Doctor Shamsul islam

Doctor Shamsul islam Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Doctor Shamsul islam, Medical and health, mymensingh, Dhaka.

09/07/2025

ভিটামিন সি কোন খাবারে আছে?

ভিটামিন সি সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি দেহের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে চোখের লেন্স, কোষের ভেতরকার নিউক্লিয়াস, ত্বক ও হাড়ের কোলাজেনকে সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা বা রক্তের লৌহ শোষণেও ভিটামিন সির ভূমিকা রয়েছে। মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটারের চলাচল ও তথ্য আদান-প্রদানে এটি ভূমিকা রাখে।
এই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন মূলত শাকসবজিতেই পাওয়া যায়। লেবু ও লেবুজাতীয় সব টক ফল ভিটামিন সির চমৎকার উৎস। কমলা, মালটা, আঙুর, পেঁপে, আনারস, জাম ইত্যাদি ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। সবুজ পাতা গোত্রের সব সবজি ও শাকেও পাওয়া যাবে এই ভিটামিন। এ ছাড়া কিছু মসলাজাতীয় উদ্ভিদ যেমন: কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা বা পার্সলেপাতা ভিটামিন সির ভালো উৎস।
কাটা-ছেঁড়া বা অস্ত্রোপচারের পর ভিটামিন সি বেশি করে খাওয়া উচিত, এতে ঘা দ্রুত শুকায়। ঠান্ডা-সর্দি বা জ্বরেও এটি দ্রুত সারাতে সাহায্য করে। নিউট্রিশন ফ্যাক্ট।

শীতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন যে কারণেত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার বেশ পুরোনো। রূপচর্চার একটি অপরিহার্য অংশ এটি। এতে ...
24/12/2024

শীতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন যে কারণে

ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের ব্যবহার বেশ পুরোনো। রূপচর্চার একটি অপরিহার্য অংশ এটি। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্টস, ভিটামিন ই ও সি। এসব উপাদান আমাদের ত্বক ভালো রাখার পক্ষে যথেষ্ট সহায়ক। এটি পুষ্টি জোগায় ত্বকের ভেতর থেকে। যে কারণে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল। ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল তাই অতুলনীয়।

ত্বক নরম ও কোমল রাখতে

অলিভ অয়েলে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড। এই তেল দিয়ে ত্বকে মাসাজ করলে তা ত্বককে আরও নরম ও কোমল করে। সেইসঙ্গে বজায় রাখে ত্বকের আর্দ্রতা। এটি শুধু রক্ত সঞ্চালনই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে পুষ্টিও পৌঁছে দিতে কাজ করে। এই শীতে ত্বকের বাড়তি যত্ন হিসেবে অলিভ অয়েলের ব্যবহার করুন।

ত্বক উজ্জ্বল করতে

আপনার প্রতিদিনের রূপচর্চার অংশ হিসেবে অলিভ অয়েল রাখুন। এটি ত্বকের পোরসে জমে থাকা তেল ও ময়লা বের করে আনতে কাজ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন।

মেকআপ রিমুভার

মেকআপ রিমুভার হিসেবে অলিভ অয়েল দুর্দান্ত কাজ করে। এটি ত্বক নরম রাখে এবং সেইসঙ্গে ত্বক থেকে মেকআপের উপাদান তুলে ফেলতে কাজ করে। এক টুকরো পরিষ্কার তুলো নিয়ে সেটি অলিভ অয়েলে ডুবিয়ে নিন। এরপর ধীরে ধীরে ঘষে মেকআপ তুলে নিন। মেকআপ পুরোপুরি তোলা হয়ে গেলে ফেসওয়াশের সাহায্যে মুখ ‍ধুয়ে নিন।

ইনগ্রোন হেয়ার রিমুভার

মুখের অবাঞ্ছিত লোম বা ইনগ্রোন হেয়ার দূর করতেও কাজ করে অলিভ অয়েল। প্রথমে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। এরপর তার সঙ্গে মেশান দশ ফোঁটার মতো টি ট্রি অয়েল। সবশেষে এতে মিশিয়ে নিন ব্রাউন সুগার। পুরো মিশ্রণটি মুখে স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন। এটি মুখ থেকে অবাঞ্ছিত লোম দূর করবে।

স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে

স্ট্রেচ মার্ক নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। মোটা থেকে চিকন হলে কিংবা মাতৃত্বের পর এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। স্ট্রেচ মার্ক বা শরীরের ফাটা দাগ দূর করতে বেশ কার্যকরী একটি উপাদান হলো অলিভ অয়েল। এই তেল স্ট্রেচ মার্কের জায়গায় নিয়মিত মাসাজ করলে দাগ দূর হবে দ্রুতই।

12/05/2023

ক্যানসারের ১১ লক্ষণ এড়িয়ে যাবেন না

মানুষকে যে রোগগুলো বেশি ভোগায়, তার মধ্যে ক্যানসার সবচেয়ে ভীতিকর। ক্যানসার শরীরে একবার বাসা বেঁধে ফেললে রোগীকে বাঁচিয়ে ফেরানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

ক্যানসার হলে আরও অনেক রোগ চেপে বসে শরীরে। তখন রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা একেবারে দুঃসাধ্যই হয়ে যায়। তবে কেউ যদি প্রাথমিক পর্যায়েই এই মরণব্যাধি শনাক্ত করে ফেলতে পারে, তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানিই উজ্জ্বল থাকে।

সেজন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, দুঃখ করার চেয়ে নিজেকে সুস্থ রাখাই দরকার বেশি। তাই শরীরে কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে, বিশেষত উদ্বেগজনক কোনো উপসর্গ বোঝা গেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ বোঝার ওপায় কী? স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট দিয়েছে ১১টি লক্ষণ।

এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে রোগী ও স্বজনদের।

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি: আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগেন তবে সেটা অনেক রোগেরই কারণ হতে পারে, হতে পারে ক্যানসারও। মলাশয়ের ক্যানসার বা রক্তে ক্যানসার হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়। তাই, আপনি যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ক্লান্তিবোধ করেন অথবা দীর্ঘসময় ধরে ক্লান্ত থাকেন, অবিলম্বে চিকিৎসাসেবা নিন।

হঠাৎ ওজন হ্রাস: কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি ওজন হারাতে থাকেন, তবে ভাবনার কারণ আছে। অনেক ক্যানসারই সাধারণত হুট করে ওজন কমিয়ে ফেলে। তাই শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে সব সময়। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসাসেবায় রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসাসেবায় রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

দীর্ঘদিনের ব্যথা: কোনো কারণ (যেমন জখম-আঘাত) ছাড়া যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনো স্থানে ব্যথায় ভোগেন, তবে তাতে ওষুধও কাজ না করলে এ নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা করছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগী ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত নাকি ডিম্বাশয়, পায়ুপথ বা মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত।

অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড: আপনি যদি শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক কোনো মাংসপিণ্ড দেখতে পান অথবা মাংস জমাট হতে দেখেন কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তবে এটা তেমন কিছুরই লক্ষণ, যা আপনার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত। এমনকি আপনার শরীরে কোনো পরিবর্তন স্বাভাবিক মনে হলেও পর্যবেক্ষণ করুন, এরপর অন্তত চিকিৎসককে জানান।

ঘন ঘন জ্বর: ক্যানসার শরীরে জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয়। দুর্ভাবনার ব্যাপার হলো, কিছু ক্যানসারের শেষ পর্যায়েরই উপসর্গ ঘন ঘন জ্বর। তবে ব্ল্যাড ক্যানসারসহ এ ধরনের কিছু ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়েই ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয় শরীরে।

ত্বকে পরিবর্তন: অনেকেই ত্বকের ক্যানসারের ব্যাপারে সচেতন নন। ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তনই এমন ক্যানসার শনাক্ত করার সহজ উপায়। তাই ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা ফ্রিকেল অথবা আঁচিলের দিকে খেয়াল করুন। যদি এর রং, আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, ফসকুড়ি পড়ে যাওয়া এবং রক্তক্ষরণও অন্যান্য ক্যানসারের উপসর্গ।

দীর্ঘস্থায়ী কাশি: আপনি যদি দেখেন যে ওষুধ সেবনের পরও কাশি সারছেই না, তবে শীতকালীন কাশির চেয়েও এটা বেশি কিছু ধরে নিতে হবে। আর এই কাশির কারণে যদি আপনার বুক, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মল-মূত্রত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন: যদি মল বা মূত্রত্যাগের জন্য ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হয়, তবে এখানে ক্যানসার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যও মলাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ। মূত্রত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যানসারের উপসর্গ।

অকারণে রক্তক্ষরণ: যদি কাশির সময় রক্তক্ষরণ হয়, তবে এটা ক্যানসারের বড় লক্ষণ। এছাড়া স্ত্রী অঙ্গ (ভ্যাজিনা) বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ।

খাবার গ্রহণে সমস্যা: কেউ খাবার খেলেই যদি নিয়মিত বদহজমে ভোগেন, তবে পেট, কণ্ঠনালী বা গলার ক্যানসার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। অবশ্য সাধারণত এসব উপসর্গকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। তবু অসুস্থতাকে কখনো এড়িয়ে যেতে নেই।

অন্যান্য উপসর্গ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলোকে ক্যানসারের সাধারণ লক্ষণ মনে করা হয়। তবে এর বাইরেও অনেক লক্ষণ আছে ক্যানসারের। এগুলোর মধ্যে আছে পা ফুলে যাওয়া, শরীরের আকারে বা অনুভূতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ইত্যাদি।

সবশেষ কথা হলো, ক্যানসারের অনেক কারণ বোঝাও যায় না, এমনকি অন্য ক্যানসারের চিকিৎসার পরবর্তী পরিণতি হিসেবে আরেক ক্যানসার দেখা দেয়। তাই শরীরের যেকোনো অসুস্থতাকেই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। বিশেষ করে বয়স ৩০-৪০ বছর পেরিয়ে গেলে অবশ্যই প্রতি অর্ধবছর বা প্রতিবছর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

সূত্র: ইন্টারনেট।

11/02/2023

Diabetes and frozen shoulder: ঘুম থেকে উঠে কাঁধ ঘোরাতে সমস্যা হয়? ডায়াবিটিসের লক্ষণ নয় তো

৪০ থেকে ৬০ বয়সি ব্যক্তিদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। আর কাদের ঝুঁকি বেশি?

অনেক সময় ঘুম থেকে উঠে কিংবা স্থির অবস্থা থেকে নড়াচড়া করতে গেলে কাঁধে প্রবল ব্যথা অনুভূত হয়। মনে হয় যেন কোনও মতেই নাড়ানো যাচ্ছে না কাঁধ। বিজ্ঞানের ভাষায় সমস্যাটির নাম ‘অ্যাডেসিভ ক্যাপসুলাইটিস’। তবে সাধারণত এই সমস্যা আমরা ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’ মানেই বেশি চিনি। এই রোগে কাঁধের বল ও সকেটসন্ধি আক্রান্ত হয়। মূলত ৪০ থেকে ৬০ বয়সি ব্যক্তিদের এই রোগের ঝুঁকি বেশি। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

কেন হয় এই সমস্যা?

যে অস্থিসন্ধি দ্বারা বাহু ও কাঁধ সংযুক্ত থাকে সেই অস্থিসন্ধিতে অবস্থিত হাড়, লিগামেন্ট ও টেনডনগুলি ক্যাপসুলের মতো এক প্রকার টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই ক্যাপসুল ফুললে বা শক্ত হয়ে গেলে ফ্রোজেন শোল্ডার দেখা দিতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায় কাঁধ ঘোরানোর সময় ব্যথা হয়, সময়ের যত এগোতে থাকে, ততই ব্যথা অসহ্যকর হয়ে ওঠে এবং ঘাড় ও কাঁধের অঞ্চল শক্ত হয়ে যায় তখন সমস্যা আরও বাড়ে। তৃতীয় ধাপে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসে কাঁধ, ধীরে ধীরে নাড়ানো যায় হাত।

ডায়াবিটিসের সঙ্গে এই রোগের কী সম্পর্ক?

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কোলাজেন উৎপাদন কমে যায়। এই কোলাজেন নামক প্রোটিনটি সংযোগকারী টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কোলাজেন সঙ্গে মিশে এক প্রকার আঠালো পদার্থ তৈরি হয়। এই পদার্থটি কাঁধের কাছে জমা হলে সেই অঞ্চলের পেশিগুলি শক্ত হয়ে যায়। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের ‘ফ্রোজেন শোল্ডার’-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে।

এই সমস্যা থেকে মুক্তি কোন পথে?

সাধারণত কিছু সময় পর নিজে থেকেই কমে আসে এই সমস্যা। তবে নিজে থেকে না কমলে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম মুক্তি দিতে পারে এই সমস্যা থেকে। ক্ষেত্রবিশেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। কিছু বিরল ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় অস্ত্রোপচারের।

সূত্রঃ- আনন্দবাজার পত্রিকা।

19/01/2023

অতিরিক্ত পানি খেলে চাপ পড়তে পারে কিডনিতে

পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া এক কথায় জীবনই অচল। তাই প্রতিদিন পরিমাণ মত পানি পান করা খুবই জরুরী। কম পানি খেলে দেখা দেয় নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা। আবার অন্যদিকে বেশি পানি খেলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা।

পানি কম খেলে যেমন দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রশেন বা পানিশূন্যতা, তেমনই অতিরিক্ত পানি পান করলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ওভার হাইড্রেশন। ওভার হাইড্রেশনের সমস্যা বিরল হলেও অসম্ভব নয়।

চলুন দেখে নেওয়া যাক বেশি পানি খেলে কী সমস্যা হতে পারে-
মানুষের দেহের পানীয় পদার্থ পরিশুদ্ধ হয় কিডনিতে। তাই কম পানি খেলে যেমন কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত পানি খেলেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে কিডনির উপর। ওভার হাইড্রেশনের সমস্যায় কিডনি অতিরিক্ত পানি পরিশুদ্ধ করতে পারে না। ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। এই সমস্যাটিকে বলে হাইপোন্যাট্রিমিয়া। ঠিক মতো চিকিৎসা না হলে এই সমস্যাটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়াও ওভার হাইড্রেশন ডেকে আনতে পারে পেশির সমস্যাও।

দৈনিক কতটা পানি খাওয়া ভালো-
পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত দৈনিক পানির চাহিদা কিছুটা আলাদা। পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক ৩.৭ লিটার ও নারীদের ২.৭ লিটার প্রয়োজন।

মোটামুটি ভাবে, মূত্রের রং স্বচ্ছ বা হালকা হলুদ হলে ধরে নেওয়া যায় যে, দেহের পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত রয়েছে। তবে ব্যক্তি ভেদে এবং স্থান ও আবহাওয়ার বিভিন্নতায় এই হিসেব কিছুটা বদলে যেতে পারে।

তবে দৈনিক কতটা পানি পান করতে হবে তা নিয়ে কোনও সংশয় থাকলে যোগাযোগ করতে হবে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে।

সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

26/11/2022

কানে পোকা বা বস্তু ঢুকলে যা করবেন

কান আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। ঠিকঠাক শোনার জন্যে কানের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেই হবে। তবু অসাবধানতাবশত কানে কিছু ঢুকে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন?

সচরাচর অনেকেই এমন পরিস্থিতিতে কানে খোঁচাখুচি করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এমন সময় খোঁচাখুচিতে সমস্যা আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে। কানে কোনো বস্তু ঢুকলে চিকিৎসকের কাছে কিছুক্ষণ পরে গেলে সমস্যা নেই। কিন্তু জীবন্ত প্রাণী বা পোকামাকড় ঢুকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

যাহোক, কানে কিছু ঢুকে গেলে তাৎক্ষণিক সময়ে কি করবেন? সে বিষয়ে রইলো কিছু টিপস।

আলো ফেলুন

কানের ভেতর কিছু ঢুকলে প্রথমে কাউকে বলুন টর্চলাইটের আলো ফেলতে। ভেতরে পোকামাকড় ঢুকলে বের হয়ে আসবে। কারণ পোকামাকড় আলোর প্রতি সংবেদনশীল হয়।

তেল দিন

কানে পোকা ঢুকলে কানের ভেতর নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল দিন। ভেতরে থাকা পোকা মরে যাবে। তাছাড়া কানে বহুদিন ব্যথা কিংবা অস্বস্তি থাকলে তাও কমে যাবে। তবে তেল দিয়েই আপনার কাজ শেষ হবে না। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। ভেতরে থাকা পোকা বা জিনিসটিকে বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে।

জড় পদার্থ প্রবেশে

কানের ভেতর জড় পদার্থ প্রবেশ করলে সরাসরি চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। খোঁচাখুচির ফলে কানের পর্দা ফুটো হতে পারে।

নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বের করুন

কানে মশা কিংবা মাছি ঢুকে গেলে এবং আশেপাশে কেউ না থাকলে এক হাত দিয়ে নাক চেপে ধরুন। অন্য হাত দিয়ে আরেক কান চেপে ধরুন। এবার জোরে শ্বাস ছাড়ুন। অনেক সময় ভেতরে থাকা পোকা বাইরে বের হয়ে আসে।

বেশি পানি পান করা বিপজ্জনক, সতর্ক থাকার উপায়পানির অপর নাম জীবন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। শরীরে পান...
25/07/2022

বেশি পানি পান করা বিপজ্জনক, সতর্ক থাকার উপায়

পানির অপর নাম জীবন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, ফলে একাধিক সমস্যা ফুটে ওঠে শরীরে। এ কারণে দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত সবারই।


তবে অনেকেই আছেন যারা প্রয়োজনের বেশি পানি পান করেন। পানি কম খেলে যেমন দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রশেন বা পানিশূন্যতা, তেমনই অতিরিক্ত পানি পান করলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ওভার হাইড্রেশন। ওভার হাইড্রেশনের সমস্যা বিরল হলেও অসম্ভব নয়।

মানুষের দেহের জলীয় পদার্থ পরিশুদ্ধ হয় কিডনিতে। তাই কম পানি পান করলে যেমন কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত পানি পানেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে কিডনির উপর।

ওভার হাইড্রেশনের সমস্যায় কিডনি অতিরিক্ত পানি পরিশুদ্ধ করতে পারে না। ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। এই সমস্যাকে বলে হাইপোন্যাট্রিমিয়া।


সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে এই সমস্যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ওভারহাইড্রেশন ডেকে আনতে পারে পেশির সমস্যাও।

কিডনি বা লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও খেলোয়ারদের ওভারহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি। এবার জেনে নিন প্রাথমিক অবস্থায় ওভারহাইড্রেশনের লক্ষণ কী কী-

*বমি বমি ভাব ও বমি
*মাথাব্যথা
*বিভ্রান্তি

চিকিত্সা না করা ওভারহাইড্রেশন আপনার রক্তে সোডিয়ামের বিপজ্জনকভাবে নিম্ন স্তরের হতে পারে। এটি আরও গুরুতর লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন- পেশি দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ক্র্যাম্প ও অজ্ঞান হয়ে পড়া।

দৈনিক কতটুকু পানি পান করবেন?

পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত দৈনিক পানির চাহিদা কিছুটা আলাদা। পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক ৩.৭ লিটার ও নারীদের ২.৭ লিটার প্রয়োজন। সাধারণভাবে মূত্রের রং স্বচ্ছ বা হালকা হলুদ হলে ধরে নেওয়া যায়, দেহে পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত আছে।

তবে ব্যক্তি, স্থান ও আবহাওয়াভেদে এই হিসাব কিছুটা বদলে যেতে পারে। তাই দৈনিক কতটা পানি পান করতে হবে তা নিয়ে সংশয় থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: হেলথলাইন

04/06/2022

ফ্রুকটোজ

Fructose-10
Fructose BP 10% w/v

বর্ণনা:
ফ্রুক্টোজ - 10 হল একটি হাইপারটোনিক দ্রবণ, যাতে ডায়াবেটিক এবং অন্যান্য সমস্ত রোগীদের জন্য জল এবং পুষ্টির পরিপূরক হিসাবে ব্যবহৃত পিভিসি ব্যাগের প্রতিটি 100 মিলি জীবাণুমুক্ত জলে 10 গ্রাম ফ্রুক্টোজ থাকে।

ব্যবহার:
Fructose-10 একটি কার্বোহাইড্রেট পুষ্টি হিসাবে শিরায় ব্যবহার করা হয়। এটি লিভার গ্লাইকোজেনে রূপান্তরিত হয় এবং ইনসুলিনের প্রয়োজন ছাড়াই ডেক্সট্রোজের চেয়ে দ্রুত বিপাক হয় এবং এইভাবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। Fructose-10 রোগীদের তরল প্রতিস্থাপন এবং ক্যালোরি খাওয়ানো প্রয়োজন নির্দেশিত হয়। এটি গ্লুকোজের চেয়ে ভাল "নাইট্রোজেন-স্পেয়ার"।

ডোজ এবং প্রশাসন:
ডোজ রোগীর বয়স, ওজন এবং রোগের তীব্রতার উপর নির্ভর করে, তবে সাধারণত শিরাপথে বা চিকিত্সকের সুপারিশ অনুসারে প্রতি মিনিটে 30-75 ফোঁটা। ফ্রুক্টোজ আধানের হার 0.5-1 গ্রাম/কেজি শরীর wt/ঘন্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।

সতর্কতা:
বংশগত ফ্রুক্টোজ অসহিষ্ণুতার রোগীদের ফ্রুক্টোজ -10 দেওয়া উচিত নয়। প্রতিবন্ধী কিডনি কার্যকারিতা বা গুরুতর লিভার ক্ষতিগ্রস্থ রোগীদের সতর্কতার সাথে এটি দেওয়া উচিত।

সতর্কতা:
প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনো কারণে কঠোরতা দেখা দিলে অবিলম্বে তরল আধান বন্ধ করা উচিত। দ্রবণটি মেঘলা হলে, কণা থাকলে বা মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের পরে ব্যবহার করবেন না।

বিরূপ প্রভাব :
ফ্রুক্টোজ শিরায় ব্যবহার করলে ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস এবং হাইপারইউরিসেমিয়া হতে পারে। ফ্রুক্টোজ দ্রুত আধানের ফলে মুখের ফ্লাশিং, পেটে ব্যথা এবং ঘাম হয়।

বিরোধিতা :
ফ্রুক্টোজ বিপাকের কিছু জন্মগত ত্রুটি, মিথাইল অ্যালকোহল বিষাক্ততা, হাইপারইউরিসেমিয়া, লিভার ফেইলিওর এবং ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিসের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাযুক্ত।

সংগ্রহস্থল:
ফ্রুক্টোজ-10 নিয়ন্ত্রিত ঘরের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত

প্যাকেজিং:
ফ্রুক্টোজ-10 500 মিলি এবং 1000 মিলি পিভিসি (মেডিকেল গ্রেড) ব্যাগে পাওয়া যায় যাতে 10% ডাব্লু/ভি ফ্রুক্টোজ বিপি রয়েছে।

সূত্রঃ- Orion infusion Ltd

কিডনি রোগী কোন খাবার কী পরিমাণ খাবেনকিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যে কারণেই কিডনির সমস্যা হোক না কেন দীর্ঘ মেয়াদি কি...
03/06/2022

কিডনি রোগী কোন খাবার কী পরিমাণ খাবেন

কিডনি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যে কারণেই কিডনির সমস্যা হোক না কেন দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগের চিকিৎসায় একমাত্র উপায় হলো সঠিক পথ্য। রক্তে ইলেকট্রোলাইটসের পরিমাণ, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের পরিমাণ, রক্ত ও ইউরিনে এলবুমিনের পরিমাণ এবং ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা ভেদে পথ্যকে সাজাতে হয়।


কিডনি রোগী কোন খাবার কী পরিমাণ খাবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক ডা. আলমগীর মতি।

ক্যালরি : কিডনি রোগীদের সাধারণত ক্যালরির চাহিদা অন্যান্য রোগীদের তুলনায় বাড়ানো হয়। সাধারত প্রতি কেজি ওজনের জন্য রোগী ভেদে ৩০ থেকে ৩৫ কিলোক্যালরি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।

কার্বোহাইড্রেট : কিডনি রোগী মোট ক্যালোরি চাহিদার বেশির ভাগই কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে পূরণ হয়। খাবারে অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণ করতে হয় বলে কাবোর্হাইড্রেটকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে শর্করার মাত্রা বিবেচনা করে কার্বোহাইড্রেট হিসাব করা হয়। ভাত, ময়দা, রুটি, চিরা, সুজি , চালের গুঁড়া, চালের রুটি, সাগু, সেমাই ইত্যাদি কিডনি রোগীর জন্য উত্তম কার্বোহাইড্রেট।

প্রোটিন : প্রোটিন নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দীর্ঘ মেয়াদি কিডনি রোগে প্রতি কেজি ওজনের জন্য পয়েন্ট পাঁচ থেকে পয়েন্ট আট গ্রাম প্রোটিন বরাদ্দ করা যেতে পারে। সাধারণত ডাল, বাদাম, কাঁঠালের বিচি, সিমের বিচি ইত্যাদি রোগীকে বর্জন করতে হয়। প্রতিদিনের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস ও দুধ বা দই ইত্যাদি থেকে হিসাব করে বরাদ্দ করা হয়। গরু, খাসির মাংস, কলিজা, মগজ ইত্যাদি অবশ্যই এড়িয়ে যেতে বলা হয়।

চর্বি : বেশির ভাগ কিডনির রোগীই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে। এ ছাড়া কিডনি রোগীদের যাতে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে না যায়- প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই চর্বির হিসাব যথাযথভাবে করতে হয়। সাধারণত স্যাচুরেটেট বা সম্পৃক্ত চর্বি জাতীয় খাবার, ভাজাপোড়া খাবার, ফাস্ট ফুড, ডিমের কুসুম এড়িয়ে যেতে হয়। প্রতিদিনের রান্নায় চার চা চামচ (২০ এমএল) তেল ব্যবহার করলে ভালো।

সবজি : রক্তে পটাশিয়াম, ইউরিক এসিডের মাত্রা, ফসফরাস ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সবজি হিসাব করা হয়। অতিরিক্ত পিউরিন ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি, পিচ্ছিল ও গাঢ় লাল রঙের শাক সবজি এড়িয়ে যেতে হবে। কিডনি রোগীদের জন্য চালকুমড়া, চিচিঙ্গা, ঝিংগা ইত্যাদি পানীয় সবজি উপকারী। উপকারী হলেও এগুলোর পরিমাণ মেনে চলাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা সবজির সালাদ, সবজি স্যুপ ইত্যাদি কিডনি রোগীদের এড়িয়ে চলতে হয়।

ফল : কিডনি রোগীদের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হয়। অক্সালিক এসিড, ইউরিক এসিডস, পটাশিয়াম, রক্তচাপ ছাড়াও আরো অনেক কিছু বিবেচনা করে ফল নির্ধারণ করা হয়। তিন চারটি ফল রোগী ভেদে সীমিত আকারে দেয়া হয়। যেমন : আপেল, পাকা পেপে, পেয়ারা ইত্যাদি।

লবণ : লবণ বা সোডিয়াম নিয়ন্ত্রিত পথ্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি। রক্তচাপ, রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা, ইডিমা বা শরীরের পানির পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে লবণের পরিমাপ করা হয়। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ গ্রাম লবণ নির্ধারণে করা হয়।

তরল/পানি : কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে তরল নিয়ন্ত্রণ জরুরি। দৈনিক চা, দুধ, পানি সব মিলিয়ে তরলের হিসাব করা হয়। শরীরের ইডিমা, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা, সোডিয়ামের মাত্রা, ইজিএসআর- এসবের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে এক থেকে দেড় লিটার, কখনো কখনো দুই লিটার পর্যন্ত তরল বরাদ্দ হয়। অনেকেই অসুস্থ কিডনিকে সুস্থ করার জন্য অতিরিক্ত পানি খান, এটি ভুল।

সংগৃহীত

30/05/2022

Vitamin D Deficiency: শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়েছে? এই লক্ষণগুলি দেখলে সাবধান হন, কী কী করবেন

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ভিটামিন ডি-এর অভাব বেশি দেখা যায়। কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন এই ভিটামিনের অভাব হয়ে থাকতে পারে? কোন কোন লক্ষণ দেখলে সাবধান হবেন?

1.পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর অভাব বেশি মাত্রায় দেখা যায়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, হৃদরোগ, ডায়াবিটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা তৈরি হয়। গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ডি-এর মাত্রা কমে গেলে প্রি-এক্লাম্পসিয়া, গর্ভকালীন ডায়াবিটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কেন মহিলাদের ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়? প্রথমে সেটি জেনে নেওয়া যাক।

2.যে সব মহিলারা স্তন্যপান করান, তাঁদের এই ভিটামিনের অভাব হতে পারে। আবার মেনোপজের পরে হরমোনের পরিবর্তন হয় শরীরে। তখনও এই ভিটামিনের অভাব হতে পারে।

3.মহিলাদের মধ্যে অনেকেই ঘরের কাজে বা অফিসে ব্যস্ত থাকেন। এই কারণে তাঁরা সূর্যের আলোয় কম বেরোন। তাই তাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দেখা দেয়।

4.পুরুষের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি ত্বকঢাকা পোশাক করেন। এটিও ভিটামিন ডি-র ঘাটতির অন্যতম কারণ।

5.ভিটামিন ডি-এর অভাব হয়েছে কি না, কী করে বুঝবেন? ক্লান্তি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে অসুবিধা, পেশির দুর্বলতা, শরীরে দাগ, ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বক কালো হওয়া ইত্যাদি এর লক্ষণ। মূল লক্ষণগুলি দেখে নিন।

6.ভিটামিন ডি-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখা। আপনি যদি প্রায়ই ফ্লু, জ্বর এবং ঠান্ডা লাগায় ভুগতে থাকেন, তাহলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা আপনার শরীরে কম বলে ধরে নিতে পারেন।

7.ভিটামিন ডি-এর অভাবে মহিলারা প্রায়ই উদ্বিগ্ন এবং ক্লান্ত বোধ করেন। মানসিক চাপ ও টেনশনে নারীরা দিনভর বিষণ্ণ থাকেন। এটিও ভিটামিন ডি-এর অভাবের অন্যতম লক্ষণ।

8.অস্ত্রোপচার বা আঘাতের পরে যদি ক্ষতটি খুব ধীরে ধীরে শুকোয়, তবে এটির কারণ ভিটামিন ডি-এর অভাবও হতে পারে।

9.ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের ঘনত্বও কমে যেতে পারে। হাড় এবং পেশিতে ক্রমাগত ব্যথা হতে পারে। মহিলাদের কোমরে ব্যথার সমস্যা হয় ভিটামিন ডি-র অভাবে। আর পা ফুলে যেতে পারে এর ফলে।

10.ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করতে, প্রথমেই চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রোদে কাটাতে। এছাড়াও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন বা টুনা) এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খান।

11.তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, কড লিভার তেল এই ভিটামিনের ভালো উৎস। চিকিৎসকের পরামর্শে এগুলি নিয়মিত খেলে কমতে পারে এই ভিটামিনের ঘাটতি।

রক্ত , রক্তের উপাদান ও কার্যাবলীরক্ত কি ?রক্ত লাল রঙের তরল যোজক কলা / টিস্যু । অজৈব লবণের উপস্থিতির জন্য রক্তের স্বাদ নো...
15/05/2022

রক্ত , রক্তের উপাদান ও কার্যাবলী

রক্ত কি ?
রক্ত লাল রঙের তরল যোজক কলা / টিস্যু । অজৈব লবণের উপস্থিতির জন্য রক্তের স্বাদ নোনতা । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ পুরুষ মানুষের দেহে প্রায় ৫ - ৬ লিটার রক্ত থাকে যা মোট ওজনের ৮ % । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মহিলা মানুষের দেহে প্রায় ৪.৫ - ৫.৫ লিটার রক্ত থাকে যা মোট ওজনের ৭ - ৮ % । রক্ত সামান্য ক্ষারীয় , চটচটে এবং অস্বচ্ছ । মানবদেহে গড়ে রক্তের পরিমাণ ৫ লিটার । রক্তের pH মাত্রা ৭.৩৫ - ৭.৪৫ এবং তাপমাত্রা 98.4 ডিগ্রী ফারেনহাইট / 36 - 38 C । রক্তের আপেক্ষিক গুরুত্ব পানির চেয়ে বেশি ( প্রায় - ১.০৬৫ ) । হেপারিন নামক পদার্থের কারনে মানবদেহে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে না । স্বাভাবিকভাবে দেহে কোথাও কেঁটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে ৪ -৫ মিনিট সময় লাগে ।

রক্তের উপাদানঃ রক্তের উপাদান হলো ২ টি । যথা : ১ ) ফ্লাজমা / রক্তরস ( ৫৫ % ) ২ ) রক্তকণিকা ( ৪৫% ) । স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তকণিকাগুলো রক্তরসে ভাসমান থাকে । লোহিত রক্তকণিকার আধিক্যের কারণে রক্ত লাল দেখায় ।

ফ্লাজমা / রক্তরসঃ ফ্লাজমা / রক্তরস হচ্ছে হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশ । এতে পানির পরিমাণ ৯০ - ৯২ % । রক্তরসের কঠিন পদার্থ বিভিন্ন জৈব ( ৭ - ৮ % ) ও অজৈব ‍( ০.৯ % ) উপাদান নিয়ে গঠিত । রক্তরসের উপাদানগুলো হলো ( গ্লুকোজ , এ্যামিনো এসিড , স্নেহ পদার্থ , লবণ , ভিটামিন ইত্যাদি ) । রক্তরস রক্তের অল্ম ও ক্ষারের মধ্যে সমতা রক্ষা করে ।

রক্তকণিকাঃ রক্ত কণিকা প্রধানত তিন প্রকার । যথাঃ ১ ) লোহিত রক্ত কণিকা বা এরিথ্রোসাইট ২ ) শ্বেত রক্ত কণিকা লিউকোসাইট ৩ ) অণুচক্রিকা বা থ্রাম্বোসাইট ।

লোহিত রক্ত কণিকা বা এরিথ্রোসাইটঃ মানুষের পরিণত লোহিত রক্তকণিকা গোল , দ্বি - অবতল নিউক্লিয়াসবিহীন চাকতির মতো লাল বর্ণের । এতে হিমোগ্লোবিন নামক এক প্রকার রন্জক পদার্থ থাকে । সুস্থ দেহে প্রতি ১০০ মিলিলিটার রক্তে ১৬ গ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকে । প্রতি ঘনমিটার রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা ৫০ লক্ষের বা ২৫% এর কম হলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয় । কিন্তু এ সংখ্যা ৬৫ লক্ষের বেশি হলে তাকে পলিসাইথোমিয়া বলে । রাসায়নিকভাবে এদের ৬০ - ৭০ % পানি এবং ৩০ - ৪০ % কঠিন পদার্থ । কঠিন পদার্থের মধ্যে প্রায় ৯০ % ই হিমোগ্লোবিন । হিম নামক গ্রুপের জন্যই রক্ত লাল হয় । লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল ১২০ দিন বা ৪ মাস । কণিকাগুলো যকৃত ও প্লীহাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় । লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে দেহকোষে অধিকাংশ অক্সিজেন ও সামান্য পরিমাণ কার্বন-ড্রাই-অক্সাইড পরিবহন করে । রক্তের ঘনত্ব ও সান্দ্রতা রক্ষা করা এর কাজ । এটি বিলিরুবিন ও বিলিভার্ডিন উৎপন্ন করে ।

শ্বেত রক্তকণিকা লিউকোসাইটঃ মানবদেহে পরিণত শ্বেত রক্তকণিকা হিমোগ্লোবিন বিহীন , অনিয়তকার ও নিউক্লিয়াসযুক্ত রডকোষ । এগুলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে । একে মানবদেহের সৈনিক নামে ডাকা হয় । মানুষের শ্বেত রক্তকণিকা নির্দিষ্ট আকার বিহীন । এগুলো লোহিত রক্তকণিকার চেয়ে বড় । মানবদেহে প্রতি ঘনমিটার রক্তে এদের পরিমমাণ ৫ -৮ হাজার ।

শ্বেত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল ৭ - ১০ দিন । রক্তে এর পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেলে লিউকেমিয়া / Blood Cancer হয় এবং স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে লিউকোপেনিয়া হয় ।

অণুচক্রিকা থ্রাম্বোসাইটঃ অণুচক্রিকা সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম রক্তকণিকা । এটি গোল , ডিম্বাকার , বা রডের মতো দানাদার কিন্তু নিউক্লিয়াসবিহীন । এতে প্রচুর পরিমাণ সেফালিন নামক ফসফোলিপিড থাকে । এদের গড় আয়ুষ্কাল ৫ -১০ দিন । আয়ুষ্কাল শেষ হলে এরা প্লীহা ও লসিকা গ্রন্থির অন্যান্য রেটিকুলো - এন্ডিথেলিয়াল কোষে বিনষ্ট হয় । এরা ক্ষতস্থানে রক্ত তঞ্চন ঘটায় এবং হিমোস্টাটিক প্লাগ গঠন করে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে । রক্ত তঞ্চনে অংশ নেয় রক্তরসে অবস্থিত ১৩ টি ভিন্ন ভিন্ন ক্লটিং ফ্যাক্টর । রক্ত জমাট বাঁধতে স্বাভাবিকভাবে সময় নেয় ৪ - ৫ মিনিট ।

Blood Group and Rh factor :
Blood Group : ১৯০০ / ১৯০১ সালে অষ্টিয়ার জন্মগ্রহণকারী আমেরিকান বিজ্ঞানি ড . কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার Blood Group আবিষ্কার করেন । মানুষের Blood Group ৪ টি । যথা : A , B , AB , O . ‘ AB ’ Group সর্বগ্রহীতা ও ‘ O ’ Group সর্বদাতা ।

Rh factor : ১৯৪০ সালে ড.কার্ল ল্যান্ডসেইনার ও উইনার রেসাস বানরের উপর গবেষণা করে Rh ফ্যাক্টর আবিষ্কার করেন । Rh factor positive হলে রক্তের Group পজেটিভ এবং Rh factor Negative হলে রক্তের Group Negative ।

রক্তচাপ বা ব্লাড পেশার : রক্তনালীর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় প্রাচীর গাত্রে যে পাশ্বচাপ প্রয়োগ করে তাকে রক্তচাপ বলে । একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়সস্ক মানুষের স্বাভাবিক সিস্টোলিক চাপ হচ্ছে ১১০ - ১২০ mmHg এবং স্বাভাবিক ডায়াস্টোলিক চাপ ৭০ - ৮০ mmHg । রক্ত স্বাভাবিক সীমার উপরে থাকলে তাকে উচ্চ রকক্তচাপ এবং স্বাভাবিক সীমার নিচে থাকলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে । মানুষের রক্তচাপ মাপার যন্ত্রকে স্ফিগমোম্যানোমিটার বলে ।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী -
০১ ) মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে ? ➫ প্লীহাতে । ( 36 th Bcs )

০২ ) হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ ? ➫ আমিষ । ( 35 th Bcs )

০৩ ) রক্তে হিমোগ্লোবিনের কাজ কী ? ➫ অক্সিজেন পরিবহন করা । ( 34 , 25 th Bcs )

০৪ ) অতিরিক্ত খাদ্য থেকে লিভারে সঞ্চিত সুগার হলো - ➫ গ্লাইকোজেন । ( 34 th Bcs )

০৫ ) মানব দেহে শক্তি উৎপাদনের প্রধান উৎস কি ? ➫ শ্বসন । ( 34 th Bcs )

০৬ ) কোনটি রক্তের কাজ নয় ? ➫ জারক রস বিতরণ করা । ( 15 th Bcs )

০৭ ) রক্তকণিকায় কোনটি থাকে ? ➫ হিমোগ্লোবিন ।

০৮ ) উচ্চ রক্ত চাপের জন্য দায়ী কোনটি ? ➫ পিটুইটারি গ্রন্থি ।

০৯ ) রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার কাজ কি ? ➫ অক্সিজেন বহন করা ।

১০ ) সিস্টোলিক চাপ বলতে কি বুঝায় ? ➫ হৃদপিন্ডের সংকোচন চাপ ।

১১ ) বাংলাদেশে রক্তদানে কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আছে ? ➫ সন্ধানী ।

১২ ) পূর্ণবয়স্ক পুরুষের মোট রক্তের গড় পরিমাণ কত ? ➫ ৫ লিটার ।

১৩ ) পূর্ণাঙ্গ ব্যক্তির ফুসফুসে বায়ু ধারণ ক্ষমতা কত ? ➫ ৬ লিটার ।

১৪ ) মানুষের রক্তে কত ধরনের কণিকা আছে ? ➫ ৩ ধরনের ।

১৫ ) লোহিত রক্ত কণিকার আয়ুষ্কাল কত ? ➫ ১২০ দিন ।

১৬ ) রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে কোনটি ? ➫ ফাইব্রিনোজেন ।

১৭ ) মানবদেহের গঠনে কোন উপাদানের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি ? ➫ আমিষ ।

১৮ ) মানুষের রক্তে PH কত ? ➫ ৭ . ৪ ।

১৯ ) হিমোগ্লোবিন কোথায় থাকে ? ➫ লোহিত রক্ত কণিকায় ।

২০ ) একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহে কত লিটার রক্ত থাকে ? ➫ ৫ - ৬ লিটার ।

২১ ) মানুষের দেহে শ্বেত রক্তকণিকা ও লোহিত রক্তকণিকার অণুপাত কত ? ➫ ১ঃ৭০০ ।

২২ ) খাদ্যের কোন উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে ? ➫ আমিষ ।

২৩ ) রক্তের কোন গ্রুফকে সার্বজনীন গ্রহীতা বলা হয় ? ➫ AB .

২৪ ) ইনসুলিন কি ? ➫ এক ধরনের হরমোন ।

২৫ ) আমাদের দেহকোষ রক্ত থেকে কি গ্রহণ করে ? ➫ অক্সিজেন ও গ্লুকোজ ।

২৬ ) রক্তের কোন গ্রুফকে সার্বজনীন দাতা বলা হয় ? ➫ O+.

২৭ ) রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে কোনটি ? ➫ অনুচক্রিকা ।

২৮ ) ফাইব্রিজোন কোথায় তৈরি হয় ? ➫ যকৃত ।

২৯ ) রক্ত শূন্যতার ফলে চুপসে যায় কোনটি ? ➫ শিরা ।

৩০ ) দেহের অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বাঁধে না কেন ? ➫ রক্তে হেপারিন থাকায় ।

৩১ ) হাইপোগ্লাইসেনিয়া কিসের অভাবে হয় ? ➫ রক্তের গ্লুকোজ ।

৩২ ) লোহিত রক্তকণিকা কোথায় তৈরি হয় ? ➫ লোহিত অস্থিমজ্জায় ।

৩৩ ) ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় ? ➫ শ্বেত রক্তকণিকা বৃদ্ধির ফলে ।

৩৪ ) রক্তশূন্যতা বলতে কি বুঝায় ? ➫ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়া ।

৩৫ ) রক্তে শ্বেত রক্তকণিকা কোষ বেড়ে যাওয়াকে কি বলে ? ➫ লিউকোমিয়া ।

৩৬ ) রক্তে প্রোটিনের হার কত ? ➫ ৫৫ ‍% ।

৩৭ ) কোন হরমোন রক্তে ক্যালসিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে ? ➫ থাইরোক্যালসিটোননিন ।

৩৮ ) রক্ত জমাট বাঁধায় কোন ধাতুর আয়ন সাহায্য করে ? ➫ ক্যালসিয়াম ।

৩৯ ) লিস্ফোসাইটের আয়ুষ্কাল কত ? ➫ কয়েকঘন্টা - ১ দিন ।

৪০ ) কোন রাসায়নিক পদার্থ রক্ত নালীর সংকোচন করে ? ➫ সেরোটোনিন ।

সূত্রঃ- Eduaid BD

কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকারমানবদেহে সাধারণত এক জোড়া কিডনি থাকে। মেরুদন্ডের দুই পাশে কোমরের একটু উপরে এদের অবস্থান। প্রা...
11/05/2022

কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

মানবদেহে সাধারণত এক জোড়া কিডনি থাকে। মেরুদন্ডের দুই পাশে কোমরের একটু উপরে এদের অবস্থান। প্রাথমিক অবস্থায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। লক্ষণ যখন দেখা যায়, তখন কিডনি শতকরা ৭০ ভাগ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।


কিডনির সমস্যা সময় থাকতে না সামলানো গেলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু মুশকিল হল, অনেক ক্ষেত্রেই কিডনির সমস্যার উপসর্গগুলো এতটাই মৃদু হয় যে, রোগ গভীর না হলে বুঝে ওঠা যায় না। জেনে নিন কী কী লক্ষণ থাকলে আগেই হতে হবে সতর্ক।

১. সব সময় ক্লান্ত লাগা
কাজ কর্মের উদ্যম হারিয়ে ফেলা কিডনির সমস্যার অন্যতম প্রধান একটি লক্ষণ। কিডনির মূল কাজই হল রক্তকে পরিশুদ্ধ করা। কাজেই কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে বিষাক্ত ও অপ্রয়োজনীয় উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে ক্লান্ত লাগে। এমনকি, দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যাও। রক্তাল্পতার অন্যতম প্রধান লক্ষণই হল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ক্লান্তি।

২. পা ফুলে যাওয়া
কিডনির সমস্যায় সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা ফুলে যায়। অনেক সময় খনিজ লবণের ভারসাম্যের ফলে শরীরের পেশিতে টান লাগার সমস্যা তৈরি হয়। মূলত ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের সমস্যায় এমন ঘটনা ঘটে।

৩. মূত্রের সমস্যা
যদি আপনাকে বারবার মূত্রত্যাগ করতে হয় তবে তা কিডনির অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। বিশেষত রাতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিবার মূত্র ত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হওয়া বা মূত্রে অতিরিক্ত ফেনা হওয়াও কিডনির সমস্যার লক্ষণ। মূত্রে অ্যালবুমিন বেশি থাকলে অতিরিক্ত ফেনা তৈরি হয়।

৪. ত্বকের সমস্যা
মানবদেহে প্রয়োজনীয় লবণ ও খনিজ পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখাও কিডনির অন্যতম প্রধান কাজ। ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় এই উপাদানগুলোর বড় ভূমিকা থাকে। ফলে শুষ্ক খসখসে ত্বক, ত্বকের ঘা ও হাড়ের সমস্যা কিডনির অসুখের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

৫. অনিদ্রা
কিডনি ঠিকঠাক না কাজ করলে মূত্রের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলো দেহের বাইরে বের হতে পারে না। এটি অনিদ্রার অন্যতম কারণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি ।

সূত্রঃ- ইন্টারনেট।

Address

Mymensingh
Dhaka
263

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Doctor Shamsul islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram