
22/07/2025
এটা আসলে নিছক কোন দুর্ঘটনা নয়। এটা আসলে রাস্ট্রীয় হত্যাযজ্ঞ। একটা ট্রেনিং যুদ্ধ বিমান কিভাবে জনবহুল এলাকায় উড্ডয়ন করে , এই উত্তর আমাদের কাছে নেই। একটা ট্রেনং বিমান উড্ডয়ন করার আগে নিশ্চয় শতবার চেক হয়, তাহলে কিভাবে এটায় যান্ত্রিক ক্রটি থাকে? নিহত পাইলটের এটাই ছিল প্রথম বিমান উড্ডয়ন। কিভাবে এই জনবহুল এলাকায় এই পুরনো ফিটনেসবিহীন বিমান নতুন পাইলট চালানোর অনুমতি পেল? পুরো রাস্ট্রে এই ধরনের মৃত্যুর ফাদ রূপি অগনিত সিস্টেম চালু রয়েছে।
এই দেশ সন্তান জন্মদানই ,আমাদের সবচেয়ে বড় পাপ। নিরাপদ দেশ গড়তে না পারলেই এই দেশে সন্তান জন্মদান করার কোন মানেই হয় না। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাচ্চাগুলো যারা বেঁচে থাকবে তাদের কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেন। তারা বেঁচে থেকেও সীমাহীন যন্ত্রণা এবং এই দেশের সমাজে প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হবে। কিন্তু তাদের অপরাধ কি?
একেবারে মধ্যযুগীয় কায়দায় আমাদের নিষ্পাপ কোমলমতি শিশুদের পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে । যারা ঘুম চোখে স্কুলে গিয়েছিল হাসি মুখে।তারা আর কোনদিন ফিরবে না। তাদের বাবা মা আত্নীয় স্বজন বুক ফাটিয়ে বিলাপ করবে সারাজীবন। আহা কি দেশ কি জীবন।
ঢাকা শহরকে নিরাপদ করতে হবে। ঢাকার আকাশে শুধু যুদ্ধ বিমান নয়, আরোও বহু বিপদ আছে। সব বিপদ দূর করতে হবে। আর কোন ট্রেনিং বিমান যেন ঢাকার আকাশে না উড়ে।
আমাদের সন্তানরা আমাদের অস্তিত্ব ,আমাদের সত্যিকারের আনন্দ। তাদের জন্য আমরা সুন্দর একটা নিরাপদ নগরী চাই , নিরাপদ দেশ চাই , নিরাপদ একটা পৃথিবী চাই।