26/09/2025
ঔষধ ছাড়া ফেটি লিভার ভালো করুন
ফ্যাটি লিভার রোগ (Fatty Liver Disease) হলো এমন একটি অবস্থা, যখন লিভারের (যকৃতের) ভেতরে অস্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত চর্বি জমে যায়। স্বাভাবিকভাবে লিভারে অল্প পরিমাণ চর্বি থাকতে পারে, কিন্তু যদি লিভারের মোট ওজনের ৫% এর বেশি অংশ চর্বি হয়ে যায়, তখন তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।
ফ্যাটি লিভারের ধরন
অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (Alcoholic Fatty Liver):
বেশি মদ্যপানের কারণে হয়।
নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার (NAFLD - Non-Alcoholic Fatty Liver Disease):
যাদের মদ্যপানের অভ্যাস নেই, তাদের শরীরের অন্যান্য কারণ যেমন স্থূলতা (মোটা হওয়া), ডায়াবেটিস, রক্তে কোলেস্টেরল বা ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যাওয়া, হরমোনের সমস্যা ইত্যাদি কারণে হয়।
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ
প্রথম অবস্থায় সাধারণত কোনও লক্ষণ থাকে না। তবে পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে:
সবসময় ক্লান্ত লাগা
পেটের ডান পাশে হালকা ব্যথা বা চাপ অনুভব
ক্ষুধা কমে যাওয়া
হজমের সমস্যা
কিছু ক্ষেত্রে লিভার বড় হয়ে যাওয়া
ফ্যাটি লিভারের জটিলতা
যদি চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ফ্যাটি লিভার থেকে
লিভার প্রদাহ (Hepatitis)
লিভার সিরোসিস (Cirrhosis)
এমনকি লিভার ক্যান্সার (Liver Cancer) পর্যন্ত হতে পারে।
ফ্যাটি লিভারের প্রতিকার
ওজন কমানো ও নিয়মিত ব্যায়াম
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া (চর্বি ও ভাজাপোড়া কম খাওয়া, শাক-সবজি ও ফল বেশি খাওয়া)
চিনি ও কোমল পানীয় কমানো
ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা
অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
সকাল বেলা নাস্তা হিসাবে শুধু দুটি ফরমালিন ছাড়া আপেল খান। আপেল বাজার থেকে আনার পর তা সন্ধ্যব লবন পানির সাথে দিয়ে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন তার পর তা খান।
দুপুর বেলা বেশি সমজি দিয়ে অল্প ভাত বা রুটি খেতে পারেন, খেয়াল রাখবেন যেন কিছুতে এই শরকরা জতীয় খাবার গুলো বেশি না খাওয়া হয়।
রাতে খাবার অবশ্যই সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে খওয়া শেষ করতে হবে।
মন্তব্যঃ
উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুসরণ করলে দেখবেন কিচু দিনের মধ্যে নিজের শরীরের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। আর কোন টেনশন নেয়া যাবেনা তাহলে মানসিক কারনে চিকিৎসা বেহত হবে।