LST Horikomol Kar

LST Horikomol Kar Like my page to See Comedy, Adventure, and Action and posts &videos!!Don't… personal page....

 # # # 🐐 **ছাগল পালন: একটি কম খরচে লাভজনক ব্যবসার ধারণা**  ছাগল পালন **কম বিনিয়োগে, ঝুঁকিহীন ও দ্রুত লাভজনক** ব্যবসা। ব...
09/08/2025

# # # 🐐 **ছাগল পালন: একটি কম খরচে লাভজনক ব্যবসার ধারণা**

ছাগল পালন **কম বিনিয়োগে, ঝুঁকিহীন ও দ্রুত লাভজনক** ব্যবসা। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় সীমিত জায়গা ও সম্পদে এটি একটি **আদর্শ পেশা**। নিচে ছাগল পালনের সম্পূর্ণ গাইডলাইন দেওয়া হলো:

---

# # # 🌟 **ছাগল পালনের ৬টি সুবিধা**
১. **কম খরচ**: খাদ্য খরচ গরুর তুলনায় **৬০% কম**।
২. **দ্রুত প্রজনন**: ১২-১৮ মাসেই বাচ্চা প্রসব করে (গরুর চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত)।
৩. **রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা**: সাধারণ রোগে কম আক্রান্ত হয়।
৪. **বহুমুখী আয়**: দুধ, মাংস, চামড়া, গোবর—সবই বিক্রি করা যায়।
৫. **কম জায়গায় পালন**: ১টি ছাগলের জন্য মাত্র **১০-১২ বর্গফুট** জায়গা প্রয়োজন।
৬. **সব ঋতুতে প্রজনন**: বছরের যেকোনো সময় বাচ্চা পাওয়া যায়।

---

# # # 🏡 **প্রাথমিক পরিকল্পনা (শুরু করবেন যেভাবে)**
# # # # 🔹 **জাত নির্বাচন**
- **দুধের জন্য**:
- **জামুনাপাড়ি**: দৈনিক ২-৩ লিটার দুধ দেয়।
- **সানান**: দৈনিক ১.৫-২ লিটার দুধ দেয়।
- **মাংসের জন্য**:
- **বাংলাদেশী কালো ছাগল**: ৬ মাসে ১৫-২০ কেজি ওজন হয়।
- **বোয়ার**: দ্রুত ওজন বাড়ায়।
- **টিপস**: স্থানীয় খামার থেকে **২-৩টি মা ছাগল + ১টি বাপকা ছাগল** কিনুন (প্রাথমিক বিনিয়োগ: ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা)।

# # # # 🔹 **খামার স্থাপন**
- **জায়গা**: উঁচু, শুকনো ও বাতাস চলাচল হয় এমন স্থান।
- **ঘর তৈরি**:
- **বাঁশের খুঁটি + টিনের ছাউনি** (প্রতি ছাগলের জন্য ৪x৫ ফুট জায়গা)।
- মেঝে **কাঠের তক্তা** বা **বাঁশের চাটাই** দিয়ে তৈরি করুন (ভেজা থেকে রক্ষা পাবে)।
- **খরচ**: ৫টি ছাগলের ঘর তৈরিতে **৫,০০০-৮,০০০ টাকা** লাগবে।

---

# # # 🌿 **খাদ্য ব্যবস্থাপনা (কম খরচে)**
# # # # 🔹 **প্রাকৃতিক খাদ্য**
- **ঘাস**: নেপিয়ার, গিনি ঘাস চাষ করুন (১ ছাগলের জন্য দৈনিক ৩-৪ কেজি ঘাস লাগে)।
- **গাছের পাতা**: কলা, নারিকেল, কাঁঠালের পাতা দিতে পারেন।
- **সবজির বর্জ্য**: বাজার থেকে পচা সবজি সংগ্রহ করে খাওয়ান।

# # # # 🔹 **ঘরোয়া খাদ্য মিশ্রণ**
| উপাদান | পরিমাণ (প্রতিদিন) |
|-------------------|-------------------|
| ভুট্টা/গমের ভুসি | ২০০-৩০০ গ্রাম |
| খৈল | ১০০-১৫০ গ্রাম |
| চালের�ুটা | ৫০-১০০ গ্রাম |
| খনিজ লবণ | ১০ গ্রাম |
- **খরচ**: প্রতি ছাগলের দৈনিক খাদ্য খরচ **২০-২৫ টাকা** (গরুর চেয়ে ৭০% কম)।

---

# # # 💊 **স্বাস্থ্যসেবা (সহজ ও কম খরচে)**
# # # # 🔹 **প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা**
- **টিকা**:
- **পিপিআর (Peste des Petits Ruminants)**: প্রতি ৬ মাস অন্তর।
- **এন্টারোটক্সেমিয়া**: বছরে একবার।
- **ডিওয়ার্মিং**: প্রতি ৩ মাস অন্তর **অ্যালবেন্ডাজল** ট্যাবলেট দিন (খরচ: ১০-১৫ টাকা/ছাগল)।
- **গোসল**: সপ্তাহে একবার **পানি + নিম পাতার রস** দিয়ে গোসল করান (উকুন দূর হবে)।

# # # # 🔹 **সাধারণ রোগ ও চিকিৎসা**
| রোগ | লক্ষণ | ঘরোয়া চিকিৎসা |
|------------------|------------------------|-------------------------------|
| ডায়রিয়া | পাতলা পায়খানা | চালের মাড় + লবণ পানি দিন |
| খোস/চর্মরোগ | চুল পড়া, চুলকানো | নারিকেল তেল + হলুদ মাখান |
| জ্বর | শরীর গরম, খাবার কম | তুলসী পাতার রস + মধু দিন |

---

# # # 🐐 **প্রজনন ব্যবস্থাপনা**
- **প্রথম প্রজনন**: ১২-১৮ মাস বয়সে।
- **বাচ্চা প্রসবের সময়**: **৫ মাস গর্ভকালীন সময়**।
- **বাচ্চা পালন**:
- জন্মের পর প্রথম ১ মাস **মায়ের দুধ** খাওয়ান।
- ১ মাস পর **ঘাস + দানাদার খাবার** দিন।
- **লাভ**: ১টি মা ছাগল বছরে **২-৩টি বাচ্চা** দিতে পারে। প্রতি বাচ্চা ৬ মাসে **৩,০০০-৫,০০০ টাকায়** বিক্রি করা যায়।

---

# # # 💰 **বাজারজাতকরণ (আয়ের উৎস)**
| পণ্য | বিক্রয় মূল্য (প্রতি ইউনিট) | মাসিক আয় (৫টি ছাগল থেকে) |
|------------|---------------------------|----------------------------|
| দুধ | ৬০-৮০ টাকা/লিটার | ৩,০০০-৪,০০০ টাকা |
|�াংস | ৬০০-৮০০ টাকা/কেজি | বাচ্চা বিক্রি: ৬,০০০ টাকা |
| চামড়া | ৩০০-৫০০ টাকা/পিস | ১,০০০ টাকা |
| গোবর | ৫ টাকা/কেজি | ৫০০ টাকা |
**মোট মাসিক আয়**: **১০,০০০-১২,০০০ টাকা** (খরচ বাদে লাভ: **৮,০০০-১০,০০০ টাকা**)।

---

# # # 📊 **খরচ-আয়ের হিসাব (৫টি ছাগল পালনে)**
| খাত | মাসিক খরচ (টাকা) | মাসিক আয় (টাকা) |
|--------------------|-------------------|-----------------|
| খাদ্য | ৩,০০০ | - |
| ওষুধ/�িকা | ৫০০ | - |
| শ্রমিক (আংশিক) | ১,০০০ | - |
| দুধ বিক্রি | - | ৪,০০০ |
| বাচ্চা বিক্রি | - | ৬,০০০ |
| অন্যান্য | - | ২,০০০ |
| **মোট** | **৪,৫০০** | **১২,০০০** |
| **মাসিক লাভ** | - | **৭,৫০০** |

---

# # # 💡 **লাভ বাড়ানোর ৫টি টিপস**
১. **বাচ্চা উৎপাদন বাড়ান**: ভালো মানের বাপকা ছাগল রাখুন (১টি বাপকা ১৫-২০টি মা ছাগলকে গর্ভবতী করতে পারে)।
২. **দুধ প্রক্রিয়াজাত করুন**: দুধ থেকে **দই, ছানা, ঘি** তৈরি করে বিক্রি করুন (মুনাফা ৫০% বাড়বে)।
৩. **চামড়া সংরক্ষণ করুন**: মরে গেলে চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে বিক্রি করুন।
৪. **গোবর বিক্রি করুন**: গোবর শুকিয়ে **জৈব সার** তৈরি করুন (বিক্রয় মূল্য: ৫-১০ টাকা/কেজি)।
৫. **সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করুন**: মধ্যস্বত্বভোগী এড়িয়ে স্থানীয় বাজারে নিজেই বিক্রি করুন।

---

# # # ⚠️ **সতর্কতা**
- **অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলুন**: ১০x১০ ফুট জায়গায় সর্বোচ্চ **৮-১০টি ছাগল** রাখুন।
- **বিষাক্ত গাছ এড়িয়ে চলুন**: কাঁঠাল, অর্জুন গাছের পাতা বেশি খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।
- **পানির ব্যবস্থা**: সবসময় বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা রাখুন।

---

# # # 🌾 **সফল খামারিদের উদাহরণ**
> **"ময়মনসিংহের রহিম মিয়া ৫টি ছাগল দিয়ে শুরু করেছিলেন। ১ বছরের মধ্যে তার খামারে ২০টি ছাগল হয়েছে। মাসিক আয় এখন ২৫,০০০ টাকা!**
> তার সফলতার রহস্য: **স্থানীয় জাত নির্বাচন + ঘাস চাষ + নিজেই বাজারজাতকরণ**।"

---

#ছাগল_পালন ে_ব্যবসা #পশুপালন #গ্রামীণ_ব্যবসা #ক্ষুদ্র_উদ্যোক্তা #বাংলাদেশ #দুধ_উৎপাদন #মাংস_ব্যবসা

 ✅পানির অপর নাম জীবন!রাতে গরুর সামনে পরিস্কার সাদা পানি দিয়ে রাখুন,পানি জীবাণুমুক্ত রাখতে দুই চিমটি লবন দিতে পারেন।গরমের...
04/08/2025


✅পানির অপর নাম জীবন!রাতে গরুর সামনে পরিস্কার সাদা পানি দিয়ে রাখুন,পানি জীবাণুমুক্ত রাখতে দুই চিমটি লবন দিতে পারেন।গরমের সময় রাতে গরুর শীতল পানির দরকার হয়! গরমের সময় শীতল পানি এবং শীতের সময় কুসুম গরম পানির দরকার ‌। কিছু কিছু ঔষধ আছে যেমন পেট ফাঁপা বা পাতলা পায়খানার ঔষধ অথবা কৃমিনাশক সেগুলো খাওয়ালেও গরুর সামনে পানি রাখুন।

✅সকালে প্রথম কাজ হলো খামার পরিস্কার গরুর ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা,গোবর খেয়াল করুন,পেটের বাবপাশ ফোলা কিনা দেখুন,চোখ ও জাবর কাটা/মুখ খেয়াল করুন,নাক চেক করুন,চামড়া ফোলা কিনা দেখুন,শোয়া থেকে উঠতে সমস্যা কিনা,পায়ের ক্ষুরা পরিস্কার কিনা চেক করুন।

✅ মশা মাছিকে বলা হয় ভাইরাস বিস্তারের #ভেক্টর, অর্থাৎ ভাইরাস একা একা চলতে পারে না ভাইরাস চলার জন্য যে প্রাণী কাজ করে তাকে বলা হয় ভেক্টর,খামার কে মশামাছি মুক্ত রাখুন,এতে গরুর নানা প্রকার রোগের প্রকোপ কমে যাবে। সন্ধ্যা ও ভোরে মশার উৎপাত বেশী থাকে। এই সময় শুকনো গোবর,চেঁতুলের কাঠ,ধূপ ও কয়েল দিয়ে ধোঁয়া দিতে পারেন।আশে পাশে ডিজেল ও নেপতালিন গুঁড়া জল স্প্রে করলে মশা পালিয়ে যেতে বাধ্য!

✅গরুর চামড়ায় কোন ক্ষত ও ইনফেকশন থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করুন; এটা হল অন্য সকল রোগ জীবানু শরীরে ঢুকার দরজা! এ সময় এমেকটিন প্লাস/ আইভিক্লোর বা ভার্মিক ইনজেকশন দিতে পারেন।

✅ ভেকসিন চার্ট চেক করুন, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ভেকসিন দিতে হবে।LSD,FMD,ANTHRAX DISEASE, HS, BQ ভেকসিন দিয়ে নিন।ভেকসিন ছাড়া ঘরে গরু বেধে রাখা হল জুয়া খেলা; যে কোন সময় ঠুস! এটা কে খামার বা পশুপালন বলে না।

✅শুধু শখ /টাকা রোজগারের জন্য গরু ছাগল পালন করবেন না;এটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ।পশুপালনকে লাভজনক করতে পারলেই সেটা করুন,না হলে অপেক্ষা করুন।ঘাস চাষ,দক্ষ লোকবল, আধূনিক প্রযুক্তি,সঠিক ট্রেনিং,নিজে সময় দেওয়া,দুধের বাজার ও মাংসের চাহিদা যাচাই করতে হবে।

✅উল্টা পাল্টা গরু পালন করলে,গরুর জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ! Animal welfare আইন মতে শাস্তি যোগ্য অপরাধ, আপনি গ্রেফতার,হতে পারেন।

ফেসবুকে আমার সকল লেখা Animal welfare and rights এর অংশ।

✅সকল ভেকসিন কে সহজলভ্য ও সুলভ করতে হবে।ভেকসিন খামারীর কেনার জিনিষ না! এটা সরকার দিতে বাধ্য, এটা Cool chain management করা ও খামারির দড়জায় পৌঁছনো সরকারের কাজ! এটা নিয়ে গাফলতি ও টাল বাহানা চলবে না!! please contact with LDDP,LRI officer in charge of your district or division.


এ বিষয়ে সকল খামারিদের সরকারের পশুপালন মন্ত্রনালয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
যে সব এলাকায় ভেকসিন পাওয়া যায় না, আপনারা সরকারি পশু হাসপাতালে /LSP /LEO/VS ওদের সাথে কথা বলুন, উপজেলা পরিষদে ভেকসিন দাবীতে করুন। ULO,DLO,DC বরাবর স্মারকলিলি দিবেন।

গরুর পায়ের সমস্যা পর্যবেক্ষণ। বর্ষাকালে গরুর পায়ের সমস্যা বেশি হয় তাই খামারিদের সাবধান থাকা উচিত।১. গরুর ঘর নিয়মিত জীবাণ...
17/07/2025

গরুর পায়ের সমস্যা পর্যবেক্ষণ। বর্ষাকালে গরুর পায়ের সমস্যা বেশি হয় তাই খামারিদের সাবধান থাকা উচিত।

১. গরুর ঘর নিয়মিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।
২. ঘর যাতে স্যাঁতস্যাঁতে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
৩. বর্ষার সময়ে যে সব রোগ বেশি হয়(যেমন: বাদলা, ক্ষুরারোগ, তড়কা ইত্যাদি) সেগুলোর টিকা দিয়ে রাখা উচিত।
৪. নিয়মিত কৃমিনাশক দেওয়া উচিত।
❤️❤️❤️❤️
#গাভীর_খামার #গরুর_খামার #গরুরখামার #খামার

কৃত্রিম প্রজনন করে বাড়ি ফেরা
10/07/2025

কৃত্রিম প্রজনন করে বাড়ি ফেরা

নিচে ছাগলের জন্য একটি বছরব্যাপী কৃমি নিয়ন্ত্রণ ক্যালেন্ডার (Deworming Schedule) দিচ্ছি — এটা আপনি ১ বছরের মধ্যে ৩ বা ৪ ...
01/07/2025

নিচে ছাগলের জন্য একটি বছরব্যাপী কৃমি নিয়ন্ত্রণ ক্যালেন্ডার (Deworming Schedule) দিচ্ছি — এটা আপনি ১ বছরের মধ্যে ৩ বা ৪ বার ফলো করলেই ছাগল সুস্থ থাকবে এবং কৃমি-জনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।



✅ ছাগলের কৃমি নিয়ন্ত্রণ ক্যালেন্ডার (৫ মাস বা তার বেশি বয়সের জন্য)
সময়
ওষুধের নাম
ডোজ/ব্যবহার
মন্তব্য
জানুয়ারি (শীতকাল)
Albendazole (Benasol Vet)
1 ডোজ, খালি পেটে
পেটের ফিতা কৃমি ও গোল কৃমি দূর করতে
এপ্রিল (গ্রীষ্মকাল)
Levamisole
ওজন অনুযায়ী ডোজ
গোল কৃমি ও ফুসফুস কৃমির জন্য ভালো
জুলাই (বর্ষাকাল)
Ivermectin
ইঞ্জেকশন বা মুখে (Vet এর পরামর্শে)
ত্বকের নিচে কৃমি ও মাইট দূর করতে
অক্টোবর (শরৎ/হেমন্ত)
Albendazole (Benasol Vet)
1 ডোজ, খালি পেটে

✅ অতিরিক্ত টিপস:
• ওষুধ খাওয়ানোর আগে ছাগলকে খালি পেটে রাখলে ওষুধ ভালো কাজ করে।
• কৃমি দূর হওয়ার ১-২ দিনের মধ্যে পায়খানার সঙ্গে কৃমি বের হয়ে যেতে পারে — এটি স্বাভাবিক।
• কৃমি দূর হওয়ার পরে ছাগল কিছুটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, তাই পুষ্টিকর খাবার দিন (ঘাস, ভুট্টা, খৈল, লবণ, পানি ইত্যাদি)।



❗ মনে রাখবেন:
• প্রতিটি ওষুধ ব্যবহারের আগে ছাগলের ওজন অনুযায়ী ডোজ নিশ্চিত করুন।
• গর্ভবতী ছাগলের ক্ষেত্রে ওষুধ ব্যবহারের আগে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া নিরাপদ।
Copy..

01/07/2025

"করিলে কৃত্রিম প্রজনন, জাত হবে উন্নয়ন "।

৩ মাসে খাসি ও ছাগল মোটাতাজাকরণ: 🐐আপনার লাভজনক খামারের নিশ্চিত গাইডলাইন!প্রিয় ভাই/বোনএকটি সফল ছাগল বা খাসি মোটাতাজাকরণ প্...
26/06/2025

৩ মাসে খাসি ও ছাগল মোটাতাজাকরণ:

🐐আপনার লাভজনক খামারের নিশ্চিত গাইডলাইন!

প্রিয় ভাই/বোন
একটি সফল ছাগল বা খাসি মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের জন্য চাই সুপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা আর সঠিক যত্নের কৌশল। মাত্র ৩ মাসে আপনার ছাগলের ওজন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দারুণ লাভ করতে চাইলে নিচের এই সহজ ও কার্যকর গাইডলাইনটি অনুসরণ করুন:

🌱 ১. খামারের পরিবেশ ও প্রস্তুতি

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: আপনার খামার যেন থাকে ঝকঝকে পরিষ্কার আর শুষ্ক। ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ছাগলের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধুলোবালিহীন আর পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করুন।

* পর্যাপ্ত জায়গা: প্রতিটি ছাগল বা খাসির জন্য কমপক্ষে ১০–১৫ বর্গফুট খোলা ও নির্দিষ্ট স্থান রাখুন। এতে তারা আরামদায়কভাবে ঘোরাফেরা করতে পারবে এবং অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমবে।

🍽️ ২. খাদ্য ব্যবস্থাপনা: আপনার ছাগলের পুষ্টির মূলমন্ত্র
🕐 প্রথম মাস:
* সকালের নাস্তা ও রাতের খাবার: ভোর ও সন্ধ্যায় পর্যাপ্ত পরিমাণে নেপিয়ার, সিগন্যাল বা দেশি ঘাস দিন। তাজা সবুজ ঘাস ছাগলের হজমে সাহায্য করে ও পুষ্টি জোগায়।
* দুপুরের কনসেনট্রেট: দুপুরের খাবারে কনসেনট্রেটের পরিমাণ ও মান বাড়ান।
* ভাঙা ভুট্টা: ৩০%
* গমের ভুসি: ৩০%
* সরিষা/খেসারি খৈল: ২০%
* সয়াবিন খৈল: ১৫%
* মিনারেল মিক্স (খনিজ মিশ্রণ): ৫%
* পরিমাণ: প্রথম মাসে দৈনিক ২০০–৩০০ গ্রাম কনসেনট্রেট দিন।

🕑 দ্বিতীয় মাস:
* ঘাস: ভোর ও সন্ধ্যায় ঘাস আগের মতোই চালু রাখুন।
* কনসেনট্রেট বৃদ্ধি: এই মাসে দৈনিক কনসেনট্রেটের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩৫০–৫০০ গ্রাম করুন।
* উচ্চ-প্রোটিন যুক্ত করুন: ছোলার খেসারি, কলা খৈল, খেসারি খৈলের মতো উচ্চ-প্রোটিনযুক্ত খাবার যোগ করুন। এটি দ্রুত ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে।

🕒 তৃতীয় মাস:
* সর্বোচ্চ কনসেনট্রেট: এই মাসে কনসেনট্রেটের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ৫০০–৬০০ গ্রাম/দিন করুন।
* প্রোটিনের নিশ্চয়তা: ভোর ও সন্ধ্যায় ঘাসের সাথে প্রোটিনভিত্তিক খাবার নিশ্চিত করুন, কারণ এ সময় ছাগলের পুষ্টি চাহিদা তুঙ্গে থাকে।

৩. পানি ও সাপ্লিমেন্ট: পুষ্টির পরিপূরক
* বিশুদ্ধ পানি: আপনার ছাগলকে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করুন। পানির পাত্র যেন সব সময় ভর্তি থাকে।
* লবণ ও মিনারেল ব্লক: খামারে সব সময় লবণ ও মিনারেল ব্লক রাখুন, যাতে ছাগল ইচ্ছেমতো চাটতে পারে। এটি তাদের খনিজ চাহিদা পূরণ করবে।
* ভিটামিন সিরাপ: প্রতি সপ্তাহে ১–২ বার ভিটামিন সিরাপ (যেমন AD3E) দিন। এটি তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে ও দ্রুত মোটাতাজাকরণে সহায়তা করবে।

🩺 ৪. স্বাস্থ্যসেবা: রোগমুক্ত ও সুস্থ ছাগলই সফলতার চাবিকাঠি
* কৃমিনাশক: প্রতি ৬০ দিনে অবশ্যই কৃমিনাশক ব্যবহার নিশ্চিত করুন। কৃমিমুক্ত না থাকলে খাবার থেকে ছাগল পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে না।
* টিকাদান: সময়মতো PPR ও FMD (খুরা রোগ) টিকা প্রদান করুন। এই দুটি রোগ ছাগলের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক।
* ওজন পরিমাপ: প্রতি সপ্তাহে আপনার ছাগলের ওজন পরিমাপ করুন এবং একটি রেকর্ড খাতায় লিখে রাখুন। এতে আপনি তার ওজন বৃদ্ধির হার পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

🎯 ৫. লক্ষ্য ও প্রত্যাশা: আপনার পরিশ্রমের ফল
সঠিক যত্ন, সুষম খাদ্য এবং দায়বদ্ধ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মাত্র ৩ মাসে একটি সুস্থ ছাগলের ওজন ১০–১৫ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। এটিই আপনার খামারের সাফল্যের প্রতিচ্ছবি।

✅ কাজটি সহজে করার কিছু টিপস:
* দৈনিক রেকর্ড: প্রতিদিনের ওজন এবং খাদ্যের পরিমাণ রেকর্ড করুন। এটি আপনাকে ছাগলের অগ্রগতি বুঝতে এবং প্রয়োজনে খাদ্য তালিকা সমন্বয় করতে সাহায্য করবে।
* সঠিক অনুপাত: ঘাস ও কনসেনট্রেটের অনুপাত সময়মতো সমন্বয় করুন, যাতে ছাগলের শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত হয়।

🔰বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা: যেকোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বা রোগ দেখা দিলে অবিলম্বে পশু ডাক্তার বা একজন পশুস্বাস্থ্য কর্মীর সহযোগিতা নিন। নিজেরা চিকিৎসা করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনবেন না।

ছবিতে মুরগির বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া (পায়খানা) দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ডায়রিয়ার রঙ ও ধরন অনুযায়ী মুরগির বিভিন্ন রোগ এবং...
20/06/2025

ছবিতে মুরগির বিভিন্ন ধরনের ডায়রিয়া (পায়খানা) দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ডায়রিয়ার রঙ ও ধরন অনুযায়ী মুরগির বিভিন্ন রোগ এবং তার প্রাকৃতিক চিকিৎসা নিচে বাংলায় উল্লেখ করা হলো:

১️⃣ হলুদ ডায়রিয়া (Yellow Diarrhea)
সম্ভাব্য রোগ:
🔸 ফাউল টাইফয়েড বা নিউক্যাসল রোগ

প্রাকৃতিক চিকিৎসা:
🌿 মেথি গুঁড়ো, রসুন ও কালিজিরা মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 গরম পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ দিয়ে খাওয়াতে পারেন
🌿 পাতিলেবুর রস ২-৩ ফোঁটা পানিতে মিশিয়ে খাওয়ানো

২️⃣ সবুজ ডায়রিয়া (Green Diarrhea)
সম্ভাব্য রোগ:
🔸 রানীক্ষেত (Newcastle Disease)
🔸 খাদ্য হজমের গোলমাল

প্রাকৃতিক চিকিৎসা:
🌿 তুলসি পাতা, রসুন এবং আদার রস মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 পরিষ্কার পানি নিশ্চিত করতে হবে
🌿 খাবারে হালকা ভিনেগার (অ্যাপল সাইডার ভিনেগার) মেশানো

৩️⃣ সাদা ডায়রিয়া (White Diarrhea)
সম্ভাব্য রোগ:
🔸 পুলোরাম রোগ (Pullorum Disease)
🔸 ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন

প্রাকৃতিক চিকিৎসা:
🌿 রসুন ও কালিজিরা মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 ১ লিটার পানিতে ১ চা চামচ মেথি সেদ্ধ করে পান করানো
🌿 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি

৪️⃣ লাল/রক্তাক্ত ডায়রিয়া (Red/Bloody Diarrhea)
সম্ভাব্য রোগ:
🔸 ককসিডিওসিস (Coccidiosis)

প্রাকৃতিক চিকিৎসা:
🌿 হলুদ গুঁড়ো + লসুন পেস্ট + মধু মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 কচি পেঁপে ও কলার মোচার রস মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 পানিতে নিমপাতা সেদ্ধ করে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন

৫️⃣ পানিযুক্ত ডায়রিয়া (Watery Diarrhea)
সম্ভাব্য রোগ:
🔸 পানির অতিরিক্ত খাওয়া, গরম আবহাওয়া, ভাইরাস সংক্রমণ

প্রাকৃতিক চিকিৎসা:
🌿 ভাতের মাড় ও ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 সাদা চালের খৈ ভেজে গুঁড়ো করে মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 পানিতে হালকা লবণ ও গুড় মিশিয়ে খাওয়ানো

৬️⃣ ফেনাযুক্ত পানিযুক্ত ডায়রিয়া (Watery/Foamy Diarrhea)
সম্ভাব্য রোগ:
🔸 অন্ত্রের সংক্রমণ, পরজীবী সংক্রমণ

প্রাকৃতিক চিকিৎসা:
🌿 কাঁচা হলুদ, আদা ও তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ানো
🌿 পরজীবী দূর করতে কালিজিরা ও পেঁয়াজ রস উপকারী
🌿 সপ্তাহে একবার রসুন পানি খাওয়ানো যেতে পারে

❗ বিশেষ পরামর্শ:
মুরগির পায়খানার রঙ দেখে রোগ শনাক্ত করার পর যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিন। যদি প্রাকৃতিক চিকিৎসায় উপকার না হয়, পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পরিষ্কার পানি, স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং বাসস্থানের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন🤝

👩‍🌾
#পোল্ট্রি #স্বাস্থ্যবান_খামার #নিরাপদআমিষ #বাংলাদেশ #পোল্ট্রিখামার #নিরাপদআমিষ

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when LST Horikomol Kar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category