উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ

উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ সম্পর্কে জনসচেতনতার জন্য

শিল্পায়ন এবং নগরায়নের ফলে এখন উচ্চ রক্তচাপ, বহুমূত্র , ক্যানসার প্রভৃতি রোগ আমাদের সামনে বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এসব সমস্যা আরও বাড়বে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে জানিয়েছে যে, তৃতীয় বিশ্বে উচ্চ রক্তচাপ মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। ২০০৮ সালে বিশ্ব ব্যাপী ১০০০ মিলিয়ন মানুষ উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত ছিল । উচ্চ রক্তচাপ বিশ্বব্যাপী হৃদরোগের এবং স্ট্রোক বা পক্ষাঘাতের প্রধান কারণ। হৃদরোগ ছাড়া উচ্চরক্তচাপের কারণে হৃদ বিকলতা , রক্তনালীর বিভিন্ন রোগ, কিডনির সমস্যা এবং চোখে রেটিনার সমস্যাও বেড়ে যায়। কিন্তু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে এ সকল জটিলতা সহজেই কমানো যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের ফলে সৃষ্ট জটিলতা এবং পরিণামে অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা। উচ্চ রক্তচাপকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য যে সকল ওষুধ ব্যবহার করা হয় তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেন রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত না করে, ওষুধের দাম যেন কেনার সংগতির মধ্যে থাকে এবং রোগী যেন তা ঝক্কি ঝামেলা ছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য কোন রোগীর উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কোন ওষুধ ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা, আনুষঙ্গিক ঝুঁকি, অন্যান্য ওষুধ, রোগীর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং ওষুধের দাম ইত্যাদি নানা রকম উপাদানের উপর।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ ব্যবহার করাই সবকিছু নয়। ওষুধ ছাড়া জীবনাচরণ পদ্ধতি পরিবর্তনের সাহায্যেও উচ্চ রক্তচাপ অনেক খানি কমানো যায়। আজকাল ওষুধ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে জীবনাচরণ পদ্ধতি পরিবর্তনকেও (lifestyle modification) গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে এ সকল তথ্য সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরা এবং এ সম্পর্কে জন সচেতনতা গড়ে তোলা এ পাতার মূল লক্ষ্য।

07/03/2023

কোভিডের পরে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক

দুনিয়াজুড়ে কোভিডের দাপট কমেছে, কিন্তু তার ছাপ রয়ে গিয়েছে। অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন, কোভিড-১৯ যাদের হয়েছে তাদের কোভিড সেরে যাওয়ার পরেও অনেক দিন যাবৎ কেন যেন পুরোপুরি সুস্থ বোধ হচ্ছে না। নানা রকম সমস্যা লেগেই আছে এবং তা চলছে মাসের পর মাস। চিকিৎসা বিদ্যার ভাষায় এটাকে বলা হচ্ছে long COVID অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদী কোভিড। অনেক সমস্যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কোভিডের পরে হৃদরোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা। সম্প্রতি এ সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণের ফলাফল আসতে শুরু করেছে। ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির জিয়াদ আল-আলি এবং তার সহকর্মীরা কোভিড সংক্রমণের এক বছর পরে রোগীদের কি রকম প্রধান প্রধান হৃদরোগ হচ্ছে, সে সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। এটি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ভেটেরান অ্যাফেয়ার্স থেকে কোভিড আক্রান্ত প্রায় ১৫৪,০০০ রোগীর উপর ভিত্তি করে (গড় বয়স ৬০, ৯০% পুরুষ) তৈরি হয়েছে। এরসঙ্গে কোভিড হয়নি এমন ৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের হৃদরোগের হার তুলনা করে দেখা হয়েছে। সংক্রমণের ৩০ দিন পরে কি কি ঘটছে সেটাই দেখা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কোভিড হওয়ার পরে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ১.৭ গুণ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ১.৬ গুণ বেড়েছে।

এরপর ওয়াং এবং সহকর্মীরা কোভিড-এ আক্রান্ত প্রায় ৭০০,০০০ মানুষের সঙ্গে কোভিডবিহীন ২.২৫ মিলিয়ন মানুষের একটি তুলনাযমূলক চিত্র প্রকাশ করেছেন। এখানেও একই ধরণের ফলাফল মিলেছে। অর্থাৎ স্ট্রোকের ঝুঁকি ১.৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, মারাত্মক করোনারি রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেশি এবং অন্যান্য হৃদরোগের প্রকোপও বেশী পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স কোহর্টের বিপরীতে, ওয়াং-এর পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহনকারীদের বয়স অনেক কম অর্থাৎ গড় বয়স ৪৪ বছর, এবং ৫৭% মহিলা।

তৃতীয় আরেকটি গবেষণায় একটি বেসরকারী বীমা সংস্থার ডাটাবেস থেকে একটি নতুন গবেষণা দ্যভ্রিস এবং সহকর্মীদের দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। এটি কোভিডে আক্রান্ত ১৩,৩৪৫ জনের সঙ্গে কোভিডবিহীন ২৬,৮৭০ জনের মধ্যে হৃদরোগের প্রকোপ তুলনা করা হয়েছে। এদের গড় বয়স ৫০ এবং ৫৮% মহিলা। পূর্ববর্তী দুটি গবেষণার মতো, এই গবেষণার অংশগ্রহণকারীরা কোভিডের টীকা না নেওয়া ছিলেন। এখানেও দেখা গিয়েছে কোভিডের পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়েছে; সঙ্গে মৃত্যুহারও দ্বিগুণ বেড়েছে। এছাড়া পালমোনারি এমবোলিজম, শিরায় রক্ত জমে যাওয়াসহ অন্যান্য আরও অনেক রোগ বেড়েছে।

এই প্রতিবেদনগুলি প্রকাশের পরে একটি প্রশ্ন সকলের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হল যে কোভিডের টীকা নেওয়ার কারণে অতিরিক্ত হৃদরোগ এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে কিনা? যেহেতু উপরের কোন গবেষণাতেই অংশগ্রহণকারীদের টীকা দেওয়া ছিল না; সেজন্য এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া যাচ্ছিল না। এ প্রশ্নের উত্তর এসেছে আরও দুইটি সাম্প্রতিক গবেষণা থেকেঃ একটি দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় ডাটাবেস থেকে এবং অন্যটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের NIH কনসোর্টিয়াম থেকে যা N3C (ন্যাশনাল কোভিড কোহর্ট কোল্যাবোরেটিভ, ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাডভান্সিং ট্রান্সলেশন সায়েন্সেস) নামে পরিচিত। উভয় ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণকারীদের কোভিডের টীকা দেওয়া ছিল এবং দেখা যাচ্ছে তাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের হার আনুমানিক ৫০% কম। অর্থাৎ টীকা দেওয়ার ফলে হৃদরোগ তুলনামূলক কম হলেও, একেবারে ঝুকিমুক্ত নয়।

এ পর্যন্ত প্রকাশিত প্রতিটি গবেষণারই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে কোভিড সংক্রমণের পরে যে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের প্রকোপ যে বেড়েছে, এ বিষয়ে কোন সংশয় নেই। কিন্তু কেন তা হচ্ছে?

এর উত্তর এখনও তেমন স্বচ্ছ নয়। কোভিড আক্রান্ত হওয়া থেকে ৩০ দিন পরে যে এভাবে হৃদরোগ বেড়ে যাচ্ছে, তার জন্য মনে করা হচ্ছে যে, কোভিডের কারণে রক্তনালীগুলির এন্ডোথেলিয়াল আস্তরণের প্রদাহ রয়ে যায় এবং বিভিন্ন কারণে রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ, এমন একাধিক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে কোভিডের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার দিকে অগ্রসর হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্ত জমাটের পরিমাণ ক্ষুদ্র যাকে বলা হয় মাইক্রোক্লট, কিন্তু এভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমাট রক্তপিন্ডের কারণে লং কোভিড-এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের নানারকম হৃদরোগে উপসর্গ সৃষ্টি হচ্ছে বলে সন্দেহ প্রগাঢ় হচ্ছে।

তাহলে সব মিলিয়ে আমরা আসলে কি বার্তা পাচ্ছি?

আল-আলির প্রথম গবেষণাটি অনুসরণ করে অন্যান্য গবেষকগণও তাদের ডাটা বিশ্লেষণ করে একই রকম ফলাফল পাচ্ছেন। সুতরাং একটি অপ্রিয় সত্য আমাদের মেনে নিতেই হচ্ছে যে, কোভিড সংক্রমণের প্রথম মাস পেরিয়ে গেলে অনেকেরই অতিরিক্ত হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এটিকে আর উপেক্ষা করা যাচ্ছে না কিংবা অস্বীকার করা যাচ্ছে না। আর ভালো খবর হচ্ছে যে, টীকা দেওয়া থাকলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক তুলনামূলকভাবে কম হচ্ছে, কিন্তু ঝুঁকি একেবারে শূন্য নয়। দুনিয়াজুড়ে কোভিডের প্রকোপ কমেছে। প্রচুর টীকাও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও বারবার কোভিড সংক্রমণ এড়ানোর চেষ্টা জারি রাখা উত্তম। ভাইরাসটি এখনও সঞ্চালিত হচ্ছে এবং সামনের বহু বছর ধরে তা চলতে থাকবে। সেই কারণেই সংক্রমণের বিরুদ্ধে আমাদের সুরক্ষার জন্য আরও ভাল উপায় প্রয়োজন।

তথ্যসূত্রঃ
• Xie, Y., Xu, E., Bowe, B. et al. Long-term cardiovascular outcomes of COVID-19. Nat Med 28, 583–590 (2022).
• Wang W, Wang CY, Wang SI, Wei JC. Long-term cardiovascular outcomes in COVID-19 survivors among non-vaccinated population: A retrospective cohort study from the TriNetX US collaborative networks. EClinicalMedicine. 2022 Nov;53:101619.
• DeVries A, Shambhu S, Sloop S, Overhage JM. One-Year Adverse Outcomes Among US Adults With Post–COVID-19 Condition vs Those Without COVID-19 in a Large Commercial Insurance Database. JAMA Health Forum. 2023;4(3):e230010.
• Han, L., Zhao, S., Li, S. et al. Excess cardiovascular mortality across multiple COVID-19 waves in the United States from March 2020 to March 2022. Nat Cardiovasc Res (2023).
• Kim Y, Huh K, Park Y, Peck KR, Jung J. Association Between Vaccination and Acute Myocardial Infarction and Ischemic Stroke After COVID-19 Infection. JAMA. 2022;328(9):887–889.
• Jiang J, Chan L, Kauffman J, Narula J, Charney AW, Oh W, et al. Impact of Vaccination on Major Adverse Cardiovascular Events in Patients With COVID-19 Infection. Journal of the American College of Cardiology. 2023 2023/03/07/;81(9):928-30.

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বাড়ায়সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব হার্ট ফেইলিউরের বা হৃদবিক...
09/02/2023

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব হার্ট ফেইলিউরের ঝুঁকি বাড়ায়

সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব হার্ট ফেইলিউরের বা হৃদবিকলতার হার বাড়াতে পারে। JACC: হার্ট ফেইলিউরে ১ ফেব্রুয়ারী অনলাইনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফলে এমনটাই দাবী করা হয়েছে। অবশ্য হবেই বা না কেন? মানুষ সামাজিক জীব, সেটাতো আর যুগ যুগ ধরে শুধু শুধুই গড়ে ওঠেনি!

সম্প্রতি চীনের একাডেমি অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের কয়েকজন গবেষক সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, একাকীত্ব, এবং হৃদবিকলতার সম্পর্ক পরীক্ষা করেছেন। বিশ্লেষণে যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কের প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ অংশগ্রহণকারীকে গড়পড়তা ১২ বছর অনুসরণ করা হয়েছে।

গবেষকরা দেখেছেন যে, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে হৃদবিকলতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হৃদবিকলতার জন্য বংশগত এবং অন্যান্য ঝুঁকি মাথায় রেখে হিসেব করলেও এই ঝুঁকি আসলেই বেশী। কেন এমন হয় তা অবশ্য এখনও কেউ ব্যাখ্যা করেননি। তবে যারা চরম সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্বে ভুগছেন এবং যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তাদের মধ্যেই এ প্রবণতা বেশী।

অবসর গ্রহণ, স্বামী কিংবা স্ত্রী বিয়োগের মতো জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিসঙ্গতার কারণ হতে পারে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এসকল ঝুঁকি স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন। কোভিড মহামারীর কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশেই একাকীত্ব এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে।

আজকাল সুস্বাস্থ্যের সামাজিক নিয়ামকসমূহকে রোগী-কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে। সুতরাং অচিরেই হৃদবিকলতার চিকিৎসার জন্য ‘সোশ্যাল প্রেসক্রিপশন’ হিসেবে ‘একা একা থাকবেন না’ এবং ‘আরও বেশী বেশী সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন’ এমন উপদেশ অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

আর কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেগুলি ভাববার বিষয়।

তথ্যসূত্রঃ Liang Y, Chen Y, Feng H, et al. Association of Social Isolation and Loneliness With Incident Heart Failure in a Population-Based Cohort Study. J Am Coll Cardiol HF. 2023.

06/02/2023

প্রতিদিন ছয় হাজার কদম হাঁটলেই হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

• নতুন সমীক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশী তারা প্রতিদিন ৬,০০০ থেকে ৯,০০০ ধাপ হাঁটার মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারেন।

• প্রতিদিন অতিরিক্ত ১,০০০ ধাপ হাঁটা, বিশেষ করে যারা বর্তমানে দিন ৩,০০০ কদমের চেয়ে কম হাঁটেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে।

• যারা প্রতিদিন ২,০০০ কদম হাঁটেন তাদের তুলনায় গবেষকরা দেখেছেন যে যারা প্রতিদিন ৬,০০০ থেকে ৯,০০০ কদম হাঁটেন তাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকসহ হৃদরোগের ঝুঁকি ৪০% থেকে ৫০% কমে যায়।

• এই গবেষণাটি মূলতঃ হাঁটাহাটির সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকি কেমন, তা পরীক্ষা করেছে। নতুন গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য ৪২টি দেশের ২০,১৫২ জন ব্যক্তির স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবহার করে আটটি গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। তাদের গড় বয়স ছিল ৬৩ বছর এবং অর্ধেকের বেশী (৫২%) মহিলা ছিলেন।

• এটি ন্যাশভিলের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের আগের একটি গবেষণার অংশ। আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিলো যে, প্রতিদিন ৮,২০০ ধাপ হাঁটা দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির ঝুঁকি কমাতে পারে।

• ফিটনেস ট্র্যাকিং ডিভাইস ছাড়াও একজনের দৈনিক পদক্ষেপের সংখ্যা ট্র্যাক করা কঠিন কোন বিষয় নয়। হাঁটাহাঁটি করেন কিংবা অন্য কোন ব্যায়াম করেন, মোদ্দা কথা হচ্ছে ব্যায়ামটি নিজের তাগিদে করতে হবে এবং মনের আনন্দে করতে হনে। প্রতিদিন হাঁটতে হবে এবং অন্তত মাঝারি তীব্রতার সঙ্গে করতে হবে।যাদের বয়স কম তাদেরও এটা অনুসরণ করা উচিৎ। নিয়মিত সময় না পেলে সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করা যায়। যেমনঃ লিফট ব্যবহারের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠা, পারলে গাড়ী কিংবা রিকশার পরিবর্তে হাঁটা এবং আরও শারীরিকভাবে সক্রিয় বিনোদনে অংশগ্রহণ করা।

তথ্যসূত্রঃ Paluch AE, Bajpai S, Ballin M, Bassett DR, Buford TW, Carnethon MR, et al. Prospective Association of Daily Steps With Cardiovascular Disease: A Harmonized Meta-Analysis. Circulation. 2023 2023/01/10;147(2):122-31.

Address

Sat Masjid Road
Dhaka
1209

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram