OGSB Hospital

OGSB Hospital A Non Profit Organization.

25/05/2025
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কতটা নিরাপদ এবং কী খাবার খাওয়া উচিত?ইসলামে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয় যদি এ...
13/03/2025

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা কতটা নিরাপদ এবং কী খাবার খাওয়া উচিত?

ইসলামে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয় যদি এটি মা বা শিশুর জন্য ক্ষতিকর হয়। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী রোজা রাখা বা পরে কাজা করা অথবা ফিদিয়া দেওয়া যেতে পারে।

গর্ভাবস্থার কোন মাসে রোজা রাখা নিরাপদ?
প্রথম তিন মাস (১-৩ মাস): সাধারণত রোজার পরামর্শ দেওয়া হয় না, কারণ এই সময় শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গঠিত হয় এবং মা ক্লান্তি, বমি ও দুর্বলতায় ভুগতে পারেন।

দ্বিতীয় তিন মাস (৪-৬ মাস): মা যদি সুস্থ থাকেন, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে পারেন।
শেষ তিন মাস (৭-৯ মাস): শিশুর পুষ্টি চাহিদা বেড়ে যায়, তাই রোজা রাখা কঠিন হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় রোজার সময় স্বাস্থ্যকর খাবার
সেহরি (ভোরের খাবার)
জটিল কার্বোহাইড্রেট (ওটস, লাল আটার রুটি, ব্রাউন রাইস) – দীর্ঘ সময় শক্তি যোগাবে।
প্রোটিন (ডিম, দই, বাদাম, ডাল) – ক্ষুধা কমাবে।
ফল ও সবজি (কলার, খেজুর, শসা) – ভিটামিন ও পানি সরবরাহ করবে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন – শরীর হাইড্রেট রাখবে।
ইফতার (রোজা ভাঙার খাবার)
খেজুর ও পানি দিয়ে শুরু করুন – দ্রুত শক্তি বাড়ায়।
প্রোটিন (মুরগি, মাছ, গরুর মাংস, ডাল) – শিশুর বৃদ্ধির জন্য জরুরি।
স্বাস্থ্যকর চর্বি (অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল, বাদাম) – শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার (পালং শাক, লাল মাংস, ডাল) – রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করবে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (দুধ, দই, পনির) – শিশুর হাড় গঠনে সহায়ক।

গর্ভাবস্থায় রোজার সময় বিশেষ সতর্কতা
✔ ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
✔ ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা, কফি) এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি শরীরকে পানিশূন্য করে।
✔ ক্লান্ত বা দুর্বল অনুভব করলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
✔ মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা বা অন্য কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে রোজা ভেঙে ফেলুন।

গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার ও আপনার শিশুর সুস্থতাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর প্রাথমিক বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকাশিশুর প্রাথমিক বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালোবাসা, য...
03/03/2025

শিশুর প্রাথমিক বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা

শিশুর প্রাথমিক বিকাশে বাবা-মায়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ভালোবাসা, যত্ন, এবং সঠিক দিকনির্দেশনা শিশুর শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশে সহায়ক হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বর্ণনা করা হলো—

১. ভালোবাসা ও মানসিক নিরাপত্তা প্রদান
শিশুর সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য বাবা-মায়ের স্নেহ ও ভালোবাসা অপরিহার্য। এটি শিশুকে আত্মবিশ্বাসী এবং নিরাপদ বোধ করতে সহায়তা করে।

২. পুষ্টিকর খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা
সঠিক পুষ্টি শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। তাই বাবা-মায়ের উচিত শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ানো এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।

৩. শেখার পরিবেশ তৈরি করা
প্রাথমিক শিক্ষা শিশুর বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে সহায়ক হয়। বাবা-মা যদি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করেন এবং শিক্ষামূলক খেলায় উৎসাহিত করেন, তবে শিশু দ্রুত শিখতে পারে।

৪. সামাজিক দক্ষতা গড়ে তোলা
শিশুর সামাজিক দক্ষতা বিকাশের জন্য বাবা-মায়ের উচিত তাকে অন্যদের সাথে মিশতে শেখানো, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ গড়ে তোলা।

৫. ইতিবাচক আচরণ ও নৈতিক শিক্ষা প্রদান
শিশু বাবা-মায়ের কাছ থেকে আচরণ শেখে। তাই তাদের উচিত ধৈর্যশীল হওয়া, ইতিবাচক শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং শিশুকে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ শেখানো।

৬. শারীরিক কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ করা
খেলাধুলা ও ব্যায়াম শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। বাবা-মায়ের উচিত শিশুদের নিয়মিত খেলাধুলায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা।

৭. সুরক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করা
শিশুর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। বিপদজনক বস্তু থেকে দূরে রাখা এবং সঠিক তদারকি করা গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাথমিক পর্যায়ে বাবা-মায়ের এসব ভূমিকা শিশুর ভবিষ্যৎ বিকাশ ও সাফল্যের ভিত্তি গড়ে তোলে। একটি শিশুর উন্নত ভবিষ্যতের জন্য বাবা-মায়ের সঠিক যত্ন ও দিকনির্দেশনা অপরিহার্য।

গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তির উপযুক্ত সময় ও লক্ষণ:লক্ষণসমূহ:প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে: পেটে ধীরে ধীরে ব্যথ...
14/01/2025

গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবের জন্য হাসপাতালে ভর্তির উপযুক্ত সময় ও লক্ষণ:

লক্ষণসমূহ:

প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলে: পেটে ধীরে ধীরে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে থাকলে।

পানি ভেঙে গেলে (Amniotic Fluid Break): হঠাৎ করে যোনি থেকে পানি বের হলে।
রক্তক্ষরণ শুরু হলে: যোনিপথে অস্বাভাবিক রক্তপাত হলে।

শিশুর নড়াচড়া কমে গেলে: আগের তুলনায় শিশুর নড়াচড়া কম অনুভব হলে।

গর্ভধারণের ৩৮-৪০ সপ্তাহে: যদি উপরের কোনো লক্ষণ দেখা না দেয়, তবুও নির্ধারিত তারিখের কাছাকাছি সময়ে হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।

ভর্তির সময়:
প্রসবের সম্ভাব্য তারিখের (EDD) অন্তত ১-২ সপ্তাহ আগে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।
যদি জটিলতা থাকে (উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, প্রি-এক্লাম্পসিয়া ইত্যাদি), আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তির পরিকল্পনা করুন।
উপযুক্ত সময় ও লক্ষণ বুঝে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করা উচিত।

Address

Plot No 6/1 Section 17 (old 13) Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when OGSB Hospital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to OGSB Hospital:

Share

Category