির আফরোদিজিয়াক” বলেন।

তবে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এখনও সান্ডার তেলের উপকারিতা নিয়ে পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি, তাই একে অলৌকিক ভাবার আগে সচেতনতা ও প্রমাণভিত্তিক তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশে সান্ডা পাওয়া যায় না। এটি মূলত সৌদি আরব, ওমান, কুয়েত, আরব আমিরাত ও উত্তর আফ্রিকার কিছু অংশে দেখা যায়। একারণে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেক সময় সান্ডার নাম শুনে ভাবেন এটি গুইসাপ। অথচ দুটিই আলাদা প্রাণী—গুইসাপ মাংসাশী ও হারাম, আর সান্ডা নিরীহ ও হালাল।
একটি সচেতনতা হয়তো কারো পাপ থেকে বাঁচাবে।

10/05/2025

ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য
শাহবাগ, ঢাকা।।

22/02/2025

সামনের কিছুদিন একটু সাবধানে বেঁচে থাকেন। বিশেষ করে বড় শহরগুলোতে যাঁরা থাকেন, খুব সাবধানে থাকবেন।
আপনারা আমার প্রফাইল ঘুরলে দেখবেন, বেশ কিছুদিন ধরে দেশে ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটা অপরাধ আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি, বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।

স্বাভাবিকভাবেই কেউ যদি একটা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন পড়ে থাকে, উক্ত বিষয়ে তার জ্ঞান অন্যান্যদের চেয়ে কিছুটা বেশিই হবে।

এই কদিনের বিশ্লেষণে আমি এক ভয়াবহ ব্যাপার লক্ষ্য করেছি। ব্যাপারটা এতটাই এলার্মিং আর সেন্সিটিভ যে, আমি তা প্রকাশ্যে বলতেও পারব না। আবার পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে বলাটাও ঠিক হবে না।

তবে এতটুকু নিশ্চিত থাকেন যে, আগামী কিছুদিন বড় বড় শহরগুলোতে অপরাধপ্রবণতা অত্যন্ত উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাবে। এখনই যা অবস্থা, এরচেয়ে আরও বাড়লে কি হবে তা কি আপনারা ভাবতে পারছেন?

আপাতত আমি আপনাদের কিছু পরামর্শ দিতে পারি নিজ অভিজ্ঞতার আলোকে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগটা নিয়ে পড়ে আছি, আবার সম্প্রতি নিজে একটা ছিনতাইয়ের শিকার হলাম, তাই মোটামুটি আমার পরামর্শগুলো চোখ বন্ধ করে মেনে চলতে পারেন। লাভ না হলেও অন্তত ক্ষতি হবে না, এতটুকু বলতে পারি।

১. সন্ধ্যের পর খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ না থাকলে বের হবেন না।

২. রাতে দরজা, জানালা খুব ভালোভাবে চেক করে নেবেন, বন্ধ করেছেন কি না। দরজা বা জানালা কিংবা বারান্দায় দূর্বল কোনো স্ট্রাকচার থাকলে তা মেরামত করে নিন। ভালো সিকিউরিটিযুক্ত বাসায় থাকলে আপনার জানালা এবং বারান্দা সিকিউর করুন।

৩. এক দুই হাজারের বেশি ক্যাশ টাকা নিয়ে দিনে বা রাতে বাইরে হাঁটবেন না, সেটা যত স্বল্প দূরত্বেরই হোক না কেন। মোটামুটি পাঁচ হাজার টাকা পকেটে থাকলেও ওরা সামহাউ টের পেয়ে যায়।

৪. আপনার ব্যাংক কার্ড একান্তই প্রয়োজন না হলে সাথে রাখবেন না। কার্ডে যদি এনএফসি সার্ভিস এনাবল করা থাকে তবে ব্যাংকে কল করে তা বন্ধ করে নিন।

৫. দামী ফোন, ল্যাপটপ, প্যাড, ক্যামেরা বা অন্য কোনো দামী ডিভাইস নিয়ে বের হবেন না। আপাতত এগুলো বাসায় সিকিওরড জায়গায় রাখুন।

৬. মহিলারা দামী হোক, কমদামী হোক, কোনো গহনা পরে বের হবেন না। বিশেষ করে নাক এবং কানে তো নাই। নাক এবং কান ছিঁড়ে নিয়ে যাবার অসংখ্য রেকর্ড আছে।

৭. রাস্তায় ফোন বের করে টেপাটেপি করবেন না বা কথা বলবেন না।

৮. বাসে উঠলে জানালার পাশে না বসার চেষ্টা করবেন। জানালার পাশ বসুন বা না বসুন, পকেট থেকে ফোন বের করবেন না খবরদার।
প্রাইভেট কারে থাকলে কারের জানালা বন্ধ রাখুন, একটুও ফাঁকা রাখবেন না।
উবারে এ্যাপ থেকে কল দিয়ে যাবেন, ভুলেও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কিছু লোক দামাদামি করে, ওদের সাথে রাইড নেবেন না।

৯. সিএনজিতে উঠলেও ফোন, ব্যাগ সাবধানে রাখুন। সিএনজির পর্দা কেটে ছিনতাই করতে দেখা গেছে অনেকগুলো।

১০. অপরচিত কারও সাথে একদম কথা বলবেন না।

১১. অপেক্ষাকৃত নির্জন রাস্তা দিয়ে কোনোভাবেই একা একা যাবেন না।

১২. যদি মনে হয় কেউ আপনাকে ফলো করছে, মানসম্মানের ভয় না করে দৌড়ে কোনো জনসমাগমে চলে যান।

১৩. ছিনতাইকারীরা আপনার ব্যাগ, পার্স, ডিভাইস বা মালামাল নিয়ে টানাটানি করলে ছেড়ে দিন। জোর করতে যাবেন না। ওরা আপনাকে মেরে ফেলতে এক সেকেন্ডও ভাবে না। ওরা মানুষ না। আপনার জিনিসের চাইতে আপনার জীবন মূল্যবান। বেঁচে থাকলে আবারও জিনিস ক্রয় করতে পারবেন।

১৪. কোনো ছিনতাইকারী আপনাকে ছিনতাই করে পালানোর সময় যদি তাকে চিনে ফেলেন, তবে ভুলেও বলতে যাবেন না, অমুক, তুই এই কাজ করলি? আপনি চিনে ফেলামাত্রই ওরা আপনাকে মেরে ফেলবে।

১৫. চিৎকার করে লোক ডেকে বা ৯৯৯ এ ফোন করে কোনো লাভ নেই। আমি নিজে এসব করে দেখেছি, কেউ আসে না। সবাই নীরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে দেখে শুধু।

১৬. আপাতত এই পয়েন্টটাই লাস্ট। এটা ইচ্ছে করেই লাস্টে রেখেছি। এই পয়েন্ট অনেকে মানতে চাইবেন না, কেউ কেউ হেসে উড়িয়ে দেবেন, আবার কারও কারও কাছে ব্যাপারটা বিতর্কিত মনে হতে পারে-

"আপনার বাসা যদি ঢাকা বা বড় কোনো শহরে অপেক্ষাকৃত কম সিকিউরিটিযুক্ত এলাকায় হয় এবং আপনার বাসায় দেখতে মোটামুটি সুন্দর কোনো মেয়েলোক থাকে কিংবা মাঝবয়েসী থেকে অল্পবয়সী কোনো মেয়ে থাকে, আমার মতে আপাতত তাকে/তাদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিন। চুরি বা ছিনতাইয়ের সময় এরাও টার্গেট থাকে। মনে রাখবেন, আপনি চিৎকার করে মরে গেলেও পাশের বাসা থেকে একজনও বেরিয়ে আসবে না। সবাই বরং দরজা জানালা ভালো করে বন্ধ করে দেবে।"

লাস্ট পয়েন্টটা আমার বাড়াবাড়ি নয়। সম্প্রতি এমন ঘটনা দুয়েকটা ঘটতে দেখা গেছে।

আরেকটা কথা, রাতের বেলা দূর পাল্লার বাস, কার বা ট্রেন জার্নি করা থেকে বিরত থাকুন পারলে।

উপরোক্ত কথাগুলো আমি কাউকে আতংকিত করার জন্য বলিনি। নিজ অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ঘটনা শেয়ার করলাম। এতে যদি একজনও উপকৃত হয়, এটাও বা কম কি!

© Humayun Kabir

20/02/2025

🍀কুকুড়ের কামড়/বিড়ালের আচড় 🍀

🌸র‍্যাবিস নিয়ে যত প্রশ্ন,তত উত্তর🌸

পৃথিবীতে খুব কম রোগ ই আছে,
যা হলে মৃত্যু অনিবার্য তথা ১০০% মৃত্যু

র‍্যাবিস হলো তারমধ্য অন্যতম,
অর্থাৎ র‍্যাবিস হলে রক্ষা নেই, ১০০% মৃত্যু নিশ্চিত

কুকুর/বেড়াল যত আপন ই হোক না কেনো সে
কাউকে আচড়,কামড় দিলে ভ্যাক্সিন নিতে হবে

এটা ভাবা যাবেনা পালা বেড়াল/কুকুর
আদরের কিছু হবে না, কুকুর বেড়াল আপনার আপন হতে পারে তবে তার শরীরে বহন করা র‍্যাবিস আপনার আপনজন নয় (সাধু সাবধান)

বড়ির পোষ্য কে নিয়মিত ভ্যক্সিন দিন আর আচড় কামড় লাগলে নিজে ভ্যক্সিন নিন

🛟কামড় দেয়ার কত দিনের মধ্যে Rabies হতে পারে?

✅উত্তর:
কামড় দেয়ার ৫ দিন থেকে কয়েক বছরের মধ্যে হতে পারে ( সাধারণ ২/৩ মাস,রেয়ারলি ১ বছরের বেশি)

তবে এটা নির্ভর করে
কোথায় কামড় দিয়েছে,কতটুকু ক্ষত হয়েছে,ভাইরাসের লোড কেমন ছিল তার উপর

কামড় CNS এর যত কাছে তত দ্রুত লক্ষন প্রকাশ পাবে(হাতে/ঘাড়ে কামড় দিলে অল্প ক'দিনের মধ্যেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাবে)

🛟কোন প্রানীকামড় দিলে ভ্যাক্সিন দিতে হবে??

কুকুর,বেড়াল,শেয়াল,বানর,বেজি,বাদুড়

🛟মানুষের কামড়ে ভ্যাক্সিন দিতে হবে??

✅উত্তর : না

🌼তবে র‍্যাবিসে আক্রান্ত মানুষের লালা যদি কোনো ক্ষতস্থানে লাগে তখন র‍্যাবিসে আক্রান্ত হতে পারে
তাছাড়া মানুষের কামড়ে ভ্যাক্সিন লাগবে না

🛟ইদুঁরের,খরগোশ,গুইসাপ,কাঠবিড়ালি কামড়ে ভ্যাক্সিন দিতে হবে??

✅উত্তর: না

🛟গর্ভাবস্থায় কিংবা Lactating mother কি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিন নিতে পারবে??

✅উত্তর : হ্যা

🛟 কুকুর বিড়ালের কামড় বা আঁচড় দিলেই কি র‍্যাবিস হতে পারে??

✅উত্তর : না

র‍্যাবিস হতে হলে প্রাণীটিকে অবশ্যই র‍্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হতে হবে

🛟ভ্যাক্সিন কত দিনের মধ্যে দিতে হয়?

🌼উত্তর :
২৪-৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেয়া ভালো (যত দ্রুত সম্ভব)

র‍্যাবিস বহনকারী প্রাণী কামড়ানোর পর দ্রুত ভ্যক্সিন দিতে হবে ভুলে দেরি হলে যখন ই আসবে তখন ই ভ্যাক্সিন দিতে হবে

🛟প্রাণী কামড়ানোর পর প্রথম কি করতে হবে??

✅উত্তর:
প্রথমে আক্রান্ত জায়গা ও তার আশেপাশের জায়গা ২০-৩০ মিনিট কাপড় কাচা সাবান পানি দিয়ে ধুতে হবে

🌼ডেটল,হেক্সিসল,গোসলের সাবান দিয়ে ধুলে হবে না

🛟র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনের ডোজ কয় টি??

✅যদি Intradermal দেয়া হয় তাহলে ৩ টি ডোজ
০, ৩য় ও ৭ম দিন

I/D দুই বাহুতে দিতে হয় (০.১মিলি /১০ইউনিট করে)

প্রতি ভায়ালে ১মিলি থাকে

একটা ভায়াল থেকে ৫ জন কে দেয়া হয়(সরকারি হাসপাতালে এভাবে দেয়া হয়)

✅যদি Intramuscular দেয়া হয় তাহলে ৪ টা ডোজ
(New guideline)

০,৩য় ,৭ম ,১৪তম দিন

🛟 RIG কখন দিতে হয়??

✅উত্তর: ক্যাটাগরি ৩ তে Inj ARV Inj RIG দিতে হবে

🌼র‍্যাবিস ভ্যক্সিন দেয়ার ৭ দিনের মধ্যে RIG দিতে হবে (তবে সাথে সাথে দেয়াই ভালো)

🛟RIG র ডোজ কত??

✅উত্তর:
ERIG 40 IU/kg max 3000 IU (এটাই দেয়া হয়)
HRIG 20 IU/kg max 1500 IU

RIG র এক ভায়ালে 1000IU/5ml থাকে

🛟 RIG কিভাবে দিবো??

✅উত্তর:
ক্ষত স্থানের চারদিকে ফ্যানশেপ ম্যানারে ইনসুলিন সিরিঞ্জ দিয়ে দিতে হবে

🛟একবার ভ্যাক্সিন দেয়ার পর যদি RABIES বহন কারী প্রানী আবার কামড়ায় তাহলে ডোজ সিডিউল টা কেমন হবে??

🔍প্রথমবার ডোজ কমপ্লিটের পরে সাধারত ৩ মাস পর্যন্ত আবার এক্সপোজার হলে বা কামড়ালে ভ্যক্সিনের প্রয়োজন নেই

🔍৩ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে কামড়ালে দুটো ডোজ ০ ও ৩য় দিন

🔍৫ বছর পর হলে ফুল ডোজ দিতে হবে


🌼কামড় দেয়া জায়গায় কোন Suture দেয়া যাবে না

🛟আচঁর লেগেছে রক্ত বের হয়নি ভ্যাক্সিন দিবো??

✅উত্তর : হ্যা
আচঁর দিলে রক্ত বের না হলেও ভ্যাক্সিন দিতে হবে

🛟কুকুর বেড়াল গায়ে ঘেষে গেছে,শুধু লালা লেগেছে ভ্যাক্সিন লাগবে??

✅উত্তর: নাহ

তবে শরীরের ক্ষতস্থান র‍্যাবিস ভুক্ত কোনো প্রাণী চাটলে ভ্যাক্সিন নেয়া ভালো

🛟র‍্যাবিস কি করে হয়??

✅✅
কুকুর/বেড়ালের লালায় থাকে র‍্যাবিস ভাইরাস

কুকুর/বেড়াল যখন মানুষ কে যখন কামড় দেয় তখন
যে জায়গায় কামড় দিয়েছে সে জায়গার Myocyte এ
Multiply করবে তারপর Neuromuscular junction এ যেয়ে muscle cell এর nicotinic receptor এর সাথে bind করবে এবং receptor দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে (neuromuscular junction দিয়ে motor neuron এ চলে যাবে) অর্থাৎ এক্সনের সহায়তায় Peripheral Nerve থেকে CNS পর্যন্ত পৌছাবে

Spinal cord এর motor neuron,local dorsal root ganglia তে রেপ্লিকেট করে ব্রেইন পর্যন্ত পৌছাবে
(নিউরন এ demyelination ঘটায় আর encephalitis করে)

ব্রেইন থেকে আবার peripheral nerve দিয়ে এরা বিভিন্ন organ এ যায় যেমন salivary gland,skin,cornea(লক্ষন প্রকাশ পাওয়া অব্দি saliva ২ সপ্তাহ পর্যন্ত Infectious থাকতে পারে)

র‍্যাবিস হলে ৩ টি ফোবিয়া হয়

Aerophobia
Hydrophobia
Photophobia

🛟জলাতঙ্ক (জলে আতংক) কেনো হয়?

অপর দিকে পানি পান করার সময় আমাদের গলার, খাদ্যনালীর মাংশপেশিগুলো শিথিল হয়ে যায়, ফলে অনায়াসেই আমরা পানি পান করতে পারি কিন্তু র‍্যাবিসে আক্রান্ত হলে, গলা ও খাদ্যনালীর মাংশপেশিগুলো প্রবলভাবে সংকুচিত হয় ফলে এক ফোঁটা পানি ভেতরে ঢুকতে পারে না, সেই সাথে অনুভূত হয় তীব্র ব্যাথা

অপর দিকে
সৃস্টিকর্তা প্রদত্ত ভাবে পানি খাওয়া আর শ্বাস এক সাথে নেয়া যায় না
একটা বন্ধ থাকতে হয়,র‍্যাবিসে আক্রান্ত রা শ্বাস বন্ধ রাখতে পারেনা, ফলে পানি দেখামাত্রই রোগী ভয়াবহ রকমের আতংকিত হয়ে পড়ে

© dr.ismat Alo

29/01/2025

Rabies Vaccine

সিনারিও-১
সাজেদা খুবই সেনসিটিভ মানুষ, সব কিছুতেই ভয় পায়, শহর থেকে গ্রামে আসলো, একটা কুকুর /বিড়াল তার শরিরের সাথে টাচ লাগলো- কামড় কিংবা আঁচড় লাগেনি-
কোন দাগ নাই- তার কি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিন লাগবে?
কয়টা ডোজ লাগবে-

সিনারিও-২- মাজেদাকে গৃহপালিত কুকুর/বিড়াল আঁচড় দিলো,কিছুটা Localised swelling আছে, কোনো ব্লিডিং হয়নাই-
বিড়াল/কুকুর এর কোনো রোগ নাই, নিয়মিত ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়, এখন মাজেদার করনীয় কি?

সিনারিও-৩
সালেহাকে কুকুর/বিড়াল আঁচড় দিলো, বিড়াল /কুকুর ভ্যাক্সিনেটেড কিনা জানা নাই- বিড়াল/কুকুর টা গৃহপালিত না- আঁচড়ের কারণে localised swelling হলো, কোনো ব্লিডিং হয়নাই, তার কোন ভ্যাক্সিন লাগবে কিনা?

সিনারিও-৪
পেয়ারা বেগম কে বিড়াল কামড় /আঁচড় দিলো-
ব্লিডিং হলো, করনীয় কি?

সিনারিও-৫:
পেশেন্ট ভ্যাক্সিন পাওয়ার কতিদিনের মধ্যে আবার বিড়াল কামড় দিলে ভ্যাক্সিন লাগবে?

প্রশ্নগুলির উত্তর আপনারা দিবেন-
তার আগে জেনে নিই-
Animal bite /Scratch কে ৩ টা ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়-

Category -1
শুধু rabid Animal এর টাচ লাগলো, No swelling or no bleeding :
কথনীয় - কেবল জায়গাটা সাবান /Antiseptic দিয়ে ধুয়ে নিন, আর কিছু করার দরকার নাই-

Category -2
বিড়াল কিংবা কুকুর আঁচড় দিলো কিংবা কামড় দিলো, জায়গা টা ফুলে গেলো, কিন্ত কোনো ব্লিডিং হয়নাই-
এই ক্ষেত্রে হিস্ট্রি নেন-- বিড়াল /কুকুর গৃহপালিত কিনা?
রিসেন্ট ২-৩ মাসে তাদের মধ্যে কোনো aggressive আচরণ দেখেছেন কিনা, drooling of saliva or পায়ে সমস্যা আছে কিনা? যদি গৃহপালিত হয়, আর বিড়াল/কুকুর সুস্থ হয়, তাহলে কিছুই করা লাগবেনা, antiseptic দিয়ে ওয়াশ করে ফেলুন- কিন্ত যদি কুকুর /বিড়ালের পরিস্থিতি জানেন না,
তাহলে সেইক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন লাগবে- তবে কোনো Immunoglobulin লাগবেনা--

No bleeding মানে No Immunoglobulin

Category -3
বিড়াল /কুকুরের আঁচড়ে ফুলে গেলো, কিংবা কোথাও skin break হলো, মানে কোথাও রক্ত বের হওয়ার উপক্রম হলো,
তাহলে এইটাকে ক্যাটাগরি -৩ তে রাখা হবে-
Bleeding or bleeding mark = Category -3
এই ক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন + immunoglobulin ২ টাই লাগবে-
(Immunoglobulin one single dose)

র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনের সর্বশেষ আপডেট-
আগে ১ মাসে ৫ টা ডোজ দেওয়া হতো-
এখন WHO I/M দিলে ৪ টা ডোজ দিতে বলেছে-
আর intra dermal দিলে ৩ টা ডোজ- তবে প্রতি ডোজে ২ হাতেই দিতে হবে-- সেইক্ষেত্রে ডোজ ৩ টা হলেও দুই হাতে দেওয়ার কারণে ৬ বার ইঞ্জেকশন পুশ করা লাগতেছে, তাই এইটা সাধারণত কম দেওয়া হয়, ( I/D dose : 0.1 ml করে দুই সাইটে প্রতি ডোজ)

আর I/M ৪ টা ডোজ ৪ বার ইনজেকশন পুশ করা লাগে, তাই এখনো পর্যন্ত first choice I/M

Update Vaccine Dose:
Day:0
Day-3
Day-7
Day-14

ডেল্টয়েড পেশিতে দেওয়া হবে I/M
কামড়/কিংবা আঁচড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দিবে-
কামড়ের প্রথম ২৪ ঘন্টায় দিলে ম্যাক্সিমাম কার্যকরিতা দেখায়, ২৪ ঘন্টায় দেওয়া না গেলে অবশ্যই ৭২ ঘন্টার মধ্যে দিয়ে দিবেন--

Inj- Rabix VC 1 ml
Day -0 যেদিন প্রথম ডোজ দেওয়া হয় সেদিন কে বুঝায়

এবার আসি -immunoglobulin এর ডোজে
immunoglobulin 40 IU/kg dose এ দেওয়া হয়-
একটা ভায়ালে 5 ml এর মধ্যে 1000 IU থাকে
1 ml =200 IU

প্রতি ৫ কেজির জন্য 1 ml
তার মানে ২৫ কেজি ওজন হলে একটা ভায়াল দিলেই হবে,

৪০ কেজি হলে একটা ভায়াল পুরোপুরি, আরেকটা ভায়াল থেকে 3 ml নিয়ে দিতে হবে-

৫০ কেজি হলে ২ টা ভায়াল, এইভাবে হিসাব করে দিবেন-

কিভাবে দিবেন?
Rabis vaccine 1 ampule এ মাত্র 1 ml থাকে, অর্থাৎ ভ্যাক্সিন পরিমানে কম থাকে, তাই deltoid এ সহজে দিয়ে দেওয়া যায়,

কিন্ত immunoglobulin এক ampule এ 5 ml থাকে, ৭০ কেজি ওজন হলে প্রায় 3 টা ampule লাগবে, যেখানে প্রায় 15 ml, এই 15 ml কিভাবে দিবেন?

প্রথমে Wound টা ভালোভাবে antiseptic দিয়ে wash করে নিবেন, তারপর 15 ml থেকে যতবেশি সম্ভব হয়, wound border e intradermally or S/C দিয়ে দিবেন যতটুকু দেওয়া যায়-
আর বাকি টা Deltoid এ দিবেন--কিংবা Glut eal region এ দিবেন-

অনেকে শুধু একটা immunoglobulin ampule দিয়ে দেয়
এইটা ভুল, সর্বোচ্চ 25 kg পর্যন্ত একটা ampule. (প্রতি 5 kg তে 1 ml or 0.2 ml/Kg)

এই চিকিৎসার সাথে সাথে পেশেন্ট কে antibiotics দিয়ে দিবেন-

moxaclav 625 mg TDS for 7 days..
Pain থাকলে এনালজেসিক-

Scenario-wise Summary:

1. সিনারিও ১: সাজেদার কোন ভ্যাক্সিনের প্রয়োজন নেই। কেবল জায়গাটি ক্লিন করে নিলেই হবে।

2. সিনারিও ২: মাজেদার ভ্যাক্সিনের প্রয়োজন নেই কারণ পশুটি গৃহপালিত, সুস্থ এবং নিয়মিত ভ্যাক্সিনেটেড। তবে antiseptic দিয়ে ওয়াশ করে নেবে।

3. সিনারিও ৩: সালেহা বেগমের ক্ষেত্রে কুকুর/বিড়ালটির ভ্যাক্সিনেটেড স্ট্যাটাস জানা নেই এবং এটি গৃহপালিত নয়, তাই rabies vaccine নিতে হবে (ইমিউনোগ্লোবিউলিন লাগবে না)।

4. সিনারিও ৪: পেয়ারা বেগমের কামড়ের স্থানে ব্লিডিং হওয়ায় এটি ক্যাটাগরি ৩। তাই পেয়ারা বেগমের rabies vaccine + immunoglobulin + antibiotics লাগবে।

Re-Exposure
সিনারিও-৫: ভ্যাক্সিন পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে কামড় দিলে আবার ভ্যাক্সিন নেওয়া লাগবেনা- ৩ মাস পরে হলে দুইটা Booster dose নিবে,
Day-0, Day-3

অতীতে একবার immunoglobulin পেয়ে থাকলে ভবিষ্যতে কখনো immunoglobulin লাগবেনা, শুধু ভ্যাক্সিন দুই ডোজ দিলেই হবে,

আর অতীতে immunoglobulin না পেয়ে থাকলে ভ্যাক্সিন ডোজ কমপ্লিট কিনা, মানে previous exposure এ ৪ টা ভ্যাক্সিন নিয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করবে, যদি ভ্যাক্সিন ডোজ কমপ্লিট থাকে, তাহলে এখন শুধু ২ টা ভ্যাক্সিন দিলেই হবে, category -3 wound হলে+ অতীতে ভ্যাক্সিন ডোজ ইনকমপ্লিট থাকলে immunoglobulin + ৪ টা ভ্যাক্সিন ডোজ লাগবে-

সাথে TT দেওয়া লাগবে কিনা, এইটা ডিপেন্ড করবে wound category এর উপর, তবে tetanus prone wound হলে As per TT vax গাইড লাইন একটা টিটেনাস ভ্যাক্সিন ও দিবে-
যদি সর্বশেষ টিটিনাস ভ্যাক্সিন এর মেয়াদ ১০ বছরের বেশি হয়-

#প্রেগন্যান্সিতে র‍্যাবিস ভ্যাক্সিন সেফ- দেওয়া যাবে,
একই প্রটোকলে, immunoglobulin লাগলে সেটাও দেওয়া যাবে-

©

18/04/2024

𝐒𝐔𝐍𝐒𝐂𝐑𝐄𝐄𝐍

সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট....
মহিলা,পুরুষ, তরুন,যুবক, মমধ্যবয়স্ক থেকে শুরু করে সকল বয়সের সচেতন মানুষই এখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন....
অনেকেই সানস্ক্রিন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাই এই ব্যপারে অল্প কিছু কথা লেখার চেষ্টা করলাম....
অনেকেই হয়ত বিষয়গুলো জানেন, তারা চাইলে এভয়েড করতে পারেন....

প্রথমেই কিছু বেসিক কথা সবাইকে জানতে হবে....

সূর্যের আলো যেটা সরাসরি পৃথিবীতে আসে, সেটাকে আমরা ৩ ভাগে ভাগ করতে পারি....

1. Ultraviolet (UV) Ray (200-400 nm)
2. Visible Light (400-760 nm)
3. Infrared Ray ( >760 nm)

এর মধ্যে UV Ray আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর....

UV Ray কে আবার ৩ ভাগে ভাগ করা যায়....

1. UV A (320-400 nm)
2. UV B (280-320 nm)
3. UV C (200-280 nm)

এদের মধ্যে UV B মূলত সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা এই সময়ে বেশি কাজ করে এবং এর স্কিনে Erythema /Tanning করার ক্ষমতা UV A থেকে ১০০০ গুন বেশি

অন্যদিকে UV A যদিও UV B থেকে কম কাজ করে,কিন্তু দিনের বেশিরভাগ সময়ে আমরা UV A এর সরাসরি সংস্পর্শে থাকি, তাই এটি বেশি সময় পায় স্কিনের ক্ষতি করার...একারনে UV A প্রায় UV B এর সমপরিমান ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখে.....

এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, অনেকেই ভাবেন যে শুধুমাত্র সূর্যের আলো থেকেই UV Ray আসে, বিষয়টি এমন নয়....
আমাদের বাসাবাড়ির লাইট, চুলার উত্তাপ এগুলো থেকেও UV Ray এর সমান wave length এর আলো বের হয়...তাই এগুলোও আমাদের স্কিনের ক্ষতি করে....

এবার আসলে জানতে হবে UV Ray আমাদের কী কী ক্ষতি করে....

1. Erythema
2. Tanning (Immediate & Delayed)
3. Photo Aging

মূলত DNA Damage, melanocyte redistribution /synthesis এবং cytokine production এর মাধ্যমে তারা স্কিনের এই ক্ষতিগুলো করে থাকে....

অতএব সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা কতখানি তা আশা করি আর বলার প্রয়োজন নেই....

সানস্ক্রিন মূলত ২ টি ফর্মে বাজারে পাওয়া যায়....
1. Physical
2. Chemical

Physical Sunscreen গুলো সরাসরি UV Ray গুলোকে reflect করে দেয়....এগুলো মূলত Inorganic component দিয়ে তৈরি, তাই এক ধরনের সাদা পেস্টের মতো হয়....অনেকেই তাই কসমেটিক কারণে ব্যবহার করতে চান না....

একটি সুবিধা হলো এরা খুবই দ্রুত কাজ করে...

তবে অসুবিধা হলো অনেকেরই এতে allergic reaction হতে পারে....আর অনেকেরই ব্যাবহারের পর স্কিনে দাগ পড়ে যেতে পারে...তাই এগুলোর ব্যবহার কিছুটা কম....

Physical Sunscreen গুলো মূলত খেলোয়াড় রা ব্যবহার করে...

অন্যদিকে Chemical Sunscreen গুলোই বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করে....
এগুলো মূলত আমার স্কিনে আগত UV Ray গুলো শোষণ করে নেয় এবং সেগুলোকে heat এ রুপান্তর করে বের করে দেয়....
এগুলো কাজ করতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে, লাগানোর পর স্কিনে কোন দাগ হয় না, চামড়ার সাথে মিশে যায়...
বেশিরভাগ chemical sunscreen গুলোই water & sweat resistant হয়,তাই সাধারণ ঘাম/পানিতে মুছে যায় না....

এবার জানতে হবে 𝐖𝐡𝐚𝐭 𝐢𝐬 𝐒𝐮𝐧 𝐏𝐫𝐨𝐭𝐞𝐜𝐭𝐢𝐯𝐞 𝐅𝐚𝐜𝐭𝐨𝐫 (𝐒𝐏𝐅) ?

এটি মূলত একটি সানস্ক্রিনের কার্যকারিতা নির্ধারন করে....

যেমন কোন সানস্ক্রিনের SPF 15 এর অর্থ হলো কোন স্কিনে সানস্ক্রিন লাগানো থাকলে তা যে পরিমান Erythema করে, ঐ সানস্ক্রিন লাগানো না থাকলে তার থেকে ১৫ গুন বেশি Erythema করে, মানে ১৫ গুন বেশি সুরক্ষা দেয়....

So, SPF =MED of Protected skin ÷ MED of unprotected skin

MED = Minimal Erythema Dose= Minimal amount of light needed to produce এর‍্যথেমা

কতটুকু SPF দরকার?

সাধারণত আমাদের দেশের মানুষের Skin Type 4,5 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ... তাই আমাদের জন্য SPF 15 ই যথেষ্ট এবং এটা আমাদের ৯৩% UV Ray Protection দিতে সক্ষম....

তাই রেগুলার ব্যাবহারের জন্য SPF 15+ এবং যারা দীর্ঘসময় রোদের সংস্পর্শে থাকেন তাদের জন্য SPF 30+ যথেষ্ট

তাহলে সানস্ক্রিন কেন ব্যাবহার করবেন?

১. Skin Tanning বা কালো দাগ থেকে বাঁচতে
২. Erythema বা চামড়া লাল হওয়া থেকে বাঁচতে
৩. Premature Aging থেকে বাঁচতে
৪. Skin Cancer প্রতিরোধ করতে

কখন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন....

১. বাইরে রোদে যাবার ২০ মিনিট আগে লাগাতে হবে
২. মুখ,কপাল,ঘাড়,গলা, হাত সকল যায়গায় লাগাতে হবে....
৩. ২-৩ ঘন্টা পর পর লাগাতে হবে....
৪. শুধু রোদে না, উজ্জ্বল আলো,চুলার পাশে গেলেও লাগাতে হবে....

কীভাবে সানস্ক্রিন লাগাবেন?

এক্ষেত্রে ২ টি নিয়ম বলা হয়....

১. Tea Spoon Rules :
পুরো মুখের জন্য 1 Tea spoon পরিমান নিয়ে পুরো মুখ, গলা, ঘাড় কভার করে লাগাতে হবে....
একইভাবে Hand,Feet,Trunk এর জন্য 1 Tea spoon করে লাগাতে হবে....

২. House Paint Rules :
এক্ষত্রে একবার পুরো মুখে লাগানোর পর পুনরায় একই নিয়মে পুরো মুখে আবার লাগাতে হবে যাতে করে কোন যায়গা বাদ না পরে....

কোন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন?
বাজারে বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের বিভিন্ন Composition এর সানস্ক্রিন পাওয়া যায়....

যাদের Oily skin তারা Oil Free Acne Protective সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন....

যাদের মেছতার সমস্যা আছে তারা Anti Melasma Sunscreen ব্যাবহার করবেন...

যাদের স্কিন শুষ্ক থাকে তারা Aquaphilic Sunscreen ব্যাবহার করবেন....

যারা দীর্ঘ সময় বাইরে /উজ্জ্বল আলোতে থাকেন তারা এমন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন যেটা UV A+UV B দুটো থেকেই সুরক্ষা দেয়....

©

মহা পুণ্যবান গোবর গনেশ ভক্ত... 😃😃
26/03/2024

মহা পুণ্যবান গোবর গনেশ ভক্ত... 😃😃

13/03/2024

রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। রমজানে সুস্থ থাকতে করনীয় ,,,,

#সাহরি_করনীয়
১). আঁশজাতীয় খাবার গ্রহন (লাল চাল, লাল আটা, শাক-সবজি ইত্যাদি ।
২). বেশী খাওয়ার মানসিকতা ত্যাগ করা।অতিরিক্ত তেল, মসলা ও চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহন না করা।
৩). ভাতের পরিমান কমিয়ে শাকসবজি, মাছ/মাংস বা তরকারী গ্রহন।
৪). ডিম, ডাল, দুধ ও দুধ দিয়ে বানানো খাবার গ্রহন করা।
৫). টক/ মিষ্টিজাতীয় ফল খাদ্যতালিকায় রাখা।
৬). পানিশূন্যতা রোধে সহজে হজম হয় এমন শাকসবজি -লাউ, চালকুমড়া, পটল, ঝিঙে ইত্যাদিকে অগ্রাধিকার দেয়া।
৭). চা-কফি পান না করা।

#ইফতার_করনীয়
১).খেজুর খাওয়া, অন্তত ২টি।
২). পানীয় হিসেবে বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি, ঘরে তৈরি তাজা ফলের রস, তোকমা-ইসবগুলের শরবত ইত্যাদি।
৩). মিষ্টি ফল তরমুজ, কলা, আপেল ইত্যাদি গ্রহন করা।
৪). সিদ্ধ ছোলা, দ্ই-চিড়া, সব্জী খিচুড়ি — সহজে হজম হয় ও পুষ্টিবান্ধব।
৫). বিভিন্ন ধরনের বাদাম খাওয়া যেতে পারে।
৬). ডিম/ ডিমের তৈরি খাবার আমিষের চাহিদা পূরন করে থাকে।
৭). অতিরিক্ত ভাজা, পোড়া বা গ্রিল/ কাবাব ইত্যাদি পরিহার করা।
৮). অধিক মসলাযুক্ত ও কৃত্রিম ক্ষতিকর রংযুক্ত খাবার ও পানীয় পুরোপুরি পরিহার করা উচিত।
৯). অতিরিক্ত লবন ও চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় - সফ্ট ড্রিংক্স, চিপস, জিলাপী, কেক-পেষ্ট্রি-পিৎজা ইত্যাদি না খাওয়া।
১০). খাবার খেতে হবে ধীরে ও ভালোভাবে চিবিয়ে — এতে খাবার সহজে হজম হয়।

#করনীয়_সাহরী_ইফতারের মাঝখানের সময়ে ,,,
১). ৮ থেকে ১৪ গ্লাস (আড়াই থেকে ৩ লিটার ) বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি পান করা। পর্যাপ্ত পানি পান মাথাব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে।
২). রাতের খাবার গ্রহনের সাথে সাথে ঘুমাতে না যাওয়া।
৩). ঘরের মাঝে হাঁটাহাঁটি করা বা মসজিদে যাতায়াতের পথটুকু হেঁটে যাওয়া। সম্ভব হলে রাতের খাবার গ্রহনের ৩০/৪০ মিনিট পর আরও কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করা।
৪). সেহরি অব্দি রাত জেগে সেহেরি গ্রহন করার অভ্যাস পরিহার করা।
৫). পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিশ্চিত করা।

©

29/08/2023

বাংলাদেশে ডাক্তার কারা---

১/ আমি ডাক্তার.....
৩ বছর ডিপ্লোমা পড়েছি ম্যাটস এ, ১ বছর সদর হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ করেছি, রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে BMDC... তাই মেডিকেল এসিসট্যান্ট থেকে চিকিৎসক হয়ে গেছি! উপজেলা হাসপাতালগুলোতে আমরাই সকল চিকিৎসা দিই!!

২/ আমি ডাক্তার.....
ALTERNATIVE MEDICINE (হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক) পড়েছি ৫ বছর, ইন্টার্নশিপ করেছি। এখন হোমিও'র পাশাপাশি এ্যালোপেথিকও চিকিৎসা করি! সরকার আমাকে ফার্স্ট ক্লাস অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিছে হাসপাতালগুলোতে!!

৩/ আমি ডাক্তার....
ফিজিওথেরাপি পড়েছি, টুকটাক ওষুধের নাম জানি, হাইকোর্টে রিট করে ফিজিওথেরাপিস্ট থেকে ডাক্তার বনে গিয়েছি!!

৪/ আমিও ডাক্তার....
ক্লিনিকে অনেক বছর নার্স হিসাবে আছি। ডেলিভারী করাই আমরা, চিকিতসাও দিতে পারি!!

৫/ আমি ডাক্তার....
কারণ আমি মেডিকেল টেকনিশিয়ান। ল্যাবে টেস্ট করি, রিপোর্ট দেই, আর ডাক্তারি করতে পারবো না!!

৬/ আমি ডাক্তার... কারণ, আমি ওটি/ওয়ার্ড বয়!

৭/আমি ডাক্তার, কারণ আমি স্বাস্থ্য কর্মী। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা দিই। গ্রামের মানুষ আমাদের ডাক্তার বলেই জানে!!

৮/আমি ডাক্তার....
কারণ ৩ মাস কোর্স করেছি! সরকার আমাকে সিএইচসিপি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের বড় ডাক্তার আমরা!!

৯/ আমি ডাক্তার....
কারণ, আমি বড় ডাক্তারের চেম্বারের কম্পাউন্ডার!!

১০/ আমিও ডাক্তার....
কারণ, গলির মোড়ে একখান ঔষধের দোকান আছে আমার! গ্যাসের সমস্যা, পাতলা পায়খানা থেকে শুরু করে বাচ্চা না হওয়া পর্যন্ত সব চিকিতসাই দিই!!

১১/ আমি ডাক্তার....
কারণ, আমি ক্লিনিকের ম্যনেজার।

১২/আমি ডাক্তার....
কারণ, আমি ঔষুধ কোম্পানিতে চাকুরী করি।

১৩/ আমি ডাক্তার....
কারণ, আমি ১৫ বছর ধরে বাচ্চা ডেলিভারি করাই।

১৪/ আমি ডাক্তার....
কারণ, আমি পাড়ায় পাড়ায় খৎনা করাই।

১৫/ আমি সাংবাদিক ডাক্তার....
কারণ, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা ভুল কিনা আমিই বলতে পারি।

১৬/ আমি ডাক্তার.... যেহেতু আমি বাংলাদেশী।।

শুধু ডাক্তার নাঃ--
যারা এমবিবিএস এবং বিডিএস পাশ করেছে। তারা শুধু স্নাতক পাশ করেছে।

হীরক রাজার দেশে,
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে যার যা খুশি তাই করতেছে..... তবুও আমরা সুস্থভাবে বেঁচে আছি, এটাই বড় কথা বলে মনে হয় আমার! 😱

©

মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে নিয়ে খুব ছোটবেলায় যে আবেগে ভেসে যেতাম, সেটি তাঁর হাঁটু নিয়ে। ফলাও করে বড় বড় জায়গাতে লেখা হত, মাশ...
20/08/2023

মাশরাফি বিন মোর্ত্তজাকে নিয়ে খুব ছোটবেলায় যে আবেগে ভেসে যেতাম, সেটি তাঁর হাঁটু নিয়ে। ফলাও করে বড় বড় জায়গাতে লেখা হত, মাশরাফি নাকি প্রতি ম্যাচের শেষে সিরিঞ্জ দিয়ে হাঁটু থেকে রস বের করেন এবং এটার সময় বাবাগো-মাগো বলে চিৎকার করেন।

দেশের জন্যে কত বড় ডেডিকেশন ভাবা যায়!

প্রামাণ্য পুঁথি হিসেবে প্রথম আলো’র ২১ নভেম্বর, ২০১৫ এর ‘মাশরাফির অন্য লড়াই’ শিরোনামে প্রকাশিত লেখাটাকে ধরা যায়। যেখানে লেখা হয়েছে,

“বেশি পরিশ্রমে এখনো হাঁটু ফুলে যায়, ব্যথা হয়। খেলা শেষে সিরিঞ্জ দিয়ে টেনে বের করে নিতে হয় হাঁটুতে জমা বিষাক্ত রস।”

এখন প্রশ্ন হল, বছরের পর বছর দেশের মানুষকে সুন্দর পাত্রে সাজিয়ে খাওয়ানো এই গল্পটা আসলে কতটা সত্যি?

মাশরাফির যে জয়েন্টে রস জমতে পারে সেটি হল হাঁটুর ‘সাইনোভিয়্যাল জয়েন্ট’। শরীরের অন্যান্য জয়েন্টের তুলনায় এই সাইনোভিয়াল জয়েন্ট বেশ কমপ্লিকেটেড। এই জায়গাতে বারবার রস জমলে সেখানে শুধুই নিখাদ সিরিঞ্জ দিয়ে বের করলেই চলবে না, কারণ এটাতে বড়সড় ইনফেকশনের ঝুঁকি থেকে যায়। আর যদিও বা সিরিঞ্জ দিয়ে বের করেও, সেটা মোটেও প্রতি ম্যাচেই করা পসিবল না। ব্যাপারটা আরেকটু গভীরভাবে বলা যাক।

মাশরাফির হাটুতে যদি রস জমে থাকে, সেটা ডিপ টিস্যু কিংবা পেরিফেরাল টিস্যু- এর যেকোন একটাতে জমার সম্ভাবনা থাকে। ডিপ টিস্যুতে যদি ফ্লুইড জমে, তাহলে সেটা কোনভাবেই সিরিঞ্জ পুশ করে বের করা সম্ভব হবেনা। এটার জন্যে চাই সার্জারি। তবে পেরিফেরাল টিস্যুতে ফ্লুইড জমলে সেখানে সিরিঞ্জ পুশ করে বাড়তি রস বের করার ব্যাপারটা পসিবল। এখন মাশরাফির হাঁটুর ঠিক কোন টিস্যুতে রস জমেছিল?

মাশরাফির হাঁটুতে মূল যে ইনজুরিটা ছিল সেটি ছিল লিগামেন্টের ইনজুরি। লিগামেন্টের ইনজুরিতে সার্জারি করার পর জয়েন্ট প্রল্যাপ্স কিংবা ফাইব্রোসিস হয়ে থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে যদি টিস্যুতে রস জমা হয় তাহলে সেটার বেশিরভাগ জমা হয় ডিপ টিস্যুতে। তবে হাঁটুর হেভির মুভমেন্টের জন্যে সেই রসের খানিকটা এক্যুমুলেট হয়ে পেরিফেরাল টিস্যুতে উঠে আসতে পারে। এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায়, উঠে আসার পরে সেই বাড়তি রসটুকু তিনি বের করে দিতেন। কিন্তু এই বের করার প্রসেসটুকু কোনভাবেই আবার ম্যাচের পর ম্যাচ করে যাওয়া সম্ভব না। আবার এই আলাপ ছাড়াও এই টিস্যু থেকে বাড়তি রস বের করার প্রসিডিইউরও দিনের পর দিন সংবাদমাধ্যমে যেভাবে ছাপা হয়েছে সেটিও নিতান্তই হাস্যকরই। এই প্রসঙ্গে ‘জন হপকিন্স মেডিসিন’ এর রিসার্চ জার্নাল ‘জয়েন্ট এসপিরেশন’ এর থেকে রেফারেন্স টানা যায়।

হঠাৎ করে ‘জয়েন্ট এসপিরেশন’ শব্দটা বলে ফেললাম বলে ভড়কে যেতে পারেন। আসলে এই হাঁটুর রস বের করার প্রসেসটুকুকেই ‘জয়েন্ট এসপিরেশন’ বলে। যা হোক, এই জার্নালে লেখা আছে ‘জয়েন্ট এসপিরেশন’ এর জন্যে আপনাকে এক্সপেরিয়েন্সড কোন হেলথ কেয়ার স্পেশালিস্ট কিংবা ফিজিওথেরাপিস্টের কাছে যেতে হবে। সুতরাং, মাশরাফি নিজেই নিজের হাঁটুর রস বের করে ফেলতেন এই তথ্যটুকুর অসারতা প্রথমেই খারিজ হয়ে যায়।

যা হোক, ফিজিওথেরাপিস্ট তাঁকে প্রথমে যেটা করবেন সেটি হল কোন পেইন-নাম্বলিং মেডিসিন এর সাহায্যে জায়গাটিকে অবশ করে নেবেন। অনেকসময়ই এক্ষেত্রে রোগীকে এনেস্থেশিয়া দেওয়া হয়ে থাকে। এরপর দক্ষ হাতে সিরিঞ্জ পুশ করে পেরিফেরাল টিস্যু থেকে বাড়তি রসটুকু বের করে নেওয়া হয়। এরপর বের করা ফ্লুইডটুকুকে ল্যাব টেস্টের জন্যে পাঠানো হয় এবং ঐ জায়গাটিকে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। এই পুরো প্রসেস রোগী একা একাই করে ফেলেছেন এমন উদাহরণ আসলে অবান্তর শোনায়।

কিন্তু এই ‘জয়েন্ট এসপিরেশন’ এর পরে কী হয়? এ প্রসঙ্গে আমেরিকার আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশনের গবেষক স্টেফানি ওয়াটসনের ‘জয়েন্ট এসপিরেশন এন্ড সাইনোভিয়াল ফ্লুইড’ সূচক লেখা থেকে জানতে পারা যায়, জয়েন্ট এসপিরেশনের পর রোগীর কমপক্ষে দুইদিন (ক্ষেত্র বিশেষে তারও বেশি) যেকোন ধরণের ভারী কাজ, দৌড়ানো বন্ধ থাকে। রোগী যদি এই কাজগুলি পূর্ণাঙ্গ রিকভারির আগে করেন তাহলে সেখানে ইনফেকশন হয়ে ভয়াবহ ব্যাপার ঘটার একটা সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায়না। আর মাশরাফি তো নিজেই ছিলেন একজন পেস বোলার। তাঁকে লাফাতে হত, দৌড়াতেও হত। একজন পেস বোলার তাই জয়েন্ট এসপিরেশনের পরের ম্যাচেই ফুল ফিট হয়ে দৌড়াচ্ছেন, এমনটা খুব একটা সত্য বচন নয়।

মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েও তাঁর ক্যারিয়ার চালিয়ে গেছেন, এই ব্যাপারটি খেলাটির প্রতি তাঁর ভালবাসাকে প্রকাশ করে। লিগামেন্ট ইনজুরির সার্জারির পরে রোগীকে সাধারণত স্থায়ী কালো ব্যান্ডেজ পরে থাকতে হয়। নিউজিল্যান্ড সিরিজের ড্রিংকস-ব্রেকে মাশরাফির এমন ব্যান্ডেজ পরিহিত পায়ের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু যেভাবে পত্র পত্রিকায় বলা হয়, তিনি ম্যাচ শেষে সিরিঞ্জ দিয়ে রস বের করেন এই তথ্যটুকু নিয়ে শুরুতেই আমার সন্দেহ ছিল।

কনক্লুশন

মাশরাফি হাঁটুর ইনজুরি নিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন এতটুকুই সম্ভবত তাঁর ডেডিকেশনকে প্রমাণ করতে যথেষ্ট ছিল, তার জন্যে বছরের পর বছর এমন বিশেষ শ্রেণির উদ্দীপক গল্পের মত প্রতিবেদন লেখার আদৌ কোন দরকার ছিলনা।
©

Address

Shahbag Road
Dhaka
1200

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Salim Shah Babu posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Salim Shah Babu:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category